ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ঢাবির ভর্তি পরীক্ষায় ‘নাতি-নাতনি’ কোটা বাদ
মুক্তিযোদ্ধাদের ‘নাতি-নাতনি’ কোটা বাদ দিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এবারের ভর্তি পরীক্ষা। এই ভর্তি পরীক্ষায় শুধুমাত্র মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য কোটা রাখা হয়েছে। বিষয়টিকে যৌক্তিক সংস্কার হিসেবেই দেখছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খান।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে ঢাবির পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন উপাচার্য।
অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেছেন, ভর্তি পরীক্ষায় কোটার যৌক্তিক সংস্কার করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে আমরা একটি সর্বজনীন বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পরিণত করতে চাই।
এদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে এ পরীক্ষা।
ঢাকা ও ঢাকার বাইরে ৭টি বিভাগীয় শহরে একযোগে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকার মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৭১ হাজার ৪ জন। এ ছাড়া বিভাগীয় শহরগুলোতে শনিবারের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ৫৪ হাজার ৪৯৬ জন।
এ বছর কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটে ২ হাজার ৯৩৪ আসনের বিপরীতে ১ লাখ ২৫ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। অর্থাৎ, প্রতি আসনের বিপরীতে লড়েছেন ৪৩ জন শিক্ষার্থী।
পরীক্ষা শেষে প্রশ্ন নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তবে পরীক্ষার কোটা সংস্কারসহ সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা।
গত বছর ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় এই ইউনিটে ১ লাখ ২ হাজার পরীক্ষার্থী অংশ নেন। তার মধ্যে ১০ হাজার ২৭৫ জন জন পাস করেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
প্রো-ভিসির পদত্যাগ চেয়ে ৭ কলেজ শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটাম
রাজধানীর নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ড. মামুন আহমেদ পদত্যাগ না করলে সাত কলেজের সব ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে ঢাকা কলেজের শহীদ মিনারের সামনে সংবাদ সম্মেলনে এ আলটিমেটাম দেন তারা।
ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী মইনুল হোসেন বলেন, ঢাকা কলেজে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ নির্বিচারে হামলা চালিয়েছে। এর দায়ভার পুলিশকে নিতে হবে। নিউমার্কেট থানার ওসি এবং এসির পদত্যাগ করতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি ড. মামুন আহমেদ ঢাবি শিক্ষার্থী এবং সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড় করিয়ে দেওয়ার দায়ভার হিসেবে তাকেও পদত্যাগ করতে হবে।
তিনি বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এসব দাবি মেনে নেওয়া না হলে শিক্ষার্থীদের নিয়ে নিউমার্কেট থানা ঘেরাও এবং সাত কলেজের সামনে দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো যানবাহন চলতে দেওয়া হবে না। এর আগে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন শিক্ষার্থীরা।
অধিভুক্তি বাতিল ও ঢাবির প্রো-ভিসির পদত্যাগ চেয়ে গতকাল রোববার বিকেলে সায়েন্সল্যাব মোড়ে অবস্থান নেন সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা। পরে তারা সায়েন্সল্যাব মোড়, টেকনিক্যাল মোড় এবং তাঁতীবাজারে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করছিলেন। রাত সাড়ে ১০টায় সায়েন্সল্যাব মোড় থেকে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেন এবং ঢাবি প্রো-ভিসির বাসভবন ঘেরাওয়ের ঘোষণা দেন।
এরই ধারাবাহিকতায় শিক্ষার্থীরা প্রথমে মিছিল নিয়ে ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। ঢাকা কলেজের আবাসিক হল থেকে আরও শিক্ষার্থী নিয়ে তারা ঢাবি ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে প্রো-ভিসির বাসভবন ঘেরাও করেন।
এক পর্যায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এবং অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
