জাতীয়
৭০ সচিবসহ ১০৬ জনের সদস্যপদ স্থগিত

সিভিল সার্ভিস কর্মকর্তাদের সর্বোচ্চ সংগঠন ‘অফিসার্স ক্লাব’কে রাজনৈতিক আখড়ায় পরিণত করার অভিযোগে ১০৬ জনের সদস্যপদ স্থগিত করেছে বর্তমান কমিটি। তাদের মধ্যে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মুখ্য সচিবসহ ৭০ জন সচিব রয়েছেন। এ ছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর, সাবেক সংসদ সদস্য ও পুলিশের সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তারা রয়েছেন।
গত বছরের ৩০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত বিশেষ সাধারণ সভায় তাদের সদস্যপদ স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি তা কার্যকর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে একাধিক সূত্র। সদস্যপদ স্থগিত হওয়াদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
সদস্যপদ স্থগিতের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সাবেক সচিব আবু আলম মো. শহীদ খান। তিনি বলেন, কোনো কারণ ছাড়াই সদস্যপদ স্থগিতের বিষয়টি শুনেছি। কিন্তু আমাদের কোনো চিঠি দেওয়া হয়নি। আমাদের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ আছে, সে বিষয়েও ক্লাব কর্তৃপক্ষ কোনো কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়নি। এটি অন্যায় সিদ্ধান্ত।
তিনি আরও বলেন, আমি ক্লাবের তিনবারের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক। অথচ বিনা কারণে আমার সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছে।
অফিসার্স ক্লাবের চেয়ারম্যান ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশিদের বক্তব্যের জন্য একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। সাধারণ সম্পাদক এবিএম আব্দুস সাত্তারকেও ফোন করা হয়েছে। তিনিও সাড়া দেননি। তাকে খুদেবার্তাও পাঠানো হয়েছে। তবুও সাড়া মেলেনি।
সদস্যপদ স্থগিতের তালিকায় আছেন সদ্য সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার, সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, সাবেক মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, সাবেক মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, সাবেক জনপ্রশাসন সচিব আব্দুস সোবহান সিকদার, সাবেক সচিব ইকবাল মাহমুদ, সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন তালুকদার, সাবেক সচিব নাসিমা বেগম, সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, সাবেক সচিব ও এমপি ড. মোহাম্মদ সাদিক, সাবেক সচিব ও দুদক কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান, মমিনুন্নেছা মহিলা কলেজ, ময়মনসিংহের অধ্যক্ষ কাজী কাইয়ুম শিশির, ডিএমপির সাবেক যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম, ডিএমপির সাবেক কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক, ডিএমপির সাবেক কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া, সাবেক এসপি প্রলয় কুমার জোয়ারদার, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলাম, ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, ডিএমপির সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, সাবেক সচিব ও মুখ্য সমন্বয়ক জুয়েনা আজিজ, সাবেক সচিব ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, সাবেক সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রাহমাতুল মুনিম, সাবেক সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, সাবেক সচিব সাজ্জাদুল হাসান, সাবেক সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, সাবেক সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, সাবেক সচিব আবদুল মান্নান, সাবেক সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান, সাবেক সচিব আবদুল মান্নান হাওলাদার, সাবেক সচিব ওয়াহিদা আক্তার, সাবেক সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, সাবেক সচিব মাকছুদুর রহমান পাটোয়ারী, সাবেক সচিব মো. মহিবুল হক, সাবেক সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক সচিব এম এ এন সিদ্দিক, সাবেক সচিব শাহজাহান আলী মোল্লা, সাবেক সচিব ইকবাল খান চৌধুরী, সাবেক সচিব শ্যামল কান্তি ঘোষ, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. আনছার আলী খান, সাবেক সচিব বরুণ দেব মিত্র, সাবেক সচিব মরতুজা