অর্থনীতি
সবজিতে স্বস্তি, কমছে গরু-মুরগির মাংসের দাম

পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষ্যে বাড়তি চাহিদার কারণে দাম বেড়েছে গরু ও মুরগির মাংসের। এর একদিন পরই চাহিদা কমায় দাম কমাতে বাধ্য হয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে- মাছ, গরু, মুরগি ও খাসির মাংস। এছাড়া আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে অধিকাংশ সবজি।
আজ শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর সাদেক খান মার্কেট ও রায়ের বাজার ঘুরে দেখা গেছে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে ৭৫০ টাকা কেজি দরে। যা গতকাল শবে বরাতের দিন ৭৮০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছিল। এক দিনের ব্যবধানে গরুর মাংসে দাম কমেছে ৩০ থেকে সর্বোচ্চ ৫০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া খাসির মাংস কেজি প্রতি ৫০ টাকা কমে ১১০০ টাকায় নেমে এসেছে।
এদিকে ব্রয়লার মুরগির দাম গত ৪দিন আগেও ছিল প্রতি কেজি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা। শবে বরাত উপলক্ষ্যে এক লাফে হয়েছে ২১০ টাকা। ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা করে বাড়লেও এক দিনের ব্যবধানে তা কমে আগের দরে বিক্রি করছেন দোকানিরা।
অপরদিকে মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি পাঙাস ১৭০ টাকা থেকে ২০০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ টাকা, রুই ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, মৃগেল ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা, দেশি টেংরা ৪৬০ টাকা, শিং ৩২০ থেকে ৪০০ শত টাকা, চিংড়ি ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা, ছোট চিংড়ি ৩০০ টাকা, পোয়া ২৬০ টাকা, শোল ৭০০ টাকা, টাকি ৩০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। তবে গতকাল মাছে দাম ২০ থেকে ৩০ টাকা প্রতি কেজি বেশি ছিল বলে জানিয়েছেন খুচরা বিক্রেতারা।
এছাড়া সবজির দামে প্রভাব পরেনি। আগের দামেই বিক্রি হয়েছে অধিকাংশ সবজি।
সবজি বিক্রেতারা জানিয়েছেন, প্রতি কেজি টমেটো ২০ টাকা, আলু ২০ টাকা, বেগুন আকার অনুযায়ী ৫০ থেকে ৬০ টাকা, গাজর ৩০ টাকা, মূলা ২০ টাকা, হাইব্রিড শসা ৪০ টাকা, দেশি শসা ৫০ টাকা, খিরা ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ফুল ও বাঁধাকপি প্রতি পিস ২০ থেকে ২৫, লাউয়ের পিস ৪০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচের কেজি ৪০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়, দেশি নতুন রসুন ১৫০ থেকে ১৬০ এবং আমদানি করা রসুনের কেজি ২৪০ থেকে ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও আদা ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
সাদেক খান সবজি বাজারের সবজি বিক্রেতা মনসুর আলী বলেন, এখানে রাজধানীর অন্যান্য বাজার তুলনায় সবজির দাম কম থাকে। সে কারণে আমরা খুচরায় কমে বিক্রি করতে পারি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি
সাড়ে ৭ মাসে রিটার্ন দিলো ১৩ হাজার কোম্পানি

দেশের কোম্পানিগুলো রিটার্নে বার্ষিক আয়-ব্যয়ের খবর জানিয়ে ৩ হাজার ১০০ কোটি টাকা কর্পোরেট কর দিয়েছে। আর রিটার্ন দিয়েছে ১৩ হাজার ৬৬টি কোম্পানি। গত ১ জুলাই থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হিসাবের ভিত্তিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ তথ্য তৈরি করেছে।
বর্তমানে আড়াই লাখের বেশি প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন আছে। প্রতিবছর গড়ে ৩৫-৪০ হাজার কোম্পানি রিটার্ন জমা দেয়।
আগামী ১৬ মার্চ পর্যন্ত কোম্পানি করদাতাদের রিটার্ন জমার সময় আছে। সাধারণত ১ জুলাই থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত কোম্পানি করদাতাদের রিটার্ন জমা দেওয়ার নির্ধারিত সময়সীমা। এ বছর দুই দফায় এই সময় বাড়ানো হয়েছে।
যেসব প্রতিষ্ঠানের টিআইএন আছে, তার মধ্যে বেশির ভাগই বার্ষিক আয় বিবরণী বা রিটার্ন দাখিল করে না। ব্যক্তি করদাতার ক্ষেত্রে করমুক্ত আয়সীমা থাকলেও কোম্পানির ক্ষেত্রে তা উল্লেখ নেই। কোম্পানি তার বার্ষিক মুনাফার ওপর প্রযোজ্য হারে কর পরিশোধ করে।
২০২১ সালে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) এক প্রতিবেদনে বলেছে, ওই সময়ে প্রায় ৮০ হাজার কোম্পানি রিটার্ন দিত না। সিআইসির ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিপুলসংখ্যক কোম্পানি টিআইএন নেয়। কিন্তু রিটার্ন দেওয়া খুব একটা বাড়েনি।
ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের ক্ষেত্রে এ বছর সব মিলিয়ে ৩৯ লাখ ৭৩ হাজার ৭৫৭ জন করদাতা রিটার্ন দিয়েছেন। এনবিআর কর পেয়েছে মাত্র ৩ হাজার ১৪৪ কোটি টাকা। গত রোববার এই সময়সীমা শেষ হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
৬ মাসে ব্যাংক আমানত বেড়েছে সাড়ে ৩৪ হাজার কোটি টাকা

ব্যাংকের বাইরে থাকা টাকা আবারও ব্যাংকে ফিরতে শুরু করেছে। গত বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর সময়ে ব্যাংকে সাড়ে ৩৪ হাজার কোটি টাকা আমানত বেড়েছে। ব্যাংক খাতে মোট আমানতের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৭৭ হাজার ৩১৫ কোটি টাকায়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ প্রতিবেদন বলছে, গত ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকের বাইরে মানুষের হাতে থাকা নগদ টাকার পরিমাণ কমে এসেছে। এসব অর্থের বড় অংশই ব্যাংকে ফিরতে শুরু করেছে। গত বছরের জুন শেষে ব্যাংকের বাইরে মানুষের হাতে থাকা টাকার পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৯০ হাজার ৪৩৬ কোটি টাকা। ডিসেম্বর শেষে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৭৬ হাজার ৩৪১ কোটি টাকায়। অর্থাৎ ৬ মাসের ব্যবধানে মানুষের হাতে থাকা প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা ব্যাংকে ফিরে গিয়েছে।
প্রতিবেদন বলছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর শেষে ব্যাংকের বাইরে থাকা টাকার পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৪৬ হাজার কোটি টাকা। এরপর থেকে প্রতি মাসেই এর পরিমাণ বেড়েছে। ২০২৪ সালের জুলাই শেষে ব্যাংকের বাইরে থাকা টাকার পরিমাণ ২ লাখ ৯২ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছায়। তবে সেপ্টেম্বর থেকে সেই টাকা ধীরে ধীরে ব্যাংকে ফিরতে শুরু করেছে।
গত জুন শেষে ব্যাংকখাতে মোট আমানতের পরিমাণ ছিল ১৭ লাখ ৪২ হাজার ৭৯৮ কোটি টাকা। ডিসেম্বর শেষে তা ৩৪ হাজার ৫১৭ কোটি টাকা বা প্রায় ২ শতাংশ বেড়েছে। ডিসেম্বর শেষে ১৭ লাখ ৭৭ হাজার কোটি টাকার আমানত ছিল ব্যাংকগুলোর কাছে। এর বিপরীতে ব্যাংকগুলোর বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ছিল প্রায় ১৭ লাখ ২ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ আমানতের প্রায় ৯৬ শতাংশই ঋণ হিসেবে বিতরণ করেছে ব্যাংকগুলো।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির অফিস ভাঙচুর

গঠনতন্ত্র বিরোধী ও বিধি বহির্ভূতভাবে গঠিত বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির স্বঘোষিত অ্যাডহক কমিটির তথাকথিত বৈষম্যবিরোধী ব্যানারে সমিতির ইস্কাটন কার্যালয় তালা ভেঙে অফিস দখল, ভাঙচুর এবং সমিতির অফিস কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছনার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সারাদেশের এ পেশার সদস্যরা।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় সমিতির অফিসে সশস্ত্র দখল, সিসিটিভি ভাঙচুর এবং গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র গায়েবের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী অনেকের ভাষ্যমতে এবং ঘটনার সময় ধারণকৃত ভিডিও ও ছবি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এ ঘটনা এবং সশস্ত্র হামলায় নেতৃত্ব দেন স্বঘোষিত এডহক কমিটির আহবায়ক ও রাজেন্দ্র কলেজের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ভিপি ড. আজিজুর রহমান এবং ১৯৯৬ সালের জনতার মঞ্চের নেতৃত্ব দানকারী সাবেক সচিব সৈয়দ মাহবুব এ জামিল, আওয়ামী লীগের ভোট কারচুপির প্রত্যক্ষ সহযোগী সচিব গ্রুপের সদস্য ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের বিতর্কিত সাবেক চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ এবং সাবেক আওয়ামী লীগ এমপি ও সচিব সচিব ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীরের একান্ত সহযোগী পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমীর গবেষণা পরিচালক ড. নুরুজ্জামান, সিদ্ধেশ্বরী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ছাত্রলীগ নেতা এবং বর্তমান যুবলীগ কর্মী মুসলিম উদ্দিন রিফাত সহ ছাত্রলীগ যুবলীগের ৫০- ৬০ জন সশস্ত্র ক্যাডার।
এছাড়াও গত ১৭ ফেব্রুয়ারি সোমবার বিকাল ৪টায় উল্লিখিত ব্যক্তিদের নেতৃত্বে সংবাদ সম্মেলনের নাম করে সমিতির অফিসে এসে পুনরায় সশস্ত্র হামলা চালানোর অভিযোগ পাওয়া যায়। এ সময় তাদের নেতৃত্বে ভাড়া করা সশস্ত্র ক্যাডারদের দ্বারা অর্থনীতি সমিতির বর্তমান দপ্তর সম্পাদক মোস্তফা আনোয়ার বুলবুল, কোষাধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলমসহ সমিতির ঢাকাস্থ ইস্কাটন অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মোবাইল কেড়ে নেওয়া এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছনা করা হয়। এই নেককারজনক হামলার সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত থেকে হামলাকারীদের থামানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির মত অর্থনীতি পেশায় নিবেদিত পেশাজীবীদের এই গৌরবময় সংগঠনের দখল, পাল্টা দখল এবং তালা ভাঙ্গার মত অপেশাদারী আচরণের তীব্র নিন্দা জানান দেশবরেণ্য অর্থনীতিবিদগণ।
জানা গেছে, জুলাই-আগস্ট বিপ্লব পরবর্তী দেশের পটপরিবর্তনের পর পূর্ববর্তী কার্যকরী কমিটি বর্তমান ২৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির কাছে অর্থনীতি সমিতির গঠনতন্ত্র অনুসারে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন। অন্তবর্তীকালীন কমিটিতে আহবায়ক হিসেবে বরেণ্য অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ এবং সদস্য সচিব হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এবং বাংলাদেশ মাইক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির বর্তমান নির্বাহী প্রধান ড. মো হেলাল উদ্দিন সহ দেশবরেণ্য অর্থনীতিবিদ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক, এবং অর্থনীতির গবেষক এবং পেশাজীবীগণ রয়েছেন, যা সমিতির সকল সদস্য দ্বারা সর্বজনগৃহীত এবং প্রশংসিত হয়েছে। দায়িত্ব নেওয়ার গত দুই মাসের মধ্যে সমিতির আর্থিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা, নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্তিকরণ, গঠনতন্ত্রের প্রয়োজনীয় সংশোধন, গবেষণা জার্নাল প্রকাশ এবং দ্রুত একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেন। কিন্তু হীন উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের অপচেষ্টা এবং অর্থনীতি সমিতির একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে স্বঘোষিত এবং বিধি বহির্ভূত এডহক কমিটি গত ১২ এবং ১৭ ফেব্রুয়ারি এই ন্যাক্কারজনক সশস্ত্র হামলা চালায় যা অর্থনৈতিক সমিতির ইতিহাসে কখনো ঘটেনি।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির মতো পেশাজীবীদের এই সংগঠনের গৌরবময় ইতিহাসের সাথে জড়িত রয়েছেন বাংলাদেশের বর্তমান প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. ইউনুস, প্রয়াত অধ্যাপক ড. মোজাফ্ফর আহমদ, বিআইডেএসের সাবেক গবেষণা পরিচালক ড. মহিউদ্দিন আলমগীর, বর্তমান শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ, বর্তমান অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিনসহ বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদগণ।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির আহবায়ক অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ডক্টর মাহবুব উল্লাহ বলেন, সমিতির যে কোন সদস্য যে কোন দাবি-দাওয়া বিষয়ে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির সাথে আলোচনা করে দাবি বাস্তবায়নের যৌক্তিক প্রচেষ্টা চালাতে পারেন। কিন্তু এ ধরনের প্রয়াস না নিয়ে যেকোনো অপেশাদার মনোভাব নিয়ে দখল কিংবা হামলা করে কিংবা জিম্মি করে কোন দাবি-দাওয়া আদায়ের হীন প্রচেষ্টা মেনে নেওয়া যায় না। তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং বর্তমান সরকারকে এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানান।
এ ব্যাপারে সদস্য সচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, আমরা নিয়মিত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে যোগাযোগ রাখছি এবং থানায় একটি জিডি করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
নতুন নোটেও থাকছে শেখ মুজিবের ছবি

