পুঁজিবাজার
পুঁজি হারানোর হাহাকারে বছর পার করলেন বিনিয়োগকারীরা

দেশের পুঁজিবাজার ২০২৪ সালে অস্থিরতার মধ্য দিয়ে অতিক্রান্ত হয়েছে। বছরজুড়ে বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ, প্রতিবাদ এবং বাজার স্থিতিশীলতায় সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরপরই বিদায় নিতে হয় শিবলী কমিশনেকে। সংস্কারের পথ ধরে গঠিত হয় নতুন কমিশন। এতেও আস্থা ফেরানো যায়নি বিনিয়োগকারীদের। এবছরেই বিক্ষুব্ধরা তালা ঝুলিয়েছিল পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসিতে। পুঁজিবাজারে সূচক ধস, অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার দরপতনসহ মূলধন হ্রাস ছিল অব্যাহত। ফলে বছরজুড়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ছিল পুঁজি হারানোর হাহাকার।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার শীর্ষ পদে ব্যাপক রদবদল আনা হয়। এতে বিদায় নেন শিবলী রুবাইয়াত-উল–ইসলাম কমিশন। পরে খন্দকার রাশেদ মাকসুদকে প্রধান করে গঠন হয় বিএসইসির নতুন কমিশন। এরপর থেকে ধারাবাহিকভাবে ডিএসই ও সিএসইর (চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ) পর্ষদ পুরোটাই রদবদল হয়। এরপরও পুঁজিবাজারের প্রতি আস্থা ফেরেনি। এতে বিনিয়োগকারীরাও খুবই ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন। ফলে বিনিয়োগকারীরা লংমার্চসহ আগারগাঁওয়ে বিএসইসি কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেন। একইসঙ্গে বিএসইসি কার্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন। এ ছাড়া বিএসইসির চেয়ারম্যানের পদত্যাগও দাবি করেন তারা।
এমন একপর্যায়ে বিএসইসি নতুন কমিশন নড়েচড়ে বসে। সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা করে পুঁজিবাজারের স্বার্থে বেশকিছু পদক্ষেপ নেন নতুন কমিশন। এতে কারসাজির অভিযোগে অনেকে শাস্তি দেন। এ ছাড়া বাজারের স্বার্থে টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। এর কাজ এখনও চলমান।
এবিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন,অন্যান্য বছরের তুলনায় কিছুটা ব্যতিক্রম ছিল এবারের ২০২৪ সাল। এটা ছিল একটি ঘটনাবহুল বছর। অনেক আপ-ডাউন হয়েছে। এর মধ্যে নতুন কমিশনের চেষ্টায় একটা অবস্থানে এসেছি। পুঁজিবাজারের স্বার্থে কমিশন নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, ২০২৫ সালে তার ইতিবাচক ফল পাব।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. আল আমিন বলেন, ২০২৪ সালের প্রথম সাত মাস শেখ হাসিনার সরকার ছিল, তখন পুঁজিবাজার প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা তলানিতে। এসময় পুঁজিবাজার অনিয়মে ঢাকা ছিল, ছিল কারসাজিকারীদের দখলে। বাজার মনিটরিং ছিল দুর্বল। ফলে পুঁজিবাজার রুগ্ন হয়ে পড়েছিল। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। পরে বিএসইসিতে ব্যাপক রদবদল হয়। নতুন করে ঢেলে সাজানো হয় বিএসইসিকে। পুঁজিবাজারের উন্নয়ন স্বার্থে গত চার মাস নতুন কমিশন বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। বাজারে কারসাজি রোধ করা হচ্ছে। অনিয়মকারীদের শাস্তি আওতায় আনা হচ্ছে। এরইমধ্যে বিএসইসি সংস্কার করা হচ্ছে। পুঁজিবাজারের স্বার্থে টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে, যার কাজ চলমান রয়েছে। আশা করছি, আগামী বছরের জুনের মধ্যে পুঁজিবাজার ইতিবাচক দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। যার ফল বিনিয়োগকারীরা পাবে।
সদ্য সমাপ্ত ২০২৪ সালের শুরুতে অর্থাৎ ১ জানুয়ারি লেনদেন শুরুর আগে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ছিল ৬ হাজার ২৪৬ পয়েন্ট। বছরটির শেষে ৩০ ডিসেম্বর তা দাঁড়ায় পাঁচ হাজার ২১৬ পয়েন্টে। এক বছরের ব্যবধানে প্রধান সূচক কমেছে ১ হাজার ৩০ পয়েন্ট বা ১৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ। বছরটিতে ডিএসইএক্স সবোর্চ্চ ওঠেছিল ৬ হাজার ৪৪৭ পয়েন্ট। সর্বনিম্নে নেমেছিল ৪ হাজার ৮৯৮ পয়েন্ট।
গত বছরের ১ জানুয়ারির শুরুতে ডিএসইর সূচক ডিএস৩০ ছিল ২ হাজার ৯৩ পয়েন্ট। বছরটির শেষে ৩০ ডিসেম্বর তা দাঁড়ায় এক হাজার ৯৩৯ পয়েন্টে। এক বছরের ব্যবধানে ডিএস৩০ কমেছে ১৫৪ পয়েন্ট বা সাত দশমিক ৩৬ শতাংশ। বছরটিতে ডিএস৩০ সবোর্চ্চ ওঠেছিল ২ হাজার ১৯৭ পয়েন্ট। সর্বনিম্নে নেমেছিল এক হাজার ৮০৩ পয়েন্ট।
এছাড়া ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারির শুরুতে ডিএসইর সূচক ডিএসইএস ছিল এক হাজার ৩৬৪ পয়েন্ট। বছরটির শেষে ৩০ ডিসেম্বর তা দাঁড়ায় এক হাজার ১৬৮ পয়েন্টে। এক বছরের ব্যবধানে ডিএসইএস কমেছে ১৯৬ পয়েন্ট বা ১৪ দশমিক ৩১ শতাংশ। বছরটিতে ডিএসইএস সবোর্চ্চ ওঠেছিল দুই হাজার ১৯৭ পয়েন্ট। সর্বনিম্ন নেমেছিল এক হাজার ৮০৩ পয়েন্ট।
বিদায়ী বছরের ১ জানুয়ারির শুরুতে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছিল ৭ লাখ ৮০ হাজার ৮৪৯ কোটি টাকা। এখন তা কমে ৩০ ডিসেম্বর দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৬২ হাজার ৬১৯ কোটি টাকায়। এক বছরের ব্যবধানে ডিএসই বাজার মূলধন কমেছে ১ লাখ ২২ হাজার ২৩০ কোটি টাকা বা ১৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
আলোচ্য বছরের বাজার মূলধন কমলেও বেড়েছে লেনদেনের পরিমান। ২০২৪ সালে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছিল এক লাখ ৪৮ হাজার ৬৩৯ কোটি টাকা। আগের বছর ২০২৩ সালে লেনদেন ছিল এক লাখ ৪১ হাজার ৫৯ কোটি টাকায়। এক বছরের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ৭ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা বা ৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
২০২৪ সালে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার শীর্ষ পদে ব্যাপক রদবদল আনা হয়। গঠন করা হয় নতুন কমিশন। তবুও বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে ব্যর্থ হয় গঠিত রাশেদ কমিশন। এক পর্যায়ে পুঁজিবাজার উন্নয়নে পাঁচ সদস্যের টাস্কফোর্স গঠন করেছে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সরকার। ব্যাংক ঋণের বদলে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নে সরকারের নীতি প্রণয়ন এবং এ সংক্রান্ত নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিএসইসির প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতের সুপারিশ করাসহ টাস্কফোর্সের কার্যপরিধি নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭টি। যৌক্তিক সময়ের মধ্যে টাস্কফোর্স তাদের সুপারিশসহ প্রতিবেদন কমিশনে হস্তান্তর করবে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পুঁজিবাজার
সপ্তাহজুড়ে পতন, কমেছে লেনদেন ও বাজার মূলধন

বিদায়ী সপ্তাহে (১৩ এপ্রিল তেকে ১৭ এপ্রিল) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের বড় পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন হয়েছে। এতে সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেনের সঙ্গে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ১ হাজার ১০৭ কোটি টাকা।
পুঁজিবাজারের সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ কোটি টাকা। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭০ হাজার ৫৩৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহ ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ১ হাজার ১০৭ কোটি টাকা বা ০ দশমিক ১৬ শতাংশ।
চলতি সপ্তাহে কমেছে ডিএসইর সব কয়টি সূচক। প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০৭ দশমিক ৯০ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ০৭ শতাংশ। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ৫২ দশমিক ৫১ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৭২ শতাংশ। আর ডিএসইএস সূচক কমেছে ২৯ দশমিক ২৫ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
সূচকের পতনের পাশাপাশি ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৫৯৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে মোট লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৪৩৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। এক সপ্তাহে লেনদেন কমেছে ৮৪০ কোটি ২১ লাখ টাকা।
সমাপ্ত সপ্তাহে ডিএসইতে প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ৮৮ কোটি ২৩ লাখ টাকা বা ১৮ দশমিক ১১ শতাংশ। চলতি সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৩৯৯ কোটি ৪ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছিল ৪৮৭ কোটি ২৭ লাখ টাকা।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ৩৯৬টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৭৭টি কোম্পানির, কমেছে ২৯৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
প্রগতি ইন্স্যুরেন্সের লভ্যাংশ ঘোষণা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রগতি ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত বছরের জন্য কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ২৭ শতাংশ লভ্যাংশ দেবে। এর মধ্যে ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ। বাকী ৭ শতাংশ বোনাস।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, আলোচিত বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫ টাকা ৬১ পয়সা। আগের বছর ইপিএস ছিল ৫ টাকা ০১ পয়সা (রিস্টেটেড)।
গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৫৭ টাকা ৫৮ পয়সা।
ঘোষিত লভ্যাংশ অনুমোদনের জন্য আগামী ১৯ জুন বেলা ১২টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯ মে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দেবে না বিডি ফাইন্যান্স

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের কোম্পানি বাংলাদেশ ফাইন্যান্স লিমিটেড গত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। কোম্পানিটি আলোচিত বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ দেবে না।
আজ বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে আলোচিত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সর্বশেষ হিসাববছরে সমন্বিতভাবে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ৪১ টাকা ৬১ পয়সা লোকসান হয়েছে। আগের বছর সমন্বিতভাবে ৫ টাকা ৬০ পয়সা লোকসান হয়েছিল।
গত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট দায় ছিল ৩০ টাকা ৫ পয়সা।
আগামী ২৯ মে সকাল ১১ টায় ডিজিটাল হাইব্রিড পদ্ধতিতে কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ মে ।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সেনা ইন্স্যুরেন্সের আয় বেড়েছে ১০৭ শতাংশ

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সেনা ইন্স্যুরেন্স পিএলসি ৩১ মার্চ, ২০২৫ তারিখে সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২৫-মার্চ’২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ১০৭ শতাংশ বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে আলোচিত প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৯০ পয়সা। গত বছর একই সময়ে ইপিএস হয়েছিল ৯২ পয়সা।
আলোচিত প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি অর্থের প্রবাহ ছিলো ৯ টাকা ৫০ পয়সা। যা গত বছর ছিলো ১ টাকা ৪০ পয়সা।
গত ৩১ মার্চ ২০২৫ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ২৬ টাকা ৯৮ পয়সা।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
আইডিএলসির ২০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি আইডিএলসি ফাইন্যান্স পিএলসি গত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। কোম্পানিটি আলোচিত বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেবে। এর মধ্যে ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ, বাকী ৫ শতাংশ বোনাস।
বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, আলোচিত বছরে সমন্বিতভাবে আইডিএলসি ফাইন্যান্স ২০০ কোটি ২৮ লাখ টাকা নীট মুনাফা করেছে, যা আগের বছরের চেয়ে ৩২ শতাংশ বেশি। এককভাবে কোম্পানিটি মুনাফা করেছে ১৬৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা, যা আগের বছরের চেয়ে ৫৩ শতাংশ বেশি।
সর্বশেষ বছরে সমন্বিতভাবে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ৮২ পয়সা, যা আগের বছর ৩ টাকা ৬৪ পয়সা ছিল।
আলোচিত বছরে কোম্পানিটির আমানতসহ অন্যান্য সূচকও ছিল উর্ধমুখী। সর্বশেষ বছরে গ্রাহকের আমানত বৃদ্ধি পেয়ে মোট ৮ হাজার ৩৯১ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে, পাশাপাশি গ্রুপটি সাফল্যের সাথে ১১ হাজার ৩৯৭ কোটি টাকার লোন পোর্টফোলিও ধরে রেখেছে।
আইডিএলসি ফাইন্যান্সের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আইডিএলসি’র রিটার্ন অন ইক্যুইটি (আরওআই) বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০.৩৩% এ; অন্যদিকে রিটার্ন অন অ্যাসেটস (আরওএ) বেড়ে ১.৩৫% হয়েছে, যা প্রতিষ্ঠানের মূল সম্পদের কার্যকরী ও লাভজনক ব্যবহারের প্রমাণ।
উল্লেখিত বছরে ১০৬.১১% মন্দ ঋণের কভারেজ অনুপাত সহ আইডিএলসি’র মন্দ ঋণের (এনপিএল) অনুপাত ছিল ৪.৪৫%, যা প্রতিষ্ঠানটির আগের বছরের অনুপাতের তুলনায় কম এবং আর্থিক খাতের গড়ের তুলনায়ও উল্লেখযোগ্যভাবে কম। এটি আইডিএলসি’র দক্ষ ঋণ ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার পরিচয় দেয় এবং দীর্ঘমেয়াদী আর্থিক প্রস্তুতি বজায় রাখার ক্ষেত্রে আইডিএলসি’র দৃঢ় প্রতিশ্রুতি তুলে ধরে।
আইডিএলসির পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান–আইডিএলসি সিকিউরিটিজ লিমিটেড, আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড, এবং আইডিএলসি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড ২০২৪ সালেও নিজেদের সাফল্যের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছে, যা আইডিএলসি গ্রুপের সাফল্যে অবদান রেখেছে।
কাফি