বীমা
বিআইএ’র নির্বাচন: লাইফ বীমার ৫ জনের মনোনয়ন প্রত্যাহার
![বিআইএ’র নির্বাচন: লাইফ বীমার ৫ জনের মনোনয়ন প্রত্যাহার সূচক](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2025/02/BIA.jpg)
বীমা মালিকদের সংগঠন বিআইএ’র নির্বাহী কমিটির নির্বাচনে ৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এর মধ্যে লাইফ বীমায় ৫ জন এবং নন-লাইফে ১ জন। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা ৩টার মধ্যেই তারা নিজেদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা লাইফ বীমার ৫ প্রার্থী হলেন- প্রোগ্রেসিভ লাইফের ভাইস চেয়ারম্যান বজলুর রশীদ, বেস্ট লাইফের পরিচালক সৈয়দ বদরুল আলম, চার্টার্ড লাইফের মুখ্য নির্বাহী এসএম জিয়াউল হক, ট্রাস্ট ইসলামী লাইফের মুখ্য নির্বাহী মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন এবং রূপালী লাইফের মুখ্য নির্বাহী মো. গোলাম কিবরিয়া। অপরদিকে নন-লাইফ বীমা খাত থেকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন রূপালী ইন্স্যুরেন্সের পরিচালক মোস্তফা কামরুস সোবহান।
লাইফ বীমায় মোট ১৪ জন প্রার্থীর মধ্যে ৫জন মনোনয়ন প্রত্যাহার করায় বাকী ৯ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে বলে জানা গেছে। নন-লাইফে ১ জনের মনোনয়ন প্রত্যাহার করায় এ খাতে মোট প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ২০ জন। ফলে নন-লাইফের নির্বাহী সদস্য নির্বাচনে হবে ভোট।
আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি বিআইএ’র ২০২৫-২০২৬ সালের নির্বাহী কমিটির সদস্য নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। গত ২২ জানুয়ারি প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই শেষে চূড়ান্ত তালিকা ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। আজ বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ছিল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন।
লাইফ বীমায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন যারা
লাইফ বীমার নির্বাহী সদস্য পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যারা নির্বাচিত হচ্ছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন- সন্ধানী লাইফের চেয়ারম্যান মুজিবুল ইসলাম, ফারইস্ট ইসলামী লাইফের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, বেঙ্গল ইসলামি লাইফের ভাইস চেয়ারম্যান আমিন হেলালী, ডেল্টা লাইফের পরিচালক আদিবা রহমান, এনআরবি ইসলামিক লাইফের পরিচালক আরিফ সিকদার, পপুলার লাইফের মুখ্য নির্বাহী বি এম ইউসুফ আলী, প্রগতি লাইফের মুখ্য নির্বাহী জালালুল আজিম, জেনিথ ইসলামি লাইফের মুখ্য নির্বাহী এস এম নুরুজ্জামান এবং ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী মো. কাজীম উদ্দিন।
নন-লাইফ বীমার ১০ সদস্য পদে ২০ প্রার্থী
নন-লাইফ বীমার প্রার্থীরা হলেন- অগ্রণী ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান কাজী শাখাওয়াত হোসেইন লিন্টু, সিটি ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান হোসেইন আখতার, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান সাঈয়্যেদ আহমেদ, প্রাইম ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেইন; প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান মো. মফিজুর রহমান, কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্সের ভাইস চেয়ারম্যান কে এম আলমগীর, ফেডারেল ইন্স্যুরেন্সের ইনভেস্টমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন জামাল, বাংলাদেশ ন্যাশনালের পরিচালক তায়েফ বিন ইউসুফ, জনতা ইন্স্যুরেন্সের পরিচালক বেলাল আহমেদ, এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী ইমাম শাহীন, বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী আহমেদ সাইফুদ্দীন চৌধুরী, গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী ফারজানা চৌধুরী, বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী মো. নূর-ই-আলম সিদ্দিকী, কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী এএনএম ফজলুল করিম মুন্সি, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী ড. এ কে এম সরোয়ার জাহান জামিল, ইসলামি কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কাজী মোকাররম দস্তগীর, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী হাসান তারেক, সাউথ এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী মোহাম্মদ নুরুল আলম চৌধুরী এবং স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী মো. আব্দুল মতিন সরকার।
অর্থসংবাদ/
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
আন্তর্জাতিক
আদানির কাছ থেকে পুরো বিদ্যুৎ সরবরাহ চেয়েছে বাংলাদেশ
![আদানির কাছ থেকে পুরো বিদ্যুৎ সরবরাহ চেয়েছে বাংলাদেশ সূচক](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/12/Adani.webp)
ভারতে আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ সরবরাহ চাইছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের একজন কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন। গত তিন মাসের বেশি সময় ধরে সক্ষমতার অর্ধেক বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে সেখান থেকে। এর কারণ হলো বকেয়া পরিশোধ ইস্যু ও শীতে চাহিদা কম থাকা।
বকেয়া পরিশোধে দেরি হওয়ার কারণে ভারতীয় কোম্পানিটি ৩১ অক্টোবর বাংলাদেশে সরবরাহ অর্ধেক করে। এরপর নভেম্বর থেকে একটি ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহ বন্ধ থাকে। সে সময় বাংলাদেশও আদানিকে অর্ধেক বিদ্যুৎ সরবরাহের কথা বলেছিল।
বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি) জানিয়েছে, বকেয়া পরিশোধের জন্য আদানিকে মাসে ৮৫ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হচ্ছে এবং এখন কোম্পানিকে দ্বিতীয় ইউনিট থেকেও সরবরাহ পুনরায় শুরু করতে বলা হয়েছে।
বিপিডিবির চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম বলেন, আমাদের বর্তমান চাহিদা অনুসারে দ্বিতীয় ইউনিটটি চালুর পরিকল্পনা করেছিল আদানির প্রতিষ্ঠান। তবে উচ্চ কম্পন ও কিছু প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে তা সম্ভব হয়নি।
তিনি বলেন, এই মুহূর্তে আমরা প্রতি মাসে ৮৫ মিলিয়ন পেমেন্ট করছি। আমরা আরও অর্থ পরিশোধের চেষ্টা করছি। আমাদের উদ্দেশ্য ওভারডিউ কমানো। এখন আদানি নিয়ে বড় কোনো সমস্যা নেই।
ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যের গোড্ডায় অবস্থিত আদানি গোষ্ঠীর কয়লাভিত্তিক এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন সক্ষমতা ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট। ৮০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার দুটি ইউনিট আছে এ কেন্দ্রে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়ে ২০১৭ সালে আদানির সঙ্গে ক্রয় চুক্তি করে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। ২০০ কোটি (২ বিলিয়ন) ডলারে নির্মিত ওই কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ ২৫ বছর কিনবে বাংলাদেশ। আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট থেকে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয় ২০২৩ সালের এপ্রিলে। দ্বিতীয় ইউনিট থেকে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয় একই বছরের জুনে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
বীমা
কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্সকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা, মুখ্য নির্বাহী নিয়োগের নির্দেশ
![কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্সকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা, মুখ্য নির্বাহী নিয়োগের নির্দেশ সূচক](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/Continental-Insurance.jpg)
২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে এখন পর্যন্ত মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ না দেয়ায় কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্সকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বীমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ। একইসঙ্গে কোম্পানিটিকে আগামী ৬০ দিনের মধ্যে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে সংস্থাটি।
বীমা আইন ২০১০ এর ১৩০ ধারা মোতাবেক এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ।
জরিমানার টাকা আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের নামে পে-অর্ডার করে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক মো. সোলায়মান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠি গত ২৯ জানুয়ারি বীমা কোম্পানিটিকে পাঠানো হয়েছে।
