ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
বইমেলায় আসছে ইবি শিক্ষার্থীর লেখা ‘আল কুরআনের বৈজ্ঞানিক রহস্য’
অমর একুশে বইমেলা-২০২৫ এ আসছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী কামরুল ইসলামের প্রথম নতুন বই ‘আল কুরআনের বৈজ্ঞানিক রহস্য’। বইটি ‘ঘাসফুল’ প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়েছে। শিগগিরই বইটির প্রি-অর্ডার ও রকমারিসহ অন্যান্য অনলাইন বুকশপে পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন লেখক।
লেখক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল কুরআন এ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। লেখকের বাড়ি বরিশাল জেলার গৌরনদী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলের অনাবাসিক শিক্ষার্থী। তার লেখালেখি শুরুটাই হয়েছে পবিত্র কুরআনের নামকরণ দিয়ে। তিনি লেখালেখিকে ইসলাম প্রচারের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে নিয়েছেন।
‘আল কুরআনের বৈজ্ঞানিক রহস্য’ বইটি সম্পর্কে লেখক বলেন, এটি একটি বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণাধর্মী বই। বইটিতে লেখক কুরআনের বৈজ্ঞানিক আয়াতগুলোর তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ করা হয়। একজন বিজ্ঞানপ্রেমী মানুষ যদি কুরআন পড়তে চায় সে কুরআনে বিজ্ঞান খুঁজে পাবে। একজন দার্শনিক যদি কুরআনে তার দর্শনের উত্তর খোঁজে সে তা পাবে। একজন কুরআন প্রেমী মানুষ তার কুরআন জানার পিপাসা মেটাতে পারবে। একজন জ্ঞান পিপাসু মানুষ কুরআন পড়লে তার জ্ঞানের ভাণ্ডার পূর্ণ হবে। পবিত্র কুরআনে যে যেটা খুঁজবে সে সেটা পেয়ে যাবে। যদি কেউ আরবি ভাষার অলংকার করতে চায় কুরআন পড়লেই পেয়ে যাবে।
লেখকের মতে, কুরআনে শুধু নামাজ, রোজা, হজ্জ, যাকাত ইত্যাদির কথাই নেই, আছে বিজ্ঞান, দর্শন, ইতিহাস, ভূগোল, বায়োলজি, ক্যামিস্ট্রি। তাই কুরআনকে শুধু ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে না দেখে; একটু ভিন্ন আঙ্গিকে বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে এর সামান্য কিছু রহস্য তুলে ধরেছেন। আশা করি বইটি এর পাঠকের প্রতি আরো আকৃষ্ট করবে।
লেখনী ধারা অব্যাহত রাখবেন এবং পরবর্তী বছরের গল্পের বই বের করবেন বলে জানিয়েছেন লেখক।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের ফের ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
সাত কলেজের সমন্বয়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আশ্বাস দেওয়ায় সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে নতুন করে পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছেন তারা। এ ছাড়া ঘোষিত ছয় দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে ২৪ ঘণ্টা পর নতুন কর্মসূচির ঘোষণার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকা কলেজের শহীদ মিনারে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা জানান, সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাবির অধীনে চরম ভোগান্তির মধ্যে ছিলেন। সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল পরিচয়ের বিষয়টি। সরকারকে সমস্যার বিষয়টি বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন তারা। তারা শিক্ষার্থীদের কথা শুনেছেন, দাবির যৌক্তিকতা উপলব্ধি করতে পেরেছেন এবং সবশেষ চূড়ান্তভাবে সাত কলেজের সমন্বয়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আশ্বাস দিয়েছেন, সেজন্য সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা।
তারা জানান, সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ঘোষিত ছয় দফা দাবির মাত্র একটি বাস্তবায়ন হয়েছে, বাকি দাবিগুলো বাস্তবায়ন হয়নি। তাই বাকি দাবিগুলো বাস্তবায়নের জন্য ২৪ ঘণ্টা আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা পরে সবার সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী কর্মসূচি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
শিক্ষার্থীদের নতুন ৫ দফা দাবিগুলো হলো—
১. শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গঠিত কমিটিকে আগামী পনেরো দিনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপরেখা প্রকাশ।
২. এক মাসের মধ্যে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু করা।
৩. সকল বর্ষের চলমান পরীক্ষা পূর্বঘোষিত রুটিন অনুযায়ী চলমান রাখা।
৪. বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরুর সাথে সাথেই চলমান সকল শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্তকরণ।
৫. উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সাত কলেজের চলমান সংকট নিরসনে শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের সাথে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি এবং সাত কলেজের অধ্যক্ষ মহোদয় এবং সংশ্লিষ্ট স্টেক হোল্ডারদের সাথে আগামী দুই দিনের মধ্যে টেবিলটকের আয়োজন করা।
এর আগে শিক্ষার্থীরা পূর্বঘোষিত আল্টিমেটামে নিউমার্কেট থানা ঘেরাও ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস সাত কলেজের সামনে দিয়ে চলাচল নিষিদ্ধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন। মঙ্গলবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের সঙ্গে এক বৈঠকের পর সাত কলেজ শিক্ষার্থী প্রতিনিধি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাহী কমিটির সদস্য মঈনুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
বৈঠক শেষে তিনি বলেন, ‘সরকার আমাদের ছয় দফা দাবির বিষয়ে ইতিবাচক। যেগুলো তাৎক্ষণিক পূরণ করা সম্ভব সেগুলো পূরণ করা হয়েছে। আমরা কর্মসূচি দিয়েছিলাম ২৪ ঘণ্টা পর সাত কলেজের সামনে দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসসহ অন্যান্য বাস চলতে দেব না এবং নিউমার্কেট থানা ঘেরাওয়ের যে কর্মসূচি দিয়েছিলাম, সেই কর্মসূচি আমরা প্রত্যাহার করে নিলাম।’
এরও আগে, সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকা কলেজের শহিদ মিনারের সামনে সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (শিক্ষা) ড. মামুন আহমেদকে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানো পুলিশ সদস্যদের বিচারের আওতায় আনা না হলে এবং প্রত্যাহার করা না হলে নিউমার্কেট থানা ঘেরাওয়েরও ঘোষণা দেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী মইনুল হোসেন বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমাদের দাবি মেনে নেয়া না হলে শিক্ষার্থীদের নিয়ে নিউমার্কেট থানা ঘেরাও এবং সাত কলেজের সামনে দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো যানবাহন চলতে দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ নির্বিচারে হামলা চালিয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (শিক্ষা) ড. মামুন আহমেদকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী এবং ৭ কলেজ শিক্ষার্থীদের মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড় করিয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান, শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি ইবি শিক্ষার্থীদের
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উন্নয়ন অধ্যায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাফিজুল ইসলামের অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রশাসন কর্তৃক ২৬৬তম সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক অভিযুক্তকে বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট বাতিল ও এক বছরের বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠিয়েছে প্রশাসন। তবে সিন্ডিকেট সভার এই সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীরা সংক্ষুব্ধ হন এবং স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বেলা ১১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গিয়ে অবস্থান নেয়৷ প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচির পর প্রক্টরিয়াল বডির আশ্বাসে কর্মসূচি থেকে সরে যান শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনরত বিভাগের শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রথমত হাফেজ ছিলেন একজন সাইকোপ্যাথ; তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোর প্রমাণ সহ তথ্য-উপাত্ত দেওয়ার পরও প্রশাসন এমন ভনিতা মার্কা একটা রেজাল্ট দিল যেটার কোন মানেই হয় না। যেমনটা হচ্ছে যে এক বছরে একটা ভ্রমণের ব্যবস্থা করে দিলো। এক বছর পর উনি যদি আবার ব্যাক করে তাহলে আমাদের কী হবে। উনি শিক্ষক থাকা অবস্থায় আমাদের হয়রানি এবং দুর্দশার শেষ ছিল না, উনার বিরুদ্ধে যাওয়ার ফলে আমাদের আবার কী পরিমাণ হয়রানি এবং দুর্দশা হতে পারে তা চিন্তার বাহিরে। আমাদের দিকে প্রশাসন না তাকিয়ে তারা প্রহসন মার্কার রেজাল্ট দিয়ে আমাদেরকে আরো হয়রানির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। যতদিন না আমাদের যৌক্তিক দাবি পূরণ হচ্ছে ততদিন আমরা এ আন্দোলন চালিয়ে যাব।
এর পূর্বে গত ৭ অক্টোবর ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী হেনস্তা, আপত্তিকর মন্তব্য, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন-সহ ২৭ দফা অভিযোগ তুলে অপসারণের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক আটকে ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ করেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। পরে তারা উপাচার্যের কাছে লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ করলে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন ইবি উপাচার্য। গঠিত তদন্ত কমিটির প্রেক্ষিতে গত ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ২৬৬ তম (সাধারণ) সভার ৪৪ নং সিদ্ধান্ত মোতাবেক ইলশানী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী দক্ষতা ও শৃঙ্খলা বিধির (4) i (b) ও (৫) ধারা মোতাবেক তাঁকে বাৎসরিক ০১ (এক) টি ইনক্রিমেন্ট বাতিল ও বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে হেনস্থা, ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে মারার ও ছাদ থেকে ফেলে দেওয়ার হুমকি, ব্যক্তিগত রুমে নিয়ে গিয়ে শিক্ষার্থীদের শারীরিকভাবে নির্যাতন, দাড়ি থাকলে শিবির ট্যাগ দিয়ে হেনস্তা, ইচ্ছাকৃতভাবে ফলাফল খারাপ করে দেওয়া সহ গুরুতর অভিযোগ এনে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাকে বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটে অভিযুক্ত শিক্ষক হাফিজের কুশপুত্তলিকা টাঙিয়ে জুতা নিক্ষেপ এবং আগুনে পুড়িয়ে দেয় বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান বলেন, শিক্ষার্থীরা পূর্ব ঘোষিত সিদ্ধান্ত মানি না মর্মে আবেদন করলে পরবর্তী সিন্ডিকেটে পুনর্বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য স্যার। শিক্ষার্থীদের দাবির কথা ওঠে আসবে।
অবস্থান কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এয়াকুব আলী শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেন। তিনি জানান, বাধ্যতামূলক ছুটি মানে তাকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা। সিস্টেমে বিচার করা হবে। প্রয়োজনে আরেকটা সিন্ডিকেট বসে ‘কেন স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না’ মর্মে কারণ দর্শানো নোটিশ দেয়া হবে। এর আগে যৌন হয়রানির অভিযোগে কয়েকজন শিক্ষক স্থায়ী বহিষ্কার করা হলে জুডিশিয়ারি প্রসেসিং এ আবার ফিরে এসে এখন বহাল তবিয়তে। সুতরাং বিচারিক প্রক্রিয়ায় নেয়ার জন্য সিস্টেম অনুসরণ করা হবে জানান তিনি।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
প্রো-ভিসির পদত্যাগ চেয়ে ৭ কলেজ শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটাম
রাজধানীর নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ড. মামুন আহমেদ পদত্যাগ না করলে সাত কলেজের সব ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে ঢাকা কলেজের শহীদ মিনারের সামনে সংবাদ সম্মেলনে এ আলটিমেটাম দেন তারা।
ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী মইনুল হোসেন বলেন, ঢাকা কলেজে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ নির্বিচারে হামলা চালিয়েছে। এর দায়ভার পুলিশকে নিতে হবে। নিউমার্কেট থানার ওসি এবং এসির পদত্যাগ করতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি ড. মামুন আহমেদ ঢাবি শিক্ষার্থী এবং সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড় করিয়ে দেওয়ার দায়ভার হিসেবে তাকেও পদত্যাগ করতে হবে।
তিনি বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এসব দাবি মেনে নেওয়া না হলে শিক্ষার্থীদের নিয়ে নিউমার্কেট থানা ঘেরাও এবং সাত কলেজের সামনে দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো যানবাহন চলতে দেওয়া হবে না। এর আগে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন শিক্ষার্থীরা।
অধিভুক্তি বাতিল ও ঢাবির প্রো-ভিসির পদত্যাগ চেয়ে গতকাল রোববার বিকেলে সায়েন্সল্যাব মোড়ে অবস্থান নেন সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা। পরে তারা সায়েন্সল্যাব মোড়, টেকনিক্যাল মোড় এবং তাঁতীবাজারে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করছিলেন। রাত সাড়ে ১০টায় সায়েন্সল্যাব মোড় থেকে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেন এবং ঢাবি প্রো-ভিসির বাসভবন ঘেরাওয়ের ঘোষণা দেন।
এরই ধারাবাহিকতায় শিক্ষার্থীরা প্রথমে মিছিল নিয়ে ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। ঢাকা কলেজের আবাসিক হল থেকে আরও শিক্ষার্থী নিয়ে তারা ঢাবি ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে প্রো-ভিসির বাসভবন ঘেরাও করেন।
এক পর্যায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এবং অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
পরিস্থিতি শান্ত করতে রাত সাড়ে ১২টার দিকে সেখানে উপস্থিত হন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। কিন্তু সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে তিনি ব্যর্থ হয়ে সেখান থেকে ফিরে যান। এ ঘটনার ভিডিও রাতেই ভাইরাল হয়ে যায়।
রবিবার রাতে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টার সংঘর্ষের পর সোমবার জরুরি বৈঠকে অধিভুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়। দুপুর আড়াইটার দিকে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ সংবাদ সম্মেলন করে সেই সিদ্ধান্তের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন থাকা রাজধানীর সরকারি সাতটি কলেজকে ২০১৭ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত করা হয়। সেই হিসেবে প্রায় আট বছর ঢাবির অধীনে ভর্তি ও শিক্ষা কার্যক্রম চলে সাত কলেজে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবতেদায়ী শিক্ষকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ইবিতে বিক্ষোভ
শাহবাগে ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষকদের ওপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে হামলার জবাবদিহিতা চেয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বেলা ১১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের সামনে থেকে শতাধিক শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তাঁরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
এসময় শিক্ষার্থীরা ইবতেদায়ি জাতীয়করন; করতে হবে করতে হবে, শিক্ষকদের উপর হামলা কেন; প্রশাসন জবাব চাই ইত্যাদি স্লোগান দেন।
এসময় সাধারণ এক শিক্ষার্থী বলেন, ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করনের দাবি নিয়ে আন্দোলনে যাওয়া ব্যক্তিদের ওপর ফ্যাসিস্ট কায়দায় যে হামলা চালানো হয় তার তীব্র নিন্দা জানাই। এই আন্দলনেকে বাংলাদেশের আপামর জনতার দাবি উল্লেখ করে তিনি বলেন এই আন্দোলন শুধু জামিয়তে তলাবায়ে বা বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবিরের আন্দোলন নয় এটি আপামর তৌহিদি জনতার আন্দোলন। যারা দীর্ঘ ৪০ বছর যাবত বেতন পাননি তাদের দাবি নিয়ে আমরা মাঠে নেমেছি। তিনি আরও বলেন যতদিন না জাতীয়করণ করা হচ্ছে ততদিন আমরা ঘরে ফিরব না।
জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়া ইবি শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. সাজ্জাদতুল্লাহ শেখ বলেন, এটি শুধুমাত্র বিগত সাতদিনের দাবি নয়। দশক ধরে রাষ্ট্রের কাছে এ দাবি করে আসছে । কিন্ত আমরা দেখেছি এই রাষ্ট্রে যেই সরকারই আসে সবাই ইনিয়ে-বিনিয়ে ইবতেদায়ী শিক্ষকদের প্রতি বৈষম্য করে এ দাবি মেনে নেয় না। তারা ইবতেদায়ী শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের মানুষই মনে করে না। ইবতেদায়ী শিক্ষকদের যে দাবি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পরেও মেনে না নিয়ে তাদের ওপর টিয়ার শেল গ্যাস নিক্ষেপ করে,লাঠি চার্জ কিভাবে করে? মাদ্রাসা শিক্ষকদের কি দুর্বল পেয়েছে? যত দিন তাদের দাবি মেনে নেয়া না হয় ততদিন মাদ্রাসার কোনো শিক্ষক, শিক্ষার্থী ঘরে ফিরে যাবে না। ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণ হবে তারপর আমরা ঘরে ফিরে যাব।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবিতে দাওয়াহ সোসাইটির উদ্যাগে দুই হাজার কুরআন বিতরণ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) দাওয়াহ সোসাইটির উদ্যোগে কুরআন বিতরণ করা হয়েছে। এ অনুষ্ঠানে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে দুই হাজার কুরআন বিতরণ করা হয়।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবন সংলগ্ন আম বাগানের মুক্ত মঞ্চে এ অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানটি দাওয়াহ সোসাইটি সংগঠনের সভাপতি ম. মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী ও অধ্যাপক ড. ম. জাহাঙগীর আলম উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া, আলোচক হিসেবে আল কুরআন একাডেমি লন্ডনের সভাপতি হাফেজ ড. মনির উদ্দীন আহমদ ও বিভিন্ন বিভাগে শিক্ষকবৃন্দ সহ প্রায় তিন সহস্রাধিক শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে মু.মাহমুদুল হাসান বলেন, পবিত্র কুরআনের অর্ধেক মানা আর অর্ধেক না মানা এটা ইসলামের দাবি নয়, অর্থাৎ পরিপূর্ণতায় ইসলাম। আমরা চাই সবার হাতে কুরআন থাকবে তার চেয়ে অধ্যয়ন ও সুরক্ষিত রাখবে। সুরক্ষিত মানে এটাকে বুঝা, মানা এবং এর বাণী অন্যের কাছে পৌঁছে দেয়া।
আলোচক আল কুরআন একাডেমি লন্ডনের চেয়ারম্যান হাফেজ ড. মুনির উদ্দিন আহমেদ বলেন, শৈশবে সকাল বলায় কুরআন বুকে নিয়ে মক্তব্যে যাওয়া হতো কিন্তু আধুনিক সময়ে ‘মর্নিং স্কুল পিরিয়ড’ নামে এমন একটা নিয়ম করছে যা আমাদের জন্য ষড়যন্ত্র। পৃথিবীর এক বিশাল জনগোষ্ঠী জানেই না কুরআন কী, আমাদের উদ্যোগে চেষ্টা করে যাচ্ছি কুরআন বিশ্বজাহানে কুরআন পৌঁছে দিতে। আমাদের যাত্রা শুরু হয় ১৪ বছর আগে, এর পর থেকে আলহামদুলিল্লাহ এ যাবৎ ২০টি ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে। আমাদের প্রবীণ বা বুড়ো প্রজন্ম কী করেছে জানার বিষয় না। কিন্তু নতুন প্রজন্মকে কুরআন দিয়ে দায়িত্ব নিতে বলব। বর্তমান পৃথিবীতে যেভাবে কুরআনের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে, সেই আগ্রহকে কাজে লাগিয়ে সবার প্রতিটি আমরা কুরআন পৌঁছে দিতে চাই। ছোট আকারে হলেও বাংলাদেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে কুরআন বিতরণ করেছি। প্রায় পাবলিক প্রাইভেট মিলে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৮ লক্ষ শিক্ষার্থী রয়েছে। প্রত্যেকের কাছে কুরআন হাতে তুলে দেবো ইনশাআল্লাহ।
অনুষ্ঠানে উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী বলেন, সমাজের মাঝে প্রচলিত আছে কুরআন একটি ধর্মগ্রন্থ, কথাটি ভুল বরং কুরআন হলো পূর্নাঙ্গ সৃষ্টির গ্রন্থ। আমাদের সৃষ্টি তত্ত্ব কিভাবে পরিচালিত হবে তার ম্যানুয়েল হল কুরআন। কুরআনের একটি নাম হলো ‘কালামুল্লাহ’ যার অর্থ, আল্লাহর কথা। অর্থাৎ এটি কোন প্রচলিত মতবাদ বা মতাদর্শের ব্যাক্তিদের কথা নয়, এটি আল্লাহর কথা। যা কোন নির্দিষ্ট সম্প্রদায় বা জনগোষ্ঠীর জন্য নির্ধারিত নয়; এটি সম্পূর্ণ মানবজাতির জন্য।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, কুরআন নাজিল হয়েছে মানুষের বোঝার জন্য, যদি না বুঝে তাহলে হেদায়েত প্রাপ্ত হবে না। তিনি কুরআনের রেফারেন্স দিয়ে বলেন, কুরআন মাজিদ মানব সমাজে জন্য হেদায়েত স্বরূপ। যেমন মানব সমাজকে পথ দেখাবে; সে কোন গন্তব্য যাবে; তার জীবনে লক্ষ কী হবে ইত্যাদি। কুরআনের প্রথম নাজিল হওয়া আয়াত, ‘ পড়ো তোমার প্রভুর নামে যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছে।’ না বুঝে পড়লে তো এর কোনো অর্থ নেই। এটি নাজিল হয়েছে বোঝার জন্য। এজন্য এর শব্দ ভান্ডার এমনভাবে সাজানো হয়েছে যেন সবাই বুঝতে পারে।
তিনি বলেন, কুরআন মসজিদের যে মেসেজ তা দিয়ে মানুষের জীবনের সকল সমস্যার সমাধান সম্ভব৷ এই জন্য কুরআনকে বোঝা দরকার৷ আর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা এ দিক থেকে একটি বিশেষ শিক্ষাঙ্গনের শিক্ষার্থী।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম