জাতীয়
বাণিজ্যমেলা শুরু বুধবার, উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর যৌথ উদ্যোগে আগাগীকাল বুধবার (১ জানুয়ারি) থেকে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে শুরু হচ্ছে মাসব্যাপী ২৯তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা (ডিআইটিএফ)-২০২৫। সেদিন সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধান হিসেবে মেলা উদ্বোধন করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত থাকবেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস-চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন।
এ বছর ভারত, পাকিস্তান, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর এবং হংকং-সহ সাতটি দেশের অংশগ্রহণে ৩৬২টি স্টল এবং প্যাভিলিয়ন অংশ নেবে।
কুড়িল, ভুলতা, গাজীপুর এবং নারায়ণগঞ্জ থেকে দর্শনার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে মেলা চলাকালে ৩০০টি বিআরটিসি বাস চলবে। মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে। মেলায় প্রবেশমূল্য প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ৫০ টাকা এবং শিশুদের জন্য ২৫ টাকা।
২০২২ সালে শেরেবাংলা নগর থেকে স্থানান্তরিত হওয়ার পর এটি পূর্বাচল নতুন ভেন্যুতে তৃতীয় সংস্করণ।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
১৮ কোটি মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে চাই: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, গতানুগতিক পদ্ধতিতে কাজ করার সুযোগ নেই। ১৮ কোটি মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে এবং সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে নির্বাচন কমিশন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কাজ করতে গিয়ে ইচ্ছাকৃত ভুল করবে না নির্বাচন কমিশন।
রোববার (৫ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশনে ভোটার হালনাগাদ প্রশিক্ষণের এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিইসি এ কথা বলেন।
ভোটে মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে স্বচ্ছতা এবং দায়িত্বের সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান ইসি আব্দুর রহমান মাছউদও। তিনি বলেন, নির্ভুল ভোটার তালিকা সুষ্ঠু নির্বাচনের পূর্বশর্ত বলেও মনে করে কমিশন। ভোটার তালিকা হালনাগাদে সর্বোচ্চ সতর্কতা এবং তৎপরতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।
এ সময় আরেক নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, টাকা অর্জনের মোটিভ নিয়ে যাতে কেউ ভোটার তালিকা অন্তর্ভুক্তির কাজে অংশগ্রহণ না করে। মৃত ভোটার, ভুয়া ভোটার এবং নতুন ভোটারের ক্ষেত্রে সমানভাবে কাজ করতে হবে।
ভোটের প্রতি মানুষের যে অনাগ্রহ তৈরি হয়েছে, সেখান থেকে এবার ইসি বেরিয়ে আসতে পারবে দাবি করে তিনি বলেন, মানুষের মধ্যে যে আস্থার ঘাটতি ছিল, তা কমে এসেছে। মানুষ এবার ভোট দিতে চায়। ভোটকে কেউ যাতে নষ্ট করতে না পারে, সেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইসি আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, বিগত নির্বাচন যেভাবে কলুষিত হয়েছে, তা পুনরুদ্ধারে যা যা করা লাগে, তার সবটুকুই করবে নির্বাচন কমিশন। ভোটার হালনাগাদে অনিয়ম, অবহেলা অস্বচ্ছতা কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।
ইসি তাহমিনা আহমদ বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে কমিশনের হাতিয়ার হবে আইন এবং বিবেক। ইসির কোনো কর্মকর্তা দুরভিসন্ধিমূলক কাজ করলে সেই দায় কমিশন নেবে না।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
জনগণের পুলিশ হতে চাই: অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার
ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) হাসান মো. শওকত আলী বলেছেন, আমরা নিপীড়ক পুলিশ হতে চাই না, আমরা জনগণের পুলিশ হতে চাই। জনগণকে তাদের কাঙ্ক্ষিত সেবা দিয়ে প্রমাণ করতে চাই আমরা তাদের প্রকৃত বন্ধু।
তিনি বলেন, আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই সমাজকে অপরাধমুক্ত করতে চাই। অপরাধমুক্ত সমাজ বিনির্মাণ ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও জনগণকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) রাজধানীর বনানী মডেল স্কুল মাঠে পুলিশ, ছাত্র-জনতা ও স্থানীয় নাগরিকদের সমন্বয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, পুলিশিংকে ফলপ্রসূ করতে হলে এবং সমাজ থেকে অপরাধ দূর করতে হলে শুধু পুলিশই নয়, পুলিশের পাশাপাশি জনগণকেও এগিয়ে আসতে হবে। অপরাধমুক্ত সমাজ বিনির্মাণে ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও জনগণকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) হাসান মো. শওকত আলী বলেছেন, আমরা নিপীড়ক পুলিশ হতে চাই না, আমরা জনগণের পুলিশ হতে চাই
মাদক, চাঁদাবাজ ও দখলবাজদের তথ্য দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এদের তথ্য দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন। আমরা তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেবো। এসব অপরাধীর বিরুদ্ধে সামাজিকভাবেও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
হাসান মো. শওকত আলী আরও বলেন, মাদক আমাদের যুব সমাজকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে মাদকের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। প্রতিটি পরিবারের দায়িত্ব হচ্ছে তার সব সদস্যকে নজরে রাখা ও সচেতন করা।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছাত্র-জনতা ও বনানী থানা এলাকার নাগরিকরা অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারের কাছে তাদের বিভিন্ন মতামত ও পরামর্শ তুলে ধরেন।
সভায় উপস্থিত জিয়াউল হক জিয়া বলেন, আমরা চাই প্রশাসন ও জনগণ একসঙ্গে কাজ করুক। এতে মাদক ও চাঁদাবাজি নির্মূল সহজ হবে। আমরা আপনাদের (পুলিশের) পাশে আছি।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. তারেক মাহমুদ। এতে গুলশান বিভাগের বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবী, ধর্মীয় সংগঠনের নেতা এবং ছাত্র-জনতা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
দুইবারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী নয়, সরকারের মেয়াদ ৪ বছর
দেশে কোনো ব্যক্তি দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। সরকারের মেয়াদ হবে চার বছর। নির্বাহী বিভাগ প্রধানমন্ত্রী পরিচালনা করলেও সাংবিধানিক পদে নিয়োগ ও অপসারণের ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর হাতে থাকবে না। সংবিধান প্রস্তাবনায় প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার বিষয়ে এমন প্রস্তাব এনেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে এসব প্রস্তাবনার কথা জানানো হয়।
প্রস্তাবনায় বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি একই সঙ্গে নিজ দলের প্রধান এবং সংসদ নেতা হতে পারবেন না। জীবনে দুইবারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর রাষ্ট্রের আর কোনো পদেই তিনি থাকতে পারবেন না। কোম্পানি বা ব্যবসায়ী উদ্যোগের ক্ষেত্রেও বিধিনিষেধ থাকবে। প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় সব সম্পদ এবং সম্পত্তি স্টেট ব্যাংকের অধীনে চলে যাবে।
এতে বলা হয়, কোনো সাংবিধানিক পদের নিয়োগে প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ দিতে পারবেন। তবে তা পালন করা রাষ্ট্রপতির জন্য আবশ্যকীয় হবে না। সাংবিধানিক পদে নিয়োগ ও অপসারণ আইন দ্বারা নির্ধারিত হবে। সাংবিধানিক পদে আসীন কাউকে অপসারণ করার ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর থাকবে না।
প্রস্তাবনায় বলা হয়, ৭০ অনুচ্ছেদের কঠোরতা খর্ব করতে হবে। সংসদ সদস্যরা দল বদল করলে তথা অন্য কোনো রাজনৈতিক দলে যোগ দিলে বা দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করলে বা অব্যাহতি দেওয়া হলে তার সংসদ সদস্য পদ শুন্য হবে। আস্থা ভোটে দলের বিপরীতে ভোট দেওয়া যাবে না। তবে অন্য যে কোনো বিষয়ে তিনি স্বাধীন থাকবেন, দলের বিরুদ্ধে ভোট দিতে পারবেন। সরকারের মেয়াদ হবে ৪ বছর।
প্রধানমন্ত্রী বা মন্ত্রীসভার যাবতীয় সিদ্ধান্ত রদ করা বা চ্যালেঞ্জ করার ক্ষমতা সংসদীয় দলের থাকবে। প্রধানমন্ত্রী হবেন সম ব্যক্তিদের মধ্যে প্রথম, অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী ক্রমবিচারে প্রথম হবেন- ক্ষমতা বিচারে নয়। মন্ত্রিসভার সদস্যদের প্রধানমন্ত্রী চয়ন করবেন। তবে সংসদের তাতে অনুমোদন নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রীদের দপ্তর বণ্টন করবেন এবং রদবদল করতে পারবেন। তবে অপসারণ করতে হলে সংসদের অনুমোদন নিতে হবে। সংসদীয় কমিটির ক্ষমতা বাড়াতে হবে। মন্ত্রিসভার যাবতীয় সিদ্ধান্ত সংসদীয় কমিটি চ্যালেঞ্জ করতে পারবে। শুনানি এবং সুপারিশের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত আইনসভায় পাঠাবে মন্ত্রিসভা। এরপর সুপারিশ আইনসভায় ভোটাভুটির মুখোমুখি হবে।
এতে আরও বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ দেওয়ার অধিকারী হবেন। তবে তা পালন করা রাষ্ট্রপতির জন্য আবশ্যকীয় হবে না। আইনসভাই কেবল সিদ্ধান্ত নেবে। তবে জরুরি আইন/আদেশ সর্বোচ্চ আদালতের কাছে পাঠাতে হবে। আদালত আইনের সাংবিধানিকতা/ অসাংবিধানিকতা সম্পর্কে রায় দেবেন।
প্রধানমন্ত্রী প্রতিরক্ষা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত বাহিনীগুলার রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের প্রধান হবেন। কোনো বাহিনীই সরাসরি তার অধীন থাকবে না।
প্রতিরক্ষা বা স্বরাষ্ট্র কোনো মন্ত্রণালয়ে প্রধানমন্ত্রী নিজে প্রধান হিসেবে থাকতে পারবেন না। বাহিনীর চেইন অব কমান্ড আইন ও বিধি দ্বারা সঙ্গত থাকবে। চেইন অব কমান্ডে হস্তক্ষেপ হবে অবৈধ। তবে যে কোনো কাজের সঠিকতা সম্পর্কে জবাবদিহি থাকবে।
প্রস্তাবনায় উল্লেখ করা হয়, কোনো আদালতই প্রধানমন্ত্রীকে অপসারণে রায় ঘোষণা করতে পারবেন না। কেবল সংসদ কর্তৃক আস্থাভোটই হবে তাকে অপসারণের বৈধ উপায়। সাংবিধানিক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী যেন একক কর্তৃত্ব ভোগ না করেন, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন করতে পারবেন। প্রধানমন্ত্রী নিম্নকক্ষের প্রধান থাকবেন এবং যে কোনো পলিসি তৈরির মাধ্যমে জনগণের কল্যাণে রাষ্ট্রের কাজ করবেন।
নির্বাহী বিভাগ পরিচালনা করবেন প্রধানমন্ত্রী। তবে নিয়োগের ক্ষমতা থাকবে না প্রধানমন্ত্রীর হাতে। যে কোনো নিয়োগ দেবে উচ্চকক্ষ। এক্ষেত্রে নিম্নকক্ষ বা প্রধানমন্ত্রীর কোনো অনুমতি লাগবে না বলেও প্রস্তাবনায় বলা হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
নির্বাচনের সময় নির্ভর করছে জনগণের ওপর: প্রধান উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আগামী সাধারণ নির্বাচনের জন্য দুটি সম্ভাব্য সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০২৫ সালের ডিসেম্বর অথবা ২০২৬ সালের মধ্যভাগ। তবে, নির্বাচনের তারিখ নির্ভর করছে জনগণ কতটা সংস্কার চায় তার ওপর।
আগামী সাধারণ নির্বাচন সম্পূর্ণ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গত তিনটি নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। সেখানে ছিল ভুয়া সংসদ, ভুয়া এমপি ও ভুয়া স্পিকার। দেশের জনগণ এখন তাদের কণ্ঠ ফিরে পেয়েছে। তাদের কণ্ঠ জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি ড. রূপা হক শনিবার (৪ জানুয়ারি) রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সাক্ষাতে এলে এসব কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। সাক্ষাতে রূপা হক আগামী নির্বাচনের আনুমানিক সময়সূচি, অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত সংস্কার উদ্যোগ ও রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চান। উত্তরে এ কথা বলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ব্রিটিশ এমপিকে প্রধান উপদেষ্টা, নির্বাচনের তারিখ নির্ভর করছে জনগণ কতটা সংস্কার চায় তার ওপর
রূপা হক আগামী সাধারণ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে বাংলাদেশে ফিরে আসার আগ্রহ প্রকাশ করেন। তখন অধ্যাপক ইউনূস তাকে জুলাই মাসে গণঅভ্যুত্থানের পটভূমি এবং ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে জনগণের ওপর চালানো দমন-পীড়নের কথা তুলে ধরেন।
ব্রিটিশ হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার এবং উন্নয়ন পরিচালক জেমস গোল্ডম্যান এ আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে রূপা হক যুক্তরাজ্যের একটি বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের অংশ হিসেবে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লতিফ সিদ্দিকী, বিডার চেয়ারম্যান আশিক মাহমুদ চৌধুরী এবং এসডিজিবিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বর্তমানে যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ইউকে বিসিসিআই) একটি প্রতিনিধিদল তিনদিনের সফরে বাংলাদেশে রয়েছেন।
এ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইউকে বিসিসিআই চেয়ারম্যান ইকবাল আহমেদ ওবিই এবং ইউকে বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট এম জি মৌলা মিয়া।
সিদ্দিকী যুক্তরাজ্যের ব্যবসায়ী, বিশেষ করে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিদেশি সরাসরি বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য ব্যাপক সংস্কার উদ্যোগ নিয়েছে।’
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ৫ নির্দেশনা
সচিবালয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন দপ্তর-সংস্থায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারে পাঁচ দফা নির্দেশনা দিয়েছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।
সম্প্রতি এ নির্দেশনা দিয়ে দপ্তর-সংস্থাগুলোর কাছে চিঠি পাঠিয়েছে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।
গত ২৫ ডিসেম্বর দিনগত রাতে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড হয়। আগুনে ভবনের চারটি তলা পুড়ে যায়। আগুনের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটি প্রাথমিক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বৈদ্যুতিক ‘লুজ কানেকশন’ থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত।
গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়েছে, দেশের প্রশাসনিক কেন্দ্র বাংলাদেশ সচিবালয়সহ সারা দেশে হঠাৎ আগুনের ঘটনা বেড়ে গেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে দপ্তর-সংস্থাগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা জরুরি হয়ে পড়েছে।
এ অবস্থায় পাঁচ দফা নির্দেশনা প্রতিপালনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে চিঠিতে। নির্দেশনাগুলো হলো-
১. দায়িত্বরত নিরাপত্তারক্ষীদের টহল অধিকতর জোরদার করতে হবে। সন্দেহজনক কিছু পরিলক্ষিত হলে তাৎক্ষণিক নিরাপত্তার দায়িত্বে কর্মরতদের অবগত করতে হবে।
২. অফিস প্রধানরা অফিস ত্যাগের আগে আবশ্যিকভাবে দপ্তরের সব বৈদ্যুতিক সংযোগ বন্ধ করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করে যথাসময়ে অফিস ত্যাগ করবেন।
৩. কর্মরত নৈশপ্রহরীরা ভবনের মধ্যে ও ভবনের চারপাশে সার্বক্ষণিক টহলে থাকবেন।
৪. সব অফিসের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ব্যবস্থা নেবেন।
৫. কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর গাফিলতির কারণে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে তা ব্যক্তিগত দায় হিসেবে বিবেচিত হবে।