জাতীয়
মধুমতি মডেল টাউন প্রকল্প উচ্ছেদের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

ঢাকার সাভার উপজেলায় মধুমতি মডেল টাউন প্রকল্প উচ্ছেদের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন প্লট মালিকসহ সেখানে বসবাসকারীরা। একই সঙ্গে এসব ব্যক্তিমালিকানাধীন বসতভিটা হতে উচ্ছেদ কার্যক্রম বন্ধে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে (রাজউক) স্মারকলিপি প্রদান করে মধুমতি মডেল টাউন হাউজিং সোসাইটি নামে একটি সংগঠন।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) রাজউক ভবনের সামনে জড়ো হন মধুমতি মডেল টাউনের প্লটের মালিক ও সেখানে বসবাসকারীরা।
রাজউকে দেওয়া স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, ২০০১ সাল থেকে রেজিস্ট্রেশন, নামজারি, খাজনা পরিশোধ ও বাড়িঘর করে এখানে বসবাস করে আসছেন সেখানকার বাসিন্দারা। সকল রেকর্ড পত্র- সি.এস/এস.এ ও আরএস পর্চাসমূহে সুস্পষ্টভাবে জমিগুলো ব্যক্তিমালিকানাধীন নাল জমি হিসেবে বর্ণিত আছে। মেট্রো মেকার্স কর্তৃক ব্যাপক ধারাবাহিক প্রচারণায় আকৃষ্ট হয়ে মধুমতি মডেল টাউন প্লট ক্রয় করেন তারা। ঐ সময় কোন সরকারি বা বেসরকারি সংস্থা থেকে প্রকল্প নিয়ে কোনো আপত্তি তোলা হয়নি। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) ২০০৪ সালে বন্যা প্রবাহ অঞ্চলে অবস্থিত দাবি করে প্রকল্পটির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট পিটিশন দায়ের করে। আদালত ২০০৫ সালের ২৭ জুলাই প্রকল্পটি অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেওয়া হয়। সেই সাথে প্রকল্প বৈধ হওয়ার রাস্তা খোলা আছে বলে উল্লেখ করা হয়।
এতে জানানো হয়, নির্দেশনার প্রেক্ষিতে একটি হাউজিং প্রকল্প অনুমোদনের জন্য প্রয়োজনীয় ৯টির মধ্যে সরকারের ৮টি বিভাগ যথা- পানি উন্নয়ন বোর্ড, ভূতাত্ত্বিক জরিপ বিভাগ, তিতাস গ্যাস এন্ড ট্রান্সমিশন, ঢাকা ওয়াসা, পল্লী বিদ্যুৎ, টি এন্ড টি বোর্ড, ঢাকা সিটি করপোরেশন, ঢাকা যানবাহন সমন্বয় বোর্ড (ডিটিসিবি) প্রকল্প অনুমোদনের জন্য মেট্রো মেকার্সকে ছাড়পত্র দিয়েছিল। পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্ট ২০১২ সালের ৭ আগষ্ট এক উদ্ভট, ফরমায়েশি ও গণবিরোধী রায় প্রদান করে। রায়ে মেট্রো মেকার্সকে বলা হয় তাদের খরচে প্রকল্প এলাকার ভরাটকৃত মাটি সরিয়ে এটিকে আবার ধানক্ষেত বানাতে। আর প্লট ক্রেতাদের তাদের মোট প্রদেয় টাকার দ্বিগুণ এবং রেজিস্ট্রেশন বাবদ সকল খরচ প্রদান করে ৬ মাসের মধ্যে প্রকল্পটি আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য মেট্রো মেকার্সকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে মেট্রো মেকার্স ও প্লট মালিকদের পক্ষ হতে রিভিউ পিটিশন করা হয়। ২০১৯ সালের ২৫ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টে সব রিভিউ পিটিশন খারিজ হওয়ার পর প্রায় ৬ বছর অতিক্রান্ত হলেও আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী মেট্রো মেকার্স কর্তৃপক্ষ থেকে আমরা কোন টাকা পাই নাই। বর্তমানে এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ খারিজের রায়ের বিরুদ্ধে মডিফিকেশনের দরখাস্ত শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, প্রকল্পে বর্তমানে ৮০০’র বেশি আবাসিক ভবনে প্রায় ৫০ হাজার লোক বসবাস করেন। প্রকল্পের বাণিজ্যিক জোনে রয়েছে ১০০টির অধিক পোলট্রি ও ডেইরি ফার্ম, ৮টি রিসোর্ট, ৩টি মসজিদ, ৪টি মাদ্রাসা, স্কুল, প্রতিবন্ধী পুনর্বাসন কেন্দ্রসহ ও অন্যান্য বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, যেখানে কয়েক হাজার শ্রমিক কাজ করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে। এখানে রয়েছে প্রায় ৮/১০ লক্ষাধিক বনজ, ফলজ ও ঔষধি গাছপালা, যা প্রকল্পটিকে একটি সবুজ নগরীতে পরিণত করেছে এবং পরিবেশ উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা রাখছে। গত ২৪ বছরে এখানে ভূপ্রকৃতির আমূল পরিবর্তন হয়েছে। বর্তমানে মধুমতি মডেল টাউনের চারদিক সরকারি বেসরকারি স্থাপনা বেষ্টিত একটি স্থলভূমি। প্রকল্পের অতি সন্নিকটে তথাকথিত ফ্লাডজোনে ডিএনসিসি কর্তৃক জাপান সরকারের সহায়তায় গার্বেজ রিসাইক্লিং সেন্টার গড়ে তোলা হয়েছে। প্রকল্পের উত্তরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের কোল ঘেষে গড়ে উঠেছে পেট্রোল/গ্যাস ফিলিং ষ্টেশন, আবাসিক এলাকা ও নানা স্থাপনা। প্রকল্পের পূর্বে রয়েছে বিদ্যুতের সাব-স্টেশন ও তিতাস গ্যাসের স্থাপনা। এইভাবে চারদিকে সরকারি, বাণিজ্যিক ও আবাসন বেষ্টিত মধুমতি মডেল টাউনকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করে বন্যা প্রবাহ এলাকা বা জলাধার আখ্যা দেওয়া বা বানানো নিতান্তই অবাস্তব ও বৈষম্যমূলক। তাছাড়া, ঢাকা শহরের আশেপাশে বাস্তবায়ন করা প্রায় সব হাউজিং প্রজেক্ট এক সময় বিলামালিয়া ও বলিয়ারপুর মৌজার অবস্থায় ছিল। সে বিবেচনায় আদালতের রায় অন্যায্য ও বৈষম্যমূলক।
যে কোনো রকম উচ্ছেদ পরিকল্পনা থেকে বিরত থাকা সহ সাংবিধানিক অধিকার সুরক্ষা ও শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করায় বিঘ্ন ঘটানো থেকে নিবৃত থাকা এবং বাস্তবতার নিরিখে মধুমতি মডেল টাউন প্রকল্প এলাকাকে (ডেটাইলেড এরিয়া প্ল্যান) এ নগর আবাসিক এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।
কাফি

জাতীয়
৬০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে মুজিব পরিবারের নাম বাদ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার স্ত্রী ফজিলাতুন নেছা মুজিবের নামে প্রতিষ্ঠিত দেশের ৬০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
বুধবার (১৬ জুলাই) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এ সংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি করেছে। এতে সই করেছেন উপ-সচিব সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলী।
আদেশে বলা হয়, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের নামে রাষ্ট্রীয় সংস্থা, প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনার নামকরণ বাতিলের বিষয়ে চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়।
সে অনুযায়ী বেসরকারি স্কুল, স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং কলেজের নাম পরিবর্তন করে নামকরণ করা হলো।
নাম পরিবর্তন হওয়া বিদ্যালয়গুলোর তালিকা দেখুন এখানে।
জাতীয়
নিয়ম লঙ্ঘন করে পুশ ইন করছে ভারত: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

ভারত থেকে বাংলাদেশে পুশ ইনের ঘটনা এখনো ঘটছে। এটি দুদেশের বিদ্যমান চুক্তি ও ব্যবস্থার পরিপন্থি বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
বুধবার (১৬ জুলাই) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানের মাসব্যাপী ফটোগ্রাফি এবং গ্রাফিতি প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, দুই দেশের মধ্যে তালিকা আদান-প্রদানের মাধ্যমে নাগরিক শনাক্ত করে ফেরত নেওয়ার একটি নির্ধারিত প্রক্রিয়া রয়েছে, কিন্তু সেটি না মেনে পুশ-ইন করা হলে তা স্পষ্টত নিয়ম লঙ্ঘনের শামিল।
তৌহিদ হোসেন বলেন, পুশ-ইন চলছে। এটা ভারতের সঙ্গে যে অ্যারেঞ্জমেন্ট আছে, তার পরিপন্থি। আমাদের লোক হলে অবশ্যই ফেরত নেবো।
তিনি বলেন, অ্যারেঞ্জমেন্টের মাধ্যমে আমরা সম্প্রতি বেশকিছু নাগরিককে ফেরত নিয়েছিও। আমরা ইনসিস্ট করছি, তারা যেন এ পদ্ধতি বজায় রাখে। আমাদের প্রত্যাশা এটাই।
ভারত থেকে পুশ-ইন করা ব্যক্তিদের ফেরত পাঠানোর প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেন, তাদের ফেরাতে আমাদের কোনো চেষ্টা করতে হবে না। তাদের নাগরিক, তারা ফিরিয়ে নেবে। এটা নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। এটা নিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতাও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।ভারতের নাগরিক যারা আছেন, তারা অবশ্যই ফেরত যাবেন, এতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে প্রক্রিয়া করতে একটু সময় লাগবে।’
সীমান্তে কেউ আইনভঙ্গ করলে তাকে গুলি করে মেরে ফেলার অধিকার কোনো বাহিনীর নেই মন্তব্য করে উপদেষ্টা বলেন, যারা এ কাজ করছে তাদের যেন ভারতীয় আইনে বিচার করা হয়।
সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদ জানানোর ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকার শুরুতে কঠোর অবস্থানে থাকলেও এখন কিছুটা নমনীয় কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, মোটেই নয়, আমরা স্পষ্টভাবে বলছি যে, সীমান্তে আইনভঙ্গ করলে তাকে গুলি করে মেরে ফেলার অধিকার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর নেই। আমরা নিয়মিত এ নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েও আসছি।
জাতীয়
গোপালগঞ্জে কারফিউ জারি

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সংঘর্ষ ও হামলা-পাল্টাহামলার ঘটনার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গোপালগঞ্জে কারফিউ জারি করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
বুধবার (১৬ জুলাই) রাত ৮টা থেকে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ কারফিউ জারি থাকবে।
আজ সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বিকেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গোপালগঞ্জ সদরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
এদিন বিকেলে গোপালগঞ্জে সভা শেষে ফেরার পথে এনসিপির গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে। কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এ হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠে। এসময় গোপালগঞ্জ শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
এরপর এনসিপির শীর্ষ নেতারা জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে গিয়ে অবস্থান নেন। পরে সেনাবাহিনীর ট্যাঙ্কে করে নিরাপদে তাদের সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
এদিকে, হামলার ঘটনায় সারাদেশে ব্লকেড কর্মসূচি পালন করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। হামলার নিন্দা জানিয়ে জড়িতদের শাস্তি দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। জামায়াত আগামীকাল বৃহস্পতিবার সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি দিয়েছে।
জাতীয়
মন্ত্রণালয়গুলোর মতামত নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের শর্ত বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত

রপ্তানি পণ্যের ওপর আরোপিত শুল্কহার ইস্যুতে দর কষাকষি করতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার ক্ষেত্রে দেশটি যেসব শর্ত দিয়েছে, মন্ত্রণালয়গুলোর মতামত নিয়ে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
বুধবার (১৬ জুলাই) আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক ইস্যুতে আমাদের যে আলোচনা চলছে সেখানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের বিষয়গুলো রয়েছে। ফলে মন্ত্রণালয়গুলোর মতামতগুলো আমাদের নিতে হচ্ছে। মতামত নেওয়ার পর একটা প্রস্তাব ফাইনাল করে আবার যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনা হবে।
তবে তৃতীয় দফার আলোচনা বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসন এখনো বাংলাদেশকে নির্দিষ্ট কোনো সময় দেয়নি জানিয়ে বাণিজ্য সচিব বলেন, ‘আমরা যোগাযোগ করছি।’
শুল্ক ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় তিনদিনের আলোচনা শেষে গত রোববার দেশে ফিরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার (১৬ জুলাই) বেলা ১১টায় আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে অর্থ, কৃষি, খাদ্য, পরিবেশ, জ্বালানিসহ ১১টি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের প্রতিনিধিরাও ছিলেন বৈঠকে। বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, শুল্কহার কমানোর ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র যেসব শর্ত বাংলাদেশকে দিতে চায়, সেসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্তব্য নেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট অন্য মন্ত্রণালয়গুলোর সঙ্গে আগামী কয়েকদিন পর্যায়ক্রমে এ বৈঠক হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তৃতীয় পর্যায়ের আলোচনায় দেশটির দেওয়া শর্তগুলোর বিষয়ে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের মতামত দিতে হবে। তার আগে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে।
আজ বৈঠক শেষে বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক ইস্যুতে আমাদের যে আলোচনা চলছে সেখানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের বিষয়গুলো রয়েছে। ফলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মতামতগুলো আমাদের নিতে হচ্ছে। এটি প্রসেস।’
তিনি বলেন, ‘এমন বৈঠক এখন চলতে থাকবে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মতামত নিয়ে একটা প্রস্তাব ফাইনাল করে আবার আলোচনা হবে।’
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তৃতীয় দফায় বৈঠকের জন্য সময় পাওয়া গেছে কি না- এ প্রশ্নে বাণিজ্য সচিব বলেন, ‘তারা এখনো নির্দিষ্ট সময় দেয়নি। আমরা যোগাযোগ করছি।’
আজ আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে কোন কোন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্যসহ বেশকিছু পণ্য আমদানি করি। সেগুলোর বিষয়ে স্ব স্ব মন্ত্রণালয়ে কিছু আইন-কানুন রয়েছে। সেসব বিষয়ে তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এটি (শুল্ক ইস্যু) গ্লোবাল বিষয়। সারাবিশ্ব যে পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করে, আমরাও সেটিই করছি।’
জানা গেছে, বাণিজ্য সংক্রান্ত বিষয়গুলোতে অনেকাংশে একমত হলেও বাণিজ্যের বাইরের অনেক বিষয় এখন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের দর কষাকষি পর্যায়ে আটকে আছে। আজ বৈঠকে সেরকম কোনো ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে বাণিজ্য সচিব কিছু জানাননি।
এর আগেও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নন-ডিসক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্টের (গোপনীয়তার চুক্তি) কারণে দর কষাকষি নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলেননি সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও কর্মকর্তারা।
গত ৭ জুলাই বাংলাদেশের পাশাপাশি দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানসহ মোট ১৪টি দেশের ওপর নতুন করে শুল্কহার নির্ধারণের ঘোষণা দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাতে বাংলাদেশি পণ্যে বাড়তি শুল্ক নির্ধারণ করা হয় ৩৫ শতাংশ।
এর আগে ৯ জুলাই থেকে শুল্ক কার্যকর হওয়ার কথা থাকলেও সেটি পিছিয়ে ১ আগস্ট নির্ধারণ করা হয়েছে। এসময়ের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের সঙ্গে দর কষাকষি করতে পারলে শুল্কহার কমতে পারে, অন্যথায় ঘোষিত হার কার্যকর হবে।
জাতীয়
গোপালগঞ্জে সমাবেশ শেষে এনসিপির পদযাত্রায় হামলা

গোপালগঞ্জে সমাবেশ শেষে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রায় আবারও হামলা চালিয়েছে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে হামলাকারীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলছে।
বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুর সাড়ের ৩টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ওই এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।
এর আগে এনসিপি সমাবেশস্থলে হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ হামলার জন্য নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগকে দায়ী করেছে সমাবেশে উপস্থিত থাকা এনসিপির নেতাকর্মীরা। অভিযোগ উঠেছে, ছাত্রলীগ মঞ্চে থাকা সাউন্ড বক্স, মাইক ও চেয়ার ভাঙচুর করে।
বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে গোপালগঞ্জ শহরের পৌরপার্ক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মির মো. সাজেদুর রহমান হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ দিকে সকালে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার মধ্যে ইউএনও’র গাড়িবহরে হামলা, পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য ঘটনাস্থলে কাজ করছে সেনাবাহিনী।
গোপালগঞ্জে এনসিপির জুলাই পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে জেলার বিভিন্ন স্থানে নাশকতা ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাতজনকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের পরিচয় জানা যায়নি। উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গোপালগঞ্জ কোটালীপাড়া সড়ক, গোপালগঞ্জ টেকেরহাট সড়ক ও টুঙ্গিপাড়ায় এপিসি মোতায়েন করেছে সেনাবাহিনী।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মীর মো. সাজেদুর রহমান বলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মাসজুড়ে জুলাই পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
এনসিপির মাসব্যাপী কেন্দ্রীয় কর্মসূচি ‘জুলাই পদযাত্রা’র অংশ হিসেবে আজ গোপালগঞ্জে পথসভার আয়োজন করা হয়েছে। এ কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে মার্চ টু গোপালগঞ্জ।
কাফি