জাতীয়
দেড় দশকে বই উৎসবের নামে অর্থের অপচয় হয়েছে: এনসিটিবি চেয়ারম্যান
বিগত দেড় দশক ধরে বই উৎসবের নামে অর্থের অপচয় হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান এ কে এম রিয়াজুল হাসান। বুধবার (১ জানুয়ারি) সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।
এবার বই ছাপানোর কাজ দেরিতে শুরু করায় এবং হঠাৎ শিক্ষাক্রমে পরিবর্তন আসায় বেশ কিছু সংশোধন-পরিমার্জন করতে হয়েছে এনসিটিবিকে।
এ কারণে বিগত বছরগুলোর মতো এবার বছরের প্রথমদিনে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিতে পারছে না সরকার। তবে, ওয়েবসাইটে উন্মুক্ত হচ্ছে পরিমার্জিত পাঠ্যবইয়ের অনলাইন ভার্সন।
এ প্রসঙ্গে এনসিটিবি চেয়ারম্যান বলেন, প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের ৪৪১টি বই পরিমার্জন করা হয়েছে। এনসিটিবির ওয়েবসাইটে বইগুলোর অনলাইন ভার্সন পাওয়া যাবে আজ থেকেই।
তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারির মধ্যে প্রাথমিকের বাকি সব বই ও মাধ্যমিকের ৮টি বই পৌঁছে যাবে শিক্ষার্থীদের হাতে। এছাড়াও ১০ জানুয়ারির মধ্যে মাধ্যমিকের দশম শ্রেণির বই ও ২০ তারিখের মধ্যে সকল শ্রেণির বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে যাবে।
৪১ কোটির মধ্যে ৬ কোটি বই দেওয়া হয়ে গেছে এবং আরও ৪ কোটি বই দেয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলেও এসময় জানান তিনি।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা রোধে বিআরটিএ’র নির্দেশনা
মোটরসাইকেল ব্যবহারে সন্তানদের নিরৎসাহিত করতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)। সংস্থাটি বলছে, দেশের সড়ক-মহাসড়কে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণহানির সংখ্যা আশঙ্কাকাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। গঠনগতভাবে মোটরসাইকেল অপেক্ষাকৃত একটি অনিরাপদ বাহন।
সম্প্রতি বিআরটিএর এক সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, মোটরসাইকেল সাধারণত যুবক বা উঠতি বয়সীরা বেশি ব্যবহার করে থাকে, যাদের মধ্যে দ্রুতগতিতে গাড়ি চালানোর প্রবণতা খুব বেশি। পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, দেশে এ যাবৎ মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৩৬ লাখ; পক্ষান্তরে মোটরসাইকেলের ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়ার সংখ্যা প্রায় সাড়ে ২৩ লাখ। অর্থাৎ বহুসংখ্যক অদক্ষ মোটরসাইকেল চালক ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া মোটরসাইকেল চালনা করছে। জরুরি প্রয়োজনে স্বল্প দূরত্বে গমনের জন্য মোটরসাইকেল ব্যবহারের উদ্দেশ্য থাকলেও বর্তমানে এসব যান মহাসড়ক ও দূরপাল্লায় চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে, যা অত্যন্ত বিপজ্জনক। মোটরসাইকেল চালনাকালে অনেক ক্ষেত্রে হেলমেটসহ নিরাপত্তা সরঞ্জামাদি ব্যবহার করা হচ্ছে না, ফলে দুর্ঘটনায় প্রাণহানির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতিরিক্ত গতি, ওভারটেকিং, নিয়ম না জানা বা না মানা ইত্যাদিও মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ।
সার্বিক বিবেচনায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা রোধে বিআরটিএ’র অন্যান্য আহ্বানগুলো হচ্ছে— শুধুমাত্র জরুরি প্রয়োজনে স্বল্প দূরত্বে মোটরসাইকেল ব্যবহার করুন। দূরপাল্লা বা মহাসড়কে মোটরসাইকেল ব্যবহার করবেন না। মোটরসাইকেল চালনাকালে একজনের বেশি আরোহী বহন করবেন না; মোটরসাইকেল চালনাকালে ওভারটেকিং করবেন না। মোটরসাইকেলে সর্বদা স্বল্প গতি বজায় রাখুন অর্থাৎ দ্রুত গতিতে বা বেপরোয়াভাবে মোটরসাইকেল চালাবেন না; অধিকাংশ ক্ষেত্রে মোড় বা বাঁক ঘোরার সময় মোটরসাইকেল কাত হয়ে পড়ে যায়। এ কারণে যে কোনো মোড়/বাঁক ঘোরার আগে বা রাস্তার বাঁক অতিক্রম করার সময় নিয়ন্ত্রণ উপযোগী অত্যন্ত স্বল্প গতিতে মোটরসাইকেল চালাবেন।
এছাড়া মোটরসাইকেল চালনাকালে মোবাইল ফোন বা ইয়ারফোন ব্যবহার করবেন না। ট্রাফিক আইন, ট্রাফিক সাইন মেনে চলুন; চালক ও আরোহী উভয়েই সঠিকভাবে মানসম্মত হেলমেট ও অন্যান্য নিরাপত্তা সরঞ্জামাদি গোড়ালি ঢাকা জুতা বা কেডস সম্পূর্ণ আঙ্গুল ঢাকা গ্লাভস এবং ফুলপ্যান্ট, ফুল শার্ট ব্যবহার করুন এবং হালনাগাদ বৈধ কাগজপত্র (ড্রাইভিং লাইসেন্স, রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, ট্যাক্স-টোকেন ইত্যাদি) ও রেট্রো-রিফ্লেক্টিভ নম্বরপ্লেট ব্যতীত মোটরসাইকেল চালাবেন না।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বিএসএমএমইউর চিকিৎসক-নার্সসহ ১৫ জন বরখাস্ত
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কেবিন ব্লক এলাকায় সংগঠিত হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে কর্মরত চিকিৎসক, সিনিয়র স্টাফ নার্সসহ ১৫ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
রোববার (৫ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হলেন– বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্ডিওলজি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. আবু তোরাব আলী মিম, চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. রিয়াজ সিদ্দিকী প্রাণ, পরিচালক (হাসপাতাল) অফিসের পেইন্টার নিতীশ রায়, মো. সাইফুল ইসলাম, এমএলএসএস কাজী মেহেদী হাসান, সহকারী ড্রেসার শহিদুল ইসলাম (সাইদুল) ও সুইপার সন্দীপ।
এছাড়াও এ তালিকায় রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের অফিস সহকারী উজ্জল মোল্লা, পরিবহন শাখার ড্রাইভার সুজন বিশ্ব শর্মা, বহির্বিভাগে (ওপিডি-১) এমএলএসএস ফকরুল ইসলাম জনি, ল্যাবরেটরি সার্ভিস সেন্টারের কাস্টমার কেয়ার অ্যাটেনডেন্ট রুবেল রানা।
সাময়িক বরখাস্তের তালিকায় আরও রয়েছেন সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স শবনম নূরানী, ওয়ার্ড মাস্টার অফিসের এমএলএসএস শাহাদাত, কার্ডিওলজি বিভাগের এমএলএসএস মুন্না আহমেদ এবং ওয়ার্ড মাস্টার অফিসের এমএলএসএস আনোয়ার হোসেন।
অফিস আদেশে বলা হয়েছে, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ৯৪তম সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান চলাকালীন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কেবিন ব্লকের সম্মুখে সংগঠিত হত্যার সঙ্গে জড়িত বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত চিকিৎসক, সিনিয়র স্টাফ নার্স ও কর্মচারীগণকে দক্ষতা ও শৃঙ্খলা অধ্যাদেশের ধারা ২ এর (ছ), (জ), (ঝ) ও (ঢ) অনুযায়ী সাময়িক বরখাস্ত (সাসপেন্ড) করা হলো।’
এতে আরও বলা হয়েছে, ‘সাময়িক বরখাস্তকালীন সময়ে দক্ষতা ও শৃঙ্খলা অধ্যাদেশের ১৪ ধারা অনুযায়ী উল্লিখিত চিকিৎসক, সিনিয়র স্টাফ নার্স ও কর্মচারীগণ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত নিয়মে বেতন ও ভাতাদি প্রাপ্য হবেন। তবে, বিধি মোতাবেক তাদের চাকরি নিয়ন্ত্রিত হবে।’
এ আদেশ ২০২৫ সালের ৫ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে বলেও অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
গণমাধ্যমের রাজনৈতিক দলবাজি বন্ধ করা দরকার: কামাল আহমেদ
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ বলেছেন, গত ১৫ বছরে গণমাধ্যমের বড় একটি অংশ সত্য প্রকাশে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে তারা সাধারণ মানুষের বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে। যার অন্যতম কারণ হচ্ছে দলীয় প্রভাব। গণমাধ্যমের রাজনৈতিক দলবাজি বন্ধ করা দরকার। রাজনৈতিক দলীয় আদর্শে দিয়ে সংবাদমাধ্যমকে প্রভাবিত করা যাবে না।
রোববার (৫ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন কর্তৃক আয়োজিত চট্টগ্রাম বিভাগের সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। সভায় চট্টগ্রাম বিভাগের চাঁদপুর, কুমিল্লা, কক্সবাজার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর জেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা অংশগ্রহণ করেন।
মতবিনিময় সভায় সিনিয়র সাংবাদিক কামাল হোসেন আরো বলেন, এদেশে যে কেউ চাইলেই পত্রিকা বের করতে পারছে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় সম্পাদক কিংবা প্রকাশকের গণমাধ্যম পেশায় কোন অভিজ্ঞতাই নেই। ফলে তারা আবার অভিজ্ঞতা কিংবা যোগ্যতা ছাড়াই যাকে তাকে সাংবাদিক হিসেবে নিয়োগ দিচ্ছে। এগুলোয় শৃঙ্খলা আনতে হবে। যদিও পত্র-পত্রিকার ক্ষেত্রে অনেক নীতিমালা আছে। তবে সমস্যা হচ্ছে সরকার সে নীতিমালাগুলো মানেনি। সরকার মানেনি বলতে, সরকারের কর্মকর্তারা রাজনৈতিক প্রভাবে অথবা অন্য কোনো কারণে সেগুলো মানেননি। সংবাদপত্র সংক্রান্ত নীতিমালায় আছে যে, পত্রিকার সম্পাদক হতে গেলে ৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তি হতে হবে। কিন্তু অনেকে উত্তরাধিকার সূত্রে ভাই ও পুত্রকে সম্পাদক বানিয়ে দিচ্ছে, যার কোনো সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতা নেই। সেটা আবার সরকার গ্রহণ করছে। নীতি থাকলেও সেটা কার্যকর হচ্ছে না। এটা আমাদের বড় সমস্যা।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে ৪৬টি টেলিভিশন চলার মতো বাজার নেই। অথচ বিগত সরকারের আমলে একের পর এক টেলিভিশন অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। একই হাউস থেকে একাধিক সংবাদপত্র বের হচ্ছে। পাঠক একই জিনিস ঘুরে ফিরে পাচ্ছে। দেখা যায়, একই ব্যক্তির মালিকানায় পত্রিকা, টেলিভিশন, অনলাইন নিউজ পোর্টালও আছে। এই দুষ্টু চক্র ভাঙতে হবে। এমনও জেলা-উপজেলা আছে যেখানে চারটা প্রেসক্লাব। এটি আসলে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব। প্রেসক্লাব করলে হয়তো কিছু সুবিধা পাওয়া যায়! প্রেসক্লাবের নেতা হলে মনে হয় একটু আলাদা মর্যাদা, একটু আলাদা কোনো আর্থিক ব্যাপার থাকতে পারে। সেই কারণে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা। আমরা বলতে পারি এটা একটা সমস্যা এটি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা দরকার, সমাধান কি হতে পারে।
ওয়েজবোর্ডের বদলে সাংবাদিকদের একটা ন্যূনতম বেতন নির্ধারণ করার প্রস্তাবের বিষয়ে তিনি বলেন, সেটা একটা ভাল সমাধান হতে পারে যে, সারাদেশে সাংবাদিকদের জন্য ন্যূনতম বেতন থাকবে। আমরা আশা করছি এই ধরনের সমাধানগুলো আমরা আপনাদের কাছ থেকেই পাবো। সেটার ভিত্তিতেই আমরা সুপারিশমালা তৈরি করবো। সাংবাদিকদের পাশাপাশিআমরা রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকেও লিখিতো আকারে সুপারিশ চেয়েছি।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত সাংবাদিকরা তাদের পরামর্শ এবং প্রস্তাবনায় বলেন, শুধুমাত্র সাংবাদিকদের যোগ্যতা কিংবা অভিজ্ঞতা দেখলেই হবে না, প্রকাশক কিংবা সম্পাদকেরও যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতা দেখতে হবে। যেকোনো ব্যক্তি যেন চাইলেই পত্রিকার সম্পাদক হতে না পারেন। অনেক সময় দেখা যায়, রাজনৈতিক ব্যক্তি কিংবা মাদক কারবারিরা সাংবাদিকদের দমিয়ে রাখতে নিজেই পত্রিকার মালিক হয়ে যান। এসব বন্ধ করতে হবে। আর বেশিরভাগ পত্রিকা সাংবাদিকদের ওয়েজ বোর্ড মানে না। গণমাধ্যমের মান-মর্যাদা ধরে রাখতে হলে সাংবাদিকদের ন্যূনতম বেতন ভাতা নিশ্চিত করতে হবে। যেহেতু সব পত্রিকার আয় একই নয়, তাই ওয়েজ বোর্ড না হলেও মফস্বল সাংবাদিকদের জন্য অন্তত একটি বেতনকাঠামো করে দেওয়া হোক, যাতে ব্যয় অনুযায়ী ন্যূনতম বেতন পান সাংবাদিকেরা। বিগত ফ্যাসিবাদ সরকারের সময়ে সাংবাদিকের নামে করা মিথ্যে মামলা প্রত্যাহার করা এবং তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
জবাবে গণমাধ্যম কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ বলেন, ১৯৮৩ সালে প্রেস কমিশনের সুপারিশেও সাংবাদিকদের হয়রানির বন্ধে বলা হয়েছিল, জাতীয় নিরাপত্তার অজুহাতে সাংবাদিকদের হয়রানি করা যাবে না। সংস্কার কমিশন তো তদন্ত কমিটি নয়। তবে মামলা-হামলার বিষয়ে আপনাদের সুপারিশগুলো বিবেচনা করা হবে। সারা দেশে পত্রিকাগুলোতে যাতে একটি জাতীয় সম্পাদকীয় নীতি থাকে, তার জন্য সম্পাদক পরিষদকে বলা হয়েছে। আমরা আপনাদের কথা অনুযায়ী সুপারিশ করব। সেটি বাস্তবায়ন করবে সরকার।
মতবিনিময় সভায় অংশ নেওয়া চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ে সাংবাদিকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রামের সিনিয়র সাংবাদিক ওসমান গনি মনসুর, মোস্তাক আহমেদ, সাইফুল ইসলাম, ইকবাল হোসেন, লতিফা আনসারী, মনীষা আচার্য, কক্সবাজারের সিনিয়র সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান, মো. আরিফ, মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, কুমিল্লা জেলার সাংবাদিক মো. রফিকুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংবাদিক ইব্রাহিম খান, নোয়াখালী জেলার সাংবাদিক মানিক ভূঁইয়া, দৈনিক চাঁদপুর দিগন্ত পত্রিকা নির্বাহী সম্পাদক ইলিয়াস পাটোয়ারী, চাঁদপুর টাইমসের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান বার্তা সম্পাদক মুসাদ্দেক আল আকিব, দৈনিক ইলশেপাড় পত্রিকার বার্তা সম্পাদক এস এম সোহেল ও দৈনিক চাঁদপুর সময় পত্রিকার বার্তা সম্পাদক আশিক বিন রহিম প্রমুখ।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্য অধ্যাপক গীতিআরা নাসরীন, আখতার হোসেন খান, বেগম কামরুন্নেসা হাসান, আবদুল্লাহ আল মামুন, মোস্তফা সবুজ, চট্টগ্রাম পিআইডির উপ-প্রধান তথ্য অফিসার মো. সাঈদ হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. কামরুজ্জামান প্রমুখ।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ঘোষণাপত্র নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হবে: প্রেস সচিব
জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথাবার্তা হবে। তবে এখনো সুনির্দিষ্ট তারিখ ঠিক করা হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
রোববার (৫ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
প্রেস সচিব বলেন, সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের তদন্তের জন্য নভেম্বর মাসে একটা টাস্কফোর্স করা হয়েছিল। নতুন করে ২৫-৩০ জনের সঙ্গে কথাবার্তা বলেছি। অনেক কাজ করছে পিবিআই। আশা করছি পিবিআই ভালো কিছু করতে পারবে, ওনারা প্রচুর শ্রম দিচ্ছেন।
বিটিভি এখন বাসস, আগের মতো সরকারি বৃত্তে কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের জন্য বিব্রতকর এমন কোনো সংবাদ বিটিভি-বাসস প্রচার করে না। এই দুটি প্রতিষ্ঠানে স্বাধীন সাংবাদিকতা নিশ্চিত করতে সরকার কোনো উদ্যোগ নেবে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, পুরো পৃথিবীতে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম থাকে। নিউজ এজেন্সি থাকে, এটা ভাইটাল একটা কাজ। স্টেট ব্রডকাস্টের মেইন প্রোগ্রামিং টিভি থাকে, নিউজ টিভি থাকে, ইংলিশ চ্যানেলের টিভি থাকে। আপনি যদি তুরস্কের দিকে দেখেন, রাশিয়ার দিকে দেখেন, ইন্ডিয়ার দিকে দেখেন, পাকিস্তানের দিকে দেখেন, ইন্দোনেশিয়ার দিকে দেখেন, চায়নার দিকে দেখেন, এরা সবাই স্টেট ব্রডকাস্টকে বড় করছে। স্টেট ব্রডকাস্টের আলাদা একটা প্রয়োজনীয়তা আছে।
৩১ ডিসেম্বর বিটিভি নিউজ লঞ্চিং হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, যদিও পরীক্ষামূলকভাবে, আমাদের ইচ্ছা আছে এটাকে বড় করার। আমরা আশা করি বিটিভি এবং বাসস তাদের মেধাকে কাজে লাগিয়ে ভালো ভালো প্রোগ্রাম এবং নিউজ প্রেজেন্ট করতে পারবে। তাদের ইক্যুপমেন্টের অভাব, সেই জায়গাও তারা বিষয়গুলো দেখবে। সবাইকে আমাদের স্বাধীনতা দেওয়া আছে। সবাই বাংলাদেশের রুলস অনুযায়ী প্রেস ফ্রিডম ব্যবহার করতে পারবেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সাবেক মন্ত্রী লতিফ বিশ্বাস আটক
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে অভিযান চালিয়ে সাবেক মন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আবদুল লতিফ বিশ্বাসকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। রোববার (০৫ জানুয়ারি) দুপুরে বেলকুচি পৌর এলাকার কামারপাড়ার নিজ বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকারিয়া হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আবদুল লতিফ বিশ্বাসকে যৌথ বাহিনী আটক করেছে। বর্তমানে তাকে জেলা সদরে যৌথ বাহিনীর হেফাজতে রাখা হয়েছে। তবে কী কারণে তাকে আটক করা হয়েছে, বিস্তারিত এখনই বলতে পারছি না। তার বাড়িতে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলছে। আমার জানামতে তার বিরুদ্ধে এই থানায় কোনো মামলা নেই।
উল্লেখ্য, সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি, সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস ২০২৪ সালের জানয়ারিতে সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। তবে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল মমিন মণ্ডলের সঙ্গে লড়াইয়ে তিনি পরাজিত হন।
এর আগে ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালি) আসন থেকে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করলে শেখ হাসিনার দ্বিতীয় মন্ত্রিসভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
কাফি