কর্পোরেট সংবাদ
খাদ্যপণ্যে বর্ধিত ভ্যাট প্রত্যাহারে ব্যবসায়ীদের আলটিমেটাম
প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যে বর্ধিত ভ্যাট ও শুল্ক এবং গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবকে ভোক্তার স্বার্থবিরোধী উল্লেখ করে অবলিম্বে তা প্রত্যাহারের আহবান জানিয়েছেন দেশের কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাতের ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীদের মতে, প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের উপর ভ্যাট ও করের বোঝা চাপানো হলে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্থ হবে দেশের শ্রমজীবী, প্রান্তিক কৃষক ও নিম্ন আয়ের মানুষ। যে হারে ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে তাতে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন খাদ্য বিস্কুট, কেক, জুসসহ বিভিন্ন খাদপণ্য ভোক্তার ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে। আর ভোক্তারা ক্রয় ক্ষমতা হারালে প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের অধিকাংশ কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে। ভ্যাট বৃদ্ধির ফলে এরই মধ্যে এ খাতে সরাসরি কাজ করা প্রায় আড়াই লাখ শ্রমিকের কাজ হারানোর শঙ্কা তৈরি হয়েছে। নতুন করে গ্যাসের দাম বাড়ানো হলে পুরো খাত মুখ থুবড়ে পড়বে। পরিচালন ব্যয় বেড়ে গেলে রপ্তানিতে বাজার হারানোর শঙ্কা তৈরি রয়েছে। ফলে অর্থনীতিতে বড় ধাক্কা আসবে। সরকারের রাজস্ব বাড়ানোর যে উদ্দেশ্যে সেটি হিতে বিপরীত হতে পারে বলে মনে করছেন এ খাতের ব্যবসায়ীরা।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশে এগ্রো প্রসেসরস’ এসোসিয়েশনের (বাপা) সদস্যরা এসব উদ্বেগের কথা জানান।
পাশাপাশি সরকারকে আগামী সাত দিনের মধ্যে এ ধরনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন তারা। যদি এ সময়ের মধ্যে আরোপিত ভ্যাট ও শুল্কের সাথে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব থেকে সরকার সরে না আসে তবে স্বেচ্ছায় কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ এবং সচিবালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংগঠনটির।
এছাড়া এ ইস্যুতে সরাসরি অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ চেয়ে সংগঠনের পক্ষ থেকে চিঠি দেয়া হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। বাপা’র নেতৃবৃন্দ মনে করছেন, প্রধান উপদেষ্টাকে সরাসরি এর প্রভাবগুলো তুলে ধরতে পারলে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আসবে বলে তারা মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন।
গত ৯ জানুয়ারি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট বিভাগ শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট এবং সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়ে দেয়। সেখানে মেশিনে প্রস্তুতকৃত বিস্কুট, কেক, আচার, চাটনী, টমেটো পেস্ট, টমেটো কেচাপ, টমেটো সস, আম, আনারস, পেয়ারা ও কলার পাল্প ইত্যাদি পণ্যসমূহের উপর মূসক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। এছাড়া ফলের রস ও ফ্রুট ড্রিংকস এর উপর সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে এবং আর্টিফিসিয়াল/ ফ্লেভার ড্রিংকস ও ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস (নন-কার্বোনেটেড) পণ্যের উপর সম্পূরক শুল্ক ০% (শূণ্য হারে) ছিল এবং বর্তমানে তা ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। পাশাপাশি ব্যবসায়ী পর্যায়ে পূর্বে ৫ শতাংশ হারে মূসক আরোপ ছিল যা বাড়িয়ে ৭.৫ শতাংশ করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বাপার সভাপতি এম এ হাশেম বলেন, “আমরা এমন একটি খাত নিয়ে ব্যবসা করি যার সাথে সরাসরি শ্রমজীবী নিম্ন আয়ের মানুষ থেকে প্রান্তিক কৃষক জড়িত। সরকার থেকে বলা হচ্ছে, এতে খুব একটা প্রভাব পড়বে না। কিন্তু বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। দেশের মানুষের সংস্কৃতি যদি দেখি, চায়ের দোকান থেকে অনেক নিম্ন আয়ের মানুষ সকালে এক কাপ চা, একটি বিস্কুট কিংবা কেক খেয়ে কাটিয়ে দিচ্ছেন। এখন যদি বিস্কুট ও কেকের উপর ভ্যাট বাড়ানোর সাথে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পায় তবে ৫ টাকার একটি বিস্কুট আর তৈরি করা সম্ভব হবে না। ফলে নিম্ন আয়ের মানুষটি সহজে ক্ষুধা নিবারণের পথটি হারাবেন”।
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী আহসান খান চৌধুরী বলেন, আমরা প্রান্তিক কৃষকের আম, টমেটো, আনারস, কলাসহ বিভিন্ন কৃষি পণ্য প্রক্রিয়াজাত করে জুস, ড্রিংকস, আচার, সস তৈরি করি। টমেটো, আম, আনারস, পেয়ারা ও কলার পাল্প ইত্যাদি পণ্যসমূহের উপর মূসক ৫% থেকে বাড়িয়ে ১৫% করা হয়েছে। এতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হবেন প্রান্তিক চাষীরা। এখন যদি ভ্যাট ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধির কারণে এসব পণ্যের দাম বেড়ে যায় তবে অনেকেই এসব পণ্য ক্রয় থেকে বিরত থাকবেন। এছাড়া এর প্রভাবে কারখানা বন্ধ হয়ে গেলে প্রচুর শ্রমিকের জীবনে অনিশ্চিয়তা নেমে আসবে। তাই সরকারকে প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যে বর্ধিত ভ্যাট ও শুল্ক প্রত্যাহার এবং গ্যাসের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহবান জানাচ্ছি।
এ খাতের ব্যবসায়ীরা জানান, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, ঋণের উচ্চ সুদ হার, ঋণপত্রে জটিলতা, ডলার বাজারে অস্থিরতা, ২০২৪ এর সাধারণ নির্বাচন, জুলাই-আগষ্টের গণ-অভ্যুত্থান এবং সাম্প্রতিক শ্রমিক অসন্তোষের কারণে বেতন-ভাতা বৃদ্ধি নিয়ে যখন ব্যবসায়ীদের কঠিন অবস্থা সামাল দিতে হচ্ছে, ঠিক সেই মুহুর্তে ভ্যাট বৃদ্ধির উদ্যোগে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি ব্যবসায়ীরাও আতঙ্কিত।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশের শ্রমশক্তির উল্লেখযোগ্য অংশ এ খাতে নিযুক্ত। কৃষিখাদ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্পের অবদান জিডিপিতে এখন ৭.৭ শতাংশ। বর্তমানে বাপা’র প্রায় ৪০০ সক্রিয় সদস্য রয়েছেন। এর বাইরেও প্রায় পাঁচ শতাধিক প্রতিষ্ঠান কৃষি প্রক্রিয়াকরণ খাদপণ্য উৎপাদন করছেন যেখানে ৫ লাখের অধিক শ্রমিক কর্মরত রয়েছেন। পাশাপাশি কাঁচামাল সরবরাহকারী, খুচর বিক্রেতাসহ পরোক্ষভাবে প্রচুর লোক এ খাতে যুক্ত রয়েছেন। বর্তমান কঠিন প্রেক্ষাপটে হঠাৎ এ ধরনের উদ্যোগে সবাই ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হবেন।
বক্তারা বলেন, কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য দেশের শীর্ষ পাঁচ রপ্তানি খাতের একটি। আমেরিকা, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা অঞ্চলের সুপারশপেও এখন ‘বাংলাদেশে তৈরি’ প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের সরবরাহ প্রচুর বেড়েছে। এসব বাজারে জুস, ড্রিংকস, বিস্কুট, সস, জেলিসহ বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের বিশাল বাজার তৈরি হচ্ছে। এ খাতে রপ্তানি এক বিলিয়ন বা ১০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে হঠাৎ যদি বর্ধিত ভ্যাট আরোপ ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি করা হয় তবে রপ্তানি খাত মুখ থুবড়ে পড়বে। উৎপাদন ব্যয় বাড়লে প্রতিবেশি দেশ ভারত, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের কাছে বাজার হারাতে হবে। এছাড়া দেশীয় পণ্যের দামের সাথে আমদানিকৃত খাদ্যপণ্যের দামের ব্যবধান কমে আসলে স্থানীয় শিল্প ক্ষতির সম্মুখীন হবে। তাই দ্রুত বর্ধিত ভ্যাট প্রত্যাহার ও প্রস্তাবিত গ্যাসের দাম না বাড়ানোর জন্য সরকারকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহবান জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে এগ্রো প্রসেসরস’ এসোসিয়েশনের (বাপা)’র সাধারণ সম্পাদক ইকতাদুল হক, এসিআই এগ্রো বিজনেসের প্রেসিডেন্ট ড. এফ এইচ আনসারি, এসএমসি এন্টারপ্রাইজ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফ নাসির, বাংলাদেশ বিস্কুট এন্ড ব্রেড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শফিকুর রহমান ভুইয়া, আকিজ ফুডস এন্ড বেভারেজ এর পরিচালক সৈয়দ জহুরুল আলম, স্কয়ার ফুড এন্ড বেভারেজ এর চিফ অপারেটিং অফিসার পারভেজ সাইফুল ইসলাম, কিশোয়ান ও বনফুল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল ইসলামসহ কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাতের বিভিন্ন কোম্পানির পরিচালক ও শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহক সেবা ক্যাম্পেইন উদ্বোধন
“গ্রাহক সেবায় নতুন মাত্রা, সমৃদ্ধ হবে অগ্রযাত্রা” এই প্রত্যয়ে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের মাসব্যাপী বিশেষ গ্রাহক সেবা ক্যাম্পেইন উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) প্রধান কার্যালয়ে এ ক্যাম্পেইন উদ্বোধন করা হয়।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মান্নান প্রধান অতিথি হিসেবে এ ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুল কুদ্দুছ, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. রাগিব আহসান।
ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) আবু রেজা মো. ইয়াহিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাসুদুর রহমান শাহ এবং মো. সিরাজুল ইসলামসহ প্রধান কার্যালয়ের বিভাগীয় প্রধান, উর্ধ্বতন নির্বাহীগণ। ডিজিটাল প্লাটফর্মে অংশগ্রহণ করেন ব্যাংকের জোন প্রধান, শাখা ব্যবস্থাপক, উপশাখা ইন-চার্জ এবং অন্যান্য কর্মকর্তাগণ।
মোহাম্মদ আবদুল মান্নান প্রধান অতিথির ভাষণে বলেন, ফার্স্ট ইসলামী ব্যাংক শরীয়াহর উদ্দেশ্যের আলোকে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে জাতি-ধর্ম-বর্ণ-পেশা-অঞ্চল নির্বিশেষে সকল মানুষের নিকট কল্যাণধর্মী ব্যাংকিং সেবা পৌঁছানোর লক্ষ্যে কাজ করছে। এই বিশেষ গ্রাহক সেবা ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে শরীয়াহসম্মত বিভিন্ন ডিপোজিট ও বিনিয়োগ প্রোডাক্ট ছাড়াও আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ব্যাংকিং সেবা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে ব্যাংক কর্মকর্তাদের প্রতি নির্দেশনা দেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহক সমাবেশ
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ শাখার উদ্যোগে গ্রাহক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. নাজমুস সায়াদাত।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এ এম হাবীবুর রহমান।
ফরেন এক্সচেঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক মো. মুহিবুল কাদিরের সভাপতিত্বে প্রিন্সিপাল শাখার ব্যবস্থাপক আব্দুল মোতালেব সহ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বিভাগীয় প্রধানগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। প্রায় দুইশতাধিক গ্রাহক সভায় যোগ দেন। তাঁরা ব্যাংকের সাথে থেকে ব্যাংকটিকে এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. নাজমুস সায়াদাত বলেন, গত ত্রিশ বছর ধরে সম্মানিত গ্রাহকগণ আমাদের সাথে আছেন। আমরা তাঁদের সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমরা বিশ্বাস করি, সম্মানিত গ্রাহকগণ এভাবে আমাদের সাথে থাকলে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক এগিয়ে যাবে সামনের দিকে। তিনি সবাইকে এসআইবিএলেল উপর আস্থা রেখে পূর্বের ন্যায় ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
ব্যাংকাসুরেন্স প্রশিক্ষণে ব্র্যাক ব্যাংকের ৮২ কর্মকর্তাকে সার্টিফিকেট প্রদান
ব্যাংকাসুরেন্স প্রশিক্ষণে ব্র্যাক ব্যাংকের ৮২ জন কর্মকর্তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে সার্টিফিকেট প্রদান করেছে বাংলাদেশ ইনসিওরেন্স একাডেমি (বিআইএ)। অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত ব্যাংকাসুরেন্স প্রশিক্ষণের ৭ম ব্যাচের কর্মকর্তারা ব্যাংকাসুরেন্স বিষয়ে নিবিড় প্রশিক্ষণ লাভ করেন।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) ঢাকায় একাডেমি ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কর্মকর্তাদের হাতে সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হয়।
ব্রাঞ্চ নেটওয়ার্কের সুবিধা কাজে লাগিয়ে গ্রাহকদের উন্নত ইনস্যুরেন্স সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে কর্মকর্তাদের দক্ষতা উন্নয়নে এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। এই সার্টিফিকেশনের মধ্য দিয়ে ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যাংকাসুরেন্স-সার্টিফাইড কর্মকর্তার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬০০-তে। এর ফলে ব্যাংকটি গ্রাহকদের বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তৃত বিমা সেবা দিতে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলো।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেটলাইফ বাংলাদেশের সিইও মুহাম্মদ আলা উদ্দিন আহমদ, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ম্যানেজিং ডিরেক্টরের জালালুল আজিম এবং ব্র্যাক ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব এসএমই ব্যাংকিং সৈয়দ আব্দুল মোমেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. সাঈদ কুতুব। প্রশিক্ষণ কোর্সের সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বিআইএর চিফ ফ্যাকাল্টি মেম্বার এস.এম. ইব্রাহিম হোসেন এসিআইআই।
একটি জনবান্ধব ব্যাংক হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংক গ্রাহকদের আরও উন্নত ও কার্যকর সেবা দিতে প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন কার্যে উল্লেখযোগ্যভাবে বিনিয়োগ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
মজাদার সব পিঠা নিয়ে পাঠাও ফুডের ‘শীতের স্বাদ’
বাংলাদেশে শীতের আগমনী বার্তা নিয়ে আসে নানান ধরণের মজাদার সব পিঠা। শীতে গরম গরম পিঠা উপভোগ করার এই ঐতিহ্য চলে আসছে বহুকাল আগে থেকেই। পিঠার এবারের সিজনে, মজাদার সব পিঠার সাথে স্ট্রিট ভেন্ডরদের পাঠাও ফুড তাদের প্ল্যাটফর্মে যুক্ত করেছে।
নিজেদের খাবার পাঠাও ফুডে যোগ করে, এই বিক্রেতারা আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাতে ও বিক্রয় বাড়াতে পারবেন। এতে অনেকেই তাদের মজাদার পিঠা উপভোগ করতে পারবেন। মজার চিতই পিঠা থেকে শুরু করে গরম ভাপা পিঠা আর সুস্বাদু পাটিসাপটা, পাঠাও ফুডে সবার জন্যই আছে তাদের পছন্দসই পিঠা। শীতের এই মজার পিঠাগুলো এখন ঘরে বসেই সহজে অর্ডার করে উপভোগ করতে পারবেন।
স্ট্রিট ভেন্ডরদের সহায়তা করতে পাঠাও ফুডের এই উদ্যোগ। এই উদ্যোগ মোহাম্মদপুর, বনশ্রী, রামপুরা, মিরপুর, উত্তরা, খিলগাঁও, গুলশান, ধানমন্ডি, নিকুঞ্জ, বসুন্ধরা এবং মোহাম্মদপুরের মতো এলাকায় আরও বেশি মানুষের কাছে তাদের পৌঁছাতে সাহায্য করছে।
এই শীতে পাঠাও ফুডের সাথে শীতের আসল স্বাদ উপভোগ করুন। স্থানীয় পিঠা বিক্রেতাদের সহযোগিতা করুন আর শীতের মজাদার সব পিঠা উপভোগ করুন।
বিস্তারিত জানতে ও অর্ডার করতে, পাঠাও ফুড অ্যাপ ও ফেসবুক পেইজ ভিজিট করুন, আর শীতের স্বাদ উপভোগ করুন।
২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত পাঠাও, এমন একটি ডিজিটাল প্লাটফর্ম তৈরি করছে যা অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার পাশাপাশি সবার দৈনন্দিন জীবনের একটি অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাইড শেয়ারিং, ফুড ডেলিভারি এবং ই-কমার্স লজিস্টিকসে পাঠাও শীর্ষস্থানে রয়েছে। ১০ মিলিয়নেরও বেশি ব্যবহারকারী, ৩ লাখ ড্রাইভার ও ডেলিভারি এজেন্ট, ১ লাখ মার্চেন্ট এবং ১০ হাজার রেস্টুরেন্ট নিয়ে পরিচালনা করছে পাঠাও। প্ল্যাটফর্মটি বাংলাদেশে ৫ লাখেরও বেশি কাজের সুযোগ তৈরি করেছে, যা দেশের ডিজিটাল অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের জন্য বন্ডের অর্থ উত্তোলন ইউসিবির
ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড সফলভাবে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির ৫০০ কোটি টাকার ৩য় মুদারাবা সাবঅর্ডিনেটেড বন্ড সম্পন্ন করেছে। এই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুর সফল সমাপ্তি উপলক্ষে বুধবার (১৫ জানুয়ারি) শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির প্রধান কার্যালয়ে একটি সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
বাংলাদেশের সেরা বিনিয়োগ ব্যাংকগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। এই বন্ড ইস্যুর একমাত্র প্লেসমেন্ট এজেন্ট হিসেবে গর্বিত ভূমিকা পালন করেছে। এই বন্ড থেকে প্রাপ্ত অর্থ শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির টিয়ার-টু মূলধন শক্তিশালীকরণে সহায়ক হবে, যা ব্যাংকটিকে তার ব্যবসা সম্প্রসারণে আরও অগ্রগতি অর্জনে সক্ষম করবে।
শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ, ইসি চেয়ারম্যান আক্কাচ উদ্দিন মোল্লা, স্বতন্ত্র পরিচালক ও এসি চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোসলেহ্ উদ্দীন আহমেদ, ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও তানজিম আলমগীর, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান ব্যবসা কর্মকর্তা আবদুল আজিজ এবং প্রধান অর্থ কর্মকর্তা মো. জাফর ছাদেক সহ উভয় প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
কাফি