শেখ হাসিনার ক্ষমতাচূত হওয়ার পর বাংলাদেশে একাধিক বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম ছিল শেখ পরিবারের নামে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের অর্ধশতাধিক স্থাপনার নাম পরিবর্তন করা। এখনো দেশের সবকটি নোট ও সারক মুদ্রায় শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি শোভা পাচ্ছে।ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আগামী ১৯ মার্চ নতুন টাকা ছাড়বে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর ব্যাংকগুলোতে নতুন নোট পাওয়া যাবে। তবে এবার বাজারে আসতে যাওয়া নোটগুলোতেও শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি থাকবে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ৫, ২০ ও ৫০ টাকার এসব নতুন নোটেও থাকছে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি।
ছোট এসব নোটের পাশাপাশি বাজারে ছাড়া ১০০, ২০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকার নতুন নোটও বিদ্যমান ডিজাইনের বলে সংশ্লিষ্টরা নিশ্চিত করেছেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংক যে নোটগুলো ছাড়বে সেগুলো নতুন করে ছাপানো হবে না। পূর্বের ছাপানো টাকাই বাজারে ছাড়বে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান দেশের একটি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হাতে এ মুহূর্তে বিপুল পরিমাণ ছাপানো নোট রয়েছে।
ছাপানো এ নোটগুলো বাতিল করলে বিপুল অংকের অর্থের অপচয় হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই অপচয় করতে চাচ্ছে না। এজন্য আগে ছাপানো নোটগুলোই ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাজারে ছাড়া হবে। তবে আগামী এপ্রিল-মে নাগাদ নতুন ছাপা নোট বাজারে আসবে।
সেই নোটের ডিজাইনও প্রস্তুত হয়েছে। নতুন ছাপা ওই নোটে শেখ মুজিবের জায়গায় ধর্মীয় স্থাপনা, বাঙালি ঐতিহ্য এবং জুলাই বিপ্লবের দোলচিত্র বা গ্রাফিতি যুক্ত হবে বলে জানা গেছে। এ মুহূর্তে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিযুক্ত প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট রয়েছে। এসব নোট পর্যায়ক্রমে বাজারে ছাড়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত রয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ব্যাংকঋণ পুনঃতফসিল বেড়েছে ১ হাজার ৯২২ কোটি টাকা

বিদায়ী ২০২৪ সালের প্রথম নয় মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল বেড়েছে ১ হাজার ৯২২ কোটি টাকা। এ খাতে নতুন করে ব্যাপক পরিমাণে খেলাপি ঋণ বাড়ায় পুনঃতফসিলের পরিমাণও বাড়ছে বলে মনে করছেন ব্যাংকারা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকগুলো ঋণ পুনঃতফসিল করেছে ২০ হাজার ৭৩২ কোটি টাকা, যা ২০২৩ সালের একই সময়ে ছিল ১৮ হাজার ৮১০ কোটি টাকা।
পুনঃতফসিল বাড়লেও ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ হু হু করে বাড়ছে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২.৮৫ লাখ কোটি টাকা, যা দেশের মোট বকেয়া ঋণের (১৬.৮৩ লাখ কোটি টাকা) ১৭ শতাংশ।
ব্যাংকাররা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় খেলাপি কম দেখাতে নানারকম ছাড় দেওয়া হয়েছে। ঋণ পুনঃতফসিলের নীতিমালা সহজ করে ২০২২ সালে পুরো প্রক্রিয়া ব্যাংকের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। তারপর থেকে ব্যাপক পরিমাণে পুনঃতফসিল বাড়ছে।
তারা আরও বলেন, পুনঃতফসিল করতে একসময় ১০-১২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট প্রয়োজন হতো। কিন্তু সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার কেন্দ্রীয় ব্যাংকে এসেই পুনঃতফসিল ব্যাংকের ওপর ছেড়ে দিয়েছিলেন। একইসঙ্গে ডাউন পেমন্টও মাত্র ২-৪ শতাংশে নামিয়ে আনেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের প্রথম নয় মাসে সবচেয়ে বেশি খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল করেছে বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলো, যার পরিমাণ ১৭ হাজার ৯৩৬ কোটি টাকা। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো পুনঃতফসিল করেছে ১ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা। বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর পুনঃতফসিল করা ঋণের পরিমাণ ১ হাজার ১২০ কোটি টাকা। তবে বিদেশি ব্যাংকগুলো এ সময় কোনো খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল করেনি।