Connect with us

অর্থনীতি

বেক্সিমকোর ৪২ হাজার কর্মীর পাওনা ২২ হাজার কোটি টাকা

Published

on

ডিএসই

দেশের আর্থিক খাতে ব্যাপক অনিয়মে জড়িত বেক্সিমকো গ্রুপের লে-অফ থাকা গার্মেন্টস ও এর সাথে সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠান সচল করতে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা। তাদের দাবি, কারখানা খুলে না দিলে ৪২ হাজার মানুষ চাকরি হারাবে। বেক্সিমকোর কাছে এসব শ্রকিদের ২২ হাজার কোটি টাকা পাওনা রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বেক্সিমকো ফ্যাশন লিমিটেডের অ্যাডমিন বিভাগের প্রধান সৈয়াদ মো. এনাম উল্লাহ, বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের অ্যাডমিন বিভাগের প্রধান আব্দুল কাইয়ুম বক্তব্য রাখেন।

এসময় লে-অফ প্রত্যাহার করে বেক্সিমকোর গার্মেন্টস ডিভিশনের সব কারখানা খুলে দেওয়ার পাশাপাশি রপ্তানি বাণিজ্য শুরু ও বিদেশিদের কার্যাদেশ প্রাপ্তির সুবিধার্থে ব্যাংকিং কার্যক্রম ও ব্যাক-টু-ব্যাক এলসি খোলার অনুমতি দেওয়ার দাবি জানান তারা। সেই সঙ্গে কারখানা ও ব্যবসা চলমান রেখে সব বকেয়া বেতন এবং কোম্পানির দায়-দেনা পরিশোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সৈয়াদ মো. এনাম উল্লাহ বলেন, ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে বেক্সিমকো গ্রুপের গার্মেন্টস ও এর সঙ্গে সম্পর্কিত কিছু প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রায় ৪২ হাজার চাকরিজীবীকে লে-অফের আওতায় জনতা ব্যাংকের ঋণ সুবিধায় জানুয়ারি-২০২৫ পর্যন্ত বেতনাদি প্রদান করা হচ্ছে। সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এই বিশাল জনবলকে আর কোনো প্রকার আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হবে না। যার প্রেক্ষিতে ফেব্রুয়রি-২০২৫ মাস থেকে ১৬টি কারখানা স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যাবে এবং এগুলোতে কর্মরত প্রায় ৪২ হাজার মানুষ চাকরি হারাবে। সেই সঙ্গে এই ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ককে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, বাড়িওয়ালা, দোকানদার, অটোরিকশা চালক, স্কুল-মাদারাসা-কিন্ডারগার্টেন বন্ধ হয়ে যাবে, যার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ১০ লাখ মানুষের জীবন ও বেঁচে থাকার সব মৌলিক চাহিদা জড়িত।

তিনি বলেন, বেক্সিমকোর মতো আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন এবং বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গ্রুপ বন্ধ হয়ে গেলে ৪২ হাজার কর্মজীবী মানুষ চাকরি হারাবে। তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রায় ২ লাখ পরিবারের সদস্য এবং এই শিল্প ও কর্মজীবীদের কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা কর্মসংস্থানের আরও প্রায় ৮ লাখ মানুষের রিজিক বন্ধ হয়ে যাবে। এই ৪২ হাজার কর্মজীবী মানুষের মধ্যে প্রায় ২ হাজার প্রতিবন্ধী, শতাধিক তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ এবং ৫ হাজারের মতো ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি রয়েছেন যাদের আমরা পরম মমতায় আর যত্নে সমাজ ও পরিবারের বোঝা হওয়া থেকে রক্ষা করছি। সরকারের সিদ্ধান্তের যদি কোনো পরিবর্তন না হয় তাহলে এরা সবাই মানবেতর জীবনের দিকে এগিয়ে যাবে। সেই সঙ্গে প্রায় ৪২ হাজার নতুন বেকার এবং ব্যবসা-বাড়িভাড়া বঞ্চিত লাখো মানুষ নৈরাজ্য আর অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে নতুন সংকট তৈরি করবে।

সংবাদ সম্মেলন থেকে লে-অফ প্রত্যাহার করে ১৬টি বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়ে বলা হয়, বেক্সিমকো শুধু বাংলাদেশে নয় এশিয়া মহাদেশের একটি বড় ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রুপ এবং শুধু বেক্সিমকো গার্মেন্টস ডিভিশনই আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি মাসে প্রায় ৩০ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ে প্রধান ভূমিকা পালন করতো। আজ সেই গার্মেন্টস ও সংশ্লিষ্ট কারখানাগুলো বন্ধ করে রাখায়, ব্যাংকিং সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে রাখায় সরকার ও জনগণ সেই বিশাল বৈদেশিক মুদ্রা আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, যা আমাদের জাতীয় আয় ও রিজার্ভ ঘাটতির অন্যতম কারণ।

এনাম উল্লাহ বলেন, বর্তমান সময়ের উপযোগী মেশিনারিজ, প্রযুক্তি আর ৪২ হাজার দক্ষ জনবল নিয়ে তিল তিল করে গড়ে ওঠা আজকের বেক্সিমকোর গার্মেন্টস শিল্প মরিচা ধরার অপেক্ষায়। আমাদের মাসিক প্রায় ৪০-৫০ লাখ পিস গার্মেন্টস পণ্য তৈরির সক্ষমতা, এশিয়ার বৃহত্তম ওয়াশিং প্ল্যান্ট এবং অত্যাধুনিক মেশিনে সজ্জিত প্রিন্টিং, এমব্রয়ডারি ও এক্সেসরিজ তৈরির কাখানা, টেক্সটাইল মিল ও দক্ষ জনবল বায়ারদের প্রধান আকর্ষণ।

তিনি আরও বলেন, কম্পোজিট গ্রুপ হওয়ায় শুধু তুলা ও কেমিক্যাল ক্রয় ছাড়া গার্মেন্টস তৈরির অন্য কিছুই বাইরে থেকে ক্রয় বা আমদানি করতে হয় না। এসব সুবিধা বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে বর্তমান থাকায় বায়াররা আমাদের কার্যাদেশ দিতে সবসময় তৎপর থাকে। করোনা মহামারি ও ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধকালীন বৈশ্বিক সংকটের মধ্যেও বেক্সিমকো গার্মেন্টস ডিভিশন রপ্তানিতে শীর্ষে ছিল। এ রকম একটি লাভজনক, সুবিধাজনক এবং শ্রমঘন প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ করে দিয়ে ১০ লাখ মানুষের মুখের আহার কেড়ে নিয়ে, জাতীয় প্রবৃদ্ধির ব্যাহত করে বর্তমান জননন্দিত সরকার কি সুবিধা লাভ করছেন আমরা জানি না। তাই সবিনয়ে অনুরোধ, অবিলম্বে আমাদের কারখানাগুলোকে খুলে দিয়ে ৪২ হাজার শ্রমিক-কর্মচারী ও ১০ লাখ মানুষের খেয়েপরে বেঁচে থাকার ব্যবস্থাটুকু নিশ্চিত করা হোক।

ব্যাংকিং ও ব্যাক-টু-ব্যাক এলসি সুবিধা প্রদান করার দাবি জানিয়ে বেক্সিমকোর এই কর্মী বলেন, ব্যাংকিং ও এলসি সুবিধা ছাড়া দেশি-বিদেশি কোনো ব্যবসা-বাণিজ্য করা যায় না। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে, ৬ মাস যাবৎ বেক্সিমকোর গার্মেন্টস ডিভিশনের সব ব্যাংকিং ও এলসি সুবিধা বন্ধ রাখা হয়েছে। একদিকে কারখানা বন্ধ, উৎপাদন নেই অন্যদিকে দায়-দেনার পরিমাণ প্রচার করে তা পরিশোধের জন্য সব প্রকার চাপ অব্যাহত। সেই প্রেক্ষিতে বলতে হয়, আয় থেকে দায় শোধ, ব্যাংকিং ও ঋণ ব্যবস্থাপনার মূলমন্ত্র যদি হয়ে থাকে তাহলে বেক্সিমকো গ্রুপের সব দায়-দেনা নিয়মিতভাবে পরিশোধের জন্য এর বন্ধ রাখা প্রতিটি কারখানা খুলে দিয়ে উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরুর কোনো বিকল্প নেই।

‘আপনাদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বন্ধ থাকা ব্যাক-টু-ব্যাক এলসি ওপেন করে দেওয়া। কিন্তু সবকিছু বন্ধ করে দিয়ে দায় পরিশোধের চাপ সৃষ্টি শুধু অমানবিকই নয়, অন্যায্যও বটে। এই দায় বহন করার সক্ষমতা কোনো সরকারের বা ব্যক্তির পক্ষে সম্ভব নয়। কারখানা বন্ধ রাখার প্রক্রিয়া যতই প্রলম্বিত হবে বেক্সিমকোর দায়ও তাতে বাড়তে থাকবে। তাই অবিলম্বে বায়ারদের কার্যাদেশ পাওয়ার সুবিধার্থে বেক্সিমকোর ব্যাংকিং সুবিধা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার ব্যবস্থা নিয়ে উৎপাদন শুরু করার মাধ্যমে সব দায়-দেনা পরিশোধের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করছি।’

বকেয়া বেতন ও অন্যান্য পাওনাদি পরিশোধ করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানের কাছে শ্রমিকদের অর্জিত ছুটির ২ বছরের টাকা জমে গেছে এবং অফিসারদের ৪ মাসের বেতনের টাকা বকেয়া রয়ে গেছে। বর্তমান আর্থিক দুরবস্থার ভেতর এই বকেয়াগুলো পাওয়া গেলেও সন্তানদের স্কুল-কলেজে ভর্তির খরচ মিটিয়ে ফেলা যেতো। টাকার অভাবে সন্তানদের নতুন বছরে, নতুন ক্লাসে ভর্তি করানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের অ্যাডমিন বিভাগের প্রধান আব্দুল কাইয়ুম বলেন, বেক্সিমকোর যে পরিমাণ ঋণ রয়েছে তা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে আদায় করা সম্ভব না। এই ঋণ আদায় করতে হলে প্রতিষ্ঠান চালু রাখতে হবে। এ লক্ষ্যে আমরা বেশকিছু প্রস্তাবও দিয়েছি। এর মধ্যে একটি প্রস্তাব ছিল ২৩ একর জমি বন্ধক রেখে ৭০০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া। এই ঋণ চাওয়া হয় ৪ মাসের জন্য। এই ঋণ দেওয়া হলে আমরা কার্যক্রম পরিচালনা করে বকেয়া ঋণও পরিশোধ করতে পারবো। সেক্ষেত্রে বছরে ৪০০ কোটি টাকার মতো বকেয়া ঋণ পরিশোধ করা সম্ভব, এ ধরনের একটি প্ল্যানও আমরা দিয়েছি।

আরেক প্রশ্নের উত্তরে এনাম উল্লহ বলেন, আমরা মালিক বলতে এখন আমাদের এমডি ওসমান কায়সার চৌধুরীকে বুঝি। এমডি আছেন, রিসিভার আছেন। তাদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। এমডি বেক্সিমকোর চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাদের সঙ্গে আলোচনা করেই সব ধরনের প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়েছে।

এসএম

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি

দেশ-বিদেশে ক্রেডিট কার্ডে কমেছে লেনদেন

Published

on

ডিএসই

দেশে এবং বিদেশে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার কমেছে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের তুলনায় পরের মাস ফেব্রুয়ারিতে দেশের অভ্যন্তরে ক্রেডিট কার্ডে খরচ কমেছে ৫ শতাংশ। একইভাবে বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডে খরচ কমেছে প্রায় ১৬ শতাংশ। তবে খরচ বেড়েছে বাংলাদেশে আসা বিদেশিদের।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের দ্বিতীয় মাস ফেব্রুয়ারিতে দেশের অভ্যন্তরে ক্রেডিট কার্ডে খরচ হয়েছে ২৯৭ কোটি টাকা। জানুয়ারিতে খরচের পরিমাণ ছিল ৩১৩ কোটি টাকা। সেই হিসাবে জানুয়ারির তুলনায় ফেব্রুয়ারিতে দেশের অভ্যন্তরে ক্রেডিট কার্ডে খরচ ১৬ কোটি টাকা কমে গেছে। আর শতকরা হিসাবে প্রায় ৫ শতাংশের বেশি।

আলোচিত ফেব্রুয়ারি মাসে দেশের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে বিদেশে খরচ করা হয়েছে ৩৮৪ কোটি টাকা। যা তার আগের মাস জানুয়ারিতে এর পরিমাণ ছিল ৪৪৬ কোটি টাকা। সে হিসাবে জানুয়ারির তুলনায় ফেব্রুয়ারিতে বিদেশে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ডে খরচ কমেছে ৬২ কোটি টাকা। যা শতকরা হিসাবে প্রায় ১৬ শতাংশের বেশি।

আলোচিত ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে বসবাসকারী বা ভ্রমণে আসা বিদেশিদের ক্রেডিট কার্ডে খরচ বেড়েছে। চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে বাংলাদেশে অবস্থানকারী বিদেশিরা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে খরচ করেছিলেন ২৫৩ কোটি টাকা। পরের মাস ফেব্রুয়ারিতে তাদের খরচের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৮ কোটি টাকায়। সে হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে বিদেশিদের বাংলাদেশে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে খরচ বেড়েছে ১৫ কোটি টাকা।

দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারেও পরিবর্তন এসেছে। দেশের বাইরে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে। একইভাবে বাংলাদেশে অবস্থানকারী বিদেশিদের মধ্যে ক্রেডিট কার্ডে সবচেয়ে বেশি অর্থ খরচ করছেন যুক্তরাষ্ট্রের কার্ডধারী নাগরিকরা। চলতি বছরের দ্বিতীয় মাস ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রে ক্রেডিট কার্ডে বাংলাদেশিদের সর্বোচ্চ ৫২ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। অর্থাৎ দেশে ও বিদেশে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার বেড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কার্ডধারীদের।

এর আগে বাংলাদেশিরা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে সবচেয়ে বেশি অর্থ খরচ করতেন ভারতে। গত ফেব্রুয়ারিতে ভারতে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডে খরচ হয়েছে ২৯ কোটি টাকা। আর জানুয়ারিতে ছিল প্রায় ৩৩ কোটি টাকা। আলোচিত ফেব্রুয়ারিতে দেশের বাইরে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যবহার ছিল থাইল্যান্ডে। ফেব্রুয়ারিতে দেশটিতে খরচ হয়েছে ৪৭ কোটি টাকা। সেখানে জানুয়ারিতে খরচের পরিমাণ ছিল ৬৪ কোটি টাকা। ফেব্রুয়াতিতে সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে খরচ করা হয়েছে ৩৯ কোটি টাকা। জানুয়ারিতে দেশটিতে খরচ হয়েছিল ৩৮ কোটি টাকা।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

প্রতীক গ্রুপকে সুবিধা দিয়ে চাকরি হারালেন এনবিআরের দুই কর্মকর্তা

Published

on

ডিএসই

করমুক্ত ও নগদ প্রণোদনার সুযোগ নিয়ে রেমিট্যান্সের নামে ৭৩১ কোটি টাকা দেশে এনেছেন প্রতীক গ্রুপের চেয়ারম্যান। এই কর ছাড়ের সুবিধা দিতে রেমিটেন্স সার্টিফিকেট ইস্যু করেছিল কর অঞ্চল-৫, ঢাকার দুই কর্মকর্তা। আলোচিত এই করছাড়ে অনিয়ম ও দুর্নীতিতে সহযোগিতা করা সেই দুই কর কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সহকারী সচিব মো. জাকির হোসেন সই করা পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

দুই কর কর্মকর্তা হলেন-এনবিআর সদস্য (চলতি দায়িত্ব) আবু সাঈদ মো. মুস্তাক। করছাড় দেওয়ার সময় তিনি কর অঞ্চল-৫, ঢাকার কর কমিশনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। চলতি দায়িত্বে থাকায় তিনি কর কমিশনার হিসেবে অবসরকালীন সুবিধা পাবেন। অপর কর্মকর্তা হলেন-ট্যাকসেস আপীলাত ট্রাইব্যুনাল, দ্বৈত বেঞ্চ খুলনার সদস্য ও কর কমিশনার মো. গোলাম কবীর। করছাড় দেওয়ার সময় তিনি কর অঞ্চল-৫, ঢাকার রেঞ্জ কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তবে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, দুজনেরই চাকরির মেয়াদ ২৫ বছর পূর্ণ হয়েছে। জনস্বার্থে তাদেরকে অবসরে পাঠানো হলো। তারা বিধি অনুযায়ী অবসরজনিত সুবিধা পাবেন।

এই বিষয়ে এনবিআরের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিভাগীয়ভাবে এনবিআরের হাতে যে ক্ষমতা আছে, তার সর্বোচ্চটা প্রয়োগ করা হয়েছে। এখন তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ রয়েছে।

এনবিআর সূত্রমতে, প্রতীক গ্রুপের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ ফারুকী হাসান। তিনি কানাডার অন্টারিও আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। কোনো ধরনের দালিলিক প্রমাণ ছাড়া তিনটি চীনা কোম্পানির নাম ব্যবহার করে তিনি ৭২১ কোটি টাকা প্রবাসী আয় হিসেবে আয়কর ফাইলে দেখিয়েছেন তিনি। ফারুকী হাসান বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় নানা প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ কর সুবিধা নিয়েছেন। আর এই কাজে তাকে সহযোগিতা করেছেন কর অঞ্চল-৫, ঢাকার তৎকালীন কর কমিশনার, রেঞ্জ কর্মকর্তা ও উপকর কমিশনার। ঊর্ধ্বতন এই কর্মকর্তারা ফারুকী হাসানের চার করবর্ষের ২৩১ কোটি টাকার এসব অনিয়মের ফাইলটি পুনঃউন্মোচন করেও মাত্র সাড়ে ১৫ হাজার টাকার কর দাবি সৃষ্টি করে নিষ্পত্তি করেন। অভিযোগ উঠার পর এনবিআর বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে এর সত্যতা পায়।

তবে চলতি বছরের ১৭ মার্চ এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান একটি অনুষ্ঠানে কথা প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা আইন করলাম- প্রবাসে যারা কঠোর পরিশ্রম করেন, বিদেশ থেকে টাকা উপার্জন করে ব্যাংকিং চ্যানেলে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন; তাদের বললাম, এই টাকাটা আয়করমুক্ত। এটা প্রবাসীকর্মীদের উৎসাহিত করার জন্য ও তারা যেন রোজগারটা ফরমাল চ্যানেলে বাংলাদেশে পাঠান। আপনারা শুনে আশ্চার্য হবেন, এমন একজন করদাতা পাওয়া গেলো, যিনি ৭৩১ কোটি টাকা নিয়ে এলেন। উনি বলছেন, এটা ওয়েজ আর্নার ও করমুক্ত। আমরা এ ধরনের অন্যায় হয়তো দেখি নাই, বুঝি নাই কিংবা দেখেও না দেখার ভান করছি।’ চেয়ারম্যান বলার পরপরই বিষয়টি সামনে চলে আসে।

সূত্রমতে, প্রতীক গ্রুপের চেয়ারম্যান এস এম ফারুকী হাসান তিনটি চীনা প্রতিষ্ঠান নরিনকো ইন্টারন্যাশনাল করপোরেশন লিমিটেড, চায়না শিপবিল্ডিং ও অফসোর ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানির থেকে ৯টি করবর্ষে ৭২১ কোটি টাকা নিয়ে আসেন। তিন চীনা কোম্পানি থেকে নিয়ে আসা টাকাকে প্রবাসী আয় হিসেবে দাবি করেন। তিনি ২০১৭-১৮ করবর্ষে প্রবাসী আয় হিসেবে আয়কর ফাইলে প্রদর্শন করেন ৬ কোটি ২৯ লাখ ৮১ হাজার ১০৪ টাকা; ২০১৮-১৯ করবর্ষে ৯ কোটি ৯২ লাখ ২৩ হাজার ৫৬২; ২০১৯-২০ করবর্ষে ৩৫ কোটি ১৪ লাখ ২৭ হাজার ৩২৩ এবং ২০২০-২১ করবর্ষে প্রদর্শন করেন ২৩১ কোটি ৯৯ লাখ ১৫ হাজার ৩১৪ টাকা। অর্থাৎ চার করবর্ষে প্রবাসী হিসেবে আয়কর ফাইলে প্রদর্শন করেন ২৭২ কোটি ৪৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। অথচ চার করবর্ষের এই বিশাল অঙ্কের টাকার বিপরীতে কর আইনের ৯৩ ধারায় করদাতার ফাইল পুনঃউন্মোচন করে দুই করবর্ষের মধ্যে ২০১৭-১৮ করবর্ষে মাত্র ৪৪৮ টাকা এবং ২০১৮-১৯ করবর্ষের মাত্র ১৫ হাজার ৯৫ টাকা কর দাবি সৃষ্টি করেন। আর ২০১৯-২০ এবং ২০২০-২১ করবর্ষে কোনো দাবি না করেই নিষ্পত্তি করেন। আর এই কাজটি করেছেন কর অঞ্চল-৫-এর তৎকালীন কমিশনার, রেঞ্জ-১-এর দায়িত্বপ্রাপ্ত তৎকালীন অতিরিক্ত কমিশনার ও তৎকালীন এক উপকমিশনার। সূত্র আরও জানায়, প্রতীক গ্রুপের চেয়ারম্যান সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আয়ে প্রদর্শন করেন ২০২০-২১ এবং ২০২১-২২ করবর্ষে। আলোচ্য সময়ে তিনি প্রবাসী আয় হিসেবে আয়কর রিটার্নে প্রদর্শন করেন ৫০০ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। এ ছাড়া ২০২২-২৩ করবর্ষে প্রবাসী আয় হিসেবে আয়কর ফাইলে প্রদর্শন করেন ৭৬ কোটি ৯৪ লাখ ৪৬ হাজার ৩৬১ টাকা আর ২০২৩-২৪ করবর্ষে প্রবাসী আয় দেখান ৮১ কোটি ১ লাখ ৩৭ হাজার ১৪৪ টাকা। এর আগে ২০১৭-১৮ করবর্ষে ৬ কোটি ২৯ লাখ ৮১ হাজার ১০৪ টাকা; ২০১৮-১৯ করবর্ষে ৯ কোটি ৯২ লাখ ২৩ হাজার ৫৬২; ২০১৯-২০ করবর্ষে ৩৫ কোটি ১৪ লাখ ২৭ হাজার ৩২৩ এবং ২০২০-২১ করবর্ষে ২৩১ কোটি ৯৯ লাখ ১৫ হাজার ৩১৪ টাকা প্রবাসী আয় দেখান। এরও আগে ২০১২-১৩ করবর্ষে প্রবাসী আয় দেখান ১ কোটি ২৪ লাখ ৫৯ হাজার ২৪৪ টাকা ও ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ১০ কোটি ৪৪ লাখ ১৮ হাজার ৯৬৩ টাকা। তথ্য বলছে, ২০১৪ সালের নির্বাচনী বছর এবং সরকারের কালো টাকা সাদা করার ঢালাও সুযোগের বছরে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ অস্বাভাবিক প্রবাসী আয়ের নামে টাকা নিয়ে এসেছেন কানাডা আওয়ামী লীগের প্রভাশালী নেতা এস এম ফারুকী হাসান। এনবিআরের আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৯১-এর ষষ্ঠ তপশিলের পার্ট-এ অনুচ্ছেদ ৪৮ অনুযায়ী, দেশে অবস্থান করে প্রবাসী আয় হিসেবে করমুক্ত আয় দেখানোর কোনো সুযোগ নেই। একই আইনের ৯৩ ধারা অনুযায়ী, পরবর্তী করবর্ষে কর মামলা হিসেবে আয়কর ফাইল পুনঃউন্মোচন করার সুযোগ রয়েছে।

ফারুকী হাসান মূলত আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী ব্যবসায়ীদের মধ্যে একজন। তিনি কানাডার অন্টারিও আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। সাধারণ সম্পাদকেরও দায়িত্ব পালন করেছেন। তার মালিকানাধীন প্রতীকে গ্রুপের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে রাজধানী গুলশান-২ অবস্থিত হোটেল লেক ক্যাসেল, প্রতীক সিরামিক লিমিটেড, প্রতীক ডেভেলপার্স লিমিটেড, প্রতীক ফুড অ্যান্ড এলাইড, প্রতীক লজিস্টিকসহ বেশকিছু কোম্পানি। ফারুক হাসান ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইরও সদস্য। বিগত সরকার তাকে সিআইপি মর্যাদায়ও ভূষিত করেছে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

স্বল্পমেয়াদি ঋণ নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে বসবে আইএমএফ

Published

on

ডিএসই

স্বল্পমেয়াদি ঋণ নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। শিগগির এ বিষয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে বসবে সংস্থাটি।

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে আইএমএফ কার্যালয়ে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএপের বসন্তকালীন বৈঠক শুরু হবে আগামী ২১ এপ্রিল। বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।

বৈঠকে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১৯০ দেশের গভর্নর, ব্যাংকার, অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকরা যোগ দেবেন। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা, উন্নয়ন, নীতিমালা সংস্করণ, সমসাময়িক ও ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নে গুরুত্ব দিয়ে প্রতি বছর এ বৈঠকের আয়োজন করে সংস্থাটি।

বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, এ ধরনের চুক্তি তার বর্ধিত ঋণসুবিধা, বর্ধিত তহবিল সুবিধা, টেকসই এবং স্থায়িত্ব সুবিধা বাড়াবে। এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে বাংলাদেশ ও এর জনগণকে সমর্থনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে আইএমএফ।

আইএমএফের একটি মিশন দেশের অর্থনৈতিক ও আর্থিক নীতি পর্যালোচনা করতে ৬ থেকে ১৭ এপ্রিল ঢাকা সফর করে। মিশনটি পর্যবেক্ষণ করেছে যে, বিশ্বব্যাপী অনিশ্চয়তার মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতি চাপের মধ্যে রয়েছে, অর্থবছরের প্রথমার্ধে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৩ শতাংশে নেমে এসেছে, যা এক বছর আগের একই সময়ের ৫ দশমিক ১ শতাংশ থেকে কমেছে। জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান, কঠোর নীতি এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা দুর্বল হওয়ার কারণে এই মন্দা দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

২০২৪ সালের জুলাই মাসে এক দশকের সর্বোচ্চ ১১ দশমিক ৭ শতাংশে পৌঁছেছিল মূল্যস্ফীতি, ২০২৫ সালের মার্চ মাসে ৯ দশমিক ৪ শতাংশে নেমে এসেছে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৫ থেকে ৬ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি। অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করার জন্য আইএমএফ রাজস্ব একত্রকরণ, আরও নমনীয় বিনিময় হার, উন্নত কর সম্মতি এবং প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের সুপারিশ করেছে।

আইএমএফ ২০২৩ সালে বাংলাদেশের জন্য ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন করেছিল, যার বিপরীতে তিন কিস্তিতে বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার পেয়েছে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

তেল, পেঁয়াজ ও সবজির দাম বাড়তি, কমেছে মুরগির

Published

on

ডিএসই

শীত মৌসুম শেষ হয়েছে আরও আগে। বাজারে আসতে শুরু করেছে বিভিন্ন ধরনের গ্রীষ্মের সবজি। তবে এসব সবজির দাম তুলনামূলক বেশি। একই সঙ্গে তেল, চাল, পেঁয়াজের দামও বাড়তি।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর শেওড়াপাড়া, কাপ্তান বাজার, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, টাউন হল, কারওয়ান বাজার ঘুরে ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

বিক্রেতারা জানান, বেশ কিছুদিন ধরে বাজারে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি। দাম বেড়েছে দেশি পেঁয়াজেরও। গতকাল এক কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা দরে। গত সপ্তাহের শুরুতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

এদিকে গত মাসে মিনিকেট চালের দাম কেজিতে পাঁচ থেকে আট টাকা বেড়েছিল। সেই দাম কমেনি; বরং দুই সপ্তাহের ব্যবধানে আরও দুই থেকে তিন টাকা করে বেড়েছে।

এ ছাড়া গত মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ১৪ টাকা বাড়িয়ে ১৮৯ টাকা করা হয়েছে। পাম তেলের দাম বেড়েছে লিটারে ১২ টাকা। তবে কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে আলু, ডিম ও মুরগিসহ কয়েকটি পণ্যের দাম।

বাজারে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম কমেছে। গতকাল প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায় এবং সোনালি মুরগি ২২০ থেকে ২৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ঈদের আগে অর্থাৎ গত মাসের শেষে বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল প্রতি কেজি ২২০ থেকে ২৩০ টাকা।

নতুন করে পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ভোক্তারা। শেওড়াপাড়ায় কাঁচাবাজার করতে এসে মামুন নামে এক ক্রেতা বলেন, নতুন করে কারসাজি শুরু। সবকিছুর দাম বেড়ে গেছে। সরকাররে দেখা উচিত।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ঝিঙা প্রতি কেজি মানভেদে ৮০ থেকে ৯০ টাকা, প্রতি পিস লাউ ৭০ থেকে ৮০ টাকা। বেগুন মানভেদে প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১২০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, পটোল ৬০ থেকে ৭০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, শজনে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা, বরবটি ৬০ থেকে ৮০ টাকা, গাজর ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১০০ থেকে ১২০ টাকা, পেঁপে ৫০ থেকে ৬০ টাকা ও দেশি শসা ৮০ টাকা। প্রতি পিস চালকুমড়া ৬০ টাকা। কাঁচা পেঁপে ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

চট্টগ্রামে গ্রিন ডাটা সেন্টার নির্মাণের প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন

Published

on

ডিএসই

চট্টগ্রামের হাটহাজারিতে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) জন্য গ্রিন ডাটা সেন্টার স্থাপন করা হচ্ছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে প্রস্তাবটিতে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামের হাটহাজারি উপজেলার ফটিকা মৌজায় বিটিসিএলের ১৪৯ দশমিক ৪৮ একর অব্যবহৃত জমির ওপর পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) ভিত্তিতে একটি অত্যাধুনিক গ্রিন ডাটা সেন্টার স্থাপনের জন্য প্রকল্পের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ সৃষ্টি, কর্মসংস্থানের সুযোগ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত হবে এবং নিজস্ব চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি ডাটা স্টোরেজ ভাড়া দেওয়ার মাধ্যমে বিটিসিএলের রাজস্ব আয় বাড়বে। এ অবস্থায় প্রকল্পটি পিপিপি ভিত্তিতে বাস্তবায়নের নীতিগত অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে কমিটি তাতে অনুমোদন দিয়েছে।

জানা যায়, নীতিগত অনুমোদনের পর ফিজিবিলিটি স্টাডি সম্পাদনের মাধ্যমে প্রস্তাবিত প্রকল্পের কারিগরি ও আর্থিক বিষয়গুলো চূড়ান্ত করা হবে এবং পিপিপি গাইডলাইন অনুযায়ী উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে বেসরকারি অংশীদার নির্বাচন করা হবে। প্রকল্পে এডিবি কারিগরি সহায়তা এবং ট্রানজেকশন অ্যাডভাইজরি সার্ভিস দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

পুঁজিবাজারের সর্বশেষ

ডিএসই ডিএসই
পুঁজিবাজার3 hours ago

ডিএসইতে পিই রেশিও কমেছে ১.৫৪ শতাংশ

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ১ দশমিক ৫৪...

ডিএসই ডিএসই
পুঁজিবাজার4 hours ago

সাপ্তাহিক দরপতনের শীর্ষে বিডি ফাইন্যান্স

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন বিদায়ী সপ্তাহে (১৩ এপ্রিল-১৭ এপ্রিল) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দরপতনের শীর্ষে...

ডিএসই ডিএসই
পুঁজিবাজার4 hours ago

সাপ্তাহিক দরবৃদ্ধির শীর্ষে দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাপ্তাহিক শেয়ার দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি...

ডিএসই ডিএসই
পুঁজিবাজার5 hours ago

সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন। ডিএসই সূত্রে এ...

ডিএসই ডিএসই
পুঁজিবাজার23 hours ago

সপ্তাহজুড়ে পতন, কমেছে লেনদেন ও বাজার মূলধন

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন বিদায়ী সপ্তাহে (১৩ এপ্রিল তেকে ১৭ এপ্রিল) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের...

ডিএসই ডিএসই
পুঁজিবাজার23 hours ago

প্রগতি ইন্স্যুরেন্সের লভ্যাংশ ঘোষণা

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রগতি ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।...

ডিএসই ডিএসই
পুঁজিবাজার2 days ago

শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দেবে না বিডি ফাইন্যান্স

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের কোম্পানি বাংলাদেশ ফাইন্যান্স লিমিটেড গত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের...

Advertisement
Advertisement

Advertisement

সোশ্যাল মিডিয়া

২০১৮ সাল থেকে ২০২৩

অর্থসংবাদ আর্কাইভ

তারিখ অনুযায়ী সংবাদ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১
১৩১৫১৬১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭৩০  
ডিএসই
সারাদেশ9 minutes ago

এক সংবাদ একই শিরোনামে ১৩ পত্রিকায়, সম্পাদকদের কারণ দর্শানোর নোটিশ

ডিএসই
রাজনীতি48 minutes ago

ট্রাম্প-শি-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: ফখরুল

ডিএসই
রাজনীতি56 minutes ago

নির্বাচনের আগে বিচার ও সংস্কার দৃশ্যমান হতে হবে: এনসিপি

ডিএসই
জাতীয়1 hour ago

ইতিহাসের সর্বোত্তম নির্বাচন করবে অন্তর্বর্তী সরকার: প্রধান উপদেষ্টা

ডিএসই
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার1 hour ago

রোববার সারাদেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা কারিগরি শিক্ষার্থীদের

ডিএসই
জাতীয়2 hours ago

হর্ন বন্ধ করা নয়, আমার কাজ আইন প্রয়োগ করা: পরিবেশ উপদেষ্টা

ডিএসই
অর্থনীতি2 hours ago

দেশ-বিদেশে ক্রেডিট কার্ডে কমেছে লেনদেন

ডিএসই
রাজনীতি3 hours ago

আরেকটি স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থা আসার সকল রাস্তা বন্ধ করবো: নাহিদ ইসলাম

ডিএসই
জাতীয়3 hours ago

ইন্টারপোলে হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন

ডিএসই
পুঁজিবাজার3 hours ago

ডিএসইতে পিই রেশিও কমেছে ১.৫৪ শতাংশ

ডিএসই
সারাদেশ9 minutes ago

এক সংবাদ একই শিরোনামে ১৩ পত্রিকায়, সম্পাদকদের কারণ দর্শানোর নোটিশ

ডিএসই
রাজনীতি48 minutes ago

ট্রাম্প-শি-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: ফখরুল

ডিএসই
রাজনীতি56 minutes ago

নির্বাচনের আগে বিচার ও সংস্কার দৃশ্যমান হতে হবে: এনসিপি

ডিএসই
জাতীয়1 hour ago

ইতিহাসের সর্বোত্তম নির্বাচন করবে অন্তর্বর্তী সরকার: প্রধান উপদেষ্টা

ডিএসই
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার1 hour ago

রোববার সারাদেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা কারিগরি শিক্ষার্থীদের

ডিএসই
জাতীয়2 hours ago

হর্ন বন্ধ করা নয়, আমার কাজ আইন প্রয়োগ করা: পরিবেশ উপদেষ্টা

ডিএসই
অর্থনীতি2 hours ago

দেশ-বিদেশে ক্রেডিট কার্ডে কমেছে লেনদেন

ডিএসই
রাজনীতি3 hours ago

আরেকটি স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থা আসার সকল রাস্তা বন্ধ করবো: নাহিদ ইসলাম

ডিএসই
জাতীয়3 hours ago

ইন্টারপোলে হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন

ডিএসই
পুঁজিবাজার3 hours ago

ডিএসইতে পিই রেশিও কমেছে ১.৫৪ শতাংশ

ডিএসই
সারাদেশ9 minutes ago

এক সংবাদ একই শিরোনামে ১৩ পত্রিকায়, সম্পাদকদের কারণ দর্শানোর নোটিশ

ডিএসই
রাজনীতি48 minutes ago

ট্রাম্প-শি-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: ফখরুল

ডিএসই
রাজনীতি56 minutes ago

নির্বাচনের আগে বিচার ও সংস্কার দৃশ্যমান হতে হবে: এনসিপি

ডিএসই
জাতীয়1 hour ago

ইতিহাসের সর্বোত্তম নির্বাচন করবে অন্তর্বর্তী সরকার: প্রধান উপদেষ্টা

ডিএসই
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার1 hour ago

রোববার সারাদেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা কারিগরি শিক্ষার্থীদের

ডিএসই
জাতীয়2 hours ago

হর্ন বন্ধ করা নয়, আমার কাজ আইন প্রয়োগ করা: পরিবেশ উপদেষ্টা

ডিএসই
অর্থনীতি2 hours ago

দেশ-বিদেশে ক্রেডিট কার্ডে কমেছে লেনদেন

ডিএসই
রাজনীতি3 hours ago

আরেকটি স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থা আসার সকল রাস্তা বন্ধ করবো: নাহিদ ইসলাম

ডিএসই
জাতীয়3 hours ago

ইন্টারপোলে হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন

ডিএসই
পুঁজিবাজার3 hours ago

ডিএসইতে পিই রেশিও কমেছে ১.৫৪ শতাংশ