স্বাস্থ্য
ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু ২৯ ডিসেম্বর
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের বিডিএস (ডেন্টাল) ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু হবে আগামী ২৯ ডিসেম্বর। আবেদনের শেষ তারিখ ২০ জানুয়ারি। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এবার সেকেন্ড টাইম ভর্তিচ্ছুদের দুই পদ্ধতিতে ৩ ও ৬ নম্বর কর্তন করা হবে।
আজ শনিবার স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. রুবীনা ইয়াসমীন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে বিডিএস (ডেন্টাল) ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের আগ্রহী প্রার্থীদের ২০২৩ অথবা ২০২৪ সালে এইচএসসি, এ-লেভেল বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। যেসব শিক্ষার্থী ২০২১ সালের পূর্বে এসএসসি, ও-লেভেল বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন, তারা আবেদন করার যোগ্য নন।
এদিকে অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিডিএস (ডেন্টাল) ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের আগ্রহী প্রার্থীকে এসএসসি, ও-লেভেল বা সমমান পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং এইচএসসি, এ-লেভেল বা সমমান পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে অন্তত জীববিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়ন থাকতে হবে। এছাড়া, এসএসসি, ও-লেভেল বা সমমান এবং এইচএসসি, এ-লেভেল বা সমমান পরীক্ষায় মোট জিপিএ কমপক্ষে ৯.০০ থাকতে হবে।
উপজাতীয় ও পার্বত্য জেলার অ-উপজাতীয় প্রার্থীদের জন্য এসএসসি, ও-লেভেল বা সমমান এবং এইচএসসি, এ-লেভেল বা সমমান পরীক্ষায় মোট জিপিএ কমপক্ষে ৮.০০ থাকতে হবে। তবে, কোনো একক পরীক্ষায় যদি জিপিএ ৩.৫০ এর কম হয়, তবে তারা আবেদনের যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন না। সব প্রার্থীর জন্য, এইচএসসি, এ-লেভেল বা সমমান পরীক্ষায় জীববিজ্ঞানে ন্যূনতম গ্রেড পয়েন্ট ৪.০ থাকতে হবে, না হলে তারা আবেদনের যোগ্য হবেন না।
লিখিত ভর্তি পরীক্ষা এইচএসসি পরীক্ষার সিলেবাস অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষায় মোট ১০০টি প্রশ্ন থাকবে, যার প্রতিটি প্রশ্নের মান ১ নম্বর করে, ফলে মোট নম্বর হবে ১০০। বিষয়ভিত্তিক নম্বর বিভাজন হবে : জীববিজ্ঞান ৩০, রসায়ন ২৫, পদার্থবিজ্ঞান ২০, ইংরেজি ১৫ এবং সাধারণ জ্ঞান (বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি) ১০। পরীক্ষার সময় এক ঘণ্টা। লিখিত পরীক্ষায় প্রতিটি সঠিক উত্তর দেওয়ার জন্য ১ নম্বর দেওয়া হবে।
কোনো প্রশ্নের একাধিক উত্তর দিলে তা ভুল হিসেবে গণ্য হবে এবং প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা হবে। লিখিত পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের কম প্রাপ্ত পরীক্ষার্থীরা দেশে অথবা বিদেশে বিডিএস/সমতুল্য কোর্সে ভর্তির অনুমতির জন্য অকৃতকার্য হিসেবে বিবেচিত হবেন। লিখিত পরীক্ষায় কৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের মেধাক্রমসহ ফল প্রকাশ করা হবে।
এসএসসি, ও-লেভেল বা সমমান এবং এইচএসসি, এ-লেভেল বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ কে মোট ১০০ নম্বর হিসেবে মূল্যায়ন করা হবে। এসএসসি, ও-লেভেল বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ এর ১০ গুণ হবে ৫০ নম্বর (সর্বোচ্চ), এবং এইচএসসি, এ-লেভেল বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ এর ১০ গুণ হবে ৫০ নম্বর।
লিখিত পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর এবং এসএসসি, ও-লেভেল বা সমমান ও এইচএসসি, এ-লেভেল বা সমমান পরীক্ষার ভিত্তিতে প্রাপ্ত জিপিএ অনুযায়ী নম্বর যোগফল করে মেধাক্রম নির্ধারণ করা হবে।
আবেদন করার প্রক্রিয়া
আবেদনকারীদের টেলিটক প্রিপেইড সিমের মাধ্যমে এক হাজার টাকা জমা দিয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে। ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার জন্য অনলাইন ফরম পূরণের প্রক্রিয়া ও ভর্তি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য টেলিটকের ওয়েবসাইট (http://dgme.teletalk.com.bd), স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের ওয়েবসাইট (www.mefwd.gov.bd), স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট (www.dgme.gov.bd) এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট (www.dghs.gov.bd) থেকে পাওয়া যাবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
স্বাস্থ্য
মেডিকেলে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় উত্তীর্ণদের ফল স্থগিত
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধা কোটায় পাস করা ১৯৩ জনের ফলাফল যাচাই-বাছাই ২৯ জানুয়ারির মধ্যে, সে পর্যন্ত তাদের ভর্তি প্রক্রিয়া স্থগিত থাকবে। আজ সোমবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেন এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, কোটা থাকবে কিনা সে সিদ্ধান্ত নিবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
এর আগে সোমবার সকালে শহীদ মিনারে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়। সমাবেশে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল আজকে মধ্যে বাতিলের দাবি জানান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে ফল পুনরায় প্রকাশের দাবি করেন তারা।
শিক্ষার্থীরা তাদের বক্তব্যে বলেন, কোটার মাধ্যমে আবারও মুজিববাদ ও শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা হচ্ছে। বাংলাদেশের রন্ধ্রে রন্ধ্রে এখনও কোটা রয়ে গেছে। অবিলম্বে এই কোটা প্রথা বাতিল করতে হবে।
তাদের দাবি, যে কোটার জন্য এত প্রাণ দিতে হলো, সেই কোটা আবার ফিরে এসেছে। এর জবাব বর্তমান সরকারকে দিতে হবে। এই ফল বাতিল করে শুধু মেধার ভিত্তিতে নতুন ফল প্রকাশ করতে হবে।
এদিকে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রের, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নয় বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান। সোমবার দুপুরে রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লুতে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, আপনারা জানেন যে কোটা বাতিলের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত থেকে যে রায় দেওয়া হয়েছিল, সেখানে মূল পরিবর্তন হলো নাতি-নাতনির পরিবর্তে, পরবর্তী প্রজন্মের বদলে সন্তান বলা হয়েছে। অতএব কোটার বিষয়টিতে ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে এটা একটা নীতিগত সিদ্ধান্ত। এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষাও প্রচলিত আইন ও বিধি অনুযায়ী হয়েছে। তারপরও এটা স্ক্রুটিনি করা হবে।
তিনি বলেন, এই ১৯৩ জনের (যারা কোটায় মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছেন) মধ্যে খুবই আনইউজুয়াল হবে যাদের (বাবার) বয়স ৬৭-৬৮ এবং যাদের সন্তান থাকার সম্ভাবনা খুবই কম। সেখানে যদি কোনো ত্রুটি ধরা পড়ে তাহলে সেটা দেখা হবে। এমবিবিএস পরীক্ষায় মূল কোটা থাকবে কি থাকবে না, এই নীতিগত সিদ্ধান্তটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নয়, এটি রাষ্ট্রের। আগামী ২৭, ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি এটি যাচাই করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ জানুয়ারি ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। চলতি বছর পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য অনলাইনে মোট ১ লাখ ৩৫ হাজার ৬৬৫টি আবেদন জমা পড়ে। তার মধ্যে ১ লাখ ৩১ হাজার ৭২৯ জন পরীক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।
চলতি বছর ভর্তি পরীক্ষার পাস নম্বর ছিল ৪০। অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীর মধ্যে মোট ৬০ হাজার ৯৫ জন ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পাসের হার ৪৫ দশমিক ৬২ শতাংশ। এর মধ্যে ছেলে পরীক্ষার্থী ২২ হাজার ১৫৯ জন, যা উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর ৩৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ। এ ছাড়াও উত্তীর্ণ মেয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৭ হাজার ৯৩৬ জন, যা উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর ৬৩ দশমিক ১৩ শতাংশ। এ বছর ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত সর্বোচ্চ নম্বর ৯০ দশমিক ৭৫।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
স্বাস্থ্য
মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা শুরু
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের মোট ১৯ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হচ্ছে সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা। সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া পরীক্ষা চলবে বেলা ১১টা পর্যন্ত।
এর আগে সকাল ৮টা থেকে খুলে দেওয়া হয় কেন্দ্রগুলো। তবে সাড়ে নয়টার পর কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করেছেন এক লাখ ৩৫ হাজার ২৬১ জন শিক্ষার্থী। আর কোটাসহ মেডিকেলে মোট আসন রয়েছে পাঁচ হাজার ৩৮০টি। এ হিসাবে চলতি বছর আসনপ্রতি লড়বেন ২৫ জন শিক্ষার্থী।
ঢাকা মহানগরের ১৬টি ভেন্যুর মধ্যে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবন, বাণিজ্য অনুষদ ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদ, উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস), ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি স্কুল অ্যান্ড কলেজ (বুয়েট ক্যাম্পাস), বেগম বদরুন্নেছা সরকারি কলেজ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ (নিউ বেইলি রোড), সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ (নিউ বেইলি রোড), শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (আগারগাঁও), ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ (আগারগাঁও), সরকারি মোহাম্মদপুর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, শেরে বাংলা নগর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ (মিরপুর) এবং সরকারি তিতুমীর কলেজে (মহাখালী)।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
স্বাস্থ্য
দেশে এইচএমপিভিতে আক্রান্ত প্রথম রোগীর মৃত্যু
মারা গেছেন দেশে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসে (এইচএমপিভি) আক্রান্ত প্রথম রোগী সানজিদা আক্তার। তার বয়স ছিলো ৩০ বছর। বাড়ি কিশোরগঞ্জের ভৈরবে।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে রাজধানীর মহাখালী সংক্রামক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আরিফুল বাশার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ১২ জানুয়ারি এই নারীর এইচএমপিভিতে আক্রান্ত হওয়ার খবর আসে। জানা যাচ্ছিল ওই নারীর বিদেশ সফরের কোনো ইতিহাস ছিল না। তার স্বামী বিদেশে থাকেন। তবে অতি সম্প্রতি তার স্বামী দেশে আসেননি। বাংলাদেশে প্রথম ২০১৭ সালে এইচএমপিভি শনাক্ত হয়। এরপর কমবেশি প্রতিবছরই শনাক্ত হয়ে আসছে।
এ ভাইরাস নিয়ে ভয়ের কিছু নেই বলা হলেও পার্শ্ববর্তী একাধিক দেশে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ায় এ নিয়ে সতর্কতাও জারি করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
১২ জানুয়ারি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার (সিডিসি) একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- চীনসহ উপমহাদেশের বিভিন্ন দেশে এইচএমপিভি ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এবং ভাইরাসের তীব্রতা উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে ১৪ বছরের কম বয়সী শিশু এবং ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে এই রোগের সংক্রমণ বেশি দেখা যায়। সেই সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন হাঁপানি বা ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনাবি ডিজিজ, গর্ভবতী নারী এবং দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য উচ্চ ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে।
