আন্তর্জাতিক
নোবেল পুরস্কারের মনোনয়ন পেয়েও প্রত্যাখ্যান ইলন মাস্ককের

বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্ককে ২০২৫ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছিল, তবে তিনি সেই পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেছেন। মাস্কের নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল বাকস্বাধীনতা এবং মৌলিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় তার অবদানের জন্য।
মনোনয়ন প্রসঙ্গে
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্য ব্রাঙ্কো গ্রিমস জানান, টেসলা ও স্পেসএক্সের সিইও ইলন মাস্কের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হওয়ার আবেদন নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটির কাছে জমা দেওয়া হয়েছিল। এই মনোনয়ন মাস্কের বাকস্বাধীনতা এবং শান্তির মতো মৌলিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় দীর্ঘদিনের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দেওয়া হয়।
গ্রিমস তার এক্স (টুইটার) একাউন্টে একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করেছেন, যেখানে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়, ২০২৫ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য আপনার মনোনয়ন সফলভাবে জমা দেওয়া হয়েছে। তিনি এই মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী সহ-প্রস্তাবকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
মাস্কের প্রত্যাখ্যান
তবে, মাস্ক তার এক্স অ্যাকাউন্টে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, ‘আমি কোনো পুরস্কার চাই না।’ এর মাধ্যমে তিনি প্রকাশ করেন যে, তার কোনো স্বীকৃতি বা পুরস্কার গ্রহণের ইচ্ছা নেই এবং তার কর্মকাণ্ডের জন্য তিনি কোনো পুরস্কারের প্রত্যাশা করেন না।
সমালোচনা ও বিতর্ক
মাস্কের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পাওয়ার পর, তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এর ব্যবস্থাপনা নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। অনেক বিরোধী মন্তব্যকারীরা দাবি করেছেন যে, তার নীতিগুলো প্ল্যাটফর্মে মিথ্যা তথ্য, হয়রানি এবং ঘৃণা ভরা ভাষার প্রসার ঘটিয়েছে। যা সামাজিক আলোচনায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
আগের মনোনয়ন
এটি প্রথম নয়, এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে ব্রাঙ্কো গ্রিমস ইলন মাস্ককে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছিলেন। এছাড়া, ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে নরওয়ের সংসদ সদস্য মারিয়াস নিলসেনও মাস্ককে শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দিয়েছিলেন, কিন্তু তখনও তাকে পুরস্কৃত করা হয়নি। ২০২৪ সালের শান্তি পুরস্কার ছিল হিরোশিমা ও নাগাসাকির পারমাণবিক বোমা হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের নিয়ে কাজ করা একটি সংগঠনের নামে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আন্তর্জাতিক
ভারতে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, পাইলটসহ নিহত ৬

ভারতের উত্তরকাশীর গাঙ্গনানির কাছে একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ছয়জন নিহত ও একজন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৮ মে) সকালে দেরাদুন থেকে গঙ্গোত্রী ধামে যাওয়ার পথে এটি বিধ্বস্ত হয়।
দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটের দিকে গঙ্গোত্রী জাতীয় মহাসড়কের গাঙ্গনানির কাছে হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ, এসডিআরএফ, দমকল বিভাগ, মেডিকেল টিম এবং অন্যান্য কর্মীরা তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে।
জানা গেছে, হেলিকপ্টারটি হেলি অ্যারোট্রান্স কোম্পানির। সকালে সহস্ত্রধারা হেলিপ্যাড থেকে হারসিলের উদ্দেশ্যে উড্ডয়ন করে। পাইলটসহ সাতজন আরোহী ছিল এটিতে। ঘটনাস্থলেই পাঁচজন এবং চিকিৎসাধীন একজনের মৃত্যু হয়।
পুলিশ জানায়, যাত্রীদের মধ্যে চারজন মুম্বাইয়ের ও দুজন অন্ধ্রপ্রদেশের বাসিন্দা। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে পাঁচজন নারী ও একজন পুরুষ (পাইলট)। ৫১ বছর বয়সী অন্ধ্রপ্রদেশের এক ব্যক্তি আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন। হেলিকপ্টারটি চার ধাম যাত্রার গঙ্গোত্রী ধামে যাচ্ছিল।
এসডিআরএফের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হেলিকপ্টারটি প্রায় ২০০-২৫০ মিটার গভীর খাদে পড়ে যায়। উদ্ধারকারী দল সেখানে একটি বেজ স্থাপন করে খাদে নেমে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। পাইলট ছিলেন ক্যাপ্টেন রবিন সিং।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে ৫ শতাধিক ফ্লাইট বাতিল

বিমান হামলার পর থেকে ভারত ও পাকিস্তানে প্রায় সাড়ে পাঁচশ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। পাকিস্তানে বাণিজ্যিক ফ্লাইটের ষোল শতাংশ এবং ভারতের প্রায় তিন শতাংশ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে বলে ফ্লাইট ট্র্যাকিং সার্ভিস ফ্লাইটরাডার২৪ জানিয়েছে।
তাদের হিসেব অনুযায়ী পাকিস্তানে মোট ১৩৫টি ফ্লাইট আর ভারতে ৪১৭টি নির্ধারিত ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। ওদিকে ভারতের শীর্ষস্থানীয় এয়ারলাইন্সগুলো তাদের যাত্রীদের জন্য ভ্রমণ নির্দেশিকা জারি করেছে।
এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে জম্মু, শ্রীনগর এবং লাদাখের লেহ বিমানবন্দরসহ বেশ কিছু বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা করায় তারা তাদের নির্ধারিত ফ্লাইটগুলো ১০ মে সকাল পর্যন্ত বাতিল করেছে।
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ভারতের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর পাকিস্তান দেশটির প্রধান বিমানবন্দরগুলোতে ফ্লাইট চলাচল স্থগিত করেছিল।
আট ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর লাহোর ও করাচিসহ বেশ কয়েকটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ও এভিয়েশন সূত্র জানায়, লাহোর ও করাচি বিমানবন্দর থেকে একাধিক ফ্লাইট পুনরায় চালু হয়েছে। করাচি থেকে আজ দুটি আন্তর্জাতিক ও একটি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে, যা ধীরে ধীরে ফ্লাইট কার্যক্রম স্বাভাবিক হওয়ার ইঙ্গিত দেয়।
লাহোর থেকে করাচিগামী প্রথম ফ্লাইটটি ছিল একটি বেসরকারি এয়ারলাইনের পিএ-৪০১, যা নির্ধারিত সময়েই ছেড়ে গেছে। অন্যদিকে করাচি থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলোর সময়সূচি ছিল ভিন্নরকম। দুবাইগামী পিকে-৬০৭ নির্ধারিত সময়ের আগেই ছেড়ে যায়, তবে ইস্তাম্বুলগামী টিকে-৭০৯ ফ্লাইটটি বিলম্বিত হয়।
এছাড়া, জেদ্দা থেকে লাহোরগামী পিকে-৮৪২ ফ্লাইটটি উত্তেজনার কারণে করাচিতে অবতরণ করেছিল। আজ সকালে সেটিকে লাহোরে পাঠানো হয়েছে।
যদিও বিমানবন্দর কার্যক্রম আবার শুরু হয়েছে, পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স (পিআইএ) ১২ ঘণ্টার জন্য তাদের নিয়মিত ফ্লাইট চলাচল স্থগিত রেখেছে।
উল্লেখ্য, জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বন্দুকধারীদের হামলার দুই সপ্তাহ পর মঙ্গলবার মধ্যরাতে পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত আজাদ কাশ্মীরের অন্তত ৯টি স্থানে হামলা চালিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। ভারতীয় সামরিক বাহিনী মাত্র ২৫ মিনিটে অন্তত ২৪টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে পাকিস্তানে। এতে পাকিস্তানে কমপক্ষে ৭০ জন নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ভারত।
যদিও পাকিস্তানের দাবি, ভারতের হামলায় ২৬ জন নিহত ও ৪৬ জন আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে কাশ্মীর সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে ভারত-শাসিত কাশ্মীরে অন্তত ১০ জন নিহত ও ৩০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
সশস্ত্র বাহিনীকে পাল্টা জবাব দেওয়ার অনুমতি দিলো পাকিস্তান

