রাজধানী
আজও ঢাকার বাতাস খুব অস্বাস্থ্যকর

বিশ্বে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে মিসরের রাজধানী কায়রো। তবে এ তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে রাজধানীর ঢাকা। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আইকিউ এয়ারের মানসূচকে ঢাকার বায়ুর মান ২১৯। বায়ুর এই মানকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় ও সতর্ক করে। সেই সতর্কবার্তায় নগরবাসীর উদ্দেশে আইকিউ এয়ারের পরামর্শ, বাইরে বের হলে সুস্বাস্থ্যের জন্য অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে।
আজ ছুটির দিনে সাধারণত যানবাহনের চলাচল কম থাকে। কলকারখানার বেশির ভাগ বন্ধ। ঢাকায় বায়ুদূষণের অন্যতম উৎস হলো এই যানবাহন ও কলকারখানার দূষিত ধোঁয়া। তারপরও ঢাকার বায়ুমান খুব অস্বাস্থ্যকর।
দেশের অন্য বিভাগীয় শহরের মধ্যে চট্টগ্রামের বায়ুর মান ১২২, রাজশাহীতে ১৬৯ আর খুলনায় ১৫৯। ঢাকা ও আশপাশের তিন সর্বোচ্চ দূষিত এলাকার মধ্যে আছে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস এলাকা (২৫৩), আগা খান একাডেমি (২৪৭) এবং মহাখালীর আইসিডিডিআরবি ভবন (২২৫)।
ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান উপাদান হলো বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫-এর উপস্থিতি। ঢাকার বাতাসে এর উপস্থিতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানমাত্রার চেয়ে ২৮ গুণ বেশি।
বায়ুদূষণের যে অবস্থা, তা থেকে রক্ষা পেতে আইকিউ এয়ারের পরামর্শ, ঘরের বাইরে গেলে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। খোলা স্থানে ব্যায়াম করা যাবে না। আরও একটি পরামর্শ, ঘরের জানালা বন্ধ রাখতে হবে।
গত রোববার সকালে ঢাকার বায়ুর মান ছিল ৪৫২, পরে তা আরও বেড়েছিল। বায়ুর মান ৩০০-এর বেশি হলেই তাকে দুর্যোগপূর্ণ বলে মনে করা হয়। রোববার ঢাকার দূষিত ১০টি স্থানের প্রতিটির মানই ছিল দুর্যোগপূর্ণ। এর মধ্যে গুলশানের দুটি স্থানের স্কোর ছিল ৭০০-এর ওপর।
যদি কোনো অঞ্চলে পরপর ৩ দিন ৩ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বাই রোমান ৩০০-এর বেশি থাকে বা দুর্যোগপূর্ণ থাকে, তবে সেই অঞ্চলে স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থা জারি করা দরকার বলে মনে করেন পরিবেশবিদেরা।
গত ডিসেম্বরের একটি দিনও নির্মল বায়ু পায়নি রাজধানীবাসী। দূষণসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গবেষণাকারী প্রতিষ্ঠান ক্যাপসের এক জরিপে দেখা গেছে, ডিসেম্বরে যত বায়ুদূষণ ছিল, তা গত ৯ বছরে সর্বোচ্চ।
ক্যাপসের গবেষণায় দেখা গেছে, গত বছরের ডিসেম্বরে বায়ুর গড় মান ছিল ২৮৮। ২০১৬ সালের থেকে এত খারাপ কখনোই হয়নি। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে বায়ুর মান ছিল ১৯৫। গত ৯ বছরে ডিসেম্বরে ঢাকার বায়ুর মান ছিল ২১৯ দশমিক ৫৪। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে এই মান ৩১ ভাগের বেশি বেড়ে গেছে। আর ২০২৩ সালের তুলনায় বেড়েছে ২৬ ভাগের বেশি।
কাফি

রাজধানী
বৃষ্টিতে ঢাকার বায়ুমানে উন্নতি, দূষণের শীর্ষে কিনশাসা

একদিনের ব্যবধানে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে ঢাকার বাতাসে। সাধারণত বর্ষাকালে ঢাকার বায়ুমান সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও গতকাল রোববার বেশ দূষিতই ছিল। আজ সকাল থেকেই বৃষ্টি থাকার কারণে আবার সহনীয় পর্যায়ে নেমে এসেছে দূষণ।
বায়ুদূষণ ও বাতাসের গুণমান সূচক নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ারের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ৫৪, যা সহনীয় পর্যায়ের বাতাসের নির্দেশক। দূষিত শহরের তালিকায় আজ ঢাকার অবস্থান অনেক নিচে—৬৪তম।
গতকাল রোববার ১৪৭ বায়ুমান নিয়ে ৮ম স্থানে ছিল ঢাকা। গত রাজধানী শহরের বাতাস সংবেদনশীল স্বাস্থ্যের মানুষের জন্য অস্বাস্থ্যকর ছিল। তবে, তার আগে টানা বেশ কয়েকদিন সহনীয় পর্যায়ে ছিল ঢাকার বাতাস।
আজ বায়ুদূষণের তালিকায় শীর্ষে আছে কঙ্গোর কিনশাসা। গত কয়েকদিন ধরেই দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষে থাকছে শহরটি। আজ শহরটির বায়ুমান ১৭৩, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক। শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো—ভিয়েতনামের হ্যানোয়, চিলির সান্তিয়াগো, উগান্ডার কাম্পালা ও পাকিস্তানের লাহোর। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ১৬৮, ১৬৫, ১৬৪ ও ১৬২।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ-এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
কাফি
রাজধানী
ঢাকাস্থ নলছিটি উপজেলা সমিতির সভাপতি হাজী মহসীন, সম্পাদক দেলোয়ার

ঢাকাস্থ নলছিটি উপজেলা কল্যাণ সমিতির ২০২৫-২০২৮ মেয়াদের নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে হাজী মো. মহসীন আলী খান সভাপতি এবং অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন ফেরদাউস সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।
সম্প্রতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার দেলোয়ার হোসেন, মিঞা আহমেদ কিবরিয়া ও মনিরুজ্জামান খোকন তালুকদারের নেতৃত্বে নির্বাচনী প্রক্রিয়া শেষ করে এই কমিটির ঘোষণা করা হয়।
২৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে সহ-সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন নাসির উদ্দিন মজিবর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন খান। সাংগঠনিক সম্পাদক আক্তার হোসেন রিপন এবং অর্থ সম্পাদক সোহেল রানা (বাবু)। কমিটি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, সমিতি নলছিটি উপজেলার ঢাকাস্থ বাসিন্দাদের ঐক্যবদ্ধ করা ছাড়াও শিক্ষা, মানবিক উন্নয়ন ও সমাজকল্যাণমূলক কর্মকান্ডে ভুমিকা রাখবে। বিশেষ করে গরিব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানো এবং এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে সহযোগিতা করবে।
কাফি
রাজধানী
টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতায় স্থবির রাজধানী, চরম দুর্ভোগে মানুষ

রাজধানীতে টানা বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতা, যানজট ও রাস্তায় জানি জমে সৃষ্টি হয়েছে জনদুর্ভোগ। বুধবার (৯ জুলাই) সকাল থেকে থেমে থেমে কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি, কখনো ভারী বৃষ্টির কারণে ঢাকার বহু এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। বিশেষ করে ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ ও শিক্ষার্থীরা। অনেকেই সকালবেলা কর্মস্থলে পৌঁছাতে পারেননি, কেউ কেউ বাধ্য হয়ে বাসায়ই থেকে গেছেন। দিনমজুর, রিকশাচালক ও খেটে খাওয়া মানুষের জন্য দিনটি হয়ে উঠেছে দুর্বিষহ।
ধানমন্ডি, মিরপুর, মোহাম্মদপুর, মালিবাগসহ অনেক এলাকায় রাস্তায় হাঁটু পানি জমে চলাচল হয়ে পড়েছে কঠিন। এসব এলাকার বাসিন্দারা আশঙ্কা করছেন, বৃষ্টি এভাবে চলতে থাকলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন রিকশাচালকরা। মালিবাগ এলাকায় দোকানের ছাউনির নিচে রিকশা ফেলে আশ্রয় নিয়েছেন কয়েকজন। তাদের একজন বলেন, “লোকজন বের হয় না, তাই ভাড়া পাই না। রিকশার চাকা না ঘুরলে খাওয়া জোটে না। কয়েকদিন ধরে যা বৃষ্টি হচ্ছে, মনে হয় না খেয়ে থাকতে হবে।”
মোহাম্মদপুরের এক বাসিন্দা বলেন, “প্রতিবারই বৃষ্টি হলে রাস্তাঘাট ডুবে যায়। এবারও একই অবস্থা। একদিনের বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা। বাসা থেকে বের হতে পারি না। সিটি করপোরেশন শুধু আশ্বাস দেয়, কাজ করে না।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী জানান, “সকাল থেকে যানবাহন পেতে অনেক কষ্ট হয়েছে। রাস্তায় যানজট, ক্লাসে সময়মতো পৌঁছানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে।”
বৃষ্টির ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে রাইড শেয়ারিং মোটরসাইকেল চালকদেরও। এক যাত্রী জানান, মোহাম্মদপুর থেকে মতিঝিল যাওয়ার উদ্দেশ্যে রাইড বুক করলেও যানজটে আটকে শাহবাগেই নামতে হয়েছে। চালক বলেন, “গতকাল থেকে ভিজে ভিজে কাজ করছি। আজ সকাল থেকেও কোনো ভাড়া পাইনি, এখন শরীর খারাপ লাগছে।”
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে সক্রিয় মৌসুমি বায়ু এবং লঘুচাপের প্রভাবে আগামী কয়েকদিন সারা দেশে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু স্থানে মাঝারি থেকে ভারী কিংবা অতি ভারী বৃষ্টিপাত এবং দমকা হাওয়াসহ বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
কাফি
রাজধানী
জুলাই ঐক্যের ‘মার্চ ফর জুলাই রিভাইভস’ পদযাত্রা আগামীকাল

আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে জুলাই মাস। এ জন্য নতুন কর্মসূচি ঘোষণা গণ-অভ্যুত্থানের স্প্রিট ধারণ করা ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্ম জুলাই ঐক্য। ফ্যাসিবাদমুক্ত গণমাধ্যম, শেখ হাসিনার বিচার, জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্রের দাবিতে পহেলা জুলাই ‘মার্চ ফর জুলাই রিভাইভস’ (প্রেসক্লাব থেকে শাহবাগে পদযাত্রা) কর্মসূচি পালন করবে তারা।
সোমবার (৩০ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে অব্যাহত লড়াই, সংগ্রাম এবং রাজনৈতিক জনগোষ্ঠী ও আপামর ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগ ও কোরবানির মাধ্যমে চব্বিশের অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা পেয়েছি একটি ফ্যাসিবাদমুক্ত নতুন বাংলাদেশ। যে বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্বপ্ন বুকে নিয়ে গুলির সামনে বুক পেতে দিয়েছিল আবু সাঈদ, মুগ্ধ ওয়াসিমরা।
‘গত ১১ মাসে সে বাংলাদেশ তৈরি হয়নি। দুঃখজনক হলেও এটাই সত্যি অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে কিছু কিছু জায়গায় এখনও রয়েছে বৈষম্য। লক্ষণীয় সংস্কার হয়নি সচিবালয়ে। গণমাধ্যম এখনও ফ্যাসিবাদের দখলে। কালচারাল ফ্যাসিস্টরা এখনো গণ-অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছে।’
‘শহীদ পরিবারগুলো এখনো বিচারের অপেক্ষায়। আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলেও প্রশাসনের দুর্বলতার কারণে এখনো বিভিন্নভাবে কর্মসূচি পালন করছে দলটির অঙ্গসংগঠনের নেতারা।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ১১ মাসেও রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছতে পারেনি। যার কারণে এখনো জুলাই সনদের নেই কোনো অগ্রগতি। দুই দফা সময় নির্ধারণ করেও ঘোষণাপত্র দিতে ব্যর্থ হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সবগুলো বিষয় বিবেচনায় নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে আগামীকাল (মঙ্গলবার) ‘মার্চ ফর জুলাই রিভাইভস’ কর্মসূচি শেষে ৩৬ জুলাইয়ের পূর্ণাঙ্গ কর্মসূচি ঘোষণা করবে গণ-অভ্যুত্থানের ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্ম জুলাই ঐক্য।
এ ছাড়াও ফ্যাসিবাদমুক্ত গণমাধ্যম, শেখ হাসিনার বিচার, জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্রের দাবিতে ‘মার্চ ফর জুলাই রিভাইভস’ কর্মসূচি সফল করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জুলাই ঐক্য।
রাজধানী
‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আমাদের সাথে অনেক অন্যায় করছেন’