পরিস্থিতি শান্ত করতে রাত সাড়ে ১২টার দিকে সেখানে উপস্থিত হন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। কিন্তু সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে তিনি ব্যর্থ হয়ে সেখান থেকে ফিরে যান। এ ঘটনার ভিডিও রাতেই ভাইরাল হয়ে যায়।
রবিবার রাতে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টার সংঘর্ষের পর সোমবার জরুরি বৈঠকে অধিভুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়। দুপুর আড়াইটার দিকে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ সংবাদ সম্মেলন করে সেই সিদ্ধান্তের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন থাকা রাজধানীর সরকারি সাতটি কলেজকে ২০১৭ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত করা হয়। সেই হিসেবে প্রায় আট বছর ঢাবির অধীনে ভর্তি ও শিক্ষা কার্যক্রম চলে সাত কলেজে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবতেদায়ী শিক্ষকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ইবিতে বিক্ষোভ
শাহবাগে ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষকদের ওপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে হামলার জবাবদিহিতা চেয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বেলা ১১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের সামনে থেকে শতাধিক শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তাঁরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
এসময় শিক্ষার্থীরা ইবতেদায়ি জাতীয়করন; করতে হবে করতে হবে, শিক্ষকদের উপর হামলা কেন; প্রশাসন জবাব চাই ইত্যাদি স্লোগান দেন।
এসময় সাধারণ এক শিক্ষার্থী বলেন, ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করনের দাবি নিয়ে আন্দোলনে যাওয়া ব্যক্তিদের ওপর ফ্যাসিস্ট কায়দায় যে হামলা চালানো হয় তার তীব্র নিন্দা জানাই। এই আন্দলনেকে বাংলাদেশের আপামর জনতার দাবি উল্লেখ করে তিনি বলেন এই আন্দোলন শুধু জামিয়তে তলাবায়ে বা বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবিরের আন্দোলন নয় এটি আপামর তৌহিদি জনতার আন্দোলন। যারা দীর্ঘ ৪০ বছর যাবত বেতন পাননি তাদের দাবি নিয়ে আমরা মাঠে নেমেছি। তিনি আরও বলেন যতদিন না জাতীয়করণ করা হচ্ছে ততদিন আমরা ঘরে ফিরব না।
জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়া ইবি শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. সাজ্জাদতুল্লাহ শেখ বলেন, এটি শুধুমাত্র বিগত সাতদিনের দাবি নয়। দশক ধরে রাষ্ট্রের কাছে এ দাবি করে আসছে । কিন্ত আমরা দেখেছি এই রাষ্ট্রে যেই সরকারই আসে সবাই ইনিয়ে-বিনিয়ে ইবতেদায়ী শিক্ষকদের প্রতি বৈষম্য করে এ দাবি মেনে নেয় না। তারা ইবতেদায়ী শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের মানুষই মনে করে না। ইবতেদায়ী শিক্ষকদের যে দাবি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পরেও মেনে না নিয়ে তাদের ওপর টিয়ার শেল গ্যাস নিক্ষেপ করে,লাঠি চার্জ কিভাবে করে? মাদ্রাসা শিক্ষকদের কি দুর্বল পেয়েছে? যত দিন তাদের দাবি মেনে নেয়া না হয় ততদিন মাদ্রাসার কোনো শিক্ষক, শিক্ষার্থী ঘরে ফিরে যাবে না। ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণ হবে তারপর আমরা ঘরে ফিরে যাব।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবিতে দাওয়াহ সোসাইটির উদ্যাগে দুই হাজার কুরআন বিতরণ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) দাওয়াহ সোসাইটির উদ্যোগে কুরআন বিতরণ করা হয়েছে। এ অনুষ্ঠানে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে দুই হাজার কুরআন বিতরণ করা হয়।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবন সংলগ্ন আম বাগানের মুক্ত মঞ্চে এ অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানটি দাওয়াহ সোসাইটি সংগঠনের সভাপতি ম. মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী ও অধ্যাপক ড. ম. জাহাঙগীর আলম উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া, আলোচক হিসেবে আল কুরআন একাডেমি লন্ডনের সভাপতি হাফেজ ড. মনির উদ্দীন আহমদ ও বিভিন্ন বিভাগে শিক্ষকবৃন্দ সহ প্রায় তিন সহস্রাধিক শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে মু.মাহমুদুল হাসান বলেন, পবিত্র কুরআনের অর্ধেক মানা আর অর্ধেক না মানা এটা ইসলামের দাবি নয়, অর্থাৎ পরিপূর্ণতায় ইসলাম। আমরা চাই সবার হাতে কুরআন থাকবে তার চেয়ে অধ্যয়ন ও সুরক্ষিত রাখবে। সুরক্ষিত মানে এটাকে বুঝা, মানা এবং এর বাণী অন্যের কাছে পৌঁছে দেয়া।
আলোচক আল কুরআন একাডেমি লন্ডনের চেয়ারম্যান হাফেজ ড. মুনির উদ্দিন আহমেদ বলেন, শৈশবে সকাল বলায় কুরআন বুকে নিয়ে মক্তব্যে যাওয়া হতো কিন্তু আধুনিক সময়ে ‘মর্নিং স্কুল পিরিয়ড’ নামে এমন একটা নিয়ম করছে যা আমাদের জন্য ষড়যন্ত্র। পৃথিবীর এক বিশাল জনগোষ্ঠী জানেই না কুরআন কী, আমাদের উদ্যোগে চেষ্টা করে যাচ্ছি কুরআন বিশ্বজাহানে কুরআন পৌঁছে দিতে। আমাদের যাত্রা শুরু হয় ১৪ বছর আগে, এর পর থেকে আলহামদুলিল্লাহ এ যাবৎ ২০টি ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে। আমাদের প্রবীণ বা বুড়ো প্রজন্ম কী করেছে জানার বিষয় না। কিন্তু নতুন প্রজন্মকে কুরআন দিয়ে দায়িত্ব নিতে বলব। বর্তমান পৃথিবীতে যেভাবে কুরআনের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে, সেই আগ্রহকে কাজে লাগিয়ে সবার প্রতিটি আমরা কুরআন পৌঁছে দিতে চাই। ছোট আকারে হলেও বাংলাদেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে কুরআন বিতরণ করেছি। প্রায় পাবলিক প্রাইভেট মিলে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৮ লক্ষ শিক্ষার্থী রয়েছে। প্রত্যেকের কাছে কুরআন হাতে তুলে দেবো ইনশাআল্লাহ।
অনুষ্ঠানে উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী বলেন, সমাজের মাঝে প্রচলিত আছে কুরআন একটি ধর্মগ্রন্থ, কথাটি ভুল বরং কুরআন হলো পূর্নাঙ্গ সৃষ্টির গ্রন্থ। আমাদের সৃষ্টি তত্ত্ব কিভাবে পরিচালিত হবে তার ম্যানুয়েল হল কুরআন। কুরআনের একটি নাম হলো ‘কালামুল্লাহ’ যার অর্থ, আল্লাহর কথা। অর্থাৎ এটি কোন প্রচলিত মতবাদ বা মতাদর্শের ব্যাক্তিদের কথা নয়, এটি আল্লাহর কথা। যা কোন নির্দিষ্ট সম্প্রদায় বা জনগোষ্ঠীর জন্য নির্ধারিত নয়; এটি সম্পূর্ণ মানবজাতির জন্য।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, কুরআন নাজিল হয়েছে মানুষের বোঝার জন্য, যদি না বুঝে তাহলে হেদায়েত প্রাপ্ত হবে না। তিনি কুরআনের রেফারেন্স দিয়ে বলেন, কুরআন মাজিদ মানব সমাজে জন্য হেদায়েত স্বরূপ। যেমন মানব সমাজকে পথ দেখাবে; সে কোন গন্তব্য যাবে; তার জীবনে লক্ষ কী হবে ইত্যাদি। কুরআনের প্রথম নাজিল হওয়া আয়াত, ‘ পড়ো তোমার প্রভুর নামে যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছে।’ না বুঝে পড়লে তো এর কোনো অর্থ নেই। এটি নাজিল হয়েছে বোঝার জন্য। এজন্য এর শব্দ ভান্ডার এমনভাবে সাজানো হয়েছে যেন সবাই বুঝতে পারে।
তিনি বলেন, কুরআন মসজিদের যে মেসেজ তা দিয়ে মানুষের জীবনের সকল সমস্যার সমাধান সম্ভব৷ এই জন্য কুরআনকে বোঝা দরকার৷ আর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা এ দিক থেকে একটি বিশেষ শিক্ষাঙ্গনের শিক্ষার্থী।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
রাবিতে ন্যাশনাল সায়েন্স ফিয়েস্টা শুরু শুক্রবার
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আগামী শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে আরইউএসসি ন্যাশনাল সায়েন্স ফিয়েস্টা ২০২৪। জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের সহযোগিতায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স ক্লাব (আরইউএসসি) আয়োজিত তিন দিনব্যাপী এই আয়োজন চলবে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া অ্যাকাডেমিক ভবনের ৪০৭ নং রুমে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানা তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে (টিএসসিসি) ও এর সামনের মাঠসহ মোট ৭টি ভেন্যুতে ৮ম বারের মতো এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
ফিয়েস্টার ইভেন্টের মধ্যে একক অংশগ্রহণে থাকবে সায়েন্স অলিম্পিয়াড, সায়েন্টিফিক পেইন্টিং কম্পিটিশন, সায়েন্টিফিক স্পিস কম্পিটিশন, রুবিক্স কিউব কম্পিটিশন, কেইস সলভিং এবং ফটোগ্রাফি কনটেস্ট। দলীয় অংশগ্রহণে থাকবে মোবাইল অ্যাপ আইডিয়া কম্পিটিশন, প্রোজেক্ট শো কম্পিটিশন, পোস্টার প্রেজেন্টেশন, ওয়াল ম্যাগাজিন (দেয়ালিকা) এবং এআই-বেসড বিজনেস আইডিয়া কম্পিটিশন। এছাড়া থাকবে সায়েন্টিফিক ডিবেট।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় টিএসসিসিতে উদ্বোধনী পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। উদ্বোধন করবেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব। এ ছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্যদ্বয় অধ্যাপক মো. মাঈন উদ্দিন খান (প্রশাসন) ও অধ্যাপক মোহা ফরিদ উদ্দিন খান (শিক্ষা) এবং রাবি সায়েন্স ক্লাবের উপদেষ্টামণ্ডলী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন ক্লাবের সভাপতি মাসুদ।
লিখিত বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গেছে, অংশগ্রহণকারী প্রত্যেকের জন্য থাকছে সার্টিফিকেট এবং চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স-আপদের জন্য আকর্ষণীয় পুরস্কার ও প্রাইজমানি। এছাড়াও থাকছে টি-শার্ট, কলম, স্ন্যাক্স, স্পেশাল গিফট ব্যাগ ইত্যাদি। এবারের ফিয়েস্টার আহ্বায়ক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স ক্লাবের সভাপতি মাসুদ।
এবারের সায়েন্স ফিয়েস্টায় সহযোগী হিসেবে থাকবে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, টাইটেল স্পন্সর ওয়ালটন স্মার্ট ফ্রিজ, ব্রোঞ্জ স্পন্সর উত্তরায়ন আমানা সিটি, স্ট্র্যাটিজিক পার্টনার বিডিঅ্যাপস, স্ন্যাক্স পার্টনার বোম্বে সুইটস, লার্নিং পার্টনার ওলিন এআই, সাপোর্টিং পার্টনার সুরেন্দ্রনাথ এন্ড ভাজাসুন্দরি দাস স্মৃতি তহবিল, মিডিয়া পার্টনার দ্যা বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড, যমুনা টেলিভিশন এবং দৈনিক দিনকাল, ম্যাগাজিন পার্টনার বিজ্ঞানচিন্তা, ইভেন্ট পার্টনার বিডিইভেন্টস, কমিউনিটি পার্টনার জেসিআই ঢাকা ওয়েস্ট, এডুকেশন পার্টনার সাইফুর’স, ফুড পার্টনার কাজলা ক্যান্টিন, ইউথ এংগেইজমেন্ট পার্টনার টিবিএস গ্র্যাজুয়েটস, ইউনেট, পাবলিকিয়ান, আরইউ ইনসাইডারস এবং পাবলিকিয়ান। ম্যাগাজিন পার্টনার হিসেবে রয়েছে বিজ্ঞানবিষয়ক মাসিক ম্যাগাজিন বিজ্ঞানচিন্তা।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে শুরু হওয়া এই সায়েন্স ফিয়েস্টা বর্তমানে বিজ্ঞানপ্রেমীদের জন্য অন্যতম জনপ্রিয় এবং প্রতীক্ষিত আয়োজন। প্রতিবছর রাজশাহী এবং রাজশাহীর বাহিরের অঞ্চল থেকে হাজারো শিক্ষার্থী এবং তরুণ গবেষকরা জনপ্রিয় এই সায়েন্স ফিয়েস্টায় অংশগ্রহণ করেন। তিন দিনের এই আয়োজনে থাকবে ১৩টি ভিন্ন ভিন্ন বিজ্ঞান বিষয়ক প্রতিযোগিতাসহ আরো অন্যান্য কর্মসূচি।
অর্থসংবাদ/জুবাইর/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকছে না সাত কলেজ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি ৭ কলেজের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে হবে না। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয় সংলগ্ন সভাকক্ষে ঢাবি প্রশাসনের সঙ্গে ৭ কলেজের অধ্যক্ষদের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কার্যালয় সংলগ্ন লাউঞ্জে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজ বিষয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় এরইমধ্যে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং ধৈর্যধারণ, সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
সভায় সার্বিক বিষয়ে আলোচনা করে নিম্নলিখিত সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো-
১. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের সম্মানজনক পৃথকীকরণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
২. অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা সংক্রান্ত পূর্ববর্তী সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে এক বছর এগিয়ে এনে এবছর থেকেই অর্থাৎ ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ভর্তি না নেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
৩. শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির মাধ্যমে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে পরবর্তী শিক্ষাবর্ষের কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য সভায় জোর সুপারিশ করা হয়।
৪. ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী আসন সংখ্যা ও ভর্তি ফি নির্ধারণসহ যাবতীয় বিষয়ে মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
৫. যেসব শিক্ষার্থী বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান শিক্ষা কার্যক্রমের অধীনে রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দায়িত্বশীল থাকবে, যাতে তাদের শিক্ষাজীবন কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখার জন্য সভা সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ও নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানানো হয়।