কর্পোরেট সংবাদ
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের কৃষি বিনিয়োগ বিতরণ
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের উদ্যোগে নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার প্রায় ৪০০ সয়াবিন ও মরিচ চাষির মাঝে ৪ শতাংশ মুনাফায় কৃষি বিনিয়োগ বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার (৪ জানুয়ারি) সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদে এই বিনিয়োগ বিতরণ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ ফোরকানুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান মাকসুদা বেগম এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের স্বতন্ত্র পরিচালক মো. মোরশেদ আলম খন্দকার, ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুস সায়াদাত, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সুরাইয়া আক্তার লাকি, ব্যাংকের এসএমই এন্ড এগ্রিকালচারাল ফাইন্যান্স ডিভিশনের প্রধান শ্যাম সুন্দর রায়, জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মুহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়ার সাপ্লাই চেইন এন্ড প্রাইভেট সেক্টর এনগেজমেন্টের প্রধান মো. মুজিবুল হক ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হারুন অর রশিদ।
এছাড়া ব্যাংকের মাইজদী শাখার ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ নূর-উন-নবী পাটোয়ারী, নোয়াখালি জেলার অন্যান্য শাখার ব্যবস্থাপকগণ সহ বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান মাকসুদা বেগম বলেন, কৃষকগণ এ দেশের প্রাণ। কৃষিকাজে নারীদের অংশগ্রহণ আরও বেশী হওয়া প্রয়োজন। ভবিষ্যতে এ অঞ্চলের কৃষকদের মাঝে আরও বেশি হারে বিনিয়োগ বিতরন করা হবে বলে কৃষকদের আশ্বস্ত করেন পরিচালক মো. মোরশেদ আলম খন্দকার।
ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ ফোরকানুল্লাহ বলেন, ৪ শতাংশ মুনাফায় কৃষি বিনিয়োগ পেয়ে এ এলাকার কৃষকগণ উপকৃত হচ্ছেন। পর্যায়ক্রমে এ এলাকার সব কৃষকের মাঝে বিনিয়োগ সুবিধা প্রদান করা হবে।
নাজমুস সায়াদাত বলেন, দেশকে খাদ্যে স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে কৃষকদের আর্থিক সযোগিতা করছে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুরাইয়া আক্তার লাকী সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান এবং এই উদ্যোগে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশের অন্যান্য ব্যাংকও কৃষিখাতে এভাবে বিনিয়োগের উদ্যোগ গ্রহণ করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংকগুলোর মুনাফায় শীর্ষে এনআরবিসি ব্যাংক
বিদায় নিয়েছে ঘটনাবহুল ২০২৪ সাল। স্বৈরাচার পতনের আন্দোলনের ছোয়া লাগে অর্থনৈতিক খাতেও। কয়েকটি ব্যাংক দূর্বৃত্তায়নের ছোবলে বেকায়দায় পড়লেও অধিকাংশ ব্যাংক গ্রাহকদের আস্থা ও বিশ্বাসে অগ্রগতির ধারায় রয়েছে। যার ফলে ২০২৪ সালের বার্ষিক হিসেবে অধিকাংশ ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা বেড়েছে। চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংকগুলোর পরিচালন মুনাফাও আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে। এই প্রজন্মের ব্যাংকগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ মুনাফা অর্জন করেছে এনআরবিসি ব্যাংক।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০২৪ সালের প্রাথমিক হিসাব-নিকাশ সম্পন্ন করেছে ব্যাংকগুলো। তবে বিস্তারিত ব্যালান্সশিট প্রস্তুত করতে আরও কয়েক মাস সময় লেগে যাবে। প্রাথমিক হিসাব-নিকাশ ব্যাংকের অভ্যন্তরীন ও বহি:নিরীক্ষক দ্বারা যাচাই-বাছাই এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন শেষে চূড়ান্ত হবে। তাই প্রাথমিকভাবে পরিচালন মুনাফার যে তথ্য পাওয়া গেছে তা চূড়ান্ত নয়। আবার এই পরিচালন মুনাফা ব্যাংকের প্রকৃত বা নিট মুনাফা নয়। এই পরিচালন মুনাফা থেকে প্রভিশন সংরক্ষন এবং কর পরিশোধের পর নিট মুনাফা জানা যাবে। তাই আনুষ্ঠানিকভাবে কোন ব্যাংকই তাদের পরিচালন মুনাফার তথ্য প্রকাশ করতে রাজি হয়নি।
প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, চতুর্থ প্রজন্মের ৯টি ব্যাংকের মধ্যে ৬টি ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪১৯ পরিচালন মুনাফা করেছে এনআরবিসি ব্যাংক। ২০২৩ সালে ব্যাংকটির মুনাফা ছিল ৩৭৪ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে এনআরবিসি ব্যাংকের মুনাফা বেড়েছে প্রায় ১২ শতাংশ। এদিকে আমানত সংগ্রহ, ঋণ বিতরণ ও অতিরিক্ত তারলেও সমসাময়িক ব্যাংকগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে এনআরবিসি ব্যাংক।
চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংকগুলোর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৩৮ কোটি টাকা করেছে মধুমতি ব্যাংক। গত বছর ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা ছিল। এছাড়া সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স (এসবিএসি) ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা ২২৪ কোটি টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০৪ কোটি টাকা। ২০২৩ সালে ১৭৪ কোটি টাকা মুনাফা করা মিডল্যান্ড ব্যাংক বিদায় বছরে পরিচালন মুনাফা অর্জন করেছে ২১০ কোটি টাকা। এছাড়া মেঘনা ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা ১৬৫ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ২০৫ কোটি টাকা এবং এনআরবি ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা ১৪৩ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ২০২৪ সাল শেষে হয়েছে ২০২ কোটি টাকা।
চতুর্থ প্রজন্মের পদ্মা ব্যাংক কয়েক বছর ধরেই লোকসানের ধারায় রয়েছে। অন্যদিকে এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন ইউনিয়ন ব্যাংক এবং গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক সংঘবদ্ধ দুর্নীতির কারণে ডুবতে বসেছে। ব্যাংক দুটির ক্ষতের পরিমান জানতে আন্তর্জাতিক নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান দ্বারা বিশদ ফরেনসিক পরিদর্শন শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এনআরবিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ব্যাংকের মুনাফা কত হয়েছে এটি এখনো বলার সময় আসেনি। তবে এনআরবিসি ব্যাংক চেষ্টা করেছে সর্বোত্তম সেবা দিয়ে গ্রাহকদের আস্থা অর্জনের। এজন্য আমাদের আমানত সংগ্রহ বেড়েছে। অন্যদিকে ঋণের আদায়ও বেড়েছে। নতুন বছরে আমাদের লক্ষ্য প্রান্তিক মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য অর্থায়ন নিশ্চিত করা। অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করতে আমরা সমাজে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ও নিম্ন আয়ের মানুষদেরকেই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেবা দিয়ে যাবো।
এদিকে দেশের বড় ব্যাংকগুলোর মুনাফায় বড় ধরনের উলম্ফন হয়েছে। ২০২৪ সালে ব্র্যাক ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা হয়েছে ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। এছাড়া পূবালী ব্যাংকের ২ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকা, সিটি ব্যাংকের ২ হাজার ২৮৭ কোটি টাকা, ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ২ হাজার ২৮৫ কোটি টাকা, ব্যাংক এশিয়ার ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা, ইস্টার্ন ব্যাংকের ১ হাজার ৬৭৫ কোটি টাকা, প্রাইম ব্যাংকের ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ১ হাজার ১১০ কোটি টাকা, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ১ হাজার ৫০ কোটি টাকা, এক্সিম ব্যাংকের ৯৭৫ কোটি টাকা, প্রিমিয়ার ব্যাংকের ৮৫০ কোটি টাকা, ওয়ান ব্যাংকের ৮৩০ কোটি টাকা ও মার্কেন্টাইল ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা হয়েছে ৬৪৪ কোটি টাকা।
ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) ভাইস চেয়ারম্যান ও সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাসরুর আরেফিন গণমাধ্যমে বলেন, ঋণের সুদহারের ঊর্ধ্বসীমা উঠে যাওয়ার পর তাদের নিট সুদ আয় বেড়েছে। আপনি বিশ্লেষণ করলে দেখবেন, ভালো ব্যাংকগুলোর মোট সুদ আয়ের ৬০-৭০ শতাংশ আসছে ঋণ খাত থেকে। আর ২০ শতাংশের মতো সরকারি বিল-বন্ডে বিনিয়োগ থেকে এবং বাকিটা অন্য ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট ইত্যাদি রেখে।
তিনি আরও বলেন, দেশের ভালো ব্যাংকগুলো এখন তাদের আয়ের এক-চতুর্থাংশই সুদের বাইরে থেকে আয় করা শুরু করেছে। অর্থাৎ জনগণকে নানা সেবা দিয়ে তার বিনিময়ে সামান্য ফি-কমিশন চার্জ করে তারা আয় বাড়াতে পারছে। সুদনির্ভর ব্যালান্স শিট থেকে সেবা বাবদ অর্জিত ফি নির্ভর ব্যালান্স শিটে যেতে পারাটা সত্যিকারের আধুনিক ব্যাংকিং। আবার এটিও সত্যি যে এ বছর অনেক ব্যাংক পারফরম্যান্স খারাপ করার কারণে তুলনামূলক সুনামসম্পন্ন ব্যাংকগুলো আরো বেশি ভালো করেছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংকের পর্ষদ সভা
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ।
এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুল জলিল, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম, স্বতন্ত্র পরিচালক মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা, শরী’আহ সুপারভাইজরি কমিটির সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আব্দুস সামাদ, অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খান, মো. আলতাফ হুসাইন ও মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন মজুমদার এবং কোম্পানি সেক্রেটারি (চলতি দায়িত্ব) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
সাউথইস্ট ব্যাংকের এমডির সঙ্গে গ্রামীণফোনের সিনিয়র টিমের সাক্ষাৎ
সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুদ্দিন মো. ছাদেক হোসাইন ও গ্রামীণফোন লিমিটেডের সিনিয়র প্রতিনিধি দলের মধ্যে কর্পোরেট সুসম্পর্ক জোরদার ও পারস্পরিক সহযোগিতার সম্ভাবনা অনুসন্ধানে এক সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গ্রামীণফোন লিমিটেডের হেড অফ লার্জ কর্পোরেট এম. শাওন আজাদের নেতৃত্বে সম্প্রতি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
টেলিনর গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন লিমিটেড বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় টেলিযোগাযোগ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, যা উন্নত মোবাইল সেবার মাধ্যমে কানেক্টিভিটি এবং সামাজিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে।
এই বৈঠকের মূল লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের আর্থিক ও প্রযুক্তিগত অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধির লক্ষ্যে অংশীদারিত্ব জোরদারকরণ। আলোচনায়, উদ্ভাবনী ডিজিটাল আর্থিক সেবা, মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিসেস এবং পারস্পরিক গ্রাহকদের জন্য নিরবচ্ছিন্ন সেবা প্রদানে প্রযুক্তি ব্যবহারের সম্ভাবনা এবং সম্ভাব্য সহযোগিতার সুযোগ অনুসন্ধান অন্তর্ভুক্ত ছিল।
ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুদ্দিন মো. ছাদেক হোসাইন গ্রাহকদের আরও ভালো সেবা দিতে উদ্ভাবন এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রতি সাউথইস্ট ব্যাংকের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি গ্রামীণফোনের মতো শিল্প নেতাদের সাথে অংশীদারত্বের মাধ্যমে ব্যাংকিং সেবা রূপান্তরের চলমান প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করেন।
এসময় এম. শাওন আজাদ গ্রামীণফোনের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে অংশীদারিত্ব তৈরি এবং গ্রাহকদের ক্ষমতায়ন ও ডিজিটালাইজেশনকে এগিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন।
সাক্ষাৎকালে সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবিদুর রহমান চৌধুরী, মাছুম উদ্দিন খান এবং গ্রামীণফোন লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার- মো. শাখাওয়াত হোসাইন খান, কী অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার – মুন মুন নওশাদ, স্ট্র্যাটেজিক একাউন্ট ম্যনেজার- ফেরদোসি আহমেদ এবং আইসিটি প্রি-সেলস এক্সপার্ট- সালওয়া ইসলাম টুইংকেল সহ উভয় প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উভয় প্রতিষ্ঠানের কৌশলগত উদ্যোগ সমন্বয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষকে উত্তম সেবা প্রদানের প্রচেষ্টায় এই সাক্ষাৎ একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসি উদ্ভাবনী ব্যাংকিং সমাধান প্রদানে এবং দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের নতুন সচিব নজরুল ইসলাম
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের নতুন সচিব নিয়োগ পেয়েছেন স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম।
সচিব পদে পদোন্নতির পর তাকে এই নিয়োগ দিয়ে সোমবার (৬ জানুয়ারি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
গত ১০ নভেম্বর পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মোসাম্মৎ শাহানারা খাতুনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায় সরকার।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
হতাশ হয়ে পড়া মেহেরপুরের কৃষকের পাশে ‘স্বপ্ন’
শীতকালীন সবজির মধ্যে ফুলকপির বাম্পার ফলন হলেও এর দাম পাচ্ছেন না মেহেরপুরের কৃষকেরা। উৎপাদিত সবজির কাঙ্ক্ষিত দাম না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন জেলার চাষিরা। ক্রেতা কম থাকায় অধিকাংশ সবজিই নষ্ট হচ্ছে জমিতে।
কৃষি বিভাগ বলছে, একই সাথে মেহেরপুরসহ সারাদেশের শীতকালের সবজি উঠতে শুরু করেছে তাই এমন দরপতন।
কৃষকের হতাশার খবর চোখে পড়ে স্বপ্ন কর্তৃপক্ষের। খবর জানার পর স্বপ্নর প্রতিনিধি গিয়ে প্রাথমিকভাবে ১০ হাজার পিস ফুলকপি কিনেছেন ২ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় ।
ফুলকপি সবজি চাষি রকিব আলী জানান, একবিঘা জমিতে ফুলকপির আবাদ করতে খরচ হয়েতে ২৫ হাজার টাকা। সাথে রয়েছে শ্রমিক ও পরিবহন খরচ। লাভের মুখ না দেখে উল্টো জমিতে ফুলকপি নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল । চিন্তা ছিল অনেক। সেখানে আশার মুখ দেখালো সুপারশপ স্বপ্ন। আমাদের থেকে ১০ হাজার পিস ফুলকপি কিনেছেন তারা। সেখান থেকে আমার কিছু টাকা আয় হয়েছে। স্বপ্নকে অনেক ধন্যবাদ।
মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার বলেন, প্রতিবছর এ মৌসুমে মেহেরপুরে ব্যাপক ভাবে বাঁধাকপি ও ফুলকপির আবাদ হয়। হঠাৎ দরপতন হয়েছে। স্বপ্নকে এমন উদ্যোগ নেবার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি ।
‘স্বপ্ন’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির এ প্রসঙ্গে জানান, সোশ্যাল মিডিয়া এবং সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে মেহেরপুরের কৃষকদের এই হতাশার বিষয়টি চোখে পড়ে আমাদের । এরপর স্বপ্নর টিম মেহেরপুরের সেই কৃষকের সাথে যোগাযোগ করেন এবং ফুলকপি কেনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় । স্বপ্ন’র ক্রেতাদের জন্য আজ থেকেই স্বপ্ন আউটলেটে থাকবে মেহেরপুরের সেই কৃষক ভাইয়ের জমির ফুলকপি। তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ একটি কৃষিপ্রধান দেশ। কৃষক বাঁচলেই, বাঁচবে দেশ ।