শিল্প-বাণিজ্য
আমদানি নিষিদ্ধ পণ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হলো ই-সিগারেট
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদনের পর ই-সিগারেট বা ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম (ইএনডিএস) সংশ্লিষ্ট সব পণ্য আমদানি নিষিদ্ধের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ‘আমদানি নীতি আদেশ, ২০২১-২৪’ সংশোধন করে আমদানি নিষিদ্ধ পণ্য তালিকায় ই-সিগারেট অন্তর্ভুক্ত করে গত ৩১ ডিসেম্বর আদেশ জারি করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ১ জানুয়ারি তা গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়।
এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ই-সিগারেট আমদানি নিষিদ্ধ করার প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
ওইদিন বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ এ প্রস্তাবটি উত্থাপন করেছে। জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নিরাপদ রাখতে ই-সিগারেট বা ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম (ইএনডিএস) সংশ্লিষ্ট সব পণ্যের আমদানি নিষিদ্ধ করতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
বিএলএফসিএ’র চেয়ারম্যান জামাল, ভাইস চেয়ারম্যান কায়সার হামিদ ও কান্তি কুমার
আগামী দুই বছরের জন্য বাংলাদেশ লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিএলএফসিএ) ১১ সদস্যের নতুন নির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। ২০২৫-২৬ মেয়াদের জন্য এ কমিটির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আইডিএলসি ফাইন্যান্স পিএলসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম জামাল উদ্দিন। বুধবার (৮ জানুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নবনির্বাচিত নির্বাহী কমিটিতে সহ-সভাপতির দায়িত্বে আছেন বাংলাদেশ ফাইন্যান্স লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কায়সার হামিদ ও অ্যালায়েন্স ফাইন্যান্স পিএলসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কান্তি কুমার সাহা।
কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন- মো. গোলাম সরওয়ার ভূঁইয়া (আইআইডিএফসি পিএলসি), নাসিমুল বাতেন (ডিবিএইচ ফাইন্যান্স পিএলসি), মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন (ইসলামিক ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড), মোহাম্মদ শামসুল ইসলাম (ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স পিএলসি), কাজী নিজাম আহমেদ (মেরিডিয়ান ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড), ইরতেজা আহমেদ খান (ন্যাশনাল ফাইন্যান্স লিমিটেড), রিজওয়ান দাউদ সামস (আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি) ও অসিত কুমার চক্রবর্ত্তী (স্ট্রাটেজিক ফাইন্যান্স পিএলসি)।
নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যরা দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
আমদানি হবে পৌনে ২ লাখ টন চাল, দাম কমার আশা উপদেষ্টার
চলতি (জানুয়ারি) মাসে বিভিন্ন দেশ থেকে সরকারিভাবে এক লাখ ৭৫ হাজার টন চাল দেশে আসবে বলে জানিয়েছেন খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার। এ চাল এলে বাজারে দাম কমবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান উপদেষ্টা।
ক্রমেই বাড়ছে চালের দাম- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আলী ইমাম মজুমদার বলেন, বন্যায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আমনের ক্ষতি হয়েছে। আমরা চাল আমদানির ব্যবস্থা নিয়েছি। বেসরকারিভাবে চাল আমদানির জন্য শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের চাল আমদানির জন্য উৎসাহিত করছি।
তিনি জানান, এরই মধ্যে ২ লাখ ৫০ হাজার টন চাল আমদানির জন্য দরপত্র চূড়ান্ত করা হয়েছে। মিয়ানমার থেকে জি-টু-জি (দুই দেশের সরকারের মধ্যে চুক্তি) ভিত্তিতে এক লাখ টন চাল আনা হবে। পাকিস্তান থেকে ৫০ হাজার টন চাল আনার বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে।
চলতি মাসে সরকারিভাবে এক লাখ ৭৫ হাজার টন চাল আসবে জানিয়ে খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, এ চাল এলে দাম কমবে বলে আশা করি।
আলী ইমাম মজুমদার আরও বলেন, চালের শুল্ক ছাড় দিয়েছি, ওএমএস কার্যক্রম চলছে, সেটি আরও জোরদার করা হবে। টিসিবির অধীনে প্রতি মাসে ৫০ হাজার টন চাল দেওয়া হচ্ছে। মার্চ থেকে শুরু হবে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি। এ কর্মসূচির অধীনে ৫০ লাখ পরিবার ১৫ টাকা কেজি দরে প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল পাবে।
এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, মজুতবিরোধী আইন প্রয়োগে জেলা প্রশাসক ও ইউএনওদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাও এ বিষয়ে প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।
তিনি বলেন, গত ৫ আগস্টের পর দায়িত্ব নিয়ে সরকার একটি বিধ্বস্ত প্রশাসন ব্যবস্থা পেয়েছে। এছাড়া পেয়েছে বিধ্বস্ত পুলিশ, বিধ্বস্ত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। এগুলো একটা সেটে আনতে সময় লাগে। বাই দিস টাইম এটা চলে এসেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
পরিবেশবান্ধব কারখানার স্বীকৃতি পেলো কনসিস্ট অ্যাপারেলস
বছরের প্রথম পরিবেশবান্ধব কারকানার স্বীকৃতি পেয়েছে গাজীপুরের কনসিস্ট অ্যাপারেলস লিমিটেড। কারখানাটি প্লাটিনাম কারখানার স্বীকৃতি পেয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট এলইইডি বা লিড সনদ পাওয়া কারখানার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৩৩।
দেশের তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
দেশের ২৩৩টি পরিবেশবান্ধব কারখানার মধ্যে প্লাটিনাম সনদ পাওয়া কারখানার সংখ্যা ৯৩, গোল্ড সনদ পাওয়া কারখানার সংখ্যা ১২৬, সিলভার সনদ পাওয়া কারখানা ১০ ও সার্টিফায়েড সনদ পাওয়া কারখানা ৪টি।
২০২৪ সালে মোট ২৬টি কারখানা পরিবেশবান্ধব কারখানার স্বীকৃতি পেয়েছে। ২০২৩ সালে মোট সনদ পেয়েছিল ২৪টি কারখানা। ২০২২ সালে পেয়েছিল ৩০টি কারখানা। ২০১১ সালে দেশের ২টি কারখানা প্রথম লিডের স্বীকৃতি পায়।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) থেকে পরিবেশবান্ধব সনদ পেয়েছে কটন ফিল্ড বিডি। এই সনদ পাওয়ার জন্য কয়েকটি শর্ত পরিপালন করতে হয়। মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে কোনো কারখানা ৮০-এর বেশি পেলে ‘লিড প্লাটিনাম’, ৬০-৭৯ পেলে ‘লিড গোল্ড’, ৫০-৫৯ নম্বর পেলে ‘লিড সিলভার’ ও ৪০-৪৯ নম্বর পেলে ‘লিড সার্টিফায়েড’ সনদ দেওয়া হয়।
বিশ্বের বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান পরিবেশবান্ধব স্থাপনার সনদ দিয়ে থাকে। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি)। ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ইউএসজিবিসি যে সনদ দেয়, তার নাম ‘লিড’। লিডের পূর্ণাঙ্গ রূপ—লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন। এ সনদ পেতে প্রতিটি প্রকল্পকে ইউএসজিবিসির তত্ত্বাবধানে স্থাপনা নির্মাণের কাজ থেকে শুরু করে উৎপাদন পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ে মান রক্ষা করতে হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
পোশাক রপ্তানির ৬ মাসে প্রবৃদ্ধি ১৩.২৮ শতাংশ
বিশ্ববাজারে দেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশ্ববাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৩৩ কোটি মার্কিন ডলার বা ১৩ দশমিক ২৮ শতাংশ। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর ছয় মাসে দেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে ১ হাজার ৯৮৮ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার। আগের বছর একই সময়ে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৭৫৫ কোটি ৬৯ লাখ মার্কিন ডলার। আলোচ্য সময়ে তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৩.২৮ শতাংশ।
তৈরি পোশাকের মধ্যে ওভেন পোশাক ও নিটওয়্যার পোশাক দুটোই বিশ্ববাজারে রপ্তানি হয়। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬ মাসে ওভেন পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৯০৫ কোটি মার্কিন ডলারের। আগের বছর একই সময়ে ওভেন পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৭৯৬ কোটি মার্কিন ডলার। আলোচ্য সময়ে ওভেন পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১০৮ কোটি ৩২ লাখ মার্কিন ডলার।
এদিকে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে নিট পোশাক রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮৩ কোটি ৭৩ লাখ মার্কিন ডলার। আগের বছর একই সময়ে নিট পোশাকের রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৯৫৮ কোটি ৯৮ লাখ মার্কিন ডলার। নিটওয়্যার পোশাক রপ্তানির পরিমাণ বেড়েছে ১২৪ কোটি ৭৫ লাখ মার্কিন ডলার।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
যুক্তরাষ্ট্রের স্পিকার পদে ট্রাম্প সমর্থিত মাইক জনসন পুনর্নির্বাচিত
নানা নাটকীয়তার পর মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন মাইক জনসন। স্থানীয় সময় শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) ভোটাভুটিতে ২১৮ ভোট পেয়ে জয়ী হন তিনি। তার বিরুদ্ধে দাঁড়ানো ডেমোক্র্যাট প্রার্থী পেয়েছেন ২১৫টি ভোট।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, প্রথম দফায় রিপাবলিকান দলের তিন আইনপ্রণেতা জনসনের বিপক্ষে ভোট দেয়ায় ঝুলে যায় তার স্পিকার পদে বহাল থাকা। এছাড়া কোন প্রার্থী প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট না পাওয়ায় দ্বিতীয় দফায় গড়ায় ভোটাভুটি।
এসময় নিজেদের ভোট জনসনকেই দেন রিপাবলিকান ওই আইনপ্রণেতারা। এর আগে গেল বছরের শেষ দিকে স্পিকার হিসেবে জনসনকে সমর্থন দেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ নিয়ে রিপাবলিকান শিবিরে বিভক্তি দেখা দেয়। প্রতিনিধি পরিষদের কয়েকজন রিপাবলিকান সদস্যকে জনসনের নেতৃত্বের বিরোধিতা করতেও দেখা যায়। যদিও শেষ হাসি হাসলেন জনসনই।
দ্বিতীয় দফার ভোটে জয় নিশ্চিত হওয়ার পর জনসন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকারের পাশাপাশি পরবর্তী কংগ্রেসের সদস্য হিসেবে শপথ নেন। প্রতিনিধি পরিষদে লুইজিয়ানার হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছেন তিনি। গত বছরের অক্টোবরে স্পিকার নির্বাচিত হয়েছিলেন জনসন।
বিজয়ী ভাষণে জনসন বলেন, ‘গত চার বছর জো বাইডেনের দূর্বল নেতৃত্ব আমেরিকাকে বিপজ্জনক অবস্থানে নিয়ে গেছে। পরবর্তী কংগ্রেস ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতি বাস্তবায়নে চ্যাম্পিয়ন হবে।’
এদিকে স্পিকার পদে পুননির্বাচিত হওয়ায় জনসনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেয়া পোস্টে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘জনসন একজন সেরা স্পিকার হবেন এবং তার নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র লাভবান হবে।