কর্পোরেট সংবাদ
বিকাশের সেন্ড মানি সেবার আদ্যোপান্ত

ঢাকার নবাবপুরে একটি হোটেলে প্রায় দুই দশক ধরে পাচকের কাজ করেন সুজন মাহমুদের বাবা আবদুল মোতালেব। ছোটোকালে পিরোজপুরের বাড়িতে সুজন ও তার তিন ভাইবোনের কাছে সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্ত ছিলো প্রতিমাসের শুরুতে বাবা যখন বাড়িতে আসতেন। কেননা তিনি সবসময়ই কিছু না কিছু সাথে নিয়ে আসতেন। আবার লঞ্চে আসার সময় বেতনের টাকাটা কীভাবে নিরাপদে এনেছেন সেই গল্প শোনাও তাদের কাছে ছিল বেশ রোমাঞ্চের, কেননা সে সময় চোর-ডাকাত, ছিনতাইকারী, প্রতারকের পাল্লায় পড়ে সর্বস্ব খোয়ানোর ঘটনা শোনা যেত প্রায়ই। একারণে টুপির ভাঁজে, জামার চোরা পকেটে, কাপড়ে সেলাই করে, চানাচুর-বিস্কিটের প্যাকেটে লুকিয়ে টাকা আনার গল্প সন্তানদের শোনাতেন মোতালেব সাহেব। সারা মাসের কষ্টের আয় নিরাপদে বাড়িতে নিয়ে আসতে কতই না বুদ্ধি বের করতে হতো তাকে। তবে দেশে গত দশকে এই চিত্র আমূল বদলে গিয়েছে বিকাশের মতো মোবাইল আর্থিক সেবা আসার মধ্য দিয়ে।
এখন সুজনও বাবার সাথে একই হোটেলে কাজ করেন। বেতন পেয়ে বাড়িতে টাকা বিকাশ করে দেন। টাকা নিরাপদে পৌঁছানো নিয়ে এখন আর কোনো টেনশন নেই পিতা-পুত্রের। সুজনের কাছে এখন টাকা পাঠানো মানেই বিকাশ করা। কেবল তিনিই নন, কোটি বাংলাদেশির কাছে এখন টাকা পাঠানোর সমার্থক শব্দ হয়ে উঠেছে ‘বিকাশ করা’।
দেশের যেকোনো স্থানে বিভিন্ন প্রয়োজনে টাকা পাঠানোর জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত সেবা বিকাশ-এর সেন্ড মানি। খুব সাধারণ ফিচার ফোনেও *২৪৭# ডায়াল করে টাকা পাঠানোর যে সেবা শুরু হয়েছিল, তা এখন কোটি গ্রাহকের কাছে আস্থা ও নির্ভরতার প্রতীক হয়ে উঠেছে।
ধরন: বিকাশ-এ দুই ধরনের সেন্ড মানি সুবিধা রয়েছে – সেন্ড মানি ও গ্রুপ সেন্ড মানি। সেন্ড মানি সেবার মাধ্যমে টাকা পাঠানো যায় একক গ্রাহককে, আর গ্রুপ সেন্ড মানি অপশনের মাধ্যমে একসাথে পাঠানো যায় ৭টি বিকাশ নাম্বারে। একজন গ্রাহককে টাকা পাঠাতে সেন্ড মানিতে গিয়ে নাম্বারটি লিখে বা মোবাইলের কন্টাক্ট লিস্ট থেকে নির্বাচিত করে সহজেই এই সেবা নেয়া যায়। গ্রুপ সেন্ড মানির ক্ষেত্রে যে নাম্বারগুলোতে টাকা পাঠাতে চান সেগুলোকে নির্বাচন করে একটি গ্রুপ তৈরি করে নিতে হবে। এরপর গ্রুপ নির্বাচন করে টাকা পাঠিয়ে দিলে সবগুলো নাম্বারে সমান ভাগে ভাগ হয়ে সেন্ড মানি হয়ে যাবে।
লিমিট: বিকাশের অন্যান্য সেবার মত সেন্ড মানি সেবার জন্যও বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারিত সীমা বা লিমিট রয়েছে। গ্রাহক বিকাশ অ্যাপের হোমস্ক্রিনের উপরে ডান দিকের বিকাশ লোগোতে ট্যাপ করে ড্রপডাউন লিস্ট থেকে দৈনিক ও মাসিক লিমিট দেখে নিতে পারবেন। আবার স্টেটমেন্ট থেকে কতটাকা সেন্ড মানি করেছেন, কতবার করেছেন আর কতবার সুযোগ আছে সে তথ্যও সংযুক্ত থাকে, প্রত্যেক গ্রাহক তার নিজস্ব খরচটা এখানে দেখতে পান অনায়াসে।
সেন্ড মানিতে শুভেচ্ছা কার্ড: কোনো বিশেষ দিবস, ঈদ-পূজা-পার্বণ, জন্মদিন, বিবাহবার্ষিকী বা বিশেষ কোনো উপলক্ষ্য উদযাপনে প্রিয়জনকে অনেকেই অর্থ উপহার দিয়ে থাকেন। এরকম বিশেষ মুহূর্তে প্রিয়জনকে বিকাশ থেকে সেন্ড মানি করার সময় সঙ্গে যুক্ত করা যায় পছন্দ অনুযায়ী বার্তা সম্বলিত ডিজিটাল শুভেচ্ছা কার্ড।
কিউআর স্ক্যান করে সেন্ড মানি: প্রত্যেক বিকাশ গ্রাহকের রয়েছে নিজস্ব ইউনিক কিউআর কোড। বিকাশ অ্যাপ-এর উপরে বামদিকে প্রোফাইল অংশ থেকে নিজের কিউআর ডাউনলোড করে নিতে পারেন যেকোনো গ্রাহক। এই কিউআর স্ক্যান করে সহজেই সেন্ড মানি করতে পারেন অন্য বিকাশ গ্রাহকরা। কিউআর স্ক্যান করে সেন্ড মানিতে নাম্বার টাইপ করার ব্যাপার থাকে না বিধায় ভুল হওয়ার সুযোগ নেই এবং কিউআর স্ক্যান করায় সরাসরি সেন্ড মানি ইন্টারফেস চলে আসায় টাকা পাঠাতে সময়ও কম লাগে।
স্ক্রিনশটে বিশেষ সুবিধা: সেন্ড মানি করার পর অনেকেই মানি ট্রান্সফার রিসিট এর বদলে স্ক্রিনশট পাঠিয়ে থাকেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে। গ্রাহকের অর্থের নিরাপত্তা এবং ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার স্বার্থে স্ক্রিনশট নেয়ার আগে গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স যে অংশে দেখা যায় সেখানে ট্যাপ করই বিশেষ চিহ্ন দিয়ে তা ঢেকে ফেলা যায়। ফলে গ্রাহক সহজেই ব্যালেন্স গোপান রেখে স্ক্রিনশট শেয়ার করতে পারেন। আবার সেন্ড মানি সফল হওয়ার পর ট্রানজ্যাকশন স্টেটমেন্ট থেকে ট্রানজ্যাকশন নম্বরও কপি করে প্রয়োজনে যে কাউকে পাঠানোর সুবিধা পান গ্রাহক। এমনকি ঐ স্ক্রিনেই যাকে টাকা পাঠানো হয়েছে তার নাম্বারের পাশে কল করার অপশনও যুক্ত হয়েছে সম্প্রতি।
অটো সেন্ড মানি: অনেকেই বেতন পেয়ে মাসের নির্দিষ্ট তারিখে বাড়িতে বাবা বা মাকে টাকা পাঠান, কেউ হয়ত কাউকে সহায়তা করার জন্য প্রতিমাসে টাকা পাঠান। অটো-সেন্ড মানি সেবার মাধ্যমে অ্যাপ থেকে যাকে টাকা পাঠাতে চান তার নম্বর নির্বাচন করে, টাকার পরিমাণ এবং তারিখ উল্লেখ করে রাখলে নির্দিষ্ট সময়ে পর্যাপ্ত ব্যালেন্স থাকা সাপেক্ষে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পর্যাপ্ত ব্যালেন্স গ্রহীতার কাছে চলে যায়। আলাদা করে গ্রাহককে টাকা পাঠানোর কথা মনেও রাখতে হয়না আর সময় সাশ্রয় তো হয়-ই।
প্রিয় নাম্বারে সেন্ড মানি: ডাটা এবং প্রযুক্তির সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে সেন্ড মানি সেবা সাশ্রয়ী করতে প্রিয় নম্বর পদ্ধতি চালু করেছে বিকাশ। একজন গ্রাহক এক মাসে সর্বোচ্চ পাঁচটি নাম্বার ‘প্রিয় নাম্বার’ হিসেবে যুক্ত করে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত কোন খরচ ছাড়াই সেন্ড মানি করতে পারেন। আর মাস শেষ হলে প্রয়োজন অনুযায়ী ‘প্রিয় নাম্বার’ পরিবর্তনও করে নিতে পারেন গ্রাহক।
নন-বিকাশে সেন্ড মানি: বিকাশ অ্যাকাউন্ট নেই এমন নাম্বারেও সেন্ড মানি করার সুবিধা রয়েছে বিকাশ গ্রাহকের। সেক্ষেত্রে টাকা গ্রহণের দুইদিনের মধ্যে বিকাশ অ্যাকাউন্ট খুলে নিতে পারেন গ্রহীতা। আবার নন-বিকাশ নাস্বারে টাকা পাঠানোর পর প্রেরক প্রয়োজনে সেন্ড মানিতে ঢুকে বাতিল/ক্যান্সেল অপশন ক্লিক করে সাথে সাথেই সে টাকা ফেরত নিয়ে আসতে পারেন। উল্লেখ্য, টাকা পাঠানোর পর গ্রহীতা অ্যাকাউন্ট না খুললে তিন কর্মদিবস পর সেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রেরকের বিকাশ অ্যাকাউন্টে ফেরত চলে যায়।
ভুল নাম্বারে টাকা চলে গেলে করণীয়: ডিজিট ভুল করে বা অন্য কোনো ভাবে ভুল নাম্বারে টাকা পাঠানোর ঝামেলা থেকে গ্রাহককে সুরক্ষিত রাখতে বিকাশ অ্যাপ-এর সেন্ড মানিতে নতুন একটি অপশন যুক্ত করেছে বিকাশ। টাকা পাঠানোর ঠিক আগের ধাপে যে নাম্বারে সেন্ড মানি করতে চান সে নাম্বারটি সঠিক কি না তা ‘অনুগ্রহ করে আবার চেক করুন’- এমন একটি বার্তা দেখতে পান গ্রাহক। এখানে নাম্বারটি এডিট করার ব্যবস্থাও থাকে। গ্রাহক নাম্বার নিশ্চিত করলেই কেবল পরের ধাপে যাওয়ার সুযোগ পান। আবার ভুল নাম্বারে টাকা পাঠানো এড়াতে টাকা পাঠানোর আগে প্রেরকের সাথে কথা বলে নাম্বারটি নিশ্চিত হয়ে নেয়া যেতে পারে। যে নাম্বারে টাকা পাঠানো হচ্ছে তা সেভ করে নিয়ে টাকা পাঠালেও ভুল হওয়ার সম্ভবনা কমে যায়।
অর্থসংবাদ/কাফি

কর্পোরেট সংবাদ
কৃষি উন্নয়নে ইউসিবি ও প্ল্যান্টেন অ্যাগ্রোর নতুন উদ্যোগ

কৃষি আমাদের দেশের প্রাণ, আর এ খাতের উন্নয়ন মানেই দেশের উন্নয়ন। এই গুরুত্ব বুঝে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি (ইউসিবি) এবং কৃষি-প্রযুক্তিভিত্তিক স্টার্টআপ প্ল্যান্টেন অ্যাগ্রো লিমিটেড একসাথে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ লক্ষে সম্প্রতি প্রতিষ্ঠান দুটি এক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। যার মাধ্যমে তারা একসাথে কৃষিখাতে উন্নত প্রযুক্তি ও নতুন নতুন সমাধান নিয়ে কাজ করবে। এর মাধ্যমে কৃষকের দক্ষতা বাড়বে এবং ফসলের উৎপাদনও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই অংশীদারিত্বে ইউসিবি ব্যাংকিং ও অর্থনৈতিক সহায়তা দেবে আর প্ল্যান্টেন অ্যাগ্রো প্রযুক্তিগত দিকগুলো সামলাবে। এতে করে দেশের কৃষি খাতে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।
চুক্তিতে ইউসিবির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাবিল মোস্তাফিজুর রহমান এবং প্ল্যান্টেন অ্যাগ্রোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. গোলাম আজম ফারুক স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে দুই প্রতিষ্ঠানের আরও অনেক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে দেশের কৃষকরা প্রযুক্তি ও অর্থের সাহায্যে আরও ভালোভাবে চাষ করতে পারবে, যা দেশের অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
কর্পোরেট সংবাদ
কোরবানির পশু কেনা ও হাসিল পরিশোধ সহজ হয়েছে বিকাশ পেমেন্টে

গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় এবারো ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশজুড়ে ২৭টি পশুর হাটে বিকাশ পেমেন্টের মাধ্যমে কেনা যাচ্ছে কোরবানির পশু। ক্যাশ টাকা বহন এবং ছেঁড়া বা জাল টাকার ঝুঁকি এড়িয়ে দেশজুড়ে এই হাটগুলোতে সহজেই বিকাশ পেমেন্টে কোরবানির পশুর মূল্য ও হাসিল পরিশোধের সুযোগ পাচ্ছেন গ্রাহকরা।
এবছর হাটের তালিকায় ঢাকার গাবতলী, বছিলা, ভাটারা, ঢাকা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট হাট, দিয়াবাড়ি হাট, পোস্তগোলা হাট, চট্টগ্রামের সাগরিকা, বিবিরহাট, মইজ্জারটেক, বরিশালের দপদপিয়া হাট, রাজশাহীর সিটি হাট, রংপুরের লালবাগ, সিলেটের কাজী বাজারসহ ২৭ টি পশুর হাটে ক্যাশ টাকা ছাড়াই বিকাশ পেমেন্টে কোরবানির পশু কেনা যাচ্ছে।
শুধু তাই নয়, যারা ক্যাশ টাকা ছাড়া বা ক্যাশ দিয়ে পশু কিনবেন, উভয়েই হাসিলের অর্থ বিকাশেই পরিশোধ করতে পারবেন। হাটের নির্দিষ্ট স্থানে দেয়া বিকাশের কিউআর কোড স্ক্যান করে খুব সহজেই হাসিল পরিশোধ করতে পারবেন ক্রেতারা।
হাটের পাশাপাশি এখন অনেকেই অনলাইনেই কোরবানির পশু কেনেন। অনলাইনে কোরবানির পশু কেনার ক্ষেত্রেও বিকাশ পেমেন্ট স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবহার করছেন ক্রেতারা।
উল্লেখ্য, ঈদ উপলক্ষ্যে বিকাশ-এ এখন দৈনিক লেনদেনে ক্যাশ ইন (১০০,০০০ টাকা পর্যন্ত), সেন্ড মানি (১০০,০০০ টাকা পর্যন্ত) ও অ্যাড মানি (১০০,০০০ টাকা পর্যন্ত) এর লিমিটও বেড়েছে! তাই এই ঈদে গ্রাহকরা যেকোনো প্রয়োজনে, বিকাশ-এ আরও বেশি লেনদেন করতে পারছেন নিশ্চিন্তে। এই পরিবর্তিত লিমিট চলবে ৯ জুন, ২০২৫ পর্যন্ত।
কর্পোরেট সংবাদ
সিটি ব্যাংক ও চাইনিজ এন্টারপ্রাইজেস অ্যাসোসিয়েশনের মধ্যে সমঝোতা

সিটি ব্যাংক পিএলসি এবং বাংলাদেশে চীনা প্রতিষ্ঠানগুলির সংগঠন চাইনিজ এন্টারপ্রাইজেস অ্যাসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশের (সিইএবি) যৌথ উদ্যোগে একটি উচ্চপর্যায়ের ব্যবসায়িক নেটওয়ার্কিং ইভেন্ট সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই ইভেন্টে বাংলাদেশ সফরে আসা শতাধিক চীনা বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীদের একটি প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করে।
চীনা ব্যবসায়ীদের এই সফরের মূল লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ খাতসমূহে যৌথ বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সহযোগিতার নতুন সম্ভাবনা খুঁজে বের করা।
অনুষ্ঠানে সিটি ব্যাংক ও সিইএবি’র মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এই স্মারকের মাধ্যমে উভয় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের বাজারে চীনা ব্যবসায়ের প্রসারে সহযোগিতার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে।
সমঝোতা স্মারকটি স্বাক্ষর করেন সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিন এবং সিইএবি’র সেক্রেটারি জেনারেল কোয়াংচো চং।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান আজিজ আল কায়সার, ভাইস চেয়ারম্যান হোসেন খালেদ এবং সিইএবি’র প্রেসিডেন্ট হান কুন। উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণসহ চীনা ও বাংলাদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরাও অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
সিটি ব্যাংক বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় বাণিজ্যিক ব্যাংক হিসেবে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বিভিন্ন বিশেষায়িত ব্যাংকিং সেবা প্রদান করে আসছে।
কর্পোরেট সংবাদ
সেরা ৯ শাখা-উপশাখাকে পারফরম্যান্স অ্যাওয়ার্ড দিলো এনআরবিসি ব্যাংক

২০২৪ সালের পারফরম্যান্স বিবেচনায় তিন ক্যাটাগরিতে সেরা ৯ শাখা ও উপশাখাকে আওয়ার্ড প্রদান করেছে এনআরবিসি ব্যাংক। সম্প্রতি রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত স্ট্রাটেজিক বিজনেস কনফারেন্সে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন প্রধানিয়া। এতে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ড. মো. তৌহিদুল আলম খান।
অনুষ্ঠানে স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবুল বশর, মো. আনোয়ার হোসেন, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান মো. নুরুল হক ও অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মুহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ, এফসিএ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কার্যকর সেবা, সেবার মান ও সামগ্রিক কর্মদক্ষতার মানদন্ডে নগর শাখা, গ্রামীণ শাখা এবং উপশাখা এই তিন ক্যাটাগরিতে এই পুরস্কার দেয়া হয়। নগর শাখা ক্যাটাগরিতে টঙ্গী শাখাকে প্লাটিনাম অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। এই ক্যাটাগরিতে মিরপুর শাখা গোল্ড অ্যাওয়ার্ড এবং হাতিরপুল শাখা সিলভার অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে।
গ্রামীণ শাখার মধ্যে রুহিতপুর শাখা প্লাটিনাম অ্যাওয়ার্ড, চারাবাগ শাখা গোল্ড অ্যাওয়ার্ড এবং রূপপুর শাখা সিলভার অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে। উপশাখা ক্যাটাগরিতে প্লাটিনাম অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে রামপুরা উপশাখা, গোল্ড অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে রায়পুর উপশাখা এবং সিলভার অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে দাগনভুঁইয়া উপশাখা।
অনুষ্ঠানে এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন প্রধানিয়া বলেন, এই পুরস্কার ব্যাংকের শাখা ও উপশাখাগুলোর ধারাবাহিক কর্মদক্ষতার স্বীকৃতি। ব্যাংকের এই সেবাকেন্দ্রগুলো নির্ধারিত লক্ষ্য অনুযায়ী ধারাবাহিকভাবে কাজ করেছে এবং সেবার মান বজায় রেখেছে। এসময় তিনি বিজয়ী শাখা-উপশাখাগুলোর ম্যানেজারদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন এবং সর্বক্ষেত্রে পেশাদারিত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা প্রদান করেন।
এসএম
কর্পোরেট সংবাদ
জনতা ব্যাংক জাতীয়তাবাদী অফিসার কল্যাণ সমিতির আলোচনা সভা

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে জনতা ব্যাংক জাতীয়তাবাদী অফিসার কল্যাণ সমিতির আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২ জুন) জনতা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মুহ. ফজলুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মজিবর রহমান, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. গোলাম মরতুজা, মো. ফয়েজ আলম ও মো. আশরাফুল আলম বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। সংগঠনের সভাপতি সাইফুল আবেদিন তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সভা সঞ্চালনায় ছিলেন কার্যকরী সভাপতি শাহ জাহান ও সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন।
অনুষ্ঠানে সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি এস. এফ. এম. মুনির হোসেন, সহ সভাপতি মজিবুর রাহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ছানোয়ার হোসেনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
কাফি