জাতীয়
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ১০ যানবাহনের সংঘর্ষ
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ঘন কুয়াশায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বেশ কয়েকটি যাত্রীবাহী বাসসহ ১০টি যানবাহনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বহু হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আজ রোববার (২২ ডিসেম্বর) সকালে নিমতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে পুলিশ দাবি করছে ১০টি যানবাহন নয় বরং ৪টি গাড়ি দুর্ঘটনা কবলিত হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে হাসাড়া হাইওয়ে থানার এএসআই সগির মিয়া জানান, আজ (রোববার) ভোর ৬টার দিকে এক্সপ্রেসওয়ের নিমতলা এলাকার কিছু দূরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। যানবাহনগুলো ঢাকা থেকে মাওয়ার দিকে যাচ্ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, ঘন কুয়াশার কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
তিনি আরও জানান, চারটি যানবাহনের মধ্যে ৩টি বাস ও একটি মাইক্রোবাস রয়েছে। কয়েকজন আহত হয়েছেন। এরমধ্যে সাকুরা পরিবহনের চালকের পা ভেঙে গেছে। তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে আহতদের পরিচয় জানাতে পারেননি এএসআই সগির মিয়া।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
স্বরাষ্ট্র সচিব হলেন ড. নাসিমুল গনি
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নাসিমুল গনিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব করা হয়েছে।
রবিবার (২২ ডিসেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
ড. নাসিমুল গনি বিসিএস ১৯৮২ ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা। ২০০৯ সালে তাকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা করা হয়। চার বছর ওএসডি থাকার পর ২০১৩ সালে তাঁকে চাকরি থেকে অবসর দেয়া হয়।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার তাকে সিনিয়র সচিব পদমর্যাদায় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের জন বিভাগে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
নিজের সম্পদের হিসাব দিলেন দুদক চেয়ারম্যান
গণমাধ্যমের সামনে নিজের সম্পদ বিবরণী তুলে ধরলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন। রোববার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি নিজের আয়-ব্যয় ও সম্পদের ফিরিস্তি জানান। সভায় দুদকের অতীত ও বর্তমান কার্যক্রম নিয়ে মতামত ব্যক্ত করেন সাংবাদিকরা।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে আমার সম্পদ বিবরণী দুদক সংস্কার কমিশনের কাছে জমা দিয়েছি। অন্য কমিশনাররা তাদের সম্পদ বিবরণী জমা দিয়ে দেবেন।
নিয়োগ পাওয়ার একদিন পরই গত ১১ ডিসেম্বর কর্মস্থলে যোগ দেন মোহাম্মদ আবদুল মোমেন। ওইদিন সাতদিনের মধ্যে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ও আয়-ব্যয়ের হিসাব প্রকাশ করার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। ওইদিনই দুদকের নতুন চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের স্বচ্ছতা নিশ্চিতে তাদের আয়-ব্যয় ও সম্পদ বিবরণীর তথ্য প্রকাশের আহ্বান জানায় ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
নিজের সম্পত্তির ফিরিস্তি তুলে ধরে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, বসিলায় সাড়ে সাতশো স্কয়ার ফিটের দুটি মিলিয়ে ১৫০০ স্কয়ার ফিটের একটি অ্যাপার্টমেন্ট আছে। সেখানে আরও ৭০০ স্কয়ার ফিট নেওয়ার প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি। পূর্বাচল আমেরিকান সিটিতে স্ত্রীর সঙ্গে আমার একটি খালি জায়গা আছে পাঁচ কাঠা। বিসিএস প্রশাসন কমিটির সদস্য ছিলাম। সেখানে আটজন সদস্যের জন্য ১০ কাঠা জমি আছে। আমার ভাগে ১ দশমিক ২৫ কাঠা পড়বে। ২০০৭ সালে টাকা-পয়সা পেয়েছি, কিন্তু এখন পর্যন্ত দখল পাইনি।
তিনি আরও বলেন, রাজউকের একটি প্লটের জন্য ৭৫ হাজার টাকা জমা দিয়েছিলাম। আজ পর্যন্ত সেটির কোনো নিষ্পত্তি হয়নি। যে কোনো কারণে হোক সরকার আমাকে দেয়নি। আমি আবার আবেদন করবো। এর বাইরে আমার আর কোনো স্থাবর সম্পদ নেই।
অস্থাবর সম্পদের বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, বিভিন্ন আকারের ২৫টি সেলফ ভর্তি বইপত্র আছে। অনেক দামি বইপত্র আছে। আসবাবপত্র ইলেকট্রনিক সামগ্রী মিলিয়ে পাঁচ লাখ টাকার জিনিস আছে। পাঁচ বছর মেয়াদি ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র আছে। আর তিন মাস অন্তর সঞ্চয়পত্র আছে ২০ লাখ টাকার। আমার জিপিএফের টাকা আমি তুলি নাই, ওখানে ১৭ লাখ টাকা আছে।
নিজের আয়ের উৎস সম্পর্কে জানিয়ে তিনি বলেন, আমার চাকরিলব্ধ আয়- উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পদের বিক্রয়লব্ধ অর্থ। শিক্ষকতা করি, বক্তৃতা করি, লেখালেখি করি। সাড়ে পাঁচ শতক একটা জমি কিনেছিলাম বেড়িবাঁধের বাইরে, সেটি বিক্রি করে কিছু টাকা পেয়েছিলাম।
তিনি বলেন, আমার চাকরিজীবন অনেক দিনের। ছাত্রাবস্থা থেকেই আয় করা শুরু করি। যখন এই চাকরি থেকে চলে যাবো আপনারা হিসাব করবেন এই সম্পদ কতটা বাড়লো, কতটা কমলো।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের সৌভাগ্য আমরা এমন সময় এসেছি যখন রাজনৈতিক সরকার নেই। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গণপ্রত্যাশাকে লালন করার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। জনগণ এই সরকার প্রতিষ্ঠা করেছে। এই সরকার প্রতিষ্ঠা না হলে, ৫ আগস্টের বিপ্লব না হলে আমরা এখানে আসতাম না।
তিনি বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে এমন ঘটনা ঘটেনি যে একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ও বায়তুল মোকাররমের ইমাম পালিয়েছেন। এটি একটি অদ্ভূত ঘটনা। অনেক দেশেই আন্দোলন হয়েছে, রাষ্ট্রপ্রধান পালিয়ে গেছেন, প্রধানমন্ত্রী পালিয়ে গেছেন। কিন্তু পোপ বা মন্দিরের পুরোহিত পালিয়ে গেছেন, এমনটি ঘটেনি। এরকম অবিশ্বাস্য ঘটনা বাংলাদেশে ঘটেছে। রাষ্ট্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি। এ বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে। এক্ষেত্রে গণমাধ্যমকে ভূমিকা রাখতে হবে।
দুর্নীতিবাজরা নানা কারণে ছাড় পেয়ে যায় জানিয়ে তিনি বলেন, দুর্নীতিবাজদের যেন ছাড় দেওয়া না হয় এটি আমাদের প্রত্যাশা। কিন্তু আমাদের প্রত্যাশা অনেক সময়ই নানা কারণে সফলকাম হয় না। হয়তো আমরা যে মামলা করি, সেই মামলাটি দুর্বল। কিংবা এখানে বসে বিচার বিভাগের সমালোচনা করা সমীচীন না। কিন্তু সেই প্রশ্ন আমরা কেউ কেউ তুলে থাকি যে; সুবিচার কী হলো? সুবিচারের দায় শুধু দুদকের এটি মনে করলে হবে না।
এসময় দুদক কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী বলেন, মাত্র অর্ধেক জনবল নিয়ে দুদক কাজ করছে। আমরা নির্মোহভাবে অনুসন্ধান করবো। কোথায় পক্ষপাত হবে না। আমরা জাতির কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি বলেন, দুদকের নিজস্ব প্রসিকিউশন বিধান প্রণীত হয়নি। আমি ওয়ান-ইলেভেন সরকারের সময় আইন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ছিলাম। স্থায়ী প্রসিকিউশন সৃষ্টি করতে বাংলাদেশ অ্যাটর্নি সার্ভিস ডাইরেক্টরি তৈরি করা হয়েছিল। আইনও তৈরি করা হয়েছিল। পরবর্তীকালে রাজনৈতিক সরকার এসে এই অধ্যাদেশ নিয়ে কাজ করেনি। যার জন্য ওটা আঁতুড়েই বসে গেছে। কার্যকর হয়নি।
তিনি আরও বলেন, সিনিয়র ও যোগ্য আইনজীবীদের এই কমিশনের স্থায়ী প্রসিকিউশনে নিয়ে আসা দরকার। কিন্তু তাদের আনতে হলে তো পরিতোষক দিতে হবে। এর জন্য একটু সময় লাগবে।
দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাফিজ আহ্সান ফরিদ বলেন, দুদকের পেশাগত ভিত্তি অনেক শক্ত। ৪২ দিন কমিশন না থাকার পরও দুদকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা নিরলস কাজ করে গেছেন। পৃথিবীর কোনো মানুষের দাসত্ব করবে না দুদক।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সারজিসের আশ্বাসে সড়ক ছাড়লেন ট্রেইনি চিকিৎসকরা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেতা সারজিস আলমের আশ্বাসে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে আন্দোলনরত ট্রেইনি চিকিৎসকরা সড়ক অবরোধ তুলে নিয়েছেন।
রবিবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে সারজিস আলম শাহবাগে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং আশ্বাস দেন। এরপর তারা সড়ক অবরোধ তুলে নেন।
সারজিস বলেন, ট্রেইনি চিকিৎসকদের দাবি যৌক্তিক। রাস্তায় নেমে আন্দোলন করা লাগছে, যা দুঃখজনক। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কমিটমেন্ট দিয়েছে দাবি মানার। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার মধ্যে যদি প্রজ্ঞাপন না আসে, আমরা একসঙ্গে রাস্তায় নামব। জানুয়ারি থেকে ভাতা কার্যকর করতে হবে।
এরপরই চিকিৎসকরা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন। এ সময় ডক্টরস মুভমেন্ট ফর জাস্টিস সোসাইটির সভাপতি ডা. জাবির হোসেন বলেন, আমরা আজকের মতো আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করছি। আগামী বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত আমরা ভাতা বৃদ্ধির জন্য আলটিমেটাম দিয়ে যাচ্ছি। তবে এই সময় আমাদের কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে।
এর আগে, দুপুর ১টার দিকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবন ছেড়ে সড়কে অবস্থান নেন বেসরকারি ট্রেইনি চিকিৎসকরা। তারা বলছেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে একজন ট্রেইনি চিকিৎসকের পক্ষে ২৫ হাজার টাকা ভাতায় জীবন ধারণ সম্ভব নয়। এ অবস্থায় ভাতার পরিমাণ ৫০ হাজার টাকায় উন্নীত করার দাবি জানান তারা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বিসিসির সঙ্গে চুক্তি বাতিল করল ইসি
শর্ত ভেঙে অন্য কোনো পক্ষকে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্য দেওয়ায় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রবিবার (২২ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশন থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, নির্বাচন কমিশন থেকে এনআইডির তথ্য-উপাত্ত যাচাই সেবা গ্রহণকারী সরকারি/বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা মোট ১৮৩টি। যার মধ্যে বাংলাদেশ কম্পিটার কাউন্সিল (বিসিসি) অন্যতম। গত ৪ অক্টোবর নিবন্ধনের মাধ্যমে তথ্য-উপাত্ত যাচাই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সাথে বিসিসির দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সম্পাদিত হয়। ওই চুক্তিপত্রের শর্তানুযায়ী, দ্বিতীয় পক্ষ (বিসিসি) কমিশনের তথ্য-উপাত্ত কোনো অবস্থাতেই অন্য কোনো ব্যক্তি, পক্ষ বা প্রতিষ্ঠানকে হস্তান্তর, বিনিময়, বিক্রয় কিংবা অন্য কোনো পন্থায় প্রদান করতে পারবে না মর্মে শর্ত থাকলেও বিসিসি কর্তৃক তা লঙ্ঘন করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ বিষয়ে ৩ সেপ্টেম্বর বিসিসির কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হলেও বিসিসি জবাব দানে বিরত থাকে। পরবর্তীতে ৬ অক্টোবর তিন কার্যদিবসের মধ্যে জবাব প্রদানের জন্য বলা হলে বিসিসি কর্তৃক যে জবাব দেওয়া হয়, তা নির্বাচন কমিশনের নিকট সন্তোষজনক নয় মর্মে গণ্য হয়েছে। অন্যদিকে, চুক্তি অনুযায়ী প্রযোজ্য ফি/চার্জসমূহ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিসিসি কর্তৃক পরিশোধ না করায় চুক্তি অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের নিকট চুক্তিটি বাতিলযোগ্য মর্মে বিবেচিত হয়েছে।
এতে আরও জানানো হয়, তদপ্রেক্ষিতে, নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তক্রমে নিবন্ধনের মাধ্যমে তথ্য-উপাত্ত যাচাই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সাথে বিসিসির ৪ অক্টোবর সম্পাদিত চুক্তিটি ২০ ডিসেম্বর বাতিল করা হয়েছে এবং বিসিসিকে প্রদত্ত এপিআই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ ছাড়া পত্র প্রেরণের ১৫ দিনের মধ্যে সমুদয় বকেয়া ফি/চার্জ পরিশোধপূর্বক চালানের কপি দাখিল করার জন্য বিসিসিকে অনুরোধ করা হয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সীমান্তে দুর্নীতির কারণে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে দুর্নীতির কারণে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটছে। আজ রবিবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন তিনি।
মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে দুর্নীতির কারণে স্থল, জলসীমাসহ সীমান্তের নানা রুট দিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ আটকানো খুব কঠিন হচ্ছে।
‘গত দুই মাসে বাংলাদেশে নতুন করে ৬০ হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটেছে’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, আর কোনো রোহিঙ্গাকে ঢুকতে দেব না এমন নীতিগতভাবে অবস্থান থাকলেও পরিস্থিতির কারণে কিছু করার ছিল না। ফলে সরকার ৬০ হাজার রোহিঙ্গাকে ঢুকতে দিয়েছে। তবে তাদেরকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তারা বিভিন্ন পথে ঢুকেছে।
তিনি বলেন, আমাদের সীমান্তে প্রচুর দুর্নীতি আছে। এতে প্রচুর রোহিঙ্গা ঢুকে যাচ্ছে। তারা বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ঢুকছে, এটা আটকানো খুব কঠিন হচ্ছে। তবে আর একটি ঢল আসবে বলে আমি মনে করি না। যদিও অনেকে আশঙ্কা করছেন। এই আশঙ্কা আমাদেরও আছে। তবে সেই ঢলকে আটকানোর ব্যবস্থা করতে হবে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সঙ্গে নিয়েই।
তৌহিদ হোসেন বলেন, আগামী ৫ বছর পর যেসব তরুণ রোহিঙ্গার বয়স ২০ বছর হবে, তারা বেপরোয়া হয়ে উঠবে। তখন আমাদের সমস্যা বেশি হবে ঠিকই, তবে সেই সমস্যা প্রত্যেকেরই হবে। এর মধ্যেই নৌকায় রোহিঙ্গারা অস্ট্রেলিয়া পর্যন্ত পৌঁছে গেছেন।
এ সময় সদ্য সমাপ্ত ব্যাংকক সফর নিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, থান সোয়ে বলেছি মিয়ানমার সীমান্তে তো তোমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। সীমান্ত তো রাষ্ট্রবহির্ভূত শক্তির (নন–স্টেট অ্যাক্টর) নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। রাষ্ট্র হিসেবে তো আমরা নন–স্টেট অ্যাক্টরের সঙ্গে যুক্ত হতে পারি না। কাজেই তাদের দেখতে হবে কোন পদ্ধতিতে সীমান্ত ও রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করতে হবে।
তিনি জানান, মিয়ানমার সীমান্তবর্তী স্ক্যাম সেন্টারের অনেকটি চীন নষ্ট করে দিয়েছে। এখন স্ক্যাম সেন্টারগুলো মূলত থাইল্যান্ড ও লাওসের সীমান্তে আছে। এসব সেন্টারে অনেক বাঙালি আটকে পড়েছেন। সবাই যে পাচারের মাধ্যমে গেছেন, তা কিন্তু নয়। অনেকেই লোভে পড়ে সেখানে গেছেন।
থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিস সাঙ্গিয়াম্পংসার সভাপতিত্বে গত বৃহস্পতিবার ব্যাংককে ছয় দেশের মধ্যে অনানুষ্ঠানিক পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মিয়ানমারের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী থান সোয়ে।
কাফি