লাইফস্টাইল
রক্তচাপ কমানো ছাড়াও যে উপকারে আসবে ঢেঁড়সের পানি
শীতে অতি পরিচিত একটি সবজি হচ্ছে ঢেঁড়স। এই সময়ে সবার ঘরে ঘরেই এই সবজির দেখা পাওয়া যায়। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন। এটি সাধারণত তরকারিতে, ভাজি হিসেবে খাওয়া হয়।
এ ছাড়া ঢেঁড়সের পানিতেও রয়েছে প্রচুর পুষ্টি উপাদান।
ঢেঁড়সের পানিতে মধু মিশিয়ে খেলে এর স্বাদ শুধু বাড়ে না, একই সঙ্গে পুষ্টিগুণও বাড়ে। খালি পেটে এই পানীয় পান করলে শরীরের পক্ষে উপকারী। কী কী উপকারে আসতে পারে এই পানীয়, চলুন জেনে নিই।
ঢেঁড়সের গুণাগুণ
ঢেঁড়সে আছে দ্রবণীয় ফাইবার। যা হজমে সাহায্য করে। পেট ফাপা ও কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে পারে। প্রাকৃতিক প্রোবায়োটিক হিসেবে কাজ করে এই ফাইবার।
শরীরের প্রয়োজনীয় ব্যাকটেরিয়া রয়েছে এই সবজিতে।
গবেষণায় দেখা গেছে, এটি প্রদাহ, ডায়রিয়া, কিডনির সমস্যা, পেটের সমস্যা দূর করতে পারে। মধুর সঙ্গে মেশালে তার অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল গুণ পেট ফাঁপা ও অ্যাসিডিটি দূর করতে পারে।
খালি পেটে ঢেঁড়স ভেজানো পানিতে মধু মেশালে রক্তচাপ থাকে নিয়ন্ত্রণে। শরীর চিনি বা মিষ্টিজাতীয় পদার্থ শোষণে বাধা দেয়।
ফলে হঠাৎ করে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়ে না।
ফ্ল্যাভোনয়েড ও পলিফেনোলের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে এই সবজিতে। যা হার্টের স্বাস্থ্য়ের জন্য উপকারী। এটি প্রদাহ কমাতে এবং কোলেস্টেরল কমাতে পারে। এই ফাইবার অতিরিক্ত কোলেস্টেরল শরীর থেকে বের করে দিতে পারে।
ওজন কমাতে পারে ঢেঁড়সের পানি। এতে মধু মেশালে কার্যকারিতা বাড়তে পারে। এতে ফাইবার থাকায় পেট ভরা থাকে অনেকক্ষণ। খিদে পাওয়ার প্রবণতাও কমায়। মধু মেশালে খারাপ ক্য়ালরি খাওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস হয়।
এই সবজিতে আছে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে সংক্রমণ কমাতে পারে। আর্থারাইটিসের আশঙ্কা কমায় এবং হার্টের সমস্যার আশঙ্কা দূর করে।
কিডনির ক্ষতি আটকাতে পারে ঢেঁড়স। বিশেষ করে যাদের রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি, তাদের জন্য উপকারী এই সবজি। এতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করতে পারে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
ব্লাড সুগার দূরে রাখবে যে তিন জিনিস
ডায়াবেটিস বর্তমান সময়ের দ্রুত বর্ধনশীল রোগগুলোর মধ্যে একটি। দেশে ডায়াবেটিক রোগীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে, বিশেষ করে গত দশকে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, বয়স বৃদ্ধি ও পারিবারিক ইতিহাসের কারণে এই রোগ হওয়ার আশঙ্কা বেশি। কিন্তু ভুল খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপনের অভ্যাসও এই রোগ বৃদ্ধির কারণ হতে পারে।
আপনি কী খাচ্ছেন এবং কোন ধরনের জীবনযাপন করছেন, তা আপনার স্বাস্থ্যের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে।
যারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন, তাদের ছোটখাটো রোগও মারাত্মক রূপ নিতে পারে। ওষুধ ছাড়াও কিছু ঘরোয়া প্রতিকারের সাহায্যে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। আপনিও যদি এই রোগের শিকার হয়ে থাকেন, তবে কিছু ঘরোয়া প্রতিকার আপনার জন্য খুব কার্যকর প্রমাণিত হতে পারে।
তুলসীপাতা
ডায়াবেটিক রোগীদের বাড়িতে অবশ্যই তুলসীগাছ রাখা উচিত। ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য এটি বিভিন্নভাবে উপকারী। তুলসীপাতায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। এ ছাড়া এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা অগ্ন্যাশয়ের বিটা কোষকে ইনসুলিনের দিকে সক্রিয় করে তোলে।
এই কোষগুলো ইনসুলিনের নিঃসরণ বাড়ায়। একজন ডায়াবেটিক রোগীকে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে দু-তিনটি তুলসীপাতা চিবিয়ে খেতে হবে। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যায়।
দারুচিনি গুঁড়া
ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য দারুচিনি খুবই উপকারী। দারুচিনি ব্যবহার করলে তা ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়ায়।
দারুচিনির ব্যবহার রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে ও নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। দারুচিনির ব্যবহারও স্থূলতা কমায়। এটি খাওয়ার জন্য দারুচিনি সূক্ষ্মভাবে পিষে পাউডার তৈরি করুন। এবার হালকা গরম পানির সঙ্গে পান করুন। পরিমাণে বিশেষ মনোযোগ দিন। তবে খুব বেশি পরিমাণে এই পাউডার গ্রহণ করাও বিপজ্জনক হতে পারে।
গ্রিন টি
গ্রিন টি পান ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য খুব ভালো। এই ভেষজ চায়ে উচ্চ পরিমাণে পলিফেনল থাকে, যা সক্রিয় অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের কাজ করে। এর সাহায্যে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে। প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা গ্রিন টি পান করলে ডায়াবেটিক রোগীরা অনেক উপকার পাবেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
শীতে রোগমুক্ত জীবন পেতে সাহায্য করবে যেসব ভেষজ
আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় প্রাকৃতিক উদ্ভিদ, শিকড়, মসলা ও বিভিন্ন খনিজ পদার্থ। এই ভেষজগুলো ভারসাম্য বজায় রেখে শরীরকে সামগ্রিকভাবে সুস্থ রাখে। পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যেরও খেয়াল রাখে। শীতের সময় আয়ুর্বেদিক ভেষজ শরীরের উষ্ণতা বজায় রেখে পুষ্টি জোগায় এবং হজমে সাহায্য করে।
এমনকি রোগ প্রতিরোধেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
এসব ভেষজে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যাডাপ্টোজেন ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এজেন্টের মতো শক্তিশালী বায়োঅ্যাকটিভ যৌগ থাকে। যা মৌসুমি রোগের সঙ্গে লড়াই করে সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করে। তাই সুস্থ থাকতে এই ভেষজগুলো খাদ্যতালিকায় যোগ করতে পারেন।
অশ্বগন্ধা
অশ্বগন্ধায় উপস্থিত অ্যাডাপ্টোজেনিক উপাদান মানসিক ও শারীরিক চাপ মুক্ত করে এবং কর্টিসল হরমোনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। ফলে সর্দি-কাশি দূর হয় এবং ঘুম ভালো হয়। আর ভালো ঘুম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তুলসী
শক্তিশালী অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ভেষজ সম্পন্ন তুলসী শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ রুখতে এবং ঠাণ্ডা ও ফ্লু-এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় তুলসী শরীরকে ডিটক্সিফাই করে এবং প্রদাহ কমায়।
হলুদ
সক্রিয় যৌগ কারকিউমিনের জন্য পরিচিত হলুদে আছে শক্তিশালী অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে এবং শীতকালে শরীরকে উষ্ণতা প্রদান করে।
আমলকী
ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ আমলকী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ওস্তাদ। এটি শ্বাসযন্ত্রকে শক্তিশালী করে এবং শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে।
নিম
নিম তার অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত। এটি রক্তকে ডিটক্সিফাই করে, লিভারকে ভালো রাখে এবং ঠাণ্ডার সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন ডিটক্সের জন্য নিমপাতা খান অথবা নিম-মিশ্রিত পানি ব্যবহার করুন।
দারুচিনি
শীতে শরীরের উষ্ণতা বজায় রাখতে, বিপাকক্রিয়া বাড়াতে ও মাইক্রোবিয়াল সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে দারুচিনি সিদ্ধহস্ত। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ হওয়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং রক্ত সঞ্চালন ভালো করতে সাহায্য করে।
ত্রিফলা
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে ত্রিফলার মতো উপকারী ভেষজ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। নিয়মিত ত্রিফলা সেবনে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়। রোজ রাতে ঘুমানোর আগে গরম পানির সঙ্গে ত্রিফলা গুঁড়ো মিশিয়ে বা ক্যাপসুল খেলে উপকার মেলে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
শিশুকে সঞ্চয় করা শেখাবেন যেভাবে
সব বাবা মা চান তাঁর সন্তান ছোট থেকেই ভালো গুণগুলো রপ্ত করুক। তাই ছোট থেকে তাঁরা শিশুদের সত্য কথা বলা, বড়দের শ্রদ্ধা করা ইত্যাদি বিভিন্ন উপদেশ দিয়ে থাকেন। সন্তানের ভালোর জন্য ছোট থেকেই সঞ্চয় কৌশল শেখাতে হবে। এটি জীবনের অন্যতম প্রয়োজনীয় শিক্ষা। ছোট থেকেই বুঝে শুনে খরচ করতে শিখলে জীবনের কোনো পরিস্থিতিতেই মানিয়ে চলতে অসুবিধা হবে না।
সন্তানকে সঞ্চয় শেখানোর কৌশল
১. সন্তানকে প্রয়োজন ও শখের পার্থক্য শেখান। তার ঘরের বিল বোর্ডে দুই পাশে ভাগ করে দুইটি তালিকা করে দিন। এতে সে শখের জিনিসের প্রতি অযথা ব্যয় কমাতে শিখবে।
২. ছোট থেকেই সন্তানকে অল্প করে টাকার দায়িত্ব দিন। সামান্য অর্থ সামলে রাখতেও দায়িত্ববোধ প্রয়োজন। ছোট থেকে ছোট ছোট অঙ্কের দায়িত্ব দিলে বড় হয়ে তার আর সমস্যা হবে না।
৩. কোনো মাসের এমবি, ইন্টারনেট বা ইলেকট্রিসিটি বিল কত এসেছে, কীভাবে এই বিল আরও কমানো যায় তা নিয়ে সন্তানের সঙ্গে আলাচনা করুন। ও কী ভাবছে জানতে চান।
৪. সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে বাজার করতে যান। ওর হাতে তালিকা ধরিয়ে দিন। কী কী কিনতে হবে, আর কত টাকায় কিনতে হবে তা বুঝিয়ে দিন। যে খুচরো পয়সা বাঁচবে তা ভরে দিন ওর ছোট্ট ব্যাংকে। এতে সে বাজেটের মধ্যে বাজার করা ও সঞ্চয় করার গুণ রপ্ত করবে।
৫. সন্তানকে টাকা জমানোর জন্য ছোট্ট ব্যাংক কিনে দিন। তার ব্যাংককে ব্যাংক হিসেবে গুরুত্ব দিন। দেখবেন আপনার সন্তান সঞ্চয়ের প্রতি যত্নশীল হবে।
৬. প্রায়ই বাবা মা সন্তানের বায়নার কাছে হেরে যান। সন্তান যা চায় কিনে দেন। আবার অনেক সময় কোনো কাজ করিয়ে নেওয়ার জন্য কিছু কিনে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। এতে শিশুরা জিনিসের মূল্য দিতে শেখে না। তাই বায়না অনুযায়ী সবকিছু কিনে দেওয়া যাবে না। সন্তানকে বুঝতে দিন চাইলেই সবকিছু পাওয়া যায় না।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
ঠোঁট ফাটা গুরুতর রোগের লক্ষণ নয় তো?
শীত আসতেই শুরু হয়েছে ত্বক ও ঠোঁট ফাটা। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কমে যায়, আর এ কারণে ত্বক হয়ে পড়ে শুষ্ক। এর থেকে ত্বক, ঠোঁট, হাত-পা ফাটতেও শুরু করে অতিরিক্ত শুষ্কতায়। বিশেষ করে ঠোঁট বারবার শুকিয়ে যাওয়া ও ফাটার সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। তবে এটি শুধু শীতের শুষ্কতার কারণেই ঘটে না, ডায়াবেটিসেরও লক্ষণ হতে পারে ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়ার সমস্যা।
বর্তমানে বিশ্বব্যাপী ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা বড়েই চলছে। প্রতি বছর লাখ লাখ রোগী আক্রান্ত হচ্ছে দীর্ঘমেয়াদি এ ব্যাধিতে। ডায়াবেটিসের ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে শুরু করে। গ্লুকোজের কারণে রক্তে শর্করার মাত্রায বেড়ে ওঠায় রক্তপ্রবাহে বিভিন্ন লক্ষণ দেখা দেয়।
ডায়াবেটিসের সাধারণ কয়েকটি লক্ষণ সবাই কমবেশি জানলেও তা এড়িয়ে যান। ডায়াবেটিস হলে অত্যধিক ক্ষুধা, ঘন ঘন প্রস্রাব, ক্লান্তি ও খিটখিটে মেজাজ হয়। পাশাপাশি ডায়াবেটিস হলে মুখে ৪টি সতর্কতা লক্ষণ প্রকাশ পায়। মুখের স্বাস্থ্য বলে দেয় শরীরের রক্তে শর্করার মাত্রাসহ সামগ্রিক অসুস্থতা সম্পর্কে। ঠিক তেমনই ডায়াবেটিস হলে ঠোঁট ফাটাসহ মুখে কয়েকটি সতর্কতার লক্ষণ প্রকাশ পায়। জেনে নিন সেগুলো-
শুকনো মুখ
টাইপ ১ বা টাইপ ২ ডায়াবেটিসের উভয় ক্ষেত্রেই সাধারণ ও প্রাথমিক লক্ষণগুলোর শুকনো বা শুষ্ক মুখ অন্যতম। সবসময় মুখ ও গলা শুকিয়ে আসে এক্ষেত্রে। রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে রোগীর মুখের লালা উৎপাদন কমে যায়। শুষ্ক মুখের লক্ষণগুলোর মধ্যে আছে- রুক্ষ বা শুকনো জিহ্বা, মুখে আর্দ্রতার অভাব, ঠোঁট ফেটে যাওয়া, মুখে ফোলাভাব, খাবার গিলতে বা কথা বলতে অসুবিধা হওয়া ইত্যাদি।
ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়া
শীতে আর্দ্রতার অভাবে এমনিতেই ঠোঁট ফেটে শুকিয়ে যায়। এটি কিন্তু ডায়াবেটিসের অন্যতম লক্ষণ হতে পারে। ডায়াবেটিসের কারণে সকালের দিকে বেশি শুকিয়ে যায় ঠোঁট। একই সঙ্গে প্রচণ্ড পানি পিপাসাও পায়। এই লক্ষণ দেখেলে দ্রুত ডায়াবেটিস পরক্ষা করান।
মাড়ির রোগ
শুধু শুষ্ক মুখ নয়, পাশাপাশি দাঁতের চারপাশে এবং মাড়ির নিচে লালা উৎপাদনকেও প্রভাবিত করে রক্তে শর্করার মাত্রা। শরীরে চিনির পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে জীবাণুর সংক্রমণ বেড়ে যায়। ফলে মাড়ির চারপাশে জ্বালা করে। এমনকি মাড়ির রোগ, দাঁত ক্ষয়ও হতে থাকে। অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে মাড়ির রোগ বেশি দেখা যায়।
মাড়ির রোগ হওয়া রক্তের শর্করার মাত্রা আরও খারাপ হওয়ার অবস্থার ইঙ্গিত। মাড়ির রোগের লক্ষণগুলোর মধ্যে আছে- লাল, ফোলা, কালশিটে বা মাড়ি দিয়ে রক্তপাত, দাঁত আলগা হওয়া, খাবারে কামড় বা চিবানোর সময় কষ্ট হওয়া, মুখের দুর্গন্ধ বা খারাপ স্বাদ ইত্যাদি।
