অর্থনীতি
সোনার দাম ভরিতে বাড়ল ১ হাজার ৯৮৩ টাকা
চলতি মাসে আবারও সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। ভরিতে এবার সর্বোচ্চ এক হাজার ৯৮৩ টাকা বাড়িয়ে নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। দাম বাড়ানোর ফলে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম হবে এক লাখ ৪১ হাজার ৪২৬ টাকা। যা এতদিন ছিল এক লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। নতুন বছর শুরুর পর দ্বিতীয়বারের মতো সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা এলো। যা বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) থেকে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।
দাম বাড়ানোর ফলে সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা এক লাখ ৪১ হাজার ৪২৬ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ৩৪ হাজার ৯৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ১৫ হাজার ৭১৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনা ৯৫ হাজার ৬১ টাকায় বিক্রি করা হবে।
সোনার দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত আছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী- ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপার দাম দুই হাজার ৫৭৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ৫৮৬ টাকা।
বাজুসের তথ্য অনুযায়ী, সোনা ও রুপার অংলকার কিনতে গেলে ক্রেতাকে নির্ধারিত দামের সঙ্গে ৫ শতাংশ ভ্যাট ও ৬ শতাংশ মজুুরি গুণতে হবে। অর্থাৎ এখন ক্রেতা ২২ ক্যারেট মানের এক ভরি সোনার অংলকার কিনতে গেলে লাগবে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৯৮৩ টাকা (সোনার দাম এক লাখ ৪১ হাজার ৪২৬ টাকা, ভ্যাট-৭ হাজার ৭১ টাকা এবং মজুরি ৮৪৮৬ টাকা)।
এর আগে গত ১৫ জানুয়ারি সোনার দাম কমিয়েছিল বাজুস। যা ১৬ জানুয়ারি কার্যকর হয়, ওই দামে এতোদিন সোনা কেনাবেচা হয়েছে। সেই হিসেবে বুধবার ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা এক লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনা ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
মহার্ঘ ভাতার সঙ্গে ভ্যাট বাড়ানোর সম্পর্ক নেই: অর্থ উপদেষ্টা
মহার্ঘ ভাতার সঙ্গে ভ্যাট বাড়ানোর কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। বুধবার (২২ জানুয়ারি) সচিবালয়ে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির বৈঠক শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অর্থ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, মহার্ঘ ভাতা যদি দেই, সেটা আলাদা হিসাব করব। বাংলাদেশ হচ্ছে সবচেয়ে লোয়েস্ট ট্যাক্স পেয়িং কান্ট্রি। এলডিসির চেয়েও আমাদের ট্যাক্স কম। ভুটান, নেপাল, আইভোরি কোস্ট, বুরকিনা ফাসোর চেয়েও কম। এতো কম ট্যাক্স দিয়ে কীভাবে চান যে, আপনাকে সবকিছু দেব? এটা এক্সপেক্ট করা ঠিক হয় না। আমরা চশমার ভ্যাট বাড়িয়েছি। ১২৫ টাকায় পৃথিবীর কোন দেশে চশমা পাওয়া যায়? ওখানে ১৫ টাকা বাড়বে। খাবেন ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, ২০ টাকা ভ্যাট দেবেন না? ভাতের হোটেলে তো ভ্যাট জিরো করে দিয়েছি। গ্লোরিয়া জিন্স থেকে এক কাপ কফি খাবেন, ওখানে ১৫ টাকা দিতে আপনার বাঁধে? এই রকম অ্যাটিচিউড থাকলে তো জটিল। দরকার হলে ২০ টাকা বেশি দিয়ে মিষ্টি খাব। আমাদের রেভিনিউ এত কম যে, পুরো পিকচারটা আপনাদের কাছে এখনও আসে নাই, আসার কথাও না।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আমি কিছুদিন আগে ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকে গেলাম। আমরা যখন আসি ১৩৫ মিলিয়ন ডলার এলএনজি আমদানির বিল পাওনা ছিল। আমরা সেটা পেমেন্ট করেছি। এখন আবার এক মিলিয়ন ডলার পাওনা হয়েছে। রাশিয়ান অ্যাম্বাসাডার বলছে যে, তোমরা টাকা দিচ্ছ না, গম আমদানির বিল। ওই সময় এমন ছিল, এখন খারাপ হচ্ছে বলে আপানারা বলছেন। ওই সময় যে খুব ভালো ছিল তা কিন্তু না। আমার যারা সমালোচনা করে বেশিরভাগই আমার ছাত্র। ওরা বলে রাজস্ব জাল বাড়াতে, কোন জায়গায় আমরা বাড়াব? খালি বলে দিলেই তো হবে না। আমরা ক্ষেত্রগুলো খুঁজছি। যেই জায়গায় র্যাশনাল হয়, আমরা চেষ্টা করব।
সালেহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, ব্যয়ের দিকটায় আমরা সাশ্রয়ী হব। অনেক অপ্রয়োজনীয় সরকারি ব্যয় আছে। পাঁচ বছরের প্রকল্প ১০ বছর নিয়ে যাচ্ছে। বড় বড় প্রকল্প আছে যেখানে খরচ হওয়ার কথা ছিল ২৫ হাজার কোটি টাকা, খরচ হয়েছে ৫২ হাজার কোটি টাকা। টাকা কোত্থেকে আসবে, এগুলো তো আমাদের শোধ দিতে হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ওষুধ, রেস্তোরাঁসহ কিছু পণ্য-সেবায় ভ্যাট কমালো এনবিআর
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাঝপথে এসে মোবাইল ফোনে কথা বলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারসহ শতাধিক পণ্যে ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়েছিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তবে তীব্র সমালোচনা ও দাবির মুখে পণ্য ও সেবায় ভ্যাটের হার কমানো হয়েছে।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এনবিআর জানায়, বাংলাদেশের নিজস্ব আর্থিক ভিত মজবুত করার লক্ষ্যে গত ৯ জানুয়ারি সরকার ‘মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫’ ও ‘The Excises and Salt Act (Amendment) Ordinance, 2025’ অধ্যাদেশ জারি করেছে। একই উদ্দেশ্যে কতিপয় পণ্য ও সেবার ভ্যাট, সম্পূরক শুল্ক এবং আবগারি শুল্কের হার পুনঃনির্ধারণ করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কতিপয় প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
পরবর্তীতে বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন, সুশীল সমাজ এবং অংশীজনের অনুরোধ বিবেচনা করে বৃহত্তর জনস্বার্থে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কতিপয় পণ্য ও সেবায় বিদ্যমান ভ্যাটের হার, উৎসে ভ্যাট কর্তনের হার ও সম্পূরক শুল্কের হার হ্রাস করে ৪টি নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
যেসব খাতে ভ্যাটের হার পরিবর্তন করা হয়েছে-
ওষুধ: সকল জনগোষ্ঠীর জন্য চিকিৎসা সেবাকে আরও সহজ করার লক্ষ্যে ওষুধ শিল্পের ওপর ব্যবসায়িক পর্যায়ে বাড়ানো ভ্যাটের হার সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করে আগের ২.৪ শতাংশে বলবৎ রাখা হয়েছে।
ওষুধের ওপর অতিরিক্ত আরোপিত ভ্যাট প্রত্যাহার করায় ওষুধ শিল্পের ধারাবাহিক বিকাশ বজায় থাকবে এবং সাধারণ ভোক্তা পর্যায়ে ওষুধের দাম বাড়বে না।
মোবাইল ফোন ও আইএসপি সেবা: দেশের চলমান ডিজিটাইজেশন কার্যক্রম অব্যাহত রাখা ও একটি আধুনিক আইটি জ্ঞানসম্পন্ন তরুণ প্রজন্ম বির্নিমান এবং অনলাইনভিত্তিক কর্মকান্ড বৃদ্ধির লক্ষ্যে মোবাইল ফোনের সিম/রিম কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে প্রদত্ত সেবার উপর বর্ধিত সম্পূরক শুল্ক এবং আইএসপি সেবার ওপর নতুন আরোপিত সম্পূরক শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
মোবাইল ফোন ও আইএসপি সেবার উপর বর্ধিত বা নতুন আরোপিত সম্পূরক শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করায় এই দুই খাতে ভোক্তাদের খরচ বাড়বে না।
রেস্তোরাঁ: দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীর জন্য সুলভমূল্যে রেস্তোরাঁয় খাবার গ্রহণের সুবিধার্থে থ্রি-স্টার, ফোর-স্টার এবং ফাইভ স্টার হোটেল ব্যতীত অন্য সকল রেস্তোরাঁয় অতিরিক্ত আরোপিত ভ্যাট সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
অতিরিক্ত আরোপিত ভ্যাট সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের ফলে সাধারণ জনগণ আগের দামেই এসব রেস্টুরেন্টের খাবার গ্রহণ করতে পারবেন।
মোটর গাড়ীর গ্যারেজ ও ওয়ার্কশপ: জনস্বার্থে মোটর গাড়ির গ্যারেজ ও ওয়ার্কশপ সেবার ক্ষেত্রে বৃদ্ধিকৃত ভ্যাটের হার সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে। অতিরিক্ত আরোপিত ভ্যাট সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের ফলে এ সংশ্লিষ্ট সেবা মূল্য বৃদ্ধি পাবে না।
অন্যান্য: একই বিবেচনায় নিজস্ব ব্রান্ডের তৈরি পোশাক ব্যতিত অন্যান্য পোশাক বিপণনের ওপর অতিরিক্ত আরোপিত ভ্যাট সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়া, নন এসি হোটেল, মিষ্টান্ন ভান্ডার, ও নিজস্ব ব্রান্ডের তৈরি পোশাক বিপণনের ক্ষেত্রে সেবার ভ্যাটের হার ১৫ শতাংশ হতে হ্রাস করে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
দেশের আপামর জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে গত কয়েক মাসে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ভোজ্য তেল, চিনি, আলু, ডিম, পেঁয়াজ, চাল, খেজুর এবং কীটনাশকের ওপর আমদানি শুল্ক, রেগুলেটরি ডিউটি, ভ্যাট, অগ্রিম আয়কর এবং আগাম করের ক্ষেত্রে ব্যাপক হারে করছাড় প্রদান করেছে। বাংলাদেশের সকল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের পুস্তকের সহজলভ্যতা, আধুনিক ও তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা এবং শিক্ষা ব্যবস্থার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে ই-বুক সেবায় স্থানীয় সরবরাহ ও আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।
যানজট নিরসনে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় দ্রুতগামী, নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব মেট্রোরেল সেবার উপর ভ্যাট অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এছাড়া, হজ যাত্রীদের খরচ কমানোর লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড হজ্ব টিকিটের ওপর আরোপযোগ্য আবাগারি শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করেছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
পাঁচ মাসে স্কুল ব্যাংকিংয়ে আমানত কমেছে ২৮৫ কোটি টাকা
২০২৪-২৫ অর্থবছরের শুরু থেকেই ধারাবাহিকভাবে কমছে শিক্ষার্থীদের সঞ্চয়। এক মাসের ব্যবধানে স্কুল ব্যাংকিংয়ে সঞ্চয় কমেছে প্রায় ৪৬ কোটি টাকা। আর গত পাঁচ মাসে সঞ্চয় কমেছে প্রায় ২৮৫ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, সদ্যবিদায়ী ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে স্কুল ব্যাংকিংয়ে শিক্ষার্থীদের আমানতের পরিমাণ দাঁড়ায় ২ হাজার ৪১ কোটি টাকা, যা গত অক্টোবরে ছিল ২ হাজার ৮৭ কোটি টাকা। সে হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে আমানত কমেছে ৪৬ কোটি টাকা। ২০২৩ সালের নভেম্বর মাস শেষে আমানতের স্থিতি ছিল ২ হাজার ১৯৯ কোটি টাকা। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে আমানতের স্থিতি কমেছে কমেছে প্রায় ১৫৮ কোটি টাকা।
প্রতিবেদন মতে, গত জুন মাসে আমানত ছিল ২ হাজার ৩২৫ কোটি টাকা। সে হিসাবে পাঁচ মাসে শিক্ষার্থীদের সঞ্চয় কমেছে ২৮৪ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে শিক্ষার্থীদের ব্যাংক আমানতের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা, যা আগস্টে কমে দাঁড়ায় ২ হাজার ১৭২ কোটি, সেপ্টেম্বরে ২ হাজার ১৩৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে কমছেই স্কুল শিক্ষার্থীদের সঞ্চয়।
গত নভেম্বর মাস শেষে ব্যাংকে শিক্ষার্থীদের হিসাব সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৩ লাখ ৪২ হাজার ২৫৯টি। আর তার আগের মাস অক্টোবরে হিসাব সংখ্যা ছিল ৪৩ লাখ ৬৪ হাজার ২৫৯টি। সে হিসাবে এক মাসে হিসাব সংখ্যা কমেছে প্রায় ২২ হাজার। এর মধ্যে সর্বশেষ ছেলেদের হিসাব সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২ লাখ ৫ হাজার ৯৮৪টি আর মেয়েদের হিসাব সংখ্যা ২১ লাখ ৩৬ হাজার ২৭৫টি। নভেম্বরে ছেলেদের হিসাব সংখ্যা কমলেও মেয়েদের হিসাব সংখ্যা বেড়েছে।
খাত সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, স্কুল ব্যাংকিংয়ে শিক্ষার্থীদের আমানত কমে যাওয়ার অর্থ হলো নতুন করে যেসব হিসাব খোলা হয়েছে কিংবা আগের হিসাবে যে পরিমাণ টাকা জমা হয়েছে তার চেয়ে বেশি অঙ্কের টাকা উত্তোলন হচ্ছে। আর্থিক চাপের কারণে শিক্ষার্থীরাও তাদের সঞ্চয় ভেঙে ফেলছেন।
ব্যাংকাররা বলছেন, বছরের শুরুতে কিংবা শেষদিকে অনেকের টাকা উত্তোলনের চাপ থাকে। অনেকে বিভিন্ন পর্যটন এলাকায় বেড়াতে যান। আবার অনেকে তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বকেয়া পরিশোধ করতে গিয়ে আমানত ভাঙতে বাধ্য হন। তবে বছরের পুরো সময়জুড়ে শিক্ষার্থীদের আমানত কমে যাওয়ার অর্থ হচ্ছে নিয়মিত খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। এ অবস্থার মধ্যেই আমানত উত্তোলন করতে হচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের আর্থিক ব্যবস্থাপনার বিষয়ে শিক্ষিত করে তোলার উদ্যোগের অংশ হিসেবে ২০১০ সালে কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করে। এ কার্যক্রমের লক্ষ্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে টাকা জমানোর অভ্যাস তৈরি এবং আর্থিক ব্যবস্থাপনায় তাদের আরও উপযোগী করে তোলা। এখন পর্যন্ত ৫৯টি ব্যাংক স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করেছে। যাদের বয়স ১১ থেকে ১৭ বছর এমন শিক্ষার্থীরা এ ধরনের অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। এই অ্যাকাউন্টে সব ধরনের ফি ও চার্জের ক্ষেত্রে রেয়াত পাওয়া, বিনামূল্যে ইন্টারনেট ব্যাংকিং সুবিধা পাওয়া, ন্যূনতম স্থিতির বাধ্যবাধকতার ক্ষেত্রে ছাড় ও স্বল্প খরচে ডেবিট কার্ড পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। মাত্র ১০০ টাকা আমানত রেখেই এ ধরনের অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন তারা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বেক্সিমকোর হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারের প্রমাণ মিলেছে
অনিয়ম দুর্নীতি, প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংকিং নিয়মাচার ভেঙে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে ‘বেক্সিমকো গ্রুপ’। অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের ঋণের অর্থ ঢুকিয়েছে নিজেদের হিসাবে। গ্রুপটি তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে নানা কৌশলে কর ও শুল্ক ফাঁকি দিয়েছে। একইসঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের আড়ালে করেছে অর্থ পাচার।
সালমান এফ রহমানের গ্রুপটির অনিয়ম ও অর্থ পাচারের প্রমাণ পেয়েছে আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। গ্রুপটির বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি অর্থ পাচারের অধিকতর অনুসন্ধান ও তদন্ত করতে তিন সংস্থার সমন্বয়ে যৌথ টিম কাজ করছে। সংস্থাগুলো হলো- দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তদন্ত সমন্বয় করছে আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
তদন্ত সংস্থাকে দেওয়া চিঠিতে বিএফআইইউ জানায়, সালমান এফ রহমানের ‘বেক্সিমকো গ্রুপ’ স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান দুর্নীতি, প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংকিং নিয়মনীতি লঙ্ঘন করে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন ব্যবসার নামে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে কোটি কোটি টাকার ঋণের দায় রয়েছে। এছাড়াও সালমান এফ রহমান আইএফআইসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান থাকাকালে বিভিন্ন অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নামে কোটি কোটি টাকা ঋণ নিয়ে বেক্সিমকো গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হিসাবে লেনদেন করেছেন।
এমন পরিস্থিতিতে সালমান এফ রহমান ও তার প্রতিষ্ঠানের ঘুষ, দুর্নীতি, প্রতারণা, জালিয়াতি, মুদ্রা পাচার, কর ও শুল্ক সংক্রান্ত অপরাধসহ বিভিন্ন অপরাধের অনুসন্ধানের স্বার্থে তিন সংস্থার সমন্বয়ে যৌথ অনুসন্ধান ও তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, তদন্ত দলকে বেশ কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী তাদের সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ আইন ও বিধিমালা মেনে অনুসন্ধান ও তদন্ত করতে বলা হয়েছে। অনুসন্ধান কার্যক্রমের তথ্য গোপনীয়তা ও সংবেদনশীলতা কঠোরভাবে রক্ষার নির্দেশনা রয়েছে। দলের প্রধানকে নিজ সংস্থার অনুমোদন নিয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করতে বলা হয়েছে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। ১৪ আগস্ট ঢাকার সদরঘাট এলাকা থেকে সালমান এফ রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ১ সেপ্টেম্বর বেক্সিমকো গ্রুপের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের বিষয়টি অনুসন্ধান শুরু করে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট। ২২ আগস্ট সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎসহ বিদেশে টাকা পাচারের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।
শেখ হাসিনার পরিবারসহ বিতর্কিত ১০ শিল্পগোষ্ঠীর আর্থিক অপরাধ অনুসন্ধানে ১১টি যৌথ অনুসন্ধান ও তদন্ত দল গঠন করা হয়। এসব দল আলাদা আলাদা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অপরাধ তদন্ত করবে।
শেখ পরিবারের ও তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ও ট্রাস্টের বাইরে যে ১০ শিল্পগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে সেগুলো হচ্ছে- আরামিট গ্রুপ, এস আলম গ্রুপ, বেক্সিমকো, নাসা, সিকদার, বসুন্ধরা, সামিট, ওরিয়ন, জেমকন ও নাবিল গ্রুপ। এসব গ্রুপের মালিক, স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান তদন্তের আওতায় থাকবেন। ইতিমধ্যে তাদের দেশে ও বিদেশে বিপুল সম্পদের খোঁজ পেয়েছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।
এদিকে গত সপ্তাহে বাংলাদেশ ব্যাংক আয়োজিত ‘মানি লন্ডারিং অপরাধ অনুসন্ধানে গঠিত যৌথ অনুসন্ধান ও তদন্ত দলের কার্যক্রম’ বিষয়ক এক বৈঠক হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। বৈঠকে শেখ হাসিনা পরিবারসহ ১০ শিল্পগোষ্ঠীর অনিয়ম তদন্তে গঠিত ১১টি দলকে আইনি ব্যবস্থার মাধ্যমে অর্থ উদ্ধারে সমন্বিতভাবে কাজ এগিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেন গভর্নর।
অনুসন্ধান ও তদন্তের আওতায় নেওয়া গ্রুপগুলোর বেশিরভাগেরই ব্যাংক হিসাব ইতিমধ্যে জব্দ করেছে বিএফআইইউ। তাদের ব্যবসায়িক ও অন্যান্য লেনদেন, ঋণের সুবিধাভোগীসহ বিভিন্ন বিষয় অনুসন্ধান চলছে। ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, কানাডা ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ (ইউএই) বিভিন্ন দেশে তাদের সম্পদের বিষয়ে জানতে চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
৭৫৬ কোটি টাকার সার কিনবে সরকার
সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, কাতার ও চীনের প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি দেশীয় প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো), বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টন সার কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে ১ লাখ ২০ হাজার টন ইউরিয়া সার এবং ৩০ হাজার টন ফসফরিক অ্যাসিড রয়েছে।
এই সার কিনতে ৭৫৬ কোটি ৬৩ লাখ ২৬ হাজার ৪০০ টাকা ব্যয়ের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিটির সভায় এই অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফার্টিগ্লোব ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১৩২ কোটি ৬ লাখ ৩৭ হাজার ৮০০ টাকা।
জানা গেছে, গত বছরের ৪ সেপ্টেম্বর অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি সভার অনুমোদনের ভিত্তিতে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আরব আমিরাতের ফার্টিগ্লোব ডিস্ট্রিবিউশন থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে ৩ লাখ ৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার আমদানির চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
এই চুক্তি মোতাবেক সারের মূল্য নির্ধারণ করে ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার সর্বমোট ১ কোটি ৮ লাখ ২৪ হাজার ৯০০ মার্কিন ডলারে আমদানির প্রত্যাশামূলক অনুমোদনের প্রস্তাব দেয় শিল্প মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ১৩২ কোটি ৬ লাখ ৩৭ হাজার ৮০০ টাকা। সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করে অনুমোদন দিয়েছে।
শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে আর এক প্রস্তাবে সৌদি আরবের সাবিক এগ্রো-নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার (অপশনাল) ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন চাওয়া হয়। উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি এই প্রস্তাবটিও অনুমোদন দিয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ১৩২ কোটি ৬ লাখ ৩৭ হাজার ৮০০ টাকা।
জানা গেছে, গত বছরের ১১ জুন অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের ভিত্তিতে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সৌদি আরবের সাবিক এগ্রো-নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি থেকে রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে ৫ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার আমদানির জন্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
এই চুক্তি অনুসারে সারের মূল্য নির্ধারণ করে ১৫তম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার (অপশনাল) ইউরিয়া সার প্রতি মেট্রিক টন ৩৬০.৮৩ মার্কিন ডলার হিসেবে সর্বমোট ১ কোটি ৮ লাখ ২৪ হাজার ৯০০ মার্কিন ডলারে আমদানির প্রত্যাশামূলক অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব উপস্থাপন করা। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ১৩২ কোটি ৬ লাখ ৩৭ হাজার ৮০০ টাকা। উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করে অনুমোদন দিয়েছে।
বৈঠকে রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে কাতার এনার্জি মার্কেটিং থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ১৩৮ কোটি ৬৫ লাখ ১৭ হাজার ৮০০ টাকায় আমদানির আর একটি প্রস্তাব নিয়ে আসে শিল্প মন্ত্রণালয়। এ প্রস্তাবটিও অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
জানা গেছে, ২০২৪ সালের ১১ জুন অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভার অনুমোদনের ভিত্তিতে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কাতার এনার্জি মার্কেটিং থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে ৫ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার আমদানির চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
কাতার এনার্জি মার্কেটিং’র সাথে চুক্তি মোতাবেক সারের মূল্য নির্ধারণ করে প্রতি মেট্রিক টন ৩৭৮.৮৩ মার্কিন ডলার হিসেবে ৯ম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ১ কোটি ১৩ লাখ ৬৪ হাজার ৯০০ মার্কিন ডলারে আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ১৩৮ কোটি ৬৫ লাখ ১৭ হাজার ৮০০ টাকা।
বৈঠকে দেশীয় প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো), বাংলাদেশ থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ক্রয়ের আর একটি প্রস্তাব নিয়ে আসে শিল্প মন্ত্রণালয়। এটিও অনুমোদন দিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়। এই সার কিনতে মোট ব্যয় হবে ১২৯ কোটি ৪৭ লাখ ২৫ হাজার টাকা।
জানা গেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের পরিকল্পনা মোতাবেক কাফকো, বাংলাদেশ হতে ৫ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার ক্রয়ের সংশোধিত চুক্তি সই হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১১তম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ক্রয়ের জন্য প্রাইস অফার পাঠানো অনুরোধ করা হলে কাফকো, বাংলাদেশ প্রাইস অফার প্রেরণ করে।
কাফকোর সঙ্গে চুক্তি মোতাবেক সারের মূল্য নির্ধারণ করে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার প্রতি মেট্রিক টন ৩৫৩.৭৫ মার্কিন ডলার হিসেবে সর্বমোট ১ কোটি ৬ লাখ ১২ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলারে কেনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ১২৯ কোটি ৪৭ লাখ ২৫ হাজার টাকা।
এদিকে বৈঠকে চট্টগ্রামের টিএসপিসিএলের জন্য আরব আমিরাতের মেসার্স মেসার্স জেনট্রেড এফজেডইর কাছ থেকে ১০ হাজার মেট্রিক টন ফসফরিক অ্যাসিড আমদানির প্রস্তাব নিয়ে আসে শিল্প মন্ত্রণালয়। এই প্রস্তাবটিও অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এতে ব্যয় হবে ৭৫ কোটি ৩৭ লাখ ২০ হাজার টাকা।
জানা গেছে, টিএসপি সার উৎপাদনের প্রধান কাঁচামাল ফসফরিক অ্যাসিড ও রক ফসেফট বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ১০ হাজার মেট্রিক টন ফসফরিক অ্যাসিড আমদানির জন্য আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ৩টি দরপত্র জমা পড়ে। ৩টি প্রস্তাবই কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়।
দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি’র সুপারিশে রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান মেসার্স জেনট্রেড এফজেডই’র কাছ থেকে ১০ হাজার মেট্রিক টন ফসফরিক অ্যাসিড মোট ৭৫ কোটি ৩৭ লাখ ২০ হাজার টাকায় কেনার সিদ্ধান্ত নেয় শিল্প মন্ত্রণালয়।
বৈঠকে শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে আর এক প্রস্তাবে চট্টগ্রামের ডিএপিএফসিএলের জন্য ২০ হাজার মেট্রিক টন ফসফরিক অ্যাসিড চীনের মেসার্স গুয়াংজি পেঙ্গুয়ে ইকো-টেকনোলজি কোং লিমিটেড থেকে ১৪৯ কোটি ৮৮ হাজার টাকায় আমদানির অনুমোদন চাওয়া হয়। উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি এই প্রস্তাবটিও অনুমোদন দিয়েছে।
জানা গেছে, ডিএপি সার উৎপাদনের প্রধান কাঁচামাল ফসফরিক অ্যাসিড বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ২০ হাজার মেট্রিক টন ফসফরিক অ্যাসিড আমদানির জন্য আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে মাত্র একটি দরপত্র জমা পড়ে। প্রস্তাবটি কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়।
দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি’র সুপারিশে রেসপনসিভ একমাত্র দরদাতা প্রতিষ্ঠান মেসার্স সান ইন্টারন্যাশনাল এফজেডই, ইউএই (প্রস্তুতকারক: মেসার্স গুয়াংজি পেঙ্গুয়ে ইকো-টেকনোলজি কোং লিমিটেড, চীন) থেকে ২০ হাজার মেট্রিক টন ফসফরিক অ্যাসিড মোট ১৪৯ কোটি ৮৮ হাজার টাকায় ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেয় শিল্প মন্ত্রণালয়।