আইডিআরএ বলছে, ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে এখন পর্যন্ত মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ না করে বীমা আইন ২০১০ এর ৮০ ধারা লংঘন করেছে কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স। এই প্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষের ১৭৮তম সভায় বীমা কোম্পানিটির বিষয়ে বীমা আইন ২০১০ এর ১৩০ ধারা মোতাবেক ৩টি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তগুলো হলো- বিগত ১ জুলাই ২০২৪ তারিখ হতে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ না করায় কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা আরোপ; আগামী ৬০ দিনের মধ্যে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ করতে হবে; ৬০ দিনের মধ্যে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ করা না হলে পুনরায় কোম্পানিকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
বীমা
আলফা ইসলামী লাইফকে জরিমানা ও সতর্ক করলো আইডিআরএ
![আলফা ইসলামী লাইফকে জরিমানা ও সতর্ক করলো আইডিআরএ সূচক](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2025/01/alpha-islami-life.jpg)
দেশের চতুর্থ প্রজন্মের জীবন বীমা প্রতিষ্ঠান আলফা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের ৭ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বীমা খাতের নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। বীমা দাবি নিষ্পত্তিতে বার্ষিক প্রতিবেদনে মিথ্যা তথ্য প্রদান করা ও বীমা আইনের ধারার নির্দেশ পরিপালনে ব্যর্থ হওয়ায় এ জরিমানা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটিকে সতর্ক আদেশ দিয়েছে আইডিআরএ।
গত শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) আলফা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ে পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করে আইডিআরএ। এসময় প্রতিষ্ঠানটিকে জরিমানা করা হয়। আইডিআরএ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, ২০২২ সালের বীমা দাবি নিষ্পত্তি ও তামাদি পলিসি সংক্রান্ত তথ্য যাচাইয়ের নিমিত্ত পরিদর্শন করা হয়। পরিদর্শনকালে রেজিস্টারে সংরক্ষিত তথ্যে দেখা যায়, ২০২২ সালে কোম্পানির নিষ্পত্তিকৃত মৃত্যুদাবি পলিসি সংখ্যা ৪৬ টি যার বিপরীতে পরিশোধিত টাকার পরিমাণ ৫৬ লাখ ২৩ হাজার ৮১৬ টাকা। আর বীমাকারীর ২০২২ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী মৃত্যুদাবি বাবদ পরিশোধিত টাকার পরিমাণ ২৭ লাখ ২৯ হাজার ৪১৬ টাকা। মৃত্যু দাবী রেজিস্টারের সাথে বার্ষিক প্রতিবেদনে উল্লিখিত টাকার মধ্যে ২৮ লাখ ১৪ হাজার ৪০০ টাকার গরমিল পরিলক্ষিত হয়। ফলে বীমাকারী কর্তৃক দাখিলকৃত বার্ষিক প্রতিবেদনে মিথ্যা তথ্য প্রদান করায় বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ আলফা ইসলামি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডকে বীমা আইন ২০১০ এর ধারা ১৩১ মোতাবেক ২ লাখ টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়।
এছাড়া, পরিদর্শনকালে বীমাকারী আলফা ইসলামি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের সমর্পন দাবি বা প্রত্যর্পণ মূল্য বাবদ পরিশোধিত পলিসির বিস্তারিত যাচাই করে দেখা যায়, ২০২১ সালের ইস্যুকৃত ১০৬টি পলিসি ও ২০২২ সালের ইস্যুকৃত ৬৭টি পলিসির ক্ষেত্রে পলিসি গ্রহণের ২ বছর পূর্ণ না হওয়া সত্ত্বেও সমর্পন দাবি বা প্রত্যর্পণ মূল্য বাবদ মোট ৩ কোটি ২৯ লাখ ০৫ হাজার ৬৭২ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। কিন্তু বীমা আইন ২০১০ এর ধারা ৮৮ ও ৮৯ ধারা মোতাবেক লাইফ বীমা পলিসিসমূহ অন্যূন ২ বছর পর্যন্ত বলবৎ থাকলে উহার প্রত্যর্পন মূল্য অর্জন করবে। বীমাকারী কর্তৃক বীমা আইন, ২০১০ এর ধারা ৮৮ এর নির্দেশ পরিপালনে ব্যর্থ হওয়ায় আইনের ১৩০ ধারা মোতাবেক ৫ লাখ টাকা জরিমানা আরোপ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
পরিদর্শনকালে বীমাকারীর ২০১৯, ২০২০, ২০২১ ও ২০২২ সালের তামাদি পলিসির হার যথাক্রমে ৯৪ শতাংশ, ৮৫ শতাংশ, ৭৭ শতাংশ এবং ৬৪ শতাংশ পরিলক্ষিত হয় যা অত্যধিক তামাদি পলিসি বলে গণ্য হয়। অত্যধিক তামাদি পলিসি বীমা শিল্পের জন্য ক্ষতিকর বিধায় বীমাকারী কোম্পানিকে ভবিষ্যতে ইস্যুকৃত পলিসি তামাদির হার কমিয়ে আনার জন্য সতর্ক করা হয়।
