ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবির হিসাববিজ্ঞান বিভাগে সভাপতির দায়িত্ব হস্তান্তর
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ব্যবসায় অনুষদভুক্ত হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন আনুষ্ঠানিকভাবে সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। এসময় বিভাগের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন তার নিকট দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের সভাকক্ষে এ সভাপতি দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সেলিনা নাসরিন। সদ্য বিদায়ী সভাপতি অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন, অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, অধ্যাপক ড. আবু সিনা, অধ্যাপক ড. অরবিন্দু সাহা, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সিনিয়র অধ্যাপক ড. আলীনূর রহমান ও অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম, হিউম্যান রিসোর্স ও ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক মো. শহীদুল ইসলাম সহ ঐ বিভাগের অন্যান্য শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সদ্য বিদায়ী সভাপতি অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন বলেন, সভাপতির দায়িত্বে ছিলাম তিন বছর এবং এখানে চাকরির বয়স ২০ বছর। বিগত সময়ে সভাপতিদের সাথে থেকেছি এবং শিখেছি। কিন্তু যখন আমি এ দায়িত্বে এসেছি তখন বুঝতে পেরেছি এখানে দায়িত্ব ঠিক কতটুকু। সভাপতি হিসেবে আমার দায়িত্ব শেষ হয়েছে তবে শিক্ষক হিসেবে বিভাগে আছি বিভাগে থাকবো।
তিনি আরও বলেন, দায়িত্ব পালন কালে আমি একটা প্রবলেম চরমভাবে ফেস করেছি সেটা হলো আমার মতো বিভাগ একটা-দুইটা আছে যেখানে প্রত্যেকটা রেজ্যুলেশন, প্রত্যেকটা নোটিশ চেয়ারম্যানকে টাইপ করতে হয়। এটা ইনহিউম্যান মনে হয়েছে আমার কাছে। এবং যে কারণে আমি দেখতাম সেলিনা ম্যাডাম চেয়ার থেকে নড়তে পারে না। আমার পাশে অন্য ডিপার্টমেন্ট আছে। সেখানে চেয়ারম্যান জানতেও পারে না কী নোটিশ দিতে হয়। এটি আসলে চেয়ারম্যানশিপ চালানোর জন্য সবচাইতে বড় বাঁধা এখানে। আমরা সবাই চেষ্টা করেছি একজন টাইপিস্ট নিয়ে আসবো কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় দেয় না। এ বিষয়টি প্রশাসনকে গুরুত্বের সাথে দেখা উচিত। সব শেষে দায়িত্ব পালনের সময় বিভাগের সকল শিক্ষকদের পক্ষ থেকে যে সহযোগীতা পেয়েছি যার জন্য তাদের নিকট চির কৃতজ্ঞ থাকবো।
নব-নিযুক্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন বলেন, আমার ছাত্রের নিকট থেকে আমি দায়িত্ব নিয়েছি। এটা আমার কাছে গর্বের বিষয়। এ বিভাগ পরিচালনা করতে আমার কষ্ট হবে না। এখানে সবাই পরিবাবের মতো এবং পূর্বে সকলের সহযোগিতা পেয়েছি। আগের সভাপতি মহাদয়গণ যেভাবে বিভাগ পরিচালনা করেছেন আমি সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখবো।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবির সমাজকল্যাণ বিভাগ সংস্কারে ১০ দাবি, ৭ দিনের আল্টিমেটম
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বিভাগ সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করেন সমাজ কল্যাণ বিভাগের চলমান সকল শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা। এসময় বিভাগ সংস্কারের ১০ দফা দাবি উত্থাপন করে ৭ দিনের মধ্যে দৃশ্যমান পদক্ষেপ চান শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবনের সামনে কঠোর কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। এতে ৯ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বিভাগে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলন করেছেন বলে জানান বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
এসময় শিক্ষার্থীরা ‘শিক্ষকের পদে নিয়োগ দেও, শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেও’, ‘শিক্ষা যদি এগিয়ে চাও, শিক্ষা সংকট দূর করাও’, ‘শিক্ষক সংকটের লাগাম টানো, শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ রক্ষা করো’, ‘শিক্ষক সংকট আর না আর না’, ‘ক্লাসরুমের সংকট কাটাও, শিক্ষার গতি বাড়াও’, ‘যথেষ্ট ক্লাসরুম চাই, শিক্ষার মান বাড়াতে চাই’, ‘শিক্ষার্থীর অধিকার দেও, ক্লাসরুম সংকট দূর করাও’, ‘ক্লাসরুম ছাড়া ক্লাস, আর না আর না’, ‘সেশনজটের এই খেল, শিক্ষার্থীর জীবন ফেল’, ‘স্বপ্ন ভাঙে সেশনজটে, পরিবর্তন আনতে হবে’, ‘সময়মতো ডিগ্রি দেও, শিক্ষার্থীর জীবন বাঁচাও’, ‘আজই চাই সমাধান, সেশনজটের অবসান’, ‘অন্য বিভাগে সেমিনার লাইব্রেরি, আমরা কেন লাইব্রেরি হীন’, ‘অন্য বিভাগ সুবিধাপ্রাপ্ত, আমরা কেন অবহেলিত’, ‘শিক্ষকদের রোষানলে, আর না আর না’, ‘অন্য বিভাগ স্বর্গে, আমরা কেন মর্গে’, ‘জবাব চাই জবাব চাই বিভাগ জবাই চাই’, ‘জবাব চাই জবাব চাই প্রশাসন জবাব চাই’ স্লোগান দিতে থাকেন।
শিক্ষার্থীদের দাবিসমূহ হলো নির্দিষ্ট রুটিন প্রনয়ণ এবং প্রতিটি কোর্সের নুন্যতম ক্লাস নিতে হবে। সেশন জট নিরসনে তিন মাসের মধ্যে প্রত্যেক সেমিস্টারের যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। আগামী সাত কার্য দিবসের মধ্যে পুর্নাঙ্গ একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ করতে হবে।পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে এবং শিক্ষক নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত গেস্ট টীচার দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।পর্যাপ্ত ক্লাস রুমের ব্যবস্থা করতে হবে। সেমিনার লাইব্রেরী বরাদ্দ দিতে হবে। ইনকোর্স সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার আগে নিতে হবে এবং নম্বর প্রকাশ করতে হবে। বর্তমান ট্রেজারার, জাহাঙ্গীর আলম স্যারকে সমাজকল্যাণ বিভাগের সার্বিক তত্বাবধানের দায়িত্ব দিতে হবে। প্রতি বছর বিভাগ থেকে শিক্ষাসফরের ব্যবস্থা করতে হবে এবং সেটা সম্পূর্ণ বিভাগের অর্থায়নে করতে হবে। আন্দোলন পরবর্তী প্রভাব কোনো শিক্ষার্থীর উপর যেনো না পড়ে সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা কয়েকবার দাবি জানিয়ে আসছি কিন্তু কোনো কর্ণপাত নাই। ৯ দফার দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলমান থাকবে। প্রয়োজনে আমরণ অনশনে নেমে যাব। শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে কিছু সময় নিতে পারে কিন্তু খণ্ডকালীন শিক্ষক নিয়োগ সহ অন্য দাবিগুলো সব মেনে নিতে হবে। তাদের দাবি সব রোডম্যাপ রাজপথে ঘোষণা দিয়ে ক্লাসে ফেরার সুযোগ দিতে হবে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে বিভাগের সভাপতি জানান, শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নেয়া হয়েছে। সবার চেষ্টায় দ্রুততম সময়ে অর্থাৎ এক সপ্তাহের মধ্যে দৃশ্যমান সংস্কার দেখতে পাবে শিক্ষার্থীরা।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এয়াকুব আলী বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়ে বিভাগের শিক্ষকরা স্বাক্ষর করেছেন। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে উপাচার্যের সম্মতিক্রমে ট্রেজারার অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলমকে সার্বিক তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব দেয়া হয়। খণ্ডকালীন শিক্ষক সহ সব সংকট দ্রুততম সময়ের মধ্যে ট্রেজারার দেখভাল করবেন।
শিক্ষার্থীদের দাবি সমূহের মধ্যে বর্তমান ট্রেজারারকে বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব দেওয়ার প্রসঙ্গ ওঠে আসলে ট্রেজারার অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আগের প্রশাসন কী করছে বা করছে না সেটা দেখার বিষয় না। আমি দায়িত্ব নিয়েছি যেহেতু প্রতিদিন জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে আসা হবে। শিক্ষার্থীদের এইটুকু আশ্বস্ত করতে পারি যে আমি যেখানে থাকবো সেখানে স্বল্প সময়ের মধ্যেই দৃশ্যমান ফলাফল দেখতে পাবে।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
শহীদ আবু সাঈদের কবরে রাবি উপাচার্যের শ্রদ্ধা নিবেদন
জুলাই বিপ্লবের অন্যতম শহিদ আবু সাঈদের স্মরণে তাঁর কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন ও তার পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) উপাচার্য প্রফেসর সালেহ্ হাসান নকীব।
মঙ্গলবার(৯ জানুয়ারি) রাতে তিনি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বামনপুর গ্রামে শহীদের কবরে ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত করেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক, প্রফেসর মো. আখতার হোসেন মজুমদার এ বিজ্ঞপ্তিটি নিশ্চিত করেন।
এসময় রাবি উপাচার্য সেখানে কবর জিয়ারত ও মোনাজাত শেষে শহীদের পরিবারের সদস্যদের সাথেও সাক্ষাৎ করেন।
শ্রদ্ধা নিবেদন করার সময় রাবি উপাচার্যের সাথে উপস্থিত ছিলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর মো. শওকত আলী ও বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর এবিএম ওবায়দুল ইসলাম সহ আরও অনেকেই।
অর্থসংবাদ/জুবাইর/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
রাবিতে পোষ্য কোটার জটিলতায় ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে অনিশ্চয়তা বাড়ছে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভর্তি পরীক্ষার প্রাথমিক আবেদন ৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও জরুরি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তা স্থগিত ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। তবে কবে নাগাদ এ পরীক্ষা শুরু হতে পারে, তা এখনো জানা যায়নি। পোষ্য কোটা নিয়ে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনড় অবস্থান এবং বিজ্ঞপ্তি সংক্রান্ত জটিলতায় এমন অবস্থা তৈরি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
গত ৪ জানুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন মজুমদার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত হওয়ার বিষয়টি জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথমবর্ষ স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে আবেদনের বিষয়ে বিভিন্ন পত্রিকাতে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির ১(ক)-এ উল্লিখিত অনলাইনে প্রাথমিক আবেদন শুরুর কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হলো।
পোষ্য কোটা পুরোপুরি বাতিল ঘোষণা করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ্ হাসান নকীব। এতে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৮ ও ৯ জানুয়ারি পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেন তারা। তার আগে ৭ জানুয়ারি দুই ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি এবং ৬ জানুয়ারি এক ঘণ্টার মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
স্থগিতের সুনির্দিষ্ট কারণ জানানো না হলেও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, পোষ্য কোটা বাতিল করায় কর্মচারীদের চলমান আন্দোলন ও শিক্ষকদের সহযোগিতা না পাওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে কবে থেকে পরীক্ষা শুরু হবে, সে বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।
সামিয়া তাসনিম বর্ষা নামের ভর্তিচ্ছু এক শিক্ষার্থী বলেন, হঠাৎ করে এভাবে ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত হওয়ায় আমরা অনিশ্চয়তার মধ্যে আছি। এটি বাড়তি চাপ তৈরি করছে আমাদের ওপর। আমরা চাই, দ্রুত ভর্তির কার্যক্রম শুরু হোক।
কবে নাগাদ ভর্তি কার্যক্রম ফের শুরু হবে জানতে চাইলে জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
একই সুরে কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মোহা. ফরিদ উদ্দিন খান। তিনি বলেন, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে আশা করছি দ্রুতই শুরু হবে।
পোষ্য কোটা নিয়ে জটিলতার কারণে স্থগিত হয়েছে কিনা, জানতে চাইলে তিনি বলেন, কর্মচারীদের আন্দোলনের কারণে না, বরং পোষ্য কোটা বাতিলের কারণে পত্রিকায় পুনরায় বিজ্ঞাপন দিতে হবে। কারণ পত্রিকা বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে যে বিজ্ঞাপন গেছে, সেখানে পোষ্য কোটা ১ শতাংশ লেখা আছে। ফলে ভর্তি কমিটির সিদ্ধান্ত প্রয়োজন। তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওয়েবসাইট ও পত্রিকায় সংশোধনী বিজ্ঞাপন দিতে হবে।
অর্থসংবাদ/জুবাইর/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে চাকরি
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ পোস্টমাস্টার জেনারেলের কার্যালয়, পূর্বাঞ্চল, চট্টগ্রাম নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এই প্রতিষ্ঠানটি ১২টি পদে বিভিন্ন গ্রেডে মোট ৫২৪ জনকে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগের জন্য এ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে।
পোস্টমাস্টার জেনারেলের কার্যালয়, পূর্বাঞ্চল, চট্টগ্রামের অধিভুক্ত চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অন্তর্গত সকল জেলার (সুনামগঞ্জ জেলার মধ্যনগর ও ধর্মপাশা উপজেলা ব্যতীত) স্থায়ী বাসিন্দাগণ শুধুমাত্র অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। ১২ জানুয়ারি থেকে আবেদন নেওয়া শুরু হবে। আবেদন করা যাবে আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত।
প্রতিষ্ঠানের নাম: ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়
পদসংখ্যা: ১২টি
লোকবল নিয়োগ: ৫২৪ জন
পদের নাম: পোস্টম্যান
পদসংখ্যা: ১৯০টি
বেতন: ৯,০০০-২১,৮০০ টাকা (গ্রেড-১৭)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: দ্বিতীয় বিভাগ বা সমমানের জিপিএ নিয়ে এসএসসি বা সমমান পাস।
পদের নাম: স্ট্যাম্প ভেন্ডার
পদসংখ্যা: ৩টি
বেতন: ৮,৮০০-২১,৩১০ টাকা (গ্রেড-১৮)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমান পাস
পদের নাম: ওয়্যারম্যান
পদসংখ্যা: ১টি
বেতন: ৮,৫০০-২০,৫৭০ টাকা (গ্রেড-১৯)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমান পাস
পদের নাম: আর্মড গার্ড
পদসংখ্যা: ৫টি
বেতন: ৮,৫০০-২০,৫৭০ টাকা (গ্রেড-১৯)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমান পাস। অস্ত্র চালনায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হতে হবে।
পদের নাম: প্যাকার কাম মেইল ক্যারিয়ার