ভারতের হামলার জবাবে সময় অনুযায়ী যথাযথ স্থানে পছন্দ মতো পাকিস্তান প্রতিক্রিয়া জানাবে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি (এনএসসি)। একই সঙ্গে সামরিক বাহিনীকে ‘‘সংশ্লিষ্ট পদক্ষেপ’’ গ্রহণের জন্য অনুমোদন দিয়েছে পাকিস্তানের নিরাপত্তাবিষয়ক এই সর্বোচ্চ কমিটি।
বুধবার ভারতের হামলার পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এনএসসির বৈঠকে ভারতের হামলার নিন্দা জানানো হয়।
দেশটির সংবাদমাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, আত্মরক্ষায় ভারতের বিমান হামলার জবাব দেওয়ার অধিকার পাকিস্তানের রয়েছে বলে জানিয়েছে এনএসসি। এই বিষয়ে ভারতের হামলার প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য দেশের সামরিক বাহিনীকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
জাতিসংঘ সনদের ৫১ অনুচ্ছেদের বরাত দিয়ে এনএসসি বলেছে, নিরীহ পাকিস্তানিদের প্রাণহানি ও পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বের স্পষ্ট লঙ্ঘনের প্রতিশোধ নেওয়ার অধিকার পাকিস্তানের রয়েছে।
এনএসসির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীকে এই বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’’
বিবৃতিতে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি বলেছে, ‘‘ভারতের নগ্ন আগ্রাসনে সমগ্র পাকিস্তানি জাতি সশস্ত্র বাহিনীর সাহসিকতা, ত্যাগ ও মাতৃভূমির প্রতিরক্ষায় তাদের সময়োচিত কাজের প্রশংসা করছে।’’
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি ভারতের অবৈধ কর্মকাণ্ডের গুরুত্ব স্বীকার এবং আন্তর্জাতিক নিয়ম ও আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘনের জন্য দেশটিকে জবাবদিহি করার আহ্বান জানায়। পাকিস্তান শান্তির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং তারা কখনও সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতার লঙ্ঘন বা জনগণের কোনও ক্ষতি হতে না দেওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছে।
জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলার দুই সপ্তাহ পর বুধবার মধ্যরাতে পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মিরের অন্তত ৯টি স্থানে হামলা চালিয়েছে ভারতীয় সামরিক বাহিনী। এই হামলায় ভারতীয় সামরিক বাহিনী মাত্র ২৫ মিনিটে অন্তত ২৪ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে পাকিস্তানে। এতে পাকিস্তানে কমপক্ষে ৭০ জন নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ভারত।
যদিও পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী বলেছে, ভারতের হামলায় ২৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। অন্যদিকে, কাশ্মির সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে ভারত-শাসিত কাশ্মিরে অন্তত ১০ জন নিহত ও ৩০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।
পাকিস্তান দাবি করেছে, তারা ভারতীয় অন্তত পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে। তবে ভারতীয় কর্মকর্তারা জম্মু-কাশ্মিরে এখন পর্যন্ত তিনটি ভারতীয় বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
‘সাদা পতাকা’ উড়িয়ে আত্মসমর্পণ করেছে ভারত, দাবি পাকিস্তানের

কাশ্মীরের বিভাজনরেখা নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি) একটি সামরিক চৌকিতে ‘সাদা পতাকা’ উত্তোলন করে পালিয়েছে ভারতীয় সেনারা—এমন দাবি করেছে পাকিস্তান। আত্মসমর্পণের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত এই সাদা পতাকা তোলার ঘটনা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
বুধবার (৭ মে) সকালে আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানায়, পাকিস্তান সরকার তাদের অফিসিয়াল এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে এ দাবি করেছে।
পাকিস্তানের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার নিজ এক্স অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, প্রথমে তারা (ভারত) তদন্তের প্রস্তাব থেকে পিছিয়ে যায়, এখন আবার সীমান্ত থেকে পালিয়েছে।
তবে আল জাজিরা জানিয়েছে, পাকিস্তানের এই দাবি তারা স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি।
এদিকে পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর হামলার কয়েক ঘণ্টা পর ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বিশ্ববাসীর উদ্দেশে এক লাইনের একটি বার্তা দেন। এনডিটিভি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জয়শঙ্কর সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, ‘বিশ্বকে সন্ত্রাসবাদের প্রতি জিরো টলারেন্স বা শূন্য সহনশীলতা দেখাতে হবে।’
গত মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার ভোর পর্যন্ত দুই দেশের সীমান্তে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে। ভারত জানিয়েছে, পাকিস্তানি সেনাদের গুলিতে তিনজন ভারতীয় বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে পাকিস্তানের আইএসপিআর জানিয়েছে, ভারতীয় হামলায় অন্তত আটজন নিহত ও ৩৫ জন আহত হয়েছেন। পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে দুটি মসজিদসহ ৯টি স্থানে হামলার কথা স্বীকার করেছে ইসলামাবাদ।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান এই উত্তেজনা দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতার জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আন্তর্জাতিক মহলও দুই দেশকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
পাকিস্তানে ভারতের হামলা: কী বললেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পাকিস্তানের পাঞ্জাব ও আজাদ কাশ্মীরের একাধিক স্থানে মিসাইল হামলা চালিয়েছে ভারত। এতে দুই শিশুসহ অন্তত ৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও ৩৫ জন। এ পরিস্থিতিতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (পূর্বে টুইটার নামে পরিচিত) দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “আমরা ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিদ্যমান পরিস্থিতি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আমি আজ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সেই বক্তব্য পুনরায় তুলে ধরছি, যেখানে তিনি আশা প্রকাশ করেছিলেন যে, এই উত্তেজনা দ্রুত প্রশমিত হবে এবং যুক্তরাষ্ট্র শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য উভয় দেশের নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখবে।”