জাতীয়
১৭ বছর পর আজ কারামুক্ত হচ্ছেন বাবর
সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে কারামুক্তি দেওয়া হতে পারে। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কারামুক্ত হতে পারেন বলে জানা গেছে।
কারা সূত্রে জানা গেছে, আদালত থেকে লুৎফুজ্জামান বাবরের খালাসের নথি এসেছে। আনুষ্ঠানিকভাবে দুপুরের দিকে তাকে কারামুক্তি দেওয়া হবে।
প্রায় ১৭ বছর ধরে কারাগারে রয়েছেন তিনি। এরমধ্যে কয়েকবার অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাও নিয়েছেন।
এদিকে ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) ও আসামিদের করা আপিলের ওপর শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় বাবরকে খালাস দিয়ে রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে বাবরের পক্ষে আইনজীবী শিশির মনির খালাস চেয়ে এ আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসিফ ইমরান জিসান। অন্য পাঁচজন আসামির পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান।
গত ১৮ ডিসেম্বর বহুল আলোচিত চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানের ঘটনায় করা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, মহসিন তালুকদার, এনামুল হক, রাজ্জাকুল হায়দারসহ ছয় আসামিকে খালাস দেন হাইকোর্ট।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য ছয় আসামির সাজা কমিয়ে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত। এছাড়া ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়াকে মৃত্যুদণ্ড থেকে যাবজ্জীবন দণ্ড দেওয়া হয়।
লুৎফুজ্জামান বাবর ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতীক নিয়ে নেত্রকোণা-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ সালের ষষ্ঠ ও ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসেবে নেত্রকোণা-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। অষ্টম সংসদে তিনি স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১২ জুন ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসেবে ও ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতীক নিয়ে নেত্রকোণা-৪ আসন থেকে নির্বাচনে লড়ে তিনি পরাজিত হন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বায়ুদূষণে বছরে দেশে ১ লাখেরও বেশি মৃত্যু
দেশে বায়ুদূষণের কারণে বছরে প্রায় ১ লাখ ২ হাজার ৪৫৬ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ৫ হাজার ২৫৮ শিশু রয়েছে। এমন তথ্য উঠে এসেছে সেন্টার ফর রিসার্চ অন অ্যানার্জি অ্যান্ড ক্লিন এয়ারের (সিআরইএ) এক গবেষণায়।
আজ শনিবার (১৮ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বাংলাদেশে সূক্ষ্মকণা বায়ু দূষণে জনস্বাস্থ্য প্রভাব’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
গবেষণায় আরও উঠে এসেছে, এই বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর ৯ লাখ মায়ের অকাল প্রসব হচ্ছে এবং প্রায় ৭ লাখ কম ওজনের শিশু জন্মগ্রহণ করছে। আর এ সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে প্রতিবছর ৬ লাখ ৭০ হাজার রোগী জরুরি বিভাগে ভর্তি হচ্ছেন। যার ফলে সম্মিলিতভাবে বছরে ২৬৩ মিলিয়ন কর্মদিবস হারাচ্ছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে বিশ্বের শীর্ষ দূষিত দেশের তালিকায় স্থান হয়েছে বাংলাদেশের। যেখানে প্রতি ঘনমিটার বাতাসে অতি ক্ষুদ্র বালু কণার বার্ষিক মান ৭৯ দশমিক ৯ মাইক্রোগ্রাম, যা বার্ষিক জাতীয় মানদণ্ড ৩৫ মাইক্রোগ্রামের দ্বিগুণের বেশি। উচ্চতর স্বাস্থ্যসেবা ব্যয় এবং উৎপাদনশীলতা হ্রাস হচ্ছে। ২০১৯ সালে সার্বিকভাবে এই ব্যয়গুলো ১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছিল, যা বাংলাদেশের জিডিপির প্রায় ৫ শতাংশ।এ ছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানদণ্ড ৫ মাইক্রোগ্রামের তুলনায় ১৫ গুণ বেশি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাতাসের এমন চরম দূষণ জনস্বাস্থ্যের ওপর অনিবার্য পরিণতি ডেকে আনছে। বিভিন্ন বয়সিরা নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি ৫ বছর কম বয়সি শিশুদের ওপর সবচেয়ে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে।বায়ুদূষণের প্রভাবে উদ্বেগজনক স্বাস্থ্য সংকটের মধ্যেই ২০২২ সালে সরকার প্রতি ঘনমিটার বাতাসে ধূলি কণার জাতীয় মান ১৫ মাইক্রোগ্রাম থেকে বাড়িয়ে ৩৫ মাইক্রোগ্রাম নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, যা গুরুতর উদ্বেগ সৃষ্টির পাশাপাশি বায়ুর মান অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করেছে।
সংস্থাটির বিশ্লেষণে দেখা যায়, বাংলাদেশের জাতীয় বায়ুমানের মানদণ্ড (৩৫ মাইক্রোগ্রাম প্রতি ঘনমিটার) পূরণ করা সম্ভব হলেও তা বড় প্রভাব ফেলতে পারে। এতে মৃত্যুহার ১৯ শতাংশ, আয়ুষ্কাল জনিত সমস্যা ২১ শতাংশ এবং অক্ষমতার সঙ্গে বসবাস করা বছর ১২ শতাংশ কমতে পারে।এ ছাড়া ডব্লিউএইচও-এর ২০২১ সালের কঠোর নির্দেশিকা বায়ুর মান প্রতি ঘনমিটারে ৫ মাইক্রোগ্রাম অর্জন করা সম্ভব হলে মৃত্যুহার ৭৯ শতাংশ হ্রাস পাবে, যা প্রতি বছর ৮১ হাজার ২৮২ মানুষের জীবন রক্ষা করবে। সেইসঙ্গে হাঁপানি-শ্বাসকষ্ট প্রায় সমস্ত জরুরি চিকিৎসক ভিজিট, অকাল প্রসব এবং বার্ষিক ২৬৩ মিলিয়ন কর্মদিবস অসুস্থতাজনিত ছুটি এড়ানো যাবে।
সংস্থাটি বেশকিছু সুপারিশও করেছে। তা হলো- বাংলাদেশকে নিজস্ব জাতীয় নির্দেশিকা মেনে চলার পাশাপাশি তা প্রয়োগ করতে হবে। মাঝারি মেয়াদে ২০০৫ সালে ডব্লিউএইচও’র নির্দেশিকা প্রতি ঘনমিটার বাতাসে ১০ মাইক্রোগ্রামের দিকে অগ্রসর হওয়া উচিত। এ ছাড়া দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য হিসাবে ২০২১ সালের ডব্লিউএইচও নির্দেশিকা প্রতি ঘনমিটারে ৫ মাইক্রোগ্রাম অর্জন করা উচিত।কয়লা ও ডিজেলের মতো কার্বণ নিঃসরণকারী জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমিয়ে দীর্ঘমেয়াদে নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎসাহিত করা উচিত। এ ছাড়া ক্লিন পরিবহণ ব্যবস্থা ও শিল্প সম্প্রসারণ দীর্ঘমেয়াদে নিয়ন্ত্রণে রাখতে অপরিহার্য ভূমিকা রাখতে সক্ষম। কঠোর শিল্প নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণের জন্য যানবাহন এবং কলকারখানার নির্গমন মান বাড়াতে হবে। ভূমিভিত্তিক এবং স্যাটেলাইট ডেটা একত্রিত করে জাতীয় পর্যবেক্ষণ কাঠামো তৈরি করতে হবে, স্বাস্থ্যঝুঁকি নির্ধারণে সহায়ক হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন কঠোরভাবে মেনে চলা সম্ভব হলে প্রতি বছর ৮১ হাজার ২৮২ মানুষের জীবন রক্ষা করা যাবে।
সিআরইএ’র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিশ্লেষক এবং প্রধান লেখক ড্যানিয়েল নেসান বলেন, বিভিন্ন বায়ু মানের মানদণ্ড, বাংলাদেশের বর্তমান মান এবং ২০০৫ ও ২০২১ সালের ডব্লিউএইচও’র নির্দেশিকা তুলনা করে দেখা গেছে যে, পিএম ২.৫ স্তরে সামান্য উন্নতিও জাতীয় পর্যায়ে উল্লেখযোগ্য স্বাস্থ্য সুবিধা এনে দিতে পারে। কঠোর নিয়ন্ত্রণ বাস্তবায়ন এবং পরিচ্ছন্ন জ্বালানি গ্রহণের মাধ্যমে বায়ুদূষণের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব।
ক্যাপস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার বলেন, বর্তমানে ঢাকা শহরের বায়ুদূষণের মাত্রা বেড়ে গিয়ে এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, তা শুধু মানুষের শরীরেই প্রভাব ফেলছে না, বরং বিপর্যস্ত করে তুলছে মানসিক স্বাস্থ্যকেও।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
জন-আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন হচ্ছে: শফিকুল আলম
জুলাই বিপ্লব পরবর্তী বাংলাদেশে জন-আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষা ও গণমাধ্যম’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি। সেমিনারটি যৌথভাবে আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ইবি সাংবাদিক সমিতি।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যা করার রাষ্ট্র সংস্কারে আমরা তাই করছি। আপনাদের অনেকের মনে হচ্ছে, যা চাচ্ছি তা হচ্ছে কিনা? তার জবাবে বলবো, আমরা অভূতপূর্ব কাজ করছি। জন-আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন হচ্ছে।
তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়তে কমিশনের মাধ্যমে আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে। জুলাই আন্দোলনের ফসল কমিশনের রিপোর্ট। আপনারা এগুলো পড়ুন ও ক্যাম্পাসে এসব নিয়ে বিতর্ক করুন। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনের ইতিহাস সংরক্ষণে কাজ করতে হবে। সর্বোপরি সকলের উচিত শহিদদের মূল্যায়ন করা।
শফিকুল আলম আরও বলেন, জাস্টিস অ্যান্ড একাউন্টিবিলিটি নিশ্চিতে গুম, খুন, গণহত্যার বিচারের কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়াও আইনি প্রক্রিয়ায় শেখ হাসিনাকে দেশে এনে বিচার করা হবে।
সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিউনিকেশন অ্যান্ড মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. রশিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাংগীর আলম ও যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কোষাধ্যক্ষ ও ইবিসাসের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. হোসাইন আল মামুন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক তাজমুল হক জায়িম।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, বিপ্লবের ফসল তুলতে বিপ্লবীরা স্বল্প দিনে পরিবর্তন চায়। কিন্তু রাষ্ট্র চাইলেই স্বল্প দিনে সবকিছু পরিবর্তন করতে পারে না। স্বৈরাচারের দীর্ঘ সময়ের সীমাহীন গুম, খুন, টাকা পাচার, অন্যায়, দুর্নীতি স্বল্প সময়ে পরিবর্তন করা সম্ভব না। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সকল সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সীমান্তে ভারত-বাংলাদেশের নাগরিকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ২
চাঁপাইনবাবগঞ্জের কিরণগঞ্জ সীমান্তে নোমানস ল্যান্ড এলাকায় গম কাটাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার এক পর্যায়ে ভারত এবং বাংলাদেশের সীমান্তবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে ঘটনার সূত্রপাত হলেও বিকেল ৩টা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলছিল। এ ঘটনায় ২ বাংলাদেশি আহত হয়েছেন।
কিরণগঞ্জ সীমান্ত থেকে এ উত্তেজনা কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণকে কেন্দ্র করে সেই চৌকা সীমান্তেও ছড়িয়ে পড়ে। এর বিস্তৃতি ঘটে সীমান্ত এলাকার ৩ কিলোমিটার পর্যন্ত।
এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত ভারতীয় উত্তেজিত জনগণ বাংলাদেশের জনগণকে লক্ষ্য করে হাত বোমা নিক্ষেপ করছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের সীমান্তবাসীরা লাঠিসোঁটা এবং হাসুয়া নিয়ে সীমান্তে অবস্থান করছেন।
আহতরা হলেন- বিনোদপুর ইউনিয়নের ঘন্টোলা বিশ্বনাথপুর গ্রামের জিয়ারুল ইসলামের ছেলে রনি, কারিগঞ্জ গ্রামের সেরাজুল ইসলামের ছেলে ফারুক।
দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলেও এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, চৌকা সীমান্ত এলাকায় অন্তত ৩০টি আমগাছ এবং শতাধিক বরই গাছ ভারতীয় জনগণ বাংলাদেশি ভূখণ্ডে প্রবেশ করে কেটে ফেলেছে।
কালিগঞ্জ ঘুমটোলা গ্রামের রবু জানান, ফারুক মোটরসাইকেল যোগে সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি দেখার জন্য অবস্থান করার সময় ভারতীয়দের ছোড়া পাথর মাথায় লেগে গুরুতর আহত হন।
মিঠুন জানান, রনি সীমান্তে বাঁশ নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকার সময় ভারতীয় ১০ জন বাংলাদেশ অনুপ্রবেশ করে রনির ওপর আক্রমণ করে, এতে রনি আহত হন।
৫৯ বিজিবি ব্যাটেলিয়ানের উপঅধিনায়ক ইমরুল কায়েস ঘটনাস্থলে অবস্থান করছেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন। তলব করা হয়েছে অতিরিক্ত ফোর্স।
অপরদিকে ভারতীয় সীমান্তে অতিরিক্ত বিএসএফের অবস্থান লক্ষ্য করা গেছে। তবে বিজিবি ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক ৫৯ বিজিবি লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়াকে অন্তত ১০বার ফোন দেওয়ার পরও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ওষুধের ভ্যাট কমাতে সুপারিশ করা হয়েছে: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
ওষুধের ওপর মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) কমানোর জন্য সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের শিক্ষকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, ওষুধের ওপর যৎসামান্য ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। তবে তা কমানোর জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। প্রত্যাশা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় তা বিবেচনা করবে।
নূরজাহান বেগম বলেন, দেশের প্রত্যেকটি সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জনবল সংকট রয়েছে। হাসপাতালগুলোয় ডাক্তার, নার্সের ও শয্যার তুলনায় রোগীর সংখ্যা বেশি। মেঝেতে, ওয়াশরুমের পাশে সর্বত্র রোগীদের অবস্থান। এটা অশোভনীয়। সরকার জনবল সংকট নিরসনে কাজ করছে।
স্বাস্থ্য খাতে অনেকগুলো সংস্কারের বিষয় আছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, সংস্কার কমিটির প্রতিবেদন পেলে সেসব সংস্কার করা হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদে সবগুলো সংস্কার হয়ত করা সম্ভব হবে না। তবে পরবর্তীতে যারা ক্ষমতায় আসবে তারা বাকি সংস্কার করবে বলেও আশা করছি।
এসময় উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম আরও বলেন, ছাত্র জনতার আন্দোলনে প্রায় সাড়ে ৪শ জন চোখ হারিয়েছে। আন্দোলনে যারা আহত, নিহত হয়েছেন কিংবা সেসময় যারা গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন তাদের ত্যাগকে সবসময় মনে রাখারও আহ্বান জানাই।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে কাজ করছে সরকার: সড়ক উপদেষ্টা
বিগত তিন নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। অন্তর্বর্তী সরকার অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে কাজ করছে। একটি বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, রেলপথ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
আজ শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম বোট ক্লাবে চিটাগং ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির (সিআইইউ) সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন।
ড. ফাওজুল কবির খান শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ক্রিয়েটিভ এবং কম্পিউটারে দক্ষ শিক্ষার্থীরা এগিয়ে যাবে। ডিগ্রি থাকলেও কিন্তু মার্কেটে তোমাকে প্রমাণ করতে হবে। অন্যের কাজ করো। মূল্যবোধ, দক্ষ হয়ে উঠতে হবে।
ড. মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতির পক্ষে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন এবং শিক্ষার্থীদের সফল ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নুরুন আখতার। সমাবর্তন বক্তা ছিলেন শিল্পগ্রুপ ইয়ংওয়ান কর্পোরেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী (সিইও) কিহাক সুংধ।
এ সময় বক্তারা গ্রাজুয়েটদের জন্য শুভ কামনা জানান এবং কর্মজীবনে নিজেদের প্রজ্ঞা মেধা দিয়ে সফলতা কামনা করেন।
সিআইইউ’র বিভিন্ন অনুষদের মোট ২ হাজার ১৮৯ জন শিক্ষার্থীকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়। তারমধ্যে ১ হাজার ৪৫২ জন বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রকৌশল, আইন এবং লিবারেল আর্টস অনুষদ থেকে পাস করা স্নাতক এবং ৭৩৭ জন স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থী। অনুষ্ঠানে ১৪ জন শিক্ষার্থীকে তাদের স্ব স্ব প্রোগ্রামে অসামান্য কৃতিত্বের ফলস্বরূপ ‘টপ অ্যাচিভার্স’ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
কাফি