আহমদ, সাবেক সচিব রফিকুল ইসলাম, সাবেক সচিব ড. খোন্দকার শওকত হোসেন, সাবেক সচিব সুরাইয়া বেগম, সাবেক সচিব ড. এম. আসলাম আলম, সাবেক সচিব মো. নিয়াজ উদ্দিন মিঞা, সাবেক সচিব চৌধুরী বাবুল হাসান, সাবেক সচিব মো. নজরুল ইসলাম খান, সাবেক সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, সাবেক সচিব আবদুল মালেক, সাবেক সচিব জিল্লার রহমান, সাবেক সচিব ইব্রাহীম হোসেন খান, সাবেক সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সাবেক সচিব পবন চৌধুরী, সাবেক সচিব অপরূপ চৌধুরী, সাবেক সচিব শামসুদ্দিন আজাদ চৌধুরী, সাবেক সচিব আখতারী মমতাজ, সাবেক সচিব শাহ কামাল, সাবেক সচিব প্রশান্ত কুমার রায়, সাবেক সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন, সাবেক সচিব মেজবাহ উদ্দিন, সাবেক সচিব ও উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, সাবেক সচিব ও উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, সাবেক অতিরিক্ত সচিব ড. মো. হারুন-অর-রশিদ বিশ্বাস, সাবেক মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, সাবেক যুগ্ম সচিব এ. এস. এম. মামুনুর রহমান খলিলী, নাটোরের সাবেক ডিসি আবু নাছের ভূঞা, সাবেক জনপ্রশাসন সচিব ফয়েজ আহমদ, সিএমপির সাবেক কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, সাবেক ডিআইজি বিনয় কৃষ্ণ বালা, সাবেক সচিব আবু আলম মো. শহিদ খান, সাবেক ডিসি মো. মোখলেছুর রহমান, সাবেক সচিব আবদুল্লাহ আল মামুন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী, এনবিআরের সাবেক সদস্য মতিউর রহমান, সাবেক সচিব জাফর আহমদ খান, সাবেক মো. আখতার হোসেন, সাবেক সচিব খান মো. বেলায়েত হোসেন, সাবেক সচিব ও এমপি সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী, সাবেক সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক সচিব মো. আবুল মনসুর, সাবেক আইন সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, সাবেক জনপ্রশাসন সচিব কে. এম. আলী আজম, সাবেক পুলিশ কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম, সাবেক সচিব অশোক মাধব রায়, সাবেক সচিব নাছিমা বেগম, সহকারী পুলিশ সুপার নাজমুস সাকিব খান, সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার, ডিবি মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ, উপ কর কমিশনার মহিদুল ইসলাম, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মেহনাজ মোশারফ, সহকারী কর কমিশনার লিংকন রায়, সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মোবাশ্বেরা হাবিব খান, ঢাকা মেডিকেল কলেজের রেজিস্ট্রার গাইনি ডা. লায়লা খায়রুন নাহার, স্থাপত্য অধিদপ্তরের সহকারী স্থপতি ইফতেখারুল আমিন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী রেজিস্ট্রার (মেডিসিন) ডা. যোবায়ের আনম চৌধুরী, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব মো. ওয়ালিদ বিন কাশেম, সহকারী পুলিশ কমিশনার সচিব মো. শিবলী নোমান, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী নাবিলা তাবাসসুম, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী সৈয়দ এনাম রেজা, সহকারী এ্যরোডম কর্মকর্তা মাহমুদুল হক সৈকত, সাবেক এপিডি মো. নাজমুছ সাদাত সেলিম, সাবেক জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসূফ হারুন এবং সাবেক সচিব মোহাম্মদ হোসেন সেরনিয়াবাত।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
সংসদের আসন বাড়িয়ে ৬০০ করার সুপারিশ

জাতীয় সংসদের আসন সংখ্যা বাড়িয়ে ৬০০ করার সুপারিশ করেছে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর এক প্রেস ব্রিফিংয়ে কমিশনের প্রধান শিরীন পারভীন হক এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রতিটি সংসদীয় আসনে একটি সাধারণ আসন এবং নারীদের জন্য একটি সংরক্ষিত আসন থাকবে। যেখানে উভয় আসনে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচন হবে।
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, জুলাইয়ে যারা প্রাণ দিয়েছে, তাদের স্মরণার্থে এমন কিছু করতে চেয়েছি যা মানুষ ও সমাজের জন্য কল্যাণকর হবে।
শিরীন পারভীন বলেন, সুপারিশগুলোকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। সংস্কার কমিশন ১৫টি বিষয়ে সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে।
