জাতীয়
গণভবনে মিললো টিউলিপের প্রচারপত্র, অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা বন্ধের পরামর্শ
ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান। এরপর বিক্ষুব্ধ জনতা সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে হামলা ও লুটপাট চালায়। সেই বাসভবনে ধুলা আর ধ্বংসাবশেষের মধ্যেই পাওয়া গেল যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের লিফলেট বা প্রচারপত্র। টিউলিপ ব্রিটেনের লেবার মন্ত্রিসভার সদস্য।
তিনি দেশটির ইকোনমিক সেক্রেটারি টু দ্য ট্রেজারি অ্যান্ড সিটি মিনিস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার কাজ যুক্তরাজ্যের অর্থবাজারের ভেতরের দুর্নীতি সামলানো। তিনি বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার মেয়ে। টিউলিপের বিরুদ্ধে হাসিনা সরকারের দুর্নীতি থেকে সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
গত শনিবার দ্য টাইমস হাসিনার বাসভবন গণভবনে প্রবেশের অনুমোদন পায়। সেখানে গিয়ে অন্যান্য জিনিসের সঙ্গে টিউলিপের প্রচারপত্রও দেখতে পায়। গণভবনে বহু কক্ষ রয়েছে। ১৮ একর বাগানও রয়েছে। রয়েছে একটি লেকও। সেই লেকেই হাসিনা মাছ ধরতেন। কাছাকাছিই জাতীয় সংসদ ভবন।
হাসিনার পতনের পর বিক্ষুব্ধ জনতা গণভবনে লুটপাট চালায়। তারা বিভিন্ন ফার্নিচার, অর্থ, ফ্রিজ, শাড়ি, গয়না, দামি মাছ-মাংস নিয়ে যায়।
এরপরও অনেক জিনিস ধুলা-ধ্বংসাবশেষের মধ্যেই সেখানে পড়ে রয়েছে। কিছু জিনিস ফেরত এসেছে এবং সেগুলো একটি আলাদা ঘরে রাখা আছে।
গণভবনে একটি নোট পাওয়া গেছে, যাতে বিশিষ্ট এক ব্রিটিশ ব্যারিস্টারের আইনি পরামর্শ ছিল। হাসিনার শাসনব্যবস্থা নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার প্রকাশনা বন্ধের বিষয়েই ওই ব্রিটিশ ব্যারিস্টার আইনি পরামর্শ দেন। পাশেই পড়ে ছিল বিদেশি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার আবেদন ফরম।
গণভবনে একটি সিঁড়ির ওপরের অংশে টিউলিপ সম্পর্কিত কিছু জিনিসপত্র পাওয়া যায়। এর মধ্যে একটি ছিল ধন্যবাদপত্র। হ্যাম্পস্টেড ও কিলবার্নের এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি স্থানীয় লেবার পার্টি সদস্যদের উদ্দেশে ওই ধন্যবাদপত্র পাঠিয়েছিলেন।
আরেকটি ছিল টিউলিপের ২০২২ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন, যেখানে তিনি জীবনযাত্রার ব্যয় সংকটের শিকার মানুষের সাহায্যের বিষয়টি তুলে ধরেন।
টিউলিপ এর আগে বারবার তার খালার শাসন থেকে নিজেকে আলাদা প্রমাণের চেষ্টা করেছেন। ২০১৭ সালে তিনি বলেছিলেন, তারা কখনওই রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করেননি। হাসিনার শাসনামলে বাংলাদেশে এক ব্যারিস্টার গুম হওয়ার বিষয়ে ওই বছর টিউলিপকে প্রশ্ন করেছিলেন এক ব্রিটিশ সাংবাদিক। এতে ক্ষেপে গিয়ে তিনি ওই অন্তঃসত্ত্বা সাংবাদিককে হুমকি দেন এবং পুলিশে অভিযোগও করেন।
সম্প্রতি ফ্ল্যাট বিতর্কেও নাম এসেছে টিউলিপের। যুক্তরাজ্যে একাধিক ফ্ল্যাট তিনি বা তার পরিবার হাসিনার রাজনৈতিক ঘনিষ্ঠদের কাছ থেকে পাওয়ার বিষয়টিও সামনে এসেছে। বাংলাদেশেও টিউলিপের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত চলছে। এমন পরিস্থিতিতে তার পদত্যাগের দাবিও উঠেছে। সূত্র: সানডে টাইমস।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
পাঁচ মাসে ১৮ হাজারের বেশি অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় গ্যাসের অবৈধ সংযোগ উচ্ছেদে অভিযান চালিয়েছে তিতাস গ্যাস কোম্পানি। গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে সোমবার (১৩ জানুয়ারি) পর্যন্ত ১৮ হাজার ৪৩৪টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) এক বার্তায় এ তথ্য জানায় তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।
এতে জানানো হয়, তাদের আওতাধীন রাজধানীর ধানমন্ডি, মিরপুর, গুলশান, কেরানীগঞ্জ, কামরাঙ্গীরচর, সাভার, টঙ্গী, গাজীপুর, মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ ও নরসিংদী এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে এবং কোম্পানির জনবল দিয়ে এ অভিযান চালানো হয়েছে।
তিতাস জানায়, সেপ্টেম্বর থেকে ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত অভিযানে ১৪৫টি শিল্প, ৯০টি বাণিজ্যিক ও ১৮ হাজার ১৯৯টি আবাসিকসহ মোট ১৮ হাজাদ ৪৩৪টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নসহ ৪৩ হাজার ৩৯টি বার্নার বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এছাড়া এই অভিযানগুলোতে ৯২ কিলোমিটার পাইপলাইন অপসারণ করা হয়।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ভোটার তালিকা হালনাগাদ নিয়ে ইসির ১৬ নির্দেশনা
ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি উপলক্ষে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশন এক পরিপত্রে বিশেষ নির্দেশনা দেয় ইসি।
পরিপত্রে জানানো হয়, ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি ২০২৫-এ ভোটারযোগ্য ব্যক্তিদের তথ্য সংগ্রহ ও সুপারভাইজার কর্তৃক যাচাই ২০ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সম্পন্ন করা হবে।
২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি অথবা তার পূর্বে যাদের জন্ম তাদের ও বিগত ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে যারা বাদ পড়েছেন তাদেরকে ভোটার তালিকাভুক্তি ও মৃত ভোটারদেরকে ভোটার তালিকা থেকে কর্তন এবং আবাসস্থল পরিবর্তনের কারণে স্থানান্তরের বিষয়েও কার্যক্রম গৃহীত হবে।
এ কর্মসূচিতে হিজড়া জনগোষ্ঠীরা নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারবেন। কর্মসূচির বিশেষ নির্দেশনাগুলো হলো :
১। ১ জানুয়ারি ২০০৮ বা তার পূর্বে যাদের জন্ম তাদের ও বিগত ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে যারা বাদ পড়েছেন তাদের তথ্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংগ্রহ করা।
২। তথ্য সংগ্রহকালে কোনো ব্যক্তির তথ্য ফরম পূরণের পূর্বে তিনি ইতঃপূর্বে ভোটার হয়েছেন কি না, তা অবশ্যই নিশ্চিত করা।
৩। বাদ পড়া ভোটারদের ক্ষেত্রে বাদ পড়ার কারণ যাচাইপূর্বক নিশ্চিত হওয়া।
৪। কোনো ব্যক্তির নামের আগে বা পরে কোনো পেশা, খেতাব, পদবি, অর্জিত শিক্ষাগত যোগ্যতা ইত্যাদি সংযুক্ত না করা।
৫। ভোটারযোগ্য ব্যক্তির বাংলা নামের ইংরেজি বানান যথাযথভাবে লিপিবদ্ধ করা।
৬। বাড়ি বাড়ি যাওয়ার সময় ভোটারযোগ্য অনুপস্থিত ব্যক্তিদের তথ্যাদি অবশ্যই রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করা।
৭। নিবন্ধন কেন্দ্রে আসার জন্য নিবন্ধন স্লিপ (ফরম-৫) ফরম পূরণের সঙ্গে সঙ্গে প্রদান করা।
৮। সুপারভাইজার কর্তৃক তথ্য সংগ্রহকারীদের প্রতিদিনের তথ্য সংগ্রহের কাজ তদারকি ও নমুনা যাচাই করা।
৯। সুপারভাইজাররা তথ্য সংগ্রহকারীর পূরণকৃত ফরমের কিছু অংশ দৈবচয়নের ভিত্তিতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে শুদ্ধতা যাচাই এবং কোনো ভুল ধরা পড়লে তা শুদ্ধ করা।
১০। ভোটারযোগ্য মহিলাদের নিবন্ধনের বিষয়টি অবশ্যই নিশ্চিত করা। কোনোক্রমেই ভোটারযোগ্য মহিলারা যেন বাদ না পড়েন তা তথ্য সংগ্রহকারী ও সুপারভাইজার কর্তৃক নিশ্চিত করা।
১১। নিবন্ধন ফরম পূরণকারীদের নিবন্ধন কেন্দ্রে উপস্থিতির বিষয়টি নিশ্চিত করা।
১২। বিশেষ এলাকার জন্য তথ্য ফরম পূরণের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে নজর দেওয়া। বিশেষ তথ্য ফরম পূরণের সময় সংশ্লিষ্ট তথ্য যাচাই করে অন্তর্ভুক্ত করা। বিশেষ এলাকাসমূহের জন্য নিবন্ধন ফরম-২ এর সঙ্গে বিশেষ তথ্য ফরমও পূরণ করা।
১৩। এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় ভোটার স্থানান্তরের আবেদন সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রসহ ভোটার কর্তৃক রেজিস্ট্রেশন অফিসারের কাছে দাখিল করা।
১৪। মৃত ভোটারের নাম কর্তনের জন্য ফরম-১২ এ তথ্য সংগ্রহকালে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা। কোনোক্রমেই জীবিত ভোটারের নাম মৃত হিসেবে যেন তথ্য সংগ্রহ না করা হয় সে জন্য সতর্ক থাকা।
১৫। সুপারভাইজার, তথ্য সংগ্রহকারী ও শনাক্তকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর সুস্পষ্টভাবে লিখা।
১৬। কোনোক্রমেই রোহিঙ্গা এবং ভিনদেশি ব্যক্তিদের তথ্য যেন সংগৃহীত না হয় সে বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকা।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
নন-ক্যাডারে সহকারী সচিব হলেন ৫৯ জন
বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সরকারি দপ্তরের ৫৯ জন প্রশাসনিক ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তাকে ক্যাডার বহির্ভূত পদে সহকারী সচিব পদে পদোন্নতি প্রদান করেছে সরকার।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে তাদের পদোন্নতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
এছাড়া তাদের পদোন্নতির পর ওএসডি করা হয়েছে। এখন পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নতুন দপ্তরে পদায়ন করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করবে।
পদোন্নতিপ্রাপ্তরা ‘জাতীয় বেতন-স্কেল, ২০১৫’ অনুযায়ী নবম গ্রেডে বেতন-ভাতা পাবেন বলেও জানানো হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক বৃহস্পতিবার
আগামী বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ ও সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি উপস্থিত ছিলেন।
মাহফুজ আলম বলেন, আশা করি, আগামী পরশু বৃহস্পতিবার এই বৈঠকের ভেতর দিয়ে ঐক্যমতের ভিত্তিতে একটি দলিল প্রণীত হবে। সেদিনই স্পষ্ট হবে কবে ঘোষণাপত্রটি জারি করব এবং সরকার কীভাবে ঘোষণাপত্র জারির করার বিষয়ে ভূমিকা রাখবে।
তিনি বলেন, (আলোচনার) স্থান এখনো নির্ধারিত হয়নি। খসড়া ঘোষণাপত্র নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অনির্ধারিত আলোচনা হয়েছে। বিএনপি, জামায়াত, গণতন্ত্র মঞ্চসহ রাজনৈতিক দল ও শ্রেণি–পেশার সঙ্গে অনির্ধারিত আলোচনা হয়েছে।
এর আগে গত ১০ জানুয়ারি সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছিলেন, ঘোষণাপত্র সরকার দেবে না। সরকার ঘোষণাপত্রের প্রক্রিয়াকে সহায়তা করছে। ঘোষণাপত্র আসবে সবার ঐকমত্যের ভিত্তিতে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
মালয়েশিয়ার সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ বাণিজ্য চায় বাংলাদেশ
বাংলাদেশ মালয়েশিয়ার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়ানোর পাশাপাশি ভারসাম্যপূর্ণ বাণিজ্য নিশ্চিত করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার মোহাম্মদ শোহাদা অথমানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন তিনি। সাক্ষাৎকালে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এবং ভবিষ্যৎ বিনিয়োগ সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেন তারা।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ এরই মধ্যে কোরিয়া, জাপান ও সিঙ্গাপুরের সঙ্গে মুক্তি বাণিজ্য চুক্তির লক্ষ্যে আলোচনা শুরু করেছে। মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের বাণিজ্য বাড়ানোর জন্য দ্রুতই আলোচনা শুরু করা দরকার। এতে দুদেশই উপকৃত হবে।
বতর্মান প্রেক্ষাপটে মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করার উপযুক্ত পরিবেশ বিরাজ করছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের রিজার্ভের একটি বড় অংশ আসে মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স থেকে। দক্ষ জনশক্তির রপ্তানির মাধ্যমে আমরা সেখানে শক্ত অবস্থান তৈরি করতে চাই। এসময় তিনি বাংলাদেশে স্পেশাল ইকনোমিক জোনে আরও বেশি মালয়েশিয়ান বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
পামওয়েল রপ্তানি বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, রমজান মাসে বাংলাদেশে ভোজ্যতেলের চাহিদা বেড়ে যায়। দেশে পামওয়েলর চাহিদাও রয়েছে।
মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার বলেন, মালয়েশিয়া ইলেকট্রিক চিপস ও সেমিকন্ডাক্টর খাতে বিপুল বিনিয়োগ করেছে। এখাতে সেমি কন্ডাক্টর ডিজাইনারসহ প্রচুর দক্ষ জনবল প্রয়োজন। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের তাদের দেশে প্রশিক্ষণ ও শিক্ষাদানের মাধ্যমে দক্ষ করে সেখানে কাজের সুযোগ করে দিতে চায়। এসময় তিনি দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে সহযোগিতা বাড়ানোরও প্রতিশ্রুতি দেন।
হাইকমিশনার মোহাম্মদ শোহাদা অথমান বলেন, বিশ্বব্যাপী হালাল ফুডের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। মালয়েশিয়ায় হালাল ফুডের বাজার ১১৩ বিলিয়ন ডলার। ২০৩১ সালে বিশ্বে এ বাজারের আকার দাঁড়াবে ৬ ট্রিলিয়ন ডলারে। মুসলিম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের উচিত হালাল ফুডের বাজার লক্ষ্য করে প্রস্তুতি নেওয়া। এসময় হাইকমিশনার হালাল ফুড প্রস্তুত ও সার্টিফিকেশনে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ছিল ২৮৭৮ দশমিক ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যার মধ্য বাংলাদেশ মালয়েশিয়া হতে ২৫৮৩ দশমিক ৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করে এবং ২৯৪ দশমিক ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করে।