ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবির সমাজকল্যাণ বিভাগ সংস্কারে ১০ দাবি, ৭ দিনের আল্টিমেটম

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বিভাগ সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করেন সমাজ কল্যাণ বিভাগের চলমান সকল শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা। এসময় বিভাগ সংস্কারের ১০ দফা দাবি উত্থাপন করে ৭ দিনের মধ্যে দৃশ্যমান পদক্ষেপ চান শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবনের সামনে কঠোর কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। এতে ৯ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বিভাগে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলন করেছেন বলে জানান বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
এসময় শিক্ষার্থীরা ‘শিক্ষকের পদে নিয়োগ দেও, শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেও’, ‘শিক্ষা যদি এগিয়ে চাও, শিক্ষা সংকট দূর করাও’, ‘শিক্ষক সংকটের লাগাম টানো, শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ রক্ষা করো’, ‘শিক্ষক সংকট আর না আর না’, ‘ক্লাসরুমের সংকট কাটাও, শিক্ষার গতি বাড়াও’, ‘যথেষ্ট ক্লাসরুম চাই, শিক্ষার মান বাড়াতে চাই’, ‘শিক্ষার্থীর অধিকার দেও, ক্লাসরুম সংকট দূর করাও’, ‘ক্লাসরুম ছাড়া ক্লাস, আর না আর না’, ‘সেশনজটের এই খেল, শিক্ষার্থীর জীবন ফেল’, ‘স্বপ্ন ভাঙে সেশনজটে, পরিবর্তন আনতে হবে’, ‘সময়মতো ডিগ্রি দেও, শিক্ষার্থীর জীবন বাঁচাও’, ‘আজই চাই সমাধান, সেশনজটের অবসান’, ‘অন্য বিভাগে সেমিনার লাইব্রেরি, আমরা কেন লাইব্রেরি হীন’, ‘অন্য বিভাগ সুবিধাপ্রাপ্ত, আমরা কেন অবহেলিত’, ‘শিক্ষকদের রোষানলে, আর না আর না’, ‘অন্য বিভাগ স্বর্গে, আমরা কেন মর্গে’, ‘জবাব চাই জবাব চাই বিভাগ জবাই চাই’, ‘জবাব চাই জবাব চাই প্রশাসন জবাব চাই’ স্লোগান দিতে থাকেন।
শিক্ষার্থীদের দাবিসমূহ হলো নির্দিষ্ট রুটিন প্রনয়ণ এবং প্রতিটি কোর্সের নুন্যতম ক্লাস নিতে হবে। সেশন জট নিরসনে তিন মাসের মধ্যে প্রত্যেক সেমিস্টারের যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। আগামী সাত কার্য দিবসের মধ্যে পুর্নাঙ্গ একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ করতে হবে।পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে এবং শিক্ষক নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত গেস্ট টীচার দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।পর্যাপ্ত ক্লাস রুমের ব্যবস্থা করতে হবে। সেমিনার লাইব্রেরী বরাদ্দ দিতে হবে। ইনকোর্স সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার আগে নিতে হবে এবং নম্বর প্রকাশ করতে হবে। বর্তমান ট্রেজারার, জাহাঙ্গীর আলম স্যারকে সমাজকল্যাণ বিভাগের সার্বিক তত্বাবধানের দায়িত্ব দিতে হবে। প্রতি বছর বিভাগ থেকে শিক্ষাসফরের ব্যবস্থা করতে হবে এবং সেটা সম্পূর্ণ বিভাগের অর্থায়নে করতে হবে। আন্দোলন পরবর্তী প্রভাব কোনো শিক্ষার্থীর উপর যেনো না পড়ে সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা কয়েকবার দাবি জানিয়ে আসছি কিন্তু কোনো কর্ণপাত নাই। ৯ দফার দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলমান থাকবে। প্রয়োজনে আমরণ অনশনে নেমে যাব। শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে কিছু সময় নিতে পারে কিন্তু খণ্ডকালীন শিক্ষক নিয়োগ সহ অন্য দাবিগুলো সব মেনে নিতে হবে। তাদের দাবি সব রোডম্যাপ রাজপথে ঘোষণা দিয়ে ক্লাসে ফেরার সুযোগ দিতে হবে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে বিভাগের সভাপতি জানান, শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নেয়া হয়েছে। সবার চেষ্টায় দ্রুততম সময়ে অর্থাৎ এক সপ্তাহের মধ্যে দৃশ্যমান সংস্কার দেখতে পাবে শিক্ষার্থীরা।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এয়াকুব আলী বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়ে বিভাগের শিক্ষকরা স্বাক্ষর করেছেন। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে উপাচার্যের সম্মতিক্রমে ট্রেজারার অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলমকে সার্বিক তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব দেয়া হয়। খণ্ডকালীন শিক্ষক সহ সব সংকট দ্রুততম সময়ের মধ্যে ট্রেজারার দেখভাল করবেন।
শিক্ষার্থীদের দাবি সমূহের মধ্যে বর্তমান ট্রেজারারকে বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব দেওয়ার প্রসঙ্গ ওঠে আসলে ট্রেজারার অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আগের প্রশাসন কী করছে বা করছে না সেটা দেখার বিষয় না। আমি দায়িত্ব নিয়েছি যেহেতু প্রতিদিন জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে আসা হবে। শিক্ষার্থীদের এইটুকু আশ্বস্ত করতে পারি যে আমি যেখানে থাকবো সেখানে স্বল্প সময়ের মধ্যেই দৃশ্যমান ফলাফল দেখতে পাবে।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
বুধ-বৃহস্পতিবার সিটি কলেজ বন্ধ ঘোষণা

রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব মোড়ে ঢাকা কলেজ ও ঢাকা সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় পালটাপালটি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষ ও সহিংসতা এড়াতে বুধ এবং বৃহস্পতিবার ঢাকা সিটি কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বিকাল ৩টা ২৪ মিনিটে কলেজটির অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) এফ এম মোবারক হোসাইন এ ঘোষণা দেন।
এফ এম মোবারক হোসাইন বলেন, কোনো ধরনের সংঘাতে না জড়িয়ে পুরো বিষয়টি এখন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ছেড়ে দিতে হবে। সিটি কলেজের অবকাঠামোগত যে ক্ষতি হয়েছে তার জন্য প্রশাসনের কাছে আমরা বিচার দিয়েছি। তারাই আমাদের ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করবেন।
তিনি আরও বলেন, পরবর্তী সময়ে যেন কোনো ধরনের সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি না হয় সেজন্য আগামীকাল এবং পরদিন কলেজ বন্ধ থাকবে। এ সময় শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানান তিনি।
এর আগে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পালটাপালটি ধাওয়া শুরু হয়। দুপুর একটার দিকে পুলিশ শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দেয়। দুইটার দিকে টিচার্স ট্রেনিং কলেজের দিক থেকে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা সিটি কলেজের সামনে এসে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
পারভেজ হত্যাকান্ডের বিচারের দাবিতে ইবি ছাত্রদলের মানববন্ধন

সম্প্রতি প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সকলের তদন্ত সাপেক্ষে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা। এসময় মানববন্ধনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্লাটফর্মকে বিলুপ্ত ঘোষণার জন্য সরকারকে আহ্বান জানান তারা।
আজ সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়না চত্বরে এ মানববন্ধন করে শিক্ষার্থীরা। এসময় ইবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ ও সদস্য সচিব মাসুদ রুমী মিথুনের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার পারভেজ, আহসান হাবীব, আনারুল ইসলাম, রোকন উদ্দিন, সদস্য সাব্বির হোসেন, রাফিজ আহমেদ, নুর উদ্দিন, উল্লাস, রোকন, সাক্ষর, সাবিক, রিয়াজ, আলিনুর প্রমুখ।
শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান হাবিব বলেন, জাহিদুল ইসলাম পারভেজকে যারা হত্যা করেছে তাদেরকে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। আমরা বিভিন্ন গণমাধ্যমে জানতে পেরেছি হত্যাকারীরা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে জড়িত। বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা ২৪ শে আন্দোলনের সময় বলেছিলো জুলাই বিপ্লবে সফলতার পর ঢাকা কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে দাড়িয়ে সংগঠনটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হবে কিন্তু তারা বিলুপ্ত ঘোষণা না করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত। জুলাই বিল্পবের পর বাংলাদেশ থেকে ছাত্রলীগ যেমন নিষিদ্ধ করা হয়েছে তেমনি এই প্লাটফর্মকে বিলুপ্ত ঘোষণা করার জন্য যা যা করণীয় সরকার যেন সে সকল ব্যবস্থা নেয়।
মানববন্ধনে ইবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. সাহেদ আহমেদ বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নামধারী কিছু কর্মী দ্বারা দিবালোকে পারভেজকে হত্যা করা হয়েছে কিন্তু এখনো তাদের গ্রেপ্তারের করা হয়নি। শুধু হত্যাকারীদের বিচার করলে হবে না তাদের পিছনে কারা আছে সেটাও তদন্ত করে বিচার করতে হবে।
এসময় তিনি অন্তর্বতীকালীন সরকারকে ইঙ্গিত করে আরো বলেন, আপনারা কৌশলে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন করেতে চেষ্টা করছেন, স্বৈরাচারের দোসর বসুন্ধরা গ্রুপের সাথে লেনদেন করে নিজেদের দল গঠনে ব্যস্ত আছেন। অথচ এসব দোসর আগস্ট পূর্ববর্তী সময়ে খুনি হাসিনার সফর সঙ্গী হয়ে বিদেশ ভ্রমন করত। দেশে বর্তমানে দখলদারিত্বের রাজনীতি চলছে, প্রশাসন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতাদের কথায় চলছে। আমরা কালক্ষেপণ না করে ছাত্রদল নেতা পারভেজ হত্যার অতিদ্রুত বিচার চায় এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে ইবিতে মানববন্ধন

চলমান গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধ ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে র্যালি ও মানববন্ধন করেছে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) জাতীয় শিশু কিশোর সংগঠন ফুলকুঁড়ি আসর, ইবি শাখা।
আজ রবিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ১১ টার দিকে ফুলকড়ি আসরের পরিচালক আহমদ আবদুল্লাহ’র নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে একটি র্যালি বের হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় প্রধান ফটকের সামনে সমবেত হয়।
এসময় র্যালিতে শিশুদের হাতে প্রতীকী লাস, ফিলিস্তিনের পতাকা ও বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। এছাড়া ফ্রম দা রিভার টু দা সি’ প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি, ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন, ওয়ান টু থ্রি ফোর ইজরায়েল নো মোর ইত্যাদি স্লোগান দেয়। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের হাতে ‘স্টান্ড আপ ফর গাজা’, ‘স্টপ কিলিং’, স্টপ কিলিং চিলড্রেন ইন প্যালেস্টাইন’, ‘যুদ্ধ নয় শান্তি চাই’ প্রতীকী প্লেকার্ড দেখা যায়।
মানববন্ধনে সাকসেস বিশ্ববিদ্যালয় কোচিং এর পরিচালক রায়হান জামিল বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ফিলিস্তিনি মুসলমানেরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, জাতিসংঘ, বৃটেন ও আমেরিকার ষড়যন্ত্র ও প্রতারনার শিকার। এছাড়া ১৯৪৮ সালে অবৈধ ইসরায়েলের গণহত্যার শিকার। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে দখলদার ইসরায়েলের গণহত্যায় নারী ও শিশুসহ প্রায় ৫০ হাজার নিরীহ ফিলিস্তিনি শাহাদাত হয়েছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ফিলিস্তিনের রক্ত নিয়ে হলি খেলায় মেতে উঠেছে। ফিলিস্তিনের গাজা ও রাফা পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে তবুও তাদেরকে নগ্ন সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে পশ্চিমা শক্তি সহ আমাদের পাশ্ববর্তী রাষ্ট্র আগ্রাসী ভারত। ইসরায়েলের গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্য মুসলিম হওয়ার প্রয়োজন নাই, ন্যূনতম মনুষ্যত্ববোধ থাকলেই প্রতিবাদ করা সম্ভব। কিন্তু আমরা যাদেরকে আমরা মানবতার ফেরিওয়ালা বলে থাকি তাদের মনুষ্যত্ব, মানবিকতা মৃত দেখতে পাচ্ছি।
সমাবেশে ফুলকড়ি আসরের পরিচালক আহমদ আবদুল্লাহ বলেন, ফিলিস্তিন একদিন স্বাধীন হবে যেটা মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বর্ননা করেছেন। ফিলিস্তিনের বিজয় সুনিশ্চিত, ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর সহ গাজা ও রাফায় ইহুদিবাদী ইসরায়েল যে গণহত্যা চালাচ্ছে সেটা তাদের একটি ভুল সিদ্ধান্ত, কারন মুসলমানদের বিজয় এখান থেকেই শুরু হবে ইনশাআল্লাহ।
উল্লেখ্য, মানববন্ধনে শিশুদের ফিলিস্তিনি শিশুদের লাশের প্রতিকৃতি তুলে ধরা হয়।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
৪৬তম বিসিএস নিয়ে পিএসসির নতুন বিজ্ঞপ্তি

৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা নিয়ে নতুন বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। রবিবার (২০ এপ্রিল) এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
এতে বলা হয়, প্রার্থীকে পরীক্ষা শুরুর ১৫ মিনিট আগে পরীক্ষা কক্ষে প্রবেশ করতে হবে। সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটের পর কাউকে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।
প্রবেশপত্রে উল্লেখিত নির্দেশনা এবং পরীক্ষা পরিচালনা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা পরীক্ষার্থী এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথভাবে প্রতিপালনেরও অনুরোধ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
প্রসঙ্গত, ৪৬তম বিসিসিএসের লিখিত পরীক্ষা (আবশিক বিষয়) আগামী ৮ মে থেকে ১৯ মে পর্যন্ত ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
রোববার সারাদেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা কারিগরি শিক্ষার্থীদের

এবার সারাদেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছেন কারিগরি শিক্ষার্থীরা। ছয় দফা দাবি আদায়ে আগামীকাল (রোববার) দেশব্যাপী এই কমসূচি পালন করবেন তারা।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) ‘রাইজ ইন রেড’ নামে মানববন্ধন কর্মসূচি শেষে মহাসমাবেশের ঘোষণা দেন কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি ও ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী জোবায়ের পাটোয়ারী।
কুমিল্লার কর্মসূচিতে ‘হামলার’ অভিযোগ এনে এর প্রতিবাদে সারা দেশে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের সামনে আজ প্ল্যাকার্ড হাতে ‘রাইজ ইন রেড’ নামে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।
দুপুর পৌনে ১২টার দিকে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মূল ফটকের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ‘রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘দেশ গড়ার হাতিয়ার, গর্জে ওঠো আরেকবার’, ‘কুমিল্লায় হামলা কেন, জবাব চাই জবাব চাই’, ‘কুমিল্লায় হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।
এর আগে শুক্রবার দুপুরে ছয় দফা দাবি আদায়ে মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে গণমিছিল করেন পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা।
মিছিল পরবর্তী এক ব্রিফিংয়ে কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি ও ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী জোবায়ের পাটোয়ারী বলেন, কর্তৃপক্ষকে বলবো, আমাদের দাবি দ্রুততম সময়ের মধ্যে মেনে নিন, আমরা রাজপথ ছেড়ে দেব। কুমিল্লার ভাইদের ওপর হামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করুন, তাদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করুন। আমরা আপনাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে আগ্রহী।
কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি ও ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী মো. মাশফিক ইসলাম দেওয়ান বলেন, এই সরকার আমাদের সরকার, শিক্ষার্থীদের সরকার, বিপ্লবীদের সরকার। এই সরকারকে পূর্ণ সহযোগিতা করতে আমরা প্রস্তুত। কারিগরি শিক্ষা সেক্টরে যে বৈষম্য আছে, আমরা চাই সরকার তা দূর করুক।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটসহ দেশের বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা দাবি আদায়ে মশাল মিছিল করেন। তার আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেও সন্তুষ্ট না হয়ে ছয় দফা দাবিতে তারা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
বুধবার সকাল থেকে ছয় দফা দাবিতে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের সাত রাস্তা, মোহাম্মদপুর ও মিরপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ করেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।