এর আগে, রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দেন নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান শিরীন পারভীন হকের নেতৃত্ব কমিশনের সদস্যরা।
কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের সিনিয়র ফেলো মাহীন সুলতান, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) অবৈতনিক নির্বাহী পরিচালক সারা হোসেন, বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ফৌজিয়া করিম ফিরোজ, বাংলাদেশ গার্মেন্টস ও শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি কল্পনা আক্তার, নারী স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. হালিদা হানুম আক্তার, বাংলাদেশ নারী শ্রমিক কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুমাইয়া ইসলাম, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য নিরুপা দেওয়ান, এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের সাবেক সিনিয়র সামাজিক উন্নয়ন উপদেষ্টা ফেরদৌসী সুলতানা এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধি নিশিতা জামান নিহা।
উল্লেখ্য, গত বছরের নভেম্বরে শিরিন পারভীন হককে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান করে ১০ সদস্যের গঠন করে সরকার।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ভুয়া নথিপত্র দাখিল করলে ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র

ভুয়া নথিপত্র দাখিল করলে এখন থেকে যুক্তরাষ্ট্র কোনো ভিসা দেবে না। শনিবার (১৯ এপ্রিল) এ কথা জানিয়েছে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজেদের পেজেও এ কথা জানিয়েছে দূতাবাস। তারা বলছে, ভুয়া নথিপত্র দাখিলকারী আবেদনকারীদের কোনো ভিসা দেওয়া হয় না।
মার্কিন দূতাবাস বলেছে, ভিসা মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় জাতীয় নিরাপত্তার সর্বোচ্চ মান বজায় রাখতে যুক্তরাষ্ট্র সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। যতক্ষণ না সব ধরনের নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট উদ্বেগের সমাধান হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো ভিসা ইস্যু করা হয় না।
তারা বলেছে, ভুয়া নথিপত্র দাখিলকারী আবেদনকারীদের কোনো ভিসা দেওয়া হয় না। যারা এরূপ কর্মকাণ্ড করে থাকেন তাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী ও সংশ্লিষ্ট দেশেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
প্রধান উপদেষ্টার কাছে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপস্থিত হয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দেন কমিশনের সদস্যরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান শিরিন পারভীন, সদস্য মাহীন সুলতান, সারা হোসেন, ফৌজিয়া করিম ফিরোজ, কল্পনা আক্তার, ডা. হালিদা হানুম আক্তার, সুমাইয়া ইসলাম, নিরুপা দেওয়ান, ফেরদৌসী সুলতানা ও নিশিতা জামান নিহা।
সরকার ২০২৪ সালের নভেম্বরে নারী পক্ষের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য শিরিন পারভীন হককে প্রধান করে ১০ সদস্যের নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন গঠন করে।
কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন- ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের সিনিয়র ফেলো মাহীন সুলতান, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) অবৈতনিক নির্বাহী পরিচালক সারা হোসেন, বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ফৌজিয়া করিম ফিরোজ, বাংলাদেশ গার্মেন্টস ও শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি কল্পনা আক্তার, নারী স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. হালিদা হানুম আক্তার, বাংলাদেশ নারী শ্রমিক কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুমাইয়া ইসলাম, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য নিরুপা দেওয়ান, এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের সাবেক সিনিয়র সামাজিক উন্নয়ন উপদেষ্টা ফেরদৌসী সুলতানা এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধি নিশিতা জামান নিহা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ইতিহাসের সর্বোত্তম নির্বাচন করবে অন্তর্বর্তী সরকার: প্রধান উপদেষ্টা

আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে বাংলাদেশের ইতিহাসের সর্বোত্তম নির্বাচন। এটি দেশের গণতান্ত্রিক যাত্রায় একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, এ নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনস (এএনএফআরইএল) এর একটি প্রতিনিধিদল তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিনিধিদলে ছিলেন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ব্রিজা রোসালেস, বাংলাদেশ নির্বাচন ও গণতন্ত্র কর্মসূচির পরামর্শক মে বুটয়, সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার থারিন্ডু আবেরত্না, প্রোগ্রাম অফিসার আয়ান রহমান খান এবং প্রোগ্রাম অ্যাসোসিয়েট আফসানা আমেই।
এএনএফআরইএল হচ্ছে এশিয়ার নির্বাচনভিত্তিক একটি নাগরিক সংগঠন যারা গত দুই দশক ধরে সুষ্ঠু নির্বাচন, গণতান্ত্রিক সংস্কার ও নাগরিক সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে।
সাক্ষাতে এএনএফআরইএল বাংলাদেশে তাদের চলমান কর্মকাণ্ড তুলে ধরে। বিশেষ করে স্বাধীন ও নাগরিক-চালিত নির্বাচন পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থাকে পুনর্গঠনের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে। তারা স্টেকহোল্ডার ম্যাপিং ও প্রয়োজন নির্ধারণমূলক কার্যক্রমের কথাও তুলে ধরে যা বাংলাদেশে সুশীল সমাজের সম্পৃক্ততা ও নির্বাচনী স্বচ্ছতা বাড়ানোর সম্ভাব্য পথ খুঁজে বের করতে সহায়ক হবে।
প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মতবিনিময়ের সুযোগ পেয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এবং স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট অংশীদারদের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
হর্ন বন্ধ করা নয়, আমার কাজ আইন প্রয়োগ করা: পরিবেশ উপদেষ্টা

হর্ন বন্ধ রাখা নয়, আমার দায়িত্ব হচ্ছে বিদ্যমান আইন প্রয়োগ করা। এমনটাই জানিয়েছেন বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তবে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে আইন কার্যকর করার দায়িত্ব তার অধিক্ষেত্রের মধ্যে পড়ে বলে জানান তিনি।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) রাজধানীর বিজয় সরণির সামরিক জাদুঘরে ‘সবুজ জ্বালানি অলিম্পিয়াড ২০২৫’ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন,
“সবাই আমাকে দেখেই বলেন, ‘আপা, হর্ন তো বন্ধ হল না।’ কিন্তু আপনি নিজে তো ৫৩ বছর ধরে হর্ন বাজিয়েই যাচ্ছেন। আপনার ড্রাইভারও বাজিয়ে যাবে। অথচ দায়টা শুধু আমার কাঁধেই চাপিয়ে দিচ্ছেন!”
তিনি স্পষ্ট করেন, “হর্ন বন্ধ রাখা নয়, আমার দায়িত্ব হচ্ছে বিদ্যমান আইন প্রয়োগ করা। এখানে সবচেয়ে জরুরি বিষয় হলো—মানসিকতা আর আচরণগত পরিবর্তন।”
উল্লেখ্য, শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে ২০০৬ সালের বিধিমালা অনুযায়ী রাজধানীর বিভিন্ন এলাকাভেদে শব্দের সর্বোচ্চ গ্রহণযোগ্য মাত্রা নির্ধারিত আছে। নীরব এলাকায় দিনে ৫০ এবং রাতে ৪০ ডেসিবল, আবাসিক এলাকায় দিনে ৫৫ ও রাতে ৪৫ ডেসিবল শব্দমাত্রা অনুমোদিত। মিশ্র, বাণিজ্যিক এবং শিল্প এলাকায় ধাপে ধাপে সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৫ ডেসিবল পর্যন্ত।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযানে দেখা গেছে, বেশিরভাগ গাড়ির হর্ন নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে অনেক বেশি শব্দ তৈরি করছে।
গত বছরের অক্টোবর থেকে বিমানবন্দর সংলগ্ন একটি এলাকাকে ‘নীরব এলাকা’ ঘোষণা করা হয়েছে বিধিমালার আওতায়। চলতি বছরের শুরু থেকে আরও ১০টি সড়ককে একইভাবে ‘নীরব এলাকা’ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনার কথাও জানান উপদেষ্টা।
তিনি সতর্ক করেন, “ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আমরা এমন একটি পৃথিবী রেখে যাচ্ছি, যেখানে জলবায়ু সংকট ভয়াবহ রূপ নেবে—বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের পুনরাবৃত্তি আরও বেড়ে যাবে।”
তরুণদের নীতিনির্ধারণী কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে রিজওয়ানা বলেন, “এই সরকার তরুণদের সরকার—তা মানে এই নয় যে আমি নিজেকে তরুণ ভাবছি। তবে এটাই বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম, যখন তিনজন তরুণ উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হয়েছেন এবং তারা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন।”