জাতীয়
বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরু ২০ জানুয়ারি
আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কার্যক্রম শুরু করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ।
আমরা আশা করছি ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয়ার্ধে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কার্যক্রম শুরু করতে পারব মন্তব্য করে আলী নেওয়াজ বলেন, ইতোমধ্যে আমরা প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। ৫ জানুয়ারির মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শেষ করতে পারব। যারা এ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবেন তারা মাঠের যে জনবল বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবেন তাদের প্রশিক্ষণ দেবেন।
আগামী ২ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব বলেন, আমরা সবার জন্য খসড়া ভোটার তালিকা উন্মুক্ত করে দেব। জনগণ এটা দেখার সুযোগ পাবেন। সেখান থেকে যদি কেউ বাদ পড়ে থাকেন তাহলে তাদের দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তির একটা ব্যবস্থা করা হবে। দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তির পর ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। এ কাজ আমরা প্রতি বছরই করে থাকি। এটাকে আমরা চব্বিশের হালনাগাদ ও পঁচিশের ভোটার তালিকা হিসেবে গণ্য করব।
তিনি আরও বলেন, আমরা শুধু পঁচিশ সালের তথ্য সংগ্রহ করব না। আগাম এক বছরের তথ্য সংগ্রহ করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হবে। এর মাধ্যমে ছাব্বিশ সালের ১ জানুয়ারি যাদের বয়স ১৮ হবে তাদের তথ্যও সংগ্রহ করব। তাদের আমরা ২০২৬ সালের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করব। তবে তারা পঁচিশ সালের কোনো নির্বাচনে ভোটার হিসেবে গণ্য হবেন না।
প্রসঙ্গত, বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হয়েছে ২০২২ সালে। সে সময় ২০২৩, ২০২৪ ও ২০২৫ সালের তথ্য একসঙ্গে নেওয়া হয়েছিল। ইতোমধ্যে ২০২৩ ও ২০২৪ সালে যারা ১৮ বছর পূর্ণ করেছেন তাদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সর্বশেষ হালনাগাদ অনুযায়ী, দেশে ভোটার রয়েছে ১২ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার ১৬০ জন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ৫ নির্দেশনা
সচিবালয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন দপ্তর-সংস্থায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারে পাঁচ দফা নির্দেশনা দিয়েছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।
সম্প্রতি এ নির্দেশনা দিয়ে দপ্তর-সংস্থাগুলোর কাছে চিঠি পাঠিয়েছে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।
গত ২৫ ডিসেম্বর দিনগত রাতে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড হয়। আগুনে ভবনের চারটি তলা পুড়ে যায়। আগুনের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটি প্রাথমিক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বৈদ্যুতিক ‘লুজ কানেকশন’ থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত।
গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়েছে, দেশের প্রশাসনিক কেন্দ্র বাংলাদেশ সচিবালয়সহ সারা দেশে হঠাৎ আগুনের ঘটনা বেড়ে গেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে দপ্তর-সংস্থাগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা জরুরি হয়ে পড়েছে।
এ অবস্থায় পাঁচ দফা নির্দেশনা প্রতিপালনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে চিঠিতে। নির্দেশনাগুলো হলো-
১. দায়িত্বরত নিরাপত্তারক্ষীদের টহল অধিকতর জোরদার করতে হবে। সন্দেহজনক কিছু পরিলক্ষিত হলে তাৎক্ষণিক নিরাপত্তার দায়িত্বে কর্মরতদের অবগত করতে হবে।
২. অফিস প্রধানরা অফিস ত্যাগের আগে আবশ্যিকভাবে দপ্তরের সব বৈদ্যুতিক সংযোগ বন্ধ করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করে যথাসময়ে অফিস ত্যাগ করবেন।
৩. কর্মরত নৈশপ্রহরীরা ভবনের মধ্যে ও ভবনের চারপাশে সার্বক্ষণিক টহলে থাকবেন।
৪. সব অফিসের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ব্যবস্থা নেবেন।
