অর্থনীতি
এস আলম গ্রুপের ৬ কারখানা বন্ধ ঘোষণা
বিতর্কিত ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের চট্টগ্রামের ছয়টি কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে কারখানায় বন্ধের নোটিশ টাঙানো হয়। এটি দেখে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ করেন শ্রমিকেরা। তবে পরিস্থিতির উন্নতি হলে আবারও কারখানা চালু হওয়ার কথা বলে তাঁদের সান্ত্বনা দেন কর্মকর্তারা।
এস আলম গ্রুপের মানবসম্পদ ও প্রশাসনের প্রধান মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিনের সই করা নোটিশে বলা হয়, কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে অনিবার্য কারণবশত আগামীকাল বুধবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কারখানাগুলো বন্ধ থাকবে। তবে কারখানার নিরাপত্তা, সরবরাহ ও জরুরি বিভাগ খোলা থাকবে।
বন্ধ ঘোষণা করা এ ছয়টি কারখানা হলো এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ, এস আলম পাওয়ার প্ল্যান্ট লিমিটেড, এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলস লিমিটেড, এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলস লিমিটেড–নফ, এস আলম পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড ও ইনফিনিটি সি আর স্ট্রিপস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।
এর মধ্যে দুটি চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার কালারপুল, তিনটি ইছানগর ও একটি বাঁশখালীতে অবস্থিত।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ভারত থেকে চালের প্রথম চালান আসছে বৃহস্পতিবার
উন্মুক্ত দরপত্রের চুক্তির আওতায় ভারত থেকে আমদানি করতে যাওয়া ২৪ হাজার ৬৯০ টন সেদ্ধ চাল বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দেশে আসবে। আজ বুধবার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে জানানো হয়, চালবোঝাই জাহাজটি বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৫টায় চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছাবে। এটিই বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে ভারত থেকে আমদানি করা চালের প্রথম চালান। গত ১১ নভেম্বর তারিখের ৩৮১ নম্বর চুক্তির আওতায় ভারত থেকে আমদানি হতে যাওয়া সেদ্ধ চালের এটিই প্রথম চালান।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, জাহাজে রক্ষিত চালের নমুনা সংগ্রহ করে ভৌত পরীক্ষা শেষে দ্রুত চাল খালাসের কাজ শুরু হবে। এজন্য ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বড়দিন উপলক্ষে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে দুদেশের মধ্যে পাসপোর্টযাত্রী পারাপার স্বাভাবিক আছে।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে এই কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল থেকে পুনরায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাহিলি সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুর রেজা।
তিনি বলেন, ভারতীয় পণ্য খালাস ট্রাক নিজ দেশে ফেরত যেতে পারবে। এ বিষয়ে ভারতের সিএন্ডএফ এজেন্টদের মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পুনরায় আমদানি-রপ্তানি চালু হবে।
হিলি ইমিগ্রেশসনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম বলেন, বড়দিন উপলক্ষে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের চলাচল স্বাভাবিক আছে। আমরা সকল প্রকার পাসপোর্ট যাচাইপূর্বক দুই দেশে ভ্রমণের সুযোগ করে দিচ্ছি।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
রেমিট্যান্সে ডলারের দাম সর্বোচ্চ ১২৩ টাকা নির্ধারণ
ঊর্ধ্বমুখী দাম নিয়ন্ত্রণে ডলারের সর্বোচ্চ দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে রেমিট্যান্সের ডলার কোনোভাবেই ১২৩ টাকার বেশি কেনা যাবে না বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
তবে রেমিট্যান্সের ডলারের এই মূল্য নির্ধারিত দামের চেয়ে তিন টাকা বেশি। কারণ ডলারের আনুষ্ঠানিক দর ঘোষণা দেওয়া আছে ১২০ টাকা।
মঙ্গলবার এক বৈঠকের পর বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে মৌখিকভাবে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এর আগে গত রোববার অতিরিক্ত চাহিদা পূরণের জন্য ব্যাংকগুলো ১২০ টাকা ঘোষিত দরের চেয়ে ৮ থেকে ৯ টাকা বেশি দরে রেমিট্যান্স কিনেছে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে খোলাবাজারেও। এর সুযোগ নিয়েছে কিছু অসাধু চক্র।
জানা গেছে, রোববার ব্যাংকগুলো ডলার সংকটে রেমিট্যান্স কিনেছে সর্বোচ্চ ১২৮ টাকায়। যেখানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঘোষিত দর ১২০ টাকা। আর কার্ব মার্কেটে বা খোলাবাজারে মার্কিন ডলারের দাম বেড়ে ১২৯ টাকায় পৌঁছায়। এক সপ্তাহ আগেও ছিল যা ছিল ১২৩ থেকে ১২৪ টাকা।
বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউস থেকে হঠাৎ বেশি দামে ডলার কেনায় ১৩টি ব্যাংক চিহ্নিত করে সম্প্রতি তাদের কাছে ব্যাখ্যা তলব করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এই তালিকায় রাষ্ট্রীয় মালিকানার দুটি এবং বেসরকারি খাতের ১১টি ব্যাংক ছিল। এরপর কিছুটা কমে আসে ডলারের দাম। গত দুইদিনে কমে মঙ্গলবার রেমিট্যান্সের ডলার ১২৩ টাকা ৭০ পয়সায় নেমে আসে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বলা হয়েছে রেমিট্যান্সের ডলার কোনোভাবেই ১২৩ টাকার বেশি কেনা যাবে না।
ব্যাংকের কয়েকজন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ব্যাংকগুলোকে চলতি মাসের মধ্যে পুরোনো আমদানি দায় পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেজন্য ব্যাংকগুলোকে বাধ্য হয়ে বেশি দামে ডলার কিনতে হয়েছিল। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক পদক্ষেপ নেওয়ায় দাম কমে এসেছে। আগামীকাল থেকে ১২৩ টাকার বেশি কেনা যাবে না।
এদিকে ডলারের দাম বাড়ায় বেশি বেশি রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা। চলতি ডিসেম্বর মাসের প্রথম ২১ দিনে দেশে বৈধপথে ২০০ কোটি ৭৩ লাখ মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ২৪ হাজার কোটি টাকার বেশি (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে)। সে হিসেবে দৈনিক গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ৯ কোটি ৫৫ লাখ ডলার বা এক হাজার ১৪৫ কোটি টাকা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় বাড়লো আরও এক মাস
ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের ২০২৪-২৫ করবর্ষেরর আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় আরও এক মাস বাড়িয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত এই রিটার্ন জমা দেওয়া যাবে, এতদিন যা ছিল ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এছাড়া কোম্পানি শ্রেণির করদাতাগণ ২০২৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রিটার্ন জমা দিতে পারবেন।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ ব্যাপারে পৃথক দুটি আদেশ জারি করা হয়েছে।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আয়কর আইন, ২০২৩ অনুযায়ী ২০২৪-২০২৫ করবর্ষের জন্য কোম্পানি ছাড়া সব শ্রেণির করদাতার আয়কর রিটার্ন দাখিলের শেষ দিন ছিল আগামী ৩১ ডিসেম্বর। আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় বৃদ্ধির ফলে অনলাইন ও অফলাইন উভয় প্রকার রিটার্ন দাখিলের ক্ষেত্রে কোম্পানি ছাড়া সব করদাতার জন্য জরিমানা ছাড়া আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এক অর্থবছরে সাড়ে ১০ হাজার কোটি আয়ের রেকর্ড বিমানের
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স গত ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে রেকর্ড পরিমাণ আয় করেছে। যার পরিমাণ ১০ হাজার ৫৭৫ কোটি টাকা যা পূর্ববর্তী অর্থবছরের তুলনাই ৯ দশমিক ৫০ শতাংশ বেশি। একই সঙ্গে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে বিমান ১ হাজার ৫৫৬ কোটি টাকা অপারেশনাল মুনাফা অর্জন করেছে। তবে এক্সচেঞ্জ লস ও ট্যাক্স পরবর্তী ২৮২ কোটি টাকা নিট মুনাফা অর্জিত হয়েছে। ডলারের মূল্যবৃদ্ধি নিট মুনাফার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
এনিয়ে করোনার পর টানা চতুর্থ বারের মতো লাভের ধারা অব্যাহত রেখেছে বিমান। সব শেষ ১০ অর্থবছরে ৮ বারই নিট মুনাফা অর্জন করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বার্ষিক সাধারণ সভায় গত অর্থবছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব প্রকাশ করা হয়। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বিমানের এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন বিমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী। সভায় উপস্থিত ছিলেন বিমান পরিচালনা পর্ষদের সদস্যসহ শেয়ার হোল্ডারদের মধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ২১টি উড়োজাহাজের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি ৩০টি গন্তব্যে সর্বমোট ৩৩ লাখ ৬৩ হাজার ৬৮৫ জন যাত্রী পরিবহন করেছে যা পূর্ববর্তী অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ১ লাখ বেশি। এ ছাড়া ৪৩ হাজার ৪৪ মেট্রিক টন কার্গো পরিবহন করে ৬৩৭ কোটি টাকা আয় করেছে যা পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় ৬০ শতাংশ বেশি।
২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে বিমান হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৩ লাখ ৫০ হাজার ২২২ মেট্রিক টন কার্গো হ্যান্ডেল করে যা পূর্ববর্তী অর্থবছরের তুলনায় ৩৩ দশমিক ১ শতাংশ বেশি। বিমান বিদেশি ৩২টি যাত্রীবাহী এয়ারলাইন্স ও ১৭টি কার্গো এয়ারলাইন্সকে গ্রাউন্ডহ্যান্ডলিং পরিষেবা প্রদান করেছে।
এছাড়া বিভিন্ন নন-শিডিউল ফ্লাইটেও গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং পরিষেবা দিয়েছে। ২০২৩-২০২৪অর্থবছরে বিমান বিদেশি এয়ারলাইন্সের ৩৩ হাজার ২৯৭টি ফ্লাইটের ৬৬ লাখ ৩২ হাজার ৭৬০ জন যাত্রীকে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবা প্রদান করেছে।