রাজনীতি
খালেদা জিয়াকে পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রীর চিঠি
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে চিঠি দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ। আজ রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চিঠিতে খালেদা জিয়ার উদ্দেশে ৩১ জানুয়ারি শেহবাজ শরীফ লিখেছেন, ‘আমি আপনার (খালেদা জিয়া) স্বাস্থ্য সমস্যা সম্পর্কে জানতে পেরে উদ্বিগ্ন।’
সুস্থতা কামন করে তিনি লিখেছেন, আমি আপনার সুস্বাস্থ্য এবং মঙ্গল কামনা করি। সর্বশক্তিমানে আল্লাহ আপনাকে সব অসুস্থতা থেকে রক্ষা করুন এবং আপনাকে সুস্বাস্থ্য দান করুন।
চিঠিতে খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক এবং বর্ণাঢ্য জীবনের উল্লেখ করে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী আরো লিখেছেন, ‘আপনি বাংলাদেশের রাজনৈতিক দৃশ্যে একটি বিশাল ব্যক্তিত্ব। জনসেবার প্রতি আপনার অবিচল প্রতিশ্রুতি অনেকের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে রয়েছে।’
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
জনগণের কাছে জবাবদিহি নিশ্চিতে নির্বাচনের বিকল্প নেই: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, জনগণের কাছে জবাবদিহি নিশ্চিতে নির্বাচনের বিকল্প নেই। স্থানীয় বা জাতীয় যে নামেই হোক, নির্বাচনের মাধ্যমেই দেশকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচানো সম্ভব। বিগত ১৫ বছরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা হয়েছে, মানুষের অর্থ সম্পদ লুটতরাজ করে বাইরে নিয়ে গেছে। জবাবদিহিতা ছিল না বলেই এ কাজগুলো করা সম্ভব হয়েছে।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর কদমতলীতে রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা নিয়ে আয়োজিত কর্মশালায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
খালেদা জিয়াকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর চিঠি
নির্বাচন দেরিতে হলে পতিত স্বৈরাচার সরকার ও তার দোসররা ষড়যন্ত্রের আরও সুযোগ পাবে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, আমরা প্রায়শই বিভিন্ন দেশের উদাহরণ দিয়ে থাকি, আহা ওই দেশটি কী সুন্দর, ওই দেশের সিস্টেম কী ভালো। ওসব দেশে জবাবদিহি আছে। জবাবদিহি আছে বলেই সেসব দেশের সিস্টেমগুলো কাজ করে। জবাবদিহি কী? জবাবদিহি হচ্ছে নির্বাচন। অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর নির্বাচন হতে হবে।
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি বুঝি, সমাজে বা রাষ্ট্রে যদি জবাবদিহি না থাকে, তাহলে কোনো কিছু টিকিয়ে রাখা সম্ভব না। জবাবদিহি থাকতেই হবে। আমাদের সংসারে কিন্তু জবাবদিহি থাকে যে, এই কাজটি করা যাবে, এই কাজ করলে মানুষ সমালোচনা করবে, সন্ধ্যার ভেতরে বাসায় ফিরে আসতে হবে। অর্থাৎ পরিবারেও আমাদের নিয়মকানুন মেনে চলতে হয়।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আজ যদি জনগণের ভোটে ওয়ার্ড কমিশনার নির্বাচিত হতো, জনগণের ভোটে যদি মেয়র নির্বাচিত হতো, তাহলে তারা আপনাদের দেখভাল করতে বাধ্য থাকতেন। কারণ তিনি জানতেন আমি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। এখন যদি আমি মানুষের সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ না করি, আমি যদি মানুষের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা না করি, তাহলে পরবর্তী নির্বাচনে আমি হেরে যাব। কারণ মানুষ আমাকে ভোট দেবে না।
তিনি বলেন, মানুষের অধিকার আদায়ে, ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের বহু কর্মী আত্মাহুতি দিয়েছে, শহীদ হয়েছে, গুম হয়েছে, খুন হয়েছে। আমাদের দল ছাড়াও দেশের লাখ লাখ মানুষ অত্যাচারিত হয়েছে, নির্যাতিত হয়েছে।
দ্রুত সংস্কার কাজ করে শেষ করে নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, সংস্কারের নামে নির্বাচন দীর্ঘায়িত হলে ফ্যাসিস্ট সরকার আবারও সুযোগ পাবে দেশের মানুষের কাঁধে চেপে বসার। বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের প্রতি অনুরোধ, সংস্কার সংস্কার করে এই আলাপ দীর্ঘায়িত করবেন না, নির্বাচন প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হলে সংকট আরও বাড়বে, স্বৈরাচার আরও ষড়যন্ত্রের সুযোগ পাবে। সংস্কার বাস্তবায়ন করা হলে দ্রুত জনগণকে বিপদ থেকে রক্ষা করতে পারব। বিএনপি যে ৩১ দফা প্রস্তাব দিয়েছে এবং সংস্কার কমিশন যে সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে, তা বাস্তবায়ন করতে হলে নির্বাচন ছাড়া কোনো রাস্তা নেই।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
সৌদি যাওয়ার পথে অসুস্থ হয়ে দুবাই হাসপাতালে বাবর
স্বপরিবারে ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে যাওয়ার পথে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে দুবাই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে সাবেক বিএনপি সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে সংযুক্ত আরব আমিরাত বিএনপির আহ্বায়ক জাকির হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা থেকে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে রওনা হন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর। স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিমানটি দুবাই পৌঁছায়। তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী, দুই মেয়ে ও ছেলে। বিমানের মধ্যেই বুকে ব্যথা অনুভব করেন তিনি। বিমানবন্দরে নামার পর তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। এরপর তাকে ভর্তি করা হয় দুবাই হাসপাতালে। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে। তার স্ত্রী ও দুই মেয়ে সৌদি চলে গেছেন। সঙ্গে রয়েছেন ছেলে লাবিব।
তিনি সুস্থ হলে সৌদি আরবে যাবেন। সেখানে ওমরাহ শেষে চিকিৎসার জন্য সপরিবারে সিঙ্গাপুরে যাওয়ার কথা রয়েছে বাবরের, যোগ করেন জাকির হোসেন।
জানা গেছে, স্বপরিবারে ওমরায় যাওয়ার সময় লুৎফর জামান বাবরের স্ত্রী, দুই মেয়ে,পুত্র লাবিব ও মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুর রহিম রিপন সঙ্গে ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
হঠকারিতা ও ফ্যাসিবাদ কারও জন্য কল্যাণকর নয়: জামায়াতের আমির
বিগত সময়ে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের ওপর জুলুমের পর্বত চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল দাবি করে দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, হঠকারিতা ও ফ্যাসিবাদ কারও জন্য কল্যাণকর নয়।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর মগবাজারে সাবেক সংসদ সদস্য ও জামায়াতে ইসলামীর মহিলা শাখার প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক হাফেজা আসমা খাতুনের স্মরণসভায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
জামায়াত আমির আরও বলেন, গত দেড় দশক জামায়াতে ইসলামীর কর্মীরা বাবা-মায়ের জানাজায় পর্যন্ত শরিক হতে পারেননি। যে ফ্যাসিবাদী আমল বাংলাদেশের মানুষদের জন্য দুঃস্বপ্ন ছিল তা যেন আর কখনও কাউকে প্রত্যক্ষ করতে না হয়। এ জন্য কাজ করবে জামায়াতে ইসলামী।
শফিকুর রহমান আমির বলেন, গোটা বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামী ছিল হাফেজা আসমা খাতুনের পরিবার। জামায়াতের ৪৩ হাজার নারী রুকন তাকে হৃদয়ে ধারণ করেন। বাংলাদেশের নারী রাজনীতিবিদদের পথিকৃৎ এবং নারী জাগরণের আদর্শ তিনি।
স্মরণসভায় অংশ নিয়ে দলটির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক গোলাম পরওয়ার বলেন, বাংলাদেশের সংসদীয় ইতিহাসের উজ্জ্বল অংশ হাফেজা আসমা খাতুন দেশের নারী সমাজে জামায়াতে ইসলামীর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করলেন বিদিশা
এইচ এম এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশা সিদ্দিক মামুনুর রশিদের মানহানিকর বক্তব্যে ১০০ কোটি টাকার ক্ষতির অভিযোগ এনে ঢাকার একটি আদালতে মামলা করেছেন।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নাজমিন আক্তারের আদালতে তিনি মামলাটি করেন। মামলায় হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ট্রাস্টের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী মো. মামুনুর রশিদসহ তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ডিবি পুলিশকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত।
অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা গত ২২ জানুয়ারি সকাল ১১টায় সংবাদ সম্মেলন করে বিদিশা সিদ্দিক এবং তার পুত্রসন্তান শাহাতা জারাব এরিক এরশাদের বিরুদ্ধে মানহানি, আপত্তিকর বিভ্রান্তিকর অপমানজনক মিথ্যা বক্তব্য প্রদান করেন।
এর আগে, ২১ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ‘হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ট্রাস্ট’ বিষয়ক অনিয়ম নিরসনে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের জন্য দরখাস্ত করেন এরিক এরশাদ। এতে আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে তাকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, একাধিকবার আসামি কাজী মো. মামুনুর রশিদ এবং ফখর-উজ-জামান জাহাঙ্গীরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তারা সময়ক্ষেপণ ও টালবাহানা করছেন এবং প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ট্রাস্টের হিসাব বুঝিয়ে দেননি। তারা ট্রাস্টের অনিয়মকে বৈধ করার জন্য বেআইনিভাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেন।
কাজী মো. মামুনুর রশিদ দীর্ঘদিন ধরে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ট্রাস্টের অর্থ ইচ্ছামতো নিয়মবহির্ভূতভাবে খরচ করে আসছেন বলে অভিযোগ করা হয়।
অভিযোগে বলা হয়েছে, এরিক এরশাদ অসুস্থতা থাকা সত্ত্বেও ট্রাস্টের সভাপতি ও সদস্যরা তাকে অর্থ প্রদান না করে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের ট্রাস্টের অর্থ লুটপাট করেছেন। লুটপাটের প্রতিবাদ করায় বিদিশা দিদ্দিকের বিরুদ্ধে আসামিরা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে অপমানজনক সংবাদ সম্মেলন করে বক্তব্য দেন। এতে তাকে কলঙ্কিত ও কালিমা লেপন করা হয়েছে। বিদিশা ও তার ছেলে এরিক এরশাদ জাতীয়, আন্তর্জাতিক, সামাজিক ও মানসিকভাবে মারাত্মক অপমানিত এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
যার ক্ষতির পরিমাণ ১০০ কোটি টাকা। বিদিশার সুনাম, সুখ্যাতি বিনষ্ট করার উদ্দেশ্যে সংবাদ সম্মেলন করে তার ব্যক্তিগত সুনাম বিনষ্ট করে। তিনি মানসিক, আর্থিক, সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন ও সম্মানহানির শিকার হয়েছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
বাংলাদেশকে কুরআন দিয়ে সাজাতে হবে: ড. হেলাল উদ্দীন
শবে মেরাজ থেকে শিক্ষা নিয়ে বাংলাদেশকে কুরআন দিয়ে সাজাতে হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিনের নায়েবে আমীর এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দীন।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বিকালে মাওলানা আব্দুল লতিফ নেজামী (রহ:) মিলনায়তনে বাংলাদেশ নেজাম ইসলাম পার্টি আয়োজিত পবিত্র শবে মেরাজের আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এরশাদুর রহমানের সভাপতিত্বে ‘ইসলামী রাষ্ট্র গঠনে মেরাজের তাৎপর্য ও শিক্ষা’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান মেহমান হিসেবে আলোচনা করেন বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা আবু ইয়াহইয়া জাকারিয়া আল হুসাইনী।
মাওলানা আবু ইয়াহইয়া জাকারিয়া আল হুসাইনী বলেন, পবিত্র মেরাজ থেকে জাতি শিক্ষা নিয়ে বাংলাদেশে কোরআনের সংবিধান প্রতিষ্ঠায় কাজ করবে। দেশে কুরআনের শাসন প্রতিষ্ঠা হলে মুসলমানরা দুনিয়া ও আখিরাতে লাভবান হবে। অন্য ধর্মাবলম্বীর মানুষরাও শান্তিতে বসবাস করবে।
এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দীন বলেন, মক্কায় চরম প্রতিকূলতা ও প্রতিবন্ধকতার যাঁতাকলে নিষ্পিষ্ট মুষ্টিমেয় ঈমানদার লোকদের মদিনায় হিজরতের মাধ্যমে আল্লাহ দীন নবী মুহাম্মদের (সাঃ) নেতৃত্বে বিজয়ী হওয়াই ছিল কুদরতের ফায়সালা। সেই বিজয়ের আগে যে ঘটনাটি ছিল একান্তই প্রয়োজনীয় ও অপরিহার্য, সেটিই সংঘটিত হল হিজরতের এক বছর আগে, যা মেরাজুন্নবী হিসেবে পরিচিত।
তিনি বলেন, শেষ নবী মুহাম্মদ (সাঃ) শুধু নবী নন, নবীদের ও নেতা সাইয়্যদুল মুরসালীন। তাই তার রেসালাতের বিশেষ মর্যাদা আল্লাহ প্রদত্ত সনদ প্রাপ্তির এটাই ছিল তার প্রতি মহান আল্লাহ বিশেষ উপহার। বর্তমান অনুকুল পরিবেশে শবে মেরাজ থেকে শিক্ষা নিয়ে বাংলাদেশকে কুরআন দিয়ে সাজাতে হবে। এখনো অনেক রাজনৈতিক দলের নেতারা ইসলাম কে কটাক্ষ করে কথা বলে। ফ্যাসিষ্ট হাসিনা ইসলাম ও মুসলমানদের কটাক্ষ করে অহংকারী হয়ে উঠেছিল। দাম্ভিকতার শেষ পরিনতি কি হয় সেটা মনে রাখা দরকার। ইনশাআল্লাহ আগামী দিনে বাংলাদেশের জনগন কুরআনের পক্ষে ভোট দিয়ে বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে মাথা উচু করবে।
আলোচনা সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেত্রীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এসএম