জাতীয়
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন দুই কমিটি ঘোষণা
‘কর্মসূচি পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়ন’ এবং ‘ইমার্জেন্সি ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট’ নামে দুটি নতুন কমিটি গঠন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ এবং সদস্যসচিব আরিফ সোহেল স্বাক্ষরিত পৃথক দুটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাংগঠনিক কার্যক্রম গতিশীল করার লক্ষ্যে ‘কর্মসূচি পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন সেল’ এবং ‘ইমার্জেন্সি ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেল’ গঠন করা হয়েছে।
কর্মসূচি পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়ন সেলের সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মুঈনুল ইসলাম। এছাড়া সদস্যরা হলেন- মোফাজ্জল হোসাইন সাদাত, রাকিব হাসান রাজ, মাসুদুর রহমান আদনান, ফারিয়া বিনতে রহমান, সুলতানা খাতুনে জান্নাত, আতিক শাহরিয়ার, নাজমুল হাসান, মো. আবু হাসনাত, মায়িদা ইকবাল শর্মী, আলাউদ্দীন মিনহাজ, ইসরাত জাহান নিহা, মো. ইসমাইল, আব্দুল্লাহ আল মাহাথির, মো. জুবায়ের হোসেন ও জাওয়াদ আহমেদ।
এছাড়া ইমার্জেন্সি ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্টের সেল সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন হামযা মাহবুব। সেলের অন্য সদস্যরা হলেন- মোহাম্মদ আরমানুল ইসলাম, মাহবুব-ই-খোদা, শেখ তারেক জামিল তাজ, মুহাম্মদ উসামা, সাঈদ আফ্রিদি, মো. হেলাল উদ্দিন নাঈম ও মো. ইমাম হোসাইন ইমন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ডিএমপির ১২ ডিসিকে বদলি
ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) পদমর্যাদার ১২ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। বুধবার (৮ জানুয়ারি) ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর সই করা এক আদেশে এই পদায়নের খবর জানানো হয়।
বদলি হওয়া কর্মকর্তারা হলেন- মহিদুল ইসলামকে অর্থ বিভাগে, সালমা সৈয়দ পলিকে সদরদপ্তরে সংযুক্ত, মোহাম্মদ সালাউদ্দিন শিকদারকে পিওএম উত্তর বিভাগে, শামিমা আক্তারকে পিএসঅ্যান্ডআইআইতে, রেজাউল করিমকে পিওএম পূর্ব বিভাগে, ফারহানা আয়াসমিনকে উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশনে, মোহাম্মদ ছনোয়ার হোসেনকে পিওএম পশ্চিম বিভাগে বদলি করা হয়েছে।
এছাড়া ইবনে মিজানকে তেজগাঁও বিভাগে, মল্লিক আহসান উদ্দিন সামীকে (ভারপ্রাপ্ত) ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড অ্যানালাইসিসে, মোহাম্মদ হারুন অর রশিদকে ওয়ারী বিভাগে, মফিজুল ইসলামকে (ভারপ্রাপ্ত) গুলশান ট্রাফিক বিভাগে এবং মইনুল হককে (ভারপ্রাপ্ত) প্রটেকশন বিভাগে বদলি করা হয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সাভারে বাস-অ্যাম্বুলেন্স সংঘর্ষে বিস্ফোরণ, নিহত ৪
সাভারে বাস ও অ্যাম্বুলেন্সের সংঘর্ষে গ্যাস সিলিন্ডার বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে অ্যাম্বুলেন্সে থাকা ৪জন ব্যক্তি অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছেন। আর বাসের অন্তত সাত যাত্রী আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৮ জানুয়ারি) গভীর রাতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পুলিশ টাউন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ঢাকামুখী লেনে অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে বাসের সংঘর্ষ হয়। এতে অ্যাম্বুলেন্সের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে বাসে আগুন ধরে যায়। পরে ওই বাসের পেছনে থাকা আরও একটি বাসে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা আলাউদ্দিন জানান, রাত ২টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। বাসের যাত্রীরা বাস থেকে নেমে যান। আহত সাতজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আর আহত অনেককেই স্থানীয়রা হাসপাতালে পৌঁছে দিয়েছেন। তবে এ ঘটনায় অ্যাম্বুলেন্সে থাকা চারজন অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছেন।
সাভার হাইওয়ে থানার ইনচার্জ সওগাতুল আলম বলেন, প্রাথমিকভাবে অ্যাম্বুলেন্সে থাকা চার জনের মৃত্যু বিষয় জানতে পেরেছি। আরও বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বিডিআর বিদ্রোহের বিচারকাজ শুরু আজ
ঢাকার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে পিলখানা বিডিআর হত্যা মামলার আদালত বসবে। আদালতে বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) বিদ্রোহের মামলার বিচারকাজ বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) থেকে শুরু হবে। বুধবার আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিডিআর সদর দফতরে সংঘটিত বিডিআর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে করা মামলার বিচার পরিচালনার জন্য বকশীবাজার এলাকার সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা ও ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনের মাঠে নির্মিত ভবনটিকে অস্থায়ী আদালত বানিয়ে বিচার পরিচালিত হয়ে আসছে।
বিডিআর সদর দফতরে সংঘটিত বিডিআর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে করা মামলার বিচার পরিচালনার জন্য বকশীবাজার এলাকার সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা ও ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনের মাঠে নির্মিত ভবনটিকে অস্থায়ী আদালত বানিয়ে বিচার পরিচালিত হয়ে আসছে।
তবে গত জুলাই-আগস্ট ছাত্রদের আন্দোলনের সময় আদালত ভবনটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এবং পরবর্তীতে ছাত্রদের বাধার কারণে বিচারের কাজ পরিচালনা বাধাগ্রস্ত হওয়ায় স্থান পরিবর্তনের সুযোগ আছে কিনা সে নিয়ে আলোচনা চলছে। মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, এখনও সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি।
এর আগে গত অক্টোবরে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে মানববন্ধন করেন পিলখানা হত্যাকাণ্ড ও বিডিআর বিদ্রোহ মামলায় বন্দি আসামিদের স্বজনরা। তাদের দাবি হত্যা মামলায় খালাস ও বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগের পরও শুধু বিস্ফোরক আইনের মামলায় দীর্ঘদিন তাদের কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। তারা বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের দায় যাদের ওপর চাপানো হয়েছে তারা মূলত নিরপরাধ।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সড়কে প্রাণহানি বেড়েছে ১২ শতাংশ
২০২৪ সালে দেশে ৬ হাজার ৯২৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৭ হাজার ২৯৪ জন নিহত হয়েছেন। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ১২ হাজার ১৯ জন। ২০২৩ সালের তুলনায় গত বছর দুর্ঘটনা বেড়েছে ০.২৩ শতাংশ। আর প্রাণহানি বেড়েছে প্রায় ১২ শতাংশ। আহত বেড়েছে ৫.৩৬ শতাংশ। এছাড়াও ২০২৪ সালে এসব দুর্ঘটনায় মোট ক্ষতির আর্থিক মূল্য ২১ হাজার ৮৮৬ কোটি ৩২ লাখ টাকা।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) তাদের প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরে বেসরকারি সংগঠন রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। সংস্থাটি নয়টি জাতীয় দৈনিক, সাতটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যম এবং সংস্থার নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।
রোড সেফটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে নারী ৮৯৩ জন ও শিশু ১ হাজার ১৫২ জন। ২ হাজার ৭৬১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২ হাজার ৬০৯ জন। এটি মোট নিহতের প্রায় ৩৬ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার মোট দুর্ঘটনার প্রায় ৪০ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ১ হাজার ৫৩৫ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ২১ শতাংশেরও বেশি। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৯৮৪ জন।
২০২৪ সালে ১১৮টি নৌ-দুর্ঘটনায় ১৫২ জন নিহত ও ১৬১ জন আহত হয়েছেন এবং ৩৯ জন নিখোঁজ রয়েছেন। ৩৪৭টি রেল দুর্ঘটনায় ৩২৪ জন নিহত এবং ২৭৭ জন আহত হয়েছেন।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলো সবচেয়ে বেশি হয়েছে আঞ্চলিক সড়কে। এর সংখ্যা ২ হাজার ৭৩৬টি। এটি মোট দুর্ঘটনার ৩৯ শতাংশের বেশি। আর ২ হাজার ৩৫৭টি দুর্ঘটনা ঘটেছে জাতীয় মহাসড়কে, ৯৭২টি গ্রামীণ সড়কে, ৭৮৪টি শহরের সড়কে এবং অন্যান্য স্থানে ৭৮টি দুর্ঘটনা ঘটেছে।
দুর্ঘটনার মধ্যে সবেচয়ে বেশি হয়েছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, সংখ্যা ২ হাজার ৯০৮টি। এছাড়া ১ হাজার ৫২৭টি মুখোমুখি সংঘর্ষ এবং ১ হাজার ৫৬২টি পথচারীকে চাপা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া ৭৮২টি যানবাহনের পেছনে আঘাত করা এবং ১৪৮টি অন্যান্য কারণে ঘটেছে।
রোড সেফটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি হলো পণ্যবাহী যানবাহন। এর পরেই আছে মোটরসাইকেল, থ্রি-হুইলার (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান ইত্যাদি), যাত্রীবাহী বাস, স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন (নসিমন-ভটভটি-আলমসাধু-মাহিন্দ্রা-টমটম) ইত্যাদি। ২০২৪ সালে দুর্ঘটনা কবলিত যানবাহনের সংখ্যা ছিল ১১ হাজার ৭৯৬টি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছিল পণ্যবাহী যানবাহন, সংখ্যা ৩ হাজার ১৪৫টি। মোটরসাইকেলের সংখ্যা ২ হাজার ৯৭৮টি। সময় বিশ্লেষণে দেখা যায়, দুর্ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে সকালে, ১ হাজার ৮৭৪টি। আর রাতে হয়েছে ১ হাজার ৫৪৮টি।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীতে ২০২৪ সালে ৩৯৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৪৬ জন নিহত এবং ৪৮২ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে পুরুষ ৭৬ শতাংশ। বাকিদের মধ্যে নারী ১৩ এবং শিশু প্রায় ১০ শতাংশ। এসব দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে পথচারী ৫১ শতাংশের বেশি। এ ছাড়া আছে মোটরসাইকেলের চালক ও আরোহী ৩৯ শতাংশ এবং বাস, রিকশা, সিএনজি ইত্যাদি যানবাহনের চালক ও আরোহী ৯ শতাংশের বেশি। রাজধানীতে ঘটা দুর্ঘটনার মধ্যে ৪০ শতাংশের বেশি হয় রাতে।
এ প্রতিবেদনের বিষয়ে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান বলেন, কর্তৃপক্ষের নানা প্রকার অনিয়ম ও দায়িত্বে অবহেলার কারণে সড়ক দুর্ঘটনায় অগণিত মানুষ হতাহত হচ্ছেন। কিন্তু এসব দুর্ঘটনার দায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিচ্ছে না। প্রাতিষ্ঠানিক জবাবদিহির অভাবে দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি হচ্ছে না। সংজ্ঞা অনুযায়ী, বাংলাদেশের অধিকাংশ সড়ক দুর্ঘটনাই কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড।
রোড সেফটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের সড়ক ও সড়ক পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার কাজে বিআরটিএ, ডিটিসিএ, বাংলাদেশ পুলিশ, বিআরটিসি, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ইত্যাদি নানা প্রতিষ্ঠান জড়িত। কিন্তু এসব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব প্রকট। প্রাতিষ্ঠানিক অব্যবস্থাপনা এবং কাঠামোগত দুর্বলতা রয়েছে। জবাবদিহি নেই বললেই চলে। এসব কারণেই সড়ক পরিবহনে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে না, দুর্ঘটনাও কমছে না।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
শেখ হাসিনা পরিবারের প্লট বরাদ্দে অনিয়মের প্রমাণ দুদকে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে পূর্বাচলে ৬০ কাঠা জমি বরাদ্দের ক্ষেত্রে ক্ষমতার অপব্যবহারের প্রমাণ পেয়েছে দুদক। এ বিষয়ে শিগগির বিস্তারিত তথ্য দিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরে বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধানের সর্বশেষ অগ্রগতি জানতে চাইলে তিনি এ তথ্য জানান।
আক্তার হোসেন বলেন, এ বিষয়ে অনেক অগ্রগতি আছে, আমাদের অনুসন্ধান দল অনেক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। আমাদের হাতে পর্যাপ্ত তথ্য এসেছে, যে বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করছি। বিশেষ করে রাজউকের পূর্বাচল প্রকল্পের ৬০ কাঠা প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত বিষয়ে আমরা শিগগির আপনাদের ভালো কিছু তথ্য দিতে পারবো।
যেসব তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে তাতে মামলার দিকে যেতে পারে কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে এখনই মন্তব্য করা ঠিক হবে না। অনুসন্ধান দল প্রতিবেদন দাখিল করলে আমরা আপনাদের শিগগির ভালো সংবাদ দিতে পারবো। তবে আমরা যে রেকর্ডপত্র পেয়েছি তাতে সুস্পষ্টভাবে ক্ষমতার অপব্যবহারের প্রমাণাদি রয়েছে।’
এর আগে গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের পাঁচ সদস্যের নামে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ছয়টি প্লট বরাদ্দে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।
পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের কূটনৈতিক জোনের ২০৩ নম্বর রোডের আশপাশের এলাকায় শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ছোট বোন শেখ রেহানা এবং তার ছেলে-মেয়ে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও আজমিনা সিদ্দিকের নামে প্লটগুলো বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
গত বছরের অক্টোবরে বোন শেখ রেহানাসহ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্যদের নামে পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দে অনিয়ম নিয়ে সংবাদমাধ্যমে আসা অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে দেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে এ কমিটিকে আওয়ামী লীগ সরকারের গত ১৫ বছরে (২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে) রাজউকের প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগও তদন্ত করতে বলা হয়।