জাতীয়
নবীন উদ্যোক্তাদের স্বাবলম্বী হওয়ার গল্প শুনলেন প্রধান উপদেষ্টা
নবীন উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১৫ জন নারী ও পুরুষ উদ্যোক্তা অংশগ্রহণ করেন।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে উদ্যোক্তারা আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে ওঠার সংগ্রামের গল্প বলেন। তারা প্রধান উপদেষ্টার কাছে বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ চান।
সামাজিক ব্যবসার প্রসারে ২০১০ সালে গঠিত গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্ট থেকে পাওয়া বিনিয়োগ কীভাবে উদ্যোক্তাদের শূন্য থেকে আর্থিক স্বাবলম্বী হয়ে উঠতে সহযোগিতা করেছে- সেসবের বর্ণনা দেন উদ্যোক্তারা। এজন্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান তারা।
বৈঠকে অংশ নেওয়া উদ্যোক্তাদের অধিকাংশই গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্ট ও গ্রামীণ ট্রাস্ট থেকে বিনিয়োগ নিয়ে ব্যবসা করছেন। কেউ কেউ ষষ্ঠ ও পঞ্চমবারের মতো বিনিয়োগ পেয়েছেন।
উদ্যোক্তাদের সংগ্রামের গল্প শুনে উচ্ছ্বসিত হন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি তাদের কাছে উদ্যোক্তাদের জন্য আরও কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে তা জানতে চান।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আপনাদের জীবনের গল্পগুলো ভীষণ অনুপ্রেরণাদায়ক। আপনাদের সঙ্গে দেখা করতে পেরে আমি খুব খুশি হলাম। আপনারা অনেক ভালো ভালো কথা বলেছেন, সুনাম করেছেন। আমাদের পরামর্শও দিন। আরও কী কী হলে উদ্যোক্তাদের জন্য ভালো হয় তা আমাদের বলুন।
বৈঠকে উদ্যোক্তারা গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্ট ও গ্রামীণ ট্রাস্টের সামাজিক ব্যবসা প্রসারে নবীন উদ্যোক্তাদের জন্য গৃহীত কর্মসূচির প্রচার-প্রচারণা বাড়ানোর পরামর্শ দেন।
তারা বলেন, বেশিরভাগ লোকেরাই এই উদ্যোগগুলো সম্পর্কে জানে না। প্রচার-প্রচারণা বাড়ালে অনেক দরিদ্র লোক উপকৃত হবেন।
উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের পাশাপাশি উপযুক্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্যও প্রধান উপদেষ্টার প্রতি তারা আহ্বান জানান।
উদ্যোক্তারা বলেন, দক্ষতার অভাবে অনেকেই তাদের ব্যবসা বড় করতে পারেন না। যদি উপযুক্ত কর্মশালার আয়োজন করা যায় তাহলে জেলায় জেলায় আরও দক্ষ ও সফল উদ্যোক্তা গড়ে উঠবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আপনাদের আলোচনা ও পরামর্শ থেকে আজ অনেক কিছু জানতে পারলাম। আমরা দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই। নবীন উদ্যোক্তারা যেন বিনিয়োগ নিয়ে বিপদে না পড়েন, নিরাপদে যেন কাজ করতে পারেন সেটা নিশ্চিত করতে চাই। আজকের আলোচনা থেকে ভবিষ্যৎ পথচলা কেমন হতে পারে সেসব আইডিয়া পেলাম। আপনারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার এসডিজিবি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ, গ্রামীণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাসমিনা রহমান, গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল হাসান প্রমুখ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ঢাকার বাতাস আজ ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’
বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় সোমবার (২১ জানুয়ারি) রাজধানী ঢাকার অবস্থান তৃতীয়। তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে বসনিয়ার হার্জেগোভিনার সারায়েভো শহর।
সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) সূচক থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
তালিকার শীর্ষে অবস্থান করা সারায়েভোর বায়ুর মানের স্কোর ৪৮৮, অর্থাৎ সেখানকার বায়ু ‘দুর্যোগপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ’ পর্যায়ে রয়েছে।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ভিয়েতনামের হ্যানয়, যার স্কোর হচ্ছে ২৫৯ অর্থাৎ সেখানকার বায়ুর মান ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’। সূচকে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ঢাকা, এই শহরটির স্কোর হচ্ছে ২৪৬, এই শহরের বায়ুর মানও ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’। এ ছাড়া বায়ুদূষণে চতুর্থ অবস্থানে ভারতের দিল্লি। শহরটির বায়ুর মানও ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’।
১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’, ১৫০ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়, ৩০১ বা তার বেশি একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো—বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ট্রাম্পের অভিষেক উপলক্ষে ঢাকার অভিনন্দন
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওয়াশিংটন ডিসিতে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করার প্রাক্কালে তাকে অভিনন্দন জানিয়েছে ঢাকা।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছেন। সেই বার্তায়, প্রধান উপদেষ্টা দৃঢ় বিশ্বাস ব্যক্ত করেছেন যে, উভয় দেশ সহযোগিতার নতুন পথ অন্বেষণে একসঙ্গে কাজ করবে।
বার্তায় বলা হয়েছে, আমরা সেই বিশ্বাস পুনর্ব্যক্ত করছি এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন মেয়াদ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
গত নভেম্বরে মার্কিন নির্বাচনে জয়লাভের পর ট্রাম্পকে দেওয়া এক অভিনন্দন বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে আপনাকে নির্বাচিত করা এটাই প্রতিফলিত করে যে, আপনার নেতৃত্ব ও দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের দৃষ্টিভঙ্গি অনুরণিত হয়েছে। আপনার নেতৃত্বে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সমৃদ্ধ হবে এবং বিশ্বজুড়ে অন্যদের অনুপ্রাণিত করবে।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পারস্পরিক স্বার্থের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ট্রাম্পের কার্যকালে এ সম্পর্কের গভীরতার মাত্রা আরও বৃদ্ধি পাবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
চীনে গেলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা, যেসব বিষয়ে হবে আলোচনা
রাষ্ট্রীয় সফরে চীনের বেইজিংয়ের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। সোমবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে মো. তৌহিদ হোসেনের ঢাকা ত্যাগ করার তথ্য জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের এ সফর ঢাকা-বেইজিং সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ করবে। সফরে ঋণের সুদের হার কমানো, পানি প্রবাহ সংক্রান্ত তথ্য বিনিময়, চিকিৎসা সহযোগিতা এগিয়ে নেওয়া এবং মিয়ানমার পরিস্থিতির সমাধানে চীনের ব্যাপক অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করার বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই’র আমন্ত্রণে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এ সফর করছেন। গত বছরের আগস্টে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর এই সফরকে ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর’ হিসেবে অবহিত করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার বেইজিংয়ে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করবেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন ইঙ্গিত দিয়েছেন, ঢাকার পূর্বের অনুরোধ পূরণ করে হাইড্রোলজিক্যাল তথ্য বিনিময়ে একটি বাস্তবায়ন পরিকল্পনা স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত রয়েছে বেইজিং।
সফরকালে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ তিস্তা নদী প্রকল্পে চীনের সম্ভাব্য ভূমিকা নিয়েও আলোচনা প্রাধান্য পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
উপদেষ্টার প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফরে চীনকে অগ্রাধিকার দেওয়ার এ সিদ্ধান্ত পূর্ববর্তী সরকারগুলোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার একটি উল্লেখযোগ্য ইঙ্গিত বহন করে। পূর্বে, পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা প্রায়ই ভৌগোলিক ও রাজনৈতিক বিবেচনার কারণে ভারতকে তাদের প্রাথমিক গন্তব্য হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনার বাইরেও উপদেষ্টা চীনা কমিউনিস্ট পার্টির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন এবং চায়না ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ ও সাংহাই ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজে বক্তৃতা দেবেন। এছাড়াও বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য সাংহাইয়ে ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন উপদেষ্টা।
রোববার চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও এ সফরের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি চীনের শ্রদ্ধার কথা পুনর্ব্যক্ত করে বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা, সংস্কার, গণতান্ত্রিক উত্তরণ ও উন্নয়ন উদ্যোগের প্রতি সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
চীন সফরে যেসব বিষয় আলোচনায় থাকতে পারে :
অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন সহযোগিতা
চীন বাংলাদেশে বড় বিনিয়োগকারী, বিশেষ করে অবকাঠামো প্রকল্পে ভিন্ন ভিন্ন সুদের হারে ঋণের সুবিধা দিচ্ছে।
এই সফরের মূল অগ্রাধিকারগুলোর মধ্যে রয়েছে ঋণের শর্তাবলি পুনর্বিবেচনা করা, যেমন- সুদের হার বর্তমান ২-৩ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ করা, প্রতিশ্রুতি ফি মওকুফ করা ও গ্রেস পিরিয়ড ১৫ বছর থেকে বাড়িয়ে ৩০ বছর করা।
২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকারের পাশাপাশি চীনা বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও চীনে রপ্তানি বৃদ্ধির বিষয়েও আলাপ-আলোচনা হবে।
গত সপ্তাহে এক ব্রিফিংয়ে তৌহিদ হোসেন বলেন, আলোচনায় অর্থনৈতিক বিষয়গুলো প্রাধান্য পাবে। চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ঢাকা-বেইজিং সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন
১৯৭৫ সালের ৩১ আগস্ট চীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ায় ঢাকা-বেইজিং কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে এ সফর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দুদেশই এই মাইল ফলকটি স্মরণীয় করে রাখতে বছরব্যাপী নানা অনুষ্ঠান উদযাপনের পরিকল্পনা করেছে। ৫০তম বার্ষিকী উদযাপনের কর্মসূচি এ সফরকালে ঘোষণা করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এ সফর পারস্পরিক সমঝোতা, বন্ধুত্ব এবং দুদেশের মধ্যে একটি প্রাণবন্ত অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি করবে, কৌশলগত ও কারিগরি সহযোগিতাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
রোহিঙ্গা ইস্যু
এখনো কোনো সমাধান অর্জিত না হলেও, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যকার রোহিঙ্গা সংকটে চীন দীর্ঘদিন ধরে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করে আসছে। এবারের সফরে রোহিঙ্গা ইস্যু প্রধান আলোচনায় আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।
তৌহিদ রোববার চীনা রাষ্ট্রদূতকে জানিয়েছেন, নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচার জন্য পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণকারী রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন সহজতর করতে ঢাকা চীনের কাছ থেকে ‘অত্যন্ত জোরদার’ ও ‘সক্রিয়’ ভূমিকা প্রত্যাশা করে।
স্বাস্থ্য সহযোগিতা
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বাংলাদেশি নাগরিকদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশের নিকটবর্তী কুনমিংয়ে কমপক্ষে তিন থেকে চারটি সেরা পর্যায়ের হাসপাতাল মনোনীত করার জন্য চীনকে অনুরোধ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
হোসেন আরও জানান, ঢাকার উপকণ্ঠে পূর্বাচলে একটি পূর্ণাঙ্গ আধুনিক চীনা হাসপাতাল স্থাপনে বাংলাদেশ ভূমি ও লজিস্টিক সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে।
বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতা মোকাবিলা
চীন বাংলাদেশের বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার। বাংলাদেশ চীন থেকে বছরে ২৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করে, অপরদিকে রপ্তানির পরিমাণ মাত্র ৬৭০ মিলিয়ন ডলার।
চীনের বাজারে শতভাগ শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশের রপ্তানি এখনো কম, যার ফলে উল্লেখযোগ্য বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতা দেখা দিয়েছে।
সফর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বেইজিংয়ে উপদেষ্টার আলোচনার সময় এ বৈষম্য মোকাবিলার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডা হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
হজ ও ওমরাহ যাত্রীদের জন্য জরুরি নির্দেশনা
হজ ও ওমরাহ যাত্রীদের জন্য মেনিনজাইটিসের টিকা বাধ্যতামূলক, এ বিষয়ে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। সৌদি আরবের নতুন নির্দেশনার আলোকে দেওয়া হয়েছে এ নির্দেশনা। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে নির্দেশনাটি কার্যকর হবে।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক কামরুল ইসলাম দেশের সব এয়ারলাইনস ও বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নির্দেশনার বিষয়ে চিঠি দিয়েছেন।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যারা ওমরাহ বা হজ করতে যাবেন অথবা ভিজিট ভিসায় সৌদি আরব যাবেন তাদের সবার জন্যই এ নিয়ম প্রযোজ্য হবে। সৌদি আরবে ভ্রমণের কমপক্ষে ১০ দিন আগে মেনিনজাইটিসের টিকা নিতে হবে। ভ্রমণের সময় সেই টিকা নেওয়ার সনদ সঙ্গে রাখতে হবে।
এক বছরের নিচের শিশুদের এ টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক নয়। কেউ যদি গত তিন বছরের মধ্যে টিকা নিয়ে থাকেন তাহলে তাকেও সৌদি প্রবেশে নতুন করে টিকা দিতে হবে না।
আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে এই নিয়ম বাস্তবায়ন করতে সৌদি আরবের সিভিল এভিয়েশন দপ্তর ইতোমধ্যে সব এয়ারলাইনসকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছে। এ টিকা ছাড়াও কয়েকটি দেশের ওমরাহ যাত্রীদের করোনাভাইরাস, ইনফ্লুয়েঞ্জা, পীতজ্বর এবং পোলিওর টিকা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
ইতোমধ্যে চীনসহ পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে আতঙ্ক ছড়ানো হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) বাংলাদেশেও শনাক্ত হয়েছে। ফলে ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণে ১৩ জানুয়ারি বিশেষ নির্দেশনা জারি করেছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের বিশেষ ওই নির্দেশনায় বলা হয়, সম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার নির্দেশনা অনুযায়ী বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট সবাইকে এইচএমপিভির বিষয়ে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে আপাতত আতঙ্কিত হওয়ার কিছু হয়নি। বিমানবন্দরের যাত্রী, স্টাফ ও দর্শনার্থীদের সবাইকে মুখে মাস্ক রাখা ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারে উৎসাহিত করা হয়েছে। যদি কারো মধ্যে জ্বর, কফ, শ্বাস ছোট হওয়ার মতো এইচএমপিভির লক্ষণ দেখা দেয় সেক্ষেত্রে তাৎক্ষণিকভাবে বিমানবন্দরের হেলথ সার্ভিসে জানাতে হবে।
দেশের বিমানবন্দরে ফ্লাইট পরিচালনাকারী দেশি ও বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে এবং যেসব দেশে এইচএমপিভির আক্রান্ত রোগী রয়েছে সেসব দেশ থেকে যাত্রী আনার ক্ষেত্রেও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। প্লেনের ভেতর যদি কারো মধ্যে জ্বর, কফের মতো এইচএমপিভির লক্ষণ দেখা দেয় সেক্ষেত্রে তাৎক্ষণিকভাবে বিমানবন্দরের হেলথ সার্ভিসে জানাতে হবে।
ফ্লাইটে এইচএমপিভির আক্রান্ত রোগী থাকলে তাদের কীভাবে হ্যান্ডেল করতে হবে সে বিষয়ে এয়ারলাইন্সের ক্রু ও যাত্রীদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নির্দেশনাবলি জানার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়াও চিঠিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জারি করা সাতটি নির্দেশনা মানতে বলা হয়েছে।
নির্দেশনাগুলো হলো–
১. শীতকালীন শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য মাস্ক ব্যবহার করুন।
২. হাঁচি/কাশির সময় বাহু/টিস্যু দিয়ে নাক মুখ ঢেকে রাখুন।
৩. ব্যবহৃত টিস্যুটি অবিলম্বে ঢাকনাযুক্ত ময়লা ফেলার ঝুড়িতে ফেলুন এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার অথবা সাবান পানি দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন।
৪. আক্রান্ত হয়েছেন এমন ব্যক্তিদের সম্পন্ন এড়িয়ে চলুন এবং কমপক্ষে ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন।
৫. ঘনঘন সাবান ও পানি কিংবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধৌত করুন (অন্তত ২০ সেকেন্ড)।
৬. অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক, মুখ ধরবেন না।
৭. আপনি জ্বর, কাশি এবং শ্বাসকষ্ট আক্রান্ত হলে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত বাড়িতে থাকুন। প্রয়োজন হলে নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করুন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
অবৈধ অভিবাসীদের সময় বেঁধে দিল সরকার
বাংলাদেশে অবৈধভাবে বসবাস করা বিদেশি নাগরিকদের আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে যথাযথ কাগজপত্র জমা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এই সময়ের মধ্যে যথাযথ কাগজপত্র জমা না দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এ কথা জানান।
আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে জানানো হয়, বাংলাদেশে বর্তমানে ৩৩ হাজার ৬৪৮ জন বিদেশি নাগরিক অবৈধভাবে বসবাস করছেন বা ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও অবস্থান করছেন।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমরা সার্কুলার দিয়েছি আমাদের দেশে অনেক মানুষ অবৈধভাবে বসবাস করছেন বা ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও অবস্থান করছেন। সরকারি হিসাবে আগে এই সংখ্যা ছিল ৪৯ হাজার ২২৬ জন, এখন তা কমে ৩৩ হাজার ৬৪৮ জনে দাঁড়িয়েছে। তাদের সময়সীমা ৩১ জানুয়ারি, এর পরে আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেব।
অবৈধ অভিবাসীদের যারা কর্মসংস্থানের সহায়তা দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়াহবে বলে জানান তিনি।
জাহাঙ্গীর আলম হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বিদেশি নাগরিকদের নিয়োগ দিতে হলে নিয়োগকর্তাদের যথাযথ অনুমতি নিতে হবে। অনুমতি না নিয়ে তারা যদি অবৈধ অভিবাসীদের নিয়োগ অব্যাহত রাখেন, তাহলে আমরা সে সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেব।
কাফি