Connect with us
৬৫২৬৫২৬৫২

আন্তর্জাতিক

ট্রাম্প প্রশাসনের অ্যাকাউন্ট জোরপূর্বক ফলো করানো নিয়ে যা বলল মেটা

Published

on

বিদ্যুৎ খাতে

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নেটওয়ার্ক ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের সত্ত্বাধিকারী সংস্থা মেটা যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ট্রাম্প প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অফিশিয়াল অ্যাকাউন্ট ফলো করতে ব্যবহারকারীদের বাধ্য করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

ডোনাল্ড ট্রাম্পের গত সোমবারের অভিষেকের পর কিছু ব্যবহারকারী অভিযোগ করেন, তারা ‘স্বয়ংক্রিয়ভাবে’ যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্টের পাশাপাশি ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স ও ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট ফলো করতে বাধ্য হয়েছেন।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

মেটার মুখপাত্র অ্যান্ডি স্টোন বুধবার ব্যাখ্যা করেছেন, এই অ্যাকাউন্টগুলো হোয়াইট হাউস পরিচালনা করে এবং নতুন পদধারীদের প্রতিফলিত করতে সেগুলো হালনাগাদ করা হয়েছে। তিনি এক বিবৃতিতে লেখেন, ‘এই প্রক্রিয়া আমরা আগের প্রেসিডেন্ট বদলের সময়ও অনুসরণ করেছিলাম।’

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

এই অ্যাকাউন্টগুলো প্রেসিডেন্ট অব দ্য ইউনাইটেড স্টেটসের সংক্ষিপ্ত রূপ পোটাস, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্ট লেডি অব দ্য ইউনাইটেড স্টেটসের সংক্ষিপ্ত রূপ ফ্লোটাস নামে পরিচালিত হয়। সংরক্ষিত অ্যাকাউন্টগুলোর পূর্ববর্তী সংস্করণে দেখা যায়, পোটাস ও ফ্লোটাস অ্যাকাউন্টগুলো আগে যথাক্রমে জো বাইডেন ও জিল বাইডেনের নাম ও অফিশিয়াল ছবি বহন করত।

স্টোন আরো বলেন, ‘যেহেতু এই অ্যাকাউন্টগুলো নতুন হাতে হস্তান্তর হচ্ছে, তাই ফলো ও আনফলো অনুরোধ সম্পন্ন হতে কিছুটা সময় লাগতে পারে।’

মেটার মুখপাত্র বলেন, ‘সরকার পরিবর্তনের সময় মানুষকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামের কোনো অফিশিয়াল অ্যাকাউন্ট ফলো করানো হয়নি।’

গত সোমবার দ্বিতীয়বারের মতো মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর ট্রাম্প দ্রুতই বিভিন্ন নির্বাহী আদেশ ও নির্দেশ জারি করেন, যার মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে প্রত্যাহার ও মেক্সিকো সীমান্তে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা রয়েছে। তার অভিষেক অনুষ্ঠানে মেটার প্রধান মার্ক জাকারবার্গ, নতুন প্রশাসনের উপদেষ্টা হিসেবে থাকা এক্সের প্রধান ইলন মাস্কসহ প্রভাবশালী টেক বিলিয়নেয়াররা উপস্থিত ছিলেন।

মেটার প্রতি আগে থেকেই সমালোচনামুখর ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০২১ সালে ক্যাপিটল হিলে ৬ জানুয়ারির দাঙ্গায় জড়িত ব্যক্তিদের ‘প্রশংসা’ করার অভিযোগে মেটা তাকে নিষিদ্ধ করেছিল।

ট্রাম্প ও তার সহযোগীরা বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে সহায়তা করে বাইডেনের ছেলে হান্টার সম্পর্কে অভিযোগ ও করোনা মহামারির সঙ্গে সম্পর্কিত কিছু কনটেন্ট দমনের জন্য মেটাকে অভিযুক্ত করেছিলেন। জাকারবার্গ এই সিদ্ধান্তের জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছিলেন।

এ ছাড়া গত আগস্টে প্রকাশিত একটি বইয়ে ট্রাম্প লিখেছিলেন, যদি জাকারবার্গ ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করেন, তবে তাকে ‘জীবনের বাকি সময় জেলখানায় কাটাতে হবে’।

তবে নভেম্বরের শুরুর দিকে নির্বাচনে ট্রাম্পের জয়লাভের পর থেকে জাকারবার্গ তার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করার চেষ্টা করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। জাকারবার্গ নভেম্বরের শেষের দিকে ট্রাম্পের মার-এ-লাগো বাসভবনে তার সঙ্গে নৈশভোজে অংশ নেন এবং অভিষেক অনুষ্ঠানে এক মিলিয়ন ডলার অনুদান দেন।

এ ছাড়া মেটা এই মাসের শুরুর দিকে জানায়, তারা তৃতীয় পক্ষের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রক্রিয়া বন্ধ করে এক্সের কমিউনিটি নোটসের মতো একটি পদ্ধতির দিকে এগোবে, যা ট্রাম্পের পূর্ববর্তী কিছু সমালোচনার প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখা হচ্ছে। কম্পানিটির মতে, এটি তাদের ‘মৌলিক মুক্ত মতপ্রকাশের অঙ্গীকারে’ ফিরে যাওয়ার ইঙ্গিত দেয়।

সূত্র: বিবিসি, এএফপি

শেয়ার করুন:-

আন্তর্জাতিক

মালয়েশিয়ায় ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা, নিহত ১৫

Published

on

বিদ্যুৎ খাতে

মালয়েশিয়ার উত্তরাঞ্চলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বহনকারী বাস একটি মিনিভ্যানে ধাক্কা দিলে অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন বলে স্থানীয় উদ্ধারকারী সংস্থাগুলো জানিয়েছে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

সোমবার (৯ জুন) ভোররাতে থাইল্যান্ড সীমান্তের কাছে ব্যস্ত ইস্ট-ওয়েস্ট হাইওয়েতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলেই ১৩ জন মারা যান এবং হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও ২ জনের মৃত্যু হয়। এই দুর্ঘটনায় আরও ৩১ জন আহত হয়েছেন।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

পেরাক রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানায়, এ সময় বাসটি উল্টে যায় এবং মিনিভ্যানটি খাদে পড়ে যায়।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

তারা আরও জানায়, কিছু যাত্রী নিজেরাই বাস থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন, কেউ কেউ বাস থেকে ছিটকে পড়েন এবং অনেকেই ভেতরে আটকে পড়েন।

উদ্ধারকর্মীরা জানান, বাসের ভেতর থেকে কয়েকজনকে বের করতে হাইড্রোলিক কাটার ব্যবহার করতে হয়েছে।

মালয়েশিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনার হার অনেক বেশি। দেশটির দ্য স্টার পত্রিকা মার্চ মাসে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, মালয়েশিয়ার ব্যস্ত সড়কগুলোতে গড়ে প্রতি দুই ঘণ্টায় একজন মানুষের মৃত্যু ঘটে।

শেয়ার করুন:-
পুরো সংবাদটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

ঈদে দুবাইয়ে কমেছে স্বর্ণের দাম

Published

on

বিদ্যুৎ খাতে

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাজারে কমেছে সোনার দাম। এর আগে, দুবাইয়ে এক গ্রাম সোনার দাম ৩৭৮ দিরহাম ছিল। সেখান থেকে তা কমে হয়েছে ৩৬৯ দশমিক ২৫ দিরহাম।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

শনিবার (৭ জুন) এই তথ্য জানিয়েছে দুবাইভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

গত বৃহস্পতিবারের তুলনায় প্রতি গ্রামে চার দিরহাম করে সাশ্রয় করতে পারছেন ক্রেতারা।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

গালফ টাইমসকে এক ব্যবসায়ী বলেন, সবার মনে একটা কথাই ঘুরপাক খাচ্ছিল-সপ্তাহান্তে বৈশ্বিক বাজার বন্ধ হওয়ার আগেই দাম ৩৬৭ বা ৩৬৮ দিরহামে নেমে আসবে কি না।

তিনি বলেন, অতটা না কমলেও আমি মনে করছি ৩৬৯ দশমিক ৭৫ দিরহাম দামও ঈদে ক্রেতাদের স্বস্তি দেবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা মনে করি আরব আমিরাতের স্বর্ণ-অলঙ্কারের বাজার ও দোকানগুলোতে আজ ও আগামীকাল দুর্দান্ত ব্যবসা হবে। সোনার দাম ৩৭০ দিরহাম বা তারচেয়েও বেশি হলে এতটা বিক্রি হতো না।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ঈদের আগের কয়েক সপ্তাহে দুবাইর সোনার দোকানগুলোতে ক্রেতার ভিড় একেবারেই ছিল না। ৩৭০ দিরহামের ওপরে দাম থাকাই এর মূল কারণ বলে তারা উল্লেখ করেন।

কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, ক্রেতারা ঈদ উপলক্ষে মূল্যছাড়ের অপেক্ষায় ছিলেন।

তবে অনেকেই বলেন, ভবিষ্যতেও সোনার দাম গ্রামপ্রতি ৩৭০ দিরহামের ওপরে থাকলে বিক্রি কম থাকবে।

গতকাল শনিবারের মতো আজ রোববারও স্বর্ণের দোকানগুলো ব্যস্ত থাকবে বলে মনে করছেন স্বর্ণ ও অলঙ্কার বিক্রেতারা। শনিবার সন্ধ্যা নাগাদ বিক্রি বাড়তে শুরু করে। ব্যস্ত শপিং মল ও হাইপারমার্কেটের দোকানগুলোতেও সপ্তাহান্তে ক্রেতার ভিড় বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

অপরদিকে ঈদুল আজহার আগে বাংলাদেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বেড়েছে। শুক্রবার থেকে নতুন দর কার্যকর হয়েছে।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, শুক্রবার থেকে প্রতি ভরি বা ১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম স্বর্ণের দাম এক লাখ ৭২ হাজার টাকা হয়েছে, যা আগে ছিল এক লাখ ৬৯ হাজার টাকা।

শেয়ার করুন:-
পুরো সংবাদটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

অ্যাপ ব্যবহারকারীদের ১০ শতাংশ ছাড় দেবে জাজিরা এয়ারওয়েজ

Published

on

বিদ্যুৎ খাতে

আন্তর্জাতিক রুটে যাতায়াতকারীদের জন্য বিশেষ অফার নিয়ে এসেছে কুয়েতভিত্তিক জাজিরা এয়ারওয়েজ। প্রতিষ্ঠানটি ঘোষণা করেছে, তাদের মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে টিকিট বুক করলে যাত্রীরা সব ফ্লাইটে ১০ শতাংশ মূল্যছাড় উপভোগ করতে পারবেন।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

এই অফারটি শুধুমাত্র অ্যাপে বুকিংয়ের জন্য প্রযোজ্য এবং ব্যবহার করতে হবে নির্ধারিত প্রোমো কোড J9APP10। অফারটি চলবে ৯ জুন পর্যন্ত। তবে এই সময়ের মধ্যে টিকিট কাটলে যাত্রার সময়সীমা থাকবে ১৫ জুন থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

এ বিষয়ে জাজিরা এয়ারওয়েজ জানিয়েছে, তাদের অ্যাপ ব্যবহারকারী যাত্রীরা যেন আরও সহজে ও কম খরচে আন্তর্জাতিক গন্তব্যে ভ্রমণ করতে পারেন, সে লক্ষ্যেই এই মূল্যছাড়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অফারটি পেতে অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপ স্টোর থেকে ডাউনলোড করে বুকিং সম্পন্ন করতে হবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

এয়ারলাইনের পক্ষ থেকে আরো জানানো হয়েছে, শর্তাবলী প্রযোজ্য এবং বিস্তারিত তথ্য জাজিরা এয়ারওয়েজের অফিসিয়াল অ্যাপে পাওয়া যাবে।

শেয়ার করুন:-
পুরো সংবাদটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

দ্রুত ডুবে যাচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম শহরগুলো

Published

on

বিদ্যুৎ খাতে

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বদলে যাচ্ছে পৃথিবীর আবহাওয়া ও প্রকৃতি। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের খেসারত দিতে হচ্ছে কম-বেশি কম দেশকে। বাদ পড়ছে না উন্নত বিশ্বও। এই সমীক্ষায় বেরিয়ে এসেছে, সমুদ্রের উচ্চতা বেড়ে যাবার কারণে দ্রুত ডুবে যাচ্ছে পৃথিবীর বড় শহরগুলো।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

জাকার্তার বাসিন্দা ৩৭ বছর বয়সী আর্না আজ যে ঘরে থাকেন, সেই বাড়ির জানালা এক সময় তার বুকের সমান উচ্চতায় ছিল। এখন তা হাঁটুর নিচে। বারবার বন্যা মোকাবেলা করতে গিয়ে পরিবারটিকে মেঝেতে এক মিটার পর্যন্ত কংক্রিট জমা করতে হয়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তার বাড়ি যেমন নিচে নামছে, তেমনি বাড়ছে পানিবন্দি জীবনের দুর্বিষহ অভিজ্ঞতা। মাঝেমধ্যে এমনও হয়েছে—নৌকায় ঘরের ভেতরে চলাফেরা করতে হয়েছে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

আর্নার শহর জাকার্তা পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুত ডুবে যাওয়া শহরগুলোর একটি। উত্তর জাকার্তায় তার বাড়ি এখন রাস্তার চেয়েও অনেকটা নিচু। মসজিদ, খেলার মাঠ, এমনকি পুরনো বন্দর—সবই এখন জলের নিচে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

এ একক ঘটনা নয়। নানইয়াং টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায় দেখা গেছে, এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ ও আমেরিকার ৪৮টি উপকূলবর্তী শহর আশঙ্কাজনক গতিতে ভূমি ধসে পড়ছে। জাতিসংঘের জনসংখ্যা উপাত্ত ব্যবহার করে বিবিসি হিসাব করেছে, এসব শহরের অন্তত ৭ কোটি ৬০ লাখ মানুষ এমন এলাকায় বসবাস করে যেখানে প্রতি বছর গড়ে এক সেন্টিমিটার বা তার চেয়েও বেশি ভূমি ধস হয়।

চীনের তিয়ানজিন শহরে ২০২৩ সালে ভূমিধসের কারণে তিন হাজার মানুষকে বহুতল ভবন থেকে সরিয়ে নেয়া হয়। এ শহরের কিছু অংশ ২০১৪ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে প্রতি বছর ১৮ দশমিক ৭ সেন্টিমিটার পর্যন্ত ডেবে গেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর সবচেয়ে বড় কারণ হলো অতিরিক্ত মাত্রায় ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন। এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি, নগরায়ণ এবং পানি সরবরাহ ব্যবস্থার অপ্রতুলতা এ প্রবণতা আরো তীব্র করে তুলছে। ফলে ঘন ঘন বন্যা, লবণাক্ত পানি অনুপ্রবেশ, পানির মানের অবনতি এবং কৃষিজমির ক্ষয় দেখা দিচ্ছে।

বিশেষ করে নদীবাহিত বদ্বীপ অঞ্চলে গড়ে ওঠা শহরগুলো যেমন জাকার্তা, ব্যাংকক, হো চি মিন সিটি ও সাংহাই—সবচেয়ে ঝুঁকিতে। প্রায় অর্ধেক জাকার্তা এখন সমুদ্রপৃষ্ঠের নিচে। শহরটির ভৌগোলিক অবস্থান এমন এক স্থানে, যেখানে ১৩টি নদী এসে সমুদ্রে মিশেছে।

এ সংকটের মুখে ইন্দোনেশিয়া সরকার নতুন রাজধানী ‘নুসান্তারা’ নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে, যা বর্নিও দ্বীপে অবস্থিত। এখানে বিশাল জলাধার ও পানি বিশুদ্ধকরণ ব্যবস্থা তৈরি করে ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরতা কমানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে এ প্রকল্পটি সমালোচিত এর বিশাল ব্যয় (৩৪ বিলিয়ন ডলার) ও পরিবেশগত প্রভাব নিয়ে।

আফ্রিকার লাগোস শহরেও একই সমস্যা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, যখন শহরে দেয়ালগুলো উঁচু হতে থাকে, তখন ‘বোল ইফেক্ট’ তৈরি হয়, যা বৃষ্টির পানি আটকে ফেলে এবং তা সাগরে ফেরত যেতে পারে না। ফলে বন্যা বাড়ে। জাকার্তা ও হো চি মিন সিটি এরই মধ্যে পাম্পিং স্টেশন তৈরি করেছে, কিন্তু এটি মূল কারণকে সমাধান করে না।

অন্যদিকে, জাপানের টোকিও এ সংকটের কার্যকর সমাধান খুঁজে পেয়েছে। ১৯৭০-এর দশকে তারা ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনের ওপর কড়া নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে। পানির ব্যবস্থাপনায় আধুনিক প্রযুক্তি গ্রহণ করে। এর ফলে শহরের ভূমি ধস প্রায় সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

জাপানের অভিজ্ঞতা দেখায়, যথাযথ পরিকল্পনা, শক্তিশালী নীতিমালা এবং সমন্বিত পানি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সংকট মোকাবেলা সম্ভব। কিন্তু সেটি করতে হলে প্রয়োজন রাজনৈতিক সদিচ্ছা, বিনিয়োগ এবং ভবিষ্যতের প্রতি দায়বদ্ধতা। নাহলে পৃথিবীর আরো অনেক শহর ধীরে ধীরে হারিয়ে যাবে জলমগ্ন ইতিহাসে।

শেয়ার করুন:-
পুরো সংবাদটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

ঈদ উপলক্ষে ৬৪৫ কয়েদিকে ক্ষমা করে দিলেন ওমানের সুলতান

Published

on

বিদ্যুৎ খাতে

ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা উপলক্ষে ৬৪৫ জন কারাবন্দিকে ক্ষমা করেছেন মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানের সুলতান হাইথাম বিন তারিক। ক্ষমাপ্রাপ্ত কারাবন্দিদের মধ্যে ওমানি নাগরিকদের পাশাপাশি বেশ কয়েকজন বিদেশি নাগরিকও আছেন।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সুলতানের দপ্তর থেকে দেওয়া এক বিবৃতি থেকে জানা গেছে এ তথ্য। খবর গালফ নিউজের।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

মুক্তিপ্রাপ্ত কয়েদিদের মধ্যে কতজন বিদেশি নাগরিক আছেন, তা উল্লেখ করা হয়নি বিবৃতিতে। তবে, বলা হয়েছে যে এই বিদেশিদের শিগগিরই নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

১৯৫৫ সালে জন্ম নেওয়া হাইথাম বিন তারিক ওমানের সিংহাসনে আরোহন করেন ২০২০ সালে। তিনি একইসঙ্গে ওমানের সুলতান এবং প্রধানমন্ত্রী। সিংহাসনে আরোহনের আগে তিনি ওমানের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

বৃহস্পতিবারের রাজকীয় বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মাননীয় সুলতান মানবিক মূল্যবোধের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তারই প্রতিফলন হলো ঈদুল আজহার আগে ৬ শতাধিক কারাবন্দির মুক্তি। এদের মধ্যে যারা বিদেশি নাগরিক, তাদের রাষ্ট্রীয় খরচে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ওমান সবসময়েই দয়া, ঐক্য এবং সামাজিক সংহতিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়। মাননীয় সুলতান মুক্তিপ্রাপ্ত কয়েদি এবং তাদের পরিবার-পরিজনদের ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

শেয়ার করুন:-
পুরো সংবাদটি পড়ুন

পুঁজিবাজারের সর্বশেষ

বিদ্যুৎ খাতে বিদ্যুৎ খাতে
পুঁজিবাজার5 days ago

এনসিসি ব্যাংকের উদ্যোক্তা পরিচালকের শেয়ার বিক্রয়

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান এনসিসি ব্যাংক পিএলসির এক উদ্যোক্তা পরিচালক পূর্বঘোষণা অনুযায়ী শেয়ার বিক্রয় সম্পন্ন করেছেন।  AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×...

বিদ্যুৎ খাতে বিদ্যুৎ খাতে
পুঁজিবাজার5 days ago

ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্সের ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন করা হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।...

বিদ্যুৎ খাতে বিদ্যুৎ খাতে
পুঁজিবাজার5 days ago

নর্দার্ণ জুটের সর্বোচ্চ দরপতন

ঈদুল আজহার ছুটি পূর্ববর্তী শেষ কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির মধ্যে ৫৫টি...

বিদ্যুৎ খাতে বিদ্যুৎ খাতে
পুঁজিবাজার5 days ago

দর বৃদ্ধির শীর্ষে সোনারগাঁও টেক্সটাইল

ঈদুল আজহার ছুটি পূর্ববর্তী শেষ কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৭৭টির...

বিদ্যুৎ খাতে বিদ্যুৎ খাতে
পুঁজিবাজার5 days ago

লেনদেনের শীর্ষে ব্র্যাক ব্যাংক

ঈদুল আজহার ছুটি পূর্ববর্তী শেষ কার্যদিবসে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি। ডিএসই...

বিদ্যুৎ খাতে বিদ্যুৎ খাতে
পুঁজিবাজার5 days ago

সর্বনিম্ন লেনদেনের নতুন রেকর্ড করে ছুটিতে পুঁজিবাজার

আগামী শনিবার (৭ জুন) ঈদুল আজহা উপলক্ষে আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে টানা ১০দিনের ছুটিতে যাচ্ছে পুঁজিবাজার। ছুটির দিনগুলোতে দেশের উভয় স্টক...

বিদ্যুৎ খাতে বিদ্যুৎ খাতে
পুঁজিবাজার5 days ago

বাজেট প্রতিক্রিয়ায় ব্যর্থ রাশেদ মাকসুদ ও অর্থ উপদেষ্টার পদত্যাগ চাইলেন বিনিয়োগকারীরা

২০২৫-২৬ অর্থবছরে অর্ন্তবর্তী সরকারের ঘোষিত বাজেটের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশননের (বিএসইসি) অযোগ্য-ব্যর্থ চেয়ারম্যান খন্দকার...

Advertisement
AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

সোশ্যাল মিডিয়া

তারিখ অনুযায়ী সংবাদ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০  
বিদ্যুৎ খাতে
আন্তর্জাতিক1 hour ago

মালয়েশিয়ায় ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা, নিহত ১৫

বিদ্যুৎ খাতে
ধর্ম ও জীবন1 hour ago

তাকবিরে তাশরিক পড়তে হবে মঙ্গলবার আসর পর্যন্ত

বিদ্যুৎ খাতে
জাতীয়2 hours ago

বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস আজ

বিদ্যুৎ খাতে
জাতীয়2 hours ago

করোনা সতর্কতায় চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে বাড়তি নজরদারি

বিদ্যুৎ খাতে
জাতীয়2 hours ago

ঈদের তৃতীয় দিনেও চলবে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম: উপদেষ্টা আসিফ

বিদ্যুৎ খাতে
জাতীয়2 hours ago

প্রধান উপদেষ্টা যুক্তরাজ্যে যাচ্ছেন আজ

বিদ্যুৎ খাতে
জাতীয়3 hours ago

মধ্য রাতে দেশে ফিরলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ

বিদ্যুৎ খাতে
জাতীয়3 hours ago

সচিবালয়-যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ

বিদ্যুৎ খাতে
জাতীয়16 hours ago

টিউলিপ সিদ্দিকের কোনো চিঠি পাইনি: প্রেস সচিব

বিদ্যুৎ খাতে
অর্থনীতি16 hours ago

প্রবাসী আয়ের শীর্ষে ঢাকা, পিছিয়ে লালমনিরহাট

বিদ্যুৎ খাতে
আন্তর্জাতিক1 hour ago

মালয়েশিয়ায় ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা, নিহত ১৫

বিদ্যুৎ খাতে
ধর্ম ও জীবন1 hour ago

তাকবিরে তাশরিক পড়তে হবে মঙ্গলবার আসর পর্যন্ত

বিদ্যুৎ খাতে
জাতীয়2 hours ago

বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস আজ

বিদ্যুৎ খাতে
জাতীয়2 hours ago

করোনা সতর্কতায় চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে বাড়তি নজরদারি

বিদ্যুৎ খাতে
জাতীয়2 hours ago

ঈদের তৃতীয় দিনেও চলবে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম: উপদেষ্টা আসিফ

বিদ্যুৎ খাতে
জাতীয়2 hours ago

প্রধান উপদেষ্টা যুক্তরাজ্যে যাচ্ছেন আজ

বিদ্যুৎ খাতে
জাতীয়3 hours ago

মধ্য রাতে দেশে ফিরলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ

বিদ্যুৎ খাতে
জাতীয়3 hours ago

সচিবালয়-যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ

বিদ্যুৎ খাতে
জাতীয়16 hours ago

টিউলিপ সিদ্দিকের কোনো চিঠি পাইনি: প্রেস সচিব

বিদ্যুৎ খাতে
অর্থনীতি16 hours ago

প্রবাসী আয়ের শীর্ষে ঢাকা, পিছিয়ে লালমনিরহাট

বিদ্যুৎ খাতে
আন্তর্জাতিক1 hour ago

মালয়েশিয়ায় ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা, নিহত ১৫

বিদ্যুৎ খাতে
ধর্ম ও জীবন1 hour ago

তাকবিরে তাশরিক পড়তে হবে মঙ্গলবার আসর পর্যন্ত

বিদ্যুৎ খাতে
জাতীয়2 hours ago

বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস আজ

বিদ্যুৎ খাতে
জাতীয়2 hours ago

করোনা সতর্কতায় চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে বাড়তি নজরদারি

বিদ্যুৎ খাতে
জাতীয়2 hours ago

ঈদের তৃতীয় দিনেও চলবে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম: উপদেষ্টা আসিফ

বিদ্যুৎ খাতে
জাতীয়2 hours ago

প্রধান উপদেষ্টা যুক্তরাজ্যে যাচ্ছেন আজ

বিদ্যুৎ খাতে
জাতীয়3 hours ago

মধ্য রাতে দেশে ফিরলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ

বিদ্যুৎ খাতে
জাতীয়3 hours ago

সচিবালয়-যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ

বিদ্যুৎ খাতে
জাতীয়16 hours ago

টিউলিপ সিদ্দিকের কোনো চিঠি পাইনি: প্রেস সচিব

বিদ্যুৎ খাতে
অর্থনীতি16 hours ago

প্রবাসী আয়ের শীর্ষে ঢাকা, পিছিয়ে লালমনিরহাট