কর্পোরেট সংবাদ
চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংকগুলোর মুনাফায় শীর্ষে এনআরবিসি ব্যাংক
বিদায় নিয়েছে ঘটনাবহুল ২০২৪ সাল। স্বৈরাচার পতনের আন্দোলনের ছোয়া লাগে অর্থনৈতিক খাতেও। কয়েকটি ব্যাংক দূর্বৃত্তায়নের ছোবলে বেকায়দায় পড়লেও অধিকাংশ ব্যাংক গ্রাহকদের আস্থা ও বিশ্বাসে অগ্রগতির ধারায় রয়েছে। যার ফলে ২০২৪ সালের বার্ষিক হিসেবে অধিকাংশ ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা বেড়েছে। চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংকগুলোর পরিচালন মুনাফাও আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে। এই প্রজন্মের ব্যাংকগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ মুনাফা অর্জন করেছে এনআরবিসি ব্যাংক।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০২৪ সালের প্রাথমিক হিসাব-নিকাশ সম্পন্ন করেছে ব্যাংকগুলো। তবে বিস্তারিত ব্যালান্সশিট প্রস্তুত করতে আরও কয়েক মাস সময় লেগে যাবে। প্রাথমিক হিসাব-নিকাশ ব্যাংকের অভ্যন্তরীন ও বহি:নিরীক্ষক দ্বারা যাচাই-বাছাই এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন শেষে চূড়ান্ত হবে। তাই প্রাথমিকভাবে পরিচালন মুনাফার যে তথ্য পাওয়া গেছে তা চূড়ান্ত নয়। আবার এই পরিচালন মুনাফা ব্যাংকের প্রকৃত বা নিট মুনাফা নয়। এই পরিচালন মুনাফা থেকে প্রভিশন সংরক্ষন এবং কর পরিশোধের পর নিট মুনাফা জানা যাবে। তাই আনুষ্ঠানিকভাবে কোন ব্যাংকই তাদের পরিচালন মুনাফার তথ্য প্রকাশ করতে রাজি হয়নি।
প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, চতুর্থ প্রজন্মের ৯টি ব্যাংকের মধ্যে ৬টি ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪১৯ পরিচালন মুনাফা করেছে এনআরবিসি ব্যাংক। ২০২৩ সালে ব্যাংকটির মুনাফা ছিল ৩৭৪ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে এনআরবিসি ব্যাংকের মুনাফা বেড়েছে প্রায় ১২ শতাংশ। এদিকে আমানত সংগ্রহ, ঋণ বিতরণ ও অতিরিক্ত তারলেও সমসাময়িক ব্যাংকগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে এনআরবিসি ব্যাংক।
চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংকগুলোর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৩৮ কোটি টাকা করেছে মধুমতি ব্যাংক। গত বছর ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা ছিল। এছাড়া সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স (এসবিএসি) ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা ২২৪ কোটি টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০৪ কোটি টাকা। ২০২৩ সালে ১৭৪ কোটি টাকা মুনাফা করা মিডল্যান্ড ব্যাংক বিদায় বছরে পরিচালন মুনাফা অর্জন করেছে ২১০ কোটি টাকা। এছাড়া মেঘনা ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা ১৬৫ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ২০৫ কোটি টাকা এবং এনআরবি ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা ১৪৩ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ২০২৪ সাল শেষে হয়েছে ২০২ কোটি টাকা।
চতুর্থ প্রজন্মের পদ্মা ব্যাংক কয়েক বছর ধরেই লোকসানের ধারায় রয়েছে। অন্যদিকে এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন ইউনিয়ন ব্যাংক এবং গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক সংঘবদ্ধ দুর্নীতির কারণে ডুবতে বসেছে। ব্যাংক দুটির ক্ষতের পরিমান জানতে আন্তর্জাতিক নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান দ্বারা বিশদ ফরেনসিক পরিদর্শন শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এনআরবিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ব্যাংকের মুনাফা কত হয়েছে এটি এখনো বলার সময় আসেনি। তবে এনআরবিসি ব্যাংক চেষ্টা করেছে সর্বোত্তম সেবা দিয়ে গ্রাহকদের আস্থা অর্জনের। এজন্য আমাদের আমানত সংগ্রহ বেড়েছে। অন্যদিকে ঋণের আদায়ও বেড়েছে। নতুন বছরে আমাদের লক্ষ্য প্রান্তিক মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য অর্থায়ন নিশ্চিত করা। অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করতে আমরা সমাজে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ও নিম্ন আয়ের মানুষদেরকেই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেবা দিয়ে যাবো।
এদিকে দেশের বড় ব্যাংকগুলোর মুনাফায় বড় ধরনের উলম্ফন হয়েছে। ২০২৪ সালে ব্র্যাক ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা হয়েছে ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। এছাড়া পূবালী ব্যাংকের ২ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকা, সিটি ব্যাংকের ২ হাজার ২৮৭ কোটি টাকা, ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ২ হাজার ২৮৫ কোটি টাকা, ব্যাংক এশিয়ার ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা, ইস্টার্ন ব্যাংকের ১ হাজার ৬৭৫ কোটি টাকা, প্রাইম ব্যাংকের ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ১ হাজার ১১০ কোটি টাকা, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ১ হাজার ৫০ কোটি টাকা, এক্সিম ব্যাংকের ৯৭৫ কোটি টাকা, প্রিমিয়ার ব্যাংকের ৮৫০ কোটি টাকা, ওয়ান ব্যাংকের ৮৩০ কোটি টাকা ও মার্কেন্টাইল ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা হয়েছে ৬৪৪ কোটি টাকা।
ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) ভাইস চেয়ারম্যান ও সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাসরুর আরেফিন গণমাধ্যমে বলেন, ঋণের সুদহারের ঊর্ধ্বসীমা উঠে যাওয়ার পর তাদের নিট সুদ আয় বেড়েছে। আপনি বিশ্লেষণ করলে দেখবেন, ভালো ব্যাংকগুলোর মোট সুদ আয়ের ৬০-৭০ শতাংশ আসছে ঋণ খাত থেকে। আর ২০ শতাংশের মতো সরকারি বিল-বন্ডে বিনিয়োগ থেকে এবং বাকিটা অন্য ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট ইত্যাদি রেখে।
তিনি আরও বলেন, দেশের ভালো ব্যাংকগুলো এখন তাদের আয়ের এক-চতুর্থাংশই সুদের বাইরে থেকে আয় করা শুরু করেছে। অর্থাৎ জনগণকে নানা সেবা দিয়ে তার বিনিময়ে সামান্য ফি-কমিশন চার্জ করে তারা আয় বাড়াতে পারছে। সুদনির্ভর ব্যালান্স শিট থেকে সেবা বাবদ অর্জিত ফি নির্ভর ব্যালান্স শিটে যেতে পারাটা সত্যিকারের আধুনিক ব্যাংকিং। আবার এটিও সত্যি যে এ বছর অনেক ব্যাংক পারফরম্যান্স খারাপ করার কারণে তুলনামূলক সুনামসম্পন্ন ব্যাংকগুলো আরো বেশি ভালো করেছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের টাস্কফোর্স কমিটির সভা
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের টাস্কফোর্স কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৬ জানুয়ারি) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) আবু রেজা মো. ইয়াহিয়া। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মান্নান
সভায় ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাসুদুর রহমান শাহ ও মো. সিরাজুল ইসলাম, প্রধান কার্যালয়ের বিভাগীয় প্রধান ও নির্বাহী, আঞ্চলিক প্রধান ও শাখা ব্যবস্থাপকগণ ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে সভায় যুক্ত ছিলেন।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মান্নান বলেন, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের প্রত্যয়ের আলোকে অন্তর্ভূক্তিমূলক ব্যাংকিং সেবা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগণের নিকট পৌঁছে দিয়ে প্রতিটি পরিবারের প্রয়োজন পূরণ আমাদের লক্ষ্য। ব্যাংকের সকল পর্যায়ের জনশক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার ও দক্ষতা বৃদ্ধির আহ্বান জানান। তিনি নতুন আমানত বৃদ্ধি ও খেলাপী বিনিয়োগ আদায় জোরদারসহ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে শতভাগ শরীয়াহ পরিপালন করে ব্যাংকিং করার জন্য নির্দেশনা দেন।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত এমডি হলেন নাজমুস সায়াদাত
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) দায়িত্ব পেয়েছেন মো. নাজমুস সায়াদাত। তিনি এ ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক এবং সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকে তাঁর রয়েছে ২৭ বছরের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা। প্রবেশনারি অফিসার হিসেবে ১৯৯৫ সালে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডে যোগদানের মাধ্যমে তিনি ব্যাংকিং ক্যারিয়ার শুরু করেন এবং সেখানে লোকাল অফিস ও বৈদেশিক বিনিময় শাখার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন।
এছাড়া তিনি আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের দিলকুশা শাখা ও মতিঝিল শাখার প্রধান এবং প্রধান কার্যালয়ের মার্কেটিং এন্ড বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ডিভিশন ও কর্পোরেট ইনভেস্টমেন্ট ডিভিশনের প্রধান হিসেবে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন।
২০১৪ সালে নাজমুস সায়াদাত সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকে যোগদান করেন এবং তাঁর মেধা ও প্রজ্ঞাকে কাজে লাগিয়ে ব্যাংকের ইনভেস্টমেন্ট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ডিভিশন ও প্রিন্সিপাল শাখার প্রধান হিসেবে সুনিপুণভাবে শাখা ও বিভাগ পরিচালনা করেন।
২০১৭ সালে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক এস আলমের দখলে চলে যাওয়ার পর ব্যাংকের নানা অনিয়ম তাঁর দৃষ্টিগোচর হওয়ায় ২০২০ সালে তিনি এই ব্যাংক থেকে পদত্যাগ করেন। ৫ আগস্টের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ব্যাংক এস আলম মুক্ত হয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করে দিলে তিনি আবারও এই ব্যাংকে এসইভিপি এবং এমডিএস ও ইনভেস্টমেন্ট উইংয়ের প্রধান হিসেবে যোগদান করেন। গত অক্টোবরে তিনি উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে পদোন্নতি পান। তাঁর দক্ষতা ও যোগ্যতা বিবেচনায় নিয়ে পরিচালনা পর্ষদ তাঁকে ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করেছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংকের সাবেক এক্সিকিউটিভ প্রেসিডেন্ট কামালউদ্দীন চৌধুরী আর নেই
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির সাবেক এক্সিকিউটিভ প্রেসিডেন্ট (ব্যবস্থাপনা পরিচালক) ও বরেণ্য ব্যাংকার এম. কামালউদ্দীন চৌধুরী ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) বিকাল ৩টায় ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। তিনি স্ত্রী, এক মেয়ে, আত্মীয়স্বজন ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে যান।
তিনি ১৯৮৯ সালে ইসলামী ব্যাংকে এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসাবে যোগদান করেন। ইসলামী ব্যাংকে যোগদানের পূর্বে তিনি অগ্রণী ব্যাংকে ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ও আন্তর্জাতিক বিভাগের প্রধান হিসাবে কর্মরত ছিলেন। ১৯৬৩ সালে তৎকালীন হাবিব ব্যাংক লিমিটেড এ শিক্ষানবিশ কর্মকর্তা হিসাবে তাঁর কর্মজীবন শুরু হয়।
ইসলামী ব্যাংক থেকে অবসর গ্রহণের পর তিনি ইসলামিক কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান, আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের স্বতন্ত্র পরিচালক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি ও শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক সিকিরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এছাড়া তিনি সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান, আহসানিয়া মিশন ক্যান্সার এন্ড জেনারেল হাসপাতাল ও হজ্ব ফাইন্যান্সের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ইসলামী ব্যাংকিংয়ের প্রসারে ইসলামিক ব্যাংক কনসালটেটিভ ফোরামের টাস্ক কমিটির চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন।
৯ জানুয়ারি বাদ জোহর বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেইটে প্রথম জানাযা, বিকাল ৩টায় সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে ২য় জানাযা, বাদ এশা বেইলি রোড়ে ৩য় জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) বাদ জুম্মা চট্টগ্রাম শহরের কাট্টলিতে ৪র্থ জানাযা শেষে নিজ এলাকায় দাফন করা হবে। বরেণ্য এ ইসলামী ব্যাংকারের ইন্তেকালে ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা শোক জ্ঞাপন করেন।
এছাড়া ইসলামী ব্যাংক পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর মাগফিরাত কামনা করে ব্যাংকের প্রধান ও আঞ্চলিক কার্যালয় এবং শাখাসমূহে বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
বিকাশের পেমেন্ট প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হলো ৬ মাইক্রোফাইন্যান্স প্রতিষ্ঠানের ৭ লাখ গ্রাহক
দেশের আরও ৬টি শীর্ষস্থানীয় মাইক্রোফাইন্যান্স প্রতিষ্ঠানের ৭ লাখেরও বেশি সদস্যের সঞ্চয় ও ঋণের কিস্তি জমা দেয়া সহজ, দ্রুত ও নিরাপদ হলো বিকাশে। প্রতিষ্ঠানগুলোর সদস্যরা এখন বিকাশ অ্যাপের ‘মাইক্রোফাইন্যান্স’ আইকনে ট্যাপ করে সহজ কয়েকটি ধাপে এই কিস্তি জমা দিতে পারবেন।
এ লক্ষ্যে পিপলস্ ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রাম ইমপ্লিমেন্টেশন (পপি), সোসাইটি ফর ডেভেলপমেন্ট ইনিসিয়েটিভস্ (এসডিআই), গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থা (জিজেইউএস), ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (আইডিএফ), নবলোক পরিষদ এবং মডার্ন ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (এমডিও) সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বিকাশ। এই মুহূর্তে এই ৬টিসহ ২৫টি মাইক্রোফাইন্যান্স প্রতিষ্ঠানের প্রায় দেড় কোটি সদস্যের সঞ্চয় ও ঋণের টাকা সহজেই জমা দেয়ার সুযোগ তৈরি হলো বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে।
সম্প্রতি রাজধানীর একটি হোটেলে প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাহী কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিকাশের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার আলী আহম্মেদ এ বিষয়ে আলাদা আলাদা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
এসময় পিপলস্ ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রাম ইমপ্লিমেন্টেশন এর পরিচালক-ইইএস মো. মশিহুর রহমান, সোসাইটি ফর ডেভেলপমেন্ট ইনিসিয়েটিভসের নির্বাহী পরিচালক সামছুল হক, গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক জাকির হোসেন মহিন, ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক জহিরুল আলম, নবলোক পরিষদের উপ-নির্বাহী পরিচালক (অর্থ ও ঋণ) মো. আলতাফ হোসেন, মডার্ন ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের নির্বাহী পরিচালক মো. মাছউদ আহমেদ রোকনী, ডাটাসফটেরর প্রেসিডেন্ট এম. মনজুর মাহ্মুদ সহ প্রতিষ্ঠানগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মাইক্রোফাইন্যান্স প্রতিষ্ঠানের পেমেন্ট আদায় প্রক্রিয়াকে আরও সহজ ও ডিজিটাল করার জন্য আধুনিক ও গ্রাহকবান্ধব এই সল্যুশন নিয়ে এসেছে বিকাশ। এর ফলে একদিকে যেমন গ্রাহকদের ঋণ ও সঞ্চয়ের টাকা পাঠানো নিরাপদ ও নিশ্চিন্ত হয়েছে, অন্যদিকে প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্যও ঋণ আদায় ও সঞ্চয়ের অর্থ সংগ্রহ ব্যবস্থাপনা আরও সহজ এবং সময়সাশ্রয়ী হয়েছে।
উল্লেখ্য, দারিদ্র বিমোচন, কর্মসংস্থান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প, পরিবারের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, জীবনমান উন্নয়ন সহ নানা খাতে ক্ষুদ্রঋণ দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
জেসিআই বরিশালের লোকাল প্রেসিডেন্ট নকিবুল হক
জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) বাংলাদেশের বরিশাল চ্যাপ্টারের ২০২৪ বর্ষের সাধারন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় নকিবুল হক ২০২৫ সালের জন্য সংগঠনটির লোকাল প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) ঢাকার পূর্বাচলে ক্যাডেট কলেজ ক্লাব লিমিটেডর মাল্টিপারপাস হলে এই সভার আয়োজন করা হয়।
বরিশাল চ্যাপ্টারের মেন্টর স্টিভ বেনেডিক্ট ডি’সিলভার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিগত বছরের কার্যক্রম তুলে ধরেন সদ্য সাবেক লোকাল প্রেসিডেন্ট জামিল খান। নির্বাচন পরিচালনা করেন জেসিআই বাংলাদেশের ২০২৪ ভাইস প্রেসিডেন্ট বিপ্লব ঘোষ রাহুল।
নির্বাচনে ২০২৫ সালের জন্য লোকাল প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন নকিবুল হক। এর বাইরে ১২ সদস্যের বোর্ডে রয়েছেন সদ্য সাবেক লোকাল প্রেসিডেন্ট জামিল খান, লোকাল এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ইশতি আহমেদ, ভাইস প্রেসিডেন্ট মইনুল আলম চৌধুরি, জয়ন্ত ভূষণ রায়, লোকাল সেক্রেটারি জেনারেল ইমাম মেহেদী, লোকাল ট্রেজারার আসাদ ইকবাল, লোকাল জেনারেল লিগ্যাল কাউন্সিলর লিপি ঘোষ, লোকাল কমিটি চেয়ার নিশাত জাহান, লোকাল ডিরেক্টর নাঈম সালেহীন, প্রীতি দেবনাথ ও ইসরাত জাহান।
নতুন বোর্ড সদস্যদের শপথ পাঠ করান সদ্য নির্বাচিত লোকাল প্রেসিডেন্ট নকিবুল হক। শপথ পাঠের মাধ্যমে আগামী ০১ বছরের জন্য চ্যাপ্টারটি পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন তারা।
এসএম