শিল্প-বাণিজ্য
মিয়ানমার থেকে এলো ২২ হাজার মেট্রিক টন চাল
গভর্নমেন্ট-টু-গভর্নমেন্টের (জিটুজি) ভিত্তিতে মিয়ানমার থেকে আমদানি করা ২২ হাজার মেট্রিক টন আতপচাল নিয়ে একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিষয়টি জানিয়েছেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার ও জনসংযোগ কর্মকর্তা ইমদাদ ইসলাম।
তিনি বলেন, জি টু জি ভিত্তিতে মিয়ানমার থেকে ২২ হাজার মেট্রিক টন আতপচাল আমদানি করা হয়েছে। সেই চাল নিয়ে এমভি গোল্ডেন স্টার নামের একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। এটি বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে মিয়ানমার থেকে আমদানি করা চালের প্রথম চালান।
তিনি আরও বলেন, জাহাজে থাকা চালের নমুনা সংগ্রহ করে ভৌত পরীক্ষা শেষে দ্রুত খালাসের কাজ শুরু হবে। এ জন্য ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
ই-বুকে মূসক অব্যাহতি দিলো এনবিআর
তথ্য ও প্রযুক্তিনির্ভর সেবার ই-বুকের স্থানীয় সরবরাহ ও আমদানি পর্যায়ে সমুদয় মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট অব্যাহতি দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) এনবিআরের দ্বিতীয় সচিব ব্যারিস্টার মো. বদরুজ্জামান মুন্সী স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, যেহেতু বাংলাদেশে সব পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য বইয়ের সহজলভ্যতা, আধুনিক ও তথ্য প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলা এবং শিক্ষাব্যবস্থার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে ই-বুক সেবা সার্বজনীন ও সহজলভ্য করা একান্ত প্রয়োজন; সেহেতু আধুনিক ও তথ্য প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা এবং ই-বুক সেবা সার্বজনীন ও সহজলভ্য করার লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন ২০১২ (২০১২ সনের ৪৭ নং আইন) এর ধারা ১২৬ এর উপ-ধারায় (৩) প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, শুধু ই-বুক সেবার (সংবাদপত্র, পত্রিকা, সাময়িকী ও জার্নাল ব্যতীত) ক্ষেত্রে আমদানি ও সরবরাহ পর্যায়ে আরোপনীয় মূল্য সংযোজন কর থেকে অব্যাহতি প্রদান করেছে।
এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করার কথাও বলা হয় প্রজ্ঞাপনে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
হোটেল-রেস্তোরাঁ খাতে ভ্যাট পাঁচ শতাংশই থাকছে
হোটেল, রেস্তোরাঁ খাতে ভ্যাট আগের অবস্থায় পাঁচ শতাংশ করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) আদেশ জারি করবে এনবিআর।
এছাড়া ওষুধ ও আইএসপি ভ্যাটের হার কমতে পারে। এনবিআরের ঊর্ধ্বতন সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ৯ জানুয়ারি শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়। এর মধ্যে রেস্তোরাঁয় খাবারের বিলের ওপর ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ ও আইএসপির ওপর ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়। ওষুধের ক্ষেত্রে স্থানীয় ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট ২ দশমিক ৪ থেকে বাড়িয়ে ৩ শতাংশ করা হয়।
এর আগে বুধবার (১৫ জানুয়ারি) এনবিআরের প্রথম সচিব (মূসক নীতি) মশিউর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির পাঠানো পত্র এনবিআর গুরুত্বসহকারে পর্যালোচনা করে এ খাতে ভ্যাট হার পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এমতাবস্থায় ভ্যাটের আওতাসহ রাজস্ব বৃদ্ধি ও শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার ক্ষেত্রে সমিতির বিশেষ সহযোগিতা কামনা করেছে এনবিআর।
একই সঙ্গে আরও কয়েকটি পণ্য ও সেবার ওপর আরোপিত ভ্যাটও পুনর্বিবেচনা করা হতে পারে বলে এনবিআর সূত্রে জানা গেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
আমদানি-রপ্তানি পণ্য খালাসে এনবিআরের নতুন শর্ত
আমদানি-রপ্তানি পণ্য খালাসের ক্ষেত্রে নতুন শর্ত দেওয়া হয়েছে। পণ্য চালান শুল্কায়নের ক্ষেত্রে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭টি সরকারি প্রতিষ্ঠানের সার্টিফিকেট, লাইসেন্স ও পারমিট ইত্যাদি বাংলাদেশ সিঙ্গেল উইন্ডোর (ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো) সিস্টেমের মাধ্যমে দাখিল করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
১ ফেব্রুয়ারি থেকে কোনো ধরনের সনাতনী সার্টিফিকেট (ওইসব সংস্থার অনলাইনে আপলোড করা নয়) গ্রহণ করবে না শুল্ক কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
ওই ৭টি সরকারি প্রতিষ্ঠান হলো বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল (বেজা), বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি), বিস্ফোরক অধিদপ্তর, পরিবেশ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ ন্যাশনাল অথরিটি ফর কেমিক্যাল উইপনস কনভেনশন।
এতে বলা হয়, আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে যেসব কাগজপত্র লাগে তা ওইসব সংশ্লিষ্ট দপ্তর আমদানিকারক-রপ্তানিকারকদের সার্টিফিকেট, সনদ ইত্যাদি কাগজপত্র অনলাইন সিস্টেমে সংরক্ষণ করবে, যেন শুল্ক কর্মকর্তারা যাচাই-বাছাই করতে পারেন।
জানা গেছে, আগামী ১ মার্চ থেকে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমের সংশ্লিষ্ট ১৯টি সংস্থার সব কটিই এই প্রক্রিয়ার মধ্যে আসবে।
চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশ সিঙ্গেল উইন্ডো সিস্টেমের উদ্বোধনের সময় অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আগামী মার্চ থেকে সরকারি ১৯টি দপ্তরের লাইসেন্স-সংক্রান্ত সেবা কাগজপত্র দিয়ে করা যাবে না। সব অনলাইনে করতে হবে। অন্যথায় আমাদের হাতেও অস্ত্র আছে। অনলাইনে আবেদন না হলে আমাদের অর্থসচিব সংশ্লিষ্ট দপ্তরের বরাদ্দ আটকে দেবেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
ভারত থেকে এলো দুই হাজার ৪৫০ টন চাল
ভারত থেকে চাল আমদানির প্রথম চালানে ২ হাজার ৪৫০ টন চাল চুয়াডাঙ্গার দর্শনা রেলবন্দরে এসে পৌঁছেছে।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে ভারতের গেঁদে রেলবন্দর থেকে ৪২টি ওয়াগনে রেলপথে দর্শনা বন্দর ইয়ার্ডে এসে পৌঁছায়।
দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলস্টেশনের ম্যানেজার মির্জা কামরুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার ১ লাখ ৫৯ হাজার টন চাল ভারত থেকে আমদানি করবে। এর প্রথম চালানে ২৪৫০ টন চাল গতকাল মঙ্গলবার রাতে দর্শনা রেলবন্দর এসেছে।
এর আগে, দর্শনা রেলবন্দর ইয়ার্ডে পৌঁছালে ভারতে রেলের পরিচালক স্বাগতম বালাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান দর্শনা বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আতিয়ার রহমান হাবু।
তিনি বলেন, কাস্টমস পরীক্ষণ ও শুল্কায়নের পর এ চাল ঈশ্বরদী ও সিরাজগঞ্জে বুকিং করা হবে। সেখান থেকে ট্রাকযোগে আমদানিকারকরা চাল পরিবহন করবেন। ঢাকা পুরানা পল্টনের মেসার্স মজুমদার এগ্রোটেক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড এই চাল আমদানি করেছে। প্রতি টন চালের ইনভয়েস মূল্য ৪৯০ ডলার। কলকাতার ৭/১ লর্ড সিনহা রোডের সৌভিক এক্সপোর্ট লিমিটেড এই চাল রপ্তানি করেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
চার খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী পাকিস্তান
পাকিস্তান বাংলাদেশে কৃষিজাত দ্রব্য উৎপাদন ও বিপনন, শিক্ষা, পর্যটন ও সিরামিক খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
রবিবার (১২ জানুয়ারি) বিকেলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ফেডারেশন অব পাকিস্তান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফপিসিসিআই) সভাপতি আতিফ ইকরাম শেখের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমদ মারুফ এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, ভিসা সহজীকরণ, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা এবং ভবিষ্যৎ বিনিয়োগ সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, পাকিস্তানের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক টেকসই করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দু’দেদেশের জনসংখ্যার ভলিউম বিবেচনায় বাণিজ্যের পরিমাণ খুব কম। উভয় দেশেরই সুযোগ রয়েছে বাণিজ্য বাড়িয়ে নেওয়ার।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের সাথে পাকিস্তানের ব্যবসায়ীদের আরো বেশি ডায়ালগ হওয়া দরকার। নিজেদের মধ্য সম্ভাব্য সহযোগিতা উন্মোচন দু’দেশকেই লাভবান হতে সাহায্য করবে।
পাকিস্তানের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব পাকিস্তান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফপিসিসিআই) সভাপতি বলেন, পাকিস্তানের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে চায়। ভিসা জটিলতা ও সরাসরি ফ্লাইট না থাকায় সে দেশের ব্যবসায়ীরা কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে সক্ষম হচ্ছেন না। এ সময় তিনি এক্ষেত্রে বিরাজমান জটিলতা নিরসনে উদ্যোগ নেওয়ার আহবান জানান।
প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে কৃষিজাত দ্রব্য উৎপাদন ও বিপনন, শিক্ষা, পর্যটন ও সিরামিক খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেন। পাকিস্তান সরকার এক্সপোর্ট ফ্যাসিলিটেশন স্কিম চালু করেছে। এ স্কিমের আওতায় বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা পাকিস্তানে বিনিয়োগ করতে পারে বলেও উল্লেখ করেন তারা। এসময় তারা বাংলাদেশে ট্রেড এক্সপো আয়োজনের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) আমন্ত্রণে ঢাকা সফরে এসেছেন পাকিস্তানের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল।