জাতীয়
পাসপোর্টে ইস্যুতে থাকছে না পুলিশ ভেরিফিকেশন
পাসপোর্ট ইস্যু ও নবায়নের ক্ষেত্রে থাকছেনা পুলিশ ভেরিফিকেশন। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে পাসপোর্টের জটিলতা নিরসনের লক্ষ্যে আজ সকালে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব ড. নাসিমুল গণির সভাপতিত্বে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পাসপোর্টের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্মনিবন্ধন পাসপোর্ট ইস্যুর মূল ভিত্তি ধরা হয়। এ দুটি সঠিক থাকলে পাসপোর্ট দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো বাধা থাকার কথা নয়- উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এমন মতামত উঠে আসার পরই এ নিয়ে কাজ শুরু করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, এ বিষয়ে সভায় অনেকটা এগিয়ে গেছে। পরবর্তীতে আরেকটি সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সভায় বেশিরভাগ প্রতিনিধি পাসপোর্টে ভেরিফিকেশন উঠানোর বিষয়ে মত দিয়েছেন।
জানা গেছে, সভায় পাসপোর্ট জটিলতা নিরসনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রণয়ন করা হয়। উপদেষ্টা পরিষদের নির্দেশনার আলোকে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে এ-সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হবে। সভায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, পুলিশের বিশেষ শাখাসহ অন্যান্য বিভাগের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় উপস্থিত প্রতিনিধিদের মধ্যে ছিলেন- প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় সচিব সাইফুল্লাহ পান্না, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সচিব শেখ আবু তাহের, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সচিব, মো. রুহুল আমিন, বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল নূরুল আনোয়ার, মোহাম্মদ নুরুল, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব), এ এস এম হুমায়ুন কবীর, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তর যুগ্ম-পরিচালক, মো. জিয়াউল কাদের, অতিরিক্ত সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগ রেজিস্ট্রার জেনারেল, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন, মো. যাহিদ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক, গোলাম রসূল, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উপসচিব আমিন আল পারভেজ, বিশেষ পুলিশ সুপার, (এসবি) হায়াতুন্নবী, বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রবর্তন শীর্ষক প্রকল্প পরিচালক, মো. সাইদুর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাফি প্রমুখ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
এক বছরে মেট্রোরেলের আয় ২৪৪ কোটি টাকা
২০২৩-২৪ অর্থ বছরে টিকিট বিক্রি করে আয় হয়েছে প্রায় ২৪৪ কোটি টাকা। আর ২০২২-২৩ অর্থ বছরে আয় হয়েছে ১৮ কোটি টাকা। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) উত্তরায় মেট্রোরেলের ডিপোতে রিপোর্টার্স ফর রেল অ্যান্ড রোডের (আরআরআর) সদস্যদের সঙ্গে এক মতবিনিময়ে সভায় এ তথ্য জানান ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ।
তিনি জানান, গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে টিকেট বিক্রি বাবদ ২৪৩ কোটি ৯১ লাখ ৭ হাজার ৬২৫ আমাদের ইনকাম হয়েছে। আর ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১৮ কোটি ২৮ লাখ ৬ হাজার ৫১৪ টাকা।
মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলেন, প্রথম বছর পরীক্ষামূলক শুরু হয়েছিল। তখন চলতে আগারগাঁও পর্যন্ত। তখন ফ্রিকোয়েন্সি ছিল কম। দিনের ১০টা হয়ত ট্রেন চলেছে। আস্তে আস্তে আমরা ট্রেন বাড়িয়েছি। গত বছর আমরা পুরোটাতে চালু করেছি। আমাদের ট্রেনের টিপ এখন ২০০টি হয়ে গেছে। আগে ছিল ১০টির মতো ট্রেন। আমরা এখন শুক্রবারেও চালু করেছি, আগে যেটি ছিল না।
ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, তিন লাখ ৮২ হাজার প্যাসেঞ্জার গতকাল সর্বোচ্চ মেট্রোরেলে ভ্রমণ করেছে। সেটা অবশ্য শুরুর দিকে ছিল ১৫-২০ হাজার। আমাদের টার্গেট হচ্ছে সাড়ে ৫ লাখ যাত্রী পরিবহন করা। এটি ব্রেক ইভেন্ট পর আমাদের হবে। আমরা যদি হেডওয়ে কমাই, তাহলে এটি আর বেশি দিন দূরে নয়। আমরা যদি টঙ্গী পর্যন্ত চালু করতে পারি তাহলে আমাদের যাত্রী আরও বাড়বে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
৩ দফা দাবিতে জিপি হাউজের সামনে চাকরিচ্যুতদের বিক্ষোভ
অবৈধভাবে চাকরিচ্যুত করার অভিযোগে এবং ছাঁটাই করা শ্রমিকদের কাজে পুনর্বহাল ও মুনাফার ৫ শতাংশ বিলম্ব জরিমানাসহ ন্যায্য পাওনার দাবিতে জিপি হাউসের সামনে অবস্থান নিয়েছেন গ্রামীণফোনের চাকুরিচ্যুতরা।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে রাজধানীর বসুন্ধরায় ‘চাকরিচ্যুত ও অধিকার বঞ্চিত গ্রামীণফোন শ্রমিক ঐক্য পরিষদ’ এর ব্যানারে প্রায় ২ শতাধিক ব্যক্তি এই কর্মসূচি শুরু করেন।
এসময় তাদের ‘ন্যায্য পাওনা আদায় চাই, কারও দয়া নয়’, ‘জিপি ম্যানেজমেন্টের দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই’, ‘লড়াই লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই’, ‘এক দফা এক দাবি, ৫ শতাংশ মুনাফা দিবি’, ‘গ্রামীণফোনের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘ম্যানেজমেন্টের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘বকেয়া না দিলে, পিঠের চামড়া থাকবেনা রে, ‘জাস্টিস জাস্টিস, উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ ইত্যাদি বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করতে ও স্লোগান দিতে দেখা যায়।
অবস্থান ধর্মঘটে অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা বলেন, গ্রামীণফোন জায়ান্ট প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেদের মনস্টার ভাবে। তারা কোনো কারণ না দেখিয়ে এবং আগে কোনোধরনের নোটিশ না দিয়েই খেয়ালখুশি মতো অবৈধভাবে কর্মীদের ছাঁটাই করেছে। তারা হঠাৎ করে ই-মেইল পাঠিয়েও একদিনেই অনেককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে। এমনকি ২০১০ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৩ হাজার ৩৬০ জন কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।
চাকরিচ্যুত ও অধিকার বঞ্চিত গ্রামীণফোন শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক আবু সাদাত মো. শোয়েব বলেন, ছাঁটাই করা শ্রমিকদের পুনর্বহাল, মুনাফার ৫ শতাংশ বিলম্ব জরিমানাসহ ন্যায্য পাওনার দাবি এবং শ্রমিক স্বার্থবিরোধী কার্যক্রমে জড়িত কর্মকর্তাদের বিচারের দাবিতে আমরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
অন্যদিকে, চাকরিচ্যুত কর্মচারীদের অবস্থান কর্মসূচি ঘিরে জিপি হাউসের ভেতরে ও সামনে বাড়তি পুলিশ সদস্যদের অবস্থান দেখা গেছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন ৮ ফেব্রুয়ারি
সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি প্রকাশ করা হবে। ওই সময় করণীয় নিয়ে সুপারিশনামা পেশ করবে ৬ কমিশন। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ৬ সংস্কার কমিশন প্রধানদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকের পর সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ব্রিফিংকালে এসব তথ্য জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
এ সময় প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম, উপপ্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
আইন উপদেষ্টা জানান, সংস্কার কার্যক্রমের অগ্রগতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশন প্রধান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ছয় সংস্কার কমিশন প্রধানদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, সংস্কার কমিশনগুলোর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হবে। এদিন সংস্কার কমিশনের প্রধানরা মিলে সংস্কার কার্যক্রমে আশুকরণীয় (স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি) কী, সে সম্পর্কে সুপারিশমালা পেশ করবেন। সংস্কার কার্যক্রমের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন ও সুপারিশ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যে শক্তিগুলো রয়েছে তাদের কাছে সেদিনই পৌঁছে দেওয়া হবে।
এরপর রাজনৈতিক দল ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শরিক শক্তি বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে আলোচনা ও সমঝোতাক্রমে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আসিফ নজরুল আরও বলেন, রাজনৈতিক দল ও পক্ষ শক্তির সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে দিনক্ষণ চূড়ান্ত করা হবে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম বৈঠক কমিশন প্রধান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে সকল রাজনীতির দল ও আন্দোলনের পক্ষে সকল শক্তির প্রতিনিধিরা থাকবেন ও কমিশন প্রধানরা থাকবেন।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের ১ মাস ৩ দিনের মাথায় গত ১১ সেপ্টেম্বর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বহুল আলোচিত ৬টি প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারে সুনির্দিষ্ট কমিশন গঠনের ঘোষণা দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। এর মধ্যে নির্বাচন কমিশনের প্রধান করা হয় সুজন (সুশাসনের জন্য নাগরিক) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারকে।
পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সাবেক জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্রসচিব সফররাজ হোসেন, বিচার বিভাগ সংস্কারে গঠিত কমিশনের প্রধান সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সংস্কারে গঠিত কমিশনের প্রধান ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, জনপ্রশাসন সংস্কারে গঠিত কমিশনের প্রধান সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী এবং সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
পাচারের অর্থ ফেরাতে কানাডার সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
দেশ থেকে পাচার হওয়া বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ফেরত আনতে কানাডার সহায়তা চেয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ঢাকায় নিযুক্ত কানাডিয়ান হাইকমিশনার অজিত সিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় সম্পদ শনাক্তকরণ, জব্দ এবং পুনরুদ্ধারে সাহায্য চান তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শেখ হাসিনার একনায়কতন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত অলিগার্ক, স্বজনপোষণকারী ও রাজনীতিবিদরা বাংলাদেশ থেকে শত শত বিলিয়ন ডলার চুরি করে নিয়েছে, যার একটি অংশ টরন্টোর কুখ্যাত বেগমপাড়ায় সম্পদ কেনার মাধ্যমে পাচার হয়েছে। তারা আমাদের জনগণের অর্থ চুরি করে বেগমপাড়ায় সম্পদ কিনেছে। আমরা এসব সম্পদ পুনরুদ্ধারে আপনার সহায়তা চাই। এটি আমাদের জনগণের অর্থ।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে নিউইয়র্কে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে সাক্ষাতের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে আরও বেশি কানাডীয় বিনিয়োগ দরকার। বাংলাদেশ এখন ব্যবসার জন্য প্রস্তুত। আমরা আপনার দেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণ করতে চাই এবং চাই কানাডার কোম্পানিগুলো তাদের কারখানা বাংলাদেশে স্থানান্তর করুক।
তিনি আরও বলেন, অনেক বাংলাদেশি বর্তমানে কানাডায় বসবাস ও পড়াশোনা করছে, তাই কানাডার উচিত ঢাকায় তাদের ভিসা অফিস স্থাপন করা।
এ সময় কানাডার হাইকমিশনার অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের এ উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, কানাডা এ বিষয়ে সহায়তা করতে প্রস্তুত এবং দেশটির সরকারের কাছে অন্তর্বর্তী সরকার যাদের চিহ্নিত করবে, তাদের বিরুদ্ধে সম্পদ জব্দ ও অর্থ ফেরত আনার যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করবে।
তিনি বলেন, কানাডা বাংলাদেশে গণতন্ত্রে উত্তরণের এই সংস্কার কর্মসূচিকে সমর্থন করছে। আপনারা যে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করছেন, তা আমরা সমর্থন করি। এরই মধ্যে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। আমরা জানতে চাই কীভাবে আমরা আরও সহায়তা করতে পারি?
তিনি আরও জানান, কানাডা বাংলাদেশে বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী। শিগগিরই এক কানাডীয় মন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করবেন এবং পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করবেন।
বৈঠককালে সিনিয়র সেক্রেটারি ও এসডিজি বিষয়ক প্রধান সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদও উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ঢাকায় নামছে গোলাপি বাস, ওঠা যাবে না টিকিট ছাড়া
সড়কে শৃঙ্খলা আনতে আব্দুল্লাহপুর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচল করা ২১টি কোম্পানির বাস টিকিট কাউন্টার ভিত্তিতে পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল আলম।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে পরিবাগে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
সাইফুল আলম বলেন, ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে আব্দুল্লাহপুর হয়ে ঢাকা শহরে ২১টি কোম্পানির বাস টিকিট কাউন্টারভিত্তিতে চলবে। এই রুটে প্রায় দুই হাজার ৬১০টি বাস চলবে। যাত্রী কাউন্টার থেকে টিকিট কেটে বাসে উঠবেন। আর সবগুলো বাস একই রঙের (গোলাপি) হবে।
তিনি বলেন, বিগত ১৬ বছর সকল নিয়ম ভঙ্গ করে ঢাকাতে বাস-মিনিবাস চালকদের দিয়ে কন্টাক্টে গাড়ি চালানো হতো। এতে গাড়ি চলাচলে অসম প্রতিযোগিতা হয়, যত্রতত্র যাত্রী ওঠা-নামা করে। নির্দিষ্ট স্টপিজ ছাড়া যাত্রী ওঠা-নামার কারণে সড়কে বহুলাংশে যানজট, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও দুর্ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে।
সাইফুল আলম আরও বলেন, গত বছর ডিসেম্বর ১৯ তারিখে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সভাপতিত্বে সড়ক পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা জোরদারকরণ, ঢাকা মহানগরে যানজট নিরসন এবং বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে, গাড়ির মালিকরা গাড়ি চালকদের সঙ্গে ট্রিপ ভিত্তিক চুক্তি না করে পাক্ষিক এবং মাসিক ভিত্তিতে চুক্তি সম্পাদন করতে হবে। টিকিট কাউন্টারভিত্তিতে চালকরা গাড়ি চালাবেন। সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে আমরা ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি প্রাথমিকভাবে আব্দুল্লাহপুর হয়ে যে সকল গাড়ি ঢাকা মহানগরীতে চলাচল করে এমন ২১টি পরিবহন কোম্পানির গাড়ি কাউন্টার পদ্ধতিতে পরিচালনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।
তিনি আরও বলেন, এখন থেকে গাড়ি কাউন্টার সিস্টেমে চালাতে হবে এবং যাত্রীদের নির্দিষ্ট কাউন্টার থেকে টিকেট সংগ্রহ করে গাড়িতে যাতায়াত করতে হবে। নির্দিষ্ট স্টপিজ ছাড়া গাড়ি দাঁড় করানো যাবে না এবং যাত্রী উঠানো যাবে না। এ বিষয়ে যাত্রী সাধারণকে অনুরোধ করা হলো।
বিজ্ঞাপন
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি এম এ বাতেন, কোষাধ্যক্ষ এ এস এম আহম্মেদ খোকন, দপ্তর সম্পাদক কাজী মো. জোবায়ের মাসুদ প্রমুখ।