জাতীয়
সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের ৪ দফা দাবি

অর্থ বিভাগের সচিবের সঙ্গে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৪টায় সচিব দপ্তরে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় অর্থ সচিবের কাছে ৪ দফা দাবি পেশ পরিষদের সভাপতি মো. বাদিউল কবীর ও মহাসচিব নিজাম উদ্দিন আহমেদ।
তাদের দাবিগুলো হলো:
নতুন পে-কমিশন গঠনসহ কর্মচারীদের জন্য অবিলম্বে মূল বেতনের ৫০% মহার্ঘভাতা কার্যকর করা এবং প্রস্তাবিত মহার্ঘ ভাতার পরিবর্তে মুদ্রাস্ফীতির সাথে সমন্বয় করে বেতনের সাথে কমপক্ষে ৫টি ইনক্রিমেন্ট হিসেবে জি. ও জারি করা।
বাংলাদেশ সচিবালয়ের কর্মচারীদের জন্য সরকারী অন্যান্য বেসামরিক সংস্থার ন্যায় উদাহরণ স্বরূপ দুদকের ন্যায় রেশন ব্যবস্থা বাস্তবায়নসহ ৩০% হারে সচিবালয় ভাতার জন্য দ্রুত আদেশ জারী করা। ২০১৫ সালের পে-কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী যথা সময়ে পদোন্নতি না হওয়ার কারণে অবিলম্বে পূর্বের ন্যায় টাইম-স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড ব্যবস্থা পুনর্বহাল করা।
বাংলাদেশ সচিবালয়ে কর্মরত সাঁটমুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটরদের জন্য দুটি উচ্চতর গ্রেড এবং অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদের জন্য দুটি অগ্রিম ইনক্রিমেন্ট পূর্বের ন্যায় পুনর্বহাল করাসহ বর্তমানে ২০তম গ্রেডে কর্মরত কর্মচারীদের জন্য প্রতি কর্ম দিবসে ৩০০/- তিনশত টাকা হারে টিফিন ভাতার ব্যবস্থা করা।
অর্থ সচিব নেতৃবৃন্দের পেশকৃত দাবীর যৌক্তিকতা অনুধাবন করেন এবং অবিলম্বে দাবী বাস্তবায়নের ইতিবাচক মনোভাব ব্যক্তি করেন।
এ সময় অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বেলাল হোসেন, মিজানুর রহমান, সোহরাব হোসেন, আশরাফুল ইসলাম, রহমাতুল্লাহ বাবু, আব্দুল হামিদ, নুরুজ্জামান, কামরুল ইসলাম, মো. আরিফ, মো. ইসমাইল প্রমুখ।
কাফি

জাতীয়
কারাবন্দিদের মধ্যে ডোপ টেস্ট কার্যক্রম শুরু

মাদকবিরোধী জাতীয় সচেতনতা বৃদ্ধির অংশ হিসেবে কারা অধিদপ্তর চলতি ‘সেপ্টেম্বর ২০২৫’ মাসকে মাদকবিরোধী কার্যক্রমের মাস হিসেবে ঘোষণা করেছে। এ লক্ষ্যে মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করে ব্যাপক মাদকবিরোধী অভিযান শুরু করেছে।
মঙ্গলবার সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (প্রশাসন) আবুল বাশার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী মাদক সমস্যার ভয়াবহতা ক্রমে প্রকট রূপ ধারণ করছে।
বাংলাদেশেও মাদক প্রবণতা উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের কারাগারসমূহও এই ক্ষতিকর প্রভাবের বাইরে নয়। এহেন প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ কারা অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন এবং মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সমন্বয়ে মাদক নির্মূলে বিশেষ কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।
তাতে আরো বলা হয়, কারাগারে আগত দর্শনার্থী, বন্দি এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিশেষ তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
একই সঙ্গে মাদকবিরোধী সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিয়মিত কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে। কারা অধিদপ্তর নিজস্ব ডোপ টেস্টের মাধ্যমে সন্দেহভাজন কারাবন্দি বা কর্মচারীদের ডোপ টেস্টের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সম্ভাব্য মাদকসেবীদের চিহ্নিত করে তাদের অধিকতর নজরদারি ও প্রশাসনিক ব্যবস্থার আওতায় আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘রাখিব নিরাপদ দেখাব আলোর পথ’ মূলমন্ত্রকে সামনে রেখে কারাগারসমূহে আগত সমাজের বিপথগামী লোকদের নানা কার্যক্রমের মাধ্যমে সংশোধন করা এবং বর্তমান যুগের সাথে তাল মিলিয়ে সঠিক প্রশিক্ষণ প্রদান করে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে সমাজে পুনর্বাসন করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ জেল নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
জাতীয়
সরকার সময়মতো ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন দিতে অঙ্গীকারাবদ্ধ: প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সময়মতো ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ। আগামী ফেব্রুয়ারিতে পবিত্র রমজানের পূর্বেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভার সঙ্গে ভিডিও কলে কথোপকথনের সময় তিনি এ কথা বলেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, নির্বাচনের পর আমি আমার পূর্ববর্তী কাজে ফিরে যাবো।
কথোপকথনে প্রধান উপদেষ্টা, ব্যাংকিং খাতে পুনর্গঠন প্রচেষ্টা এবং রাজস্ব সংগ্রহ বৃদ্ধির উদ্যোগসহ তার সরকারের গৃহীত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপগুলো তুলে ধরেন। এ সময় আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ড. ইউনূসের নেওয়া পদক্ষেপের প্রশংসা করেন।
অর্থনীতির সংকটকালীন পরিস্থিতি স্মরণ করে আইএমএফ প্রধান বলেন, আপনার (ড. ইউনূসের) অর্জন আমাকে মুগ্ধ করেছে। অল্প সময়ে আপনি অনেক কিছু করেছেন। যখন অবনতির ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি ছিল, তখন আপনি দেশের দায়িত্ব নিয়েছেন। আপনি সঠিক সময়ে সঠিক ব্যক্তি।
ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বিশেষভাবে বৈদেশিক মুদ্রা বাজারের স্থিতিশীলতা এবং রিজার্ভ পুনরুদ্ধারের জন্য সরকারের সাহসী পদক্ষেপ, বাজারভিত্তিক বিনিময় হার প্রবর্তনের প্রশংসা করেন।
অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশের এক সংকটময় সময়ে আইএমএফ প্রধানের অবিচল সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘চমৎকার সহায়তার জন্য ধন্যবাদ।’ তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, গত বছর নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে তাদের প্রথম সাক্ষাৎ বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পথ সুগম করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।
এ ছাড়া আঞ্চলিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়। এর মধ্যে ছিল নেপালে চলমান যুব আন্দোলন এবং আসিয়ানভুক্তির জন্য বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা। অধ্যাপক ইউনূস আঞ্চলিক কানেক্টিভিটি জোরদারের লক্ষ্যে ঢাকার বৃহৎ অবকাঠামো উদ্যোগ—যেমন নতুন বন্দর ও টার্মিনাল প্রকল্প-সম্পর্কেও অবহিত করেন।
আলোচনাকালে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ এবং অর্থ সচিব খায়রুজ্জামান মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয়
এখন শান্ত মনে জাতিসংঘের দিকে রওনা হতে পারবো: প্রধান উপদেষ্টা

‘এবার মনটা শান্ত হলো যে দুর্গাপূজা উপলক্ষে আপনাদের সঙ্গে দেখা হলো। আপনারা সাক্ষ্য দেবেন যে আমি হাজির ছিলাম। এখন শান্ত মনে আমি জাতিসংঘের দিকে রওনা হতে পারবো। সবাই দোয়া করবেন, আশীর্বাদ করবেন, নমস্কার।’
আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শনকালে এ কথাগুলো বলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
চলতি মাসের শেষ দিকে যখন শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু হবে তখন প্রধান উপদেষ্টা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সম্মেলনে থাকবেন। এ কারণে তিনি আগাম শুভেচ্ছা জানাতে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে হাজির হন।
এ সময় দেওয়া বক্তব্যে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, নিজেরা বিভক্ত হয়ে গেলে, ঐক্যবদ্ধ হতে না পারলে আমরা জাতি হিসেবে ব্যর্থ হয়ে যাব। আমরা জাতি হিসেবে ব্যর্থ হতে চাই না। আমাদের তরুণরা জেগেছে। আমাদের মানুষ জেগেছে। আমরা নতুন বাংলাদেশের কথা বলছি, সেটা নিশ্চিত করতে চাই। তা না হলে এত রক্তপাত, এত আত্মত্যাগের কী ফল পেলাম?
