ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবির হিসাববিজ্ঞান বিভাগে সভাপতির দায়িত্ব হস্তান্তর

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ব্যবসায় অনুষদভুক্ত হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন আনুষ্ঠানিকভাবে সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। এসময় বিভাগের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন তার নিকট দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের সভাকক্ষে এ সভাপতি দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সেলিনা নাসরিন। সদ্য বিদায়ী সভাপতি অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন, অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, অধ্যাপক ড. আবু সিনা, অধ্যাপক ড. অরবিন্দু সাহা, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সিনিয়র অধ্যাপক ড. আলীনূর রহমান ও অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম, হিউম্যান রিসোর্স ও ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক মো. শহীদুল ইসলাম সহ ঐ বিভাগের অন্যান্য শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সদ্য বিদায়ী সভাপতি অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন বলেন, সভাপতির দায়িত্বে ছিলাম তিন বছর এবং এখানে চাকরির বয়স ২০ বছর। বিগত সময়ে সভাপতিদের সাথে থেকেছি এবং শিখেছি। কিন্তু যখন আমি এ দায়িত্বে এসেছি তখন বুঝতে পেরেছি এখানে দায়িত্ব ঠিক কতটুকু। সভাপতি হিসেবে আমার দায়িত্ব শেষ হয়েছে তবে শিক্ষক হিসেবে বিভাগে আছি বিভাগে থাকবো।
তিনি আরও বলেন, দায়িত্ব পালন কালে আমি একটা প্রবলেম চরমভাবে ফেস করেছি সেটা হলো আমার মতো বিভাগ একটা-দুইটা আছে যেখানে প্রত্যেকটা রেজ্যুলেশন, প্রত্যেকটা নোটিশ চেয়ারম্যানকে টাইপ করতে হয়। এটা ইনহিউম্যান মনে হয়েছে আমার কাছে। এবং যে কারণে আমি দেখতাম সেলিনা ম্যাডাম চেয়ার থেকে নড়তে পারে না। আমার পাশে অন্য ডিপার্টমেন্ট আছে। সেখানে চেয়ারম্যান জানতেও পারে না কী নোটিশ দিতে হয়। এটি আসলে চেয়ারম্যানশিপ চালানোর জন্য সবচাইতে বড় বাঁধা এখানে। আমরা সবাই চেষ্টা করেছি একজন টাইপিস্ট নিয়ে আসবো কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় দেয় না। এ বিষয়টি প্রশাসনকে গুরুত্বের সাথে দেখা উচিত। সব শেষে দায়িত্ব পালনের সময় বিভাগের সকল শিক্ষকদের পক্ষ থেকে যে সহযোগীতা পেয়েছি যার জন্য তাদের নিকট চির কৃতজ্ঞ থাকবো।
নব-নিযুক্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন বলেন, আমার ছাত্রের নিকট থেকে আমি দায়িত্ব নিয়েছি। এটা আমার কাছে গর্বের বিষয়। এ বিভাগ পরিচালনা করতে আমার কষ্ট হবে না। এখানে সবাই পরিবাবের মতো এবং পূর্বে সকলের সহযোগিতা পেয়েছি। আগের সভাপতি মহাদয়গণ যেভাবে বিভাগ পরিচালনা করেছেন আমি সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখবো।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ডাকসু নির্বাচনে চূড়ান্ত প্রার্থী ৪৭১ জন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ৪৭১ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাচ্ছেন। এছাড়া ২৮ জন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। প্রাথমিক বাছাই প্রক্রিয়ায় বাদ পড়া ১০ জন প্রার্থী আপীল না করায় তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়।
