রাজনীতি
অতি বিপ্লবী চিন্তা-ভাবনা নিয়ে সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি কাম্য নয়: ফখরুল
অতি বিপ্লবী কোনো চিন্তা-ভাবনা নিয়ে সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি করা কারোর জন্য কাম্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, হঠকারিতা করা যাবে না। চরম একটা অবস্থা সৃষ্টি করা কোনোভাবেই কাম্য হবে না। অনেকে রোমান্টিসিজম বলেন। এটার মানে শুধু প্রেম নয়, এটা বিপ্লবের প্রতি প্রেম। অর্থাৎ এ মুহূর্তে আমি সব পাল্টে দেব, এই মুহূর্তে আমি সব দখল করব, অন্যায় রোধ করব, এটা হয় না। আপনাকে ধাপে ধাপে করতে হবে।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী এবং জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের ১২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত গ্রন্থ আড্ডায় তিনি এসব কথা বলেন।
সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের এখানে এখন যে অস্থিরতা চলছে, এই অবস্থার যদি নিয়ন্ত্রণ করতে চাই, আমাদের ধৈর্য ধরে পা ফেলতে হবে। এমন কিছু আমরা করব না, নৈরাজ্য সৃষ্টি করে আরও বিপদ যেন আমরা ডেকে না আনি। এই বিষয়গুলো আমাদের মনে রাখতে হবে।
তিনি বলেন, কখনো ধৈর্য হারাবেন না, আশা হারাবেন না। আমি কেন জানি না, আমাদের প্রত্যাশা অনেক কিন্তু আমাদের ধৈর্য একেবারেই কম। এইতো মাত্র কয়েকটা মাস হয়েছে। এর মধ্যেই আমরা পাগল হয়ে গেছি। আমাদের সরকার অনেক ভুলত্রুটি করছে, ভুল তো করবেই তারা তো আর সরকারে ছিল না, রাজনীতি করেনি। রাজনীতি বিষয়টা তারা জানে না। তাদের তো সে সময়টা দিতে হবে। পরিবর্তন তো একদিনে হবে না। ধৈর্য ধরেন, স্ট্রাকচার আমরা তৈরি করি, একটা গণতান্ত্রিক স্ট্রাকচার তৈরি হোক, সেই স্ট্রাকচার তৈরি হলে নিশ্চয়ই আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারব।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, একটা কথা আমি আবারও বলি, আমাকে ভুল বুঝবেন না। আপনি এত নির্বাচন নির্বাচন করেন কেন? বিশেষ করে ছাত্ররা তো বলেনই। নির্বাচনের কথা বলার কারণটা হচ্ছে একটাই, আমি বিশ্বাস করি, যে কোনো নির্বাচিত সরকার একটা অনির্বাচিত সরকারের চেয়ে ভালো। আমার এক্সেস থাকে, আমি যেতে পারি, কথা বলতে পারি। এখনই নির্বাচন করে ফেলতে হবে আমরা তা তো বলছি না। ন্যূনতম যে সংস্কার, সেটা করে নিয়ে নির্বাচনটা করলে সমস্যাগুলো অনেকটা সমাধান হবে। সংস্কারের প্রস্তাব আসতে শুরু করেছে। আমার বিশ্বাস যে, আমাদের প্রধান উপদেষ্টা তিনি খুব শিগগিরই এই বিষয়গুলো নিয়ে আমাদেরকে ডাকবেন, একটা সমাধানের দিকে আসবেন, আলোচনা হবে ঐক্যমত্যের ভিত্তিকে আমরা একটা জায়গায় পৌঁছাব।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের দায়িত্ব ছাড়লেন সারজিস
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকালে নিজ ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানান তিনি।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আমি নেই। এ ফাউন্ডেশনের গতি তরান্বিত করার জন্য ফাউন্ডেশনের গঠনতন্ত্র, কাঠামো ও কাজের প্রক্রিয়াতে পরিবর্তন আনা হয়েছে।
এখন থেকে ‘এক্সিকিউটিভ কমিটি’ পুরো অফিসের সার্বিক বিষয় পরিচালনার দায়িত্ব পালন করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনি লিখেছেন, চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) সেখানে অফিসের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বর্তমানে সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। ‘গভর্নিং বডি’ ফাউন্ডেশনের পলিসি মেকিংয়ে কাজ করবে। যেখানে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টাসহ চারজন উপদেষ্টা রয়েছেন (স্বাস্থ্য, সমাজকল্যাণ, স্থানীয় সরকার, আইসিটি)।
তিনি আরও লিখেছেন, এ ফাউন্ডেশন প্রথম আর্থিক সহযোগিতা শুরু করে ১ অক্টোবর, অফিস চালু হয় ১৫ অক্টোবর থেকে। আমি সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছি ২১ অক্টোবর। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় ২ মাস ১০ দিন আমি দায়িত্ব পালন করি। এরপর আমি দায়িত্ব থেকে সরে আসি। ফাইনালি আমার সাইনিং অথোরিটি ৭ জানুয়ারি হস্তান্তর হয় এবং অফিসিয়ালি আমার দায়িত্ব শেষ করি।
‘৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভ্যারিফায়েড ৮২৬ জন শহীদ পরিবারের মধ্যে ৬২৮ জনকে আর্থিক সহযোগিতা করা হয়। পাশাপাশি প্রায় ১১ হাজার ভ্যারিফায়েড আহতের মধ্যে প্রায় ২ হাজার আহতকে আর্থিক সহযোগিতা করা হয়।’
এবিষয়ে তিনি আরও লেখেন, যতদিন পর্যন্ত আমি আমার সর্বোচ্চ সময় ফাউন্ডেশনে দিতে পেরেছি ততদিন আমি দায়িত্ব পালন করেছি। যখন মনে হয়েছে এখন থেকে ফাউন্ডেশনে প্রয়োজনীয় সময় দেওয়া আমার জন্য সম্ভব হবে নয়, তখন আমি দায়িত্ব থেকে সরে এসেছি। আমার কাছে নিজের সীমাবদ্ধতা অ্যাড্রেস করা এবং সে অনুযায়ী দায়িত্ব গ্রহণ বা ত্যাগ করা কোনো দুর্বলতা নয়, বরং এটাতে সৎ সাহস লাগে। আমি চেষ্টা করেছি আমার চেয়ারের দায়িত্বের সঙ্গে সৎ থাকতে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মারামারি, আহত ৭
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দুই গ্রুপের মারামারিতে তরুণীসহ ৭ শিক্ষার্থী আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাজধানীর বাংলামোটরে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। পরে আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়।
আহতরা হলেন- ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইমরান সরকার (২১), তেজগাঁও কলেজের শিক্ষার্থী জান্নাতুল মিম (২২), আবরার (২২), আলামিন (২৫), আফসার উদ্দিন(২৫), জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম কলেজের শিক্ষার্থী আসিফ (২৪) ও ডেমরা বড় মাদ্রাসার ছাত্র মাসুদ (২৪)।
আহত আল আমিন জানান, যাত্রাবাড়ী জোনের সমন্বয়কদের একটি মতবিনিময় সভা ছিল। এ সময় সমন্বয়কদের উপস্থিতিতে তাদের সামনে আমাদের একজন সহযোদ্ধার ওপর হামলা চালানো হয়। পরে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই বিষয়ে কথা বলতে এলে নাঈম আসাদ বিন রনি, রিফাত রশিদ ও হৃদয়ের নেতৃত্বে তারা আমাদের ওপরে হামলা চালায়। এতে আমাদের বেশ কয়েকজন সহযোদ্ধা গুরুতর আহত হয়ে বর্তমানে ঢামেকের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, বাংলামোটর থেকে কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত অবস্থায় জরুরি বিভাগে এসেছে। তাদের সবার চিকিৎসা চলছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
শুধুমাত্র স্লোগান দিয়ে সামনের যুদ্ধ জয় করা যাবে না: ফখরুল
শুধুমাত্র স্লোগান দিয়ে সামনের যুদ্ধ জয় করা যাবে না। সত্যিকার অর্থে রাজনৈতিক দলে পরিণত হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এখন কিন্তু মেধা এবং বুদ্ধির প্রতিযোগিতা। সোশ্যাল মিডিয়ায় কে কেমন লিখতে পারেন, কে কেমন কথা বলতে পারেন, তার প্রতিযোগিতা চলছে। এ বিষয়গুলো আমাদের মাথায় রাখতে হবে।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) গুলশান কার্যালয়ে দলের ‘প্রাথমিক সদস্যপদ নবায়ন’ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ফখরুল। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যোগ দেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সত্যিকার অর্থে একটা রাজনৈতিক দল তৈরি করতে হবে। আমাদের কিন্তু এখন সত্যিকার অর্থেই আদর্শ রাজনৈতিক দলে পরিণত হতে হবে। ভবিষ্যতে নতুন সদস্য নেয়ার ক্ষেত্রে ভালো মানুষ এবং মেধার মানুষ দেখে দলে নিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
দলীয় নেতাকর্মীদের জরুরি ভিত্তিতে প্রশিক্ষণ দেয়া প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন বিএনপির মহাসচিব।
তিনি বলেন, আমাদের আসলে প্রশিক্ষণের প্রয়োজন আছে খুব বেশি। আমাদের নেতাকর্মীরা আমরা কেন জানি না রাজনীতি থেকে দূরে সরে যাচ্ছি। গতকালই প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের জন্মদিবস পালন হলো। এখানে দলের যে নেতাকর্মীরা আসে স্লোগান নিয়ে, একটা পতাকা নিয়ে আসে। সাধারণত ভাইদের পেছনে আসে, এসে সে ভাইদের পক্ষে স্লোগান দিতে থাকে। তারপরে স্লোগান দেয় পূর্ব-পশ্চিম। এটা রাজনীতি না। কোন রাজনৈতিক কর্মীর মুখ থেকে এ ধরনের স্লোগান আসা উচিত নয়। এ জায়গাটাতে আমাদের চরম দৈন্য আছে। এখান থেকে আমাদের বের হয়ে আসা উচিত। এখন কমপালসরি করতে হবে প্রত্যেকটি জেলাতে রাজনৈতিক প্রশিক্ষণ জরুরি করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সামনে যখন আমরা দলে রিক্রুট করব তখন যেন ভালো ও মেধাবী মানুষদের সদস্য করি। দল যেন সামনে আরও শক্তিশালী হয়।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
শিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন, পদ পেলেন যারা
সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে ২০২৫ সেশনের জন্য ৪৬ সদস্যের কার্যকরী পরিষদ গঠন করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। রবিবার (১৯ জানুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম নির্বাচিত কার্যকরী পরিষদ সদস্যদের সাথে পরামর্শ করে ১৪ জনকে কার্যকরী পরিষদের সদস্য হিসেবে মনোনয়ন প্রদান করেছেন। পরবর্তীতে তিনি কার্যকরী পরিষদের পরামর্শক্রমে ২৭ সদস্যের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারিয়েট গঠন করেন।
এতে কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের সাবেক সভাপতি সিবগাতুল্লাহ। আর আর কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ঢাবি শিবিরের আলোচিত সদ্য সাবেক সভাপতি সাদিক কায়েম।
কেন্দ্রীয় সম্পাদকীয় অন্য পদগুলোর মধ্যে কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক পদে আজিজুর রহমান আজাদ, তথ্য-প্রযুক্তি সম্পাদক ইঞ্জি. নাজমুস সোয়াদ রফি, আন্তর্জাতিক সম্পাদক মু. মু’তাসিম বিল্লাহ শাহেদী, সাহিত্য সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ নাঈম, অর্থ সম্পাদক তৌহিদুল হক মিছবাহ, মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সাইদুল ইসলাম, ছাত্র অধিকার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, দাওয়াহ সম্পাদক হাফেজ মো. মিছবাহুল করিম, বিজ্ঞান সম্পাদক ডা. উসামাহ রাইয়ান, ফাউন্ডেশন সম্পাদক আসাদুজ্জামান ভূইয়া, ছাত্রকল্যাণ ও সমাজসেবা সম্পাদক হাফেজ ডা. রেজওয়ানুল হক, শিল্প ও সংস্কৃতি সম্পাদক হাফেজ মুহাম্মদ আবু মুসা, স্কুল কার্যক্রম সম্পাদক মো. নোমান হোসেন নয়ন, শিক্ষা সম্পাদক আব্দুল মোহাইমেন, প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক নাহিদুল ইসলাম, কলেজ কার্যক্রম ও ব্যবসায় শিক্ষা সম্পাদক মো. শহীদুল ইসলাম, এইচআরডি সম্পাদক শরীফ মাহমুদ, বিতর্ক সম্পাদক হারুনুর রশিদ রাফি, মাদরাসা কার্যক্রম সম্পাদক আলাউদ্দিন আবির, গবেষণা সম্পাদক গোলাম জাকারিয়া, পাঠাগার সম্পাদক মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, তথ্য সম্পাদক আবু সায়েদ সুমন, মানবাধিকার সম্পাদক মো. সিফাত উল আলম, আইন সম্পাদক আরমান হোসেন এবং কেন্দ্রীয় স্পোর্টস সম্পাদক পদে ইঞ্জি. এস এম তানভীর উদ্দীন নির্বাচিত হয়েছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে লুৎফুজ্জামান বাবর
সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা লুৎফুজ্জামান বাবর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) রাতে তিনি হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে জানান তার ব্যক্তিগত সহকারী মো. হায়দার।
তিনি জানান, রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন বাবর। পরে তাকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছেন এবং তার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছেন।
১৬ জানুয়ারি লুৎফুজ্জামান বাবর কারামুক্ত হন। দীর্ঘ ১৭ বছর পর ওই দিন তিনি কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ছাড়া পান।
২০০৭ সালের ২৮ মে গ্রেফতার হয়েছিলেন বাবর। এরপর বিভিন্ন মামলায় তার দণ্ড হয়। এর মধ্যে দুটি মামলায় তার মৃত্যুদণ্ডাদেশ হয় এবং একটিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
তবে গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের সরকারের পতনের পর এসব মামলার আপিল শুনানি শেষে একে একে খালাস পান বাবর।
এর মধ্যে ২৩ অক্টোবর দুর্নীতির মামলায় ৮ বছরের দণ্ড থেকে এবং ১ ডিসেম্বর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলা থেকে খালাস পান তিনি। ২১ আগস্টের মামলায়ও বাবরকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন বিচারক আদালত।