ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
শিক্ষক হামলার প্রতিবাদে ইবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. শাহীনুজ্জামান স্যারের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগে শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ বিভাগের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেন। পরবর্তীতে উপাচার্যের অনুপস্থিতিতে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলীর নিকট স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন তারা।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, গত ২ ফেব্রুয়ারির ঘটনায় পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণদিত ভাবে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. শাহিনুজ্জামানের হামলা করা হয়। আজকে একজন শিক্ষকের গায়ে হাততোলা হয়েছে। প্রক্টর একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বচ্চ আইন কর্মকর্তা। তার গায়ে হাততোলা তোলা মানে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের গায়ে হাততোলা। যেখানে আজকে প্রক্টর স্যারের উপরে হালমা হয়েছে কাল ভিসি স্যারের উপর হামলা করবে না এটার ব্যাখ্যা কী? এটা যদি বিচার না করা হয় ভবিষ্যতে তার আরো সাহস পাবে, আরো বড়কিছু করার চেষ্টা করবে।
পরবর্তীতে স্মারকলিপিতে বলা হয়, আমরা অত্যন্ত উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে, গত ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ তারিখে বাসের সিট ধরাকে কেন্দ্র করে দুইটি বিভাগের ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালীন সময় পেশাগত দায়িত্ব পালন করা অবস্থায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. মোঃ শাহীনুজ্জামান স্যারের উপর কাপুরুষোচিত হামলা হয়েছে, আমরা এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
অধ্যাপক ড. মো. শাহীনুজ্জামান শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরই নন, তিনি একইসাথে ইইই বিভাগের বর্তমান সভাপতি। আমাদের শিক্ষক তথা বিভাগীয় সভাপতির উপর এমন বর্বরোচিত হামলা সমস্ত শিক্ষক সমাজের জন্য অবমাননাকর এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরূপ।
আমরা বিশ্বাস করি, ছাত্র-শিক্ষকের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সম্মান বজায় থাকলে তবেই একটি আদর্শ বিদ্যাপীঠের পরিবেশ তৈরি হতে পারে। শিক্ষকের উপর এই ধরনের হামলা আমাদের সেই বিশ্বাসে আঘাত হেনেছে।
আমরা ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীরা আপনার নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি যে, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এই ঘটনার প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হোক। ভবিষ্যতে যাতে এমন ন্যক্কারজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সে বিষয়েও যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আপনার নিকট জোড় দাবি জানাচ্ছি।
ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার মূল দায়িত্বশীল যিনি তার উপর যখন হামলা হয় স্বাভাবিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি প্রশ্নবৃদ্ধ হয়। তোমার ইতো মধ্যে জেনেছো এ এর জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে।অতি দ্রুতই তোমাদের দাবির একটা সমাধান আসবে। তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। তোমরা একটু ধৈর্য ধারণ করো। তোমাদের দাবির সাথে আমরা একমত। তদন্তে যারা দোষী সাবস্ত হবে তাদের উপর প্রশাসন অবশ্যই সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিবে।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব বলেন, তোমারা একটি মহানুভবতার কাজ করেছো। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের এই প্রথম শিক্ষক হামলার বিচার চেয়ে জোড়ালো প্রতিবাদ করেছো। সুষ্ঠু তদন্ত করে এই ঘটনার দৃষ্টিান্তমূলক বিচার হবে। যা বিশ্ববিদ্যালের ৪০ বছরও হয়নি এমন বিচার করবে প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিচারের কিছুটা হেরফের মনে হলে প্রয়োজনে আমরা বিচার বিভাগীয় পর্যন্ত নিয়ে যাব।
অর্থসংবাদ/সাকিব/কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
আমরণ অনশন ভাঙলেন তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীরা
আগামী ৭ দিনের মধ্যে তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় ইস্যুতে সরকার পদক্ষেপ নেবে- এমন আশ্বাসে আমরণ অনশন ভাঙলেন কলেজটির শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নুরুজ্জামান, সরকারি তিতুমীর কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক শিপ্রা রাণী মন্ডলের উপস্থিতিতে তারা অনশন ভাঙেন। এসময় অধ্যক্ষকে অনশনরত শিক্ষার্থীকে প্যাকেটজাত আমের জুস পান করিয়ে দিতে দেখা যায়।