পদসংখ্যা: ১২৩টি
বেতন: ৮,৫০০-২০,৫৭০ টাকা (গ্রেড-১৯)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমান পাস।
পদের নাম: অফিস সহায়ক (এমএলএসএস)
পদসংখ্যা: ২৩টি
বেতন: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা (গ্রেড-২০)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমান পাস।
পদের নাম: গার্ডেনার
পদসংখ্যা: ৫টি
বেতন: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা (গ্রেড-২০)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: অষ্টম শ্রেণি বা জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমান পাস।
পদের নাম: পরিচ্ছন্নতাকর্মী (সুইপার)
পদসংখ্যা: ১১টি
বেতন: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা (গ্রেড-২০)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: অষ্টম শ্রেণি বা জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমান পাস।
পদের নাম: বার্তাবাহক
পদসংখ্যা: ২টি
বেতন: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা (গ্রেড-২০)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমান পাস।
পদের নাম: রানার
পদসংখ্যা: ১৩১টি
বেতন: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা (গ্রেড-২০)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমান পাস।
পদের নাম: বোটম্যান
পদসংখ্যা: ৩টি
বেতন: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা (গ্রেড-২০)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমান পাস।
পদের নাম: নিরাপত্তা প্রহরী
পদসংখ্যা: ২৭টি
বেতন: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা (গ্রেড-২০)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমান পাস।
বয়সসীমা: আবেদনকারীর বয়স ১১ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে অবশ্যই সর্বনিম্ন ১৮ থেকে সর্বোচ্চ ৩২ বছরের মধ্যে হতে হবে।
আবেদন ফি: পরীক্ষার ফি বাবদ ৫০ টাকা ও টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ৬ টাকাসহ মোট ৫৬ টাকা টেলিটক প্রিপেইড মোবাইল নম্বর থেকে এসএমএসের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।
আবেদন যেভাবে: আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
আবেদনের শেষ সময়: ৩১ জানুয়ারি ২০২৫
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সঙ্গে ইবি উপাচার্যের মতবিনিময়
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানা স্থানান্তর না করা এবং বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় একটি ফায়ার স্টেশন স্থাপনের জন্য কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর কাছে দাবি জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) কৃষি মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে সংক্ষিপ্ত মতবিনিময়কালে উপাচার্য এসব দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলোর প্রতি ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেছে বলে নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য, প্রকাশনা ও জনসংযোগের পরিচালক ড. আমানুর আমান।
এ মতবিনিময় সময় উপাচার্য ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলেন। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মধ্যে অবস্থিত। সেখান থেকেই দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পাস ও নির্দিষ্ট এলাকায় থানাটি সেবা কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার গুরুত্ব তুলে ধরে থানাটি যেখানে রয়েছে সেখান থেকেই কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে দাবি জানান। এ নিয়ে এলাকার মানুষের কোন আপত্তি নেই বলেও উপাচার্য স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে অবহিত করেন।
এছাড়াও এ ইবি উপাচার্য অত্র এলাকার জন্য একটি ফায়ার স্টেশন স্থাপন বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী উপাচার্যের উত্থাপিত বিষয়গুলো মনযোগ সহকারে শোনেন এবং বিষয় দু’টিতে তাঁর ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন।
এসময় উপাচার্য আরও বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান প্রতিষ্ঠিত স্বাধীনতা উত্তর প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে এই প্রতিষ্ঠানটির অশেষ গুরুত্ব রয়েছে। তখন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, জায়গা পাওয়া গেলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে একটি ফায়ার স্টেশন প্রতিষ্টা করা যেতে পারে। উপাচার্য তাঁর উত্থাপিত বিষয়গুলোতে ইতিবাচক মনোভাব প্রদর্শনের জন্য স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানান।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম