অর্থনীতি
ডলারের বাজারে ফের অস্থিরতা, দাম বেড়ে ১২৯ টাকা
হঠাৎ করেই অস্থিরতা দেখা দিয়েছে ডলারের বাজারে। প্রতি ডলারের দাম বেড়ে ১২৮ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। রমজান মাসকে কেন্দ্র করে বাড়ছে পণ্য আমদানি। অন্যদিকে আগের বকেয়া এলসি বিল পরিশোধ বেড়েছে। একইসঙ্গে বিদেশে ভ্রমণও বেড়ে গেছে। এতে সৃষ্টি হয়েছে ডলারের চাহিদা সেই হারে যোগান তুলনামূলক কম।
এ কারণেই অতিরিক্ত চাহিদা পূরণের জন্য ব্যাংকগুলো ১২০ টাকা ঘোষিত দরের চেয়ে কমপক্ষে আট টাকা বেশি দিয়ে রেমিট্যান্স কিনছে। ডলারের এই সার্বিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে দৃশ্যমান এক নেতিবাচক প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে খোলাবাজারেও।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) বিভিন্ন ব্যাংক ও রাজধানীর মতিঝিল দিলকুশা এলাকায় মানি চেঞ্জার হাউজগুলোতে এমন তথ্য পাওয়া যায়।
ব্যাংকাররাও বলছেন, আমদানির দায় পরিশোধে হঠাৎ চাপ বেড়েছে। তাই বাড়ছে ডলারের দাম। এমন অবস্থায় আবারও মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির শঙ্কা অর্থনীতিবিদদের।
জানা গেছে, ব্যাংকগুলো ডলার সংকটে রেমিট্যান্স কিনেছে সর্বোচ্চ ১২৮ টাকায়। যেখানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঘোষিত দর ১২০ টাকা। আর কার্ব মার্কেটে বা খোলাবাজারে মার্কিন ডলারের দাম বেড়ে ১২৯ টাকায় পৌঁছেছে। এক সপ্তাহ আগেও যা ছিল ১২৩ থেকে ১২৪ টাকা।
হঠাৎ করে ডলারের চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কিছু অসাধু চক্র এর সুযোগ নিয়ে ডলারের বাজারে অস্থিরতা তৈরি করছে। এমন অবস্থায় সন্দেহভাজন অন্তত ১৩টি ব্যাংকের কাছে ডলার বেচা-কেনার তথ্য তলব করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
একই সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল করতে মনিটরিং কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, বর্তমানে ব্যাংকগুলোর ডলারের সর্বোচ্চ বেঁধে দেয়া রেট হলো ১২০ টাকা। যা গত জুনে ছিল ১১৮ টাকা এবং ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ছিল ১১০ টাকা। সেই হিসাবে ১ বছরে ডলারের ঘোষিত দর বেড়েছে ১০ টাকা। আর বাজারের বাস্তবতার সঙ্গে তুলনা করলে বেড়েছে ১৮ টাকা।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
পাঁচ দিনের আবাসন মেলা শুরু
ঢাকায় শুরু হলো পাঁচ দিনব্যাপী আবাসন মেলা। আগারগাঁওয়ের আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে রিহ্যাব আয়োজিত এ মেলা চলবে আগামী ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) আগারগাঁওয়ের আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) ড. সিদ্দিকুর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিহ্যাব সভাপতি মো. ওয়াহিদুজ্জামানসহ আয়োজক সংগঠনের সদস্যরা।
আয়োজকরা জানান, এবারের মেলায় বিভিন্ন আবাসন কোম্পানির পাশাপাশি বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালস ও অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানও অংশ নিয়েছে। রিহ্যাব ফেয়ার ২০২৪-এ ২২০টি স্টল রয়েছে। এই ফেয়ারে ৫টি গোল্ড স্পন্সর, ১৮টি কো-স্পন্সর, ১৮টি বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালস ও ১০ অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানকে অংশগ্রহণ করার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ক্রেতা-দর্শনার্থীরা মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন। মেলায় প্রবেশে সিঙ্গেল এন্ট্রি টিকিটের প্রবেশ মূল্য ৫০ টাকা। আর মাল্টিপল এন্ট্রি টিকিটের মূল্য ধরা হয়েছে ১০০ টাকা। মাল্টিপল এন্ট্রি টিকিট দিয়ে একজন দর্শনার্থী মেলার সময় ৫ বার প্রবেশ করতে পারবেন। এন্ট্রি টিকিটের সম্পূর্ণ অর্থ দুস্থদের জন্য কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটির কাজে ব্যয় করা হবে। টিকিটের রাফেল ড্রতেও থাকবে আকর্ষণীয় পুরস্কার।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল
প্রবাসীরা বেশি বেশি রেমিট্যান্স পাঠানোর কারণে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি অনুযায়ী দেশের রিজার্ভ এখন দুই হাজার কোটি ৪২ লাখ ৮০ হাজার ডলার।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হোসনে আরা শিখা এ তথ্য জানিয়েছেন।
একই সময়ে বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ মোট রিজার্ভের পরিমাণ দুই হাজার ৪৯৯ কোটি ৩৪ লাখ ৬০ হাজার ডলার।
গত ১১ নভেম্বর এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) মাধ্যমে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে আমদানি পণ্যের বিল বাবদ ১৫০ কোটি ডলার পরিশোধ করে বাংলাদেশ। ফলে আইএমএফের হিসাবে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে দাঁড়ায় ১৮ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে। দেড় মাসে বৈদেশিক মুদ্রার এই সঞ্চয় বাড়তে বাড়তে আবারও ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল।
রিজার্ভের তিনটি হিসাব সংরক্ষণ করে থাকে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রথমটি হলো বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ মোট রিজার্ভ। দ্বিতীয়টি হলো আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি। এতে বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত তহবিল বা ঋণের অর্থ বাদ রাখা হয়।
তৃতীয়টি হলো ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ, বর্তমানে যা ১৫ বিলিয়ন ডলারের কিছুটা নিচে। দেশে ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেই মানদণ্ডে বাংলাদেশের রিজার্ভ এখন প্রায় চার মাসের আমদানি মূল্য মেটানোর অবস্থায় রয়েছে।
করোনা পরবর্তী সময়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ৪৮ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে শেষ নাগাদ নিট রিজার্ভ নামে ২৪ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলারে। এ সময় বৈশ্বিক উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির কারণে আমদানি ব্যয় বাড়তে থাকে। অন্যদিকে বৈদেশিক মুদ্রার আহরণের ক্ষেত্রটা সংকুচিত হতে থাকে।
এ অবস্থায় জ্বালানি ও জরুরি খাদ্যপণ্য আমদানিতে ডলারের চাহিদা বাড়তে থাকে। উল্টোদিকে ডলার বিক্রি করার কারণে কমে যায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। এরপর বৈদেশিক ঋণ ও বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছ থেকে ডলার কেনার মাধ্যমে আবার রিজার্ভ বাড়ানো হয়।
বর্তমান সরকারের সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন উৎস থেকে ডলার যোগ হচ্ছে প্রতিদিনই। এর ধারাবাহিকতায় ক্রমেই বাড়ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বিশ্বব্যাংক থেকে ১০ হাজার ৮০০ কোটি টাকা ঋণ পেলো বাংলাদেশ
বাংলাদেশকে পৃথক দুটি প্রকল্পে ৯০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। প্রতি ডলার ১২০ টাকা হিসাবে বাংলাদেশি মুদ্রায় এ ঋণের পরিমাণ ১০ হাজার ৮০০ কোটি টাকা।
দুটি প্রকল্পের মধ্যে রেজিলিয়েন্ট আরবান অ্যান্ড টেরিটরিয়াল ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট বা স্থিতিস্থাপক নগর ও আঞ্চলিক উন্নয়ন প্রকল্পে ৪০ কোটি ডলার এবং সেকেন্ড বাংলাদেশ গ্রিন অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট প্রোগ্রাম বা দ্বিতীয় বাংলাদেশ পরিবেশবান্ধব ও জলবায়ু-সহিষ্ণু শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় ৫০ কোটি ডলার ঋণ পাচ্ছে বাংলাদেশ।
দুটি ঋণে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী এবং বিশ্বব্যাংকের পক্ষে বিশ্বব্যাংক, ঢাকা অফিসের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক অর্থায়ন চুক্তিতে সই করেছেন।
রবিবার (২২ ডিসেম্বর) বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) আওতাধীন একটি প্রকল্পে ৪০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশি মুদ্রায় এ অর্থের পরিমান ৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে)।
বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রমসহ মৌলিক নগর-পরিষেবাগুলো বৃদ্ধি করা, নগরগুলোতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, আর্থিক ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন এবং নিজস্ব উৎস থেকে আয় বৃদ্ধির কার্যক্রম জোরদার করা, পরিকল্পনা প্রণয়ন, অর্থায়ন, বাস্তবায়ন, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম কার্যকর ও টেকসইভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনগুলোর প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা বাড়ানোই হবে এই প্রকল্পের কাজ।
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে প্রকল্পের আওতায় জলবায়ু সহিষ্ণু উন্নত নগর-আবকাঠামো ও সুবিধাদি নির্মিত হবে এবং এর ফলে ৮১টি পৌরসভা ও ৬টি সিটি করপোরেশনে বসবাসরত ১ কোটি ৭০ লাখ জনগণ প্রত্যক্ষভাবে উপকৃত হবে।
অন্যদিকে, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির গতি বজায় রাখা, আর্থিক খাতের নীতি শক্তিশালীকরণ ও জলবায়ু-সহিষ্ণু উন্নয়নে ৫০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক।
কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বজায় রাখতে আর্থিক খাতের নীতিসমূহকে শক্তিশালীকরণ এবং জলবায়ু-সহিষ্ণু উন্নয়ন। অর্থ বিভাগ এ কর্মসূচির প্রধান বাস্তবায়নকারী সংস্থা।
বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ উন্নয়ন সহযোগী। স্বাধীনতার পর থেকে বিভিন্ন প্রকল্পে এ পর্যন্ত বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশে ৪৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি অর্থায়ন করেছে। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, অবকাঠামো, সামাজিক নিরাপত্তা, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন, যোগাযোগ, সেবাখাত ডিজিটালাইজেশনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাতে বিশ্বব্যাংকের প্রায় ১৮ বিলিয়ন ডলার অর্থায়নে ৫২টি প্রকল্প চলমান রয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
চট্টগ্রামে পাকিস্তানি জাহাজ, নিয়ে এলো চিনি-গ্লাস তৈরির কাঁচামাল
চট্টগ্রাম বন্দর বার্থে ভিড়েছে পাকিস্তানের করাচি থেকে পণ্যবাহী কনটেইনার নিয়ে আসা জাহাজ ‘এমভি ইউয়ান জিয়াং ফা ঝং’। রোববার (২২ ডিসেম্বর) বিকেল তিনটার দিকে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনালের (এনসিটি) দুই নম্বর বার্থে ভিড়ে। বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা গেছে, জাহাজটিতে সম্ভাব্য ৮২৫ টিইইউএস (২০ ফুট একক) কনটেইনার রয়েছে। দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো দুবাই থেকে পাকিস্তান হয়ে সরাসরি চট্টগ্রাম বন্দরে এলো পণ্যবাহী কোনো জাহাজ।
এর আগে ‘এমভি ইউয়ান জিয়ান ফা ঝং’ নামের জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের জেবেল আলী বন্দর থেকে করাচি হয়ে গত ১১ নভেম্বর চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছে। এর মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার পর প্রথমবার করাচি বন্দর থেকে চট্টগ্রামে সরাসরি বাণিজ্যিক জাহাজ আসে। সেই জাহাজে আলু, পেঁয়াজ ও শিল্পের কাঁচামাল ছিল বলে জানানো হয়। বিগত সময়ে পাকিস্তানের কনটেইনার পণ্য তৃতীয় দেশ হয়ে চট্টগ্রামে আনা হতো।
এবার পাকিস্তান থেকে আসা জাহাজটিতে চিনি, আখের গুড়, ডলোমাইট, সোডা অ্যাশ, থ্রি-পিস, খেজুর ছাড়াও নানা ধরনের পণ্য এসেছে। এসব পণ্যের ৮৬ শতাংশই পাকিস্তান থেকে এসেছে বলে জানিয়েছেন জাহাজ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি রয়েছে পরিশোধিত চিনি ও খনিজ পদার্থ ডলোমাইট।
প্রথমবার দুবাইভিত্তিক কন্টেইনার ভ্যাসেল অপারেটর ‘ফিডার লাইন ডিএমসিসি’ দুবাই-করাচি-চট্টগ্রাম রুটের নতুন এ সার্ভিস চালু করেছে। অপারেটরের পক্ষে লোকাল এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে কর্ণফুলী লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান রিজেন্সা লাইন্স লিমিটেড।
রিজেন্সা লাইন্স লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক আনিস উদ দৌলা বলেন, জেবেল আলী বন্দর থেকে ১২৬ টিইইউএস এবং করাচি থেকে ৬৯৯ টিইইউএস কনটেইনার পণ্য নিয়ে জাহাজটি সরাসরি চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। এতে পণ্য আমদানিতে সময় সাশ্রয় হয়েছে। আমদানিকারকরা লাভবান হচ্ছেন বলে মনে করেন তিনি।
এর আগে এই জাহাজটিই দুবাই থেকে পাকিস্তান হয়ে ৩৭০ টিইইউএস কনটেইনার নিয়ে গত ১১ নভেম্বর প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছে। সে সময় জাহাজটির বিভিন্ন কনটেইনারে সোডা অ্যাশ, ডলোমাইট চুনাপাথর, ম্যাগনেশিয়াম ভাঙা কাচ, কাঁচামাল কাপড়, রং, গাড়ির যন্ত্রাংশ, পেঁয়াজ, আলু, খেজুর, জিপসাম, পুরোনো লোহার টুকরা, মার্বেল ব্লক, কপার ওয়্যার, রেজিন, হুইস্কি, ভদকা ও ওয়াইন ছিল। এবার একই জাহাজ করাচি থেকে চট্টগ্রামে এসেছে দ্বিগুণেরও বেশি পণ্য নিয়ে।
পাকিস্তান থেকে এবার ২৮৫ কনটেইনারে প্রায় সাড়ে সাত হাজার টন চিনি আমদানি হয়েছে। এসব চিনি এনেছে দেশের খাদ্যসামগ্রী উৎপাদনকারী বৃহৎ শিল্পগ্রুপ প্রাণ-আরএফএল, শেহজাদ ফুড প্রোডাক্টস, সেভয় আইসক্রিম এবং ব্রডওয়ে ইন্টারন্যাশনাল।
কাঁচশিল্পে ব্যবহারের জন্য চিনির পর পাকিস্তান থেকে সবচেয়ে বেশি আনা হয়েছে ডলোমাইট। এবার ১৭১ কনটেইনারে ডলোমাইট আমদানি হয়েছে। এই কাঁচামাল এনেছে নাসির ফ্লোট গ্লাস ও আকিজ গ্লাস ইন্ডাস্ট্রিজ। পাকিস্তান থেকে আমদানি হওয়া আরেকটি পণ্য হলো সোডা অ্যাশ। এই পণ্য আমদানি হয়েছে ১৩৮ কনটেইনারে। শিল্পে ব্যবহারের এই কাঁচামাল এনেছে নাসির ফ্লোট গ্লাসসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। শতভাগ রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানাগুলো ৪৬টি কনটেইনারে কাপড়ের রোল আমদানি করেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
২১ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২ বিলিয়ন ডলার
ডিসেম্বর মাসের প্রথম ২১ দিনে দেশে বৈধপথে দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ২৪ হাজার কোটি টাকার বেশি (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে)। দৈনিক গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ৯ কোটি ৫২ লাখ ডলার বা এক হাজার ১৪২ কোটি টাকা।
রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত সবশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ের এ ধারা অব্যাহত থাকলে ডিসেম্বরে দেশে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স আসার প্রত্যাশা খাত সংশ্লিষ্টদের।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা বলছে, ডিসেম্বর মাসের প্রথম ২১ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২০০ কোটি ৭২ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬১ কোটি ৩১ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৭ কোটি ৭৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার এসেছে। এছাড়া বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৩১ কোটি ১৬ লাখ ডলার। বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫১ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই থেকে নভেম্বর) ১১৩ কোটি ৭৩ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। এর মধ্যে অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার, আগস্টে ২২২ কোটি ৪১ লাখ ৫০ হাজার ডলার এবং সেপ্টেম্বরে এসেছে ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার। অক্টোবরে ২৪০ কোটি (২ দশমিক ৪০ বিলিয়ন) এবং সবশেষ নভেম্বর মাসে এসেছে ২২০ কোটি (২ দশমিক ২০ বিলিয়ন) মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স।
গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দুই হাজার ৩৯২ কোটি মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ দুই লাখ ৮২ হাজার কোটি টাকার বেশি। যা দেশের ইতিহাসে রেমিট্যান্স আহরণে এ যাবৎকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেকর্ড রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০-২১ অর্থবছরে। ওই অর্থবছরের পুরো সময়ে আসে দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলার।