ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবিতে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পুনর্মিলনী আগামীকাল

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ‘পুনর্মিলনী ও ফ্যামিলি গেট টুগেদার-২০২৫’ অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল শুক্রবার।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে এ মিলনমেলার আয়োজন করা হয়েছে জানা যায়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সচিব মো. আবদুল হাই। হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য ড.মো. মনজুরুল ইসলাম, সংবাদ সম্মেলনের মিডিয়া সেলের কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ড. ইকবাল হোসাইন সহ মিলনমেলা বাস্তবায়ন কমিটির অন্যান্য সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সকাল সাড়ে ৯ টায় প্রায় তিনহাজার প্রাক্তন শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে মিলনমেলার উদ্বোধন করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের নানান বিষয় নিয়ে স্মৃতিচারণ করবেন আ্যলামনাই সদস্যরা। এতে বর্তমান অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরাও অংশগ্রহণ করতে পারবে বলে জানান তারা। এ অনুষ্ঠানে ঢাকায় অনুষ্ঠিত প্রথম এলামনাইয়ের স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করা হবে।
অনুষ্ঠানে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মুহাম্মদ নাজমুল হক সাঈদীর সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি থাকবেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হোসাইন আল-মামুন, এবং হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মনজারুল আলম।
সংবাদ সম্মেলনে জানান, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের এলামনাইদের অন্যতম বড় সংগঠন কর্তৃক ঢাকাস্থ চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে গত ২৫ অক্টোবর ২০২৪ তারিখ আয়োজিত প্রথম এলামনাই সম্মিলনী ছিল এলামনাইদের এক ঐতিহাসিক গেট টুগেদার। এ সফল মহা সম্মিলনীতে আমাদের প্রাণের ক্যাম্পাসে একটি পারিবারিক গেট টুগেদারের দাবির প্রেক্ষিতে আগামীকাল অর্থাৎ ১৪ ফেব্রুয়ারি ফ্যামিলি গেট টুগেদার হতে যাচ্ছে। আমরা যে যেখানেই সফলতার সাথে যা কিছু করছি এর সকল কিছুর সাথে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান জড়িত। এ ক্যাম্পাসে আমাদের পদচারণা, সবুজ চত্বর, হলসহ সকল কিছু আমাদের হৃদয়ে প্রোথিত। এ আবেগ উচ্ছ্বাস থেকে সকলেই তাদের পরিবার নিয়ে ক্যাম্পাসে আসতে চান। দু’টি শহর থেকে বেশ দূরত্বে হওয়ায় অনেক কষ্ট সাধ্য হলেও এলামনাইদের আকাঙ্খার কথা চিন্তা করে কষ্টসাধ্য দুরুহ এ কর্মযজ্ঞের দায়িত্ব আমরা কাঁধে নিয়েছি। এ সম্মেলনে পরিবারসহ প্রায় তিন হাজার এলামনাই অংশগ্রহণ করবেন বলে আশা করছি।
বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যরা বলেন, আমরা মনে করি বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক হচ্ছে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। তারা বর্তমান প্রশাসনের কাজকে এগিয়ে নিতে সহযোগিতা করতে পারে এবং বিভিন্ন দাবিদাওয়া আদায়ে চাপ প্রয়োগকারী হিসেবে শিক্ষার্থীদের পক্ষে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে।
সর্বোপরি দলমত নির্বিশেষে সকল প্রাক্তনকে ঐক্যের আহ্বান জানান এলামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সচিব মো. আবদুল হাই।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
শপথ নিলেন পিএসসির নতুন তিন সদস্য

সরকারি কর্ম কমিশনে (পিএসসি) নতুন নিয়োগ পাওয়া তিন সদস্যকে শপথ পড়িয়েছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। রবিবার (২৪ আগস্ট) দুপুর ২টায় সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে এ শপথ হয়।
নতুন সদস্যরা হলেন—মো. মহিউদ্দিন, মুহাম্মদ শাহীন চৌধুরী (চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক) ও এম আমজাদ হোসেন (রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক)।
রবিবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি তাদের শপথবাক্য পাঠ করান। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. আজিজ আহমেদ ভূঁঞা। এ সময় আপিল বিভাগের বিচারপতি ও পিএসসির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ২০ আগস্ট সরকারি কর্ম কমিশনে (পিএসসি) তিনজন সদস্য নিয়োগ দেয় অন্তর্বর্তী সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পৃথক তিন প্রজ্ঞাপনে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক এ নিয়োগের কথা জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ১৩৮ (১) অনুচ্ছেদে বর্ণিত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি এই তিন কর্মকর্তাকে সদস্য পদে নিয়োগ করেছেন। সংবিধানের ১৩৯ (১) অনুচ্ছেদ অনুসারে তারা দায়িত্বভার গ্রহণের তারিখ থেকে পাঁচ বছর বা তাদের ৬৫ বছর বয়স পূর্ণ হওয়ার মধ্যে যা আগে ঘটে সেই সময় পর্যন্ত তারা সরকারি কর্মকমিশনের সদস্য পদে বহাল থাকবেন বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
বর্তমানে পিএসসির সদস্য সংখ্যা ১৫। এই নিয়োগের ফলে পিএসসির সদস্য সংখ্যা ১৮-তে দাঁড়াল।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি অফিসার নেবে আরএফএল গ্রুপ

শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান আরএফএল গ্রুপে ‘ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি অফিসার’ পদে ২০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহীরা আগামী ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। কোনো ধরনের কাজের অভিজ্ঞতা না থাকলেও আবেদন করা যাবে।
প্রতিষ্ঠানের নাম: আরএফএল গ্রুপ
বিভাগের নাম: ব্র্যান্ড
পদের নাম: ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি অফিসার
পদসংখ্যা: ২০ জন
শিক্ষাগত যোগ্যতা: এমবিএ অথবা বিবিএ (মার্কেটিং)
অভিজ্ঞতা: প্রযোজ্য নয়
বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে
চাকরির ধরন: ফুল টাইম
প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ
বয়স: নির্ধারিত নয়
কর্মস্থল: ঢাকা (বাড্ডা)
আবেদনের নিয়ম: আগ্রহীরা এখানে RFL Group ক্লিক করে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।
সূত্র: বিডিজবস ডটকম
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
‘ইকসু গঠন আন্দোলন’ আত্মপ্রকাশ ইবি শিক্ষার্থীদের, ধারাবাহিক কর্মসূচি ঘোষণা

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ছাত্র সংসদ (ইকসু) গঠন ও রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে ‘ইকসু গঠন আন্দোলন’ নামে নতুন প্লাটফর্মের আত্মপ্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) রাত ৯টায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসিতে (ক্যাফেটেরিয়া) সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক যাত্রা আরম্ভ করে তারা। সংবাদ সম্মেলনে আগামী শনিবার (২৩ আগস্ট) অবস্থান কর্মসূচি ও ইকসু গঠনের পক্ষে শিক্ষার্থীদের গণস্বাক্ষর গ্রহণের কর্মসূচি ঘোষণা করেন প্লাটফর্মটি।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের দাবি-২৪ এর জুলাই অভ্যুত্থানের পরে আমরা যখন বারংবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে ছাত্র সংগঠন গুলোকে ইকসু গঠনের দাবি নিয়ে যেতে দেখেছি, তখন আমরা বারবার আশায় বুক বাবলেও প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন না থাকার দোহাই দিয়ে ইকসু গঠনে অনাগ্রহ দেখিয়েছে।
আপনাদের সংবাদের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি যে, আইনে না থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সদিচ্ছা থাকলে ইকসু গঠন করা সম্ভব। কিন্তু অজানা কারণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বারবার ইকসু গঠনে অনীহা দেখিয়েছে। অথচ আমাদের চব্বিশের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের নয় দফার অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি ছিলো–প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
তারা আরও বলেন, আমাদের বারবার ভাবিয়েছে সেটা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি আদায়ের জন্য নিবেদিত ও নির্ভরযোগ্য কোন প্লাটফর্ম এখন পর্যন্ত আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে গড়ে ওঠেনি। ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলো বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে দাবি নিয়ে প্রশাসনের সাথে আলাপ আলোচনা করে দাবি-দাওয়া উপস্থাপন করলেও তার বাস্তবায়ন খুবই কম এবং তার অগ্রগতি খুব একটা হয়নি বললেই চলে।
প্রতিটি রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন শিক্ষার্থীদের। জন্য বা ক্যাম্পাস সংস্কারের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া উপস্থাপন করলেও রাজনৈতিক এজেন্ডা সমূহও এর মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত ছিল। কিন্তু রাজনৈতিক স্বার্থের বাইরে যেয়ে নিরেট শিক্ষার্থীদের জন্য যে সবসময় দাবি-দাওয়া উপস্থাপন এবং প্রশাসনের সাথে আলাপ আলোচনা করে কার্যকরী সমাধান করতে পারে সেরকম এমন একটি নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে ছাত্র সংসদ। কিন্তু অত্যন্ত হতাশা ও দুর্ভাগ্যের বিষয় যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রায় ৫০ বছরের কাছাকাছি হয়ে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো ছাত্র সংসদ গঠন করা হয়নি।
অভিযোগ তুলে তারা বলেন, শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন অধিকার নিয়ে কথা বলা, অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের জন্য উপযুক্ত বাবস্থা, ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক উন্নয়ন, বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রাখা, হলে সিট বণ্টনে প্রভোস্টকে সহযোগিতাসহ শিক্ষা ও শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট জাতীয় ইস্যুতে কথা বলার মাধ্যমে নেতৃত্বের গুণাবলি বিকাশের সুযোগ করে দেয় ছাত্র সংসদ। কিন্তু ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদের কোন অস্তিত্বই নেই। বিভিন্ন গোষ্ঠী তাদের নিজেদের স্বার্থে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হতে দেয় না।
অথচ শিক্ষক সমিতির নিয়মিত নির্বাচন হয়, কর্মকর্তা সমিতির নির্বাচন হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের ও নির্বাচন হয়; কিন্তু ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয় না। ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হওয়াতে যেমন ছাত্ররা অধিকার আদায়ে ব্যর্থ হচ্ছে, তেমনি দেশ কোনো মেধাবী নেতৃত্ব পাচ্ছে না। অপরদিকে নব্বই দশকের পর থেকে ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে ক্ষমতাসীন দলের আধিপত্য, হল দখল, গেস্টরুম কালচার থামছেই না।
তারা বলেন, বিভিন্ন সময়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিয়াশীল রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দকে আমরা দেখেছি বিভিন্ন নাবিদাওয়া উপস্থাপনের পাশাপাশি গুরুত্ব সহকারে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ইকসু গঠনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে স্মারকলিপি সিতে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ইকসু গঠনের জন্য কোন পদক্ষেপ তো নেয় ই নি বরং বারবার আইনের দোহাই দেখিয়ে ইকসু গঠনকে থামিয়ে দিয়েছে। দীর্ঘদিনের অচলায়তন ভেঙে যেভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) এবং রাকসু নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়েছে, তারই ধারাবাহিকতায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ গঠন এবং নির্বাচন অত্যন্ত জরুরী।
স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, ছাত্র সংসদ শিক্ষার্থীদের অধিকার এবং কোনমতেই এই অধিকার থেকে কোন অজুহাতে শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করা চলবে না। হুকযু কোন একক বাক্তির বা একক সংগঠনের না, ইকসু আমার, আপনার এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭ হাজার শিক্ষার্থীর। ইকসুর দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠন, সামাজিক সংগঠন, রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ দীর্ঘদিন দাবি জানিয়ে আসছিলেন তাদের উদাত্তকণ্ঠে আমাদের এই ইকসু গঠন আন্দোলন-এর সাথে একাত্মতা প্রকাশের আহ্বান জানাই।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ইকসু গঠনের স্বার্থে প্রয়োজনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের যেকোনো ব্যানার বা কর্মসূচিতে মাঠে থাকবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন প্লাটফর্মটি। তবে ৮ জনের নাম উল্লেখ করা সংবাদ সম্মেলনটি সবার প্রতিনিধিত্ব করে কিনা প্রশ্ন উঠেছে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠন ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে। অধিকাংশ শিক্ষার্থীর দাবি- ইকসু গঠনের জন্য নারী শিক্ষার্থী, সাধারণ শিক্ষার্থী, ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে ঐক্যবদ্ধ হওয়া উচিত।
অর্থসংবাদ/কাফি/সাকিব
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির প্রথম ভর্তি পরীক্ষা আজ

রাজধানীর সরকারি সাত কলেজকে একত্রিত করে গঠিত হয়েছে ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি (ডিসিইউ)। প্রতিষ্ঠানটির প্রথমবারের মতো ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আজ।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) এই পরীক্ষার মাধ্যমে প্রায় সাড়ে ১১ হাজার শিক্ষার্থী চার বছর মেয়াদি স্নাতক (সম্মান) কোর্সে ভর্তির সুযোগ পাবেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে মোট আসন সংখ্যা ১১ হাজার ১৫০টি। ভর্তি পরীক্ষা কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান, বিজ্ঞান এবং ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটে তিনটি ভাগে নেয়া হবে। আগের আবেদন, যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজে করা হয়েছিল, তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিসিইউতে গ্রহণযোগ্য হবে।
পরীক্ষার সময়সূচি
কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট: ২২ আগস্ট, বিকেল ৩টা–৪টা
বিজ্ঞান ইউনিট: ২৩ আগস্ট, সকাল ১১টা–১২টা
ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট: ২৩ আগস্ট, বিকেল ৩টা–৪টা
পরীক্ষার কেন্দ্রগুলোতে শিক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি সঙ্গে আনতে হবে। প্রবেশপত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট (https://collegeadmission.eis.du.ac.bd) থেকে ডাউনলোড করা যাবে।
পরীক্ষার কাঠামো ও পাস নম্বর
এমসিকিউ পদ্ধতিতে মোট ১০০ নম্বর
কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটে বাংলা, ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞান
বিজ্ঞান ইউনিটে পদার্থ, রসায়ন ও অন্যান্য বিষয়
ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটেও ১০০ নম্বরের এমসিকিউ
পাশ নম্বর: ৪০, তবে বাংলা বা ইংরেজিতে অন্তত ১০ নম্বর থাকতে হবে
মেধাক্রম ও ভর্তি প্রক্রিয়া
ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল, এসএসসি ও এইচএসসি নম্বর মিলিয়ে মোট ১২০ নম্বরে মেধাক্রম তৈরি করা হবে। বিষয় বরাদ্দ ২০ অক্টোবর এবং ভর্তি শেষ হবে ২৫ অক্টোবর। ক্লাস শুরু ৩০ অক্টোবর।
বিশেষ বিধান
ঢাকা কলেজে কেবল ছাত্র, ইডেন ও বদরুন্নেসা কলেজে কেবল ছাত্রী ভর্তি হবে। অন্য চার কলেজে উভয় লিঙ্গের শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারবে। মুক্তিযোদ্ধা সন্তান, উপজাতি, প্রতিবন্ধী, হরিজন-দলিত, ক্রীড়াবিদ ও হিজড়া কোটার শিক্ষার্থীদেরও ন্যূনতম পাস নম্বর থাকতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী প্রশাসক ও ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ কে এম ইলিয়াস বলেন, ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে ডিসিইউর যাত্রা শুরু হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা প্রথম দিন থেকেই একটি সুশৃঙ্খল ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার অভিজ্ঞতা পাবেন।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন নিয়ে নতুন নির্দেশনা

এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনের টাকা ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের (ইএফটি) মাধ্যমে পাঠানোর জন্য ২৩ আগস্টের মধ্যে এ মাসের বিল অনলাইনে সাবমিট করতে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর। একই সঙ্গে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভুল তথ্য দেয়ার কারণে কোনো শিক্ষক-কর্মচারীর এমপিওর টাকা ইএফটিতে পাঠানো না হলে তার দায়ভার প্রতিষ্ঠান প্রধানের ওপর বর্তাবে বলে জানানো হয়েছে।
বুধবার (২০ আগস্ট) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, শিক্ষক-কর্মচারীর এমপিওর অর্থ ইএফটিতে পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান প্রধানের দাখিল করা তথ্যই চূড়ান্ত হিসেবে বিবেচিত হবে। প্রতি মাসে যথাসময়ে প্রতিষ্ঠান প্রধান অনলাইনে বিল সাবমিট না করলে শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওর টাকা ইএফটিতে পাঠানো হবে না।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানের সাবমিট করা বিলের কপি ডাউনলোড করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান ও সভাপতির স্বাক্ষরসহ সংরক্ষণ করতে হবে।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, অধিদফতরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওর টাকা ১ জানুয়ারি থেকে ইএফটিতে দেয়া হচ্ছে এবং জুলাই মাস পর্যন্ত সরাসরি শিক্ষক-কর্মচারীদের স্ব-স্ব ব্যাংক হিসাব নম্বরে পাঠানো হয়েছে।
আগস্ট মাস থেকে এমপিও এর টাকা ইএফটিতে পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান প্রধান থেকে মাসভিত্তিক এমপিওভুক্ত জনবলের বিল সাবমিট করার ব্যবস্থা অনলাইনে যুক্ত করা হয়েছে। এক্ষেত্রে, প্রতিষ্ঠান প্রধান তার প্রতিষ্ঠানের এমপিও সংক্রান্ত কাজের জন্য ব্যবহৃত আইডি এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে ইএমআইএস সিস্টেমের এমপিও-ইএফটি মডিউলে লগ-ইন করে বিল দিতে হবে। এক্ষেত্রে, সংযুক্ত নির্দেশিকা অনুসারে তার প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেক শিক্ষক-কর্মচারীর জন্য আলাদা আলাদাভাবে বিধি মোতাবেক প্রাপ্য এমপিও এর টাকা সঠিকভাবে নির্ধারণ করে বিল সাবমিট করবেন।
দাখিল করা বিলের একটি কপি ডাউনলোড করে প্রতিষ্ঠান প্রধান ও প্রতিষ্ঠান পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি স্বাক্ষর করে নিজ প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষণ করবেন। প্রতিষ্ঠান প্রধানের দাখিল করা তথ্য অনুসারে এমপিও এর টাকা ইএফটিতে শিক্ষক-কর্মচারীদের স্ব-স্ব ব্যাংক হিসাব নম্বরে পাঠানো হবে।
প্রতিষ্ঠানের এমপিও তালিকায় বিদ্যমান শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে কেউ মৃত্যুবরণ বা পদত্যাগ করলে প্রতিষ্ঠান প্রধান সংশ্লিষ্ট মাসে বিধিমোতাবেক তার প্রাপ্যতা নির্ধারণ করে বিল সাবমিট করবেন।
এছাড়া, সাময়িক বরখাস্ত, অনুমোদনহীন অনুপস্থিতি বা অন্য কোনো কারণে বিধিমোতাবেক কোনো শিক্ষক-কর্মচারীর আংশিক বা সম্পূর্ণ বেতন কর্তন বা বন্ধ করার প্রয়োজন হলে প্রতিষ্ঠান প্রধান বিল সাবমিট অপশনে তা উল্লেখ করবেন।