ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ঢাবির ভর্তি পরীক্ষায় অসঙ্গতি, পুনরায় নেওয়ার দাবি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্রাজুয়েট ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের সেটে অমিল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে কিছু প্রশ্নের পুনরাবৃত্তি এবং একই সেটের প্রশ্নে ক্রমধারার মিল না থাকা ছাড়াও কয়েকটি ক্যাটাগরিতে আরও প্রায় শতাধিক ভুল পরিলক্ষিত হয়েছে। এসব ভুলের মধ্যে আছে বানানগত ভুল, অনুবাদে ভুল, বাক্যগঠনে ভুল এবং ব্যাকরণে ভুল। এছাড়া, বাক্যে গুরুচণ্ডালী দোষও সংগঠিত হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষার এক প্রশ্নে এমন ভুল নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা। তারা পুনরায় এই পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ভুলেভরা প্রশ্নপত্র বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের মান নিয়ে জনমনে প্রশ্ন তুলছে। এই প্রশ্নপত্র তৈরিতে যারা যুক্ত ছিলেন তাঁরা পেশাদারিত্ব এবং দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেননি। প্রশ্ন প্রণয়ণের পর এটি ভালোভাবে ক্রসচেক করে দেখা উচিত ছিলো। এই ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে।
গত শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাবির ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সেই পরীক্ষায় নিম্মোক্ত ত্রুটিসমূহ পরিলক্ষিত হয়েছে।
নির্দেশনাগত ভুল: প্রশ্নপত্রে উল্লেখিত সকল বিষয়ের প্রশ্নে শিক্ষার্থীদের উত্তর করতে হয় না। প্রশ্নপত্রের শুরুতে যেই ভুলটি লক্ষ্য করা গেছে সেটি হলো নির্দেশনাগত ভুল অর্থাৎ পরীক্ষার্থীকে কয়টি বিষয়ে উত্তর করতে হবে সেই নির্দেশনা দেওয়া ছিলো না। ফলে একজন পরীক্ষার্থীর যদি পূর্ব নির্দেশনা না থাকে তাহলে পরীক্ষাতে তিনি নিশ্চিতভাবে বিভ্রান্ত হবেন।
কাঠামোগত ভুল: পরীক্ষা শেষে বিভিন্ন সেটের প্রশ্নপত্র এক করে দেখা যায়, এক সেটের সকল প্রশ্ন একই হওয়ার কথা থাকলেও ‘এ’সেটে দুই ধরনের প্রশ্ন এসেছে। এক ধরনে চারটি প্রশ্ন পুনারাবৃত্তি হয়েছে অন্য এক ধরনে কোনো প্রশ্ন পুনরাবৃত্তি হয়নি। ফলে যে ধরনে চারটি প্রশ্ন পুনরাবৃত্তি হয়েছে সেই ধরনে স্বভাবতই এমন চারটি প্রশ্ন অনুপস্থিত ছিলো যেটি অন্য ধরনে উপস্থিত ছিলো। আবার, একই সেটের সকল প্রশ্নের ক্রমধারা ঠিক থাকার কথা থাকলেও সেটিও ঠিক ছিলো না।
তেমনিভাবে‘বি’ সেটেও দুই ধরনের প্রশ্ন হয়েছে এবং এই সেটের সকল প্রশ্নের ক্রমধারাও এক ছিলো না। তবে দুই সেটেই এই ভুলগুলো হয়েছে শুধুমাত্র ইংরেজি ও অ্যাকাউন্টিং অংশে। সি এবং ডি সেটে এই ধরনের কোন ভুল হয়নি।
বিশ্লেষণে দেখা যায়, ‘এ’ ও ‘বি’ এর প্রতিটি সেটে ১২টি প্রশ্নের ক্রমধারা ঠিক নেই। যেটি একজন পরীক্ষার্থীর রেজাল্টে বড় ধরণের ধ্বস নামিয়ে আনতে যথেষ্ট। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ওএমআর অংশটি স্ক্যান করে কম্পিউটারের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হয়। কম্পিউটারকে একটি সেটের জন্য একটি উত্তরপত্র দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী ভুল-শুদ্ধ নির্ণয় করে কম্পিটার নম্বর দেয়। ফলে একই সেটের প্রশ্নে এমসিকিউ’র ক্রমধারা ঠিক না থাকলে এবং ভিন্ন ভিন্ন প্রশ্ন থাকলে যেসব শিক্ষার্থীর হাতে ভুল প্রশ্ন গিয়েছে, তারা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
অনুবাদগত ও ইংরেজি ব্যকরণগত ভুল-প্রশ্নপত্রের বাংলা ও ইংরেজি অংশ ছাড়া বাকিসব বিষয় অর্থাৎ অ্যাকাউন্টিং, বিজনেস অর্গানাইজেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট, প্রোডাকশন ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড মার্কেটিং, ফিন্যান্স ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স অংশের করা প্রশ্ন বাংলা ও ইংরেজি ভাষা দুই ভাষাতেই করা হয়েছে।
প্রশ্নপত্র পড়ে দেখা যায়, কিছু প্রশ্নের ইংরেজি অনুবাদ ঠিকভাবে করা হয়নি। আবার এই অনুবাদ করতে গিয়ে কিছু ক্ষেত্রে ব্যকরণগত ভুলও করা হয়েছে।
বিজনেস অর্গানাইজেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট
‘নিচের কোন ধরণের নেতৃত্বে সিদ্ধান্ত গ্রহণে অন্যদের পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়? (Which type of leadership style give full freedom to take decision to others?)’
এখানে দুইটি ভুল করা হয়েছে। প্রথমত ‘সিদ্ধান্তগ্রহণ’ একশব্দে হবে। আর give এর সাথে s যুক্ত হয়ে gives হবে।
‘কোনটি স্থায়ী পরিকল্পনা? (Which one of the following is standing plan)’
এই প্রশ্নের সঠিক অনুবাদ হবে- Which is the standing plan?
প্রোডাকশন ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড মার্কেটিং অংশ
‘পণ্যের জীবনচক্রের কোন স্তরে এসে বিক্রয় প্রবৃদ্দি কমতে থাকে? (At what stage is the product lifecycle do the sales growth start to slowdown?)’
এখানে is এর স্থলে of, do এর স্থলে does এবং slowdown এর স্থলে slow down হবে।
অ্যাকাউন্টিং এর লিখিত অংশ-
‘কোন অনুপাতটি একটি কোম্পানির স্বল্পমেয়াদি দায় পরিশোধের ক্ষমতা পরিমাপ করে? (Which ratio measures a company’s ability to pay short-term liabilities)’
এখানে ‘স্বল্পমেয়াদী’ বানান ভুল লেখা হয়েছে। আর ইংরেজিতে ব্যাকরণগত ভুল হয়েছে। সঠিক ইংরেজি হবে,Which ratio Does measure a company’s ability to pay short-term liabilities?
বিজনেস অর্গানাইজেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট এর লিখিত অংশ:
‘কর্পোরেশনের ক্ষেত্রে দ্বৈতকর বলতে কি বুঝায়? (What is the double taxation in the context of coporation?)’
এখানে ‘কী’ এর স্থলে ‘কি’ লিখা হয়েছে। এছাড়া বাংলা অনুবাদ ভুলভাবে করা হয়েছে। সঠিক অনুবাদ হবে- ‘What is meant by double taxation in corporation?’
প্রোডাকশন ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড মার্কেটিং লিখিত অংশ
‘পণ্য ও সেবার মধ্যে পার্থক্য কর। (What is the basic difference between product and service?)’ এটির সঠিক অনুবাদ হবে- Diffrentiate between product and service.
পুরো প্রশ্নপত্রে এই ধরনের আরও অনেক ভুল পরিলক্ষিত হয়েছে।
বানানগত ভুল: প্রশ্নপত্রের বিভিন্ন অংশে ‘কি’, ‘কর’, ‘নীচের’, ‘একত্রিকরন’, ‘অধিগ্রহন’, ‘গড়ব্যায়’, ‘কাচামাল’, ‘স্বারকলিপি’, ‘স্বত্ত্বগত শব্দগুলো ভুল বানানে লেখা হয়েছে যেগুলোর শুদ্ধরূপ হবে যথাক্রমে- ‘কী’, ‘করো’, ‘নিচের’, ‘একত্রীকরণ’ ‘অধিগ্রহণ’, ‘গড়ব্যয় ‘,‘কাঁচামাল’,‘স্মারকলিপি’,‘স্বত্বগত’। এছাড়া, লিখিত অংশে প্রশ্ন করা হয়েছে ‘মূলধনী লাভ বলিতে কি বুঝায়?’ এখানে গুরুচণ্ডালি দোষ হয়েছে। আর একাধিক জায়গায় ‘কী’ এর স্থলে লেখা হয়েছে ‘কি’।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সিনিয়র শিক্ষক বলেন, এই ধরণের ভুলেভরা প্রশ্নপত্র অপেশাদারিত্বের ইঙ্গিত দেয়। এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করেছে। এটির দায় ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন কখনো এড়াতে পারেন না। তার উচিত হলো সকল দায়-দায়িত্ব স্বীকার করে পদত্যাগ করে ক্ষমা চাওয়া।
শিক্ষার্থী, দেশ, মেধার বিকাশ এবং ন্যায্যতার স্বার্থে এই পরীক্ষা দ্বিতীয়বার নেওয়া উচিত বলে মনে করেন এই শিক্ষক।
তিনি বলেন, দ্বিতীয়বারের পরীক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজ দায়িত্বে সকল খরচ বহন করা উচিত।
পরীক্ষার প্রধান সমন্বয়কারী যা বলছেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রে কাঠামোগত ত্রুটি হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন ইউনিটের প্রধান সমন্বয়কারী ও অনুষদের ডিন ড. মাহমুদ ওসমান ইমাম। গতকাল তিনি গণমাধ্যমে বলেন, ‘এ’ সেটের দ্বিতীয় পৃষ্ঠার কিছু প্রশ্ন ‘বি’ সেটে এবং ‘বি’ সেটের দ্বিতীয় পৃষ্ঠার কিছু প্রশ্ন ‘এ’ সেটে ছাপা হওয়ায় নির্দিষ্ট কয়েকটি প্রশ্ন পুনরাবৃত্তি হয়েছে ও ধারাবাহিকতা বিঘ্নিত হয়েছে।
মাহমুদ ওসমান বলেছেন, ভুল প্রশ্নপত্র চিহ্নিত করার কাজ চলছে এবং এটি দ্রুত সমাধান করা হবে। শিক্ষার্থীদের কোনো ক্ষতি হবে না, বরং তাদের স্বার্থ নিশ্চিত করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কাঠামোগত এই ভুলের সমাধানের বিষয়ে রবিবার অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যানের সাথে বৈঠক করেছেন ডিন মাহমুদ ওসমান।
দ্বিতীয়বার পরীক্ষা নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা জানতে চাইলে মাহমুদ ওসমান জানান, না, দ্বিতীয়বার পরীক্ষা নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা আমাদের নেই। যেটি পরীক্ষা নেওয়া ছাড়াই সমাধানযোগ্য সেখানে আমরা নতুন করে পরীক্ষা নিতে যাবো কেন?
তবে কী পদ্ধতি অনুসরণ করে এই কাঠামোগত ভুলের সমাধান করা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপাতত আমরা সেটি রিভিল (প্রকাশ) করছি না। সময় হলে আমরা আপনাদের জানাবো।
বানান, অনুবাদ এবং ব্যাকরণগত ভুলের বিষয়ে ডিন ড. মাহমুদ ওসমান ইমাম বলেছেন, ঠিক, এসবে আমাদের কিছু ভুল হয়েছে। সামনে আমরা এসব বিষয়ে আরও সতর্ক থাকবো।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
শিক্ষার্থীদের আকাঙ্ক্ষা বিরোধী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ ইবি ছাত্রদলের
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রশাসন কর্তৃক শিক্ষার্থীদের আকাঙ্ক্ষা বিরোধী পূর্ব ঘোষিত বিধি-নিষেধের প্রজ্ঞাপন জারি’র প্রতিবাদ জানিয়েছে শাখা ছাত্রদল।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ ও সদস্য সচিব মো. মাসুদ রুমী মিথুন এক যৌথ বিবৃতিতে এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের উপর বিধি নিষেধ আরোপ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তর। তাদের মতে বিজ্ঞপ্তিটি সম্পূর্ণ জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী স্বাধীন বাংলাদেশের চেতনার পরিপন্থী। সবার সমাবেশ করার স্বাধীনতা, সংগঠনের স্বাধীনতা সংবিধান কর্তৃক স্বীকৃত। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিয়মের অজুহাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠনগুলোকে অদৃশ্য শৃংখলে আবদ্ধ করার হীন চেষ্টা করছে বলে মনে করে ইবি শাখা ছাত্রদল।
তারা বিবৃতিতে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য শর্তাবলী ইবি ছাত্রদল প্রত্যাখ্যান করছে। একই সাথে উক্ত বিবৃতির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সেই সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী, ছাত্র সংগঠন (নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ ব্যতীত), জেলা কল্যাণ সমিতি ও সামাজিক সংগঠনের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনার পূর্ণ স্বাধীনতা দাবি করছে ইবি শাখা ছাত্রদল।
উল্লেখ্য, গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের জন্য ক্যাম্পাসের মধ্যে যে কোনো অনুষ্ঠান পালনে কিছু শর্ত জুড়িয়ে দেয় ছাত্রউপদেষ্টা দপ্তর। শর্তগুলো হলো- ক্যাম্পাসের মধ্যে যে কোনো অনুষ্ঠানের অনুমতির জন্য ছাত্র-উপদেষ্টা/প্রক্টর বরাবর আবেদন করতে হবে, বিকাল ৪ টার মধ্যে অনুষ্ঠান শেষ করা, অনুষ্ঠান করার জন্য কম পক্ষে ৫ কর্মদিবসের মধ্যে অনুমতির জন্য আবেদন করা ও বিশ্ববিদ্যালয় সাপ্তাহিক ও অন্যান্য ছুটি থাকাকালীন কোনো অনুষ্ঠান করা যাবে না।
এছাড়া ক্লাস-পরীক্ষার বিঘ্ন ঘটে এমন কোনো সাউন্ড সিস্টেম বাজানো যাবে না, জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতির অনুষ্ঠানের জন্য আবেদনে স্ব-স্ব সমিতির উপদেষ্টার সুপারিশ থাকতে হবে এবং বিভাগের শিক্ষার্থীদের যে কোনো অনুষ্ঠানের জন্য আবেদনে স্ব-স্ব বিভাগীয় সভাপতির সুপারিশ থাকতে হবে।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবি সাহিত্য সংসদ’র নেতৃত্বে হাসেম-সৌরভ
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) সাহিত্য সংসদ’র পঞ্চম কর্মপর্ষদ গঠিত হয়েছে। এ কমিটিতে সভাপতি হিসেবে বাংলা বিভাগের ২০-২১ শিক্ষাবর্ষের মো. হাসেম আলী সেখ ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অর্থনীতি বিভাগের ২০-২১ শিক্ষাবর্ষের সৌরভ কুমার দত্ত মনোনীত হয়েছেন।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকালে সংগঠনটির উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক ড. শেখ মো. রেজাউল করিম, সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ কমিটি ঘোষণা করেন সাবেক সভাপতি পলাশ হোসেন।
এ কর্মপর্ষদে সহ-সভাপতি হিসেবে সোহেলী তাবাসসুম জান্নাত ও মো.রেহেনুল ইসলাম চমক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নুসরাত জাহান তুসমি, সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে সায়েম আহমেদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে মো. মাহফুজ হোসেন, দপ্তর সম্পাদক হিসেবে মূসা ইব্রাহিম, সহ-দফতর সম্পাদক হিসেবে ধ্রুব আহমেদ রনি, অর্থ-সম্পাদক হিসেবে আব্দুল্লাহ আল সদর, সহ অর্থ সম্পাদক হিসেবে তানজিলা জাহান সুখী, গ্রন্থার-সম্পাদক হিসেবে মো. সাকিব আল হাসান, সহ গ্রন্থাগার হিসেবে মাহাদি হাসান, পাঠচক্র সম্পাদক হিসেবে মো. সোহানুর রহমান, প্রচার সম্পাদক হিসেবে সানজিদ আহমেদ, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে মেহেনাজ আফরিন মেঘ মনোনীত হন।
এছাড়া, কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে শিশির কবির, সোহানুর রহমান শাওন, যুক্ত্য যতি গোলদার, তাসনিম বিনতে হারুন ও তাসকিয়া মুরসালিনকে মনোনীত করা হয়।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সৌরভ কুমার দত্ত বলেন, চিন্তা ও চর্চায় বুদ্ধির মক্তি হোক সাহিত্যে স্লোগানকে ধারণ করে সংগঠনটি তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠচক্র ও সাহিত্য বিষয়ক বিভিন্ন কার্যক্রম সুনামের সাথে পরিচালনা করে আসছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে যে কয়টি সংগঠন বুদ্ধিভিত্তিক বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে তাদের মধ্যে ইবি সাহিত্য সংসদ অন্যতম।
সংগঠনটির সভাপতি মো. হাসেম আলী সেখ বলেন, একটি সংগঠন পরিচালনার জন্য সংগঠনের প্রতিটি সদস্য ও কার্যনির্বাহী সদস্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আজকে আমাদের নতুন যে কমিটি প্রদান করা হয়েছে। সবার প্রতি আহ্বান থাকবে আন্তরিকতার সাথে তাদের উপর অর্পিত দায়িত্বসমূহ যথাযথ ভাবে পালন করে ইবি সাহিত্য সংসদকে আরো গতিশীল ও প্রাণবন্ত করে গড়ে তুলবে।
প্রসঙ্গত, ইবি সাহিত্য সংসদ ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে সাহিত্য বিষয়ক বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে। সংগঠনটির উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে রয়েছে ‘শব্দতট’ নামে সাহিত্য পত্রিকা প্রকাশ, বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিনির্ভর দেয়ালিকা প্রকাশ এবং ‘অতন্দ্র’ নামে সাময়িকী প্রকাশ। এছাড়া নানামাত্রিক জ্ঞানার্জন ও তরুণ লেখক সৃষ্টির উদ্দেশে নিয়মিত পাঠচক্র ও সাহিত্য আড্ডার আয়োজন করে আসছে সংগঠনটি।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
প্রাথমিকে ‘সহকারী শিক্ষক’ পদ বিলুপ্তির সুপারিশ
সরকারি ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদ বিলুপ্ত করার সুপারিশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে গঠিত কনসালটেশন (পরামর্শক) কমিটি।
সুপারিশ অনুযায়ী- প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শুধু ‘শিক্ষক’ পদবি নিয়ে কর্মজীবন শুরু করে পরবর্তীতে ‘সিনিয়র শিক্ষক’ হিসেবে পদোন্নতি দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টাকে এ সুপারিশ সংবলিত প্রতিবেদন জমা দেয় পরামর্শক কমিটি। পরে বিকেল ৫টায় এ নিয়ে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।
এসময় পরামর্শক কমিটির সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। ৯ সদস্যের এ পরামর্শক কমিটি দেশে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে মোট ১৪টি সুপারিশ করেছে।
শিক্ষক ও মাঠপর্যায়ের শিক্ষাকর্মীদের পেশাগত মর্যাদা, পদোন্নতি ও পেশাগত অগ্রগতির ব্যাপারে নির্দিষ্ট আশু পদক্ষেপের সুপারিশ করা হয়েছে।
দীর্ঘমেয়াদে প্রাথমিক শিক্ষকসহ বিদ্যালয় শিক্ষকদের স্বতন্ত্র মর্যাদা ও উচ্চতর বেতন কাঠামো বিবেচনা করার সুপারিশ করে কমিটি। এ উদ্দেশ্যে আশু উদ্যোগ নেওয়ারও সুপারিশ করা হয়।
পরামর্শক কমিটির সুপারিশে শিক্ষকদের বেতন বিষয়ে বলা হয়েছে, বর্তমানে শিক্ষকরা ১৩তম গ্রেডে আছেন। প্রধান শিক্ষকদের জন্য সরকার ১১তম গ্রেড দিয়েছে। প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে পদায়নের দাবি উচ্চ আদালতে সমর্থন পেয়েছে। কিন্তু সরকার এ ব্যাপারে রিভিউ আবেদন করেছে।
সমগ্র পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষকদের স্বতন্ত্র মর্যাদা ও উচ্চতর বেতন কাঠামো প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত কমিটির অন্তর্বর্তী সুপারিশ হলো- শিক্ষক পদে প্রবেশ ১২তম গ্রেডে, দুই বছর পর স্থায়ীকরণ, আরও দুই বছর পর ১১তম গ্রেডে সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতি।
প্রধান শিক্ষকের ক্ষেত্রে যে সুপারিশ
সরকারের রিভিউ আবেদন প্রত্যাহার ও প্রধান শিক্ষকের জন্য ১০ম গ্রেড নির্ধারণ ও সকল প্রধান শিক্ষক পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়োগ। শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষক নিয়মানুসারে উচ্চতর স্কেল পাওয়ার যোগ্য হবেন। সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ বৃদ্ধি করা যেতে পারে ও সিনিয়র শিক্ষকদের মধ্য থেকে দায়িত্বভাতাসহ পদায়ন করা যেতে পারে।
মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্ষেত্রে পদোন্নতিযোগ্য পদসমূহ ও শূন্যপদ আশু পূরণ, সমন্বিত গ্রেডেশন, পারস্পরিক বদলি, আঞ্চলিক অফিস স্থাপন এবং প্রাথমিক শিক্ষা ক্যাডার সার্ভিস বিষয়ে সুপারিশ করা হয়েছে।
সুপারিশ প্রতিবেদনের শেষাংশে বলা হয়, শিক্ষা সংস্কারের জন্য কোনো সহজ জাদুকরী সমাধান নেই। প্রস্তাবিত সুপারিশের বিষয়ে সরকারকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে সমন্বিত বাস্তবায়ন কর্মপরিকল্পনা হাতে নিতে হবে। পঞ্চম প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কার্যক্রম ও সরকারের বার্ষিক বাজেট হবে সুপারিশ বাস্তবায়নের প্রধান বাহন।
গত অক্টোবরে প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা সংস্কারে পরামর্শক কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক মনজুর আহমেদকে। কমিটিতে একজন সদস্যসচিব ও ৭ জন সদস্য ছিলেন।
কমিটির সদস্যরা হলেন- প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ও সাবেক সচিব খোন্দকার মো. আসাদুজ্জামান, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সাবেক মহাপরিচালক মো. রফিকুজ্জামান, সাবেক অতিরিক্ত সচিব ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পিইডিপি-২ এর সাবেক যুগ্ম প্রোগ্রাম পরিচালক চৌধুরী মুফাদ আহমেদ, গণসাহায্য সংস্থার পরিচালক (শিক্ষা) বেগম সামসি হাসান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্র্যাক শিক্ষা উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইরাম মারিয়াম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ মাহবুব মোরশেদ এবং শিবরাম আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. নূরুল আলম।
এছাড়া প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (বিদ্যালয়) ছিলেন কমিটির সদস্যসচিব হিসেবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ৯৮ শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দিলো ছাত্রশিবির
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রাজধানীর ৩টি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৮ জন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীকে ‘অদম্য মেধাবী সংবর্ধনা’ প্রদান করা হয়েছে। এ সময়, জুলাই অভ্যুত্থানের ওপর নির্মিত ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় ‘মেধা ও সততায় গড়ব সবার বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বর্ষের মোট ৯৮ জন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মেধাবী শিক্ষার্থীকে ক্রেস্ট ও উপহার দেন ছাত্রশিবির। এ সময় নেতারা শিক্ষার্থীদের না বলা গল্পগুলো দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন জার্নালে প্রকাশের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ বিভাগের শিক্ষার্থী এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করা মানবাধিকার কর্মী ইবনু আহমেদ বলেন, আমাদের পথচলা যেন আরও মসৃণ হয়, আমাদের পথচলা সহজ করতে আপনারা স্বপ্ন সারথি হয়ে কাজ করুন। আমাদের রাজনৈতিক অধিকার নেই, আমরা আমাদের কথাগুলো প্রকাশ করতে পারি না। আমি আবেদন জানাই, ইনক্লুসিভ বাংলাদেশ গড়তে আমরা যেন সমানভাবে সুযোগ পাই।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য এবং ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, একজন সাধারণ মানুষ যেমন সুবিধা ভোগ করে, তারা যেমন দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে যেতে পারে তেমনই আপনারাও বঙ্গভবন, গণভবন ও জাতীয় সংসদে যাবেন ইনশাআল্লাহ। বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবির আপনাদের সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।
প্রধান অতিথি মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ড. মোহাম্মদ আব্দুর রব বলেন, হোমার ছিলেন অদম্য, তাকে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা আটকে রাখতে পারেনি। হেলেন কিলার এবং স্টিফেন হকিংও শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ ছিলেন না। কিন্তু এই ৩ জনই সারা বিশ্বে স্মরণীয় ও বরণীয় হয়েছেন। তারা তাদের কাজের মাধ্যমে মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা তাদের আটকাতে পারেনি। আমি আশাবাদী, তোমরাও তাদের মতো কাজের মাধ্যমে দেশবিদেশে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
তিনি বলেন, একসময় এই ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব ছিল। ক্যাম্পাসে লাশের মিছিল হতো। কিন্তু এখন ক্যাম্পাসে সম্প্রতি বজায় আছে, গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরে এসেছে, আল্লাহর বাণী উচ্চারিত হচ্ছে। ছাত্রশিবির তাদের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এমন একটা মহৎ কাজ করছে সেজন্য তাদের শুভকামনা জানাই।
সভাপতির বক্তব্যে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত আসতে আপনাদের অনেক বাঁকা কথা সহ্য করতে হয়েছে। তবুও আপনাদের অদম্য ইচ্ছা ও মেধার স্বাক্ষর রেখে দেশসেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াশোনা করছেন। আপনাদের সামনের দিনগুলো যেন আরও সহজতর হয় সেই কামনা করি। এসময় তিনি বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন এই শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন এবং তাদের প্লাটফর্মকে শক্তিশালী করার জন্য শিবিরের ৩টি সেক্টর কাজ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দামের সঞ্চালনায় বুয়েটের অধ্যাপক ড. ফখরুল ইসলাম, ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ডা নজরুল ইসলাম, সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য প্রদান করেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবিতে বায়োমেড ইনোভেটস’র যাত্রা শুরু
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের নতুন সংগঠন বায়োমেড ইনোভেটস এর নতুন কমিটি প্রদান করা হয়েছে। এ কমিটিতে বায়োমেড’র সভাপতি হিসেবে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. খায়রুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ২০-২১ শিক্ষাবর্ষের মো. ইয়াকুব আলী দায়িত্ব পালন করবেন।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. খাইরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে তথ্যটি জানা যায়।
কমিটিতে সহ-সভাপতি হিসেবে মো. মাহফুজুর রহমান শাকিল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনায়েম খান মনির, সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে ইসমাতুল ফেরদৌস লিভা, যুগ্ম সাংগঠনিক হিসেবে সম্পাদক মাশরুর আলম কাব্য, কোষাধ্যক্ষ হিসেবে ফয়সাল আহমেদ, যুগ্ম কোষাধ্যক্ষ হিসেবে আফরা আঞ্জুম জেনিন, দপ্তর সম্পাদক হিসেবে উনিত চকমা শুভ্র, প্রচার সম্পাদক হিসেবে মো. শিহনজার রহমান মাহিম, গবেষণা ও উদ্ভাবন সম্পাদক হিসেবে মো. শাকিব আল হাসান, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক হিসেবে মো. তৌহিদুল ইসলাম, শিক্ষার্থী কল্যাণ সম্পাদক হিসেবে শাহারিয়ার হাসান সাকিব, সাংস্কৃতিক সম্পাদক হিসেবে সুরাইয়া সুলতানা আনিকা দায়িত্ব পালন করবেন।
এ ছাড়াও নির্বাহী সদস্যরা হলেন মো. আসিফ সিদ্দিক জিম, সেলিম খান, লাবিব রহমান, মো. সায়েম হোসেন, সুমাইয়া আক্তার।
এবিষয়ে সাধারণ সম্পাদক মো. ইয়াকুব আলী বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৭-১৮ সেশনে বিএমই (বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং) বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং বর্তমানে এখানে সাতটি সেশনের কার্যক্রম চলছে। এ বিভাগের শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ‘BME Innovates’ ক্লাব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পূর্ণ হচ্ছে, যা শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করে শিক্ষার্থীদের অধিকার ও চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে কাজ করবে।
এবিষয়ে সহ সভাপতির মো. মাহফুজুর রহমান শাকিল বলেন, বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৫৯তম একাডেমিক মিটিং এর মাধ্যমে “বায়োমেড ইনোভেটস” ক্লাব টির যাত্রা শুরু, এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। আজকের এই আয়োজনটি আমাদের বিভাগের জন্য একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। বায়োমেড ইনোভেটস ক্লাবের উদ্দেশ্য হলো বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিভিন্ন ধারণা, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনাকে একত্রিত করে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে সৃজনশীলতা ও নতুন চিন্তার বিকাশ ঘটানো। এই ক্লাবের মাধ্যমে ছাত্ররা তাদের পড়াশোনার সাথে বাস্তব জীবনে প্রয়োগযোগ্য জ্ঞান অর্জন করতে পারবে, এবং ক্লাবটি তাদের বৈজ্ঞানিক গবেষণা, প্রকল্প এবং উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
নব সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. খাইরুল ইসলাম বলেন, বায়োমেডিকেল ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের সকল এক্সট্রা কারিকুলাম কার্যক্রম যদি ক্লাবের মাধ্যমে করা যায় তাহলে সকল শিক্ষার্থীদের নিয়ে আরো সহজভাবে এবং সবার উপস্হিতিতে ভালোভাবে কাজগুলো সম্পন্ন করা যাবে।বায়োমেডিকেল ইন্জিনিয়ারিং বিভাগ রিসার্চের দিকে বেশ অগ্রাণী ভূমিকা পালন করতেছে।সেক্ষেত্রে ক্লাবের মাধ্যমে আমরা যদি সকল শিক্ষার্থীদের কে সম্পৃক্ত করতে পারি তাহলে রিসার্চ এর দিকে আরো বেশী এগিয়ে যেতে পারবো। এছাড়াও খেলাধূলা সহ অন্যান্য বিভিন্ন কার্যক্রম ক্লাব এর মাধ্যমে করা যেতে পারে।
উল্লেখ্য, ৫৯তম একাডেমিক সভায় ১৯ সদস্যের কমিটি অনুমোদনের মাধ্যমে এর যাত্রা শুরু হয়। আগামী দিনের কর্মপরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে বিএমই ফেস্ট, সেমিনার, প্রোগ্রামিং ওয়ার্কশপ, গবেষণা সেমিনার এবং স্পোর্টস উইক আয়োজন। এই সব উদ্যোগ বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অগ্রগতি ও শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম