কর্পোরেট সংবাদ
চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংকগুলোর মুনাফায় শীর্ষে এনআরবিসি ব্যাংক

বিদায় নিয়েছে ঘটনাবহুল ২০২৪ সাল। স্বৈরাচার পতনের আন্দোলনের ছোয়া লাগে অর্থনৈতিক খাতেও। কয়েকটি ব্যাংক দূর্বৃত্তায়নের ছোবলে বেকায়দায় পড়লেও অধিকাংশ ব্যাংক গ্রাহকদের আস্থা ও বিশ্বাসে অগ্রগতির ধারায় রয়েছে। যার ফলে ২০২৪ সালের বার্ষিক হিসেবে অধিকাংশ ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা বেড়েছে। চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংকগুলোর পরিচালন মুনাফাও আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে। এই প্রজন্মের ব্যাংকগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ মুনাফা অর্জন করেছে এনআরবিসি ব্যাংক।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০২৪ সালের প্রাথমিক হিসাব-নিকাশ সম্পন্ন করেছে ব্যাংকগুলো। তবে বিস্তারিত ব্যালান্সশিট প্রস্তুত করতে আরও কয়েক মাস সময় লেগে যাবে। প্রাথমিক হিসাব-নিকাশ ব্যাংকের অভ্যন্তরীন ও বহি:নিরীক্ষক দ্বারা যাচাই-বাছাই এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন শেষে চূড়ান্ত হবে। তাই প্রাথমিকভাবে পরিচালন মুনাফার যে তথ্য পাওয়া গেছে তা চূড়ান্ত নয়। আবার এই পরিচালন মুনাফা ব্যাংকের প্রকৃত বা নিট মুনাফা নয়। এই পরিচালন মুনাফা থেকে প্রভিশন সংরক্ষন এবং কর পরিশোধের পর নিট মুনাফা জানা যাবে। তাই আনুষ্ঠানিকভাবে কোন ব্যাংকই তাদের পরিচালন মুনাফার তথ্য প্রকাশ করতে রাজি হয়নি।
প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, চতুর্থ প্রজন্মের ৯টি ব্যাংকের মধ্যে ৬টি ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪১৯ পরিচালন মুনাফা করেছে এনআরবিসি ব্যাংক। ২০২৩ সালে ব্যাংকটির মুনাফা ছিল ৩৭৪ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে এনআরবিসি ব্যাংকের মুনাফা বেড়েছে প্রায় ১২ শতাংশ। এদিকে আমানত সংগ্রহ, ঋণ বিতরণ ও অতিরিক্ত তারলেও সমসাময়িক ব্যাংকগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে এনআরবিসি ব্যাংক।
চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংকগুলোর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৩৮ কোটি টাকা করেছে মধুমতি ব্যাংক। গত বছর ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা ছিল। এছাড়া সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স (এসবিএসি) ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা ২২৪ কোটি টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০৪ কোটি টাকা। ২০২৩ সালে ১৭৪ কোটি টাকা মুনাফা করা মিডল্যান্ড ব্যাংক বিদায় বছরে পরিচালন মুনাফা অর্জন করেছে ২১০ কোটি টাকা। এছাড়া মেঘনা ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা ১৬৫ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ২০৫ কোটি টাকা এবং এনআরবি ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা ১৪৩ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ২০২৪ সাল শেষে হয়েছে ২০২ কোটি টাকা।