জানা গেছে, বীমাকারীর রেজিস্টার (পলিসি ও দাবী) সংরক্ষন প্রবিধানমালা, ২০১৭ এর প্রবিধি ৩ অনুসারে লাইফ বীমা পলিসি (মৃত্যুদাবি, সমর্পন দাবি, পরিশোধিত ও মেয়াদ উত্তীর্ণ দাবি) সংক্রান্ত রেজিস্টার সংরক্ষণ করার বিধান থাকলেও আলফা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড যথাযথ নিয়মে রেজিস্টার সংরক্ষণ করছেনা। এই অবস্থায় রেজিস্টার যথাযথভাবে লিপিবদ্ধ ও সংরক্ষণ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এইরূপ ভুলের পুনরাবৃত্তি যেন না হয় সে বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে বলা হয়েছে।
এছাড়াও, প্রতিষ্ঠানটিকে আরোপকৃত জরিমানা বাবদ সর্বমোট ৭ লাখ টাকার পে-অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফট ‘বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ বরাবর আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রদান করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে গৃহীত অন্যান্য সিদ্ধান্তসমূহ যথাযথভাবে পরিপালনের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে আতঙ্কে নথিপত্রহীন বাংলাদেশিরা, নিউইয়র্কে গ্রেপ্তার ৪
![ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে আতঙ্কে নথিপত্রহীন বাংলাদেশিরা, নিউইয়র্কে গ্রেপ্তার ৪ সূচক](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2025/01/fdf.jpg)
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ গ্রহণের পর থেকে আতঙ্কে আছেন নথিপত্রহীন অবৈধ অভিবাসীরা। নথিপত্রহীন বাংলাদেশিরাও একইভাবে দুশ্চিন্তায়। কারণ, ২০ জানুয়ারি ট্রাম্প শপথ গ্রহণের পর থেকে নথিপত্রহীন অভিবাসীদের ধারপাকড়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যে অভিযান শুরু হয়েছে। নিউইয়র্কের ব্রুকলিন বরোর ফুলটন এলাকা থেকে চার বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস ইনফোর্সমেন্ট (আইস)।
শপথ গ্রহণের পর থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত অভিবাসন–সংক্রান্ত শতাধিক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন। জো বাইডেন আমলের ৭৮টি নির্বাহী আদেশ বাতিলসহ নতুন ৪৭টিতে স্বাক্ষর করেছেন তিনি। অবৈধ অভিবাসীদের শক্ত হাতে দমন করার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। ধরপাকড় শুরু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নানা অঙ্গরাজ্যে। নথিপত্রহীন সন্দেহভাজন অভিবাসীদের ব্যাপক মাত্রায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
নিউইয়র্কে অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করা আইন কর্মকর্তা খাদিজা মুনতাহা রুবা বলেন, নিউইয়র্কের ব্রুকলিন বরোর ফুলটন এলাকা থেকে আড্ডা দেওয়া অবস্থায় নথিপত্রহীন চার বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে আইস। এ সময় তাঁরা সাদাপোশাকে ছিলেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রত্যক্ষদর্শী এক বাংলাদেশি বলেন, ফুলটন এলাকায় আমরা আড্ডা দিচ্ছিলাম। অতর্কিতে সাদাপোশাকে কয়েকজন কর্মকর্তা এসে আমাদের পরিচয়পত্র দেখাতে বলেন।
একজন প্রতিবাদী হয়ে বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পঞ্চম সংশোধনী অনুযায়ী তিনি তাঁর পরিচয়পত্র দেখাতে বাধ্য নন। তিনি এ কথা বলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে অন্যদের ছেড়ে দেওয়া হয়। কিছুটা দূরে একই এলাকায় আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৭৮ বছর বয়সী ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০ জানুয়ারি ওয়াশিংটনে শপথ অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত অতিক্রম করে লাখ লাখ অনুপ্রবেশকারী নির্দ্বিধায় যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করে নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। সীমান্তে প্রবেশ প্রথমেই বন্ধ করা হবে। তারপর বের করে দেওয়া হবে অপরাধীদের।
ইতিমধ্যে মেক্সিকো সীমান্তে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। রাখা হয়েছে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তাব্যবস্থা। এই আদেশের আওতায় অভিবাসীদের বৈধতা দেওয়ার একটি প্রকল্পও বন্ধ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত কর্তৃপক্ষ।
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অ্যাটর্নি রাজু মহাজন বলেন, ট্রাম্পের বেশ কয়েকটি নির্বাহী আদেশে বাংলাদেশিরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। যাঁরা ব্রাজিল, আর্জেন্টিনাসহ দক্ষিণ আমেরিকার পথ ধরে মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে ঢুকতেন, সেই পথ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে। আগে সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে বৈচিত্র্যকে গুরুত্ব দেওয়া হতো। সে হিসাবে অভিবাসীরা বিভিন্ন জায়গায় চাকরির ব্যাপক সুযোগ পেয়েছেন। এখন থেকে মেধার ভিত্তিতে সেসব নিয়োগ নির্ধারিত হবে। ফলে ছাটাই হতে পারেন অসংখ্য বাংলাদেশি।
সংবিধানের তোয়াক্কা না করে নির্বাহী আদেশ জারি করে জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের একটি বিধানও বাতিল করেছেন ট্রাম্প। এতে এখন থেকে ৩০ দিন পর যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া অবৈধ অভিবাসীদের সন্তানেরা দেশটির নাগরিকত্ব পাবে না। তবে ইতিমধ্যে এই নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধে ২৪টি রাজ্য ও শহরে মামলা হয়েছে। যেহেতু এটা মার্কিন সংবিধানের চতুর্দশ সংশোধনের বিরুদ্ধে যায়, সে কারণে হাইকোর্ট এটি বাতিল করে দিতে পারে।
খাদিজা মুনতাহা বাংলাদেশিদের সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেন, আইন প্রয়োগকারী কোনো সংস্থার সদস্যরা জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাঁদের সহযোগিতা করতে হবে। অন্যের ওয়ার্ক পারমিট দিয়ে কাজ করা বন্ধ করতে হবে। এই কঠিন সময়ে অহেতুক পুলিশি অথবা অন্য কোনো বিবাদ অথবা ঝামেলায় জড়ানো যাবে না।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বাঙালি–অধ্যুষিত এলাকার সড়ক ও রেস্তোরাঁয় যেখানে অসংখ্য মানুষের ভিড় দেখা যেত, এখন সেখানে লোকজনের ভিড় নেই বললেই চলে। ইতিমধ্যে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
বীমা
আকিজ তাকাফুল লাইফের সিইও পদে আলমগীর চৌধুরীর নিয়োগ প্রস্তাব বাতিল
![আকিজ তাকাফুল লাইফের সিইও পদে আলমগীর চৌধুরীর নিয়োগ প্রস্তাব বাতিল সূচক](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2025/01/akiz-takaful-insurance.jpg)
আকিজ তাকাফুল লাইফ ইন্স্যুরেন্স পিএলসির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পদে মোহাম্মদ আলমগীর চৌধুরীর নিয়োগ অনুমোদন প্রস্তাব না-মঞ্জুর করেছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। তাঁর বিরুদ্ধে জালিয়াতি এবং প্রতারণার মাধ্যমে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ সংগ্রহ করা প্রমাণিত হওয়ায় তার নিয়োগ আবেদন বাতিল করেছে আইডিআরএ।
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের ১৭৭তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আইডিআরএ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বীমা কোম্পানি (মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ ও অপসারণ ‘প্রবিধানমালা-২০১২’ এর আলোকে আকিজ তাকাফুল লাইফ ইন্স্যুরেন্স পিএলসির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পদে মোহাম্মদ আলমগীর চৌধুরীর নিয়োগের অনুমোদন প্রস্তাবের বিষয়ে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের ১৭৭তম সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এতে কোম্পানি কর্তৃক মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে প্রস্তাবিত আলমগীর চৌধুরীর নিয়োগ অনুমোদন আবেদন, তার দাখিলকৃত শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, কর্তৃপক্ষ দ্বারা তার পূর্বের দুটি কর্মক্ষেত্র হতে তদন্তপূর্বক প্রাপ্ত প্রতিবেদনসমূহের আলোকে জালিয়াতি এবং প্রতারণার মাধ্যমে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ সংগৃহীত হয়েছে প্রতীয়মান হওয়ায় সিইও পদে নিয়োগ প্রস্তাব না-মঞ্জুর করা হয়।
এমতাবস্থায়, বীমা আইন, ২০১০ এর ৮০ (৪) ধারা মোতাবেক কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা পদ একাধারে ০৩ (তিন) মাসের অধিক সময়ের জন্য শূন্য রাখা যাবে না। বিধায় ৩ মাস পূর্তির ১৫দিন পূর্বে ‘বীমা কোম্পানি (মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ ও অপসারণ) প্রবিধানমালা-২০১২’ অনুযায়ী যোগ্য মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার নিয়োগ প্রস্তাব এবং মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার অব্যবহিত নিম্নপদের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একজন কর্মকর্তাকে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করে প্রমাণসহ কর্তৃপক্ষ বরাবর প্রেরণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা করেছে আইডিআএ।
এসএম