জাতীয়
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তলবে যে ব্যাখ্যা দিলেন ভারতীয় হাইকমিশনার
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করে বিএসএফের কাঁটাতারের বেড়া স্থাপনের প্রতিবাদ জানাতে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব করেছিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এরই ধারাবাহিকতায় সশরীরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে হাজির হয়ে এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।
রবিবার (১২ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রণয় ভার্মা বলেন, সীমান্তে চোরাচালান ও অবৈধ অনুপ্রবেশ মোকাবিলায় আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্ত অপরাধমুক্ত রাখতে বদ্ধপরিকর। তাই সীমান্তে বেড়া নির্মাণে বাংলাদেশের সহযোগিতা আশা করে ভারত।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ভারতের সঙ্গে সীমানা নির্ধারণের ৪ চুক্তিতে যা রয়েছে
বাংলাদেশ ও ভারতের সীমানা নির্ধারণ এবং উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর দায়িত্ব পালন সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি চুক্তি রয়েছে। এ বিষয়ে জানতে অনেকেরই কৌতূহল রয়েছে।
রবিবার (১২ জানুয়ারি) রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এসব চুক্তি নিয়ে কথা বলেন।
তিনি জানান, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে এখন পর্যন্ত চারটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। চুক্তিগুলোর মধ্যে রয়েpre
১. ল্যান্ড বাউন্ডারি এগ্রিমেন্ট ১৯৭৪( ব্রিফ অ্যান্ড ডিসপোজাল অব অনক্লেব অ্যান্ড ডিস্পুটেড ল্যান্ড)।
২. জয়েন্ট ইন্ডিয়া বাংলাদেশ গাইডলাইন ফর বর্ডার অথরিটিজ ১৯৭৫ (বর্ডার ম্যানেজমেন্ট গাইডলাইন
৩. ল্যান্ড বাউন্ডারি এগ্রিমেন্ট প্রটোকল ২০১১ (এক্সচেঞ্জ অনক্লেব ডিসপোজাল অব ডিস্কপিউটেড ল্যান্ড)।
৪. কোঅর্ডিনেশন বর্ডার ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান ২০১১ (বর্ডার পেট্রোলিং, ফ্ল্যাগ মিটিং অ্যান্ড কনফিডেন্স বিল্ডিং)।
এছাড়া, ১৯৭৫ সালের বাংলাদেশ-ভারত যৌথ সীমান্ত নির্দেশিকা অনুযায়ী, দুই দেশের সীমান্তের শূন্য লাইনের ১৫০ গজের মধ্যে কোনো প্রতিরক্ষা সক্ষমতা সম্পন্ন কাজ করার ক্ষেত্রে সুস্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
পাঁচ মাসে রাজস্ব ঘাটতি ৪২ হাজার কোটি টাকা
বিগত পাঁচ মাস ৪২ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ঘাটতি দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
রবিবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
শফিকুল আলম বলেন, বাংলাদেশের ট্যাক্স জিডিপির যে অনুপাত সেটি ২০২১ সালের পর থেকে খুব নেমে যাচ্ছে। করোনার পর থেকে এমন জায়গায় এসেছে, এই বছরের গত পাঁচ মাসে রাজস্ব ঘাটতি ৪২ হাজার কোটি টাকা দাঁড়িয়েছে। আমাদের লক্ষ্য ছিল ১ লাখ ৬৯ হাজার কোটি টাকা। সেটা সংগ্রহ হয়েছে ১ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকার একটু বেশি। আরেকটা বিষয় হচ্ছে বিশ্বে বাংলাদেশের ট্যাক্স জিডিপি রেশিও নিচের দিকে। অনুপাতের হার এমন জায়গায় চলে যাচ্ছে যে সেটি টেকসই না। বাংলাদেশের মানুষের ভালো থাকার জন্য ট্যাক্স জিডিপির রেশিও একটা জায়গায় আমাদের নিতেই হবে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে কিছু ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভ্যাটের অনেক ফারাক ছিল। কোথাও ৩ শতাংশ কোথাও একটু বেশি, পুরোটাকেই আমরা চাইছি সরলীকরণ করে ১৫ শতাংশ করতে। সরলীকরণ করা হলে লাভ হচ্ছে লিকেজ কমে আসে। এই লিকেজ কমানো আমাদের খুব দরকার। আরেকটা বিষয় হচ্ছে আমাদের সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে চেষ্টা করছে খরচ কত কমানো যায়। আগে বিদেশ সফরে ২৫০-৩০০ জনের বহর যেতো, আর এখন প্রধান উপদেষ্টা বিদেশে গেলে ৪০-৫০ জন যায়। তার মধ্যে নিরাপত্তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট লোক বেশি যাচ্ছে।
আমাদের অর্থনীতিতে দেখবেন সব জায়গায় কি পরিমাণ অপচয় করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রেস সচিব বলেন, কর্ণফুলী টানেল করা হলো কত টাকা খরচ করে, তার ওই পাড়ে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিশ্রামের জন্য ৪৫০ কোটি টাকা দিয়ে সেভেন স্টার হোটেল করলেন। এটা কার টাকায় করলেন, এদেশের জনগণের টাকায়। জনগণের টাকা কীভাবে লুটপাট আর অপচয় হয়েছে তার কিছু নমুনা আপনারা এখন ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমগুলোতে দেখছেন। সেজন্য আমরা চাইছি যে, বাংলাদেশের ট্যাক্স জিডিপি রেশিও এমন একটা হেলদি জায়গায় যাক, যাতে ইকোনমি গ্রোথ হয়। রেশিও কমে যাওয়া মানে হচ্ছে এমনও হতে পারে যে আপনি ঋণ শোধ করতে পারবেন না বা বাংলাদেশের উন্নয়নে যে অর্থ লাগে সেটি পাওয়া যাচ্ছে না। সেই জায়গা থেকে বিচার করে এটা করা হয়েছে। আমরা আশা করছি সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশের মানুষের উন্নয়নে এই টাকা ব্যয় হবে।
বিভিন্ন সংগঠন ভ্যাট ট্যাক্স প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছে, বিকল্প উপায় বের করার তাগিদ দিচ্ছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা তাদের কথাগুলো শুনেছি, এটুকু আমরা বলতে পারি।
জনগণের ওপর করের বোঝা কতটুকু প্রভাব ফেলতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা বলছি না যে প্রভাব পড়বে না। তবে এটা খুবই মিনিমাম হবে। আমরা মনে করি না যে খুব ব্যাপক প্রভাব পড়বে।
আইএমএফ’র শর্ত প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, তাদের ঋণ পাওয়া মুখ্য বিষয় না। আইএমএফ’র একটা বড় বিষয় হচ্ছে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক করলে সুবিধা হচ্ছে ম্যাক্রো ইকোনমি স্থিতিশীলতার সেরা পরামর্শ তারা দেয়। আইএমএফ যেখানে ঋণ দেয় তার মানে হচ্ছে তাকে সামনে রেখে অন্যান্যরা আসে। অন্যান্য বলতে বিশ্বব্যাংক, আইডিবি, জাপান। এরা এসে দেখে যে আইএমএফ’র সার্টিফিকেট আছে, ম্যাক্রো ইকোনমির স্থিতিশীলতার দিকে যাওয়া হচ্ছে, তখন সবাই আসে। এটা বাংলাদেশের বাইরে থেকে প্রাইভেট ইনভেস্টমেন্ট আনার জন্য অনেক বড় ভূমিকা রাখে। বাংলাদেশের রেভিনিউ যতো ভালো হবে মার্কেট এক্সচেঞ্জ রেট ততো ভালো হবে। ইকোনমি স্থিতিশীল থাকা মানে জিনিসপত্রের দাম স্থিতিশীল থাকা। আপনি হয়তো এক আর এক মিলিয়ে দুই দেখছেন, কিন্তু যারা প্ল্যান করেছেন তারা বোদ্ধা ইকোনমিস্ট। তারা জানেন তারা কি করছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার মেয়াদ বাড়লো
বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তদূর্ধ্ব সমপদমর্যাদার কমিশন্ড কর্মকর্তাদের বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আরও ৬০ দিন বাড়িয়েছে সরকার।
রবিবার (১২ জানুয়ারি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তদূর্ধ্ব সমপদমর্যাদার কমিশন্ড কর্মকর্তাদের (কোস্টগার্ড ও বিজিবিতে প্রেষণে নিয়োজিত সমপদমর্যাদার কর্মকর্তাসহ) সারা বাংলাদেশে বিশেষ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা ১৪ জানুয়ারি থেকে ৬০ দিন অর্পণ করা হলো।
এর আগে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গত ১৭ সেপ্টেম্বর সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়। এর কয়েকদিন পর ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে এ ক্ষমতা দেওয়া হয় নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর কর্মকর্তাদের।
এরপর ১৫ নভেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আরেক প্রজ্ঞাপনে এ মেয়াদ ৬০ দিন বাড়ানো হয়েছিল। ওইদিনের প্রজ্ঞাপনে কোস্টগার্ড ও বিজিবিতে প্রেষণে কর্মরত সামরিক কর্মকর্তাদেরও একই ক্ষমতা দেওয়া হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
শেখ হাসিনা-রেহানাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে সরকারি প্লট বেআইনিভাবে নিজেদের নামে করিয়ে নেওয়ার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানাসহ শেখ পরিবারের ছয় সদস্য ও একাধিক রাজউক কর্মকর্তাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রবিবার (১২ জানুয়ারি) দুদক মহাপরিচালক বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাসহ ১৬ জনের নামে মামলা করেছে দুদক।
এর আগে গত ২৬ ডিসেম্বর এ বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। ওইদিন দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন জানান, রাজনৈতিক বিবেচনায় সংবিধানের ১৩/এ ধারার ক্ষমতাবলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে রাজউকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সহায়তায় নিজ নামে, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ (পুতুল), ছোট বোন শেখ রেহানা, ছোট বোনের ছেলে রেদোয়ান মুজিব সিদ্দিকী ববি এবং ছোট বোনের মেয়ে আজমিনা সিদ্দিকীর নামে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের ২৭ সেক্টরের কূটনৈতিক জোনের ২০৩ নং রোড থেকে ১০ কাঠা করে মোট ৬০ কাঠার ছয়টি প্লট বরাদ্দ নিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, পত্রিকার ক্লিপিংয়ে বর্ণিত অভিযোগসমূহ সুনির্দিষ্ট, তথ্যভিত্তিক এবং কমিশনের তফসিলভুক্ত অপরাধ মর্মে প্রতীয়মান হওয়ায় বিষয়টি কমিশনের বিশেষ তদন্ত শাখা থেকে অনুসন্ধান করা সমীচীন মর্মে প্রতীয়মান হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
৫ দেশে বাংলাদেশ দূতাবাসের ৫ কর্মকর্তা প্রত্যাহার
পাঁচ দেশে বাংলাদেশ দূতাবাস-হাইকমিশনে কর্মরত ৫ কর্মকর্তাকে পদ ও কর্মস্থল থেকে প্রত্যাহার করেছে সরকার। সেই সাথে তাদের দেশে ফিরে আসার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকেএ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
পাকিস্তানের ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাউন্সেলর (প্রেস) মো. তৈয়ব আলী, মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রথম সচিব (প্রেস) সুফি আব্দুল্লাহিল মারুফ, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে কন্স্যুলেট জেনারেল অফিস অব বাংলাদেশ-এর প্রথম সচিব (প্রেস) মো. আরিফুর রহমান, সৌদি আরবের রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব (প্রেস) আসাদুজ্জামান খান এবং জাপানের টোকিওতে বাংলাদেশ দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব (প্রেস) মো. ইমরানুল হাসানকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বিদেশে বাংলাদেশ মিশনে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়াধীন প্রেস উইংগুলোতে কর্মরত এসব কর্মকর্তাকে তাদের বর্তমান পদ ও কর্মস্থল থেকে প্রত্যাহার করে পরবর্তী পদায়নের জন্য আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে দেশে ফিরে আসার নির্দেশনা দেওয়া হয় প্রজ্ঞাপনে।
কাফি