রাজধানী
বুধবার বন্ধ থাকবে রাজধানীর যেসব মার্কেট
রাজধানী ঢাকার বাসিন্দাদের প্রতিদিনই কেনাকাটাসহ নানা প্রয়োজনে কোনো না কোনো মার্কেট ও শপিংমলে যাওয়া লাগে। কিন্তু কোথাও গিয়ে যদি দেখেন সেখানকার কার্যক্রম বন্ধ, তখন কাজ তো হলোই না বরং মনটাই খারাপ হয়ে যায়। তাই যাওয়ার আগে দেখে নিন বুধবার (০১ জানুয়ারি) রাজধানীর কোন কোন এলাকার মার্কেট ও শপিংমল বন্ধ থাকবে।
বন্ধ থাকবে যেসব এলাকার মার্কেট
পাবলিক ওয়ার্কস সেন্টার, ইউনিটি প্লাজা, যমুনা ফিউচার পার্ক, নুরুনবী সুপার মার্কেট, ইউনাইটেড প্লাজা, কুশল সেন্টার, এবি সুপার মার্কেট, আমির কমপ্লেক্স, উত্তরার মাসকট প্লাজা।
যেসব এলাকার দোকানপাট বন্ধ
বারিধারা, সাঁতারকুল, শাহাজাদপুর, নিকুঞ্জ-১, ২, কুড়িল, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, মধ্য ও উত্তর বাড্ডা, জগন্নাথপুর, খিলক্ষেত, উত্তরখান, দক্ষিণখান, জোয়ার সাহারা, আশকোনা, বিমানবন্দর সড়ক ও উত্তরা থেকে টঙ্গী সেতু পর্যন্ত এলাকা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
ঢাকার বায়ু আজ খুবই অস্বাস্থ্যকর
বিশ্বে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে ইরাকের রাজধানী বাগদাদ। তবে তাবে এ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে রাজধানীর ঢাকা। রোববার (৫ জানুয়ারি) বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক থেকে জানা গেছে এসব তথ্য।
তালিকার শীর্ষে অবস্থান করা বাগদাদের দূষণ স্কোর ৪৮১ অর্থাৎ এই শহরের বাতাস দুর্যোগপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ঢাকা। এখানকার দূষণ স্কোর ২৯০ অর্থাৎ এখানকার বাতাস খুবই অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে।
তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে মঙ্গোলিয়ার উলানবাটোর। এখানকার দূষণ স্কোর ২২২ অর্থাৎ এখানকার বাতাসও খুবই অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে।
স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর।
১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন, দুইদিনে ৩ হাজার ১৬৪ মামলা
রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করায় গত দুদিনে ৩ হাজার ১৬৪টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে ডিএমপির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) ও শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ৩ হাজার ১৬৪টি মামলা করা হয়েছে।
এছাড়া অভিযানে ৫৮টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৮৭টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা রাতদিন কাজ করছে।
ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
শুক্রবার বন্ধ রাজধানীর যেসব মার্কেট
রাজধানীতে শপিং বা ঘোরাঘুরির জন্য বিভিন্ন মার্কেট আর বিনোদনকেন্দ্রই ভরসা। শুক্রবার প্রায় সবার ছুটি। এ দিনে জরুরি কেনাকাটা সারতে চাইলে জেনে নিন কোন কোন মার্কেট বন্ধ রয়েছে। সেগুলো বাদ দিয়ে অন্যগুলোতে যান।
বন্ধ থাকবে যেসব শপিং সেন্টার
আজিমপুর সুপার মার্কেট, গুলিস্তান হকার্স মার্কেট, ফরাশগঞ্জ টিম্বার মার্কেট, শ্যামবাজার পাইকারি দোকান, সামাদ সুপার মার্কেট, রহমানিয়া সুপার মার্কেট, ইদ্রিস সুপার মার্কেট, দয়াগঞ্জ বাজার, ধূপখোলা মাঠ বাজার, চক বাজার, বাবু বাজার, নয়া বাজার, কাপ্তান বাজার, রাজধানী সুপার মার্কেট, দয়াগঞ্জ সিটি করপোরেশন মার্কেট, ইসলামপুর কাপড়ের দোকান, ছোট কাটরা, বড় কাটরা হোলসেল মার্কেট, শারিফ ম্যানসন, ফুলবাড়িয়া মার্কেট, সান্দ্রা সুপার মার্কেট।
যেসব দর্শনীয় স্থান বন্ধ
মরিক জাদুঘর: এটি বিজয় সরণিতে অবস্থিত। প্রতিদিন সকাল ১০টা ৩০ মিনিট থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকে। বৃহস্পতি ও শুক্রবার সাপ্তাহিক বন্ধ।
জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর, আগারগাঁও: বৃহস্পতি ও শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির জন্য বন্ধ থাকে। শনি থেকে বুধবার প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে। প্রবেশমূল্য জনপ্রতি ৫ টাকা। এ ছাড়া শনি ও রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১০ টাকার টিকিটের বিনিময়ে টেলিস্কোপে আকাশ পর্যবেক্ষণ করা যায়।
শিশু একাডেমি জাদুঘর: শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। রোববার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
শাহবাগে সড়কে নেমে আসলেন গণঅভ্যুত্থানে আহতরা
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় আহত হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন ব্যক্তিরা রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে বিভিন্ন দাবি নিয়ে তারা সড়কে অবস্থান নেন।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খালিদ সাংবাদিকদের বলেন, অভ্যুত্থানে আহত কিছু ব্যক্তি শাহবাগে অবস্থান নেন। তারা আধাঘণ্টা সড়কে ছিলেন।
জুলাই-আগস্টে অভ্যুত্থান চলাকালে কয়েক হাজার মানুষ আহত হয়। এদের কেউ হাত হারিয়েছে, কেউ পা হারিয়েছে।
কেউ হারিয়েছে চোখ। বিভিন্ন জখম ও আঘাত নিয়ে তাদের অনেকে বিএসএমএমইউসহ ঢাকার হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নিচ্ছে। তবে যথাযথ চিকিৎসা হচ্ছে না দাবি করে নানা সময় রাস্তায় নেমেছেন আহতরা। এমনকি অনেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীরা অভিযোগ করেছেন, তারা অশোভন আচরণেরও শিকার হচ্ছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
রাজধানীতে ৯ বছরের মধ্যে সবচেয়ে দূষিত মাস ২০২৪ এর ডিসেম্বর
গত বছরের ডিসেম্বরে রাজধানী ঢাকায় বায়ুদূষণের রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। গত ৯ বছরে ডিসেম্বরে এতটা ভয়াবহ দূষণ দেখা যায়নি। বিশেষ করে ১৪ ডিসেম্বর শহরটির বায়ু পরিস্থিতি ছিল বেশি দুর্যোগপূর্ণ, বিগত ৯ বছরে যেমনটা আর দেখা যায়নি। সবশেষ ৯টি ডিসেম্বর মাসের মোট ১৭ দিন দুর্যোগপূর্ণ ছিল ঢাকার বায়ু, যার মধ্যে ১১ দিন ছিল শুধুমাত্র গত ডিসেম্বর মাসেই।
২০১৬ সাল থেকে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণ করে আসছে বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস)। সম্প্রতি তারা একটি গবেষণায় ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসের দূষণ পরিস্থিতি তুলে ধরেছে, যেখানে বায়ু মান ছিল অতীতের চেয়ে মারাত্মক। বিশেষজ্ঞদের মতে, ইটভাটা, কলকারখানার ধোঁয়া, ফিটনেসবিহীন গাড়ির সংখ্যা, রাস্তার ধুলাবালি, নির্মাণকাজ এবং যত্রতত্র বর্জ্য পোড়ানোর কারণে দূষণের মাত্রা অব্যাহতভাবে বেড়েছে।
ক্যাপসের তথ্য মতে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে বায়ুর গড় মান ছিল ২৮৮, যা গত ৯ বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে এই মান ছিল ১৯৫, অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় ২৬ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে গত ১৪ ডিসেম্বর রাত ১১টায় ঢাকার বায়ুর মান ছিল ৮৮০, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
ঢাকার বায়ু দূষণে নগরবাসীর স্বাস্থ্যের ওপর পড়েছে ভয়াবহ প্রভাব। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে তা ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহ হয়ে উঠবে। ২৫০ শয্যার টিবি হাসপাতালে রোগী আসার সংখ্যা গত মাসে উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, দূষণের কারণে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা স্বাভাবিক সময়ে দেখা যায় না।
পরিবেশ অধিদপ্তর বিভিন্ন সময়ে দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বললেও বাস্তবতা ভিন্ন। এ ব্যাপারে ক্যাপসের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার জানান, দূষণের মূল উৎস যেমন ইটভাটা, কলকারখানার ধোঁয়া, ফিটনেসবিহীন গাড়ি এবং অব্যাহত নির্মাণকাজ নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারের কার্যকর তৎপরতার অভাব রয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. জিয়াউল হক বলেন, নভেম্বর মাসে পুলিশ বাহিনীর কম উপস্থিতির কারণে ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান তেমন ছিল না। ঢাকার রাস্তার পাশের বর্জ্য পোড়ানোও একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কাফি