জাতীয়
চাঁদপুরে জাহাজে ৭ খুনের ঘটনা তদন্তে কমিটি
চাঁদপুরের হরিণা ফেরিঘাটের কাছে সারবোঝাই এমভি আল বাকেরা জাহাজে ক্রু সদস্যদের গলা কেটে নির্মমভাবে হত্যা ও আহতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) শিল্প মন্ত্রণালয়ের পাঠানের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য জানানো হয়েছে। চার সদস্যের তদন্ত কমিটিতে মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবকে আহ্বায়ক এবং যুগ্ম সচিবকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
কমিটিকে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের কারণ, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও দায়দায়িত্ব নিরূপণ, অনুরূপ নৌ দুর্ঘটনা রোধে ভবিষ্যতে করণীয় নির্ধারণ করে সুস্পষ্ট সুপারিশসহ একটি প্রতিবেদন আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে দাখিলের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জাহাজে একদল জলদস্যু/ডাকাতের হামলায় ক্রু সদস্যদের গলা কেটে নির্মমভাবে হত্যাকাণ্ড ও আহতের ঘটনায় শিল্প মন্ত্রণালয় গভীর শোক প্রকাশ এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছে। একই সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।
গতকাল রোববার দিনগত রাতে কোনো একসময়ের এই হামলায় সাতজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তারা হলেন- জাহাজের মাস্টার কিবরিয়া, ড্রাইভার সালাউদ্দিন, সুকানি আমিনুল মুন্সি, গ্রিজার সজিবুল ইসলাম, লস্কর আজিজুল মুন্সি ও মাজেদুল ইসলাম। অন্য একজনের নাম-পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বড়দিনে আড়াই কোটি টাকা অনুদান সরকারের
বড়দিন উপলক্ষ্যে খ্রিষ্টান ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ২ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা অনুদান দিয়েছে সরকার। খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রধান এই ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল হতে এই টাকা প্রদান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) ধর্ম মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এ বছর দেশের ৭৪৬টি খ্রিষ্টান ধর্মীয় উপাসনালয় কিংবা প্রতিষ্ঠানকে দুই কোটি টাকা বিতরণ করা হচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানকে সাতটি ভাগে ভাগ করে অনুদানের পরিমাণ নির্ধারণ করা হবে। অনুদানপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে চার্চ, গির্জা ও তীর্থস্থান। খ্রিষ্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে এ অনুদান বিতরণ করা হবে।
উল্লেখ্য, ‘ক’ ক্যাটাগরি ০৫ টি চার্চ বা গির্জাকে ৮০ হাজার টাকা, ‘খ’ ক্যাটাগরির ৫৬ টি চার্চকে ৫০ হাজার টাকা, ‘গ’ ক্যাটাগরির ৮০ টি গির্জা বা চার্চকে ৩৫ হাজার টাকা ‘ঘ’ ১৩৫ টিকে ৩০ হাজার টাকা, ‘ঙ’ ক্যাটাগরির ১৫২টি চার্চকে ২৫ হাজার টাকা, ‘চ’ ক্যাটাগরির ২১৩টি চার্চকে ২০ হাজার এবং ‘ছ’ ক্যাটাগরির ১০৫ টি চার্চকে ১৮ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অবশিষ্ট ৫০ লক্ষ টাকা পরে বিতরণ করা হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ভূমধ্যসাগরে আট মরদেহসহ ৩২ বাংলাদেশি অভিবাসী উদ্ধার
ভূমধ্যসাগর থেকে বাংলাদেশি অভিবাসীসহ ৮২ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে লিবিয়ার নৌবাহিনী। এছাড়াও কমপক্ষে ১৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ৮ জন বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছেন। এই ৮ জনসহ উদ্ধার হওয়া মোট বাংলাদেশির সংখ্যা ৩২ জন।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি বিভাগের মহাপরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম এ তথ্য জানান।
মুখপাত্র জানান, ১২১ জন অভিবাসী নিয়ে একটি নৌকা গত ১৮ ডিসেম্বর লিবিয়ার উপকূলে ভূমধ্যসাগরে ডুবে যায়। লিবিয়ার নৌবাহিনী ঘটনাস্থল থেকে ৮২ জনকে জীবিত এবং কমপক্ষে ১৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করে।
তিনি জানান, ঘটনার পর লিবিয়ার ত্রিপোলিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা দ্রুত যোগাযোগ করেন এবং স্থানীয় রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির একজন স্বেচ্ছাসেবক নিশ্চিত করেন, উদ্ধার ব্যক্তিদের মধ্যে ৮ জন নিহতসহ মোট ৩২ জন বাংলাদেশি অভিবাসী রয়েছেন। তবে অন্য অভিবাসীরা এখনো নিখোঁজ।
মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, জীবিতদের বর্তমানে ত্রিপোলি থেকে ৮০ কিলোমিটার পশ্চিমে জাওয়াইয়া সিটিতে এবং মরদেহগুলো পাবলিক প্রসিকিউশনের তত্ত্বাবধানে জাওয়াইয়া হাসপাতালে রাখা হয়েছে। নিখোঁজদের মধ্যে আরও বাংলাদেশি নাগরিক থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এ নৌকাডুবির ঘটনায় নিহত বাংলাদেশিদের পরিচয় নিশ্চিত করতে ত্রিপোলিতে বাংলাদেশ দূতাবাস কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
মুখপাত্র বলেন, দূতাবাসের কর্মকর্তারা লিবিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে জীবিত ব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করছেন। তাদের সঙ্গে কথা বলার পর এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে।
ত্রিপোলির দূতাবাসের সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে বলেও জানান তিনি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ধর্মের শান্তির বাণী মনে স্থাপন করতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমরা মানুষ একই। আমাদের মানুষ পরিচয় আগে, তারপর ধর্ম। প্রত্যেক ধর্মে শান্তির বাণী আছে, সেই শান্তির বাণী নিজের মধ্যে স্থাপন করতে হবে। তাহলেই বিভেদ দূর হবে।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা তার বাসভবন যমুনায় খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বড়দিন উপলক্ষে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এসব কথা বলেন।
বড়দিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, আজকের দিনে আপনাদের সঙ্গে দেখা হলো, এতে আমি খুব খুশি হয়েছি। আমরা ধর্মীয় সংহতি চাই। সংখ্যালঘু, সংখ্যাগরিষ্ঠ- এই শব্দগুলো আমরা চাই না। এ দেশে আমরা সবাই এক পরিবার, সবাই মিলে একত্রে থাকবো- এটা আমাদের স্বপ্ন। এ স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য সবার এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা মানুষ একই। আমাদের মানুষ পরিচয় আগে, তারপর ধর্ম। প্রত্যেক ধর্মে শান্তির বাণী আছে। সেই শান্তির বাণী নিজের মধ্যে স্থাপন করতে হবে। তাহলেই বিভেদ দূর হবে। নিজ নিজ ধর্মের শান্তির বাণী নিজের মনের মধ্যে স্থাপন করা গেলে অন্য ধর্মের মধ্যেও তা খুঁজে পাবেন। তখন আর অন্য ধর্মের সঙ্গে বিভেদ হবে না। আমাদের ছেলে-মেয়েরা সুন্দর শৈশব পাবে।
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেনের সঞ্চালনায় এ সময় খ্রিষ্টান ধর্মের নেতাদের মধ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের প্রধান ধর্মগুরু আর্চবিশপ বিজয় এন ডি’ক্রুজ, দ্য ন্যাশনাল ক্রিশ্চিয়ান ফেলোশিপ অব বাংলাদেশের সভাপতি বিশপ ফিলীপ পি অধিকারী, বাংলাদেশ ক্রিশ্চিয়ান অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও, মহাসচিব ইগ্লাসিওস হেমন্ত কোড়াইয়া এবং বাংলাদেশ খ্রিষ্টান মহাজোটের প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল নির্মল ডি’কস্তা।
বক্তব্যে তারা প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে বাংলাদেশে উদারতা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি গড়ে উঠবে বলে আশা প্রকাশ করেন এবং খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
সংক্ষেপে যিশু খ্রিষ্টের জীবনী, আদর্শ ও শান্তির বাণী উল্লেখ করে আর্চবিশপ বিজয় এন ডি’ক্রুজ বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে বাংলাদেশে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। প্রফেসর ইউনূস দেশ পরিচালনার কঠিন দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছেন। আপনি জ্ঞানী, সৎ এবং বাংলাদেশে সবার আস্থাভাজন ব্যক্তি। আপনার নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ হয়ে উঠুক, মানুষের মধ্যে ভালোবাসা, মমত্ববোধ, মানবপ্রেম, ভ্রাতৃত্ববোধ ও ক্ষমাশীলতা গড়ে উঠুক, বড়দিনে এটাই আমাদের প্রার্থনা। বাংলাদেশ আপনাদের নেতৃত্বে এগিয়ে যাবে। খ্রিষ্টান সম্প্রদায় আপনার পাশে আছে।
বড়দিন উপলক্ষে খ্রিষ্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে আড়াই কোটি টাকা অনুদান দেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান তারা। দেশব্যাপী চার্চগুলোতে এ অনুদান বণ্টন হয়েছে বলে জানান তারা।
এসময় বড়দিন উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টাকে একটি বাইবেল উপহার দেন তারা।
শুভেচ্ছা বিনিময় আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
প্রথমবার মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করছে বাংলাদেশ-জাপান
সব কিছু ঠিক থাকলে প্রথম দেশ হিসেবে জাপানের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (ইপিএ) করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। চুক্তির স্বার্থে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে চতুর্থ দফায় ঢাকায় বৈঠকে বসবে বাংলাদেশ-জাপান।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম।
মুখপাত্র জানান, গত ১৮-২০ ডিসেম্বর জাপানে বাংলাদেশ-জাপানের মধ্যকার মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (ইপিএ) সম্পাদনের নিমিত্ত তৃতীয় দফা আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। জাপানের সঙ্গে চলমান এই আলোচনায় বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নেতৃত্ব দিচ্ছে। এ বছর ইতোমধ্যেই আরও দুই দফা আলোচনা হয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় দফা আলোচনা ঢাকায় ১৯-২৩ মে ২০২৪ এবং ১০-১৪ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রফিকুল আলম বলেন, সফলভাবে আলোচনা সম্পন্ন হলে এটি হবে যেকোনো দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রথম মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি। আলোচনার চতুর্থ দফা আগামী ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় এবং ৫ম দফা টোকিওতে এপ্রিলে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। মোট ২১টি অধ্যায়ের ওপর আলোচনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এগুলোর মধ্যে রয়েছে— ট্রেড ইন গুডস, ট্রেড ইন সার্ভিসেস, রুলস অফ অরিজিন, কাস্টমস প্রসিডিউর ও ট্রেড ফেসিলিটেশন, স্যানিটারি ও ফাইটো স্যানিটারি মেজারস, সরকারি ক্রয়, প্রতিযোগিতার নীতি, ই-কমার্স, বিনিয়োগ, ইনটেলেকচুয়াল প্রপার্টি ব্যবসা পরিবেশের উন্নতি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বঞ্চিত ৭৬৪ কর্মকর্তাকে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দিচ্ছে সরকার
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গত ১৫ বছরে জনপ্রশাসনে বঞ্চিত ৭৬৪ জন সাবেক কর্মকর্তাকে উচ্চতর পদে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতির আদেশ জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। তাদের মধ্যে ১১৯ জনকে সচিব, ৪১ জনকে গ্রেড-১ (সচিবের সমান বেতন গ্রেড)-এ, ৫২৮ জনকে অতিরিক্ত সচিব, ৭২ জনকে যুগ্ম সচিব এবং ৪ জনকে উপসচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বরাত দিয়ে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। রাষ্ট্রপতির অনুমোদন সাপেক্ষে প্রত্যেক কর্মকর্তার জন্য প্রযোজ্য তারিখ থেকে উচ্চতর পদে পদোন্নতির আদেশ জারি করা যেতে পারে বলে জানান তিনি।
ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি বাস্তবায়নে বকেয়া বেতন আনুতোষিক ও পেনশন বাবদ এককালীন আনুমানিক ৪২ কোটি টাকা এবং পরবর্তীকালে পেনশন বাবদ আনুমানিক বার্ষিক ১৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করার কথা বলা হয়েছে।
এর আগে গত ১০ ডিসেম্বর জনপ্রশাসনে পদোন্নতিবঞ্চিত অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের আবেদন পর্যালোচনা কমিটি তাদের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেয়। এরপর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গত ১৬ সেপ্টেম্বর সাবেক অর্থসচিব এবং বিশ্বব্যাংকে বাংলাদেশের সাবেক বিকল্প নির্বাহী পরিচালক জাকির আহমেদ খানকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে।
বিগত সরকারের আমলে ২০০৯ সাল থেকে গত ৪ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে সরকারি চাকরিতে নানাভাবে বঞ্চিত এবং এসময়ের মধ্যে অবসরে যাওয়া কর্মকর্তাদের আবেদন পর্যালোচনা করে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য এ কমিটি গঠন করা হয়েছিল।
কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে রিভিউ কমিটি ৭৬৪ জনকে পদোন্নতির সুপারিশ করে। উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের এ ব্যাপারে বিশদ আলোচনা শেষে তাদের ভূতাপেক্ষ পদোন্নতির আদেশ জারির সিদ্ধান্ত হয়।
এবিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে গণমাধ্যমকে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানিয়েছেন প্রেস সচিব।