কর্পোরেট সংবাদ
বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের সাথে ব্র্যাক ব্যাংকের চুক্তি

দেশি ও বিদেশি পর্যটকদের জন্য পেমেন্ট প্রক্রিয়া সহজতর করতে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের সাথে চুক্তি করেছে ব্র্যাক ব্যাংক। এই চুক্তির আওতায় এখন থেকে পর্যটন করপোরেশন ব্র্যাক ব্যাংকের পয়েন্ট অব সেল (পিওএস) টার্মিনাল এবং বাংলা কিউআর কোডের মাধ্যমে পেমেন্ট নিতে পারবে। এর ফলে পর্যটকরা তাঁদের ভিসা, মাস্টারকার্ড, জেসিবি, ডাইনার্স ক্লাব এবং ডিসকভার কার্ড ব্যবহার করে লেনদেন করতে পারবেন।
এই উদ্যোগটি হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট, রেস্তোরাঁ এবং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোতে পর্যটকদের জন্য দ্রুত ও নিরাপদ লেনদেনের সুবিধা নিশ্চিত করবে। এই চুক্তির মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন সহজ ও সুবিধাজনক হওয়ার ফলে বিদেশি পর্যটকরা ঝামেলাহীন পেমেন্ট অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে পারবেন।
উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে সম্প্রতি আগারগাঁওয়ের পর্যটন ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়।
এ সময় ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকটির ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্কের সিনিয়র জোনাল হেড (নর্থ) এ.কে.এম. তারেক, রিটেইল ব্যাংকিংয়ের হেড অব মার্চেন্ট অ্যাকোয়্যারিং খায়রুদ্দিন আহমেদ, ঢাকা ওয়েস্ট রিজিওনের রিজিওনাল হেড ফয়সাল হায়দার, ক্লাস্টার ম্যানেজার জিয়া উল হক এবং মার্চেন্ট অ্যাকোয়্যারিংয়ের হেড অব অ্যালায়েন্সেস মো. আশরাফুল আলম।
বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান সায়েমা শাহীন সুলতানা, পরিচালক (বাণিজ্যিক) জামিল আহমেদ, পরিচালক (প্রশাসন) এ.কে.এম. তারেক, পরিচালক (অর্থ) মো. নূর-ই-আলম, মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্যিক) মো. নজরুল ইসলাম এবং মহাব্যবস্থাপক (সংযুক্ত) আ.ন.ম. মোস্তাদুদ দস্তগীর।
এই উদ্যোগটি দেশি ও বিদেশি পর্যটকদের আর্থিক লেনদেন সহজতর করার পাশাপাশি বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশকে একটি পর্যটনবান্ধব দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে ভূমিকা রাখবে বলে উভয় প্রতিষ্ঠান দৃঢ়ভাবে বিশ্বাসী। এর ফলে পর্যটকদের ভ্রমণ হবে আরও নিরাপদ, ঝামেলাহীন এবং আনন্দময়।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

কর্পোরেট সংবাদ
শরিয়াহ সম্মত কোরবানির নিশ্চয়তা দিচ্ছে এসিআই কোরবানি এক্সপ্রেস

ঈদুল আযহা সামনে রেখে বাংলাদেশের অন্যতম বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান এসিআই নিয়ে এসেছে এসিআই কোরবানি এক্সপ্রেস- একটি নতুন, নিরাপদ ও শরীয়তসম্মত কোরবানি পশু সংগ্রহের সমাধান। এসিআইয়ের খুচরা বিপণন সংস্থা স্বপ্ন’র সঙ্গে যৌথভাবে এই সেবা চালু হয়েছে, যার মূল উদ্দেশ্য হলো কোরবানির প্রক্রিয়া সহজ করা, শরীয়তের বিধান মেনে চলা এবং প্রান্তিক খামারিদের ন্যায্য সুযোগ নিশ্চিত করা।
দীর্ঘদিন ধরেই প্রচলিত পশুর হাটগুলোতে কোরবানির পশু কেনা নিয়ে ভোগান্তি, স্বাস্থ্যগত অনিশ্চয়তা, দাম নিয়ে অস্পষ্টতা এবং স্বচ্ছতার অভাব দেখা যায়। এসিআই কোরবানি এক্সপ্রেস এসব সমস্যার সমাধান এনেছে একটি আধুনিক, নিরাপদ ও কার্যকর প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে—যেটি শহর ও গ্রামের ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের জন্যই সময়োপযোগী।
স্বপ্নের বিস্তৃত নেটওয়ার্ক এবং নির্ভরযোগ্য অবকাঠামোর মাধ্যমে এখন গ্রাহকরা ঘরে বসেই আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কোরবানির পশু বুক করতে পারবেন। এই প্ল্যাটফর্ম সরাসরি খামারি থেকে ক্রেতার কাছে পশু পৌঁছে দেয়, ফলে মধ্যস্বত্বভোগী বাদ পড়ে এবং খামারিরা ন্যায্য দাম পান। এতে গ্রামীণ অর্থনীতি মজবুত হয় এবং ছোট খামারিরা লাভবান হন।
এসিআই কোরবানি এক্সপ্রেসের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো ধাপে ধাপে অর্থ পরিশোধের সুবিধা, যা গ্রাহকদের চাপমুক্তভাবে পশু কেনার সুযোগ করে দেয়। সম্পূর্ণ মূল্য পরিশোধের পর পশুটি ঈদের দুই দিন আগে ক্রেতার ঠিকানায় পৌঁছে যায়, যা নিরাপত্তা ও শান্তি নিশ্চিত করে। বর্তমানে এই সেবা শুধু ঢাকা শহরের জন্য প্রযোজ্য।
এই উদ্যোগের অন্যতম আকর্ষণ হলো নিরাপদ ও প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে পশু পালন। পশুগুলো প্রান্তিক খামারিরা কৃত্রিম স্টেরয়েড বা ক্ষতিকর হরমোন ছাড়াই লালন-পালন করেন। প্রতিটি পশুর স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ করেন অভিজ্ঞ পশু চিকিৎসকরা-নিয়মিত টিকা, ডিওয়ার্মিং ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। গ্রাহকরা প্রতি মাসে স্বাস্থ্য আপডেট পান এবং ইচ্ছা করলে সরাসরি খামারে গিয়ে পশু দেখতে পারেন-যা স্বচ্ছতা ও আস্থা বাড়ায়।
গ্রাহকদের জন্য সর্বোচ্চ ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে লাইভ ওয়েট প্রাইসিং (প্রাণির জীবন্ত ওজন অনুযায়ী মূল্য) পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। বুকিং থেকে ডেলিভারি পর্যন্ত প্রতিটি পশুকে একটি ইউনিক আইডি কোড দিয়ে চিহ্নিত করা হয়, যা পুরো প্রক্রিয়াকে ট্র্যাকযোগ্য এবং নিশ্চিত করে মানসম্পন্ন সেবা।
পুরো প্রক্রিয়া শরীয়াহ সুপারভাইজরি বোর্ড দ্বারা তদারকিকৃত, যেখানে মালিকানা হস্তান্তর থেকে শুরু করে পশুর অসুস্থতা বা অকাল মৃত্যুজনিত পরিস্থিতিরও শরীয়তসম্মত সমাধান নিশ্চিত করা হয়। আগেভাগে বুকিং করার মাধ্যমে গ্রাহকরা তাদের পশুর সঙ্গে এক ধরণের আত্মিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারেন—যা কোরবানির মূল চেতনাকে তুলে ধরে।
নৈতিক পশুপালন, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, আধুনিক লজিস্টিকস ও ধর্মীয় অনুশাসনের সমন্বয়ে এসিআই কোরবানি এক্সপ্রেস কোরবানির রীতিতে নিয়ে এসেছে এক নতুন মাত্রা- দায়িত্বশীল এবং অর্থবহ।
এই নতুন ধারার কোরবানি অভিজ্ঞতা নিতে ভিজিট করুন স্বপ্ন ওয়েবসাইট অথবা মোবাইল অ্যাপে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
ট্রাস্ট ব্যাংক ও বাংলাদেশ জেলের মধ্যে পে-রোল ব্যাংকিং চুক্তি

ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি ও বাংলাদেশ জেলের মধ্যে পে-রোল ব্যাংকিং সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর হয়েছে।
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে ব্যাংকের এমডি আহসান জামান চৌধুরী ও বাংলাদেশ জেলের কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
এ চুক্তির আওতায় দেশের সব কারা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ট্রাস্ট ব্যাংকে স্যালারি অ্যাকাউন্ট খুলতে ও বিভিন্ন ব্যাংকিং সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
জেসিআই বাংলাদেশের সিওয়াইই ওয়েবসাইটের উদ্বোধন

“জেসিআই বাংলাদেশ সিওয়াইই ২০২৫ এর অফিসিয়াল কিকঅফ ও ওয়েবসাইট উন্মোচন” অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) বাংলাদেশ। এতে চলতি বছরের কার্যক্রমের সূচনা এবং ক্রিয়েটিভ ইয়াং এন্টারপ্রেনার (সিওয়াইই) বাংলাদেশ ওয়েবসাইটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে তাদের সদর দপ্তরে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেসিআই বাংলাদেশের ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট কাজী ফাহাদ। তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভাইজর টু ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট তাহসিন আজিম সেজান (ইভেন্ট উপদেষ্টা), নির্বাহী সহ-সভাপতি মুহাম্মাদ আলতামিশ নাবিল (ইভেন্ট পরিচালক) এবং ন্যাশনাল স্ট্রাটেজিক চেয়ারপার্সন তুষার মালেক (ইভেন্ট আহ্বায়ক)।
সিওয়াইই (ক্রিয়েটিভ ইয়াং এন্টারপ্রেনার) হলো- জেসিআইয়ের একটি বার্ষিক আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা, যা ১০০টিরও বেশি দেশে উদ্ভাবনী ও সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলা তরুণ উদ্যোক্তাদের স্বীকৃতি ও সম্মাননা প্রদান করে। জেসিআই বাংলাদেশের আয়োজিত সিওয়াইই বাংলাদেশ ২০২৫ এই বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার জাতীয় সংস্করণ, যার লক্ষ্য ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সী উদ্ভাবনী ও প্রভাবশালী উদ্যোক্তাদের খুঁজে বের করে তাদের উদযাপন ও ক্ষমতায়ন করা।
জাতীয় সভাপতি কাজী ফাহাদ তার বক্তব্যে ২০২৫ সালের জন্য সংগঠনের মূলমন্ত্র উই ক্যান মেইক ইট (“উই ক্যান মেইক ইট”) তুলে ধরেন এবং তরুণ নেতাদের ক্ষমতায়ন ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে জাতীয় উন্নয়নে জেসিআই বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণ ছিল সিওয়াইই বাংলাদেশ ওয়েবসাইটের উন্মোচন। এই প্ল্যাটফর্মটি তরুণ উদ্যোক্তাদের তাদের উদ্ভাবনী উদ্যোগ প্রদর্শন এবং সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের সুযোগ প্রদান করবে।
ইভেন্ট উপদেষ্টা তাহসিন আজিম সেজান বলেন, “সিওয়াইই বাংলাদেশের সূচনা আমাদের তরুণদের উদ্যোক্তা মনোভাব বিকাশে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আমরা একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা প্রতিভা স্বীকৃতি দেওয়ার পাশাপাশি তাদের অগ্রগতির জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবে।”
নির্বাহী সহ-সভাপতি ও ইভেন্ট পরিচালক মুহাম্মাদ আলতামিশ নাবিল আসন্ন সিওয়াইই কার্যক্রমের রোডম্যাপ তুলে ধরেন, যা জুলাইয়ের শেষ দিকে একটি ন্যাশনাল সামিট বা জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে শেষ হবে। তিনি বলেন, “আমাদের লক্ষ্য একটি এমন পরিবেশ তৈরি করা, যেখানে তরুণ উদ্যোক্তারা সাফল্যের সাথে উদ্ভাবন করতে এবং অর্থনীতিতে অর্থবহ অবদান রাখতে পারে।”
ইভেন্ট আহ্বায়ক তুষার মালেক সকল অংশগ্রহণকারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং সিওয়াইই প্রোগ্রাম সফল করতে সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, “এই ইভেন্টটি একটি নতুন যাত্রার সূচনা। সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের উদ্যোক্তা পরিবেশে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলতে চাই।”
সিওয়াইই প্রতিযোগিতার বুটক্যাম্প রাউন্ড আগামী ১৭মে অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে ৩০ জন অংশগ্রহণকারীকে সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত করা হবে। এই প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে ও সিওয়াইই সামিট এই বছরের জুলাই মাসের শেষে অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় পর্যায়ে সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত অংশগ্রহণকারীরা মঙ্গোলিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য জেসিআই এশিয়া প্যাসিফিক কনফারেন্স এবং তিউনিসিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য জেসিআই ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন। শীর্ষ ৩ বিজয়ী মোট ৫ লাখ টাকা অনুদান এবং ১ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগ তহবিলের সুযোগ পাবেন, যা সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের ভিত্তিতে প্রদান করা হবে।
সিওয়াইই বাংলাদেশ প্রোগ্রাম সম্পর্কে আরও তথ্য এবং অংশগ্রহণের সুযোগ জানতে ভিজিট করুন: www.cye.jcibd.com এই ওয়েব ঠিকানায়।
জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) বাংলাদেশ একটি জাতীয় সংগঠন, যা ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সী তরুণদের নেতৃত্ব বিকাশ, সামাজিক দায়িত্ব এবং উদ্যোক্তা দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে ইতিবাচক পরিবর্তন আনয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বছরব্যাপী বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে জেসিআই বাংলাদেশ জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংক-ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের ঈদ রেমিট্যান্স ক্যাম্পেইন শুরু

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি ও ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের “স্পেশাল ঈদ রেমিট্যান্স ক্যাম্পেইন” শীর্ষক মাসব্যাপী ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করা হয়।
ক্যাম্পেইন চলাকালীন সময়ে ওয়ের্স্টান ইউনিয়নের মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংকে রেমিট্যান্স প্রেরণকারীদেরকে ডিজিটাল ড্রয়ের মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহে ৩টি করে মোট ১২টি ফ্রিজার উপহার প্রদান করা হবে। এছাড়া শাখা, উপশাখা ও এজেন্ট আউটলেট থেকে ৫০ হাজার রেমিট্যান্স সুবিধাভোগীকে ব্যাকপ্যাক প্রদান করা হবে।
অনুষ্ঠানে ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর (চলতি দায়িত্ব) মো. ওমর ফারুক খান প্রধান অতিথি হিসেবে এ ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেব বক্তব্য রাখেন ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. আলতাফ হুসাইন।
ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন মজুমদার, ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. মাহবুব আলম, মাহমুদুর রহমান, মুহাম্মদ সাঈদ উল্লাহ ও মো. মাকসুদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
স্বাগত বক্তব্য দেন ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ওভারসীস ব্যাংকিং ডিভিশন প্রধান মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন। ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন নির্বাহী ও কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ব্যাংকের সকল জোনপ্রধান, শাখাপ্রধান ও উপশাখা ইনচার্জগণ ভার্চুয়াল প্লাটফর্মের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে সংযুক্ত ছিলেন।
মো. ওমর ফারুক খান তার বক্তব্যে বলেন সাম্প্রতিক সময়ে ইসলামী ব্যাংকের প্রতি মানুষের আস্থা আরো বেড়ে গেছে এবং ইসলামী ব্যাংক তার আগের অবস্থানে ফিরে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, দেশের আহরিত রেমিট্যান্সের এক চতুর্থাংশ আসে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। এ সফলতায় ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নও অংশীদার। ২০১২ সাল থেকে ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন ইসলামী ব্যাংকের সাথে রেমিট্যান্স সংগ্রহে কাজ করে আসছে। আগামীতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে। এ বছর ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের মাধ্যমে ২ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স সংগ্রহের লক্ষ্য রেখে সকল শাখা, উপশাখা ও এজেন্ট আউটলেটকে সর্বোত্তম সেবা দেয়ার আহ্বান জানান।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
হজ প্রিপেইড কার্ড চালু করলো ইসলামী ব্যাংক

হজযাত্রীদের নগদ অর্থ বহনের ঝুঁকি ও ঝামেলা এড়াতে হজ প্রিপেইড কার্ড চালু করলো ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি। সোমবার (২৮ এপ্রিল) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ কার্ডের উদ্বোধন করেন।
এসময় ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন, সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর (চলতি দায়িত্ব) মো. ওমর ফারুক খান ও এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ মোশাররফ হোসাইন উপস্থিত ছিলেন।
ইসলামী ব্যাংকের হজ প্রিপেইড কার্ড ক্যাশের পরিপূরক হিসেবে বহন করা যাবে। এটি গ্রহণ করতে আলাদা ব্যাংক হিসাব খোলার প্রয়োজন নেই এবং দ্রততম সময়ে ফ্রি এন্ডোর্সমেন্ট করা যাবে। কার্ড ইস্যু ও বন্ধে কোন চার্জ নেই এবং তাৎক্ষণিক ব্যালেন্স রিলোড ও অব্যবহৃত ব্যালেন্স রিফান্ড সুবিধা রয়েছে। এ কার্ডের মাধ্যমে সৌদি আরবে মাস্টারকার্ড প্রচলিত পস মেশিনের মাধ্যমে কেনাকাটা, মাস্টারকার্ড প্রচলিত যেকোন এটিএম বুথ হতে নগদ মুদ্রা উত্তোলন ও হাজীদের থাকা খাওয়াসহ যাবতীয় বিল পরিশোধ করা যাবে।
ব্যাংকের আশকোনাস্থ হজক্যাম্পসহ যেকোন শাখা ও উপশাখা থেকে এই কার্ড গ্রহণ করা যাবে। এ কার্ডে হজের জন্য সর্বোচ্চ ১২০০ ডলার বা প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার সমপরিমাণ রিয়াল লোড করা যাবে। এ কার্ড গ্রহণ করতে হজ ভিসার কপি, এনআইডি ও পাসপোর্টের কপি, ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি ও দেশী সচল মোবাইল নম্বর প্রয়োজন হবে।