পুঁজিবাজার
সপ্তাহজুড়ে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের সর্বোচ্চ দরপতন
বিদায়ী সপ্তাহে (২৯ ডিসেম্বর থেকে ০২ জানুয়ারি) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহজুড়ে সর্বোচ্চ দর পতন হয়েছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সপ্তাহজুড়ে ফান্ডটির দর কমেছে ১১ দশমিক ৮৪ শতাংশ। ফান্ডটির সমাপনী মূল্য ছিল ২৬ টাকা ৮০ পয়সা।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা খান ব্রাদার্সের শেয়ার দর কমেছে ৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ। শেয়ারটির সমাপনী মূল্য ছিল ১৩০ টাকা ১০ পয়সা। আর তৃতীয় স্থানে থাকা ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার দর কমেছে ৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ। শেয়ারটির সমাপনী মূল্য ছিল ৩৮৭ টাকা ২০ টাকা।
তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে- জুট স্পিনার্সের ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ, বিকন ফার্মার ৮ দশমিক ০১ শতাংশ, মিথুন নিটিংয়ের ৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৬ দশমিক ৭০ শতাংশ, ড্যাফোডিল কম্পিউটার্সের ৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ, নর্দান জুটের ৬ দশমিক ২৬ শতাংশ এবং ড্রাগন সোয়েটারের ৬ দশমিক ১৪ শতাংশ শেয়ার দর কমেছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রিস্পেরিডোনের চালান পাঠিয়েছে রেনাটা
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রেনাটা পিএলসি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রিস্পেরিডোনের প্রথম চালান পাঠিয়েছে। রেনাটার ইউএস এফডিএ অনুমোদিত পদ্ধতিতে তৈরি স্পিরিড দেশে মানসিক রোগের চিকিৎসার জন্য ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে পাঠানো এ শিপমেন্টে ওষুধটির ০.২৫ মিলি গ্রাম, ০.৫ মিলি গ্রাম এবং ১ মিলি গ্রাম পরিমাণের ১ কোটি বিশ লাখ ট্যাবলেট রয়েছে। যা সিজোফ্রেনিয়া, বাইপোলার ডিসঅর্ডার এবং অটিজম-সম্পর্কিত বিরক্তির চিকিৎসার জন্য অপরিহার্য।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
দুর্নীতিতে জড়িত বিএসইসি চেয়ারম্যান রাশেদ মাকসুদের তদন্তে দুদক
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের বিরুদ্ধে ভয়াবহ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। একটি বেসরকারি ব্যাংকের শীর্ষ পদে দায়িত্ব পালনকালে রাশেদ মাকসুদ বড় অংকের ঋণ কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েন। এ নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) মামলা হয়েছে। দুদক চট্টগ্রামের সমন্বিত জেলা কার্যালয় এবিষয়ে তদন্ত করছে। দুদক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এনআরবিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক থাকাকালে রাশেদ মাকসুদ গ্রাহককে অবৈধভাবে বিশাল অংকের ঋণ দিয়েছিলো। ব্যাংকটির গ্রাহক এ এন্ড আউট ওয়্যার লিমিটেড ও নর্ম আউট লিমিটেড এবং কোল্ড প্রে লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জয়নাল আবেদীনকে অবৈধভাবে ২৬৪ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছেন। যা দুদক তদন্ত করছে। তবে এটি ধামাচাপা দিতে মরিয়া এই লুটেরা চক্র।
দুদুক সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের জুন মাসের ১১ তারিখে দুদুকের চট্টগ্রামের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে এবিষয়ে বিএসইসির বর্তমান চেয়ারম্যান ও ব্যাংকটির তৎকালীন এমডি খন্দকার রাসেদ মাকসুদসহ আরো ৮ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একটি অনুসন্ধান শুরু হয়। অনুসন্ধানের স্মারকে বলা হয়, এ এন্ড আউট ওয়্যার লিমিটেড ও নর্ম আউট লিমিটেড এবং কোল্ড প্রে লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জয়নাল আবেদীনকে অবৈধভাবে ২৬৪ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছেন রাশেদ মাকসুদ চক্র।
তদন্তের বিষয়ে জানতে চাইলে দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী টিমের প্রধান মো. আতিকুল আলম অর্থসংবাদকে বলেন, এবিষয়ে মামলা হয়েছে। তদন্তের কাজ চলমান রয়েছে।
এবিষয়ে মন্তব্য জানতে খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সঙ্গে গত কয়েকদিন যাবত যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। পরবর্তিতে গত সোমবার (৬ জানুয়ারি) বিএসইসির মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিমের মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে বিএসইসি চেয়ারম্যানের পিএস (ব্যক্তিগত সহকারী) এর সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন তিনি। তাতেও রাশেদ মাকসুদের মন্তব্য পাওয়া যায়নি। পরবর্তিতে খন্দকার রাশেদ মাকসুদের ব্যক্তিগত মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। একপর্যায়ে তাঁর ব্যক্তিগত মুঠোফোনের হোয়াটস অ্যাপে খুদে বার্তা পাঠানো হয় অর্থসংবাদের পক্ষ থেকে।তারও কোনো উত্তর দেননি রাশেদ মাকসুদ।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী সম্মিলিত পরিষদের সভাপতি আতাউল্লাহ নাঈম অর্থসংবাদকে বলেন, দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত হওয়ায় নৈতিকভাবে বিএসইসির চেয়ারম্যান পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। এরপরও রাশেদ মাকসুদ যেহেতু দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত হয়েছে সেহেতু অর্থ মন্ত্রণালয়ের উচিৎ এখনই তদন্ত করে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া। পুঁজিবাজার একটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর জায়গা। এখানে অর্থনীতি, রাজনীতি ও পারিপার্শিক অবস্থা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো যোগ্য লোক নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসিতে দরকার। সেই হিসাবে খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বিএসইসির চেয়ারম্যান পদে অযোগ্য হিসাবে প্রমানিত হয়েছে।
নাম গোপন রাখার শর্তে ডিএসই ও ডিবিএর দায়িত্বশীল একাধিক ব্যক্তি অর্থসংবাদকে বলেন, একজন দুর্নীতিগ্রস্থ ব্যক্তির মাধ্যমে অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ পুঁজিবাজারে কিভাবে সংস্কার করবেন তা আমাদের বুঝে আসে না। এত বড় একটি স্পর্শকাতর জায়গায় দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কিভাবে এবং কার স্বার্থে নিয়োগ দিলো সেটা খুঁজে বের করা উচিৎ। এতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থার সংকট সৃষ্টি হয়েছে। একজন অযোগ্য ও দুর্নীতিগ্রস্থ ব্যক্তির দ্বারা এ বাজারের বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরানো সম্ভব নয়। আমরা যেটা শুনেছি বর্তমান বিএসইসির চেয়ারম্যান অর্থ উপদেষ্টার আত্মীয় এবং ঘনিষ্ঠজন তাই এই বাজারের স্টেকহোল্ডার থেকে শুরু করে বিনিয়োগকারী সবাই চেয়ারম্যানের পদত্যাগ চাওয়ার পরেও রাশেদ মাকসুদ স্বপদে বহাল রয়েছে। রাশেদ মাকসুদের কর্মকান্ড অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বিতর্কিত করছে তা অর্থ উপদেষ্টা কেনো দেখেন না।
সূত্র মতে, এনআরবিসি ম্যানেজমেন্টের মালিকানা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের তিন শীর্ষ পদধারীর জানা স্বত্ত্বেও, এসময় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্বে থাকা রাশেদ মাকসুদ একচেটিয়া ব্যাংকের সকল চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ, সরঞ্জামাদি ক্রয়, শাখা-উপশাখার ডেকোরেশন ও গাড়ি ভাড়াসহ বিভিন্ন সেবা সরবরাহের কার্যাদেশ এনআরবিসি ম্যানেজমেন্টের অনুকূলে প্রদান করেন। তাছাড়া, শুধুমাত্র লুটপাটের উদ্দ্যেশ্যেই রাশেদ মাকসুদের অনুমোদনে ব্যাংকের কর্মকর্তা ল্যাফটেনেন্ট কমান্ডার (অবঃ) ফরহাদ সরকারকে ব্যাংকের চাকুরীতে থাকা অবস্থায় পরিচালকদের মালিকানাধীন এনআরবিসি ম্যানেজমেন্টের এমডি ও সিইও হিসেবে ডেপুটেশনে পদায়ন করা হয়। যা ব্যাংকের সম্পূর্ণ স্বার্থবিরোধী কাজ। এভাবেই ব্যাংকের দুর্নীতিগ্রস্থ পরিচালকদের যোগসাজশে শতকোটি টাকা আত্মসাতে সহায়তা করেছেন রাশেদ মাকসুদ। এনআরবিসি ব্যাংক পিএলসির বিতর্কিত চেয়ারম্যান পারভেজ তমাল ব্যাংক দখলের সাথে সাথেই ২০১৮ সালের এপ্রিলে রাশেদ মাকসুদ ব্যাংকটির এমডি হিসেবে যোগদান করেন এবং দুর্নীতির মাফিয়ার প্রধান সহযোগী হয়ে ওঠেন।
জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত ব্যাংকের ৭৮তম বোর্ড মিটিংয়ে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাশেদ মাকসুদের সুপারিশে এনআরবিসি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের অনুকূলে ৬০ কোটি টাকার কম্পোজিট ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি অনুমোদন করা হয়। এরমধ্যে ২০ কোটি টাকার অমনিবাস ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি ও ৪০ কোটি টাকার লিজ ফাইন্যান্স ফ্যাসিলিটি অন্তর্ভূক্ত ছিলো। আইন অনুযায়ী, ব্যাংক কোম্পানী আইন, ১৯৯১ এর ১৮ (৬) ধারা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারী জারিকৃত ‘ব্যাংক সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সাথে লেনদেন সংশ্লিষ্ট বিধিবিধান’ সংক্রান্ত বিআরপিডি ৪নং সার্কুলারের পরিপন্থী। সেখানে এনআরবিসি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড নামক প্রতিষ্ঠানটি ব্যাংকের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান এবং এনআরবিসি ব্যাংক তাদের একমাত্র সেবা গ্রহিতা বা গ্রাহক। ফলে এনআরবিসি ম্যানেজমেন্টের চেয়ারম্যান ও এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান একই ব্যক্তি হওয়ায় এবং পরিচালকেরা উভয় প্রতিষ্ঠানের মালিকানায় থাকায়, লোন অনুমোদনের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ অবৈধ।
সূত্র জানায়, ব্যাংকের চেয়ারম্যান পারভেজ তমাল ও তার পিতা শাহজাহানের বেনামী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লান্তা সার্ভিসেসের নামে পূর্বের ৩ কোটি টাকার বেনামী লোন নিয়ে বোর্ডের আপত্তি ও উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষন থাকা স্বত্ত্বেও গত ২০১৯ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় ৭৮তম পর্ষদ সভায় রাশেদ মাকসুদের সুপারিশে লান্তা সার্ভিসেসের নামে সাড়ে ৪ কোটি টাকার কম্পোজিট ক্রেডিট লিমিট প্রদান করা হয়। এই লোন প্রপোজাল অনুমোদনের সময় এই প্রতিষ্ঠানের সাথে তমাল পারভেজের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে কোন ডিক্লারেশন দেয়া হয়নি। এই লোনের বিপরীতে কোন সহায়ক জামানতও নেয়া হয়নি। তাছাড়া পারভেজ তমাল সেই বোর্ড সভায় নিজে উপস্থিতও ছিলেন। তবে পরবর্তী পর্ষদ সভায় কম্পোজিট ক্রেডিট লিমিট সাড়ে ৪ কোটি থেকে বৃদ্ধি করে সাড়ে ৬ কোটি করা হয়।
পরবর্তীতে ব্যাংকের ৮২তম পর্ষদ সভার ৩৭তম এজেন্ডা অনুসারে লান্তা সার্ভিসেস লিমিটেডের নামে ১ কোটি ৬০ লাখ টাকার হায়ার পারচেজ লোন অনুমোদন হয়। হায়ার পারচেজ লোনটি ‘মেমো থ্রু সার্কুলেশনের’ মাধ্যমে বিশেষ বিবেচনায় অনুমোদন দেয়া হয় অথচ এই লোনটি সার্কুলেশন মেমো হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় মত জরুরী ছিলো না। এই লোনের বিপরীতে গ্রাহক থেকে কোন প্রকার ইকুইটিও নেয়া হয় নাই। শুধুমাত্র চেয়ারম্যানের স্বার্থসিংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান হিসেবেই লান্তা সার্ভিস এই বিশেষ সুবিধা ভোগ করে। লানতা সার্ভিসেস লিমিটেডের বনানী শাখার একাউন্ট নং ….০০৩৫০ পর্যালোচনা করে পাওয়া যায়, ১ কোটি ৬০ লাখ টাকার হায়ার পারচেজ লোনটি ঐ বছরের ০৩ জুন বিতরণ করা হয় এবং পে-অর্ডার নং ৬৯৬৬৯৯ এর মাধ্যমে এজি অটোমোবাইলসকে এই অর্থ প্রদান করা হয়।
এছাড়াও, রাশেদ মাকসুদ ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক থাকাকালীন গত ২০১৯ সালের ২০ জুলাই অনুষ্ঠিত ৮৪তম পর্ষদ সভার ৪৩তম এজেন্ডার মাধ্যমে ল্যান্ড রোভার গাড়ী ক্রয়ের জন্য ২ কোটি ৪২ লাখ টাকার হায়ার পারচেজ লোন অনুমোদন দেয়া হয়। গ্রাহক গাড়ীর মূল্যের মাত্র ১৫ শতাংশ ইকুইটি হিসেবে দেয়ার অনুমতি পায়। এভাবে পর্ষদের চেয়ারম্যানের নির্দেশে ব্যবস্থাপনা পরিচালক কর্তৃক ব্যাংকের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তির প্রতিষ্ঠানকে ঋণ অনুমোদনের মাধ্যমে অস্বাভাবিক সুবিধা দেয়া ক্রেডিট নর্মসের পরিপন্থী।
রাশেদ মাকসুদ ব্যাংকটির এমডি থাকাকালীন ২০১৯ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত ব্যাংকের ৭৮তম পর্ষদ সভায় পাবনার রুপপুর শাখার গ্রাহক পাপারোমা্র নামে ৫ কোটি টাকার ওভারড্রাফট ঋণ অনুমোদন করেন। ঋনের অর্থে রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র সংলগ্ন ১৭৩ দশমিক ৫০ শতাংশ জমি পাপারোমার মালিকানায় ক্রয় করা হয়। কিন্তু ঋণ অনুমোদন ও জমি ক্রয়ের পূর্বেই ঋণের সহায়ক জামানত হিসেবে উপরোল্লিখিত ১৭৩ দশমিক ৫০ শতাংশ জমিকেই দেখানো হয়। ব্যাংক কোম্পানী আইন, ১৯৯১ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা মোতাবেক ঋনের আবেদনে ভুল তথ্য প্রদান ও ঋণের টাকা ছাড় করে সহায়ক জামানত ক্রয় সম্পূর্ণ বে-আইনী ও সুশাসনের পরিপন্থী। তাছাড়া, এই ঋন অমুনোদনের ক্ষেত্রে ব্যাংকের নিজস্ব ক্রেডিট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট পলিসিকেও সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি এন্ড কাস্টমার সার্ভিসেস ডিভিশনের ২০২২ সালের ২৪ মে থেকে ২৮ এপ্রিল এবং ১০ মে থেকে ১৫ মে পর্যন্ত সর্বমোট ১৫ কার্যদিবস পরিচালিত বিশেষ পরিদর্শনে পাপারোমার ঋনের অনিয়ম ও দুর্নীতির তথ্য প্রকাশিত হয়। কিন্তু তমাল-আর্জু-আদনানের সাথে সখ্যতার কারনে সেসময়ের বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবীরের নির্দেশে ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাশেদ মাকসুদসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কোনপ্রকার ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি।
তাছাড়া, রাশেদ মাকসুদ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক থাকাকালীন ব্যাংকের নতুন শাখা উপশাখার ডেকোরেশনের জন্য তমাল-আর্জু-আদনানের মালিকানাধীন এনআরবিসি ম্যানেজমেন্ট ও লান্তা সার্ভিসেসকে একচেটিয়া কাজ কার্যাদেশ প্রদান করেছেন এবং সন্তোষজনক কারন ছাড়াই কার্যাদেশের মূল্য অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি করেছেন।
ব্যাংকের অনুষ্ঠিত ৭৪ তম পর্ষদ সভার ৫১তম এজেন্ডায় উল্লেখ করা হয়েছে, নেত্রোকোনার পূর্বধলা শাখার ডেকোরেশনের জন্য তিনটি প্রতিষ্ঠান টেন্ডার আবেদন করেন। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে অর্চিকন্স, লান্তা ফরচুনা প্রোপারটিস লিমিটেড এবং আদ্রিতা ট্রেডিং। টেন্ডারে অর্চিকন্স সর্বনিম্ন দর দিলেও পরে তারা এই দামে কাজ করতে অপারগতা প্রকাশ করায় কাজটি লান্তা ফরচুনা প্রপারটিজকে দেয়া হয় এবং গুণমান সম্পন্ন কাজ করার জন্য টেন্ডার প্রাইজের চেয়ে ১০ শতাংশ দাম বেশী ধরে কাজের মূল্য নির্ধারন করা হয়। পববর্তীতে ৮২তম পর্ষদ সভার ৪২, ৪৩, ৪৪ ও ৪৬তম এজেন্ডার মাধ্যমে মাদারগঞ্জ, রাজবাড়ী, রামপুরা, বরগুনা শাখার ডেকোরেশনের কাজ ও ৫৪তম এজেন্ডার মাধ্যমে বিভিন্ন শাখায় ফার্নিচার সরবরাহের কার্যাদেশ প্রদান করা হয়েছে। আর ৮৪তম পর্ষদ সভার ৩০তম এজেন্ডার মাধ্যমে বরগুনা শাখা ও রাজবাড়ী শাখার ডেকোরেশনের কার্যাদেশের মূল্য বৃদ্ধি করে লান্তা সার্ভিসেসে পক্ষে অনুমোদন করা হয়।
এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে, ব্যাংকের এমডি থাকাকালীন রাশেদ মাকসুদ কর্তৃক যাচাইবাছাই ব্যতীত শুধুমাত্র স্বার্থসংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের ঋণ অনুমোদনের অভিযোগ রয়েছে। ব্যাংকের আভ্যন্তরীন নিরীক্ষা দলের বিভিন্ন অনুসন্ধানী রিপোর্টে ব্যাংকের উত্তরা শাখার তৈরী পোশাকের গ্রাহকসহ বিভিন্ন শাখা থেকে দুর্বল গ্রাহকদের অনুকূলে নিয়ম বহির্ভূত ঋণ প্রদানের বিষয় উল্লেখ রয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ফাইন ফুডসের সর্বোচ্চ দরপতন
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৯টি কোম্পানির মধ্যে ১৬২টি কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি শেয়ারদর কমেছে ফাইন ফুডস লিমিটেডর।
ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, মঙ্গলবার (০৭ জানুয়ারি) কোম্পানিটির শেয়ারদর আগের কার্যদিবসের তুলনায় কমেছে ১৯ টাকা ৭০ পয়সা বা ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ। তাতে দরপতনের শীর্ষে জায়গা নিয়েছে কোম্পানিটি।
দর পতনের শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা আনলিমা ইয়ার্ন ডাইংয়ের শেয়ার দর কমেছে আগের দিনের তুলনায় ৬ দশমিক ৮৯ শতাংশ। আর ৫ দশমিক ২৬ শতাংশ দর কমে যাওয়ায় পতনের শীর্ষ তালিকার তৃতীয় স্থানে জায়গা নিয়েছে জেনারেশন নেক্সট।
এছাড়া, আজ ডিএসইতে দর পতনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- মুন্নু সিরামিক, মিডল্যান্ড ব্যাংক, উসমানিয়া গ্লাস শিট ফ্যাক্টরি, বীকন ফার্মাসিউটিক্যালস, পূবালী ব্যাংক, মনোস্পুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারিং এবং শার্প ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
দর বৃদ্ধির শীর্ষে ড্রাগন সোয়েটার
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৯ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৬৪টির শেয়ারদর বেড়েছে। এর মধ্যে দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে ড্রাগন সোয়েটার অ্যান্য স্পিনিং লিমিটেড।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, মঙ্গলবার (০৭ জানুয়ারি) ডিএসইতে ড্রাগন সোয়েটারের শেয়ারদর আগের কার্যদিবসের তুলনায় ১ টাকা বা ৯ দশমিক ৪৩ শতাংশ বেড়েছে।
দর বৃদ্ধির দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে জাহিন পিএলসি। প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারদর ৮ দশমিক ৭৭ শতাংশ বেড়েছে। টপটেন গেইনার তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা এসবিএসি ব্যাংকের দর বেড়েছে ৮ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
মঙ্গলবার দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে আসা অপর কোম্পানিগুলো হচ্ছে- আইসিবি এএমসিএল ফার্স্ট অগ্রণী ব্যাংক মিউচুয়াল ফান্ড, ভ্যান্ডগার্ড এএমএল রূপালী ব্যাংব ব্যালেন্স ফান্ড, এশিয়া ইন্স্যুরেন্স, ফারইস্ট নিটিং, এডিএন টেলিকম, সিভিও পেট্রো কেমিক্যালস এবং হামিদ ফেব্রিকস পিএলসি।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
লেনদেনের শীর্ষে মিডল্যান্ড ব্যাংক
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৩৯৯টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে। এদিন লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে মিডল্যান্ড ব্যাংক পিএলসি।
ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, মঙ্গলবার (০৭ জানুয়ারি) কোম্পানিটির ২০ কোটি ১০ লাখ ৭৩ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। তাতে লেনদেনের শীর্ষে জায়গা নিয়েছে কোম্পানিটি।
লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে খান ব্রাদার্স। কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ৮২ লাখ ৩৫ হাজার টাকার। আর ১২ কোটি ৩৬ লাখ ৯৭ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন নিয়ে শীর্ষ তালিকার তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে ফাইন ফুডস লিমিটেড।
লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- রবি আজিয়াটা, ড্রাগন সোয়েটার, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ, পূবালী ব্যাংক, ওরিয়ন ইনফিউশন, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন এবং ফার ইস্ট নিটিং অ্যান্ড ডাইং লিমিটেড।
এসএম