জাতীয়
বঞ্চিত ৭৬৪ কর্মকর্তাকে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দিচ্ছে সরকার
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গত ১৫ বছরে জনপ্রশাসনে বঞ্চিত ৭৬৪ জন সাবেক কর্মকর্তাকে উচ্চতর পদে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতির আদেশ জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। তাদের মধ্যে ১১৯ জনকে সচিব, ৪১ জনকে গ্রেড-১ (সচিবের সমান বেতন গ্রেড)-এ, ৫২৮ জনকে অতিরিক্ত সচিব, ৭২ জনকে যুগ্ম সচিব এবং ৪ জনকে উপসচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বরাত দিয়ে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। রাষ্ট্রপতির অনুমোদন সাপেক্ষে প্রত্যেক কর্মকর্তার জন্য প্রযোজ্য তারিখ থেকে উচ্চতর পদে পদোন্নতির আদেশ জারি করা যেতে পারে বলে জানান তিনি।
ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি বাস্তবায়নে বকেয়া বেতন আনুতোষিক ও পেনশন বাবদ এককালীন আনুমানিক ৪২ কোটি টাকা এবং পরবর্তীকালে পেনশন বাবদ আনুমানিক বার্ষিক ১৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করার কথা বলা হয়েছে।
এর আগে গত ১০ ডিসেম্বর জনপ্রশাসনে পদোন্নতিবঞ্চিত অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের আবেদন পর্যালোচনা কমিটি তাদের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেয়। এরপর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গত ১৬ সেপ্টেম্বর সাবেক অর্থসচিব এবং বিশ্বব্যাংকে বাংলাদেশের সাবেক বিকল্প নির্বাহী পরিচালক জাকির আহমেদ খানকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে।
বিগত সরকারের আমলে ২০০৯ সাল থেকে গত ৪ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে সরকারি চাকরিতে নানাভাবে বঞ্চিত এবং এসময়ের মধ্যে অবসরে যাওয়া কর্মকর্তাদের আবেদন পর্যালোচনা করে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য এ কমিটি গঠন করা হয়েছিল।
কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে রিভিউ কমিটি ৭৬৪ জনকে পদোন্নতির সুপারিশ করে। উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের এ ব্যাপারে বিশদ আলোচনা শেষে তাদের ভূতাপেক্ষ পদোন্নতির আদেশ জারির সিদ্ধান্ত হয়।
এবিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে গণমাধ্যমকে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানিয়েছেন প্রেস সচিব।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সেপ্টেম্বরের আগেই তফসিল ঘোষণা হতে পারে: সিইসি
২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরের আগেই ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন দেওয়ার পর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। এ ছাড়া আগামী বছরের ডিসেম্বরে নির্বাচন ধরে কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
দেশের একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে এক সাক্ষাৎকারে সিইসি বলেন, বর্তমান সরকারের ওপর দেশবাসীর প্রত্যাশা অনেক বেশি। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশনের ওপরও প্রত্যাশা বেশি। নির্বাচন ক্ষতিগ্রস্ত হবে, ভণ্ডুল হবে এমন পরিস্থিতি আছে বলে আমি মনে করি না। মানুষ যখন দেখতে পাবে যে, নির্বাচন কমিশন একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ তখন তারাই আমাদের পক্ষে দাঁড়াবে।
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট আসার আগেই ভোটার তালিকা চূড়ান্তকরণ, সীমানা পুননির্ধারণে কাজ শুরু হয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে ভুয়া ভোটার, নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্তি ও সীমানা পুননির্ধারণ নিয়ে জটিলতা নিরসন করা কঠিন হবে বলে মানছেন সিইসি। একই সঙ্গে দল নিবন্ধনের জন্য যাচাই-বাছাইকেও চ্যালেঞ্জ মানছেন তিনি।
সিইসি বলেন, কারও বয়স ১৮ বছর হলো কিন্তু কোনো ফয়সালা করলাম না, ভুয়া ভোটারের কোনো তালিকা করলাম না, তাহলে ভোটার তালিকা তৈরি করা খুব সহজ। মৃত ভোটার তালিকা থেকে বাদ যাক এটি সবাই চাচ্ছে। তাই ভোটার তালিকা তৈরি করা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। তবে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ডিসি-এসপি নিরপেক্ষভাবে কাজ করবে, কেননা তাদের ওপর এখন চাপ নেই। আগে ওপর থেকে বিশাল একটা চাপ ছিল তাদের। তোমরা এমনভাবে নির্বাচন করবে যেন আমার দল জিতে। কিন্তু এখন তেমন পরিস্থিতি নেই। এখন তারা মুক্তভাবে কাজ করতে পারছে।
নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করতে সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হবে বলেও জানান সিইসি। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে ভোটের আগেই ব্যাপক রদবদল হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করতে যত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন তার সবই নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি দেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বিতর্কিত এই নির্বাচনের সাত মাসের মাথায় ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগস্টে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হলে ২১ নভেম্বর গঠিত হয় নির্বাচন কমিশন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনপ্রধানের পদত্যাগ দাবি
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন প্রধানের পদত্যাগ দাবি করেছেন প্রশাসন ক্যাডারের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা। একইসাথে উপসচিব পদে পদোন্নতিতে প্রশাসন ক্যাডার থেকে ৫০ শতাংশ এবং অন্য ২৫ ক্যাডার থেকে ৫০ শতাংশ রাখার যে প্রস্তাব করার কথা বলা হয়েছে তা বৈষম্যমূলক, অযৌক্তিক ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে মত দিয়েছেন তারা।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর ইস্কাটনে বিয়াম ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে এ দাবি জানান বিসিএস ৯ম ব্যাচের কর্মকর্তা জাকির হোসেন কালাম।
তিনি বলেন, শুধু সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যানকে পদত্যাগ করলেই হবে না, সব স্টেকহোল্ডারকে নিয়ে এ সংস্কার কমিশনকে পুনর্গঠন করতে হবে।
প্রসঙ্গত গত ১৭ ডিসেম্বর সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী জানান, উপসচিব পদে পদোন্নতিতে প্রশাসন ক্যাডারের ৫০ শতাংশ এবং অন্য সব ক্যাডার থেকে ৫০ শতাংশ কোটা রাখার সুপারিশ করবেন তারা।
বর্তমান বিধিমালা অনুযায়ী, উপসচিব পদে প্রশাসন ক্যাডারের ৭৫ শতাংশ এবং অন্য সব ক্যাডারের ২৫ শতাংশ কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেওয়া হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
উপসচিব পদোন্নতিতে আগের কোটা বহালের অনুরোধ
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের খসড়া সুপারিশে সরকারের উপসচিব পদে প্রশাসন ক্যাডারের বাইরে অন্যান্য ক্যাডারের ৫০ শতাংশ অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানিয়েছে আন্তঃমন্ত্রণালয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন। বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে অ্যাসোসিয়েশন এ অনুরোধ জানায়।
এতে বলা হয়, দেশের চরম ক্রান্তিলগ্নে ছাত্র-জনতার নির্মোহ আত্মত্যাগ, অন্তর্বর্তী সরকার ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনকে বিতর্কিত করে দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্যই আপিল বিভাগের একটি মীমাংসিত ইস্যুর বাইরে গিয়ে এ ধরনের মনগড়া ও কাল্পনিক সুপারিশ করা হয়। দীর্ঘ ১০ বছর মামলা চলমান থাকার পর আপিল বিভাগে বিষয়টি নিষ্পত্তি হওয়া সত্ত্বেও আপিল বিভাগের রায়কে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশে চরম অবজ্ঞা প্রদর্শন করা হয়েছে।
বিসিএস পরীক্ষায় মেধা ও ক্যাডার চয়েসের ভিত্তিতে বিষয়টি সমাধান করা বিষয় হওয়া সত্ত্বেও উপসচিব পদে প্রশাসন ক্যাডারের বাইরে অন্যান্য ক্যাডারের ৫০ শতাংশ অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি উদ্দেশ্যমূলক, প্রতিহিংসামূলক, অনভিপ্রেত ও অযৌক্তিক বিধায় তা দ্রুত সমাধা করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।
ব্রিটিশ আমল থেকে বাংলাদেশসহ ভারতের ইন্ডিয়ান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস, পাকিস্তানের পাকিস্তান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এবং শ্রীলঙ্কায় শ্রীলঙ্কাান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসের কর্মকর্তারা রাষ্ট্রের পলিসি প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশেও সহকারী কমিশনার, সহকারী কমিশনার (ভূমি), উপজেলা নির্বাহী অফিসার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, জেলা প্রশাসক পদে দীর্ঘ কর্মজীবনের লব্ধ অভিজ্ঞতা প্রশাসন ক্যাডার ছাড়া বাইরের অন্যান্য ক্যাডারের নেই। এছাড়া প্রত্যেক ক্যাডারের পঞ্চম গ্রেডে নিজস্ব পদ আছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।
এতে আরও বলা হয়, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশে উপসচিব পদে প্রশাসন ক্যাডারের বাইরে অন্যান্য ক্যাডারের ৫০ শতাংশ অন্তর্ভুক্তি করা হলে রাষ্ট্রের প্রশাসন কাঠামোতে অস্থিরতা বাড়বে। আন্তঃক্যাডারের মধ্যে পরস্পর বিপরীতমুখী আত্মঘাতী কর্মকাণ্ড বাড়বে। রাষ্ট্রের গতিশীলতা শ্লথ হয়ে যাবে। এর ফলে জুলাই বিপ্লব পরবর্তী সময়ে একটি দক্ষ, জবাবদিহিতামূলক, জনমুখী জনপ্রশাসন গড়ে তোলার জন্য হাজারো ছাত্র-জনতার রক্ত বিনিময়ে গড়া ওঠা স্বপ্ন মুহূর্তেই ধূলিসাৎ হয়ে যাবে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সরকারের উপসচিব পদে প্রশাসন ক্যাডারের বাইরে অন্যান্য ক্যাডারের ২৫ শতাংশ আগের মতো বহাল রাখাসহ ক্যাডারগুলোর মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে আন্তঃমন্ত্রণালয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
আজ রাত পর্যন্ত আতশবাজি-ফানুস ওড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা
খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের বৃহত্তম ধর্মীয় অনুষ্ঠান বড়দিনে সব ধরনের আতশবাজি, পটকা ফোটানো ও ফানুস ওড়ানো নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৫ ডিসেম্বর (বুধবার) খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের বৃহত্তম ধর্মীয় অনুষ্ঠান বড়দিন উৎসবমুখর পরিবেশে উদ্যাপনের লক্ষ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশ অর্ডিন্যান্স (অর্ডিন্যান্স নং-৩/৭৬)-এর ২৮ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে ২৪ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) রাত ১২টা থেকে ২৫ ডিসেম্বর (বুধবার) রাত ১২টা পর্যন্ত ঢাকা মহানগর এলাকায় সব ধরনের আতশবাজি, পটকা ফোটানো ও ফানুস ওড়ানো নিষিদ্ধ করা হলো। পবিত্র বড়দিনের অনুষ্ঠান সুষ্ঠু ও নিরাপদ করতে নগরবাসীর সহযোগিতা চেয়েছেন ডিএমপি কমিশনার।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন মজবুত করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
একটি বৈষম্যহীন, দুর্নীতিমুক্ত এবং ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধনকে আরও মজবুত করার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
আজ বুধবার বঙ্গভবনে খ্রিস্ট সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিনে রাষ্ট্রপতির দেয়া এক সংবর্ধনা ও শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে খ্রিস্টান নেতৃবৃন্দ এবং দেশবাসীর উদ্দেশে দেয়া শুভেচ্ছা ভাষণে এ কথা বলেন তিনি।
সকল ধর্মের মূল কথাই হচ্ছে মানুষের সেবা ও কল্যাণ উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলকেই দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এদেশে সকল ধর্মের মানুষ নিজ নিজ ধর্ম ও আচার-অনুষ্ঠানাদি স্বাধীনভাবে ও আনন্দঘন পরিবেশে আবহমানকাল থেকেই পালন করে আসছে।’
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন দেশের খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীসহ বিশ্ববাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন জানান।
তিনি বলেন, যিশুখ্রিষ্ট ছিলেন সত্যান্বেষী এবং আলোর দিশারী। তিনি পথভ্রষ্ট মানুষকে সত্য ও ন্যায়ের পথে আহ্বান করেছেন।
রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, যিশুখ্রিষ্ট সর্বদা মানুষকে ভালোবাসা, সেবা, ক্ষমা, ন্যায় প্রতিষ্ঠাসহ শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের শিক্ষা দিয়েছেন। যিশুখ্রিষ্টের শিক্ষা সবার জীবনে প্রতিফলিত হলে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, ‘মন্দের বিনিময়ে কারো মন্দ না করে সকল মানুষের দৃষ্টিতে যা উত্তম, ভেবে-চিন্তে তাই করার জন্য ভক্তদের পরামর্শ দিতেন।’
বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সম্প্রীতি ও ঐক্য স্থাপনসহ যুদ্ধ-বিগ্রহপূর্ণ বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় যিশুখ্রিস্টের শিক্ষা ও আদর্শ ফলপ্রসূ অবদান রাখতে পারে বলে তিনি মনে করেন।
তিনি আশা করেন, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের প্রচেষ্টায় গড়ে উঠবে একটি আধুনিক ও উন্নত বাংলাদেশ, বিশ্ব এগিয়ে যাক শান্তি, কল্যাণ আর আলোর পথে। রাষ্ট্রপতি যিশুখ্রিস্টের জন্মদিন উপলক্ষে শুভ বড়দিনের একটি কেক কাটেন।
তিনি খ্রিস্ট ধর্মীয় নেতাদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এ সময় তিনি ফটোসেশনে অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির সহধর্মিনী ড. রেবেকা সুলতানা, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন, আর্চবিশপ বিজয় এন ডি’ক্রুজ, ভ্যাটিকান সিটির রাষ্ট্রদূত কেভিন এস রান্ডেল, বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্মল রোজারিও, ফাদার আলবার্ট রোজারিও এবং রেভারেস্ট মার্থা দাস, সংশ্লিষ্ট সচিবগণ, বিভিন্ন কূটনৈতিক মিশনের প্রতিনিধিবৃন্দ, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং ধর্মীয় নেতারা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
কাফি