পৃথিবীর অন্যান্য অনেক দেশের মতো বাংলাদেশেও এই রোগের সংক্রমণ দেখা যায়। সম্প্রতি চীন ও অন্যান্য দেশে এর প্রার্দুভাব অতিরিক্ত মাত্রায় দেখা দিয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
স্বাস্থ্য
কাঁচা খেজুরের রস না খাওয়ার পরামর্শ
দেশে পাঁচজনের শরীরে ব্যাট রিওভাইরাসের নমুনা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে ইনস্টিটিউট অব এপিডেমিওলোজি, ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চের (আইইডিসিআর)।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বাদুড়ের মাধ্যমে ছড়ানো এ ভাইরাসের উপস্থিতি মানবদেহে পাওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম, যা ছড়াতে পারে আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি-কাশির মাধ্যমে। সতর্কতা হিসেবে খেজুরের কাঁচা রস পান থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
প্রতিবছর খেজুরের কাঁচা রস পানে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হন অনেকে। তেমনই লক্ষণ দেখে সম্প্রতি ৪৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে রোগ তত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট আইইডিসিআর। এতে নিপাহ ভাইরাসের নমুনা না মিললেও পাঁচজনের শরীরে পাওয়া যায় ব্যাট রিওভাইরাস, যা প্রথমবারের মতো শনাক্ত হলো দেশে।
রিওভাইরাসের চিকিৎসা পদ্ধতি এখনো আবিষ্কৃত হয়নি জানিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ভাইরাসের উপস্থিতি সাধারণত বাদুড়ে পাওয়া যায় এবং এটি করোনার মতো ছোঁয়াচে না হলেও আক্রান্ত ব্যাক্তির হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ছড়াতে পারে। এ ভাইরাসে বেশি আক্রান্ত হন শিশু ও বয়স্করা। আক্রান্ত হলে শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা, জ্বর, মাথাব্যথা, বমি ও ডায়রিয়ার মতো লক্ষণ দেখা দেয়। মারাত্মক হলে নিউমোনিয়া, এমনকি মস্তিষ্কের প্রদাহও দেখা দিতে পারে।
এ অবস্থায় রিওভাইরাসের সংক্রমণ হার নিয়ন্ত্রণে গবেষণার ওপর জোর দিলেন আইইডিসিআরের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মুশতাক হোসেন। দেশে রিওভাইওরাসের আপাতত মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়ার আশংকা নেই বলেও জানালেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তবে রিওভাইরাস থেকে সুরক্ষার জন্য খেজুরের কাঁচা রস পান পরিহারের পরামর্শ তাদের।
গণমাধ্যমকে এক সাক্ষাৎকারে মুশতাক হোসেন বলেন, যার মধ্যে নিপাহ নেই, তার মধ্যে রিও পাচ্ছি। লক্ষণও একই রকম। খেজুরের কাঁচা রস খেতে অবশ্যই আমাদের সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। এ ভাইরাসের কোনো টিকা বা চিকিৎসা বের হয়নি। নিপাহ ভাইরাসের টিকা বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে। গবেষণায় হয়ত এখন রিওভাইরাসের বিষয়টি যুক্ত হবে। একজন রিওভাইরাসের আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসে অন্যজন আক্রান্ত হচ্ছে কিনা, সেটা এখনও বলা যাচ্ছে না। তাই আমাদেরকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
দেশে প্রথমবার ৫ জনের শরীরে রিওভাইরাস শনাক্ত
দেশে প্রথমবারের মতো রিওভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তাতে আক্রান্ত হয়েছে ৫ জন। ভাইরাসটি শনাক্ত করেছে ইনস্টিটিউট অব এপিডেমিওলোজি ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ (আইইডিসিআর)। তবে কারও ক্ষেত্রে তেমন কোনো জটিলতা দেখা যায়নি। চিকিৎসা শেষে সবাই বাড়ি ফিরে গেছেন।
ভাইরাসটি নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন জানান, খেজুরের কাঁচা রস খেয়ে প্রতিবছর নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হন অনেকে। তেমন লক্ষণ দেখে সম্প্রতি ৪৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করেছে আইইডিসিআর। এদের মধ্যে নিপা ভাইরাস না মিললেও পাঁচ জনের শরীরে পাওয়া গেছে রিওভাইরাস।
তিনি আরও বলেন, নতুন রোগজীবাণু অনুসন্ধানে যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির সঙ্গে আইইডিসিআরের নিয়মিত গবেষণায় শনাক্ত হলো এই ভাইরাস।
কাফি