জাতীয়
শেষ হলো তিন দিনব্যাপী ডিসি সম্মেলন

তিন দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন শেষ হলো । গত রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে শুরু হয়েছিল যে সম্মেলন, মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে সমাপনী অধিবেশন ও নৈশভোজের মাধ্যমে তা শেষ হয়।
গত বছরের মতো এবারও কার্য-অধিবেশনগুলো রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার কার্যালয়ের শাপলা হলে ‘জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০২৫’ উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা জেলা প্রশাসকদের বিভিন্ন নির্দেশনা দেন। সরকারের নীতি-নির্ধারক ও জেলা প্রশাসকদের মধ্যে সামনা-সামনি মতবিনিময় এবং প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দেওয়ার জন্য প্রতিবছর ডিসি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সম্মেলনের প্রথম দিন রবিবার সন্ধ্যা ৬টার পর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে সভা করেন। এরপর সেখানে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ডিসি এবং বিভাগীয় কমিশনাররা নৈশভোজ করেন।
প্রথম দিন আটটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে তিনটি কার্য-অধিবেশন হয়।
দ্বিতীয় দিন সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্ট ভবনে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও দিক-নির্দেশনা গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসকরা। দ্বিতীয় দিন ২১টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে আটটি অধিবেশন হয়।
মঙ্গলবার তৃতীয় ও শেষ দিনে মোট ২২টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে ১৪টি কার্য-অধিবেশন হয় ডিসিদের।
এবার সম্মেলনে মোট ৩৪টি অধিবেশন হয়। এরমধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে কার্য-অধিবেশন ৩০টি।
কার্য অধিবেশনগুলোতে মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিনিধি হিসেবে উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী, সিনিয়র সচিব ও সচিবরা উপস্থিত ছিলেন। কার্য-অধিবেশনগুলোতে সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। অধিবেশনগুলো শেষে সংশ্লিষ্টরা ডিসিদের প্রস্তাবের বিষয়ে তাদের অবস্থান ও দিক-নির্দেশনা দেওয়া নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেছেন।
এবার জেলা প্রশাসক সম্মেলন উপলক্ষে জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের কাছ থেকে ৩৫৪টি প্রস্তাব পাওয়া গিয়েছিল। কার্য-অধিবেশনগুলোতে এসব প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এগুলো ছাড়াও ডিসিরা তাৎক্ষণিক বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরেন বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এবার ডিসি সম্মেলনের প্রধান আলোচ্য বিষয়গুলোর মধ্যে ছিল- ভূমি ব্যবস্থাপনা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম জোরদারকরণ; দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম; স্থানীয় পর্যায়ে কর্ম-সৃজন ও দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি বাস্তবায়ন; সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনি কর্মসূচি বাস্তবায়ন। এছাড়া তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার এবং ই-গভর্নেন্স; শিক্ষার মান উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ; স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবার কল্যাণ; পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ রোধ; ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়ন এবং উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও সমন্বয়ের বিষয়গুলোকে আলোচনার জন্য প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
এবার সম্মেলনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ডিসি এবং বিভাগীয় কমিশনারদের সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়নি। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কর্মসূচি না মেলায় সৌজন্য সাক্ষাৎ রাখা হয়নি বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে।
সম্মেলন শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশিদ সাংবাদিকদের বলেন, ডিসিদের আমরা একটা মেসেজ দিয়েছি, সামনে চ্যালেঞ্জ আছে, সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। সেজন্য যাতে তারা প্রস্তুত থাকেন।
ডিসি সম্মেলন আয়োজনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা আশা করি তারা (ডিসি) আরও উজ্জীবিত হয়ে চলে যাবেন।
শেখ আব্দুর রশিদ বলেন, আমরা ভেবেছিলাম সম্মেলন তিনদিনে শেষ করতে পারবো। তিন দিনেই শেষ করেছি, কিন্তু খুবই আঁটসাঁট হয়ে গেছে। আমরা একটা শিক্ষা পেলাম। মাননীয় উপদেষ্টারা বলে গেছেন যে, সামনের দিকে আমরা যখন এ সম্মেলন করবো, তখন এটি তিনদিন না করে চারদিনে করবো।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
মৃত্যুর মুখ থেকে বেঁচে ফিরলেন পাঁচ বাংলাদেশি

সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়তে কে না চায়! সেই দলে ছিলেন স্বপ্নবাজ পাঁচ তরুণ। তারা মাতৃভূমি ছেড়ে পাড়ি জমান ইউরোপে। ভাবেন দিন বদলাবেই। কিন্তু ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস, তাদের সেই স্বপ্ন পরিণত হয় দুঃস্বপ্নে। দালালের প্রতারণায় গিয়ে পৌঁছান লিবিয়ায়। পরে যখন বুঝতে পারেন তারা ভয়ংকর মানব পাচারকারী মাফিয়া চক্রের খপ্পরে পড়েছেন, ততক্ষণে অনেকটা দেরি হয়েছে। এরপরের গল্পটা শিউরে ওঠার মতো। নতুন খবর হলো, নির্মম নির্যাতনের শিকার এই পাঁচ বাংলাদেশি মৃত্যুর মুখ থেকে দেশে ফিরেছেন।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ভোর সাড়ে ৫টায় টার্কিশ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে আলজেরিয়া থেকে দেশে ফিরে আসেন মানব পাচারের শিকার ঢাকার মোস্তাকিম সরকার, শেরপুরের মোজাম্মেল হক এবং মাদারীপুরের জিহাদ ফকির, রোমান হাওলাদার ও ইয়াসিন হাওলাদার।
পাচারের শিকার ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে মানব পাচার চক্রের সদস্যরা তাদের জিম্মি করে অত্যাচার করে। পরে তাদেরকে দিয়ে বাংলাদেশে তাদের স্বজনদের কাছে মুক্তিপণ চাওয়া হয়। এরপর সে অনুযায়ী দেশ থেকে টাকা পাঠানোর পরে তাদেরকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালিতে পাঠানোর জন্যে বোটে তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু সেখানেও বাধে বিপত্তি। সাগরে তাদের বোট নষ্ট হয়ে যায়। এরপর তিউনিসিয়ার কোস্টগার্ড তাদের উদ্ধার করে।
পাচারের শিকার ব্যক্তিরা আরও জানান, কোস্টগার্ড উদ্ধারের পর তাদেরকে আলজেরিয়া সীমান্তে নিয়ে যাওয়া যায়। সেখানে তারা অনুপ্রবেশের দায়ে নানা মেয়াদে জেল খাটেন। পরে বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড এবং আলজেরিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসের সহায়তায় তারা দেশে ফেরেন।
সম্মিলিতভাবে কথা বলার পর ভূমধ্যসাগরে মৃত্যুর মুখ থেকে বেঁচে ফেরা মাদারীপুরের ইয়াসিন হাওলাদার কথা বলেন আলাদাভাবেও।
তিনি বলেন, লিবিয়ায় মাফিয়ার কাছে আটক ছিলাম। আমার পরিবার ঋণ, জমি বন্ধক ও আত্মীয়দের কাছ থেকে ধার নিয়ে আমার মুক্তিপণ জোগাড় করে দালালদের মোট ২৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা দিয়েছে। এখন আমার পরিবারের আর কিছুই নেই।
বিমানবন্দরে কর্মরত আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের (এপিবিএন) পরিদর্শক শাহ আলম মৃধা বলেন, ইউরোপে যাওয়ার জন্য দেশ ছাড়া বাংলাদেশিরা ভয়াবহ নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। মানব-পাচারের শিকার পাঁচজনকে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে ব্র্যাকের এই উদ্যোগগুলোকে আমরা সবসময় সহায়তা করি।
ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের সিনিয়র ম্যানেজার আজিজ আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, পাঁচ বাংলাদেশি মানব পাচার সার্ভাইভারের প্রত্যাবাসনের জন্যে আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাফিকিং-ইন-পারসন্স হিরো নেটওয়ার্কের সহায়তা নিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, এর আগে ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে মানব পাচারের শিকার আরও আট বাংলাদেশিকে ব্র্যাক ও টিআইপি হিরো নেটওয়ার্কের সহায়তায় দেশে ফিরিয়ে এনেছে।
এ বিষয়ে ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচির সহযোগী পরিচালক শরিফুল হাসান বলেন, ইউরোপে পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে যাদের লিবিয়া নেওয়া হয়, তাদের সবাইকে ভালো চাকরির প্রলোভন দেখালেও তারা চাকরি পান না। উল্টো অধিকাংশকেই লিবিয়ার বিভিন্ন ক্যাম্পে বন্দি রেখে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়। এরপর তাদেরকে জিম্মি করে পরিবারের কাছ থেকে আদায় করা হয় মোটা অংকের অর্থ। তবে এতকিছুর পরেও ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে ইউরোপের স্বপ্নে লিবিয়া যাওয়ার এই প্রবণতা থামছে না।
তিনি আরও বলেন, সমস্যা সমাধানে সাধারণ মানুষ ও বিদেশগামীদের সবার আগে সচেতন হতে হবে। এলাকার স্থানীয় দালাল ও মানবপাচার চক্রকে চিহ্নিত করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সমন্বিত অভিযান চালাতে হবে। বিশেষ করে অর্থের লেনদেন খুঁজে বের করতে হবে। সম্মিলিত উদ্যোগ ছাড়া এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।
প্রসঙ্গত, বিমানবন্দরের বিদেশ ফেরতদের জরুরি সহায়তায় দিতে গত আট বছর ধরে কাজ করছে ব্র্যাক মাইগ্রেশন ওয়েলফেয়ার সেন্টার। সিভিলে এভিয়েশন, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ, প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক, এপিবিএনসহ সবার সহযোগিতায় গত আট বছরে ৩৫ হাজারেরও বেশি মানুষকে নানা ধরনের সহযোগিতা করা হয়েছে। শুধু ২০২৪ সালেই ৪০ জন প্রবাসীকে বিশ্বের নানা দেশ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
ব্র্যাক মাইগ্রেশন ওয়েলফেয়ার সেন্টারের ম্যানেজার ও মানবপাচার বিরোধী লড়াইয়ে ভূমিকা রেখে যুক্তরাষ্ট্রের টিআইপি হিরো-২০২৪ পুরস্কারে ভূষিত আল-আমিন নয়ন ও মালয়েশিয়া থেকে ফেরত আসা রায়হান কবিরসহ একটি টিম এই কাজে যুক্ত আছেন। প্রবাসে সংকটে আছেন এমন যে কেউ ব্র্যাক মাইগ্রেশন ওয়েলফেয়ার সেন্টারে যোগাযোগ করে সেবা নিতে পারবেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
পাতাল রেলে ২৪ মিনিটে বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর

প্রাথমিকভাবে তিন রুটে চলাচল করবে এমআরটি লাইন-১ বা বাংলাদেশের প্রথম পাতাল রেল। ২০২৬ সালে এটি চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। চালু হলে প্রতিটি একমুখী মেট্রোরেল প্রতিবার ১২টি স্টেশনে থেমে ২৪ মিনিট ৩০ সেকেন্ডে বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর যেতে পারবে।
এছাড়াও ৯টি স্টেশনে থেমে ২০ মিনিট ৩০ সেকেন্ডে নতুনবাজার থেকে পূর্বাচল টার্মিনাল ও ১৬টি স্টেশনে থেমে ৩৫ মিনিট ৩০ সেকেন্ডে কমলাপুর থেকে পূর্বাচল টার্মিনাল পর্যন্ত যাতায়াত করবে। এতে দৈনিক আট লাখ যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন।
ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (লাইন-১) প্রকল্প পরিচালক মো. আবুল কাসেম ভূঁঞা বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে মতিঝিল স্টেশনের দূরত্ব ১৮ দশমিক ৯৩ কিলোমিটার। যাতায়াতে মোট সময় লাগবে ৩৩ মিনিট ৩৪ সেকেন্ড। স্টেশনে যাত্রাবিরতির সময় ৩০ সেকেন্ড থেকে ৪৫ সেকেন্ড। দুই স্টেশনের মধ্যে সর্বোচ্চ গতিসীমা থাকবে ঘণ্টায় ৯৯ কিলোমিটার।
উত্তরা উত্তর থেকে মতিঝিল পর্যন্ত স্টেশনগুলোতে যাত্রাবিরতি করা না হলে পরিকল্পনা অনুযায়ী মেট্রোরেলের সর্বোচ্চ গতি হবে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার।
এমআরটি লাইন-১–এর বিমানবন্দর রুটের পাশাপাশি টানেল মাটির উপরিভাগ থেকে কমবেশি ১০ মিটার থেকে ১৩ মিটার গভীরতায় নির্মাণ করা হবে। তবে কমলাপুর থেকে রামপুরা পর্যন্ত এলাকায় সড়কের প্রশস্ততা কম থাকায় ওপর-নিচ পদ্ধতিতে মাটির উপরিভাগ থেকে সর্বোচ্চ ৩৪ মিটার গভীরতায় টানেল নির্মাণ করা হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, কুড়িল থেকে পূর্বাচল টার্মিনাল পর্যন্ত উড়াল অংশের উচ্চতা সড়কের স্তর থেকে ১৪ দশমিক ১ মিটার থেকে ১৮ দশমিক ৩ মিটার রাখা হয়েছে। প্রতিটি মেট্রোরেলে সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৮৮ জন যাত্রী পরিবহনের সক্ষমতা রয়েছে। সর্বনিম্ন ২ মিনিট ৩০ সেকেন্ড ফ্রিকোয়েন্সিতে মেট্রোরেল চলাচল করতে পারবে। এমআরটি লাইন-১–এর পাতাল রেলের সর্বোচ্চ পরিচালন গতি ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার এবং উড়াল মেট্রোরেলের সর্বোচ্চ পরিচালন গতি ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার।
পাতাল রেল চালু হলে অল্প সময়ে অধিক সংখ্যায় যাত্রী পরিবহন করা সম্ভব হবে। ছোট ছোট যানবাহনের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় কমবে। জীবাশ্ম ও তরল জ্বালানির ব্যবহার কম হবে। যানজট অনেক কমবে। ঢাকা মহানগরীর জীবনযাত্রায় ভিন্ন মাত্রা ও গতি যোগ হবে। মহানগরবাসীর কর্মঘণ্টা সাশ্রয় হবে। সাশ্রয়কৃত কর্মঘণ্টা দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে ব্যবহার করা যাবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
অতিরিক্ত সচিব তপন কুমার বাধ্যতামূলক অবসরে

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তপন কুমার বিশ্বাসকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাতে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপ সচিব জামিলা শবনম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তপন কুমার বিশ্বাসের চাকরিকাল ২৫ বছর পূর্ণ হয়েছে এবং যেহেতু সরকার জনস্বার্থে তাকে সরকারি চাকরি হতে অবসর প্রদান করা প্রয়োজন মর্মে বিবেচনা করে; সেহেতু সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ৪৫ ধারার প্রদত্ত ক্ষমতাবলে তাকে সরকারি চাকরি হতে অবসর প্রদান করা হলো। তিনি বিধি অনুযায়ী অবসরজনিত সুবিধাদি প্রাপ্য হবেন।
জনস্বার্থে জারীকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে উল্লেখ করা হয় প্রজ্ঞাপনে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বাংলা ভাষায় শুভেচ্ছা জানালেন সৌদি রাষ্ট্রদূত

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের জনগণকে বাংলা ভাষায় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ ঈসা আল দুহাইলান।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) এক ভিডিও বার্তায় এ শুভেচ্ছা জানান সৌদি রাষ্ট্রদূত।
ভিডিও বার্তায় সৌদি রাষ্ট্রদূত বলেন, মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আমি বাংলাদেশের জনগণকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। আমি বাংলাদেশের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।
তিনি বাংলা ভাষায় আরও বলেন, বাংলাদেশের অগ্রগতি, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা কামনা করি। এই দিনটি বিশ্বব্যাপী সব মাতৃভাষা সুরক্ষায় অনুপ্রেরণা হয়ে থাকুক।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ভাষা শহীদদের প্রতি আইজিপির শ্রদ্ধা

মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।
আইজিপি একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাগণ আইজিপির সাথে ছিলেন।
এর আগে, একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।