এসময় উপস্থিত শিক্ষার্থীরা বলেন, আজকের আন্দোলনে অনেক পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন। আগামীকাল সাত কলেজের স্নাতক শ্রেণির একটি বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা আছে। সেটি স্থগিতের ঘোষণা দিতে হবে। তবে অধ্যক্ষ বিষয়টি তার এখতিয়ারে নয় বলে এসময় শিক্ষার্থীদের জানান।
একইসঙ্গে, উপস্থিত যুগ্ম সচিবকে সামনে রেখে শিক্ষার্থীরা আগামী ৭ দিনের মধ্যে তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের জন্য পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা প্রণয়ন করার দাবি জানান। এর উত্তরে যুগ্মসচিব বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করা হবে, এমন আশ্বাস দেন।
প্রসঙ্গত, সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে বেশ কয়েকমাস ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। এই দাবিতে মিছিল, সড়ক-রেলপথ অবরোধ, স্মারকলিপি প্রদান, ক্লাস বর্জনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে সম্ভাব্যতা যাচাই-বাছাই করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি বিশেষ কমিটিও গঠন করা হয়। তবে সম্প্রতি এ বিষয়ে ইতিবাচক কোন সাড়া না পেয়ে গত বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেল থেকে দাবি আদায়ে আমরণ অনশনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবিতে দুই বিভাগের সংঘর্ষের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই বিভাগের মধ্যকার সংঘর্ষে ইন্ধনদাতা হিসেবে নির্দিষ্ট কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললে যুক্তিখণ্ডন ও অবস্থান পরিষ্কার করার জন্য পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছে অভিযুক্তরা। তারা হলেন জাকারিয়া (বঙ্গবন্ধু হল), আমিরুল (জিয়া হল) ও হাসানুল বান্না (লালন হল)।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রিপোর্টার্স ইউনিটির অফিসে আনিত অভিযোগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মিথ্যা বানোয়াট বলে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে ওই অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা।
এসময় তারা বলেন, গত পরশু দিন আইন বিভাগ ও আল ফিকহের মধ্যে বাসে সিট ধরাকে কেন্দ্র করে যে একটা সমস্যা হয়েছিল, সেই রেশ ধরে আমাদের নামে বিভিন্নভাবে অপবাদ দিয়ে যাচ্ছেন।
‘অনেকে আমাদের বিরুদ্ধে একটা প্রশ্ন উঠাচ্ছে, আমরা কেন সেখানে উপস্থিত ছিলাম। সেটার উত্তর হচ্ছে- আল হাদিস বিভাগের মুস্তাফিজ স্যারের সাথে আমিরুল সফর সঙ্গী হিসেবে জামালপুর যাচ্ছিল। তখন মেইন গেইটে এরকম ঘটনা দেখে সিনিয়র শিক্ষার্থী হিসেবে সেখানে কী হচ্ছিল এবং কী ঘটতেছিল সেটা দেখার জন্য উপস্থিত ছিলাম। ওখানে আগে থেকেই জাকারিয়া ও হাসানুল বান্না উপস্থিত ছিল ঘটনাকে মিনিমাইজ করার জন্য। আমরা ব্যতীত সেখানে অনেক শিক্ষার্থীও ছিল। পাশাপাশি সমন্বয়করাও উপস্থিত ছিল। আমরা প্রথমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেছি, সেখানে যেন অপ্রীতিকর কোন ঘটনা না ঘটে। আমরা সেখানে উপস্থিত হওয়ার কারণে কিছু শিক্ষার্থীরা আমাদের উপর প্রশ্ন তুলেছে। যা মিথ্যা ও পরিকল্পিত ভাবে ফাঁসানো চেষ্টা করেছে।’
সংবাদ সম্মেলনে জাকারিয়া নামের শিক্ষার্থী বলেন, যখন প্রক্টর অফিসে মীমাংসা করার উদ্দেশ্যে অভিযুক্ত ও ভুক্তভোগীকে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন অনুষদ ভবনের সামনে অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থী সহ আল ফিকাহ ও আইনের শিক্ষার্থীরা অবস্থান করছিলেন। অথচ আমি (জাকারিয়া) একটু পিছনে ছিলাম। যখন দুই গ্রুপ সংঘর্ষে বাঁধে, তখন আসা হয়। এক্ষেত্রে এতগুলো বাহিরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আমাদের কয়েকজনের বিরুদ্ধে ইন্ধনদাতা হিসেবে কেন অভিযুক্ত করেছে? আমি মনে করি এটা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও পরিকল্পিত ভাবে আমাদের ব্যক্তিত্বকে, সম্মানকে বা মান ক্ষুণ্ণ করার লক্ষে নাম দেয়া হয়েছে।
এবিষয়ে হাসানুল বান্না বলেন, ঘটনার সম্পূর্ণ সুষ্ঠু তদন্ত হোক। ব্যক্তিগতভাবে মান ক্ষুণ্ণ করার অধিকার কেউ রাখে না। নিরাপত্তার স্বার্থে প্রক্টর স্যারকে অবহিত করে রাখবো।
এসময় আমিরুল (জিয়া হল) বলেন, অভিযোগ পত্রে আমিনুর রয়েছে। আদৌও আমার নাম কিনা সন্দিহান। যেহেতু এক সাংবাদিক আমার নাম্বারে কল দিয়েছিল তাই আসলাম। আমার মনে হয় আমার বিরুদ্ধে এরকম অভিযোগ আসার কথা না।
