জাতীয়
বিদেশে বাংলাদেশ নিয়ে প্রচার করতে হবে বেপজাকে: প্রধান উপদেষ্টা
বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষকে (বেপজা) বিদেশে বাংলাদেশের প্রচার ও দেশের শিল্প খাতে আরও বেশি বিনিয়োগ আনতে নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ সোমবার (৬ জানুয়ারি) তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে বেপজার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা (২০২৩-২৪ অর্থবছর) বার্ষিক প্রতিবেদন জমা দিতে এলে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
প্রধান উপদেষ্টা বেপজা কর্মকর্তাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে অর্থনৈতিক কূটনীতি পরিচালনার জন্য একটি দল তৈরি করে বিদেশে বাংলাদেশের পক্ষে প্রচার করতে কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
বিনিয়োগকারীদের ভাষাগত প্রতিবন্ধকতা দূর করতে তিনি বিদেশে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী, বিশেষ করে চীন ও জাপানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করতে পরামর্শ দেন।
বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান জানান, বাংলাদেশে জুলাই-আগস্টের আন্দোলন এবং বারবার পরিবর্তিত বৈশ্বিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের পর বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছেন।
‘গত তিন সপ্তাহে আমরা চীনা বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ১৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ প্রস্তাব পেয়েছি। আরও বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা চলছে,’ বলে তিনি প্রধান উপদেষ্টাকে জানান।
তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে আটটি রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল চালু রয়েছে, যেখানে ৪৫২টি কারখানা রয়েছে। এছাড়া অঞ্চলগুলোতে ১৩৬টি কারখানা নির্মাণাধীন। চলমান কারখানাগুলোর মধ্যে ১০০টির বেশি স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের মালিকানাধীন, বাকি কারখানাগুলো বেশিরভাগ যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত। এ কারখানাগুলোর মধ্যে ৫২ শতাংশ তৈরি পোশাক, টেক্সটাইল এবং গার্মেন্টস আনুষঙ্গিক সামগ্রী উৎপাদন করে। বাকি কারখানাগুলো বিভিন্ন ধরনের পণ্য উৎপাদন করে, যেমন কফিন ও খেলনা।
মেজর জেনারেল জিয়া প্রধান উপদেষ্টাকে বিনিয়োগকারীদের কয়েকটি চাহিদার কথা জানান, যার মধ্যে রয়েছে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ, বেপজা এলাকায় বন্ডেড ওয়্যারহাউজ সুবিধা, চট্টগ্রাম-সাংহাই সরাসরি বিমান যোগাযোগ এবং সাংহাই শহরে ভিসা কাউন্সিলর সেবা।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস কর্তৃপক্ষকে রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের সম্ভাবনা অনুসন্ধান করতে এবং গ্যাস অনুসন্ধান ও বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়নে কাজ করতে নির্দেশ দেন।
তিনি আরও বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে শক্তি আমদানি করে বাংলাদেশ লাভবান হতে পারে কি না, তা পরীক্ষা করে দেখতে। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুতফে সিদ্দিকী যিনি এই সভায় উপস্থিত ছিলেন, লক্ষ্যভিত্তিক অর্থনৈতিক কূটনীতির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, বিদ্যমান বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো থেকে শিল্পগুলোকে আরও বেশি বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য একটি সমন্বিত বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়নের কাজ করবে সরকার।
বিডার চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেন, রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করা উচিত। তিনি বলেন, আমাদের উচিত বেপজা ও বেজাকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলা এবং সেখানে বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধাগুলো বিশ্বজুড়ে প্রচার করা, যাতে আরও বিনিয়োগ আসে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
শেখ হাসিনা পরিবারের প্লট বরাদ্দে অনিয়মের প্রমাণ দুদকে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে পূর্বাচলে ৬০ কাঠা জমি বরাদ্দের ক্ষেত্রে ক্ষমতার অপব্যবহারের প্রমাণ পেয়েছে দুদক। এ বিষয়ে শিগগির বিস্তারিত তথ্য দিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরে বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধানের সর্বশেষ অগ্রগতি জানতে চাইলে তিনি এ তথ্য জানান।