৫. কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর গাফিলতির কারণে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে তা ব্যক্তিগত দায় হিসেবে বিবেচিত হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বিশ্ব ইজতেমার তারিখ ঘোষণা
বিশ্ব ইজতেমা আগামী ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি নির্ধারিত সময়ে হবে বলে জানিয়েছেন খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) কাকরাইল মারকাজ মসজিদে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ৩১ জানুয়ারিতেই প্রথম পর্বের ইজতেমা হচ্ছে। এ বিষয়ে কার্যক্রম চলমান আছে। কোনো সমস্যা নেই। তবে দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা সাদপন্থীরা করতে পারবে কি না তা প্রশাসনই ঠিক করবে।
এর আগে, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের হত্যাকাণ্ডসহ নানা সন্ত্রাসী কার্যকলাপের দায়ে সাদপন্থিদেরকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হয়। এ ছাড়া আগামী ১০ জানুয়ারি দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি ও ২৫ জানুয়ারি দেশের সব পর্যায়ের প্রতিনিধিত্বশীল আলেমদের নিয়ে ওলামা সম্মেলন করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ডিসেম্বরে ৫০৪ সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ৫৩৯
২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে সারাদেশে ৫০৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৫৩৯ জন। আহত হয়েছেন ৭৬৪ জন। নিহতদের মধ্যে ৭৯ জন নারী ও শিশু ৭৭ জন।
এছাড়াও ২১১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২০৬ জন, যা মোট নিহতের ৩৮.২১ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৪১.৮৬ শতাংশ। দুর্ঘটনায় পথচারী নিহত হয়েছেন ১১৪ জন, যা মোট নিহতের ২১.১৫ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৭২ জন, অর্থাৎ ১৩.৩৫ শতাংশ। এই সময়ে ৩টি নৌ-দুর্ঘটনায় ৩ জন নিহত ও ৪ জন আহত হয়েছেন। ১৯টি রেল ট্র্যাক দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত এবং ৫ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এবং সংস্থাটির নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
যানবাহনভিত্তিক নিহতের চিত্র:
সড়ক দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়- মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ২০৬ জন (৩৮.২১ শতাংশ), বাসযাত্রী ২১ জন (৩.৮৯ শতাংশ), ট্রাক-কাভার্ডভ্যান-ট্রাক্টর-ট্রলি-লরি আরোহী ৩০ জন (৫.৫৬ শতাংশ), প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস আরোহী ৩২ জন (৫.৯৩ শতাংশ), থ্রি-হুইলার যাত্রী (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-টেম্পু) ১১২ জন (২০.৭৭ শতাংশ), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন-আলমসাধু-টমটম-লাটাহাম্বা) ১৫ জন (২.৭৮ শতাংশ) এবং বাইসাইকেল-রিকশা আরোহী ৯ জন (১.৬৬ শতাংশ) নিহত হয়েছেন।
দুর্ঘটনা সংঘটিত সড়কের ধরন:
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১৯৩টি (৩৮.২৯ শতাংশ) জাতীয় মহাসড়কে, ২১৪টি (৪২.৪৬ শতাংশ) আঞ্চলিক সড়কে, ৫৫টি (১০.৯১ শতাংশ) গ্রামীন সড়কে, ৩৮টি (৭.৫৩ শতাংশ) শহরের সড়কে এবং ৪টি (০.৭৯ শতাংশ) অন্যান্য স্থানে সংঘটিত হয়েছে।
দুর্ঘটনার ধরন:
দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ৯৮টি (১৯.৪৪ শতাংশ) মুখোমুখি সংঘর্ষ, ২৪৭টি (৪৯ শতাংশ) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ১১৬টি (২৩ শতাংশ) পথচারীকে চাপা/ধাক্কা দেয়া, ৩৫টি (৬.৯৪ শতাংশ) যানবাহনের পেছনে আঘাত করা এবং ৮টি (১.৫৮ শতাংশ) অন্যান্য কারণে ঘটেছে।
দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহন:
দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের মধ্যে- ট্রাক-কাভার্ডভ্যান-পিকআপ-ট্রাক্টর-ট্রলি-লরি-ডাম্পার-সেনা বাহিনীর ভ্যান ২৯.৫৯ শতাংশ, যাত্রীবাহী বাস ১৩.৭৭ শতাংশ, মাইক্রোবাস-প্রাইভেটকার-অ্যাম্বুলেন্স-জীপ ৪.৯৭ শতাংশ, মোটরসাইকেল ২৭.৯৩ শতাংশ, থ্রি-হুইলার (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-টেম্পু-লেগুনা) ১৭.৩৪ শতাংশ, স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন (নসিমন-ভটভটি-আলমসাধু-চান্দের গাড়ি-টমটম-মাহিন্দ্রা) ৪.০৮ শতাংশ, বাইসাইকেল-রিকশা ১.৪০ শতাংশ এবং অজ্ঞাত যানবাহন ০.৮৯ শতাংশ।
দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের সংখ্যা:
দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের সংখ্যা ৭৮৪টি। (বাস ১০৮, ট্রাক ১৫৩, কাভার্ডভ্যান ২১, পিকআপ ২৪, ট্রাক্টর ১০, ট্রলি ১১, লরি ৯, ডাম্পার ৩, সেনাবাহিনীর ভ্যান ১, মাইক্রোবাস ১১, প্রাইভেটকার ২৩, অ্যাম্বুলেন্স ৩, জীপ ২, মোটরসাইকেল ২১৯, থ্রি-হুইলার (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-টেম্পু-লেগুনা) ১৩৬, স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন (নসিমন-ভটভটি-আলমসাধু-চান্দের গাড়ি-টমটম-মাহিন্দ্র) ৩২, বাইসাইকেল-রিকশা ১১ এবং অজ্ঞাত যানবাহন ৭টি।
দুর্ঘটনার সময় বিশ্লেষণ:
সড়ক দুর্ঘটনাগুলোর সময় বিশ্লেষণে দেখা যায়, এগুলোর মধ্যে ভোরে ঘটেছে ৪.৭৬ শতাংশ, সকালে ৩১.৯৪ শতাংশ, দুপুরে ১৭.৬৫ শতাংশ, বিকালে ১৮.৬৫ শতাংশ, সন্ধ্যায় ৭.৭৩ শতাংশ এবং রাতে ঘটেছে ১৯.২৪ শতাংশ।
দুর্ঘটনার বিভাগওয়ারী পরিসংখ্যান:
দুর্ঘটনার বিভাগওয়ারী পরিসংখ্যান বলছে, মোট দুর্ঘটনার ৩১.৩৪ শতাংশ ঘটেছে ঢাকা বিভাগে, প্রাণহানি ৩২.৮৩ শতাংশ; রাজশাহী বিভাগে দুর্ঘটনা ১৫.৬৭ শতাংশ, প্রাণহানি ১৬.৬৯ শতাংশ; চট্টগ্রাম বিভাগে দুর্ঘটনা ১৬.৪৬ শতাংশ, প্রাণহানি ১৭.০৬ শতাংশ; খুলনা বিভাগে দুর্ঘটনা ৬.৫৪ শতাংশ, প্রাণহানি ৬.৪৯ শতাংশ; বরিশাল বিভাগে দুর্ঘটনা ৭.৩৪ শতাংশ, প্রাণহানি ৬.৬৭ শতাংশ; সিলেট বিভাগে দুর্ঘটনা ৫.৯৫ শতাংশ, প্রাণহানি ৪.৮২ শতাংশ; রংপুর বিভাগে দুর্ঘটনা ৯.১২ শতাংশ, প্রাণহানি ৮.১৬ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে দুর্ঘটনা ৭.৫৩ শতাংশ ও প্রাণহানি ৭.২৩ শতাংশ ঘটেছে।
ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ১৫৮টি দুর্ঘটনায় ১৭৭ জন নিহত হয়েছেন। সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম ৩০টি দুর্ঘটনায় ২৬ জন নিহত হয়েছেন। একক জেলা হিসেবে ঢাকা জেলায় ৪১টি দুর্ঘটনায় ৪৮ জন নিহত হয়েছেন। সবচেয়ে কম বরগুনা, লালমনিরহাট ও পঞ্চগড় জেলায়। এই ৩টি জেলায় কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটলেও প্রাণহানি ঘটেনি। রাজধানী ঢাকায় ৪২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২০ জন নিহত এবং ২৭ জন আহত হয়েছেন।
নিহতদের পেশাগত পরিচয়:
গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে পুলিশ সদস্য ৩ জন, বিভিন্ন স্কুল-কলেজ-মাদরাসার শিক্ষক ১২ জন, সাংবাদিক ৩ জন, প্রকৌশলী ২ জন, আইনজীবী ২ জন, উপ-সচিব ১ জন, কৃষি কর্মকর্তা ১ জন, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ১ জন, পবিপ্রবির উপ-পরিচালক ১ জন, বিভিন্ন ব্যাংক-বীমা কর্মকর্তা ও কর্মচারী ৯ জন, বিভিন্ন এনজিও কর্মকর্তা-কর্মচারী ১৩ জন, ওষুধ ও বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী বিক্রয় প্রতিনিধি ২৪ জন, স্থানীয় পর্যায়ের ব্যবসায়ী ৩২ জন, ২ জন ইউপি সদস্যসহ স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ১১ জন, ইমাম-মুয়াজ্জিন ৪ জন, পোশাক শ্রমিক ৫ জন, নির্মাণ শ্রমিক ৯ জন, রঙ মিস্ত্রি ৪ জন, ইটভাটা শ্রমিক ৩ জন, প্রতিবন্ধী ২ জন এবং বুয়েটের ১ জন ছাত্রসহ দেশের বিভিন্ন স্কুল-মাদরাসা ও কলেজের ৬৩ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন।
দুর্ঘটনা পর্যালোচনা ও মন্তব্য:
গত বছরের নভেম্বর মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৬২ জন নিহত হয়েছিলেন। প্রতিদিন গড়ে নিহত হয়েছিলেন ১৫.৪ জন। ডিসেম্বরে প্রতিদিন গড়ে নিহত হয়েছেন ১৭.৩৮ জন। এই হিসেবে ডিসেম্বর মাসে প্রাণহানি বেড়েছে ১২.৮৫ শতাংশ।
প্রতিবেদনে সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে— ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন; বেপরোয়া গতি; চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা, অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা; বেতন-কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকা; মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল; তরুণ-যুবদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো; জনসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানার প্রবণতা; দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা; বিআরটিএ’র সক্ষমতার ঘাটতি এবং গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজিকে।
সুপারিশ হিসেবে বলা হয়েছে— দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ বৃদ্ধি করতে হবে; চালকদের বেতন-কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করতে হবে; বিআরটিএ’র সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে; পরিবহন মালিক-শ্রমিক, যাত্রী ও পথচারীদের প্রতি ট্রাফিক আইনের বাধাহীন প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে; মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন বন্ধ করে এগুলোর জন্য আলাদা পার্শ্ব রাস্তা (সার্ভিস রোড) তৈরি করতে হবে; পর্যায়ক্রমে সকল মহাসড়কে রোড ডিভাইডার নির্মাণ করতে হবে; গণপরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে; রেল ও নৌ-পথ সংস্কার করে সড়ক পথের উপর চাপ কমাতে হবে; টেকসই পরিবহন কৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে এবং ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’ বাধাহীনভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বিতর্কিত তিন নির্বাচনের তদন্ত করবে ইসি
২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত বিতর্কিত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ সব নির্বাচনের অনিয়ম ও ত্রুটি চিহ্নিত করে প্রতিবেদন তৈরি করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এছাড়া কি কারণে নির্বাচন ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের ১০ আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাকে তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলেছে সংস্থাটি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনসহ অন্য নির্বাচন কমিশনাররা সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন৷
এরপর লিখিত নির্দেশনায় বৈঠকের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে আঞ্চলিক কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন সিইসি এএমএম নাসির উদ্দিন৷ এতে উল্লেখ করা হয়-বিগত নির্বাচনের অনিয়ম ও ত্রুটিগুলো সনাক্ত করে প্রতিবেদন ইসি সচিবালয়ে পাঠাতে হবে।
কর্মকর্তারা জানান, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের একাদশ ও ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে দেশের ইতিহাসে ব্যাপক বিতর্কিত নির্বাচন হিসেবে মনে করা হয়। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো অংশ না নেওয়ায় এক তরফা ভোট হয়, যে নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ১৫৩ জন। নির্বাচনি ইতিহাসে যা বিরল। ২০১৮ সালের নির্বাচনে সবগুলো দল অংশ নিলেও রাতের ভোট বলে অভিহিত করা হয়। ওই নির্বাচনে বিএনপি ও শরিকরা সাতটি আসন পায়, যা নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগের সন্দেহকে দৃঢ় করে তোলে।
এছাড়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোকে বাইরে রেখে আওয়ামী লীগের ডামি প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখানো হয়। এতে টানা চারবারের মতো ক্ষমতায় আসে দলটি।
অন্তর্বর্তী সরকারের মাধ্যমে ইসি সংস্কারের পর এএমএম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন কমিশন গঠন হলে বিভিন্ন মহল থেকে ওই তিন নির্বাচনে অনিয়মের কারণ খুঁজে বের করার দাবি ওঠে বিভিন্ন মহল থেকে৷ এমনকি নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সঙ্গে সংলাপে বসেও সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম, বিশিষ্ট ব্যক্তিরা তা খুঁজে বের করার দাবি তোলেন।
সিইসি এএমএম নাসির উদ্দিন কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য বলেন, একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরপেক্ষ নির্বাচন জাতিকে উপহার দেওয়াই নির্বাচন কমিশনের প্রধান লক্ষ্য। এজন্য নির্বাচন কমিশনের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অমূল্য অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে হবে। আপনারা ভালো নির্বাচনও দেখেছেন, খারাপ নির্বাচনও দেখেছেন। ভালোর অভিজ্ঞতাকে গ্রহণ করবেন। খারাপ অভিজ্ঞতাকে পরিহার করবেন। অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতা ভুলে জাতির প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করে নির্বাচন কমিশনের আস্থার সংকট দূর করতে হবে। নির্বাচন কমিশনকে শ্রদ্ধার আসনে বসাতে কমিশন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কমিশনের কর্মকর্তাদের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তা সম্ভব হবে। যে কোনো সময় নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে কমিশনের কর্মকর্তাদের আগাম প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এ বিষয়ে বলেন, নির্বাচনি ব্যবস্থা কি কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হলো এটি কমিশনকে অবগত করতে হবে। দায়িত্বপ্রাপ্তদের গাফিলতি, দায়িত্বে অবহেলা, দুর্বলতা ও দুরভিসন্ধি থাকতে পারে। ভবিষ্যতে যেন এমন না হয় সেজন্য আগাম সর্তক থাকতে হবে।
নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার কর্মকর্তাদের বলেন, বিগত নির্বাচনের ত্রুটি সনাক্ত করে তা কটিয়ে ওঠার চেষ্টা করতে হবে। জনগণ অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আশা করে। অনিয়মের সঙ্গে জড়িতরা বিবেকের কাছে প্রশ্ন করে শোধরানোর চেষ্টা করতে হবে। বর্তমান সময়ে নির্বাচনি অনিয়মের সঙ্গে জড়িত কাউকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না।
গত ২১ নভেম্বর দায়িত্ব নেন সিইসি এএমএম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন নতুন কমিশন। ইতিমধ্যে তারা বিভিন্ন সংস্কার কার্যক্রমের উদ্যোগ নিয়েছেন৷ পাশাপাশি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেরও প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে সাবেক সচিব কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন কমিশনের অধীনে৷ একাদশ সংসদ নির্বাচন করেছেন কেএম নুরুল হুদার কমিশন। আর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করেছেন কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন। অভ্যুত্থানের এক মাস পর গত ৫ সেপ্টেম্বর প্রথমবারের মতো কমিশন নিজে থেকে পদত্যাগ করেছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
পলিথিন ব্যাগ বন্ধে অভিযান, ৪৩৮ প্রতিষ্ঠানকে ২৮ লাখ টাকা জরিমানা
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং কমিটির সভাপতি ও অতিরিক্ত সচিব তপন কুমার বিশ্বাস বলেছেন, গত ৩ নভেম্বর থেকে দেশব্যাপী ২১৬টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানে ৪৩৮টি প্রতিষ্ঠানকে প্রায় ২৮ লাখ ৭৩ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং ৫৯ হাজার ৯৫৯ কেজি পলিথিন জব্দ করা হয়েছে।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) রাজধানীর হাতিরপুল ও পলাশী কাঁচাবাজারে পলিথিন ব্যবহার রোধে পরিচালিত মনিটরিং কার্যক্রম শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
অবৈধ পলিথিন শপিংব্যাগ উৎপাদন বন্ধে অভিযান জোরদার করা হবে বলেও জানান তিনি।
তপন কুমার বিশ্বাস বলেন, এজন্য মোবাইল কোর্টের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। অবৈধ পলিথিন পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, পলিথিনের কারণে পরিবেশ দূষণ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এটি নদী-খালের প্রবাহ বাধাগ্রস্ত করছে এবং মাটির উর্বরতা নষ্ট করছে। নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে জনসচেতনতা বাড়ানো ও বিকল্প ব্যাগ ব্যবহারে অভ্যস্ততা গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।
তপন কুমার বিশ্বাস বলেন, বাজারে গেলে নিজের ব্যাগ নিয়ে যেতে হবে। পাটের, কাপড়ের ব্যাগের পাশাপাশি মোমপালিশ করা কাগজের ব্যাগে মাছ-মাংস নেওয়া যায়।
গণমাধ্যমের সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেন, আমরা পলিথিন বন্ধে সফল হতে সবার সহযোগিতা চাই।
মনিটরিং কার্যক্রমে পরিবেশ মন্ত্রণালয়, পরিবেশ অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য এবং সংশ্লিষ্ট বাজার কমিটির প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
মনিটরিং টিম বাজারের দোকানগুলোতে পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার পর্যবেক্ষণ করে। দোকানিদের পাট ও কাপড়ের ব্যাগ ব্যবহারে উৎসাহিত করতে প্রচারণাও চালানো হয়।