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমাদের ছেলেমেয়েরা ২০২৪-এর জুলাইয়ে যে অসাধ্য সাধন করেছে, তাদের মূল লক্ষ্য ছিল একটি বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার। এখানে সব নাগরিক সমান সুযোগ পাবে। আমাদের ছেলেমেয়েরা সে যে ঘরেই জন্মগ্রহণ করুক না কেন, সে ছেলে হোক আর মেয়ে হোক, সবাই নাগরিকের সমান সুবিধা পাবে। পুরো বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেওয়ার শক্তি তাদের আছে। তারা কেউ বন্দী থাকার জন্য জন্মগ্রহণ করেনি। কারও ভয়ে পালিয়ে থাকার জন্য জন্মগ্রহণ করেনি। আমরা তাদের সে সুযোগ দিতে চাই। তারা নিজের মতো করে গড়ে উঠবে। দেশকে গড়ে তুলবে। পৃথিবীতে গড়ে তুলবে।
আমরা এমন রাষ্ট্র গঠন করতে চাই, পৃথিবী আমাদের অনুসরণ করবে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে আমরা বৈষম্য-দুর্নীতিমুক্ত একটি সমৃদ্ধ দেশ গড়ার যে অগ্রযাত্রা শুরু করেছি তার সফল বাস্তবায়ন করতে হলে ধর্ম-বর্ণ ভেদাভেদ ভুলে সকলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সব অশুভ, অন্যায়, অন্ধকারকে পরাজিত করে ঐক্য ও সম্প্রীতির জয় হবে। কল্যাণ ও সম্প্রীতির পথে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে, যোগ করেন অধ্যাপক ইউনূস।
সারা জাতিকে একটি পরিবার হিসেবে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, পরিবারের মধ্যে নানা রকম মতভেদ থাকবে, ব্যবহারের পার্থক্য থাকবে কিন্তু পরিবার একটি অটুট জিনিস। এটাকে কেউ ভাঙতে পারে না। আমাদের লক্ষ্য হলো আমরা যেন জাতি হিসেবে, অটুট একটি পরিবার হিসেবে দাঁড়াতে পারি। যত ধর্মীয় পার্থক্য থাকুক, মতের পার্থক্য থাকুক, যত রকমের পার্থক্যই থাকুক, রাষ্ট্র আমাদের প্রতি কোনো পার্থক্য করতে পারবে না। সে যে-ই হোক, সমান মর্যাদা দেওয়ার জন্য রাষ্ট্র দায়িত্ববদ্ধ। সে যে ধর্মেই বিশ্বাস করুক, যে মতবাদেই বিশ্বাস করুক, অসীম ধনের অধিকারী হোক অথবা নিঃস্ব হোক, রাষ্ট্রের কাছে সে একজন নাগরিক। নাগরিকের সব অধিকার সংবিধানে লিপিবদ্ধ করা আছে। তাকে ক্ষুদ্র পরিমাণেও বঞ্চিত করার কোনো অধিকার সরকারের নেই। নাগরিক হিসেবে আমার প্রতি কোনো বৈষম্য করা যাবে না- এ বিষয়ে সব সময় সোচ্চার হতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা মাঝে-মাঝে পারিবারিক বা অন্যান্য বিষয়ে সোচ্চার হয়ে যাই, হতে হয়। কিন্তু এ ব্যাপারে যেন তারচেয়ে বেশি সোচ্চার হই। আমার প্রতি কোনো রকমের বৈষম্য করা যাবে না। কারণ রাষ্ট্র আমাকে একেবারে তালিকা করে আমার প্রাপ্য কী সে ব্যাপারে নিশ্চয়তা দিয়েছে। কাজেই যত কথা বলি সবচাইতে বড় কথাটি বলবেন- আমি নাগরিক, আমাকে এ তালিকাভুক্ত সব জিনিসের অধিকার দিতে হবে। এটাতে যদি না দাঁড়ান, বাকিগুলোতে সুবিধা হয় না। নানা কথার মারপ্যাঁচে এদিক-ওদিক ঘুরে বেড়ায়। কিন্তু এটাতে এদিক-ওদিক করার কোনো সুযোগ নেই।
অধ্যাপক ইউনূস যোগ করেন, আপনারা যত কথাই বলুন, তার মধ্যে বারবার বলুন যে আমি এ দেশের নাগরিক। আমার জন্য সংবিধানে দেওয়া সব নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। এসব অধিকার থেকে এখন আমি বঞ্চিত, এগুলো আমাকে দিতে হবে। তখন আপনি সঙ্গী-সাথী সবাইকে পাবেন। সারা দেশের মানুষ একসঙ্গে থাকবে, কারণ সবারই একই সমস্যা, তার নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। আমরা বারবার লাঞ্ছিত হই, অপমানিত হই, নানা রকমের বৈষম্যের শিকার হই। যেহেতু ওই অধিকারের প্রতি আমাদের নজর নেই বা হতাশ হয়ে গেছি। অধিকারের কথা মুখে আসে না, এখন আসতে হবে। আমরা যেই নতুন বাংলাদেশের কথা বলছি, তার মধ্যে এটি সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সবাইকে সব নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করা, সেটা যেন আমরা করতে পারি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা নিরাপত্তা বাহিনীর বেষ্টনীর মধ্যে আমাদের ধর্ম পালন করতে চাই না। আমরা নাগরিক হিসেবে মুক্তভাবে যার যার ধর্ম পালন করতে চাই। এ অধিকার আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, নিরাপত্তা বাহিনীকে তাদের ভূমিকা পালন করার জন্য সবার প্রতি ধন্যবাদ জানাই। কিন্তু আমরা এমন একটি দেশ বানাতে চাই যেখানে এ রকম নিরাপত্তা বাহিনী বেষ্টিত হয়ে ধর্ম পালন করা একটি হাস্যকর জিনিস হবে। এটা কী কথা হলো! এটা কোন ধরনের দেশ বানালাম আমরা! এ রকম দেশ বানানোর জন্যই এত রক্তপাত, এত কিছু হলো? আমরা সেটা চাই না। আমরা সম্পূর্ণ নিরাপত্তার মধ্যে, সম্পূর্ণ বিশ্বাসের মধ্যে যার যার মতো, যার যার ধর্ম পালন করতে চাই, এ নিশ্চয়তা আমরা চাই।
অধ্যাপক ইউনূস আরও বলেন, আমরা ঐক্যের কথা বলি, সেই ঐক্য দুর্গাপূজার কাঠামোর মধ্যেই আছে। সনাতনী ধর্মবিশ্বাস মতে দুর্গাপূজার কাঠামোতে দেশ ও জাতির সব ধরনের ঐক্য-সম্প্রীতির প্রতীক আছে। লক্ষ্মীর ধনসম্পদ, সরস্বতীর জ্ঞান, কার্তিকের বীরত্ব, গণেশের সাফল্য, দশভোজা দুর্গার অসীম শক্তি সম্মিলিতভাবে সব অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে। এর মধ্যেই ঐক্যবদ্ধ হওয়ার চিত্র আছে। জ্ঞান নিয়ে, সম্পদ নিয়ে, শক্তি নিয়ে, সবাই যার যার শক্তি নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হলে আমরা সব অশুভ শক্তিকে পরাজিত করতে পারব। কারও সাধ্য নেই এ থেকে আমাদের বঞ্চিত করে।
জাতীয়
আট দিন বন্ধ থাকবে চীনা দূতাবাসের ভিসা কার্যক্রম

ঢাকায় চীনের ভিসা অফিস ৮ দিন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। চীনের জাতীয় দিবসসহ অন্যান্য ছুটিতে বন্ধ থাকবে দূতাবাসের ভিসা কার্যক্রম।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে ঢাকার চীন দূতাবাস।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ১ অক্টোবর থেকে ৮ অক্টোবর সাময়িকভাবে ভিসা অফিস বন্ধ থাকবে এবং ৯ অক্টোবর থেকে পুনরায় ভিসা অফিস চালু হবে। নিয়মিত কর্মদিবস হিসেবে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর ও ১০ অক্টোবর যথারীতি খোলা থাকবে।
জাতীয়
ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নতুন নির্দেশনা

ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা আরও সুশৃঙ্খল করতে সরকারি হাসপাতালগুলোকে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। নির্দেশনা অনুযায়ী, ডেঙ্গু চিকিৎসায় দেশের সব হাসপাতালকে অবিলম্বে বিশেষ ওয়ার্ড তৈরি করতে এবং একটি নির্দিষ্ট চিকিৎসা টিম গঠন করতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মনে করছে, এ ব্যবস্থার মাধ্যমে রোগীর সেবা উন্নত হবে, ঝুঁকি কমবে ও হাসপাতালে চিকিৎসার মান বৃদ্ধি পাবে।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান স্বাক্ষরিত এক জরুরি নির্দেশনায় এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, হাসপাতালগুলোতে ভর্তিকৃত ডেঙ্গু রোগীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষ করে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসায় এনএস-১ পরীক্ষা, জরুরি চিকিৎসা ও পর্যাপ্ত ঔষধের ব্যবস্থা করতে হবে। হাসপাতালের ভর্তিকৃত রোগীদের একটি নির্দিষ্ট ওয়ার্ড বা কক্ষে রাখা জরুরি। আইসিইউ প্রয়োজন হলে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এ ছাড়া চিকিৎসক ও নার্সদের জন্য বিশেষ দায়িত্ব নির্ধারণ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগীদের চিকিৎসার জন্য মেডিসিন, শিশু ও অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি বোর্ড গঠন করতে হবে। এই বোর্ডের তত্ত্বাবধানে মেডিকেল অফিসার, রেসিডেন্ট ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের একটি দল শুধু এই রোগীদের চিকিৎসা দেবেন। হাসপাতালের বহির্বিভাগে আগত সন্দেহভাজন রোগীদেরও একটি নির্দিষ্ট কক্ষে একই বোর্ড ও চিকিৎসকরা চিকিৎসা দেবেন।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, হাসপাতালের চারপাশে মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনার জন্য হাসপাতাল পরিচালককে সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভাকে পত্র দিতে হবে। এ ছাড়া প্রতি শনিবার সকাল ১০টায় হাসপাতালে পরিচালক, তত্ত্বাবধায়ক ও সিভিল সার্জনের সভাপতিত্বে ডেঙ্গু সমন্বয় সভা করার কথাও বলা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এ ধরনের নির্দেশনা শুধু হাসপাতালে চিকিৎসার মান বাড়াবে না, বরং রোগী ও পরিবারের জন্য ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করবে। চিকিৎসা প্রক্রিয়া সুশৃঙ্খল ও সমন্বিত হলে রোগী মৃত্যুর হারও হ্রাস পেতে পারে।
ডেঙ্গু বাংলাদেশের জন্য প্রতি বর্ষা মৌসুমে বড় স্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের বর্ষায় ইতোমধ্যে রাজধানী ও অন্য শহরে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ কম থাকলেও সঠিক চিকিৎসা ও সতর্কতা ছাড়া পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।