আক্তার হোসেন বলেন, এ বিষয়ে অনেক অগ্রগতি আছে, আমাদের অনুসন্ধান দল অনেক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। আমাদের হাতে পর্যাপ্ত তথ্য এসেছে, যে বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করছি। বিশেষ করে রাজউকের পূর্বাচল প্রকল্পের ৬০ কাঠা প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত বিষয়ে আমরা শিগগির আপনাদের ভালো কিছু তথ্য দিতে পারবো।
যেসব তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে তাতে মামলার দিকে যেতে পারে কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে এখনই মন্তব্য করা ঠিক হবে না। অনুসন্ধান দল প্রতিবেদন দাখিল করলে আমরা আপনাদের শিগগির ভালো সংবাদ দিতে পারবো। তবে আমরা যে রেকর্ডপত্র পেয়েছি তাতে সুস্পষ্টভাবে ক্ষমতার অপব্যবহারের প্রমাণাদি রয়েছে।’
এর আগে গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের পাঁচ সদস্যের নামে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ছয়টি প্লট বরাদ্দে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।
পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের কূটনৈতিক জোনের ২০৩ নম্বর রোডের আশপাশের এলাকায় শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ছোট বোন শেখ রেহানা এবং তার ছেলে-মেয়ে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও আজমিনা সিদ্দিকের নামে প্লটগুলো বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
গত বছরের অক্টোবরে বোন শেখ রেহানাসহ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্যদের নামে পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দে অনিয়ম নিয়ে সংবাদমাধ্যমে আসা অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে দেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে এ কমিটিকে আওয়ামী লীগ সরকারের গত ১৫ বছরে (২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে) রাজউকের প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগও তদন্ত করতে বলা হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার এজেন্ডা সমর্থন করছে ইআইবি
অন্তর্বর্তী সরকারকে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার বাস্তবায়নে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংক (ইআইবি)। একই সঙ্গে এ সরকারের সংস্কার এজেন্ডাকে সমর্থন করার কথাও জানিয়েছে ইআইবি।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে ইআইবির ভাইস প্রেসিডেন্ট নিকোলা বিয়ার এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, আমরা খুব চ্যালেঞ্জিং সময়ে এসেছি; আমরা অন্তর্বর্তী সরকার এবং এর সংস্কার এজেন্ডাকে সমর্থন করি। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কাছে প্রযুক্তিগত দক্ষতা রয়েছে, যা এ সরকারকে সহায়তা করতে পারে।
সরকারের উদ্দেশে নিকোলা বিয়ার বলেন, আমরা যা কিছু করতে পারি, দয়া করে জানান। এটি দৃশ্যমান করা গুরুত্বপূর্ণ যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার শুধু কাজ করছে তা-ই নয়, বরং ফলাফলও দেখাচ্ছে।
বর্তমান সময়টি সুযোগের সময় বলে অভিহিত করে ড. ইউনূস দুর্নীতি দমন, শক্তিতে সবুজ রূপান্তর এবং সুন্দরবন ম্যানগ্রোভ বন এবং আশপাশের অঞ্চল ও নদীব্যবস্থার জন্য একটি ব্যাপক পরিকল্পনা প্রণয়নে ইআইবির সহায়তা চেয়েছেন। তিনি পূর্ব বাংলাদেশে জনগণের উন্নয়ন এবং উত্তর বাংলাদেশে জল ব্যবস্থাপনার জন্য চট্টগ্রাম বন্দরে সুবিধা নির্মাণে ইআইবির সমর্থনও চেয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এ অঞ্চলের বৃহত্তম বন্দরে পূর্ব বাংলাদেশের উন্নয়ন পূর্ব ভারত এবং মিয়ানমারকেও উপকৃত করবে।
গত বছর সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের পাশে ইইউ প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লেয়েনের সঙ্গে তার সাক্ষাতের কথাও তিনি স্মরণ করেছেন, যেখানে তারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই এবং জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য শক্তির দিকে বর্ধিত পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সহায়তার বিষয়ে আলোচনা করেছিলেন।
তিনি ইইউ দূতদের সঙ্গে তার সাম্প্রতিক সাক্ষাতের কথাও উল্লেখ করেছেন, যেখানে সহযোগিতার অনেক ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করা হয়েছিল।
ড. ইউনূস আগামী সাধারণ নির্বাচন এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনার বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার ‘স্থানীয় সরকার সত্যিকার অর্থেই স্থানীয় এবং একটি সরকার’ তা নিশ্চিত করার জন্য স্থানীয় সরকার নির্বাচনের প্রস্তুতিও একই সঙ্গে নিচ্ছে।
এসময় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, বিডা চেয়ারম্যান আশিক মাহমুদ চৌধুরী, এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মর্শেদ, ইআরডি সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী ও ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলারসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
১৫ জানুয়ারির মধ্যে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র দিতে হবে: হাসনাত
আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র দিতে হবে বলে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
তিনি বলেছেন, আমরা স্পষ্টভাবে জানাতে চাই, যারা এই ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে তাদের সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছিল, গণঅভ্যুত্থানে অংশ নিয়েছিল তাদেরসহ সকল শ্রেণিপেশার মানুষের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র ঘোষণা করতে হবে।
বুধবার (০৮ জানুয়ারি) কুমিল্লা নগরীতে ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’র সমর্থনে জনসংযোগ শেষে শহরের টাউন হল মাঠে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে পুলিশ লাইন থেকে শুরু, কান্দিরপাড়সহ নগরীর বিভিন্ন সড়কে জনসংযোগ করেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন সরকার ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত ছিল জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রের ব্যবস্থা করা। সরকার থেকে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা নেওয়া হয়নি। তাই আমরা এ বিপ্লবের ঘোষণাপত্র প্রকাশ করতে গিয়েছি। কিন্তু সকল রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে এই ঘোষণাপত্র ঘোষণা করার দায়িত্ব যখন সরকার নিয়েছে, তাই আমরা ৩১ ডিসেম্বর ঘোষণাপত্রটি ঘোষণা করিনি। আমরা রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রাধান্য দিয়েছি। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো ৩১ ডিসেম্বরের পর এতদিন কেটে গেলেও সরকার এখনো কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেয়নি।
ঘোষণাপত্র কেমন হতে হবে তার বর্ণনা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের এ সমন্বয়ক।
তিনি বলেন, ঘোষণাপত্রে অবশ্যই শহীদ ও আহতদের স্বীকৃতি দিতে হবে। ৪৭, ৭১ ও ২৪ এর যে ধারাবাহিকতা সেখানে সুস্পষ্ট তার বর্ণনা থাকতে হবে। আর সেটাতে আমরা কোনো পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্তি পেয়েছি তার বর্ণনা থাকতে হবে। যে রাজনৈতিক দলগুলো অংশ নিয়েছে তাদের অংশগ্রহণের স্বীকৃতি সেখানে থাকতে হবে। জনগণের যে আকাঙ্ক্ষা ফ্যাসিবাদী রাজনীতির বিরুদ্ধে, সে আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন এই ঘোষণাপত্র থাকতে হবে। আমরা বাংলাদেশের প্রত্যেকটি অঞ্চলে ঘুরে বেড়াব এবং সাধারণ মানুষ যারা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিল তারা এই ঘোষণাপত্রের কি চায় আমরা তুলে ধরব। যাতে ২৪ পরবর্তী বাংলাদেশে আর কোনো ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া না দিতে পারে।
হাসনাত বলেন, সরকার ৫ আগস্টের পরবর্তী সময়ে আহত ও শহীদদের পরিবারকে গুরুত্ব দিয়ে দেখার কথা ছিল। কিন্তু আমরা এখনো আহতদের ও শহীদ পরিবারের আর্তনাদ শুনি। যা অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয়। আমরা চাই এ সরকার সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেবে আহত ও শহীদদের প্রতি। আমরা দেখেছি জুলাই ফাউন্ডেশনের আহত ও শহীদদের পরিবার আমলাতান্ত্রিক জটিলতার শিকার হয়েছিল। আমরা বলতে চাই, ২৪ পরবর্তী বাংলাদেশের যেন কোনো আমলাতান্ত্রিক জটিলতা না থাকে।
ছাত্র-আন্দোলনের এ সমন্বয়ক বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে মাঝেমধ্যে দোহাই দিয়ে বলতে শুনি, সিন্ডিকেটের হাত পরিবর্তন হয়েছে, চাঁদাবাজির হাত পরিবর্তন হয়েছে, টেন্ডারবাজির হাত পরিবর্তন হয়েছে। আপনাদের আমরা দোহাই দেওয়ার জন্য এখানে আনি নাই। এক্সকিউজ দেওয়ার জন্য এখানে আনি নাই। আপনাদের এখানে এনেছি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য। যেই হাত চাঁদাবাজি করে, টেন্ডারবাজি করে সেই হাত ভেঙে দিতে হবে। এক্সকিউজ দেওয়ার সুযোগ আপনাদের নেই। আপনাদের যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। ৫ আগস্টের পূর্বে আমাদের যে অবস্থান ছিল আমাদের সে অবস্থান অব্যাহত থাকবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ফেলানীর পরিবারের দায়িত্ব নিলেন উপদেষ্টা আসিফ
বিএসএফের গুলিতে নিহত আলোচিত কুড়িগ্রামের কিশোরী ফেলানীর পরিবারের দেখাশোনার দায়িত্ব নিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা জানিয়েছেন।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, সীমান্তে হত্যা করে কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রাখা ফেলানীর পরিবারের দেখাশোনার দায়িত্ব নিয়েছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
স্ট্যাটাসে আসিফ মাহমুদ একটি ছবি শেয়ার করেন। যেখানে উপদেষ্টা আসিফের সঙ্গে ফেলানীর মা-বাবা ও ভাই উপস্থিত রয়েছেন।
উল্লেখ্য, কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ভোরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ফেলানীকে গুলি করে হত্যা করে। হত্যার পর দীর্ঘক্ষণ কাঁটাতারে ঝুলে রাখে ফেলানীর মরদেহ।
সীমান্তের কাঁটাতারে আটকে থাকা ফেলানীর ঝুলন্ত লাশের ছবি বিশ্বজুড়ে হৈচৈ ফেলে দেয়। ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বর্বরতা সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। ফেলানী হয়ে ওঠে প্রতিবাদের প্রতীক। বিশ্ব মিডিয়ায় ফেলানী খাতুনের মরদেহ কাঁটাতারে ঝুলে থাকার ঝুলন্ত ছবি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ায় ভারত হত্যাকারী বিএসএফ সদস্যদের বিচারের প্রতিশ্রুতি দেয়। বিচার প্রক্রিয়া শুরু হলেও ১৪ বছরেও এ হত্যার সুষ্ঠু বিচার পায়নি ফেলানীর পরিবার।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ওয়াসার তাকসিমসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অর্গানোগ্রাম বহির্ভূত ও নীতিমালা অনুসরণ না করে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে ঢাকা ওয়াসার সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিম এ খানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) দুদকের ঢাকা-১ অফিসের উপপরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ঢাকা-১ কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, অবৈধ নিয়োগের সরকারের প্রায় ২ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। দুদক মহাপরিচালক ও মুখপাত্র মো. আক্তার হোসেন এক ব্রিফিংয়ে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এজাহারে উল্লেখ করা আসামিরা হলেন, ঢাকা ওয়াসা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক প্রকৌশলী ড. মো. হাবিবুর রহমান, বোর্ড সদস্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব (বাজেট-২) সুধাংশু শেখর বিশ্বাস, দি ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্টস অব বাংলাদেশের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মু. মাহমুদ হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মো. নুরুজ্জামান, ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সের সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী এ কে এম এ হামিদ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. হাসিবুর রহমান মানিক, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত ১২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলেয়া সারোয়ার ডেইজী, ঢাকা ওয়াসার এমডি প্রকৌশলী তাকসিম এ খান, সাবেক পরিচালক (উন্নয়ন) আবুল কাশেম ও সাবেক পরিচালক (কারিগরি) এ কে এম সহিদ উদ্দিন।
ঢাকা ওয়াসার পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা পরস্পর যোগসাজশ করে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অর্গানোগ্রাম বহির্ভূত ও ঢাকা ওয়াসায় বৈধ কোনো পদ সৃষ্টি না করে এবং নিয়োগ সংক্রান্ত নীতিমালা ও প্রচলিত বিধি-বিধান অনুসরণ না করে নিজেদের পছন্দের দুজন ব্যক্তিকে নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
কাফি