উল্লেখ্য, ২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেস কর্ণারে আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলন করেন। এসময় তাদের দাবি, গত শনিবার (১ জানুয়ারি) মধ্যরাতে বাসের সিট ধরাকে কেন্দ্র করে আইন বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী সুমন গাজীকে মারধর ও লাঞ্চিত করেন আল ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের শিক্ষার্থী রাকিব। এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রক্টর অফিসে বিচার দাবিতে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
তাদের অভিযোগ, এ হামলায় সরাসরি সম্পৃক্ত ও ইন্ধনদাতা হলেন, জাকারিয়া (বঙ্গবন্ধু হল), আমিনুর (জিয়া হল), হাসানুল বান্না (লালন হল)। এদের কেউ আল ফিকহ বিভাগের শিক্ষার্থী নন। এতে আইন বিভাগের কামরুজ্জামান, আহাদ, কবির, জুবায়ের, সোহানুর, নাইমুর, তালহা, বায়েজিতসহ আরো কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। এ সময় প্রক্টর তাদের নিবৃত্ত করতে আসলে হামলার মাঝখানে পড়ে যান। সেখান থেকে আইনের শিক্ষার্থীরা প্রক্টর স্যারকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসেন বলেও জানান তারা।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবিতে বিদ্যাদেবী সরস্বতীর পূজা উদযাপন
নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সরস্বতী পূজা উদ্যাপিত হয়েছে।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইবি থানা সংলগ্ন সবুজ চত্বরে প্রধান পুরোহিত কর্তৃক প্রতিমা স্থাপন ও দেবী অর্চনার মধ্য দিয়ে পূজা আরম্ভ হয়। পরে প্রধান অতিথি হিসেবে পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।
পরবর্তীতে দেবী অর্চনা ও পুষ্পাঞ্জলি প্রদান শেষে সেখানে ধর্মালোচনা অনুষ্ঠিত আরম্ভ হয়। এসময় পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের অধ্যাপক ড. অরবিন্দ সাহা সভাপতিত্ব করেন। এতে বিশেষ অতিথি উপ উপাচার্য ড. এম এয়াকুব আলী ও প্রধান আলোচক হিসেবে শ্রীমৎ চিন্মময়ানন্দ দাস মহারাজ এবং বিশেষ আলোচক হিসেবে আই.সি.টি বিভাগের অধ্যাপক ড.পরেশ চন্দ্র বর্মন উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া,আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. ওবায়দুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নয়ন কুমার রাজবংশী, ইবির আইন উপদেষ্টা এ্যাড. সুব্রত কুমার চক্রবর্তী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে আলোচকরা দেবী স্বরস্বতীর জন্ম, জীবনাদর্শ এবং বিভিন্ন গুন নিয়ে আলোচনা করেন। পরে ধর্মালোচনা শেষে দুপুরে প্রসাদ বিতরণ ও ধর্মীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পূজা শেষ হয়।
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী’সহ নিকটবর্তী স্থানীয়রা বাণী অর্চনায় প্রতিমা স্থাপন, দেবী অর্চনা ও পুষ্পাঞ্জলি প্রদান’সহ মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
অনুষ্ঠানে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এয়াকুব আলী বলেন, আমদের গ্রামে দুটি ধর্মের পাশাপাশি অবস্থান, এবং কৃষ্টি কালচারের আবর্তনে সোহার্দ্যপূর্ণ এবং শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। আমার জন্মস্থানের অর্ধেক জনগোষ্ঠী মুসলিম অর্ধেক জনগোষ্ঠী হিন্দু এবং সনাতন ধর্মাবলম্বী। আপনারা জানেন ধর্মের অবস্থানে বাংলাদেশে এই সনাতন ধর্মাবলম্বীর অবস্থান কোনক্রমেই খাটো করে দেখার নয়।
এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, জ্ঞান চর্চার কোনো দন্ড নেই। জ্ঞান চর্চার কোনো যোগ্যতা নেই যে এই ধর্মের হতে হবে এই জ্ঞান চর্চা করার জন্য। এই জন্য ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সকল ধর্মের ছাত্রদের জন্য এমন পরিবেশ তৈরি করেছে যে পরিবেশে এসে ইসলামের পাশাপাশি আধুনিক জ্ঞান চর্চা করতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, আমি মুসলমান ছাত্রদের বলবো কোনো অবস্থাতেই যেনো ভিন্ন মতাবলম্বীরা না বলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা আছে, নির্দিষ্ট কোনো গোষ্ঠীকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
শিক্ষকের উপর হামলার প্রতিবাদে ইবি ছাত্রদলের প্রতিবাদ