এতে দেখা যায়, পদভিত্তিক সহ-সভাপতি (ভিপি): ৪৫ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস): ১৯ জন, সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস): ২৫ জন, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক: ১৭ জন, কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক: ১১ জন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক: ১৪ জন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক: ১৯ জন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক: ১২ জন, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক: ৯ জন, ক্রীড়া সম্পাদক: ১৩ জন, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক: ১২ জন, সমাজসেবা সম্পাদক: ১৭ জন, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক: ১৫ জন, মানবাধিকার ও আইন বিষয়ক সম্পাদক: ১১ জন, ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক: ১৫ জন এবং সদস্য পদ: ২১৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ডাকসু নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের দিনে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকবে।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন।
তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সাতটি প্রবেশপথে সেনাসদস্যরা অবস্থান করবেন। ভোটগ্রহণ শেষে ফল ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত সেনারা কেন্দ্রগুলো কর্ডন করে রাখবে, যাতে বাইরের কেউ প্রবেশ করতে না পারে এবং কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়।
রিটার্নিং কর্মকর্তাদের এক সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, ভোটের দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেট্রোরেল স্টেশন বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া নির্বাচনের সাত দিন আগে থেকেই হলগুলোতে কোনো বহিরাগত থাকতে পারবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
অর্ডিন্যান্স পাশ হলে নভেম্বরে ইকসু নির্বাচনের আশ্বাস ইবি উপাচার্যের

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ইকসু) বাস্তবায়নের সম্ভাব্য রোডম্যাপের আশ্বাস দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। ইকসু গঠনতন্ত্র তৈরির জন্য দ্রুত একটি খসড়া কমিটি গঠন হবে। পাশাপাশি অর্ডিন্যান্স পাশের সম্ভাব্য সময়সীমা ১৫ নভেম্বর এবং পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে ইকসু বাস্তবায়ন করতে পারবে বলে আশ্বস্ত করেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সোমবার (২৫ আগস্ট) উপাচার্যের কার্যালয়ে উপাচার্যের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত ‘মুভমেন্ট ফর ইকসু’ প্লাটফর্মের আলোচনা হয়। সেখানে ইকসু’র গঠনতন্ত্র ও বাস্তবায়নের রোডম্যাপ নিয়ে দাবি-দাওয়া এবং আলোচনা করা হয়।
মতবিনিময়কালে উপাচার্য বলেন, বেরোবি একটি নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হলেও তারা ছাত্র সংসদ চালু করেছে। আমাদের যেহেতু ছাত্র সংসদ চালুর ব্যাপারে কোনো স্ট্রাটেজি নাই সেজন্য আমি বেরোবি উপাচার্যের সাথে কথা বলেছি এবং তাদের ছাত্র সংসদ চালুর পদ্ধতি শুনেছি। আমি নিজেও তো ইকসুর বাইরে না। অন্যদিকে ঢাকসু, রাকসুতে যে কেন্দ্রীয় বাজেট দেয়া হয় সেখানে প্রত্যেক সম্পাদকের জন্য বাজেট বরাদ্দ থাকে। আমাদের যেহেতু কোনো বাজেট নাই সেজন্য আশা করছি খুব দ্রুত বাজেটের ব্যবস্থা করে ইকসু চালুর ব্যবস্থা করবো।
তিনি আরও বলেন, আমাদের শুরুতে যে আইনগত বাঁধা আছে সেটা উত্তরণের চেষ্টা করছি। ইকসু চালু করতে হলে পার্লামেন্টে যেতে হবে কিন্তু অর্ন্তবর্তী সরকারে এটা সম্ভব না। ইন্টেরিম সরকার বিভিন্ন অর্ডিন্যান্স এবং আইন তৈরি করছে। সেজন্য ইকসুকে স্থায়ী রুপ দেয়ার চেষ্টা করছি।
ইকসু নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ সম্পর্কে তিনি বলেন, কিভাবে কাজ করা যায় ও ইকসুতে কতজন সদস্য রাখা যায় ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রাথমিকভাবে ছাত্রদের সাথে আলোচনা করবো। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সকল ফর্মালিটি শেষ করতে পারবো ততো দ্রুত ইকসু নির্বাচন দিতে পারবো। আমাদের বর্তমান কাজের অগ্রগতি অনুযায়ী আশা করছি আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে সবকিছু শেষ করে পরবর্তীতে নির্বাচন দিতে পারবো।
মতবিনিময় শেষে ‘মুভমেন্ট ফর ইকসু’র প্রতিনিধিগণ জানান, মার্চ ফর ইকসু’র মাধ্যমে উপাচার্যের সাথে দেখা করেছি। তিনি আমাদেরকে একটি আউটলাইন দিয়েছেন। আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে ইকসু নির্বাচনের সাম্ভাব্য ডেইট দিয়েছেন। সেই আলোকে শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে ইকসু’র যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করার উদ্দেশ্যে একটি গঠন করবেন। প্রয়োজন হলে জরুরি সিন্ডিকেট ডেকে এটি বাস্তবায়ন করবেন।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাইলেন উমামা ফাতেমা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রোকেয়া হলে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে সমালোচনার মুখে অবশেষে দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছেন ভিপি পদপ্রার্থী উমামা ফাতেমা। গতকাল রাতে নিয়ম ভেঙে মধ্যরাতে হলে অবস্থান করার ঘটনায় শিক্ষার্থীরা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন।
আজ সোমবার (২৫ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে উমামা ফাতেমা তার ভুলের কথা স্বীকার করে লেখেন, “আমি নিয়মবহির্ভূতভাবে হলে প্রবেশ করেছি, তাই হল প্রশাসনের কাছে ক্ষমা চেয়েছি।”
ফেসবুক পোস্টে তিনি আরও স্পষ্ট করে বলেন, “গতকাল আমি কোনো নির্বাচনী প্রচার বা মিটিং করতে হলে যাইনি। দীর্ঘদিনের মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পেতে একজন বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম।” তিনি জানান, রাত ১০টায় গেট বন্ধ হওয়ার আগেই তিনি হলে প্রবেশ করেছিলেন, তাই রাত দেড়টায় হলে প্রবেশের যে খবরটি ছড়ানো হচ্ছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। উমামা ফাতেমা জোর দিয়ে বলেন, কেউ প্রমাণ করতে পারবে না যে তিনি হলে ভোট চেয়েছিলেন।
এই ঘটনার পর থেকে ঢাবির শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
শপথ নিলেন পিএসসির নতুন তিন সদস্য

সরকারি কর্ম কমিশনে (পিএসসি) নতুন নিয়োগ পাওয়া তিন সদস্যকে শপথ পড়িয়েছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। রবিবার (২৪ আগস্ট) দুপুর ২টায় সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে এ শপথ হয়।
নতুন সদস্যরা হলেন—মো. মহিউদ্দিন, মুহাম্মদ শাহীন চৌধুরী (চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক) ও এম আমজাদ হোসেন (রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক)।
রবিবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি তাদের শপথবাক্য পাঠ করান। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. আজিজ আহমেদ ভূঁঞা। এ সময় আপিল বিভাগের বিচারপতি ও পিএসসির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ২০ আগস্ট সরকারি কর্ম কমিশনে (পিএসসি) তিনজন সদস্য নিয়োগ দেয় অন্তর্বর্তী সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পৃথক তিন প্রজ্ঞাপনে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক এ নিয়োগের কথা জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ১৩৮ (১) অনুচ্ছেদে বর্ণিত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি এই তিন কর্মকর্তাকে সদস্য পদে নিয়োগ করেছেন। সংবিধানের ১৩৯ (১) অনুচ্ছেদ অনুসারে তারা দায়িত্বভার গ্রহণের তারিখ থেকে পাঁচ বছর বা তাদের ৬৫ বছর বয়স পূর্ণ হওয়ার মধ্যে যা আগে ঘটে সেই সময় পর্যন্ত তারা সরকারি কর্মকমিশনের সদস্য পদে বহাল থাকবেন বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
বর্তমানে পিএসসির সদস্য সংখ্যা ১৫। এই নিয়োগের ফলে পিএসসির সদস্য সংখ্যা ১৮-তে দাঁড়াল।