অন্যান্য
সিলেটে শিক্ষার্থী হামলার ঘটনায় ইবিতে বিক্ষোভ

সিলেটের এম. সি কলেজে শিক্ষার্থীর উপর হামলার প্রতিবাদে ও কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনে আওয়ামীপন্থীদের নৈরাজ্যের আশংকায় প্রতিবাদী বিক্ষোভ করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখা। একইসাথে আওয়ামী দোসরদের বিচার ও তাদের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ এবং বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনায় তাদের নাম পরিবর্তনের দাবিতে এ বিক্ষোভ অংশগ্রহণ করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া মোড় হতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবনের সমবেত হয় প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীরা।
এসময় ইবি সমন্বয়ক এস এম সুইটের নেতৃত্বে মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ সমন্বয়ক নাহিদ হাসান, গোলাম রাব্বানী, ইয়াসিরুল কবীর, তানভীর মন্ডল’সহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের “আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ; আমার ভাইয়ের ওপর হামলা কেন, প্রশাসনের জবাব চাই; জ্বালোরে জ্বালো, আগুন জ্বালো; সন্ত্রাসীদের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না, ” সন্ত্রাসীদের কালো হাত ভেঙ্গে দাও গুড়িয়ে দাও”, “সন্ত্রাসীদের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না” ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারকারী ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত আওয়ামী সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি, যেসব স্থাপনা তাদের নামে রয়েছে, সেগুলোর নাম পরিবর্তনের দাবি জানান তারা। এই দাবি আদায় না হলে পরবর্তীতে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
সমাবেশে সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, যে বিগত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার যেমন বিনা ভোটে এমপি তৈরি করেছিল তেমনিভাবে বেশ কিছু বুদ্ধিজীবী তৈরি করেছিল। যারা ১৮ সালের নির্বাচন এবং ২৪ এর গণহত্যাকে বৈধ করার জন্য ন্যারেটিভ তৈরি করেছিল। এই ন্যারেটিভ তৈরি করেছিল যেমন শাহজালাল বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জাফর ইকবাল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রুবায়েদ আরেফিন সিদ্দিকী এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের এরকম বেশ কিছু শিক্ষক ছিল যারা এ গণহত্যাকে বৈধতা দেওয়ার জন্য ন্যারেটিভ তৈরি করেছিল। ইসলামী বিদ্যালয়ের কেন ইউজিসির দিকে তাকিয়ে থাকবে? দ্রুত তদন্ত কমিটি গঠন করে বিগত ষোল বছরের শ্বেতপত্র কেনো এখনো ঘোষণা করতে পারেনি? অনতিবিলম্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের ষোল হাজার শিক্ষার্থীদের সামনে তাদের শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বিগত ষোল বছরের যাবতীয় অনিয়ম দুর্নীতির ব্যাপারে সবকিছু প্রকাশ করতে হবে। আপনারা জানেন বিপ্লবে আমাদের বিজয়ের পূর্ব মুহূর্তে, ইসলামী বিদ্যালয়ের শাপলা ফোরাম নামের একটি সংগঠন তাদের নেতৃত্ব কিছু শিক্ষক, কর্মচারী ও কর্মকর্তা যেভাবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর গণহত্যাকে উসকে দিয়ে ছিলো তারা এখনো কিভাবে তাদের কার্যক্রম চলমান রাখে? আপনাদের কাছে প্রশ্ন রেখে গেলাম! আপনারা একেকদিন একেক দলের সাথে মিটিং করেন কিন্তু আপনারা ভুলে যান, আমার ষোলোশত ভাই বোনের রক্তের উপর দাড়িয়ে আছেন।অনতিবিলম্বে আপনারা এদের বিরুদ্ধে ব্যাস্থা গ্রহণ করুন। গতকাল কুয়েটে যে হামলার ঘটনা ঘটেছে সেখানে ছাত্রদল কতৃক বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব আহত হয়েছিল। আজ এমসি কলেজে যে হামলা হয়েছে। গণমাধ্যমে সূত্র জানতে পেরেছি এমসি কলেজে শিবির নাকি অভিযোগ আছে। এখানে ছাত্রদল, শিবির, ছাত্র ইউনিয়ন যেই দলেরই হোক না কেন! তারা অপরাধী, তাদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবী করছি।
অর্থসংবাদ/সাকিব/কাফি

অন্যান্য
লেনদেনের শীর্ষে বিএসসি

সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন (বিএসসি)। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বুধবার (২০ আগস্ট) কোম্পানিটির ৩৫ কোটি ৪১ লাখ ২৩ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিচ হ্যাচারির লেনদেন হয়েছে ২৭ কোটি ৬৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার। আর ২৭ কোটি ২৫ লাখ ৯৮ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন নিয়ে শীর্ষ তালিকার তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে বেক্সিমকো ফার্মা।
লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- সিটি ব্যাংক, টেকনো ড্রাগস, ওরিয়ন ইনফিউশন, বিকন ফার্মা, সোনালী পেপার, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ এবং মালেক স্পিনিং মিলস পিএলসি।
এসএম
অন্যান্য
আইসিবি এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট এমএফ ওয়ান: স্কিম ওয়ানের সর্বোচ্চ দরপতন

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ৪০০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯৪টির দর কমেছে। আজ সবচেয়ে বেশি দর কমেছে আইসিবি এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট এমএফ ওয়ান: স্কিম ওয়ানের।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সোমবার (১৮ আগস্ট) প্রতিষ্ঠানটির দর আগের দিনের তুলনায় ২০ পয়সা বা ৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ কমেছে। যার ফলে আজ ডিএসইর দর পতনের শীর্ষ তালিকায় প্রথম স্থানে স্থান নিয়েছে এই প্রতিষ্ঠানটি।
দর পতনের শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা ফার্স্ট সিকিউরিটিজ ইসলামী ব্যাংকের দর কমেছে আগের দিনের তুলনায় ৫ দশমিক ৪০ শতাংশ। আর ৪ দশমিক ৫৪ শতাংশ দর কমে যাওয়ায় পতনের শীর্ষ তালিকার তৃতীয় স্থানে জায়গা নিয়েছে ইউনিয়ন ক্যাপিটাল।
এছাড়া, আজ ডিএসইতে দর পতনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- মার্কেন্টাইল ব্যাংক, ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ, রহিম টেক্সটাইল, প্রিমিয়ার লিজিং, ফার্মা এইডস, ফার্স্ট ফাইন্যান্স এবং ব্যাংক এশিয়া পিএলসি।
এসএম
অন্যান্য
দেশের রিজার্ভ কমলো

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কিছুটা কমেছে। রিজার্ভ কমে এখন ৩০৮০৯ দশমিক ৯৬ মিলিয়ন ডলার বা ৩০ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
রবিবার (১৭ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকে নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩০৮০৯ দশমিক ৯৬ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ৩০ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ এখন ২৫৮০৬ দশমিক ৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ২৫ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার।
এর আগে গত ১৪ আগস্ট পর্যন্ত দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত ছিল ৩০৮৩৫ দশমিক ২৫ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ৩০ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলার। আর আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২৫৮২৭ দশমিক ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ২৫ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলার। সে হিসাবে রিজার্ভ সামান্য কমেছে।
এর আগে ১০ আগস্ট পর্যন্ত দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ ছিল ৩০২৪৮ দশমিক ১১ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ৩০ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২৫২৩২ দশমিক ৩৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ২৫ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার।
গত ৪ আগস্ট পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ৩০ বিলিয়ন ডলার এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২৪ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার। গত ২৪ জুলাই পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩০০০৪ দশমিক ৫০ মিলিয়ন ডলার এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২৪৯৮৮ দশমিক ২৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
নিট রিজার্ভ গণনা করা হয় আইএমএফের বিপিএম-৬ পরিমাপ অনুসারে। দেশের মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বিয়োগ করলে নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ পাওয়া যায়।
অন্যান্য
গ্রাহকের ক্যাশলেস সেবা আরো সমৃদ্ধ করতে বিকাশ-ট্রাস্ট ব্যাংকের চুক্তি

গ্রাহকের ডিজিটাল লেনদেনে আরো স্বাচ্ছন্দ্য ও সক্ষমতা বাড়াতে যৌথভাবে ট্রাস্ট ব্যাংক ও বিকাশ আরো নতুন সেবা প্রদানের লক্ষ্যে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তির আওতায় দ্রততম সময়ের মধ্যে বিকাশ অ্যাপ থেকে ট্রাস্ট ব্যাংকে ডিপিএস খোলা, আরো সমৃদ্ধ ব্যাংক টু বিকাশ বা বিকাশ টু ব্যাংক ফান্ড ট্রান্সফার, বিকাশ অ্যাপ থেকেই ট্রাস্ট ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট হয়ে সরাসরি ১০ লাখ মার্চেন্ট পয়েন্টে পেমেন্ট করে কেনাকাটার সুযোগ, এজেন্ট ও ডিস্ট্রিবিউটরদের ২৪/৭ স্বয়ংক্রিয় ক্যাশ ব্যবস্থাপনা সহ নানান সেবা চালু হতে যাচ্ছে।
সম্প্রতি রাজধানীর একটি হোটেলে এই চুক্তিপত্র হস্তান্তর করেন ট্রাস্ট্র ব্যাংকের জেনারেল সার্ভিস এন্ড সিকিউরিটি ডিভিশন হেড ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মামুন অর রশীদ (অব.) এবং বিকাশের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার আলী আহম্মেদ।
এসময় উপস্থিতি ছিলেন ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান জামান চৌধুরী এবং বিকাশের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীরসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান জামান চৌধুরী বলেন, ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যকে সামনে রেখে ব্যাংকিং সেবা প্রদান করে আসছে ট্রাস্ট ব্যাংক। বিকাশের সাথে ট্রাস্ট্র ব্যাংকের সম্পর্ক আস্থা ও সহযোগিতার। এই দুটি প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে পার্টনারশিপের মাধ্যমে যৌথ সেবা দিয়ে আসছে, ভবিষ্যতে যা আরো বেশি গ্রাহক-কেন্দ্রিক, বিস্তৃত ও নিরবচ্ছিন্ন হবে।
অনুষ্ঠানে বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর বিকাশের উপর আস্থা রাখার জন্য ট্রাস্ট ব্যাংককে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, লাস্ট মাইল সল্যুসন্স প্রোভাইডার হিসেবে ব্যাংকের সেবা আরো বেশি মানুষের কাছে পৌছে দিতে যৌথ উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ। আর্থিক সেবায় প্রান্তিক মানুষের অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি করতে কাজ করে যাচ্ছে বিকাশ। ট্রাস্ট ব্যাংকের সাথে এই চুক্তি সাধারণের কাছে আর্থিক সেবাকে আরো সহজ করবে। ডিজিটাল আর্থিক লেনদেনের ইকোসিস্টেম শক্তিশালী করতেও ভূমিকা রাখবে।
উল্লেখ্য, প্রতিষ্ঠান দু’টি এরইমধ্যে ট্রাস্ট কাম সেটেলেমেন্ট অ্যাকাউন্ট, অ্যাড মানি, ট্রান্সফার মানি এবং রেমিটেন্স সেটেলমেন্ট ব্যাংক সেবাগুলো যৌথভাবে দিয়ে আসছে। নতুন এই চুক্তির ফলে ৮ কোটিরও বেশি গ্রাহকের জন্য বিকাশ অ্যাপ থেকেই ট্রাস্টে ব্যাংকে সাপ্তাহিক ও মাসিক ডিপিএস খোলার সুযোগ তৈরি হলো। পাশাপাশি, ট্রাস্ট ব্যাংক ও বিকাশ ফান্ড ট্রান্সফার সেবায় বিভিন্ন সমন্বিত সেবা যুক্ত হবে যা সামগ্রিকভাবে গ্রাহকের লেনদেনকে করবে আরো সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যময়। এছাড়া, ট্রাস্ট ব্যাংকের ২৪ ঘন্টা ক্যাশ ব্যবস্থাপনায় যুক্ত হওয়ার সুযোগ পেলেন সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা বিকাশের তিন লাখ ৫০ হাজারের বেশি এজেন্ট।
অন্যান্য
হাসিনার বিরুদ্ধে সূচনা বক্তব্য আজ, হবে সরাসরি সম্প্রচার

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে আজ (রোববার) সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করবে প্রসিকিউশন। একইসঙ্গে শেখ হাসিনাসহ আসামিদের বিরুদ্ধে প্রথম সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণও হবে। আজকের বিচারকাজ ট্রাইব্যুনালের ফেসবুক পেজ থেকে সরাসরি সম্প্রচার করতে পারবে গণমাধ্যম। প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এই মামলায় শেখ হাসিনা ছাড়া অন্য দুই আসামি হলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। এর মধ্যে সম্পূর্ণ সত্য প্রকাশ করার শর্তে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের রাজসাক্ষী হওয়ার আবেদন গ্রহণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
এর আগে গত ১০ জুলাই মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে এই মামলায় প্রসিকিউশনের সূচনা বক্তব্য উপস্থাপনের জন ৩ আগস্ট দিন ধার্য করেন আদালত। পাশাপাশি আসামিদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য করা হয়। অপর দুই আসামি হলেন, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
মামলা থেকে আসামিদের অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে ১০ জুলাই বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। এর মাধ্যমে জুলাই গণহত্যা মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।
সেদিন আদালতে প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। আসামিদের মধ্যে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান পলাতক। তাদের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন। অপর আসামি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জায়েদ বিন আমজাদ। চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ গঠনের আগে ট্রাইব্যুনাল তাকে কথা বলার সুযোগ দেন। এসময় চৌধুরী মামুন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায় স্বীকার করেন। তিনি ট্রাইব্যুনালে বলেন, জুলাই-আগস্টে আন্দোলন চলাকালীন আমাদের বিরুদ্ধে হত্যা-গণহত্যা সংঘটনের অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সত্য। এ ঘটনায় আমি নিজেকে দোষী সাব্যস্ত করছি। আমি রাজসাক্ষী হয়ে জুলাই-আগস্ট আন্দোলন চলাকালীন যে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে তার বিস্তারিত আদালতে তুলে ধরতে চাই। রহস্য উন্মোচনে আদালতকে সহায়তা করতে চাই। এরপর ট্রাইব্যুনাল ৫টি অপরাধে অভিযোগ গঠন করে তিন আসামির বিরুদ্ধে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন।
মামলার আগের কার্যক্রম
গত ১ জুলাই এ মামলায় অভিযোগ গঠনের পক্ষে শুনানি শেষ করে প্রসিকিউশন। সেদিন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন। শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন। সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের পক্ষে আইনজীবী জায়েদ বিন আমজাদ উপস্থিত ছিলেন।
গত ১৭ জুন পলাতক শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়ে নোটিশ জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এ বিজ্ঞপ্তি জারি করেন ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার। ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে পত্রিকায় এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ৭ দিনের মধ্যে হাজির না হলে তাদের অনুপস্থিতিতে বিচারকাজ চলবে বলে জানানো হয়।
গত ১ জুন জুলাই-আগস্টে গণহত্যার ঘটনায় মানবতা বিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে ৫টি অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে এই মামলায় শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের বিরুদ্ধে নতুন করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। সেদিন আদালতে শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ পড়ে শোনান চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর আব্দুস সোবহান তরফদার ও মিজানুল ইসলাম। যা সব গণমাধ্যমে সম্প্রচার করা হয়।