মধ্যরাতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বাসে সিট ধরাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ ও আল ফিকহ্ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যেকার সংঘর্ষ ঠেকাতে গিয়ে আহত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও শিক্ষক। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি ও হামলার প্রতিবাদ জানান ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, শাখা ছাত্রদল।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সংগঠনটির সদস্য রাফিজ আহমেদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, গত ১ ফেব্রুয়ারি রাতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে সিট ধরাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ ও আল ফিকহ্ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ মীমাংসা করতে গেলে মীমাংসা শেষে দুই গ্রুপের মধ্যে পুনরায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এবং পুনরায় সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। উক্ত ঘটনার জের ধরে দুই বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইইই বিভাগের শিক্ষক ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. শাহিনুজ্জামান এবং আল-হাদিস বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমানের উপর চড়াও হলে তাঁরা দুজনেই আহত হন।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. সাহেদ আহম্মেদ এবং সদস্য সচিব মো. মাসুদ রুমী মিথুন এ হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে উক্ত ঘটনায় জড়িত দোষীদের বিচারের আওতায় আনার জোর দাবি জানান।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
আজ বেলা ১১টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ব্যারিকেড কর্মসূচি
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ব্যারিকেড (অবরোধ) কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। রাজধানীর মহাখালীর ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক, রেল গেট, আমতলী মোড়, গুলশান লিংক রোড এ কর্মসূচির আওতায় থাকবে।
রবিবার (০২ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টায় কলেজের মূল ফটকের সামনে সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীদের সংগঠন তিতুমীর ঐক্যের উপদেষ্টা মাহমুদুল হাসান মুক্তার।
তিনি বলেন, রাষ্ট্র আমাদের সঙ্গে দ্বিচারিতা করছে। আমরা গতকালই আজকের অবরোধের কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলাম। কিন্তু বিশ্ব ইজতেমার জন্য বেলা ১১টা থেকে অবরোধ শিথিল করেছিলাম। সোমবার বেলা ১১টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ফের অবরোধ ঘোষণা করছি। এর আওতায় থাকবে মহাখালী, রেল গেট, আমতলী ও গুলশান লিংক রোড। এর আগে আমরা বিশেষ বিবেচনায় আমাদের কর্মসূচি শিথিল করেছিলাম। কিন্তু আগামীকাল থেকে আর শিথিল করা হবে না।
মাহমুদুল হাসান মুক্তার বলেন, সাম্প্রতিক আন্দোলনের পর আমাদের একটি ধারণা হয়েছিল যে শিক্ষার্থীবান্ধব একটি রাষ্ট্র হবে। যারা শিক্ষার্থীদের কথাগুলো চিন্তা করবে। আমাদের এসব কর্মসূচির জন্য অনেকেই আমাদের ওপর রাগ করে আছেন। আমরা তাদের কাছে ক্ষমা চাই। আমরা আপনাদের সন্তান। রাষ্ট্র আমাদের সঙ্গে দ্বিচারিতা করছে।
এসময় তিনি তিন দফা দাবি তুলে ধরেন। সেগুলো হচ্ছে—
১. তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ করতে হবে।
২. শিক্ষা উপদেষ্টার বক্তব্য অবিলম্বে প্রত্যাহার করে তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়সহ বাংলাদেশের সব উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আন্তর্জাতিক মানের উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করে যোগ্যতা বিবেচনায় নিজস্ব প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি প্রদান করতে হবে।
৩. তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন গঠন প্রক্রিয়ায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওপর আইন উপদেষ্টার চাপ সৃষ্টি করার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টির দায়ভার মাথায় নিয়ে আইন উপদেষ্টাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।
প্রসঙ্গত, সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে বেশ কয়েক মাস ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। এ দাবিতে মিছিল, সড়ক-রেলপথ অবরোধ, স্মারকলিপি প্রদান, ক্লাস বর্জনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন তারা। যার পরিপ্রেক্ষিতে সম্ভাব্যতা যাচাই-বাছাই করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি বিশেষ কমিটিও গঠন করা হয়। তবে সম্প্রতি এ বিষয়ে ইতিবাচক কোনো সাড়া না পেয়ে গত বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেল থেকে দাবি আদায়ে আমরণ অনশনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা।