জাতীয়
সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা সাময়িক
সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার সংক্রান্ত সিদ্ধান্তটি সাময়িক, তথ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলাপ করে দ্রুতই এ বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) মন্ত্রণালয়টির জনসংযোগ কর্মকর্তা ফয়সল হাসানের পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
ওই বার্তায় বলা হয়, ‘সুপ্রিয় সাংবাদিক ভাইবোন, আসসালামু আলাইকুম। শুভ সকাল। সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত চলমান থাকার প্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকারের বিষয়ে উপরিউক্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্তটি সাময়িক। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সভা করে দ্রুত এ বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে’।
এর আগে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বকস চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক আদেশে বেসরকারি ব্যক্তিদের অনুকূলে ইসকৃত সচিবালয় প্রবেশের অস্থায়ী কার্ড বাতিল করা হয়। পাশাপাশি সাংবাদিকদের অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাতিল করা হয়।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সড়কে প্রাণহানি বেড়েছে ১২ শতাংশ
২০২৪ সালে দেশে ৬ হাজার ৯২৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৭ হাজার ২৯৪ জন নিহত হয়েছেন। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ১২ হাজার ১৯ জন। ২০২৩ সালের তুলনায় গত বছর দুর্ঘটনা বেড়েছে ০.২৩ শতাংশ। আর প্রাণহানি বেড়েছে প্রায় ১২ শতাংশ। আহত বেড়েছে ৫.৩৬ শতাংশ। এছাড়াও ২০২৪ সালে এসব দুর্ঘটনায় মোট ক্ষতির আর্থিক মূল্য ২১ হাজার ৮৮৬ কোটি ৩২ লাখ টাকা।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) তাদের প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরে বেসরকারি সংগঠন রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। সংস্থাটি নয়টি জাতীয় দৈনিক, সাতটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যম এবং সংস্থার নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।
রোড সেফটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে নারী ৮৯৩ জন ও শিশু ১ হাজার ১৫২ জন। ২ হাজার ৭৬১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২ হাজার ৬০৯ জন। এটি মোট নিহতের প্রায় ৩৬ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার মোট দুর্ঘটনার প্রায় ৪০ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ১ হাজার ৫৩৫ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ২১ শতাংশেরও বেশি। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৯৮৪ জন।
২০২৪ সালে ১১৮টি নৌ-দুর্ঘটনায় ১৫২ জন নিহত ও ১৬১ জন আহত হয়েছেন এবং ৩৯ জন নিখোঁজ রয়েছেন। ৩৪৭টি রেল দুর্ঘটনায় ৩২৪ জন নিহত এবং ২৭৭ জন আহত হয়েছেন।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলো সবচেয়ে বেশি হয়েছে আঞ্চলিক সড়কে। এর সংখ্যা ২ হাজার ৭৩৬টি। এটি মোট দুর্ঘটনার ৩৯ শতাংশের বেশি। আর ২ হাজার ৩৫৭টি দুর্ঘটনা ঘটেছে জাতীয় মহাসড়কে, ৯৭২টি গ্রামীণ সড়কে, ৭৮৪টি শহরের সড়কে এবং অন্যান্য স্থানে ৭৮টি দুর্ঘটনা ঘটেছে।
দুর্ঘটনার মধ্যে সবেচয়ে বেশি হয়েছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, সংখ্যা ২ হাজার ৯০৮টি। এছাড়া ১ হাজার ৫২৭টি মুখোমুখি সংঘর্ষ এবং ১ হাজার ৫৬২টি পথচারীকে চাপা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া ৭৮২টি যানবাহনের পেছনে আঘাত করা এবং ১৪৮টি অন্যান্য কারণে ঘটেছে।
রোড সেফটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি হলো পণ্যবাহী যানবাহন। এর পরেই আছে মোটরসাইকেল, থ্রি-হুইলার (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান ইত্যাদি), যাত্রীবাহী বাস, স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন (নসিমন-ভটভটি-আলমসাধু-মাহিন্দ্রা-টমটম) ইত্যাদি। ২০২৪ সালে দুর্ঘটনা কবলিত যানবাহনের সংখ্যা ছিল ১১ হাজার ৭৯৬টি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছিল পণ্যবাহী যানবাহন, সংখ্যা ৩ হাজার ১৪৫টি। মোটরসাইকেলের সংখ্যা ২ হাজার ৯৭৮টি। সময় বিশ্লেষণে দেখা যায়, দুর্ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে সকালে, ১ হাজার ৮৭৪টি। আর রাতে হয়েছে ১ হাজার ৫৪৮টি।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীতে ২০২৪ সালে ৩৯৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৪৬ জন নিহত এবং ৪৮২ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে পুরুষ ৭৬ শতাংশ। বাকিদের মধ্যে নারী ১৩ এবং শিশু প্রায় ১০ শতাংশ। এসব দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে পথচারী ৫১ শতাংশের বেশি। এ ছাড়া আছে মোটরসাইকেলের চালক ও আরোহী ৩৯ শতাংশ এবং বাস, রিকশা, সিএনজি ইত্যাদি যানবাহনের চালক ও আরোহী ৯ শতাংশের বেশি। রাজধানীতে ঘটা দুর্ঘটনার মধ্যে ৪০ শতাংশের বেশি হয় রাতে।
এ প্রতিবেদনের বিষয়ে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান বলেন, কর্তৃপক্ষের নানা প্রকার অনিয়ম ও দায়িত্বে অবহেলার কারণে সড়ক দুর্ঘটনায় অগণিত মানুষ হতাহত হচ্ছেন। কিন্তু এসব দুর্ঘটনার দায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিচ্ছে না। প্রাতিষ্ঠানিক জবাবদিহির অভাবে দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি হচ্ছে না। সংজ্ঞা অনুযায়ী, বাংলাদেশের অধিকাংশ সড়ক দুর্ঘটনাই কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড।
রোড সেফটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের সড়ক ও সড়ক পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার কাজে বিআরটিএ, ডিটিসিএ, বাংলাদেশ পুলিশ, বিআরটিসি, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ইত্যাদি নানা প্রতিষ্ঠান জড়িত। কিন্তু এসব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব প্রকট। প্রাতিষ্ঠানিক অব্যবস্থাপনা এবং কাঠামোগত দুর্বলতা রয়েছে। জবাবদিহি নেই বললেই চলে। এসব কারণেই সড়ক পরিবহনে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে না, দুর্ঘটনাও কমছে না।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
শেখ হাসিনা পরিবারের প্লট বরাদ্দে অনিয়মের প্রমাণ দুদকে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে পূর্বাচলে ৬০ কাঠা জমি বরাদ্দের ক্ষেত্রে ক্ষমতার অপব্যবহারের প্রমাণ পেয়েছে দুদক। এ বিষয়ে শিগগির বিস্তারিত তথ্য দিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরে বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধানের সর্বশেষ অগ্রগতি জানতে চাইলে তিনি এ তথ্য জানান।
আক্তার হোসেন বলেন, এ বিষয়ে অনেক অগ্রগতি আছে, আমাদের অনুসন্ধান দল অনেক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। আমাদের হাতে পর্যাপ্ত তথ্য এসেছে, যে বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করছি। বিশেষ করে রাজউকের পূর্বাচল প্রকল্পের ৬০ কাঠা প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত বিষয়ে আমরা শিগগির আপনাদের ভালো কিছু তথ্য দিতে পারবো।
যেসব তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে তাতে মামলার দিকে যেতে পারে কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে এখনই মন্তব্য করা ঠিক হবে না। অনুসন্ধান দল প্রতিবেদন দাখিল করলে আমরা আপনাদের শিগগির ভালো সংবাদ দিতে পারবো। তবে আমরা যে রেকর্ডপত্র পেয়েছি তাতে সুস্পষ্টভাবে ক্ষমতার অপব্যবহারের প্রমাণাদি রয়েছে।’
এর আগে গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের পাঁচ সদস্যের নামে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ছয়টি প্লট বরাদ্দে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।
পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের কূটনৈতিক জোনের ২০৩ নম্বর রোডের আশপাশের এলাকায় শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ছোট বোন শেখ রেহানা এবং তার ছেলে-মেয়ে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও আজমিনা সিদ্দিকের নামে প্লটগুলো বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
গত বছরের অক্টোবরে বোন শেখ রেহানাসহ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্যদের নামে পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দে অনিয়ম নিয়ে সংবাদমাধ্যমে আসা অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে দেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে এ কমিটিকে আওয়ামী লীগ সরকারের গত ১৫ বছরে (২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে) রাজউকের প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগও তদন্ত করতে বলা হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার এজেন্ডা সমর্থন করছে ইআইবি
অন্তর্বর্তী সরকারকে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার বাস্তবায়নে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংক (ইআইবি)। একই সঙ্গে এ সরকারের সংস্কার এজেন্ডাকে সমর্থন করার কথাও জানিয়েছে ইআইবি।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে ইআইবির ভাইস প্রেসিডেন্ট নিকোলা বিয়ার এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, আমরা খুব চ্যালেঞ্জিং সময়ে এসেছি; আমরা অন্তর্বর্তী সরকার এবং এর সংস্কার এজেন্ডাকে সমর্থন করি। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কাছে প্রযুক্তিগত দক্ষতা রয়েছে, যা এ সরকারকে সহায়তা করতে পারে।
সরকারের উদ্দেশে নিকোলা বিয়ার বলেন, আমরা যা কিছু করতে পারি, দয়া করে জানান। এটি দৃশ্যমান করা গুরুত্বপূর্ণ যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার শুধু কাজ করছে তা-ই নয়, বরং ফলাফলও দেখাচ্ছে।
বর্তমান সময়টি সুযোগের সময় বলে অভিহিত করে ড. ইউনূস দুর্নীতি দমন, শক্তিতে সবুজ রূপান্তর এবং সুন্দরবন ম্যানগ্রোভ বন এবং আশপাশের অঞ্চল ও নদীব্যবস্থার জন্য একটি ব্যাপক পরিকল্পনা প্রণয়নে ইআইবির সহায়তা চেয়েছেন। তিনি পূর্ব বাংলাদেশে জনগণের উন্নয়ন এবং উত্তর বাংলাদেশে জল ব্যবস্থাপনার জন্য চট্টগ্রাম বন্দরে সুবিধা নির্মাণে ইআইবির সমর্থনও চেয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এ অঞ্চলের বৃহত্তম বন্দরে পূর্ব বাংলাদেশের উন্নয়ন পূর্ব ভারত এবং মিয়ানমারকেও উপকৃত করবে।
গত বছর সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের পাশে ইইউ প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লেয়েনের সঙ্গে তার সাক্ষাতের কথাও তিনি স্মরণ করেছেন, যেখানে তারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই এবং জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য শক্তির দিকে বর্ধিত পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সহায়তার বিষয়ে আলোচনা করেছিলেন।
তিনি ইইউ দূতদের সঙ্গে তার সাম্প্রতিক সাক্ষাতের কথাও উল্লেখ করেছেন, যেখানে সহযোগিতার অনেক ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করা হয়েছিল।
ড. ইউনূস আগামী সাধারণ নির্বাচন এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনার বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার ‘স্থানীয় সরকার সত্যিকার অর্থেই স্থানীয় এবং একটি সরকার’ তা নিশ্চিত করার জন্য স্থানীয় সরকার নির্বাচনের প্রস্তুতিও একই সঙ্গে নিচ্ছে।
এসময় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, বিডা চেয়ারম্যান আশিক মাহমুদ চৌধুরী, এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মর্শেদ, ইআরডি সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী ও ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলারসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
১৫ জানুয়ারির মধ্যে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র দিতে হবে: হাসনাত
আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র দিতে হবে বলে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
তিনি বলেছেন, আমরা স্পষ্টভাবে জানাতে চাই, যারা এই ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে তাদের সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছিল, গণঅভ্যুত্থানে অংশ নিয়েছিল তাদেরসহ সকল শ্রেণিপেশার মানুষের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র ঘোষণা করতে হবে।
বুধবার (০৮ জানুয়ারি) কুমিল্লা নগরীতে ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’র সমর্থনে জনসংযোগ শেষে শহরের টাউন হল মাঠে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে পুলিশ লাইন থেকে শুরু, কান্দিরপাড়সহ নগরীর বিভিন্ন সড়কে জনসংযোগ করেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন সরকার ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত ছিল জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রের ব্যবস্থা করা। সরকার থেকে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা নেওয়া হয়নি। তাই আমরা এ বিপ্লবের ঘোষণাপত্র প্রকাশ করতে গিয়েছি। কিন্তু সকল রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে এই ঘোষণাপত্র ঘোষণা করার দায়িত্ব যখন সরকার নিয়েছে, তাই আমরা ৩১ ডিসেম্বর ঘোষণাপত্রটি ঘোষণা করিনি। আমরা রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রাধান্য দিয়েছি। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো ৩১ ডিসেম্বরের পর এতদিন কেটে গেলেও সরকার এখনো কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেয়নি।
ঘোষণাপত্র কেমন হতে হবে তার বর্ণনা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের এ সমন্বয়ক।
তিনি বলেন, ঘোষণাপত্রে অবশ্যই শহীদ ও আহতদের স্বীকৃতি দিতে হবে। ৪৭, ৭১ ও ২৪ এর যে ধারাবাহিকতা সেখানে সুস্পষ্ট তার বর্ণনা থাকতে হবে। আর সেটাতে আমরা কোনো পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্তি পেয়েছি তার বর্ণনা থাকতে হবে। যে রাজনৈতিক দলগুলো অংশ নিয়েছে তাদের অংশগ্রহণের স্বীকৃতি সেখানে থাকতে হবে। জনগণের যে আকাঙ্ক্ষা ফ্যাসিবাদী রাজনীতির বিরুদ্ধে, সে আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন এই ঘোষণাপত্র থাকতে হবে। আমরা বাংলাদেশের প্রত্যেকটি অঞ্চলে ঘুরে বেড়াব এবং সাধারণ মানুষ যারা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিল তারা এই ঘোষণাপত্রের কি চায় আমরা তুলে ধরব। যাতে ২৪ পরবর্তী বাংলাদেশে আর কোনো ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া না দিতে পারে।
হাসনাত বলেন, সরকার ৫ আগস্টের পরবর্তী সময়ে আহত ও শহীদদের পরিবারকে গুরুত্ব দিয়ে দেখার কথা ছিল। কিন্তু আমরা এখনো আহতদের ও শহীদ পরিবারের আর্তনাদ শুনি। যা অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয়। আমরা চাই এ সরকার সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেবে আহত ও শহীদদের প্রতি। আমরা দেখেছি জুলাই ফাউন্ডেশনের আহত ও শহীদদের পরিবার আমলাতান্ত্রিক জটিলতার শিকার হয়েছিল। আমরা বলতে চাই, ২৪ পরবর্তী বাংলাদেশের যেন কোনো আমলাতান্ত্রিক জটিলতা না থাকে।
ছাত্র-আন্দোলনের এ সমন্বয়ক বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে মাঝেমধ্যে দোহাই দিয়ে বলতে শুনি, সিন্ডিকেটের হাত পরিবর্তন হয়েছে, চাঁদাবাজির হাত পরিবর্তন হয়েছে, টেন্ডারবাজির হাত পরিবর্তন হয়েছে। আপনাদের আমরা দোহাই দেওয়ার জন্য এখানে আনি নাই। এক্সকিউজ দেওয়ার জন্য এখানে আনি নাই। আপনাদের এখানে এনেছি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য। যেই হাত চাঁদাবাজি করে, টেন্ডারবাজি করে সেই হাত ভেঙে দিতে হবে। এক্সকিউজ দেওয়ার সুযোগ আপনাদের নেই। আপনাদের যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। ৫ আগস্টের পূর্বে আমাদের যে অবস্থান ছিল আমাদের সে অবস্থান অব্যাহত থাকবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ফেলানীর পরিবারের দায়িত্ব নিলেন উপদেষ্টা আসিফ
বিএসএফের গুলিতে নিহত আলোচিত কুড়িগ্রামের কিশোরী ফেলানীর পরিবারের দেখাশোনার দায়িত্ব নিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা জানিয়েছেন।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, সীমান্তে হত্যা করে কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রাখা ফেলানীর পরিবারের দেখাশোনার দায়িত্ব নিয়েছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
স্ট্যাটাসে আসিফ মাহমুদ একটি ছবি শেয়ার করেন। যেখানে উপদেষ্টা আসিফের সঙ্গে ফেলানীর মা-বাবা ও ভাই উপস্থিত রয়েছেন।
উল্লেখ্য, কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ভোরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ফেলানীকে গুলি করে হত্যা করে। হত্যার পর দীর্ঘক্ষণ কাঁটাতারে ঝুলে রাখে ফেলানীর মরদেহ।
সীমান্তের কাঁটাতারে আটকে থাকা ফেলানীর ঝুলন্ত লাশের ছবি বিশ্বজুড়ে হৈচৈ ফেলে দেয়। ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বর্বরতা সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। ফেলানী হয়ে ওঠে প্রতিবাদের প্রতীক। বিশ্ব মিডিয়ায় ফেলানী খাতুনের মরদেহ কাঁটাতারে ঝুলে থাকার ঝুলন্ত ছবি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ায় ভারত হত্যাকারী বিএসএফ সদস্যদের বিচারের প্রতিশ্রুতি দেয়। বিচার প্রক্রিয়া শুরু হলেও ১৪ বছরেও এ হত্যার সুষ্ঠু বিচার পায়নি ফেলানীর পরিবার।
কাফি