দাঁতের ক্ষতি
মাড়ির রোগ হওয়ার কারণে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর দাঁত ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মাড়ির চারপাশে প্লাক গঠনের ফলে দাঁত আলগা হতে শুরু করে। ফলে দাঁতের ক্ষয় হতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, অন্যান্য রোগে আক্রান্তদের তুলনায় ডায়াবেটিস রোগীরা দাঁতের সমস্যায় বেশি ভোগেন। দাঁত নষ্ট হওয়ার সাধারণ লক্ষণগুলো হলো- মাড়ির চারপাশ ফুলে যাওয়া, ঘা ও দাঁতের ব্যথা। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
শীতে ত্বকের খসখসে ভাব দূর হবে পাঁচ তেলে
শীত চলে এসেছে। এই সময় বাতাসে আর্দ্রতা অন্যান্য ঋতুর তুলনায় অনেক বেশি থাকে। যার ফলে আমাদের ত্বক ও চুল রুক্ষ-শুষ্ক হয়ে পড়ে। তার সঙ্গে ত্বক উজ্জ্বলতা হারায় এবং ফাটার সমস্যা দেখা যায়।
এমতাবস্থায় আমরা ত্বকের যত্নে নানা ধরনের নামিদামি বডি লোশন ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু এসব নামিদামি লোশন খুব একটা কাজে দেয় না। শীতকালে বডি লোশন দিনে ২-৩ বার ব্যবহার করেও ত্বকের সমস্যা দূর করা যায় না। এমন পরিস্থিতিতে কিছু তেল আপনার সমস্যা মেটাবে।
এগুলোর ব্যবহারে ত্বকের শুষ্কতা তো কমবেই, সঙ্গেই ত্বককে উজ্জ্বল ও নরম করে তুলবে। শুধু তাই নয়, এগুলো চুলকানির সমস্যাও অনেকটাই কমিয়ে দেবে। চলুন দেখে নেওয়া যাক কি সেই তেল, আর কী কী উপকার করে।
নারকেল তেল
শীতকালে আমাদের ত্বকে নারকেল তেল লাগানো ভীষণ উপকারী। নারকেল তেল আমাদের ত্বকে গভীর আর্দ্রতা প্রদান করে। সঙ্গেই ত্বককে নরম করে তোলে। এতে থাকা অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যগুলো আমাদের ত্বককে নানাধরণের সংক্রমণের সম্ভাবনাও কমিয়ে দেয়।
অলিভ তেল
অলিভ অয়েলে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা ত্বককে গভীর আর্দ্রতা প্রদান করার পাশাপাশি ত্বককে বাহ্যিক ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। এর ফলে শীতেও আমাদের ত্বকে শুষ্কতার সমস্যা দেখা যায় না।
জোজোবা তেল
জোজোবা তেল ত্বকে খুব দ্রুত শোষিত হয়। এটি আমাদের ত্বকের ভারসাম্য বজায় রাখে। এই তেলের ব্যবহারে ত্বক নরম ও উজ্জ্বল হয়।
বাদাম তেল
বাদাম তেলের গুণাগুণ সম্পর্কে আমরা সকলেই কমবেশি জানি। এটি আমাদের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। বাদাম তেল ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ হওয়ায়, এটি ত্বককে নরম করে। সঙ্গে জ্বালা ও প্রদাহের মতো সমস্যা কমায়।
তিলের তেল
শীতকালে তিলের তেল আমাদের ত্বকের জন্য দারুণ উপকারী। এটি ত্বকে উষ্ণতা প্রদান করার সঙ্গে ত্বককে শুষ্ক হতে দেয় না। এটি বিশেষত ড্রাই স্কিনের জন্য বেশি উপকারী। এতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা ত্বককে সুস্থ রাখে।