জাতীয়
হজের বিমান ভাড়া বেশি নিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ধর্ম উপদেষ্টা
![হজের বিমান ভাড়া বেশি নিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ধর্ম উপদেষ্টা khalid](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/08/dhormo-montronaloy.jpg)
হজের বিমান ভাড়া সরকার নির্ধারিত ১ লাখ ৪৭ হাজার টাকার বেশি নিলে এজেন্সির লাইসেন্স ও জামানত বাতিলসহ রাষ্ট্রীয় আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর পুরান পল্টনে বিশ্বকল্যাণ পাবলিকেশন্স আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
খালিদ হোসেন বলেন, এবার এক হাজারের নিচে কোনো এজেন্সি হাজি পাঠাতে পারবে না। আর আগামী বছর থেকে অনুমোদন পেতে এজেন্সিকে ন্যূনতম ২০০০ হাজি পাঠাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এছাড়া কোনো এজেন্সি যদি হাজিদের জন্য আগাম টিকিট বুকিং করতে চায়, তাহলে ব্যক্তির নাম ও পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে বুকিং করতে হবে এবং সেটা তিন দিনের বেশি ব্লক রাখা যাবে না।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম।
এ ছাড়া অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শামসুল আলম, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আব্দুস ছালাম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
জাতীয়
বৃহস্পতিবার একুশে পদক বিতরণ করবেন প্রধান উপদেষ্টা
![বৃহস্পতিবার একুশে পদক বিতরণ করবেন প্রধান উপদেষ্টা মেঘনা পেট্রোলিয়াম](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/08/ekushay.jpg)
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) একুশে পদক বিতরণ করবেন।
আজ বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সেক্রেটারি ফয়েজ আহম্মদ এ তথ্য জানান।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এ পদক বিতরণ করা হবে। পদক বিতরণ অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত হবে।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সরকার দেশের ১৮ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও দলকে একুশে পদক দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
পদকপ্রাপ্তরা হলেন- চলচ্চিত্রে আজিজুর রহমান (মরণোত্তর), সঙ্গীতে ওস্তাদ নীরদ বরণ বড়ুয়া (মরণোত্তর) ও ফেরদৌস আরা, আলোকচিত্রে নাসির আলী মামুন ও চিত্রকলায় রোকেয়া সুলতানা। সাংবাদিকতায় মাহ্ফুজ উল্লাহ (মরণোত্তর), গবেষণায় মঈদুল হাসান, শিক্ষায় ড. নিয়াজ জামান।
এছাড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে মেহদী হাসান খান (দলনেতা), রিফাত নবী (দলগত), মো. তানবিন ইসলাম সিয়াম (দলগত) ও শাবাব মুস্তাফা (দলগত)। সমাজসেবায় মোহাম্মদ ইউসুফ চৌধুরী (মরণোত্তর), ভাষা ও সাহিত্যে হেলাল হাফিজ (মরণোত্তর) ও শহীদুল জহির (মো. শহিদুল হক) (মরণোত্তর)। সাংবাদিকতা ও মানবাধিকারে মাহমুদুর রহমান, সংস্কৃতি ও শিক্ষায় ড. শহিদুল আলম এবং ক্রীড়ায় বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
৭০ সচিবসহ ১০৬ জনের সদস্যপদ স্থগিত
![৭০ সচিবসহ ১০৬ জনের সদস্যপদ স্থগিত মেঘনা পেট্রোলিয়াম](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2025/02/officice-club.jpg)
সিভিল সার্ভিস কর্মকর্তাদের সর্বোচ্চ সংগঠন ‘অফিসার্স ক্লাব’কে রাজনৈতিক আখড়ায় পরিণত করার অভিযোগে ১০৬ জনের সদস্যপদ স্থগিত করেছে বর্তমান কমিটি। তাদের মধ্যে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মুখ্য সচিবসহ ৭০ জন সচিব রয়েছেন। এ ছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর, সাবেক সংসদ সদস্য ও পুলিশের সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তারা রয়েছেন।
গত বছরের ৩০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত বিশেষ সাধারণ সভায় তাদের সদস্যপদ স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি তা কার্যকর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে একাধিক সূত্র। সদস্যপদ স্থগিত হওয়াদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
সদস্যপদ স্থগিতের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সাবেক সচিব আবু আলম মো. শহীদ খান। তিনি বলেন, কোনো কারণ ছাড়াই সদস্যপদ স্থগিতের বিষয়টি শুনেছি। কিন্তু আমাদের কোনো চিঠি দেওয়া হয়নি। আমাদের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ আছে, সে বিষয়েও ক্লাব কর্তৃপক্ষ কোনো কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়নি। এটি অন্যায় সিদ্ধান্ত।
তিনি আরও বলেন, আমি ক্লাবের তিনবারের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক। অথচ বিনা কারণে আমার সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছে।
অফিসার্স ক্লাবের চেয়ারম্যান ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশিদের বক্তব্যের জন্য একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। সাধারণ সম্পাদক এবিএম আব্দুস সাত্তারকেও ফোন করা হয়েছে। তিনিও সাড়া দেননি। তাকে খুদেবার্তাও পাঠানো হয়েছে। তবুও সাড়া মেলেনি।
সদস্যপদ স্থগিতের তালিকায় আছেন সদ্য সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার, সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, সাবেক মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, সাবেক মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, সাবেক জনপ্রশাসন সচিব আব্দুস সোবহান সিকদার, সাবেক সচিব ইকবাল মাহমুদ, সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন তালুকদার, সাবেক সচিব নাসিমা বেগম, সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, সাবেক সচিব ও এমপি ড. মোহাম্মদ সাদিক, সাবেক সচিব ও দুদক কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান, মমিনুন্নেছা মহিলা কলেজ, ময়মনসিংহের অধ্যক্ষ কাজী কাইয়ুম শিশির, ডিএমপির সাবেক যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম, ডিএমপির সাবেক কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক, ডিএমপির সাবেক কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া, সাবেক এসপি প্রলয় কুমার জোয়ারদার, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলাম, ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, ডিএমপির সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, সাবেক সচিব ও মুখ্য সমন্বয়ক জুয়েনা আজিজ, সাবেক সচিব ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, সাবেক সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রাহমাতুল মুনিম, সাবেক সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, সাবেক সচিব সাজ্জাদুল হাসান, সাবেক সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, সাবেক সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, সাবেক সচিব আবদুল মান্নান, সাবেক সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান, সাবেক সচিব আবদুল মান্নান হাওলাদার, সাবেক সচিব ওয়াহিদা আক্তার, সাবেক সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, সাবেক সচিব মাকছুদুর রহমান পাটোয়ারী, সাবেক সচিব মো. মহিবুল হক, সাবেক সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক সচিব এম এ এন সিদ্দিক, সাবেক সচিব শাহজাহান আলী মোল্লা, সাবেক সচিব ইকবাল খান চৌধুরী, সাবেক সচিব শ্যামল কান্তি ঘোষ, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. আনছার আলী খান, সাবেক সচিব বরুণ দেব মিত্র, সাবেক সচিব মরতুজা আহমদ, সাবেক সচিব রফিকুল ইসলাম, সাবেক সচিব ড. খোন্দকার শওকত হোসেন, সাবেক সচিব সুরাইয়া বেগম, সাবেক সচিব ড. এম. আসলাম আলম, সাবেক সচিব মো. নিয়াজ উদ্দিন মিঞা, সাবেক সচিব চৌধুরী বাবুল হাসান, সাবেক সচিব মো. নজরুল ইসলাম খান, সাবেক সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, সাবেক সচিব আবদুল মালেক, সাবেক সচিব জিল্লার রহমান, সাবেক সচিব ইব্রাহীম হোসেন খান, সাবেক সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সাবেক সচিব পবন চৌধুরী, সাবেক সচিব অপরূপ চৌধুরী, সাবেক সচিব শামসুদ্দিন আজাদ চৌধুরী, সাবেক সচিব আখতারী মমতাজ, সাবেক সচিব শাহ কামাল, সাবেক সচিব প্রশান্ত কুমার রায়, সাবেক সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন, সাবেক সচিব মেজবাহ উদ্দিন, সাবেক সচিব ও উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, সাবেক সচিব ও উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, সাবেক অতিরিক্ত সচিব ড. মো. হারুন-অর-রশিদ বিশ্বাস, সাবেক মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, সাবেক যুগ্ম সচিব এ. এস. এম. মামুনুর রহমান খলিলী, নাটোরের সাবেক ডিসি আবু নাছের ভূঞা, সাবেক জনপ্রশাসন সচিব ফয়েজ আহমদ, সিএমপির সাবেক কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, সাবেক ডিআইজি বিনয় কৃষ্ণ বালা, সাবেক সচিব আবু আলম মো. শহিদ খান, সাবেক ডিসি মো. মোখলেছুর রহমান, সাবেক সচিব আবদুল্লাহ আল মামুন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী, এনবিআরের সাবেক সদস্য মতিউর রহমান, সাবেক সচিব জাফর আহমদ খান, সাবেক মো. আখতার হোসেন, সাবেক সচিব খান মো. বেলায়েত হোসেন, সাবেক সচিব ও এমপি সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী, সাবেক সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক সচিব মো. আবুল মনসুর, সাবেক আইন সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, সাবেক জনপ্রশাসন সচিব কে. এম. আলী আজম, সাবেক পুলিশ কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম, সাবেক সচিব অশোক মাধব রায়, সাবেক সচিব নাছিমা বেগম, সহকারী পুলিশ সুপার নাজমুস সাকিব খান, সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার, ডিবি মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ, উপ কর কমিশনার মহিদুল ইসলাম, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মেহনাজ মোশারফ, সহকারী কর কমিশনার লিংকন রায়, সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মোবাশ্বেরা হাবিব খান, ঢাকা মেডিকেল কলেজের রেজিস্ট্রার গাইনি ডা. লায়লা খায়রুন নাহার, স্থাপত্য অধিদপ্তরের সহকারী স্থপতি ইফতেখারুল আমিন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী রেজিস্ট্রার (মেডিসিন) ডা. যোবায়ের আনম চৌধুরী, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব মো. ওয়ালিদ বিন কাশেম, সহকারী পুলিশ কমিশনার সচিব মো. শিবলী নোমান, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী নাবিলা তাবাসসুম, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী সৈয়দ এনাম রেজা, সহকারী এ্যরোডম কর্মকর্তা মাহমুদুল হক সৈকত, সাবেক এপিডি মো. নাজমুছ সাদাত সেলিম, সাবেক জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসূফ হারুন এবং সাবেক সচিব মোহাম্মদ হোসেন সেরনিয়াবাত।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
উত্তরায় দম্পতিকে কোপানোর ঘটনায় পুরো চক্র গ্রেপ্তার
![উত্তরায় দম্পতিকে কোপানোর ঘটনায় পুরো চক্র গ্রেপ্তার মেঘনা পেট্রোলিয়াম](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2025/02/aa-29.jpg)
রাজধানীর উত্তরায় দম্পতির ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত পুরো চক্র শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এখন পর্যন্ত ৩ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তবে গ্রেপ্তারের সংখ্যা আরও বেশি বলে জানিয়েছে ডিএমপি। দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে ডিএমপির উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) রওনক জাহান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘বেপরোয়া’ বাইক চালানোর প্রতিবাদ করায় রাজধানীর উত্তরায় মেহেবুল হাসান ও তার স্ত্রী নাসরিন আক্তার ইপ্তিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে সরাসরি আঘাত করে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। তাদের সবাইকে শনাক্ত এবং গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আজ বুধবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে।
এ ঘটনায় সোমবার রাতেই মো. মোবারক হোসেন (২৫) ও রবি রায় (২২) নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর মঙ্গলবার আলফাজ (২৩) নামের সরাসরি কোপানোতে জড়িত যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে নয়টার দিকে উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরের ৯ নম্বর রোডে ‘বেপরোয়া’ চালিয়ে যাওয়া একটি মোটরসাইকেল একটি রিকশাকে ধাক্কা দেয়। সেখানে আরেকটি মোটরসাইকেলে থাকা মেহেবুল ও নাসরিন দম্পতিও এর প্রতিবাদ জানান।
এরপর রিকশায় ধাক্কা দেওয়া বাইকের আরোহীরা ওই দম্পতিকে হুমকি দেয় ও একপর্যায়ে কিল-ঘুসি মারে। পরে তারা ফোন করে আরও কয়েকজনকে ডেকে আনলে তারা অস্ত্রসহ ওই দম্পতির ওপর চড়াও হয়।
উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর বলেন, আহত দম্পতি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন, তারা শঙ্কামুক্ত। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নাসরিন আক্তার ইপ্তি সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা রুজু করেছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
তৌহিদী জনতা বলায় দুঃখপ্রকাশ উপদেষ্টা মাহফুজের
![তৌহিদী জনতা বলায় দুঃখপ্রকাশ উপদেষ্টা মাহফুজের মেঘনা পেট্রোলিয়াম](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2025/02/advisor-mahfuz.jpg)
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া একটি স্ট্যাটাসে ‘তৌহিদী জনতা’ লেখার কারণে দুঃখপ্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ভোরে ফেসবুকে এক স্ট্যাটাস দিয়ে এই দুঃখপ্রকাশ করেন মাহফুজ। স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, আমার কোনো কোনো বক্তব্য হয়ত কারও কারও মনে কষ্ট দিয়েছে, বিশেষ করে তৌহিদী জনতা বলাটা। আপনারা যারা আমার বক্তব্যের কারণে নারাজ-নাখোশ হয়েছেন, আমি আপনাদের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখপ্রকাশ করছি।
এছাড়া গত কয়েক মাসে অন্য কোনো বক্তব্যে কেউ আঘাত পেলে বা সেটাকে বিভাজনমূলক ভাবলে, সে ক্ষেত্রেও আমি আমার বক্তব্য পুনর্বিবেচনার পক্ষে। ভারসাম্যপূর্ণ, বিভাজন ও ট্যাগিংবিরোধী অবস্থান গ্রহণ করাটা জনগণের মধ্যকার ঐক্যের জন্য জরুরি। আমরা জালিম বা মজলুম কোনোটাই হতে চাই না।
উপদেষ্টা মাহফুজ আরও লিখেন, এ অভ্যুত্থান সবার। সেজন্যই মাস্টারমাইন্ড নামক মিডিয়ার তৈরি হাইপকে আমি শুরুতেই প্রত্যাখ্যান করেছি। আমরা সিদ্ধান্ত যারা নিতাম, তারা প্রায় সব সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে অনেক স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কথা বলেছি। একটা সিদ্ধান্ত ফাইনালাইজ করতে অন্তত ৫/৬ টা গ্রুপের মতামত শুনে বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নিতে হইয়ে। ফলে এটা আসলে আমাদের সিদ্ধান্ত নেওয়া বডির সামষ্টিক কৌশলগত সক্ষমতা যেমন, তেমনি অনেকগুলো গ্রুপ অব পিপলের অংশগ্রহণ ও পরামর্শেরও ফসল। কেউই অনুল্লেখযোগ্য নন। আর জনগণতো ১৯-৩৩ জুলাই কারও সিদ্ধান্তের জন্য বসে থাকেনি। তবে তারা অবশ্যই পাবলিক- প্রাইভেট থেকে শুরু করে মাদরাসা-স্কুল-কলেজের ছাত্রদেরই লেজিটিমেট নেতৃত্ব হিসেবে মানতেন।
মধ্যবর্তী অবস্থান ধরে রাখতে হবে উল্লেখ করে মাহফুজ আরও লিখেন-আমাদের মধ্যবর্তী অবস্থান ধরে রাখতে হবে। সবাইকে নিয়ে এগোতে হবে, কিন্তু ‘স্যাবোটিয়ার’দের বাদ দিয়ে। পেছন থেকে ছুরি মারা, অনার কোড না মানার অভ্যাস-এসব যে কোনো বন্দোবস্তের জন্য হুমকিস্বরূপ। রাজনীতি মানে Gentlemen’s Agreement ও থাকবে না এটা যারা ভাবেন, তারা নিজেদের শুধরে নিন।
স্ট্যাটাসে তিনি আরও লিখেন, আমাদের শত্রু অগণিত এবং তারা সবাই শক্তিধর। মিত্র খুবই কম। একটু ছাড় দিয়ে যদি আমরা মিত্রতা বাড়াতে পারি এবং শত্রুদের পরাস্ত করতে পারি তা আখেরে এ দেশের জনগণকেই উপকৃত করবে। গণ-অভ্যুত্থানের সব শক্তির ঐক্যই আমাদের গন্তব্য। একটা হিস্টরিক ব্লক তৈরির সম্ভাবনা আমাদের সামনে ছিল। এখনো আছে বটে। ফ্যাসিবাদবিরোধী ও বাংলাদেশপন্থি জনগোষ্ঠীকে নিজেদের মধ্যেই রাজনৈতিকভাবে ইতিবাচক প্রতিযোগিতা করতে হবে। কোনোভাবেই ফ্যাসিবাদী শক্তিকে রাজনীতিতে স্পেইস দেওয়া যাবে না।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে সহায়তা দিতে আগ্রহী অষ্ট্রেলিয়া
![নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে সহায়তা দিতে আগ্রহী অষ্ট্রেলিয়া মেঘনা পেট্রোলিয়াম](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2025/02/aa-28.jpg)
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ ঝুঁকির মুখে আছে। ঝুঁকি মোকাবিলায় জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত প্রশমন ও পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর জন্য বিপুল অর্থ প্রয়োজন। এজন্য দেশি-বিদেশি বিভিন্ন উৎসের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে হবে।
আর ঝুঁকি প্রশমনে সর্বাগ্রে জ্বালানি উৎপাদন প্রক্রিয়ায় নবায়নযোগ্য শক্তির প্রচলন ঘটাতে হবে। অস্ট্রেলিয়া নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে সহায়তা দিতে প্রস্তুত। তাদের সহায়তা দেশে নবায়যোগ্য জ্বালানি সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ‘বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া: ক্লাইমেট পলিসি অ্যান্ড দ্য গ্রিন এনার্জি ট্রানজিশন‘ শীর্ষক সংলাপে বক্তারা এসব কথা জানান।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফরি পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) এ সংলাপের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাই কমিশনার সুজান রায়েল বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার দীর্ঘ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বিদ্যমান। নবায়যোগ্য জ্বালানিখাতে সহায়তা বাড়ানোর মাধ্যমে এ সম্পর্ককে আরও উচ্চ স্তরে নিয়ে যেতে আগ্রহী অস্ট্রেলিয়া।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।