চতুর্থ প্রজন্মের পদ্মা ব্যাংক কয়েক বছর ধরেই লোকসানের ধারায় রয়েছে। অন্যদিকে এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন ইউনিয়ন ব্যাংক এবং গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক সংঘবদ্ধ দুর্নীতির কারণে ডুবতে বসেছে। ব্যাংক দুটির ক্ষতের পরিমান জানতে আন্তর্জাতিক নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান দ্বারা বিশদ ফরেনসিক পরিদর্শন শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এনআরবিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ব্যাংকের মুনাফা কত হয়েছে এটি এখনো বলার সময় আসেনি। তবে এনআরবিসি ব্যাংক চেষ্টা করেছে সর্বোত্তম সেবা দিয়ে গ্রাহকদের আস্থা অর্জনের। এজন্য আমাদের আমানত সংগ্রহ বেড়েছে। অন্যদিকে ঋণের আদায়ও বেড়েছে। নতুন বছরে আমাদের লক্ষ্য প্রান্তিক মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য অর্থায়ন নিশ্চিত করা। অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করতে আমরা সমাজে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ও নিম্ন আয়ের মানুষদেরকেই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেবা দিয়ে যাবো।
এদিকে দেশের বড় ব্যাংকগুলোর মুনাফায় বড় ধরনের উলম্ফন হয়েছে। ২০২৪ সালে ব্র্যাক ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা হয়েছে ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। এছাড়া পূবালী ব্যাংকের ২ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকা, সিটি ব্যাংকের ২ হাজার ২৮৭ কোটি টাকা, ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ২ হাজার ২৮৫ কোটি টাকা, ব্যাংক এশিয়ার ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা, ইস্টার্ন ব্যাংকের ১ হাজার ৬৭৫ কোটি টাকা, প্রাইম ব্যাংকের ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ১ হাজার ১১০ কোটি টাকা, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ১ হাজার ৫০ কোটি টাকা, এক্সিম ব্যাংকের ৯৭৫ কোটি টাকা, প্রিমিয়ার ব্যাংকের ৮৫০ কোটি টাকা, ওয়ান ব্যাংকের ৮৩০ কোটি টাকা ও মার্কেন্টাইল ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা হয়েছে ৬৪৪ কোটি টাকা।
ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) ভাইস চেয়ারম্যান ও সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাসরুর আরেফিন গণমাধ্যমে বলেন, ঋণের সুদহারের ঊর্ধ্বসীমা উঠে যাওয়ার পর তাদের নিট সুদ আয় বেড়েছে। আপনি বিশ্লেষণ করলে দেখবেন, ভালো ব্যাংকগুলোর মোট সুদ আয়ের ৬০-৭০ শতাংশ আসছে ঋণ খাত থেকে। আর ২০ শতাংশের মতো সরকারি বিল-বন্ডে বিনিয়োগ থেকে এবং বাকিটা অন্য ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট ইত্যাদি রেখে।
তিনি আরও বলেন, দেশের ভালো ব্যাংকগুলো এখন তাদের আয়ের এক-চতুর্থাংশই সুদের বাইরে থেকে আয় করা শুরু করেছে। অর্থাৎ জনগণকে নানা সেবা দিয়ে তার বিনিময়ে সামান্য ফি-কমিশন চার্জ করে তারা আয় বাড়াতে পারছে। সুদনির্ভর ব্যালান্স শিট থেকে সেবা বাবদ অর্জিত ফি নির্ভর ব্যালান্স শিটে যেতে পারাটা সত্যিকারের আধুনিক ব্যাংকিং। আবার এটিও সত্যি যে এ বছর অনেক ব্যাংক পারফরম্যান্স খারাপ করার কারণে তুলনামূলক সুনামসম্পন্ন ব্যাংকগুলো আরো বেশি ভালো করেছে।
কাফি

কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং: ২০ হাজার কোটি টাকার আমানতের মাইলফলক

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির এজেন্ট ব্যাংকিং আমানত সংগ্রহে ২০ হাজার কোটি টাকা অতিক্রম করে দেশের এজেন্ট ব্যাংকিং সেক্টরে নতুন মাইলফলক সৃষ্টি করেছে। এটি দেশের এজেন্ট ব্যাংকিং চ্যানেলে মোট আমানতের প্রায় ৪২ শতাংশ ও এখাতে সর্বোচ্চ। সরাসরি ব্যাংকিং সেবা থেকে বঞ্চিত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ব্যাংকের পক্ষ থেকে নিযুক্ত এজেন্টের মাধ্যমে সহজে ব্যাংকিং সেবায় অন্তর্ভুক্তি করে আসছে ইসলামী ব্যাংক।
২০১৭ সালে কার্যক্রম শুরু থেকে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং গ্রাহকদের আস্থা ও গ্রহণযোগ্যতায় খুব দ্রুত প্রসার লাভ করেছে। মাত্র নয় বছরের ব্যবধানে ২০ হাজার কোটি টাকা আমানত সংগ্রহের মাধ্যমে দেশের ব্যাংকিং সেক্টরে এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম আস্থার নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং গ্রাহক সংখ্যার দিক থেকে দেশের শীর্ষস্থানে অবস্থান করছে। বর্তমানে গ্রাহকের সংখ্যা ৫৩ লাখের বেশি। এর সবচেয়ে বড় সাফল্য হলো, গ্রাহকদের প্রায় অর্ধেকই নারী। আবার গ্রাহকদের সিংহভাগই গ্রাম এলাকার। এই গ্রাহকরা নির্বিঘ্নে আমানত জমা ও উত্তোলন করছেন যেখানে দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ গড়ে প্রায় ১ হাজার কোটির বেশি।
এছাড়া, এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটের মাধ্যমে প্রবাসী আয় বিতরণেও রয়েছে আরেকটি বড় সফলতা। বর্তমানে দেশের এজেন্ট ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স আহরণে ব্যাংকটি শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। ২০২৪ সালে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আসা রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ১৫ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা, যা এ খাতের মোট রেমিট্যান্সের ৫৪ শতাংশেরও বেশি। ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত এই পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৯৮৪ কোটি টাকা। ব্যাংকের বিস্তৃত নেটওয়ার্কের মাধ্যমে প্রবাসীদের পরিবারের সদস্যরা সহজেই তাদের প্রাপ্য অর্থ উত্তোলন করতে পারছেন। এই সেবা দেশের অর্থনীতিতে প্রবাসী আয়ের প্রবাহকে শক্তিশালী করছে এবং হুন্ডির মতো অবৈধ চ্যানেল ব্যবহারে গ্রাহকদের নিরুৎসাহিত করছে।
ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং বর্তমানে দেশের ৪৭২টি উপজেলায় ২৭৯১টি আউটলেটের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। এই আউটলেটগুলোর অধিকাংশই প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় অবস্থিত, যেখানে ঐতিহ্যগত ব্যাংকিং সেবা পৌঁছানো কঠিন। প্রতিটি আউটলেট ব্যাংকের শাখা থেকে সরাসরি তত্ত্বাবধানে পরিচালনার মাধ্যমে গ্রাহকদের জন্য উচ্চমানের সেবা, আর্থিক নিরাপত্তা ও আস্থার নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়। আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির যেমন সেলফিন অ্যাপ, আই-ব্যাংকিং, পয়েন্ট অব সেলস (পিওএস) এবং কিউআর কোডের মাধ্যমে টাকা উত্তোলনের সুবিধা গ্রাহকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় ও সহজলভ্য করে তুলেছে।
ইসলামী ব্যাংকের পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প (আরডিএস) এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বর্তমানে ১৩৫টি এজেন্ট আউটলেটের মাধ্যমে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ বিতরণ করা হচ্ছে, যা গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর আর্থিক ক্ষমতায়ন ও উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে সহায়ক হচ্ছে। এই বিনিয়োগ কার্যক্রম গ্রামীণ অর্থনীতিকে গতিশীল করছে এবং স্থানীয় পর্যায়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করছে।
ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের ২০ হাজার কোটি টাকা আমানত সংগ্রহের সাফল্যের পেছনে রয়েছে বেশ কিছু মূল কারণ। ব্যাংকটির আমানতদারিতা ও শরীয়াহ পরিপালনে একনিষ্ঠতা গ্রাহকদের আস্থা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির আওতায় আনার প্রতি ব্যাংকের অঙ্গীকার ও স্থানীয় পর্যায়ে এজেন্ট আউটলেটের স্বত্বাধিকারীদের পরিচিতি গ্রাহকদের সাচ্ছন্দ্য বোধ করতে সহায়ক হয়েছে। এছাড়া, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং ব্যয়-সাশ্রয়ী সেবা প্রদান এই সাফল্যকে আরও ত্বরান্বিত করেছে।
কাফি
কর্পোরেট সংবাদ
বিকাশ থেকে বাংলালিংকে সর্বোচ্চ রিচার্জকারীরা জিতলেন বাইক, এসি-ফ্রিজ

বিকাশ থেকে বাংলালিংক নাম্বারে সর্বোচ্চ অ্যামাউন্ট রিচার্জ করে গ্রাহকরা জিতে নিয়েছেন বাইক, এসি ও ফ্রিজ কুপন। পাশাপাশি, ২৯ মে থেকে ৪ জুন পর্যন্ত চলা মেগা গিফট ক্যাম্পেইনে প্রতিদিন সর্বোচ্চ রিচার্জকারী ৫০ জন গ্রাহক পেয়েছেন ৩০০ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন অংকের ক্যাশব্যাক। গ্রাহকদের নিত্য প্রয়োজনীয় মোবাইল রিচার্জ সেবাটিকে আরও সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় করতেই এই ক্যাম্পেইনটির আয়োজন করে বিকাশ ও বাংলালিংক।
ক্যাম্পেইনে সর্বোচ্চ রিচার্জকারী গ্রাহকের জন্য ছিল ১ লাখ ১৮ হাজার টাকা মূল্যের মোটরবাইক কুপন। ২য় এবং ৩য় সর্বোচ্চ রিচার্জকারী পান যথাক্রমে ৪৮ হাজার টাকা মূল্যের এসি কুপন এবং ৩৯ হাজার টাকা মূল্যের ফ্রিজ কুপন। সম্প্রতি বিকাশ কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তাঁদের হাতে মোটরবাইক, এসি, ও ফ্রিজের কুপনগুলো তুলে দেয়া হয়।
বিকাশে অন্যতম জনপ্রিয় সেবা- অ্যাপ অথবা ইউএসএসডি কোড *২৪৭# -এর মাধ্যমে মোবাইল রিচার্জ করা যায়। আর এই সেবায় বিকাশের সঙ্গে শুরু থেকেই যুক্ত আছে দেশের শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক। বিকাশ থেকেই সবচেয়ে সহজে ও স্বাচ্ছন্দ্যে ইন্টারনেট, মিনিট, বান্ডেল, স্পেশাল রেট, বিনোদন সহ মোবাইল রিচার্জের বিভিন্ন অফার পছন্দানুযায়ী গ্রহণ করতে পারছেন গ্রাহকরা।
কাফি
কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংকের মুদারাবা হজ্জ ও ওমরাহ সেভিংস স্কিম

হজ্জ ও ওমরাহ পালনে আগ্রহী ব্যক্তিদের দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসিতে রয়েছে মুদারাবা হজ্জ সেভিংস অ্যাকাউন্ট (এমএইচএসএ) ও মুদারাবা উমরাহ সেভিংস স্কিম। এ দুটি স্কিম গ্রাহকদের ধাপে ধাপে অর্থ সঞ্চয় করতে সহায়তা করে এবং আর্থিক ও মানসিক প্রস্তুতির মাধ্যমে পবিত্র হজ্জ ও ওমরাহ পালন সহজতর করে।
এ সঞ্চয় হিসাবের মাধ্যমে গ্রাহকগণ হজ্জ বা ওমরাহ পালনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যয়- যেমন, ভিসা, বিমান ভাড়া, থাকা-খাওয়া এবং অন্যান্য খরচের- অগ্রিম প্রস্তুতির মাধ্যমে নির্বিঘ্নে পরিচালনা করতে পারেন।
হজ্জ পালনে ইচ্ছুক ব্যক্তি তার সামর্থ ও পরিকল্পনা অনুযায়ী এক থেকে পঁচিশ বছর মেয়াদে মুদারাবা হজ্জ সেভিংস অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। মুদারাবা পদ্ধতিতে সর্বোচ্চ মুনাফা প্রদান করা হয় এ অ্যাকাউন্টে। গ্রাহক তার পরিকল্পনা ও আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী হিসাবের মেয়াদের ভিত্তিতে কিস্তির পরিমাণ নির্ধারিত করতে পারেন বিধায় হজ্জের জন্য টাকা জমানো অধিকতর সহজ হয়। গ্রাহক হিসাবের পূর্বনির্ধারিত মেয়াদের পূর্বেই হজ্জ সম্পাদনে আগ্রহী হন তাহলে তিনি তাঁর মুদারাবা হজ্জ সঞ্চয় হিসাবে জমাকৃত অর্থের সাথে ঐ বছর নির্ধারিত হজ্জের টাকার অবশিষ্টাংশ জমা করে হজ্জ পালন করতে পারবেন।
একইভাবে ওমরাহ পালনে ইচ্ছুক ব্যক্তি তার সামর্থ ও পরিকল্পনা অনুযায়ী ১-১২ বছর মেয়াদে মাসিক কিস্তিতে উমরাহর টাকা জমা করতে পারেন। ১৮ বছর বা তদূর্ধ্ব ব্যক্তি নিজ নামে এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির ক্ষেত্রে তার নামে পিতামাতা অথবা আইনগত অভিভাবক এই হিসাব খুলতে পারবেন। মুদারাবা পদ্ধতিতে মুনাফা প্রদান করা হয় এ অ্যাকাউন্টে। ইসলামী ব্যাংকের যেকোন শাখা, উপশাখা কিংবা এজেন্ট আউটলেটে এই অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। হিসাব খোলার জন্য হিসাবধারী ও নমিনির এক কপি করে মোট দুই কপি সত্যায়িত ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র কিংবা পাসপোর্টের কপি দিয়ে এ হিসাব খোলা যায়। সেলফিন অ্যাপ ব্যবহার করেও গ্রাহক নিজে নিজে এই অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন।
মাসিক কিস্তির টাকা পরিশোধে কোন ঝামেলা নেই। শাখায় সঞ্চয় হিসাব থেকে হজ্জ ও ওমরাহ অ্যাকাউন্টে মাসিক কিস্তির টাকা স্থানান্তরের জন্য “বিশেষ নির্দেশনা” প্রদানের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কিস্তির টাকা পরিশোধ করা যায়। এছাড়া সেলফিন অ্যাপ ও আই-ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে নিজেই কিস্তির টাকা ট্রান্সফার করতে পারেন।
কাফি
কর্পোরেট সংবাদ
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চট্টগ্রাম অঞ্চলের মানবসম্পদ ও ব্যবসায় উন্নয়ন সভা

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসি’র চট্টগ্রাম অঞ্চলের শাখা ও উপশাখা সমূহের ‘মানবসম্পদ ও ব্যবসায় উন্নয়ন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি চট্টগ্রামের শাহীন গল্ফ অ্যান্ড কান্ট্রি ক্লাবের মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) আবু রেজা মো. ইয়াহিয়ার সভাপতিত্বে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মান্নান এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।
সভায় উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম, ইনভেস্টমেন্ট মনিটরিং অ্যান্ড রিকভারি ডিভিশন প্রধান মিজানুর রহমান, এফএসআইবি ট্রেনিং অ্যান্ড রিসার্চ একাডেমির ইভিপি মোহাম্মদ রোকন উদ্দিন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ অঞ্চল প্রধান আহমেদ আশিক রাজী ও প্রধান কার্যালয়ের পিএবিসিডি প্রধান মো. খায়রুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্যাংকের চট্টগ্রাম উত্তর অঞ্চল প্রধান মোহাম্মদ মুস্তাফা। দিনব্যাপী এ সভায় চট্টগ্রাম অঞ্চলের ৩৬জন শাখা ব্যাবস্থাপক, ৩৬জন ম্যানেজার অপারেশনস, ৩০জন উপশাখা ইনচার্জসহ মোট ১৩৮জন নির্বাহী ও কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।
সভায় চট্টগ্রাম অঞ্চলের শাখা ও উপশাখাসমূহের ব্যবসায়িক পারফরমেন্স পর্যালোচনা করা হয়। এ সময় শাখা ও উপশাখাসমূহকে গ্রাহকসেবার মান উন্নয়ন, নতুন আমানত সংগ্রহ, খেলাপী বিনিয়োগ আদায়, বৈদেশিক বাণিজ্য বৃদ্ধি, বিনিয়োগ সম্প্রসারণ এবং মানবসম্পদের দক্ষতা ও মানোন্নয়নের বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়। একই সাথে গত ১০ মাসে সাড়ে ১০ লক্ষাধিক নতুন হিসাব খোলা, ৩ হাজার ৮ শত কোটি টাকার আমানত সংগ্রহ, ৩ হাজার কোটি টাকার খেলাপী বিনিয়োগ আদায় এবং সার্বিক কর্মকান্ডে গতিশীলতা আনার জন্য ব্যাংকের সকল স্তরের নির্বাহী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ধন্যবাদ জানানো হয়।
কাফি
কর্পোরেট সংবাদ
এখন বিদ্যুৎ বিল দেওয়া যাচ্ছে বিকাশ মার্চেন্ট পয়েন্ট থেকেও

এখন বিকাশ অ্যাপ ও এজেন্ট পয়েন্টের পাশাপাশি দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা বিকাশের আড়াই লাখেরও বেশি মার্চেন্ট পয়েন্ট থেকে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে পারছেন গ্রাহকরা। ফলে, বিকাশের মাধ্যমে সবচেয়ে সহজে, ঝামেলাহীনভাবে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের সুযোগ আরও বিস্তৃত হলো।
বর্তমানে, বিকাশ অ্যাপের ‘পে বিল’ আইকন থেকে প্রায় সব সরকারি প্রতিষ্ঠানের ইউটিলিটি বিল দেয়া যাচ্ছে। পাশাপাশি, দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা বিকাশের সাড়ে ৩ লাখ এজেন্ট পয়েন্ট থেকেও বিদ্যুৎ বিল সহ বিভিন্ন সেবার বিল দিতে পারছেন গ্রাহকরা। এখন তার সাথে যুক্ত হওয়া আড়াই লাখ মার্চেন্ট পয়েন্ট থেকে বিদ্যুৎ বিল দেয়ার এই সুযোগ বাড়তি স্বাচ্ছন্দ্য এনে দিচ্ছে গ্রাহকদের। অন্যদিকে, মার্চেন্টরাও বিকাশে পণ্য ও সেবার মূল্য গ্রহণের পাশাপাশি ক্রেতাদের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের সেবা দিয়ে ক্যাশলেস লেনদেনকে আরও উৎসাহিত করার সুযোগ পেলেন।
উল্লেখ্য, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, টেলিফোন, ভুমি সেবা, পাসপোর্টসহ বিভিন্ন সেবার সরকারি ফি এবং ইন্টারনেট, টিভি ইত্যাদি সহ প্রায় সব ধরনের ইউটিলিটি বিল পরিশোধ করার সবচেয়ে বড় প্ল্যাটফর্ম বিকাশ। প্রতিনিয়ত আরও নতুন প্রতিষ্ঠান যুক্ত হচ্ছে বিলার-এর তালিকায়। গ্রাহক চাইলে বিল প্রদানের পর পরিবেশ-বান্ধব ডিজিটাল রশিদ/রিসিটও ডাউনলোড করে সংরক্ষণ করতে পারেন।
কাফি